ঐক্যর নামই জাতীয়তাবাদী শক্তি। এরাই পারে এক যুগের সাংগঠনিক বিরোধ এক মুহুর্তের মধ্যে মুছে ফেলতে। এরাই পারে লাশের পাশে দাঁড়িয়ে সবাই এক হয়ে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করতে। গতকাল বাদ আস’র বিএম স্কুল প্রাঙ্গনে বিএনপি নেতা মনিরের জানাজা শেষে এমনই এক অভাবনীয় দৃশ্যের অবতারনা হয়।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে জানাজার নামাজ শেষে বিএনপি’র সদর আসনের প্রার্থী বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা চারবারের এমপি এ্যাড. মজিবর রহমান সরোয়ারের হাতে হাত মিলিয়ে মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক এবং সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার দীর্ঘদিনের মনমালিন্যের অবসান করে ধানের শীষের ঐক্যের বিজয় কেতন উড়িয়ে দেন।
আকস্মিক এই মহামিলনের খবরে সারা বরিশালের জাতীয়তাবাদী শক্তি যেন গনজোয়ারে মিলিত হয়ে যায়। এই মহাআনন্দের দৃশ্যের শুরু কিভাবে হবে, কে কার বাসায় আগে যাবে এসব নিয়ে রীতিমত চিন্তিত ছিলো বিএনপি এবং এর অংগ সংগঠনের নেতা কর্মী সমর্থকরা।
যদিও মজিবর রহমান সরোয়ার মনোনয়ন পেয়েই একদিন আগেই ফোন করেছিলেন মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে। যার অবসান ঘটে গত দুপুরে মনিরের নামাজে যানাজার ঠিক পরের মুহুর্তে। প্রমান হয়ে গেছে দলের নেতা বা কর্মীর চিরবিদায় বেলায় এমন মিলনের অবতারনা কেবল বরিশালেই সৃস্টি হতে পারে। মনিরের বিদায়ে যেমন সবার চোখ ছিলো অশ্রুসজল, তেমনি তারই আত্মার শান্তি বার্তা বয়ে যায় দলীয় কোন্দল মেটানো মহামিলনের জয়গানে। ধানের শীষের ঐক্যতান শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা বিএম স্কুল প্রাঙ্গন।
মিলনের এই সুর বেজে উঠতেই মহানগরসহ পুরো বরিশাল সদর আসনের নেতাকর্মিরা হেসে ওঠেন মহামিলনের হাসিতে। বুধবার সকাল ১১টায় টাউন হলে আনুষ্ঠানিকভাবে মজিবর রহমান সরোয়ারের সাথে মহানগর বিএনপি ও সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। সেখানেও সব সুর এক হয়ে মহামিলনের বাশি বাজবে নেতাকর্মীদের হৃদয়ে।
আগামীকালের বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচীও হতে পারে ধানের শীষের রংগে রাংগানো এক মহা মিলনের বার্তা। সব বিবাদ ভুলে একত্রিত হতে পারে জাতীয়তাবাদীর শক্তির সকল নেতাকর্মী।
এফএস