গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে একটি ফ্ল্যাট থেকে রহিমা খাতুন (৩০) নামের এক নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় তার স্বামী এমরান হোসেনকে (৩৫) উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) ভোরে মহানগরীর কোনাবাড়ী থানার বাইমাইল এলাকার নওয়াব আলী মার্কেট সংলগ্ন একতা টাওয়ারের পঞ্চম তলা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত রহিমা খাতুন ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার আমতৈল গ্রামের কসাই এমরান হোসেনের স্ত্রী। তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পেশায় কসাই এমরান তাঁর স্ত্রী রহিমা ও মেয়ে শারমিনকে নিয়ে একতা টাওয়ারের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। শুক্রবার গভীর রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাদের বাসায় ঢুকে এমরান ও রহিমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই রহিমার মৃত্যু হয়।
পরে খবর পেয়ে শনিবার ভোরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত এমরানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। রহিমার মরদেহ মর্গে পাঠায়। পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), সিআইডিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এবিষয়ে কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধারের পর তল্লাশি চালাতে গিয়ে এমরান হোসেনের পালস পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত রহিমার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে শারমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
এসআর