এইমাত্র
  • জামায়াতে ইসলামী প্রতিশোধ নিলে দেশ বধ্যভূমি হতো: শফিকুর রহমান
  • ৬৬ দেশি নির্বাচক পর্যবেক্ষক চূড়ান্ত নিবন্ধন পেল
  • ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ
  • যৌন হেনস্তার ঘটনায় মুখ খুললেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট
  • মালয়েশিয়ায় ‘বাংলাদেশিসহ’ নথিবিহীন ১৮৪ জন আটক
  • এবার কান্নায় ভেঙে পড়লেন ডিসি সারওয়ার
  • আল-আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডে ঢুকে পড়েছে ৯০০ ইসরায়েলি
  • এবার লেবাননের চার শহরে ইসরায়েলের হামলা
  • আফগানিস্তানে ফের হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান
  • এবার লালমনিরহাট থেকে দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা
  • আজ শুক্রবার, ২৩ কার্তিক, ১৪৩২ | ৭ নভেম্বর, ২০২৫
    তথ্য-প্রযুক্তি

    ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ, বাড়ছে খরচ

    সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা প্রকাশ: ৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা প্রকাশ: ৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম

    ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ, বাড়ছে খরচ

    সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা প্রকাশ: ৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম
    ছবি: সংগৃহীত

    নতুন টেলিকম পলিসি বাস্তবায়নের ফলে গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ ২০ শতাংশ বাড়বে। ইন্টারনেটের দাম বাড়ার বিষয়টি দায়িত্বশীল নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সেবাদাতারা।

    সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এফটিএসপি) জন্য একটি গাইড লাইনের খসড়া করেছে। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে আইএসপিএবি।

    নতুন গাইডলাইনে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের জন্য ১ শতাংশ দিতে হবে। এ ছাড়া এফটিএসপি অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বাড়বে।

    আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) এ তথ্য জানান, দেশের ইন্টারনেট সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম।

    তিনি বলেন, নতুন টেলিকম পলিসি বাস্তবায়নের ফলে গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ ২০ শতাংশ বাড়বে। অর্থাৎ ৫০০ টাকার সংযোগে খরচ ১০০ এবং এক হাজার টাকার সংযোগে খরচ বাড়বে ২০০ টাকা।

    তিনি আরো বলেন, টেলিকম পলিসি সংশোধন না করলে বাংলাদেশ ডিজিটালি শাটডাউন হয়ে যাবে। তাই নির্বাচনের আগেই রাজনৈতিক দলগুলোকে পলিসির বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

    আইএসপিএবির সভাপতি বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত নিয়ে সরকার তার উদ্দেশ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং জনগণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। সরকার ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

    আমিনুল হাকিম বিদ্যমান নীতির সঙ্গে প্রস্তাবিত নীতির তুলনামূলক উপস্থাপনা তুলে ধরে বলেন, বিদ্যমান নীতিতে সরকার এই খাত রেভিনিউ শেয়ারিং, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল এবং ভ্যাটসহ ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ পায় কিন্তু নতুন নীততে তা ৪০ দশমিক ২৫ শতাংশ হবে। সরকারি নীতিতে শহর ও গ্রামে বৈষম্য বাড়বে।

    বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসা সরকার বৈষম্য উপহার দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার একদিকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলছে, অন্যদিকে নিজেরা দাম বাড়াচ্ছে।

    তিনি আরও বলেন, স্টারলিংকের জন্য সরকার লাইসেন্স ফি ধরেছে ১০ হাজার ডলার অর্থাৎ ১২ লাখ টাকা। কিন্তু দেশের আইএসপিদের জন্য তা ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, স্টারলিংককে এত সুবিধা দেওয়ার কারণ কি?

    আইএসপিএবি বলেছে, প্রস্তাবিত খসড়া গাইডলাইনে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস এবং লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দেওয়ার স্পষ্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা দেশীয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগে গড়ে ওঠা আইএসপিগুলোর জন্য চরম অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া বড় প্রভাব পড়বে সাধারণ গ্রাহকের ওপর।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…