এইমাত্র
  • রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানির বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় সাইবার হামলার অভিযোগ
  • জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তায় কমিটি করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ‘দিল্লির মসনদ’ জ্বালিয়ে দেব: হাসনাত আবদুল্লাহ
  • নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার
  • প্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য হাদিকে বিদেশে পাঠাবে সরকার
  • মেসিকে দেখতে না পেয়ে স্টেডিয়ামে সমর্থকদের ভাঙচুর
  • জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি’র সাবেক এমপি
  • ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
  • যারা নির্বাচন চায় না, তারাই হাদির ওপর হামলা করেছে: সালাউদ্দিন আহমেদ
  • ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো’
  • আজ শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তায় কমিটি করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
    জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির পর্যালোচনার ভিত্তিতেই পরবর্তী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি জানান, বৈঠকে নিয়মিত আলোচনার পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সামগ্রিক নিরাপত্তা প্রস্তুতি, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনা এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি লুট হওয়া অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়েও কথা হয়।ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটিকে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর আশা, খুব শিগগিরই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে এবং এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।তিনি বলেন, এই হামলাকে আসন্ন নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সরকার এ ধরনের যেকোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করবে। নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে তা অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। যাঁরা ইতিমধ্যে অস্ত্র জমা দিয়েছেন, তাঁদের অস্ত্র ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ধরনের শঙ্কা নেই। তাঁর নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে এবং যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।আরডি
    যারা নির্বাচন চায় না, তারাই হাদির ওপর হামলা করেছে: সালাউদ্দিন আহমেদ
    যারা বাংলাদেশে নির্বাচন চায় না, তারা ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন তিনি। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক বিতর্ক হবে, কিন্তু ফ‍্যাসিবাদবিরোধী ঐক‍্য যেন বিনষ্ট না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যদি ঐক‍্য থাকে, তবে জাতীয়ভাবে এ-জাতীয় ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব। যারা বাংলাদেশে নির্বাচন চায় না, তারা হাদির ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি আরও বলেন, কালকে ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে যে ঐক‍্যের ডাক দেয়া হয়েছে, সেখানে যাওয়ার জন‍্য প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। সেখানে যাবে বিএনপি। হাদির পাশাপাশি আরও হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছি না। তবে এ-জাতীয় বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে যদি পতিত ফ‍্যাসিবাদ মনে করে নির্বাচন রুখতে পারবে, সেটা ভুল ধারণা। এর আগে, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর বক্সকালভার্ট এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে গুরুতর আহত ওসমান হাদিকে উদ্ধার করে বিকেল পৌনে ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়।ঢামেকের জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসা শেষে রাত ৯টার দিকে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন। আরডি

    জাতীয়

    সব দেখুন
    জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তায় কমিটি করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
    জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির পর্যালোচনার ভিত্তিতেই পরবর্তী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি জানান, বৈঠকে নিয়মিত আলোচনার পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সামগ্রিক নিরাপত্তা প্রস্তুতি, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনা এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি লুট হওয়া অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়েও কথা হয়।ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটিকে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর আশা, খুব শিগগিরই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে এবং এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।তিনি বলেন, এই হামলাকে আসন্ন নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সরকার এ ধরনের যেকোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করবে। নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে তা অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। যাঁরা ইতিমধ্যে অস্ত্র জমা দিয়েছেন, তাঁদের অস্ত্র ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ধরনের শঙ্কা নেই। তাঁর নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে এবং যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।আরডি
    নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার
    ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থীদের নিরাপত্তা জোরদারের কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি জানান, নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।এ সময় ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনায় অগ্রগতির কথাও জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তদন্ত চলমান থাকায় এ মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু জানানো সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।এর আগে ডিএমপির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ডিএমপি হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা গেছে। ডিএমপি তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে।এতে আরও বলা হয়, উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো। ডিসি মতিঝিল: ১৩২০০৪০০৮০, ওসি পল্টন: ০১৩২০০৪০১৩২সন্ধানদাতার পরিচয় গোপন রাখা হবে এবং উপযুক্ত পুরস্কৃত করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর বক্সকালভার্ট এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে গুরুতর আহত ওসমান হাদিকে উদ্ধার করে বিকেল পৌনে ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়।ঢামেকের জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসা শেষে রাত ৯টার দিকে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।আরডি
    প্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য হাদিকে বিদেশে পাঠাবে সরকার
    ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় যদি দেশের বাইরে পাঠাতে হয়, সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ওসমান হাদির পরিবার এবং ইনকিলাব মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতে এ আশ্বাস দেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এসব তথ্য জানিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ওসমান হাদির সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সারাদেশ তার জন্য দোয়া করছে। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় যদি দেশের বাইরে পাঠাতে হয় বা যেখানে পাঠানোর প্রয়োজন হবে, সরকার সেখানেই তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে। ওসমান হাদির বোন বলেন, ‘সে (হাদি) ছোটবেলা থেকেই দেশকে মনেপ্রাণে ভালোবাসত। ছোটবেলা থেকেই সে বিপ্লবী। বিদ্রোহী কবিতা তার প্রিয়, সে বিদ্রোহী কবিতা আবৃত্তি করতে ভালোবাসত। তার একটি ১০ মাসের সন্তান আছে। হাদি আমাদের মেরুদন্ড।তিনি আরও বলেন, ওর অনেক কাজ, ওকে বেঁচে থাকতে হবে। আপনারা বিপ্লবী সরকার, যে করেই হোক জুলাই বিপ্লবীদের বাঁচিয়ে রাখবে হবে। তা না হলে এদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে।অপরাধীকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা জাবের বলেন, ৫ই আগস্টের পর অনেকে বাসায় ফিরে গিয়েছিল ওসমান হাদি বাসায় ফিরে যায়নি। সে জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করত এবং জুলাই বিপ্লবের জন্য দিনরাত কাজ করত। যে ছেলেটা গুলি করেছে, শুনতে পাচ্ছি সে একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিল কোন প্রক্রিয়ায় সে জামিন পেয়েছে সেটা তদন্ত করুন।আরডি
    ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
    ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ হয় বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ফেসবুক পেজে জানানো হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন ওসমান হাদির ভাই আবু বকর সিদ্দীক, বোন মাসুমা এবং ইনকিলাব মঞ্চের তিন নেতা আব্দুল্লাহ আল জাবের, ফাতিমা তাসনিম জুমা ও মো. বোরহান উদ্দিন। ওসমান হাদির সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সারাদেশ তার জন্য দোয়া করছে। তার সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিতে সবাই চেষ্টা করছে। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় যদি দেশের বাইরে পাঠাতে হয়, যেখানে পাঠানোর প্রয়োজন হবে সরকার সেখানেই তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।’ওসমান হাদির বোন বলেন, ‘সে (হাদি) ছোটবেলা থেকেই দেশকে মনেপ্রাণে ভালোবাসত। ছোটবেলা থেকেই সে বিপ্লবী। বিদ্রোহী কবিতা তার প্রিয়, সে বিদ্রোহী কবিতা আবৃত্তি করতে ভালোবাসত। তার একটি ১০ মাসের সন্তান আছে। হাদি আমাদের মেরুদন্ড। তিনি আরও বলেন, ওর অনেক কাজ, ওকে বেঁচে থাকতে হবে। আপনারা বিপ্লবী সরকার, যে করেই হোক জুলাই বিপ্লবীদের বাঁচিয়ে রাখবে হবে। তা না হলে এদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে। অপরাধীকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা জাবের বলেন, ৫ই আগস্টের পর অনেকে বাসায় ফিরে গিয়েছিল ওসমান হাদি বাসায় ফিরে যায়নি। সে জুলাই  বিপ্লবকে ধারণ করত এবং জুলাই বিপ্লবের জন্য দিনরাত কাজ করত। যে ছেলেটা গুলি করেছে, শুনতে পাচ্ছি সে একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিল কোন প্রক্রিয়ায় সে জামিন পেয়েছে সেটা তদন্ত করুন।আরডি
