মেয়ে নুপুরের বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করতে গিয়েই নিহত হন রংপুরের তারাগঞ্জের ঘনিরামপুর গ্রামের রূপলাল দাস (৪০) ও মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়াভাটা গ্রামের প্রদীপ দাস (৩৫)। রূপলাল দাসের সেই নুপুরের বিয়ে আজ। বাড়িতে শোকের ছায়া থাকলেও পরিবারে মধ্যে আনন্দ বয়ে যাচ্ছে।
বাবার পছন্দ করে যাওয়া ডিপজল রবিদাসের ডিপজল ওরফে কমল রবিদাশের সাথে বিয়ে হচ্ছে নুপুরের। কিন্তু এই আনন্দঘন মুহুর্তে বাবা বেঁচে না থাকায় মনটাও ভীষণ খারাপ তার।
নুপুর রাণী দাস বলেন, 'বাবা আমাকে খুব ভালোবাসতো। আমাকে এইচএসসি পাশ করিয়েছি তার উপার্জিত কষ্টের টাকা দিয়ে। আজ আমার বিয়ে। বাবা বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতো। আমার কপাল খারাপ বাবা নেই। যারা আমার বাবাকে মেরেছে তাদের কঠিন শাস্তি দাবি করছি।'
নিহত রুপলাল দাসের স্ত্রী মালতী রাণী দাস বলেন, ‘আজ আমার মেয়ের বিয়ে। আমকর স্বামী বেঁচে নেই। আমার স্বামী বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতো। সে না থাকার কারণে এই আনন্দঘন দিনেও আমাদের পরিবারে শোকের ছায়া। যারা আমার নিরপরাধ স্বামীকে মেরেছে তার বিচার চাই আমি।’
উল্লেখ্য, ৯ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারাগঞ্জ-কাজিরহাট ছেতরা বটতলায় চোর সন্দেহে রুপলাল ও প্রদীপকে স্থানীয়রা মারধর করে এবং পরে বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে রুপলালের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত জামাই প্রদীপ পরদিন ১০ আগস্ট রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
আরডি