মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ চোখ। মানুষের চোখ একটি জটিল অঙ্গ, যা আলো গ্রহণ করে এবং মস্তিষ্ককে তথ্য সরবরাহ করে, যার মাধ্যমে আমরা চারপাশের জগত দেখতে পাই। তাই চোখের স্বাস্থ্য এবং দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে দরকার সঠিক খাদ্যাভ্যাসের। নাহলে চোখের উপর প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে পুষ্টিকর খাবার আমাদের চোখের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভারতীয় চিকিৎসক ডা. ‘শিবু ভার্কি’ বলেন, ‘সুস্থ চোখের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাবার গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি চোখের রেটিনা ও লেন্সকে ভালো রাখতে সহায়তা করে।
কিছু খাবারের তালিকা দিয়েছেন ডা. ভার্কি। যা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে কেবল চোখ পুষ্ট হয় না বরং চোখের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে, চোখের টিস্যুতে রক্ত প্রবাহ বাড়াতে এবং রেটিনা এবং লেন্সের মতো সংবেদনশীল কাঠামো রক্ষা করতে কাজ করে থাকে। পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
সেগুলো হলো:-
শাক: শাকে প্রচুর পরিমাণে লুটেইন এবং জেক্সানথিন থাকে। যা চোখকে ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে এবং দীর্ঘমেয়াদী রেটিনার সুস্থতায় অবদান রাখে।
চর্বিযুক্ত মাছ: ওমেগা-৩ অ্যাসিড সমৃদ্ধ, তৈলাক্ত মাছ চোখের রেটিনা কোষের জন্য কার্যকার। প্রতিদিন এগুলো খেলে চোখ শুষ্ক হওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়।
সাইট্রাসযুক্ত ফল এবং ক্যাপসিকাম: কমলালেবু, লেবু এবং ক্যাপসিকামে প্রচুর পরিমাণের ভিটামিন-সি এর মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। পাশাপাশি চোখের টিস্যুর কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে।
ডিম: ডিমের কুসুম ভিটামিন-এ ছাড়াও অসাধারণ পরিমাণে জৈব উপলভ্য লুটেইন এবং জেক্সানথিন সরবরাহ করে। প্রতিদিন একটি ডিম খেলে চোখের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে তোলে।
বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার: সূর্যমুখী বীজ এবং বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং ওমেগা-৩ থাকে। মসুর ডাল এবং ছোলায় জিঙ্ক থাকে, যা চোখের রেটিনার মধ্যে ভিটামিন এ বহন করে এবং রাতের বেলায় দৃষ্টি বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করে।
দিনের শুরুতে অন্তত ১০-১৫ মিনিট রোদে সময় কাটান। তবে দুপুরের তীব্র সূর্যালোক থেকে অবশ্যই চোখ ও ত্বককে সুরক্ষিত রাখুন। আসলে আমাদের শরীর ও প্রকৃতি একে অপরের পরিপূরক। সূর্যের আলোকে সঠিকভাবে ব্যবহার করলেই সুস্থ চোখ, ভালো ঘুম আর প্রাকৃতিক শক্তিতে ভরপুর এক জীবন পাওয়া সম্ভব।
এইচএ