    ওসমান হাদির বাড়িতে চুরি
    ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটিতে চুরির ঘটনা ঘটেছে।শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে শহরের খাসমহল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমান হাদির চাচাতো ভাই সিরাজুল ইসলাম।তিনি জানান, বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে জানালা ভেঙে চোর ঘরে প্রবেশ করে। কী পরিমাণ মালামাল নিয়েছে এখনো সেটা আমরা জানতে পারিনি।নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আলম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে রিকশায় করে যাওয়ার সময় ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। ওই সময় মোটরসাইকেলে করে এসে দুজন তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। এক পর্যায়ে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার চিকিৎসা চলছে।এদিকে তার গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর শুনেই এদিন বিকেলেই ঢাকায় রওনা দেন পরিবারের সদস্যরা।এসআর
    হাদিকে গুলি করা সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ, তথ্য চায় পুলিশ
    রাজধানীর বিজয়নগরে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের বিষয়ে তথ্য থাকলে জানানোর অনুরোধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে।এতে আরও বলা হয়, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো। ডিসি মতিঝিল : 01320040080, ওসি পল্টন: 01320040132। সন্ধানদাতার পরিচয় গোপন রাখা হবে এবং উপযুক্ত পুরস্কৃত করা হবে।এসআর
    ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো’
    ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছে মঞ্চ ২৪-এর আহ্বায়ক ফাহিম ফারুকী।শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ফাহিম ফারুকী।তিনি বলেন, নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য ওসমান হাদির ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। এ আক্রমণের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ বার্তা দিয়েছে যে, এদেশে নির্বাচন হলে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। সুতরাং নির্বাচন যেন কোনোভাবেই না হয়, সেই লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ কাজ করছে।ফাহিম আরও বলেন, আমাদের পুলিশ প্রশাসন অকার্যকর। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার যে নিষ্ক্রিয়তা, এর জন্য আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি এবং দ্রুততম সময়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। আগামী ৬ ঘণ্টার মধ্যে যদি হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হয়, আমরা লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করবো। উপদেষ্টাকে পদ থেকে নামিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো। আমরা আলু-পেঁয়াজের গল্প শুনতে চাই না। আমরা বিচার চাই।হাদির অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, তিনি নিঃশ্বাস নিচ্ছেন, তাকে ব্লাড দেওয়া হচ্ছে। তার পরিবার সেখানে উপস্থিত আছেন। তার পরিবার চাচ্ছেন যেন উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। হাদির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে গতকাল রাতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায়), অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেছিলেন, বাম কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেন স্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত। আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, আর এ অবস্থায় কোনো ধরনের নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না।তিনি আরও বলেছিলেন, হাদি এখন ‘খুবই ক্রিটিক্যাল’ অবস্থায় আছেন এবং আগামী ৭২ ঘণ্টা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তাকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসে রাখা হয়েছে, যদিও চিকিৎসকেরা এখনও আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।এসআর
    রাজধানীতে ১২ তলা ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৪ ইউনিট
    রাজধানীর বাবুবাজারে একটি ১২ তলা ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে।শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। জমেলা টাওয়ার নামে ওই ভবনে আগুন লাগে।ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ শাহজাহান কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ভোরে জমেলা টাওয়ার নামে ১২ তলা ভবনের নিচতলায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। কেরানীগঞ্জ, সদরঘাট ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের মোট ১৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।এসআর

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    রাজনীতি

    সব দেখুন
    ‘দিল্লির মসনদ’ জ্বালিয়ে দেব: হাসনাত আবদুল্লাহ
