এইমাত্র
  • প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শীতকালীন ছুটি বাতিল
  • সোভিয়েত ইউনিয়ন পুনর্গঠন-ন্যাটোতে হামলা করতে চান না পুতিন
  • অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন বিএনপি প্রার্থী শিমুল বিশ্বাস ও হাবিব
  • মিরপুরে ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযানে বাধা, ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর
  • বাজারে থাকা মোবাইল ফোন ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকাভুক্তির নির্দেশ
  • জামায়াতের মুখে বিপ্লব আর অন্তরে আ. লীগ বিরাজ করে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
  • ‘টাঙ্গাইল শাড়িকে’ স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো
  • জাতীয় ক্রিকেট লিগের শিরোপা জিতল রংপুর বিভাগ
  • জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ
  • তফসিল ঘোষণার পর আন্দোলন-সমাবেশ থেকে বিরত থাকার আহ্বান
  • আজ মঙ্গলবার, ২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
    জাতীয়

    বাজারে থাকা মোবাইল ফোন ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকাভুক্তির নির্দেশ

    সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০৫ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০৫ পিএম

    বাজারে থাকা মোবাইল ফোন ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকাভুক্তির নির্দেশ

    সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০৫ পিএম

    দেশের বাজারে বিদ্যমান অবিক্রিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেট আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়মিতকরণের (তালিকাভুক্ত) বিশেষ বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি।

    মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিটিআরসিতে মোবাইল ফোন আমদানি ও ভেন্ডর লাইসেন্স তালিকাভুক্তিকরণ সহযোগিতার বিষয়ে বিটিআরসি ও মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

    বিটিআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সভায় মোবাইল হ্যন্ডসেট আমদানি এবং ভেন্ডর এনলিস্টমেন্ট সনদ প্রদানের বিদ্যমান প্রক্রিয়া কিভাবে সহজীকরণ করা যায় সে বিষয়ে বিশদ আলোচনার প্রেক্ষিতে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    ১. ন্যূনতম কাগজপত্র দাখিলের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে ভেন্ডর এনলিস্টমেন্ট সনদ প্রদান এবং বিদেশ থেকে ক্লোন/কপি/ব্যবহৃত/রিফারবিশড মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ রোধকল্পে শুধু মোবাইল ফোনের মূল উৎপাদনকারী সংস্থার পাশাপাশি যেকোনো অনুমোদিত সরবরাহকারীর (অথরাইজড ডিস্ট্রিবিউটর) প্রত্যয়নপত্রসহ (চুক্তির পরিবর্তে) আবেদন করা হলে বিটিআরসি থেকে সহজেই তাদের অনুকূলে আমদানির অনুমোদন করা হবে।

    ২. একই সঙ্গে, ক্লোন/কপি/ব্যবহৃত/রিফারবিশড মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ রোধের বিষয়টি নিশ্চিত করে আমদানি প্রক্রিয়া কীভাবে আরও সহজ করা যায় সে বিষয়ে সুস্পষ্ট লিখিত প্রস্তাব দেয়ার জন্য বিটিআরসির পক্ষ হতে ‘মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ’র প্রতিনিধিদের আহ্বান জানানো হয়।

    ৩. ‘মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ’র চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বাজারে বিদ্যমান অবিক্রিত সকল মোবাইল হ্যান্ডসেট নিয়মিতকরণের উদ্দেশে এ সংশ্লিষ্ট তথ্য নির্ধারিত ছকে জমা দিলে বিটিআরসি হতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

    সর্বোপরি, ‘বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার, বাজারজাতকরণ ও তালিকা গ্রহণের নির্দেশিকা, ২০২৪’ অনুযায়ী বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানি করা হলে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে বিটিআরসি থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে মর্মে আশ্বস্ত করা হয়।

    মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ এবং বিটিআরসি বলছে, বর্তমানে দেশের বাজারে প্রায় ৫০ লাখ অনিবন্ধিত হ্যান্ডসেট রয়েছে।

    দেশের বাজারে অবৈধ মোবাইল ফোন ঠেকাতে বিটিআরসির পক্ষ থেকে এনইআইআর চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর বিটিআরসিতে সংবাদ সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এনইআইআর ব্যবস্থা চালু হলে অবৈধভাবে আমদানিকৃত বা নকল মোবাইল সেট ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হবে। এর ফলে সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ রাজত্ব ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে এবং দেশে মোবাইল উৎপাদন শিল্প আরও সুরক্ষিত হবে।

    এনইআইআর চালুর উদ্যোগে দেশের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছিলেন, এই ব্যবস্থা ব্যবসায়ীদের বিশাল ক্ষতির মুখে ঠেলে দেবে। এ নিয়ে রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিটিআরসি ভবনের সামনে দিনভর অবস্থান করে রাখেন তারা।

    অপর দিকে, মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইওবি) সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, বর্তমানে ১৮টি কোম্পানি উৎপাদন লাইসেন্সধারী, যারা মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাজারে কাজ করছে।

    সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এনইআইআর নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এনইআইআর বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

    এসএম

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…