রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক কলেজ শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। নিহত শিক্ষার্থীর নাম কারিমা খাতুন (১৭)। তিনি উপজেলার আড়ানী পৌরসভার নুরনগর গ্রামের কামরুল ইসলামের মেয়ে। তিনি এরশাদ আলী মহিলা ডিগ্রী কলেজ এর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মোবাইল গেম খেলার সময় মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার ঘটনার পর অভিমান করে কারিমা নিজ শয়নঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাঘা থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা (ওসি) আ ফ ম আছাদুজ্জামান জানান, একজন কলেজছাত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে মারা গেছে বলে পারিবারিকভাবে জানা গেছে, বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করা হয়েছে এবং লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাড়িতে ফিরিয়ে আনা মরদেহ আসরের নামাজের পর স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃতের পিতা কামরুল ইসলাম এ সংবাদদাতাকে জানান, মেয়ে পড়াশোনা ভালো ছিল, তার এই প্রেত্রাসাদায়ক সিদ্ধান্তে সকলেই স্তব্ধ।’
মানবীয় এবং সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। কলেজে পড়া এক তরুণীর এমনভাবে হঠাৎ চলে যাওয়া তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং কলেজ-শিক্ষাঙ্গনের জন্য বড় ধরণের শোকে পরিণত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছে।
ইখা