ঢাকার অদূরে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন কারখানায় টানা কাজের শব্দে এলাকা মুখরিত থাকে। রঙিন সিল্ক ও কটনের সুতা দিয়ে তাঁতিদের হাতের তালে বোনা হয় দেশের প্রখ্যাত ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’। নামকরণের সূত্রপাতও জেলার নাম থেকেই।
শতাব্দীপ্রাচীন এই হ্যান্ডলুম শাড়ি তৈরি শিল্পকে ইউনেসকো ২০২৫ সালে ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য মনোনীত করেছে।
টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতীক। সারা বিশ্বেই বাঙালি নারীদের নিকট এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া এটি সমগ্র ভারত উপমহাদেশে বিভিন্ন উৎসব ও বিবাহ অনুষ্ঠানে সমাদৃত। প্রতিটি শাড়ি তৈরি হয় ঐতিহ্য, কারুশিল্প ও স্থানীয় সংস্কৃতির নান্দনিকতার সমন্বয়ে। জটিল মোটিফ ও সূক্ষ্ম নকশায় ফুটে ওঠে স্থানীয় সংস্কৃতির প্রভাব।
প্রথাগতভাবে পুরুষরা সুতা রাঙানো, কাপড় বোনা ও নকশার কাজ করেন, আর নারীরা তাঁতের চাকা ঘুরিয়ে সুতা তৈরি করতে সাহায্য করেন। শাড়ি কেবল সৌন্দর্যের নয়, এটি শত শত তাঁতি পরিবারের জীবিকার উৎসও।
তবে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি এবং সস্তা ও মেশিন বোনা শাড়ির প্রতিযোগিতা নতুন প্রজন্মের মধ্যে এই পেশা ধরে রাখার আগ্রহ কমিয়ে দিয়েছে। তাঁতিরা আশাবাদী, ইউনেসকোর স্বীকৃতি ও ঐতিহ্যগত মর্যাদা তাদের কারুশিল্পকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রক্ষা করতে সহায়ক হবে।
আরডি