পঞ্চগড়ে ডিসেম্বরের শুরুর দিনগুলোতে শীতের আমেজ ধীরে ধীরে বাড়ছে। জেলায় রাতের তাপমাত্রা কম থাকলেও দিনের বেলায় সূর্যের উপস্থিতি জনজীবনকে স্বস্তি দিচ্ছে।
রবিবার (০৭ ডিসেম্বর) সকালে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় তাপমাত্রা কিছুটা কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
এর আগের দিন শনিবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ছিল সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে ঠাণ্ডা থাকলেও এলাকায় স্বাভাবিক জনজীবনে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।
শনিবার বিকাল ৩টার দিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আগের দিনের তুলনায় সামান্য কম।
সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকায় সূর্য উঠলেও তার উত্তাপ কম অনুভূত হয়। প্রায় ৮টার দিকে রোদ দৃশ্যমান হয়, আগের দিনের মতোই। বিকেলে হালকা হিমেল বাতাস বয়ে যায়, আর দিনের বেলায় রোদের কারণে আবহাওয়া বেশ আরামদায়ক ছিল। তবে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে শীতের অনুভূতি।
ডিসেম্বরের শুরুতে আকাশে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়ায় দূর থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া দেখার সম্ভাবনা ক্ষীন হয়ে আসে। নভেম্বরে যেভাবে পর্বতের তুষারচূড়া সাদা পাথরেএ মতো পরিষ্কার দেখা যেত, ডিসেম্বরের হালকা কুয়াশা ও রোদের কম তেজ সেই সৌন্দর্যকে আড়াল করে দিয়েছে।
এদিকে পঞ্চগড়ের নদীঘাটে বালু ও পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকরা ভোরের ঠাণ্ডায় কাজ করতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসার কথা জানিয়েছেন। যদিও দিনের বেলায় রোদ ওঠায় তাদের কষ্ট কিছুটা কমে যায়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “ডিসেম্বরের শুরুতে জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে নিয়মিত সূর্যের দেখা মেলায় দিনের বেলা আবহাওয়া স্বস্তিদায়ক রয়েছে।”
শীতের শুরুতে এভাবেই দিন-রাতের তাপমাত্রার তারতম্যে পঞ্চগড়ের জনজীবনে আসছে বৈচিত্র্য, আর ঠাণ্ডার সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরু করেছে এখানকার জনজীবন।
এসআর