নওগাঁর ধামইরহাটে ঘূর্ণিঝড় মন্থার প্রভাবে সৃষ্ট টানা হালকা ও ভারি বৃষ্টিপাতে কৃষকের আমনের পাকা ধানগাছ নুয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ভারি বৃষ্টিপাতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে আগাম শীতকালীন শাক-সবজিসহ নানান ধরনের রবিশস্য। শেষ সময়ে এসে ফসল ঘরে তোলার সময়ে বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষক। তবে শতকরা ৫-৭ভাগ ধান হালকা ও ভারি বৃষ্টিপাতে নুয়ে পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা কৃষি অফিস।
জানা গেছে, বরেন্দ্র অঞ্চলখ্যাত জেলা নওগাঁ জেলা। আর জেলার ধান উৎপাদনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হচ্ছে ধামইরহাট। এ উপজেলায় আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে ২১ হাজার ১১৫হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধানের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ধান চাষ হয়েছে ২১ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে।
এদিকে বিনা ধান-১৭ এবং ব্রি ধান-৭৫ শতকরা ৮ভাগ ফসল ঘরে তুলেছেন কৃষক। চলতি রোপা-আমন মৌসুমে ৩হাজার ৪৯৫ জন প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ, সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
কৃষকেরা জানান, ঘূর্ণিঝড় মন্থার প্রভাবে সৃষ্ট টানা হালকা ও ভারি বৃষ্টিপাতে আমাদের কিছু জমিতে পানি জমিয়ে রয়েছে। যার ফলে পাকা ও আধাপাকা ধানগাছগুলো নুয়ে পড়ে পানিতে ভাসছে। আর অল্প কিছুদিন পরে ফসল কেটে বাড়িতে আনা হতো। দ্রুত পানি জমি থেকে নেমে গেলে তেমন ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবেনা বলেও তারা জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক আল জুবায়ের জানান, শতকরা ৫-৭ভাগ ধানগাছ নুইয়ে পড়েছে। দ্রুত আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে ফসলের তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হবে না। তবে যারা জমিতে অতিরিক্ত সার প্রয়োগ করেছেন তাদের ধানগাছগুলো বেশি হেলে পড়েছে। এজন্য কৃষকদের ফলস রোপণ থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত সর্বদা উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ নেয়ার আহবান জানান তিনি।
ইখা