ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-০২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ি আংশিক) আসন থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি'র কেন্দ্রীয় যুগ্ন আহ্বায়ক ও নির্বাহী পর্ষদের সম্পাদক সুলতান মুহাম্মদ জাকারিয়া প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়েছেন। এই নিয়ে নোয়াখালীর ৬টি আসনের মধ্যে দুটি আসনে এনসিপির প্রার্থিতা জানান দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। এছাড়াও তিনি দেশের রাজনীতির সার্বিক বিষয়েও আলোচনা করেন।
সুলতান মুহাম্মদ জাকারিয়া তার প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়ে বলেন, একটি রক্তাক্ত বিপ্লব, রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এনসিপির জন্ম হয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশে এনসিপি একটি বৈধ বড় রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে যে গুণগত পরিবর্তন তা এনসিপির হাত ধরে যাতে আসে সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করব।
তিনি বলেন, জেলা হিসেবে নোয়াখালীতে সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর, একটি পর্যটন কেন্দ্র, একটি ইকোনমিক জোন, রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমরা সকলেই চাই নোয়াখালী বিভাগ হোক।এখানে নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়নের যৌক্তিকতা রয়েছে। আমি নোয়াখালীর সন্তান হিসেবে সেই উন্নয়ন পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। যে কারণে জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-০২ সেনবাগ আসন থেকে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই।
এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ? আওয়ামী লীগের নির্বাচন প্রতিহত করার হুমকিতে নির্বাচন নিয়ে কোন শঙ্কা আছে কিনা ? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করার মত শক্তি সাহস সামর্থ কিছুই আওয়ামী লীগের নেই। নিকটতম ভবিষ্যতের কোনো সময়ে আওয়ামী লীগকে আমরা থ্রেট মনে করি না। যে পরিমাণ রক্তাক্ত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তাদেরকে বিতাড়িত করতে হয়েছে যত হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছে আহত হয়েছে, এই রক্তের দাগ সহজে মুছবে না। সুতরাং ওবায়দুল কাদের যাই বলুক, আমি মনে করি না যে সেই বাস্তবতা তাদের আছে যে তারা নির্বাচন ভন্ডুল করতে পারবে।
নোয়াখালী জেলা এনসিপির কমিটি গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে নোয়াখালী জেলা কমিটি দীর্ঘদিন করা সম্ভব হয়নি তবে আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে নোয়াখালী জেলা কমিটি ঘোষণা করা হবে। আপনারা নিশ্চিত থাকুন, কোন ফ্যাসিস্টের দোসর বা তাদের অনুসারীরা কমিটিতে স্থান পাবে না। তিনি বলেন, যাদের হাতে রক্তের দাগ লেগে আছে, যারা ফ্যাসিজমের সাথে যুক্ত ছিলো তাদেরকে কেউ কোথাও স্থান দেবেন না।
উল্লেখ্য, সুলতান মুহাম্মদ জাকারিয়া সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের পরিকোট গ্রামের পরিকোট মজুমদার বাড়িতে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি তার বর্ণাঢ্য জীবনে দেশে বিদেশে বিভিন্ন সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪এর রক্তাক্ত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সুলতান মুহাম্মদ জাকারিয়া সারা বিশ্বে অভ্যুত্থানের সপক্ষে জনমত তৈরি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রকে পরিবর্তনের পক্ষে নিয়ে আসা এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কূটনৈতিক যোগাযোগ ও চাপ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এসআর