নড়াইলের বহুল আলোচিত মাসুম ফকির (৩৫) হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও একজনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা (অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড) প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন নিগার এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নড়াইল জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এস.এম.আব্দুল হক।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আশা বেগম ও আরাফাত শেখ। পাশাপাশি রোমান ভূঁইয়া নামক এক আসামীকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় শাবানা খাতুন নামক অপর আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত আশা বেগম জেলার লোহাগড়া উপজেলার নলদী নওয়াপাড়া গ্রামের মো. আনিছ মোল্যার স্ত্রী, আরাফাত শেখ নড়াইল সদর উপজেলার খলিশাখালী গ্রামের ওসমান শেখের ছেলে, এবং রোমান ভূঁইয়া বুড়িখালী উত্তরপাড়া এলাকার এনায়েত ভূঁইয়ার ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর রাতে মাসুম ফকির বাড়িতে না ফেরায় তাঁর স্ত্রী মোবাইলে ফোন দেন। তখন মাসুম জানান, ফিরতে একটু সময় লাগবে। তবে কিছুক্ষণ পর পুনরায় ফোন করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। সেই রাতে পরিবারের সদস্যরা আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনো সন্ধান পাননি।
পাঁচ দিন পর ১৩ ডিসেম্বর সকালে লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের জালালসী গ্রামের তপন বিশ্বাসের বাড়ির দক্ষিণ পাশে নবগঙ্গা নদীর উত্তর তীরে চরের ওপর একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে নলদী পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে নড়াইল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান।
পরবর্তীতে নিহতের পরিবার লাশটি মাসুম ফকিরের বলে শনাক্ত করে। এরপর ১৪ ডিসেম্বর নিহতের ভাই শহিদুল ফকির বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে প্রায় নয় বছর পর আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এসএম