পাবনার ঈশ্বরদীতে অক্সিজেন স্বল্পতার কারনে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরন এলাকার (ইপিজেড) বাংলাদেশ হাইজিং টম হেয়ার প্রডাক্ট কোম্পানির একসঙ্গে ৩৫ জন নারী শ্রমিক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অসুস্থ শ্রমিকরা সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ ও রোগী ভর্তি ওয়ার্ডে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, শ্রমিকরা সকাল ৮ টা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে ইপিজেডের ওই কোম্পানিতে যান। কাজ শুরু করার দেড় ঘন্টা পরই কয়েকজন শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাদের ইপিজেডের বেপজা মেডিকেলে নেওয়া হয়। পরে কিছুক্ষণ পরই আরো কয়েকজন একই সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে অবস্থা বেগতিক দেখে অসুস্থ সবাইকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ জন ও ইপিজেডের আওতাধীন বেপজা মেডিকেলে ৫ জন নারী শ্রমিক ভর্তি রয়েছে।
সূমী খাতুন নামে এক নারী শ্রমিক বলেন, কোম্পানির ভিতরে প্রবেশ করার পর থেকেই কেমন যেন নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। কিছুসময় কাজ করার পরই পুরো শরীর গরম ও মাথা ঘুরে পড়ে যায়। পরে কোম্পানির এ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কি কারনে এমন হলো তা বলতে পারিনা।
ওই কোম্পানির আরো দুজন নারী শ্রমিক শুলেখা খাতুন ও ইতি ইসলাম বলেন, প্রথমে কয়েকজন অসুস্থ হলে তাদের বেপজা মেডিকেলে নেওয়া হয়। তারপর আস্তে আস্তে আমরাসহ আরো অনেকেই অসুস্থ হয়ে যায়। ফ্লোরের ভিতরে প্রচুর গরম ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। দীর্ঘসময় এসি বন্ধ থাকার কারনে সম্ভবত এমন হতে পারে।
হাসপাতালে অসুস্থ শ্রমিকদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইপিজেডের হাইজিং টম হেয়ার প্রডাক্ট কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ(এইচ আর এন্ড এডমিন) মোঃ রাশেদুজ্জামান রাসেল বলেন, ধারনা করা হচ্ছে কোম্পানির কক্ষের ভিতরে দীর্ঘসময় এসির সংযোগ লাইন বন্ধ থাকার কারনে একপ্রকার গ্যাস জমে অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। মূলত এ কারনেই শ্রমিকদের ভিতর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়ে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে কোম্পানি থেকে তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহিম হোসেন বলেন, সকাল থেকে প্রায় ৩০-৪০ জন ইপিজেড শ্রমিক শ্বাসকষ্ট নিয়ে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। কোম্পানি থেকে আমাদের জানিয়েছে দীর্ঘসময় এসি বন্ধ থাকার কারনে মূলত অক্সিজেন স্বল্পতার কারনে তাদের এমন সমস্যা হয়েছে। অসুস্থ সকল শ্রমিক আশংকামুক্ত রয়েছে।
এসআর