পাবনার ভাঙ্গুড়ায় হালকা শীত পড়তেই পাড়া-মহল্লায় শুরু হয়ে গেছে ব্যাডমিন্টন খেলার ধুম। ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়দের ব্যস্ততায় শীত মৌসুমের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ব্যাডমিন্টন ক্রীড়াসামগ্রীর দোকানগুলোয় বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
অন্যদিকে সন্ধ্যা ঘনাতেই জমে উঠে ব্যাডমিন্টন খেলা। কোর্ট থেকে ভেসে আসছে ‘থার্টিন হোপ’, ‘ফোরটিন লাস্ট’ চিৎকার।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার শরৎনগর ও ভাঙ্গুড়া বাজারের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শুধু শীত মৌসুমকে কেন্দ্র করে এসব ক্রীড়াসামগ্রী বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে বুট এবং হ্যান্ডগ্রিপ, যা ব্যাডমিন্টন খেলার সময় ব্যবহার হয়ে থাকে।
স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা জানান, ব্যাডমিন্টন মৌসুমভিত্তিক খেলা হওয়ায় শীত পড়া শুরু হলেই র্যাকেট, শাটলকক ও অন্য সরঞ্জাম কেনার জন্য ক্রেতারা ভিড় জমান। প্রতিটি র্যাকেটের দাম নির্ভর করে মান ও ব্র্যান্ডের ওপর। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি তাই প্রতিটি দোকানে ভিড় রয়েছে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলায় তিন যুগের বেশি সময় ধরে ক্রীড়াসামগ্রী বিক্রি করা সাবেক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় মামুন হোসেন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার র্যাকেটের দাম কিছুটা বেড়েছে। র্যাকেটের ব্যবসা ভালো যাচ্ছে, ক্রেতারও চাপ রয়েছে। আমার এখানে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের র্যাকেট বিক্রি হয়। তবে কম দামি র্যাকেট সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় ক্রেতারা সেদিকে বেশি ঝুঁকছেন।
ভাঙ্গুড়া উপজেলার মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, ব্যাডমিন্টন আমার অন্যতম প্রিয় খেলা। শীত পুরোপুরি জেঁকে বসার আগেই এই খেলা শুরু করেছি। প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু করি। দেহ ও মনকে সুস্থ রাখার জন্য খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। খেলাধুলার মাধ্যমে একজন মানুষ শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা লাভের পাশাপাশি ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা ও নেতৃত্বের গুণ অর্জন করে।
এসআর