চার দিন ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের বৃহত্তম ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় অবস্থিত ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে এ কারখানায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায় সার উৎপাদন।
স্থানীয় সচেতন সমাজ ও কৃষকরা জানান, উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় দৈনিক ২ হাজার ৮শ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সার কারখানাটি। সার উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় ধান ও শাকসবজির ভরা মৌসুমে সার সংকটের আশা করছেন কৃষকসহ সচেতন মহল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত বস্তা এবং খোলা অবস্থায় প্রায় ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে।
সার কারখানার জিএম (কারিগরি) সরফরাজ খান জানান, ‘কারখানাটির উৎপাদন গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ রয়েছে। এরপর থেকে কারখানায় আর কোন ইউরিয়া সার পণ্য উৎপাদন হচ্ছে না। কি কারণে কারখানায় এর ত্রুটি দেখা দিয়েছে তা খতিয়ে দেখতে আমাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে।’
কারখানার জিএম (প্রশাসন) মোঃ ফখরুল আলম জানান, ‘গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ হয়েছে। তবে আশা করা যাচ্ছে দ্রুতই আবার উৎপাদন শুরু হবে। গত অর্থবছরে আমাদের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেও অতিরিক্ত সার উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। কয়েকদিন উৎপাদন বন্ধ থাকার কারণে খুব বেশি সার সংকট হবে না বলে আশা করা যায়। কারণ কারখানা থেকে উৎপাদিত বস্তা এবং খোলা অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে সার গুদামে রয়েছে।’
উল্লেখ্য এশিয়ার সর্ববৃহৎ এই ইউরিয়া সার কারখানাটি ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়। এ কারখানায় বার্ষিক ১০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদনের ধারন ক্ষমতা রয়েছে।
গত অর্থবছর এ কারখানা থেকে ৮ লাখ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত থাকলেও উৎপাদন হয়েছে ৮ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন।
এসএম