অবেলায় কালো ও হলুদ রঙের তরমুজ চাষাবাদ করে চমক দেখিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক সাইফুল ইসলাম। ইউটিউবে ভিডিও দেখে ৩৩ শতক জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করে লাভবান হয়েছেন তিনি। তার চাষাবাদ করা তরমুজের স্বাদ নিতে ও একনজর দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন ছুটে আসছেন মানুষ।
জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম। ইউটিউবে ভিডিও দেখার পর আগ্রহ জাগে তরমুজ চাষে। যেই ভাবনা, সেই কাজ। ৮০ হাজার টাকা খরচ করে ১২'শ তরমুজ গাছের চারা রোপন করেন তিনি। দুর্যোগের কারণে ৪'শ গাছ তুলে ফেলতে হয়েছে তাকে। অবশিষ্ট ৮'শ গাছে এক হাজারের বেশি তরমুজ এসেছে তার।
সাইফুল ইসলাম জানান, ৩৩ শতক জমিতে তার ৭০ হাজার খরচ হয়েছে। গত সপ্তাহে ৫০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন তিনি। ক্ষেতে আরও ৭'শ বেশি তরমুজ আছে। এসব তরমুজ আরও লাখ টাকায় বিক্রি হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা আপেল মাহমুদ জানান, তরমুজ ক্ষেতে ফল আসর পর থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক মানুষ আগ্রহ নিয়ে দেখতে আসছেন। এজন্য সাইফুল ইসলাম পাহারা বসাতে বাধ্য হয়েছেন। অবেলায় তরমুজ চাষ এলাকায় কৃষি বিপ্লব তৈরি করেছে। অনেক কৃষকই আগ্রহ দেখাচ্ছেন এমন তরমুজ চাষের।
দেখতে এসে ৩'শ টাকা দিয়ে একটি তরমুজ কিনলেন মাহিদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বাসায় নিয়ে যাবো। এর আগে একদিন তরমুজ কিনে বাড়ীতে নিয়েছিলাম। স্বাদ পাওয়ায় দ্বিতীয়বার কিনতে এসেছি।’
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাসিরুল আলম বলেন, ‘গেল ৩-৪ বছর থেকেই এ ধরনের তরমুজ চাষাবাদ হচ্ছে। আমাদের উদ্দেশ্যে সারা বছর মানুষকে তরমুজ খাওয়ানো। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ, সার ও মালচিং পদ্ধতির সবকিছু সরবরাহ করা হয়েছে। প্রদর্শনীতে কীটনাশক মুক্ত তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। সেজন্য একটু দাম বেশি দিয়ে কিনতে হবে গ্রাহকদের। আগামীতে বৃহৎ আকারে এমন তরমুজ চাষাবাদের পরিকল্পনা রয়েছে।’
ইখা