পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মোবাইল অ্যাপস খুলে কিশোর-কিশোরিদের আর্থিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে পুলিশ এক প্রতারক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. জসীম উদ্দিন (৪৫) ও তার স্ত্রী শারমীন আক্তার (৩৫)। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশ তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার দম্পতি পাশ্ববর্তী ভাণ্ডারিয়া উপজেলার হরিণপালা গ্রামের বাসিন্দা। এ প্রতারণার ঘটনায় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে ভুক্তভোগি মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বাদি হয়ে মঠবাড়িয়া সাইবার অপরাধ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঠবাড়িয়ার পাশ্ববর্তী উপজেলার হরিণপালা গ্রামের মো. নূরুল ইসলামের ছেলে মো. জসীম উদ্দিন ও তার স্ত্রী শারমীন আক্তার মিলে এমবি নামে একটি মোবাইল অ্যাপস খুলে এলাকার কয়েকশ কিশোর-কিশোরীকে রেজিস্ট্রেশন করান। ওই অ্যাপসে বোনাস ও লোভনীয় আর্থিক সুবিধার প্যাকেজ খুলে কিশোর-কিশোরীদের আকৃষ্ট করেন তারা। এতে ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে মোটা অংকের টাকা জমা করলে প্রতিদিন বিভিন্ন অংকের প্যাকেজে লোভনীয় বোনাস দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। এতে করে স্থানীয় শত শত কিশোর-কিশোরী মুনাফার লোভে অর্থ জমা করে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ওই অ্যাপসটি অচল হয়ে পড়লে গ্রাহকরা ওই দম্পতির কাছে ধর্ণা দেয়। এসময় প্রতারক ওই দম্পতি আরও দশ হাজার টাকা হারে পুণরায় জমা করলে অ্যাপস চালু হবে বলে গ্রাহকদের জানান। এতে গ্রাহকদের সন্দেহ হলে তারা ওই দম্পতিকে ঘেরাও করে ৯৯৯ নম্বরে কল করে অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসেন। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রাহকদের পক্ষ থেকে থানায় সাইবার অপরাধ আইনে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মো. মঞ্জুরুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) শেখ হেলাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযুক্ত দম্পতির বিরুদ্ধে সাইবার স্পেস ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’
ইখা