তাঁত বোর্ডের সহযোগিতা শুধু কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ থাকায় প্রকৃত তাঁতিরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন সিরাজগঞ্জের তাঁতীরা। তবে অনেকে ভূয়া তাঁতি সেজে সরকারি প্রণোদনা ও সহায়তা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁত শিল্পের উন্নয়নে সিরাজগঞ্জের বেলকুচির তামাই ক্লাবে ‘তাঁতিদের সাথে মতবিনিময়’ শীর্ষক এক সভায় এসব তথ্য তুলে ধরেন জেলার প্রান্তিক তাঁতিরা।
তাঁতিরা বলেন, ‘উচ্চ সুদে লোন নিয়ে অনেকে তাঁতিই সর্বশান্ত হচ্ছে। তবে সরকারি ভাবে কম সুদে লোন দিলে এ শিল্প টিকে থাকবে। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর, বিদুৎ বিভাগ সহ বিভিন্ন সংস্থা দ্বারা হয়রানি বন্ধ করতে হয়। একই সাথে তাঁত শিল্পে গ্যাস সংযোগ সহ পরিবেশ সুরক্ষায় ইটিপিপ্লান্ট নির্মানে সরকারি সহযোগী নিশ্চিত করেতে হবে।’
তামাই হ্যান্ডলুম এন্ড পাওয়ারলুমওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি হাজী আব্দুল আজিজ সরকার ও তাঁতি আবদুল গফুর খান বলেন, ‘দেশের প্রায় কোটি ৭০ শতাংশ কাপড় উৎপাদন হয় একমাত্র তামাই গ্রামে। তবে রং সুতার দাম সহ সকল উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির কারনে এ গ্রামের বহু কারখানা বন্ধ হবার পথে।’
বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের সচিব মিজ্ বিলকিস জাহান রিমি। তিনি বলেন, ‘তাঁত শিল্পের উন্নয়নে সকল সহায়তা করা হবে। প্রকৃত তাঁতিরাই বোর্ডের সহায়তা পাবে। এছাড়া পরিবেশ রক্ষা সহ এ শিল্পে গ্যাস সংযোগের জন্য প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’
তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু আহমদ ছিদ্দীকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বোর্ডের প্রধান হিসাব রক্ষক সুকুমার শাহা, সিরাজগঞ্জের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক কামরুল ইসলাম, বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরিন জাহান, জাতীয় তাঁতি সমিতির সভাপতি আব্দুস ছামাদ খান ও বেলকুচি তাঁত বোর্ডের লিয়াঁজো অফিসার তন্নী খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
এসএম