চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভাতিজার মৃত্যু শোকে ভাতিজার জানাজা শেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন চাচা।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ৮টার দিকে এমন হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা সৈয়দপুর ইউনিয়নের মধ্যেধারী এলাকায়। নিহত চাচার নাম রেজাউল হক(৬০)। এর আগে রোববার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিল্ডিং এর ছাদে কাজ করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত হাতে থাকা রড উপরের ১১ কেভি বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে গুরুতর আহত হয় ভাতিজা নাঈম (২০)। পরে তাকে স্থানীয় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওইদিন রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাড়ে ১১টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। এরপরে ময়নাতদন্ত শেষে ভাতিজাকে বাড়ি নিয়ে এসে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৬টার দিকে জায়নাজা শেষে কবরস্থ করা হলে এরপর পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন চাচা রেজাউল হক। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে দুই দিনের ব্যবধানে চাচা ভাতিজা দুজনে মৃত্যু হওয়াতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
নিহত ভাতিজা নাঈম ওই এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও চাচা রেজাউল হক মৃত সিরাজুল হকের ছেলে।
স্থানীয়রা বলছেন, অসাবধানতাবশত ভাতিজা নাঈম বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। ভাতিজার মৃত্যু শোক সইতে না পেরে চাচাও স্ট্রোক করে মারা যায়। দুই দিনের ব্যবধানে চাচা-ভাতিজা মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
নাঈমের চাচাতো ভাই রাজু বলেন, আমার চাচাতো ভাই নাইনের মৃত্যুর কারণে হাসপাতালে এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এছাড়াও আমার চাচাতো ভাইয়ের মৃত্যুটি চাচা স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেনি। যার কারণে স্ট্রোক করে মারা যায় তিনি।
বুধবার সকাল ১০ টার দিকে চাচার জানাজা শেষে চাচাতো ভাইয়ের পাশে কবরস্থ করা হয়।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, “বিদ্যুতায়িত হয়ে নাঈম নামের এক রাজমিস্ত্রির মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআর