ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা এখন ‘গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে’ আছে বলে জানিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল-থানি।
তিনি বলেন, এখন যে অবস্থা চলছে, তাকে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি বলা যাবে না; এটি শুধু একটি বিরতি মাত্র। খবর রয়টার্সের।
শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) দোহা ফোরামে তিনি বলেছেন, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি তখনই বলা যাবে যখন ইসরায়েলি সেনারা পুরোপুরি সরে যাবে, গাজায় স্থিতিশীলতা ফিরবে এবং মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারবে। কিন্তু বাস্তবে এখনো সেটি হয়নি।
২০২৩ সালের অক্টোবরের হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পর কাতারসহ কয়েকটি দেশের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। সহিংসতা কমলেও ইসরায়েলি হামলা থামেনি। শনিবারও গাজা উপত্যকার কয়েকটি এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া যুদ্ধ থামানোর পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপ বাস্তবায়ন নিয়েও আলোচনা চলছে। ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল কায়রোতে গিয়ে শেষ জিম্মির মরদেহ ফেরত আনার বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর হামাস প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে ২০ জীবিত জিম্মি এবং ২৭ মরদেহ ফিরিয়ে দিয়েছে। ইসরায়েল জানায়, শেষ জিম্মির মরদেহ ফেরত পেলেই রাফা ক্রসিং দিয়ে গাজায় যাতায়াত খুলে দেওয়া হবে।
ট্রাম্পের পরিকল্পনায় গাজায় একটি অন্তর্বর্তী টেকনোক্র্যাট সরকার এবং আন্তর্জাতিক শান্তি পর্ষদের তত্ত্বাবধানের কথা আছে। তবে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনীর গঠন এখনো বড় চ্যালেঞ্জ।
গাজায় এখনও ইসরায়েলি হামলা চলছে। ইসরায়েল বলছে, তারা হামাসকে লক্ষ্য করেই অভিযান চালাচ্ছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার উত্তর গাজার কয়েকটি এলাকায় হামলায় ৭ জন মারা গেছে, যার মধ্যে ৭০ বছর বয়সী এক নারীও রয়েছেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, ‘ইয়োলো লাইন’ অতিক্রম করার সময় দুই ঘটনায় তিনজন ফিলিস্তিনি জঙ্গি নিহত হয়েছে। যদিও ড্রোন হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এমআর-২