গত মে মাসে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের প্রথম দিনই ভারত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল বলে দাবি করেছেন দেশটির বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিং। মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আয়োজিত ভারত ডিফেন্স কনক্লেভ ২০২৫-এ তিনি এ দাবি করেন।
বুধবার (০৫ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিং বলেছেন, অপারেশন সিনদুর থেকে শেখার বিষয় হলো- সংঘাত কীভাবে শেষ করতে হয়। লক্ষ্য ঠিক রাখা এবং তা অর্জনের দিকে মনোযোগ দেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখন অনেক যুদ্ধেই দেখা যাচ্ছে, শুরুতে যে উদ্দেশ্য ছিল তা হারিয়ে গেছে। যুদ্ধ এখন কেবলই অহংকারের লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।
চলতি বছরের ৭ মে ভারতীয় সেনা ও বিমানবাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তানশাসিত কাশ্মিরে নয়টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। এরপর চার দিন ধরে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত চলতে থাকে। অবশেষে ১০ মে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় উভয়পক্ষ।
যুদ্ধ কেবল শুরু করাই নয়, সময়মতো শেষ করাটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে অমরপ্রীত সিং জানান, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল পরিষ্কার এবং তা প্রথম দিনেই অর্জিত হয়েছিল। প্রথম দিনই আমরা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিলাম, কিন্তু তখন পাকিস্তান রাজি হয়নি। পরে তারাই যুদ্ধ থামাতে চায়, আর সেটি সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। সময়মতো সংঘাত বন্ধ না করলে সেটি কোন দিকে গড়াত বলা যেত না। আমরা মাত্র ৮৫ ঘণ্টায় পুরো সংঘাতের ইতি টানতে পেরেছি- এটাই মূল সাফল্য।
একইসঙ্গে পাকিস্তানের ভেতরে ভারতের চালানো ‘অপারেশন সিনদুর’ অভিযান থেকে বিশ্বকে শিক্ষা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধান।
এদিকে একই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান বলেন, অপারেশন সিনদুর থেকে ভারতীয় বাহিনীও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নিয়েছে, যা ভবিষ্যতের যুদ্ধকৌশলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, এখন থেকে পাকিস্তানজুড়ে গোয়েন্দা নজরদারি, তথ্য সংগ্রহ এবং নির্ভুল আঘাত হানার সক্ষমতা বজায় রাখতে হবে- এটাই হবে ‘নতুন স্বাভাবিক অবস্থা’।
এমআর-২