ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা সদর বাজারে চেম্বার খুলে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রোগী দেখতেন মো. জাহিদুল ইসলাম (৩২) নামে এক ব্যক্তি। করতেন অর্শ্ব–পাইলসের অস্ত্রোপচারও। দূরদূরান্ত থেকে রোগীরা ছুটে আসতেন তার কাছে। এভাবে দীর্ঘদিন তার ব্যবসা চলার পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জানা গেছে, জাহিদুল ইসলাম একজন ভুয়া চিকিৎসক। চিকিৎসাবিদ্যালয় থেকে তার কোনো ধরনের সনদ নেই।
বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে সদর বাজারের পরিবহন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম রায়হানুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জাহিদুল ইসলামকে তিনমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও অতিরিক্ত এক মাসের বিনাশ্রম কারাবাসের আদেশ দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত জাহিদুল ইসলাম নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার লাগুড়িয়া গ্রামের মৃত. লালু শেখের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জাহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছে চিকিৎসক হিসেবে সনদ দেখতে চাইলে তিনি চিকিৎসকের কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। পরে ভুয়া চিকিৎসক পরিচয় দেওয়া জাহিদুল ইসলামকে মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) আইন ২০১০-এর (২২) ধারা অনুযায়ী তিনমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড একইসঙ্গে দশ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম রায়হানুর রহমান বলেন, ‘জাহিদুল ইসলাম ভুয়া চিকিৎসকের পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। তাই তাকে তিনমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরে তাকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
এসএম