ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সৌদি আরবের সম্মতির সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে, এই মাসে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান যখন হোয়াইট হাউস সফর করবেন তখন তা হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক দশক ধরে শত্রুতার পর ইসরাইল ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে ‘নাড়া’ দিতে পারে, যা এই অঞ্চলে মার্কিন প্রভাবকে শক্তিশালী করবে বলে মনে করা হয়।
ট্রাম্প গত মাসে বলেছিলেন, তিনি আশা করেন সৌদি আরব খুব তাড়াতাড়ি ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য ২০২০ সালের আব্রাহাম চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর সাথে যোগ দেবে।
কিন্তু রিয়াদ কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ওয়াশিংটনকে ইঙ্গিত দিয়েছে, তার অবস্থান পরিবর্তিত হয়নি। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের জন্য একটি রোডম্যাপে চুক্তি হলেই কেবল তারা এটি স্বাক্ষর করবে। দুটি উপসাগরীয় সূত্র রয়টার্সকে এমনটাই জানিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সাবেক ডেপুটি মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা জোনাথন প্যানিকফ জানান, ‘ক্রাউন প্রিন্স অদূর ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য পথ তৈরি না করলে সম্পর্ক আনুষ্ঠানিক করার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
ওয়াশিংটনের আটলান্টিক কাউন্সিলের থিঙ্ক ট্যাঙ্কে থাকা প্যানিকফ আরও জানান, প্রিন্স সম্ভবত একটি সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আরও স্পষ্ট এবং সোচ্চার সমর্থন অর্জনে ট্রাম্পের উপর তার প্রভাব ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মরক্কো ইতিমধ্যেই আব্রাহাম চুক্তির অধীনে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে এবং ট্রাম্প বলেছেন, তিনি শিগগিরই চুক্তির সম্প্রসারণ আশা করছেন।
‘আমাদের এখন অনেক লোক আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দিচ্ছে, এবং আশা করি আমরা খুব তাড়াতাড়ি সৌদি আরবকে পেতে যাচ্ছি।’ ট্রাম্প কোনো সময়সীমা উল্লেখ না করেই ৫ নভেম্বর এ কথা জানান।
১৭ অক্টোবর সম্প্রচারিত এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আশা করি সৌদি আরব এতে যোগ দেবে, এবং অন্যরাও তার দেখাদেখি এতে যোগ দেবে।’
কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মরক্কোর স্বাক্ষরিত চুক্তি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বিষয়টিকে এড়িয়ে গেছে।
এমআর-২