এইমাত্র
  • নতুন বাবরি মসজিদের জন্য একজন একাই দিচ্ছেন ৮০ কোটি টাকা
  • ৪ নারী পাচ্ছেন বেগম রোকেয়া পদক
  • নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনে কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত, প্রধান উপদেষ্টাকে জানালেন সিইসি
  • ইরানে ম্যারাথনে হিজাব লঙ্ঘনের অভিযোগে আয়োজক গ্রেফতার
  • সৌদিতে এক সপ্তাহে ১৯ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
  • ইসরায়েলের রাজনীতি থেকে কী সরে দাঁড়াচ্ছেন নেতানিয়াহু
  • পেঁয়াজ আমদানি শুরু, এক লাফে প্রতিকেজিতে দাম কমল ৩০ টাকা
  • দেশে চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
  • খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান সম্পন্ন, রিপোর্ট নরমাল: মেডিকেল বোর্ড
  • হাড় কাঁপাতে ধেয়ে আসছে শৈত্যপ্রবাহ ‘পরশ’
  • আজ সোমবার, ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    সাবেক স্বামীর অত্যাচারে কর্ণফুলীর জনপ্রতিনিধি মিতু ও তার মেয়ে

    আতিকুল হা-মীম, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩২ এএম
    আতিকুল হা-মীম, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩২ এএম

    সাবেক স্বামীর অত্যাচারে কর্ণফুলীর জনপ্রতিনিধি মিতু ও তার মেয়ে

    আতিকুল হা-মীম, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩২ এএম

    ডিভোর্সের তিন বছর পরও শেষ হয়নি নির্যাতনের অধ্যায়। সাবেক স্বামী আবদুল গণির লাগাতার অত্যাচার, হুমকি ও দখলচেষ্টায় আজও নিরাপত্তাহীন জীবনযাপন করছেন কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ৩ নম্বর ওয়ার্ড দৌলতপুর এলাকার জনপ্রতিনিধি জোবাইদা আক্তার মিতু ও তার একমাত্র মেয়ে ইসরাত জাহান।

    জনপ্রতিনিধি মিতু জানান, “বিয়ের পর থেকেই স্বামী আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। একমাত্র মেয়ের খরচ দিত না, সংসারে শান্তি ছিল না একদিনও। অবশেষে ২০২১ সালে বাধ্য হয়ে তাকে ডিভোর্স দিই। কিন্তু ডিভোর্সের পরও সে আমাদের শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না প্রতিদিন বাড়িতে এসে হুমকি ও অপমান করছে।”

    মেয়ে ইসরাত জাহান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “ছোটবেলা থেকেই বাবার নির্যাতন দেখেছি। বিদেশে থেকেও মা’কে ফোনে গালাগালি করত। আমার বিয়ের খরচ পর্যন্ত দেয়নি। এখন সে আমাদের নানার দেওয়া বাড়ি দখল করতে চাইছে। প্রতিদিন লোকজন নিয়ে এসে আমাদের ভয়ভীতি দেখায়।”

    ইসরাতের দাবি, তাদের সাবেক বাবা আবদুল গণি একাধিকবার মা-মেয়ের ওপর হামলার চেষ্টা করেছেন। “আমরা এখন ভয় নিয়ে বেঁচে আছি। যদি প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়, একদিন কিছু একটা ঘটে যাবে,” বলে আতঙ্ক প্রকাশ করেন তিনি।

    জনপ্রতিনিধি মিতু আরও বলেন, “আমি এখন এলাকার নির্বাচিত প্রতিনিধি। তবুও প্রতিদিন অপমান সহ্য করতে হচ্ছে। আমার মেয়ের শ্বশুরবাড়িতেও এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সমাজে মানহানি হচ্ছে। আমি এই নির্যাতনের বিচার চাই।”

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী মিতু মৃত কুদ্দুস মেম্বারের মেয়ে। তার সাবেক স্বামী আবদুল গণি ভোলার বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন মিতুর বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। কুদ্দুস মেম্বারের মৃত্যুর পর এখন তার রেখে যাওয়া বাড়িঘর দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন গণি।

    অন্যদিকে, পাল্টা বক্তব্যে আবদুল গণি দাবি করেন, “আমি দুই বছর পর পর বাড়িতে আসি। আমি নিজেই ৬ রুমের ভবন করেছি। ২৩ বছর আগে মিতুকে বিয়ে করি এবং প্রবাসে থাকাকালীন সব দায়িত্ব পালন করেছি। এমনকি কিছু জায়গাও ক্রয় করেছি আমার নামে ও তার নামে।”

    এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “তারা এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    মিতু ও তার মেয়ের দাবি, “ডিভোর্সের পরও সাবেক স্বামীর অত্যাচার থেকে রেহাই চাই। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়, আমরা নিরাপত্তা চাই।”

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…