সরকার লুট হওয়া অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে জোর এবং ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমন করতে নতুন অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-টু’ অবিলম্বে কার্যক্রম শুরু করা হবে।
শনিবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বৈঠকে রুটিন আলোচনার পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা প্রস্তুতি, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদিসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ এবং লুট হওয়া অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়গুলো বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ লক্ষ্যে একটি ছোট কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবে।
তিনি আরও জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, খুব দ্রুত দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এ ঘটনায় কোনো আসামিকেই ছাড় দেওয়া হবে না। জনগণের সহযোগিতা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, হাদির ওপর হামলা আসন্ন নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে। সরকার এ ধরনের যেকোনো চেষ্টা কঠোর হাতে দমন করবে। তিনি জানান, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা যদি ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চান, তবে তা অনুমোদিত হবে। যারা ইতিমধ্যে অস্ত্র জমা দিয়েছেন, তাদের ফেরত প্রদান করা হবে।
এছাড়া তিনি বলেন, তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। তার নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হবে এবং তিনি যথাযথ নিরাপত্তা পাবেন।
আরডি