এইমাত্র
  • যশোরে স্বর্ণসহ পাচারকারী আটক
  • নামিবিয়ার দায়িত্ব নিলেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক কোচ
  • হবিগঞ্জে ট্রাক চাপায় স্কুলশিক্ষক নিহত
  • লালমনিরহাটে দ্বিতীয় দফায় হরিজনদের মানববন্ধন
  • পরিচয় শনাক্তে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ১১৪ মরদেহ তোলা শুরু
  • স্কালোনির কাছে ক্ষমা চাইলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট
  • এনসিপিসহ ৩ দলের নতুন জোটের ঘোষণা বিকেলে
  • প্রজন্ম লীগ নেতার নেতৃত্বে সাবেক সেনা সদস্যের ওপর হামলার অভিযোগ
  • বিএনপির প্রার্থী প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
  • উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের অবরোধ প্রত্যাহার, শাহবাগে যান চলাচল স্বাভাবিক
  • আজ রবিবার, ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল

    অক্সিজেন ট্যাংকের পাশে হোটেলের আগুন ও ধুমপান

    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০০ পিএম
    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০০ পিএম

    অক্সিজেন ট্যাংকের পাশে হোটেলের আগুন ও ধুমপান

    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০০ পিএম

    বিলবোর্ডে লেখা ‘সাবধান তীব্র দাহ্য পদার্থ। আশেপাশে চলাচল ও ধুমপান সম্পূর্ণ নিষেধ’। বিপদ এড়াতে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের সামনে স্থাপিত ৬ হাজার লিটারের হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার তরল অক্সিজেন ট্যাংকের চারপাশে সতর্কতামূলক বিলবোর্ড লাগিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ট্যাংকের পাশের হাসপাতালের প্রথম গেটে হোটেল-রেস্টুরেন্টে আগুন জালানো হচ্ছে। আবার টোঙ দোকানে দাঁড়িয়ে মতোযে যার সিগারেট জ্বালাচ্ছেন। মানুষের সচেতনতার অভাবে ঝুঁকি বাড়ছে। যে কোন সময় বড় ধরণের বিপদ হতে পারে।

    জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৯ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার অক্সিজেন ট্যাংক। তরল অক্সিজেন হলো দাহ্যপদার্থ হওয়ায় ট্যাংকের আশেপাশে সিগারেট জালানো অত্যন্ত ঝুঁকি। কারণ দাহ্য পদার্থে খুব সহজে আগুন ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যে কারণে ট্যাংকের চারপাশে সতর্কতামূলক বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে। তারপরও মানুষ সচেতন হচ্ছে না।

    সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ ট্যাংকের পাশে রয়েছে হাসপাতালে প্রবেশের প্রথম গেট। অধিকাংশ সময় গেটটি বন্ধ থাকে। বন্ধ গেটের সামনের এলাকায় রয়েছে কয়েকটি টোঙ দোকান ও খাবারের হোটেল। সেখানে দাঁড়িয়ে অনেকেই ধুমপান করে। ট্যাংক প্রাচীরের গাঁ ঘেষে বসানো হয় চা পান সিগারেটের একাধিক অস্থায়ী টোঙ দোকান গড়ে উঠেছে। সতর্কতামূলক বিলবোর্ডকে তোয়াক্কা না করে অনেকে চা খাওয়ার পর সিগারেট জ্বালায়। এছাড়া খাবারের হোটেলের চুলাও জ্বালানো হচ্ছে।

    স্থানীয়রা জানান, রাতের বেলার চিত্র আরও ভয়াবহ। ট্যাংক প্রাচীরের গাঁ ঘেষে বসানো চা পান সিগারেটের একাধিক অস্থায়ী টোং দোকানে চা খাওয়ার পর অনেকে সিগারেট জ্বালায়। আবার হোটেলের আগুনও জ্বালানো হচ্ছে। সতর্কতামূলক বিলবোর্ডকে তোয়াক্কা না করে সিগারেট ও হোটেলের আগুন জ্বালানোর কারণে এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। ঝুৃঁিক এড়াতে অবশ্যই মানুষের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

    হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, দাহ্যপদার্থ বিপদজনক হওয়ায় তরল অক্সিজেন ট্যাংকের চারপাশে বেড়া দেয়া হয়েছে। তরল অক্সিজেন সিলিন্ডারের পাশে ধুমপান ও হোটেলে আগুন জ্বালানোর বিষয়টি শুনেছেন। সতর্কতামূলক বিলবোর্ড থাকার পরও আগুন জ্বালানো মানুষের বচড় অসচেতনতা। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।

    খুলনা বিস্ফোরক অধিদপ্তরের সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল হাশেম জানান, তরল অক্সিজেন ট্যাংকের পাশে আগুন জ্বালানো ঝুঁকি ও বিপদজনক। নিয়ম না মানলে বড় ধরণের দুর্ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…