এইমাত্র
  • লেবাননে জাতিসংঘ টহল দলের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬
  • ভারতের পর্যটনরাজ্য গোয়ার নাইটক্লাবে বড় অগ্নিকাণ্ড, নিহত ২৩
  • রায়েরবাজারে অজ্ঞাত ১১৪ জুলাই শহীদের মরদেহ উত্তোলন শুরু আজ
  • আজ থেকে শুরু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা
  • মানবতাবিরোধী অপরাধে ইনুর মামলায় আজ তৃতীয় দিনের সাক্ষ্য
  • ২০২৬ বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা, কবে-কখন কার সঙ্গে কার ম্যাচ
  • যারা এতদিন নির্বাচনের জন্য পাগল ছিলেন, তাদের এখন ভিন্ন সুর: জামায়াত আমির
  • খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সব ধরনের সহযোগিতা করছে সরকার : প্রেসসচিব
  • নীলফামারীতে বুড়ি তিস্তা সেচ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল
  • ভারত-সমর্থিত গোষ্ঠীর ৯ সন্ত্রাসীকে হত্যার দাবি পাকিস্তানে
  • আজ রবিবার, ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
    লাইফস্টাইল

    যেসব কারণে খাবেন না অঙ্কুরিত আলু

    লাইফস্টাইল ডেস্ক প্রকাশ: ৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:১৯ পিএম
    লাইফস্টাইল ডেস্ক প্রকাশ: ৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:১৯ পিএম

    যেসব কারণে খাবেন না অঙ্কুরিত আলু

    লাইফস্টাইল ডেস্ক প্রকাশ: ৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:১৯ পিএম

    সবজি হিসেবে আলু খেতে পছন্দ করেন ছোট-বড় সবাই। আলু ছাড়া আমাদের সবজির ঝুড়ি অসম্পূর্ণ। রান্নায় অনেকে এই সবজির ব্যবহার ছাড়া কেনো খাবার রান্না করা ভাবতেই পারেন না। তাই রোজ বাজারের ধকল সামলাতে বেশি করে আলু কিনে ঘরে মজুত করে রাখেন অনেকেই। কিন্তু আপনি কি লক্ষ্য করেছেন যে আলু সংরক্ষণ করলে অনেক সময় এর গায়ে অঙ্কুর জন্মে?

    এখন প্রশ্ন হলো, অঙ্কুরিত আলু খাওয়া নিরাপদ কি না? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

    ঘরে আলু মজুত করে রাখলে যে সমস্যাটি প্রায়ই আপনি লক্ষ করেন তা হলো আলুর মধ্যে শিকড় গজিয়ে যাওয়া। অনেকে মনে করেন, এমন আলু খেলে শরীরে কোনো সমস্যাই হয় না। তাই রান্নায় হরহামেশাই ব্যবহার করছেন এই আলু। আলু ফেলে না দিয়ে এই যে মনে করছেন আপনি অনেক টাকা বাঁচাতে পেরেছেন তা কিন্তু নয়। বরং আপনার মূল্যবান স্বাস্থ্যকে ফেলে দিচ্ছেন ঝুঁকির মধ্যে।

    পুষ্টিবিদরা বলছেন, আলুতে স্বল্প পরিমাণে সোলানাইন ও ক্যাকোনাইন নামক গ্লাইকোঅ্যালকয়েড থাকে। সামান্য পরিমাণে এসব উপাদান শরীরে প্রবেশ করলে তা রক্তচাপ ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

    তবে যখন আলুতে শিকড় গজাতে শুরু করে, তখন এই গ্লাইকোঅ্যালকয়েডের পরিমাণ অতিমাত্রায় বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে বেশি মাত্রায় গ্লাইকোঅ্যালকয়েডের উপস্থিতি শরীরে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে, যা আপনার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ধীরে ধীরে দুর্বল করে তুলবে।

    হেলথলাইনের দাবি, কম মাত্রায় গ্লাইকোঅ্যালকালয়েড বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে বমি, ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথা হতে পারে। এদিকে, বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে এটি মাথাব্যথা, জ্বর, দ্রুত স্পন্দন, নিম্ন রক্তচাপ এবং অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

    নিয়মিত এই আলু খেলে আমাদের পাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অনেকের মাথাব্যথা শুরু হয়। স্নায়ুতে দেখা দেয় নানা অসংগতি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একসঙ্গে বেশি পরিমাণে এ ধরনের আলু খেলে আপনি কোমায় চলে যেতে পারেন। যারা হবু মা হতে চলেছেন, তাদের কোনোভাবেই এ ধরনের আলু খাওয়া নিরাপদ নয় বলে মনে করছেন তারা।

    অনেকে আলুর অপচয় বাঁচাতে আলুর অঙ্কুর কেটে ফেলে দিয়ে বাকি আলুর অংশ রান্নায় ব্যবহার করছেন। এতেও কিন্তু কোনো লাভ হয় না। কারণ, আলুর অঙ্কুরে শুধু গ্লাইকোঅ্যালকয়েড উপাদানটি থাকে না। তা পুরো আলুতেই থাকে।

    এ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আলু খুব বেশি পরিমাণে কিনে তা বাড়িতে সংরক্ষণ করবেন না। কোনো কারণে আলু বাড়িতে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে তা অন্ধকার এবং ঠান্ডা জায়গায় রাখতে চেষ্টা করুন। এতে আলুতে সহজে শিকড় বা অঙ্কুর গজাবে না।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…