ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বক্তব্যকে 'শিক্ষার্থীদের জন্য অপমানজনক' আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আব্দুল আলিম আরিফ।
শনিবার (১ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে নুরুল হক নুরের 'গ্রামের মতো ৫০০–১০০০ টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ভোট বিক্রি করেছে' মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানান।
জবির শিবির সেক্রেটারি আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টাকা দিয়ে কেনা যায় না। এই প্রজন্ম নিজেদের ভোটাধিকার নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। টাকার বিনিময়ে কিংবা চটকদার বক্তব্যের কাছে তারা বিক্রি হয় না। যারা স্বার্থের কাছে নিজেদের বিক্রি করে, তারাই শিক্ষার্থীদের বিক্রি করার স্বপ্ন দেখতে পারে।'
তিনি আরও বলেন, 'যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন ধারণা পোষণ করে, এ দেশের শিক্ষার্থীরা অতীতেও তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে, ভবিষ্যতেও করবে ইনশাআল্লাহ। আমরা সততা, নিষ্ঠা ও কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করতে চাই।'
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা হিসেবে নুরুল হক নুরের এমন মন্তব্য শিক্ষার্থীদের জন্য অপমানজনক ও তাদের ম্যান্ডেটকে অসম্মান করে বলেও মন্তব্য করেন আরিফ।
ফেসবুক পোস্টটির শেষে তিনি নুরুল হক নুরকে ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘পলিটিক্স ল্যাব: পাবলিক ডায়ালগ’ শীর্ষক সংলাপে নুরুল হক নুর বলেন, 'ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর- এই চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের একেবারে ভূমিধস বিজয় হয়েছে। সবাই জানে স্বতন্ত্ররা যারা জিতছে তারাও শিবিরের নেক্সাসের। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষিত তরুণরা কেন তাদের ভোট দিলো?'
গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা জানান, 'তার বিশ্লেষণে শিবিরের এই সাফল্যের পেছনে কাজ করছে তাদের ‘ওয়েলফেয়ার বেইজড পলিটিক্স’ বা কল্যাণভিত্তিক রাজনীতি। তারা ছাত্রদের নানা সুবিধা দেয়। অনেকে বলছেন, কিছু হাসপাতালে শিবির এমন চুক্তি করেছে যেখানে সদস্যদের পরিবার খুব কম খরচে চিকিৎসা নিতে পারে।'
সুবিধার বিনিময়ে ভোট দেওয়া প্রসঙ্গে নুর আরো বলেন, 'গ্রামে আমরা দেখি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় মানুষ ভোট দিয়ে দেয় আরেকজনকে। বাছ-বিচার করে না। সেটা জনসচেতনতার অভাব যার ফলে অযোগ্য মানুষ সংসদে চলে আসে, নেতৃত্বে চলে আসে; তাহলে উচ্চশিক্ষিত তরুণরা তো তাই করছে।'
ইখা