চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে মাসিক চাঁদাবাজি ও টোকেন বাণিজ্যের অভিযোগ প্রকাশের একদিনের মধ্যেই আলোচিত সহকারী ট্রাফিক সাব-ইন্সপেক্টর (এটিএসআই) শাহীনকে বদলি করা হয়েছে।
গত শুক্রবার অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কণ্ঠস্বরে প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই শনিবার তাকে সাতকানিয়ার কেরানীহাট ট্রাফিক বক্স থেকে সরানো হয়।
সাতকানিয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) নুরে আলম সিদ্দিকী রবিবার (২ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সিএনজি অটোরিকশা চালকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে। ওইদিন তারা ঠাকুরদীঘি এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। অভিযোগ ওঠে, প্রতি গাড়ি থেকে মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আদায় করছে ট্রাফিক পুলিশ। ওই টাকা পরিশোধের প্রমাণ হিসেবে চালকদের বাধ্য করা হচ্ছে ‘টোকেন’ নিতে। টোকেন থাকলে গাড়ি চলাচল নির্বিঘ্ন, আর না থাকলে হয়রানি, মামলা বা চাবি জব্দ—এরকম তিন বিপদের একটিতে পড়তে হচ্ছে চালকদের।
অটোরিকশা চালকরা দাবি করেন, পুলিশি চাঁদাবাজির কারণে তারা প্রতিদিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অবরোধের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
শুক্রবার প্রকাশিত “সাতকানিয়ায় আইন বিক্রি হচ্ছে মাসিক চাঁদায়” শিরোনামের প্রতিবেদনে কেরানীহাট ট্রাফিক বক্সকে ঘিরে মাসিক চাঁদাবাজি ও টোকেন বাণিজ্যের বিস্তারিত তথ্য উঠে আসে। এরপর বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের নজরে আসে এবং শনিবার এটিএসআই শাহীনকে বদলি করা হয়।
এনআই