জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দীর্ঘ সংস্করণের শিরোপা জিতে নিয়েছে রংপুর বিভাগ। র মধ্য দিয়ে চলতি মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ এক ‘ডাবল’ পূর্ণ করল তারা। এর আগে গত অক্টোবরে ঘরোয়া ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি শিরোপা জিতে নিয়েছিল রংপুর।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে সিলেট বিভাগের ম্যাচ ড্র হতেই আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হয় রংপুরের তৃতীয় শিরোপা। আগের দিন খুলনাকে মাত্র তিন দিনে ৭ উইকেটে হারানোর পরই শিরোপার রাস্তা প্রায় পরিষ্কার ছিল রংপুরের সামনে। ২০২২–২৩ মৌসুমের পর আবারও দীর্ঘ সংস্করণে তাদের শিরোপা উত্থান ঘটল এভাবেই।
শেষ দিনে শিরোপা ধরে রাখতে সিলেট বিভাগের সামনে কেবল জয় ছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিল না। কিন্তু ৩২০ রানের কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ বাঁচাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে দলটি। ম্যাচ ড্র হওয়ায় শিরোপা যায় রংপুরের হাতে। সিলেটের পক্ষে আসাদুল্লাহ আল গালিব ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন, মুশফিকুর রহিম তোলেন ৫৩ রান।
এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে বরিশাল ২৯৪/৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। ওপেনার ইফতেখার হোসেন ইফতি ১৯৭ বল খেলে অপরাজিত ১২৮ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেন—১১ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো এটি তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি। শেষ দিনে সিলেটের ওপর বড় চাপ তৈরি করে এই ইনিংসই।
দিনের অন্য ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহী বিভাগ ১৪৬ রানে হারায় ময়মনসিংহ বিভাগকে। তবে ম্যাচের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ময়মনসিংহের পেসার আবু হায়দার রনি। ২২৭/৯ থেকে দিন শুরু করে রনি মাত্র ১২৭ বল খেলে ১০ চার ও ১৩ ছক্কায় অপরাজিত ১৪১ রানের ক্যারিয়ার–সেরা ইনিংস খেলেন—যা তার প্রথম শ্রেণির দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
তবু জয়টা যায় রাজশাহীর ঝুলিতে। স্পিনার সানজামুল ইসলাম ৫/৮৮ নিয়ে ম্যাচসেরা হন এবং শেষ উইকেট তুলে নিয়ে রাজশাহীর জয় নিশ্চিত করেন। অভিষেক মৌসুমে এটি ময়মনসিংহের একমাত্র হার।
আরডি