ঢাকঢোল ও কাঁসার বাজনার তালে নাচছে লাঠিয়াল দলের সদস্যরা। লাঠির বিশেষ কসরতে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে রক্ষা ও প্রতিহতের উন্মাদনা। এ যেন লড়াই ও মুগ্ধতার দৃশ্য। আর এ দৃশ্য অবলোকন করতে ভিড় করেছে দূরদূরান্ত থেকে আসা হাজারও মানুষ।
গ্রামীণ ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে মেহেরপুরের গাংনী বাজারপাড়া উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে এ লাঠিখেলার আয়োজন করা হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে গাংনী ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত হয় লাঠি খেলা। পালাক্রমে ৪টি দল এতে অংশ নেয়।
গাংনী পৌর বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন মেঘলার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল।
ঢাক-ঢোলের বাজনায় ও গানের তালে তালে লাঠি দিয়ে চলে পাল্টা-পাল্টি আক্রমণ। প্রতিপক্ষের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে কেউ কেউ ঝাঁপিয়ে পড়ছেন তালে-তালে। হাতে তালি ও হইহুল্লোড়ে লাঠিয়ালদের উৎসাহ জোগাচ্ছেন হাজারও দর্শক। ব্যাপক জনসমাগমে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজনকে ঘিরে এ যেন এক উৎসবের আমেজ তৈরি হয়।
লাঠিয়ালরা জানান, এক সময় আত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে লাঠিখেলা প্রচলিত ছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়ে লাঠি খেলা এখন শুধুমাত্র প্রদর্শনী হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই লাঠিয়াল দলগুলো আরও ভালো করবে বলে মনে করেন নবীন ও প্রবীণ লাঠিয়াল খেলোয়াড়রা।
আশপাশ ও দূরদূরান্তের চারটি লাঠিয়াল দল এ খেলায় অংশ নেয়। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে লাঠিয়াল ও অতিথিদের জন্য আয়োজন করা হয় প্রীতিভোজের। দীর্ঘদিন পর প্রায় অধুনালুপ্ত এ আয়োজনে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন সবাই। সবার প্রত্যাশা একটাই- এ খেলাকে আগামীতেও যেন বাঁচিয়ে রাখা হয়।
ইখা