বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে মোহাম্মদ আশরাফুল। তার এই প্রত্যাবর্তন ঘিরে ক্রিকেটপাড়া এখনো সরগরম। কেউ দেখছেন নতুন সূচনার সুযোগ হিসেবে, কেউবা তুলেছেন পুরোনো বিতর্কের প্রসঙ্গ।
এদিকে আশরাফুলের কোচ হিসেবে নিয়োগের খবর প্রকাশের পর বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক পেসার রুবেল হোসেন নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘দায়মুক্ত হলো ক্রিকেট বোর্ড।’ কিছুক্ষণ পরই আরেকটি পোস্টে লেখেন, ‘যে মাঠ একসময় বিশ্বাস হারিয়েছে, সেই মাঠেই আবার শিক্ষা দিতে আসা, জীবনটা আসলেই সিনেমা, সময় সত্যিই অদ্ভুত! যাদের এক সময় উদাহরণ হিসেবে বাদ দেওয়া হয়েছিল, আজ উদাহরণ দিতে এসেছে!’
যদিও রুবেল কারও নাম উল্লেখ করেননি, ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে পরিষ্কার ছিল—তার ইঙ্গিত আশরাফুলের দিকেই। এ নিয়ে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আশরাফুল বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না ও (রুবেল হোসেন) কাকে মিন করেছে। একেক জনের ব্যক্তিগত মতামত থাকতেই পারে।’
নিজের অতীত নিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘আমার জীবনে যা হয়েছে আমি প্রকাশ্যে স্বীকার করেছি। ওই পর্ব শেষ করে আমি এখানে।’
২০১৩ সালে স্পট–ফিক্সিংয়ের ঘটনায় নিষিদ্ধ হয়েছিলেন আশরাফুল। নিষেধাজ্ঞা শেষে ধীরে ধীরে ফিরে আসেন ক্রিকেটে। জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ না পেলেও কোচিংয়ে নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলেন তিনি। আমিরাতে সম্পন্ন করেন আইসিসি স্বীকৃত লেভেল–৩ কোচিং কোর্স। বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের সহকারী কোচ হিসেবে এবং এনসিএল টি–২০ টুর্নামেন্টে বরিশালের প্রধান কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
জাতীয় দলের ড্রেসিংরুমে তার ফেরা নিয়ে সমালোচনার জবাবে আশরাফুল বলেন, ‘আমার কোনো মন্তব্য নেই। কারণ এটার জন্য যা যা হওয়ার, হয়েই গেছে। এমন না যে দুনিয়াতে শুধু আমি একাই এসব করে শাস্তি পেয়েছি। তবে এটাও ঠিক, আমি ছিলাম প্রথম ব্যক্তি, যিনি নিজে ফিক্সিংয়ের বিষয়টি স্বীকার করেছি। বিশ্বে কেউ স্বীকার করেনি।’
আরডি