মিজুর বাবা নেই। মিজু তার বাবাকে হারানোর পর হারিয়েছে দু’চোখের এক চোখ। এক চোখ দিয়ে চলতে পারছিল মিজু। কিন্তু হঠাৎ নিভে যায় অন্য চোখের সব আলোটুকু। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকায় বিভিন্ন চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা করান মিজু। নিজের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে করেন কয়েকটি অপারেশনও। কিন্তু কোন কিছুতেই কোন কাজ হয় না।
সর্বশেষ ঢাকায় ডাক্তার জানান, মিজুর চোখের চিকিৎসা আর বাংলাদেশে নেই। দ্রুত যেতে হবে ভারতে। ডাক্তারের এ কথার পর মানুষের সাহায্য নিয়ে দ্রুত মিজু চলে যায় ভারতে। এরপর ভারতের দিশাআই হাসপাতালে (২২ অক্টোবর ২০২৪) ডাক্তার সৌভিক দান করেন মিজুর ব্যায়বহুল অপারেশন। অপারেশন শেষে ডাক্তার বলেন, যদি কোন রকমেও একটু আলো চোখে ফেরে তবে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে পারে মিজু। আল্লাহর রহমতে মিজু এখন একটু একটু দেখতে পায়। ডাক্তারের কথামত চলতি (নভেম্বর মাসের) ১৮ তারিখের মধ্যে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে মিজুকে যেতে হবে ভারতে। আর ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করাতে প্রয়োজন হবে ৫০ হাজার টাকার। ইতিমধ্যে ভারতের ভিসাও হাতে পেয়েছে মিজু।
ছেলের দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে পাগলের মত মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটে বেড়াচ্ছেন মিজুর মা দুলালী বেগম। এখন তিনি সাহায্য চান সমাজের হৃদয়বান, দানশীল ও বিত্তবানদের কাছে।
মিজুর বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরের যতিনের হাট রেললাইন এলাকায়।
মিজুর সাথে কথা হলে মিজু বলেন, অপারেশনের পরে মোটামুটি ভালই দেখতে পাচ্ছে সে। তার ভয় চলতি মাসে দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে অপারেশনের জন্য যেতে না পারলে আর কোন আশা থাকবে না তার। হয়তো পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যাবে সে। তাই সমাজের হৃদয়বান বিত্তবানদের সাহায্য চেয়েছে অসহায় মিজু।
মিজুর পাশে দাঁড়াতে মিজুর মায়ের ব্যাংক একাউন্ট নম্বর: ২০৫০৭৭৭০২২৪৫৭৪৮২৮, দুলালী বেগম। ব্যাংকের নাম: ইসলামী ব্যাংক লি: (এজেন্ট ব্যাংকিং), কুড়িগ্রাম।
এছাড়া মিজুর নিজস্ব মোবাইল: ০১৭৯২৯৫০৭১৫ (বিকাশ)।
মিজুকে ভিডিও কলে দেখতে ০১৭১৩২০০০৯১ (হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর, সময়ের কন্ঠস্বরের প্রতিনিধি)।
আপডেট: ০৮-১১-২৫ পর্যন্ত মিজুর বিকাশে টাকা এসেছে মোট ২০৪৪/-
এফএস