পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি নিরাপত্তা চৌকিতে ভয়াবহ হামলায় ৬ সেনা নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন দেশটির তিনজন পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তা।
সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার ভোরের মধ্যবর্তী সময়ে প্রদেশটির কুররাম জেলায় এই হামলা ঘটে। এই এলাকাটি একটা সময় ‘উপজাতীয়’ এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল, যা আফগানিস্তানের সীমান্তের খুব কাছেই অবস্থিত।
তবে হামলার দায় এখনো কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। হামলার বিষয়ে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীও এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ তেহেরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) সন্দেহ করছে।
সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই জঙ্গি তৎপরতা ও হামলা বাড়ছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা আরও তীব্র হয়েছে, যা পাকিস্তান সরকারের জন্য নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।
এর আগে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) গভীর রাতে বেলুচিস্তানের চামান সেক্টরে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে আফগান তালেবান বাহিনী হঠাৎ করে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালায় বলে অভিযোগ করেছে পাকিস্তান। এর জবাবে পাকিস্তানি বাহিনীও আফগান পোস্টগুলোকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালায়।
দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে বিরতিহীনভাবে গোলাগুলি চলে। একপর্যায়ে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী রকেট লঞ্চার, মর্টার এবং ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে। এসব হামলায় আফগান বাহিনীর তিনটি পোস্ট সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়।
আফগান সেনারা নিজেদের পোস্ট ছেড়ে পেছনের দিকের বেসামরিক এলাকায় আশ্রয় নিয়ে ফের গুলি চালালে পাকিস্তানি বাহিনী দ্বিতীয় দফায় ভারী অস্ত্র দিয়ে আঘাত হানে। এ হামলায় মনুষ্যবিহীন সশস্ত্র ড্রোনও ব্যবহার করা হয়। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জানায়, এতে ২৩ আফগান সেনা নিহত ও অনেকে আহত হন।
সূত্র: রয়টার্স
এমআর-২