    দিল্লির আধিপত্য কোনো ব্যক্তি, কোনো প্রতিষ্ঠান, কোনো পেশাজীবী বা কোনো বুদ্ধিজীবীর মাধ্যমে এই বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। পাশাপাশি বাংলাদেশের দিল্লির মসনদ জ্বালিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাবেশ ও গণ-প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি এ হুশিয়ারি দেন তিনি। হাসনাত বলেন, ‘গুলি শুধু ওসমান হাদির মাথার ভেতর দিয়ে যায়নি, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের বিবেকের ভেতর দিয়ে গেছে। গত ১৭ বছর ধরে যারা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছে, তারাই এখন বিভিন্ন পরিচয়ে—টকশোর বুদ্ধিজীবী, নাট্যকর্মী বা সাংস্কৃতিক কর্মী—নতুনভাবে সক্রিয় হচ্ছে।’ওসমান হাদির জন্য দোয়া চাওয়া হচ্ছে এটা সামগ্রিক ব্যর্থতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাদি দেশকে ইনসাফের পথে নিয়ে যেতে চেয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের স্বার্থের জন্য দেউলিয়া হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে এখন পরকীয়া করা হচ্ছে।’হাসনাত বলেন, ‘আপনি যে পন্থি হন না কেন আমাদের একটা জায়গায় ঐকবদ্ধ থাকতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থের জন্য দেউলিয়া হয়ে গেছে। আওমীলীগের সঙ্গে এখন পরকীয়া করছে।’আওয়ামী লীগ ও ভারত বাংলাদেশের শত্রু উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি কারা কারা ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্ষমতায় যেতে চান। সীমান্তের ওপার বা অন্যদেশ থেকে নয় ক্ষমতা নির্ধারণ হবে দেশের মানুষের ভোটে।’আরডি
    ‘দিল্লির মসনদ’ জ্বালিয়ে দেব: হাসনাত আবদুল্লাহ
    দিল্লির আধিপত্য কোনো ব্যক্তি, কোনো প্রতিষ্ঠান, কোনো পেশাজীবী বা কোনো বুদ্ধিজীবীর মাধ্যমে এই বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। পাশাপাশি বাংলাদেশের দিল্লির মসনদ জ্বালিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাবেশ ও গণ-প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি এ হুশিয়ারি দেন তিনি। হাসনাত বলেন, ‘গুলি শুধু ওসমান হাদির মাথার ভেতর দিয়ে যায়নি, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের বিবেকের ভেতর দিয়ে গেছে। গত ১৭ বছর ধরে যারা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছে, তারাই এখন বিভিন্ন পরিচয়ে—টকশোর বুদ্ধিজীবী, নাট্যকর্মী বা সাংস্কৃতিক কর্মী—নতুনভাবে সক্রিয় হচ্ছে।’ওসমান হাদির জন্য দোয়া চাওয়া হচ্ছে এটা সামগ্রিক ব্যর্থতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাদি দেশকে ইনসাফের পথে নিয়ে যেতে চেয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের স্বার্থের জন্য দেউলিয়া হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে এখন পরকীয়া করা হচ্ছে।’হাসনাত বলেন, ‘আপনি যে পন্থি হন না কেন আমাদের একটা জায়গায় ঐকবদ্ধ থাকতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থের জন্য দেউলিয়া হয়ে গেছে। আওমীলীগের সঙ্গে এখন পরকীয়া করছে।’আওয়ামী লীগ ও ভারত বাংলাদেশের শত্রু উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি কারা কারা ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্ষমতায় যেতে চান। সীমান্তের ওপার বা অন্যদেশ থেকে নয় ক্ষমতা নির্ধারণ হবে দেশের মানুষের ভোটে।’আরডি
    জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি’র সাবেক এমপি
    কিশোরগঞ্জ ২ কটিয়াদী পাকুন্দিয়া আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মেজর অব. আখতারুজ্জামান রঞ্জন জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সাবেক এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান।সাক্ষাৎকালে জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন। তিনি ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ, দেশের স্বার্থ এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবশিষ্ট জীবন অতিবাহিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিয়ম-নীতি, আদর্শ, দলীয় শৃঙ্খলা ও আনুগত্যের প্রতি সর্বদা অনুগত থাকার অঙ্গীকার করেন।এ সময় জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান তাকে আন্তরিকভাবে আলিঙ্গন করেন এবং তার দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করেন।এর আগে, দলীয় শৃঙ্খলা–পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতরুজ্জামান পঞ্চমবারের মতো বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হন ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। তবে নানা সময় সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে টক শো কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলে তিনি আলোচনায় ছিলেন।কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক এই সভাপতি ২০১৮ সালের নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের বিএনপি প্রার্থী ছিলেন। তিনি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদের কাছে হেরে যান। এ ছাড়া, বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে আক্তারুজ্জামান এ আসন থেকে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে টানা দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন আসনটি কেবল কটিয়াদী উপজেলা নিয়েই ছিল।আখতারুজ্জামানের জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের খবর তার নিজ এলাকা কিশোরগঞ্জে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে৷ বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন মন্তব্যে বিএনপির সমর্থকরা এই বিষয়কে "নীতিহীন রাজনীতির অনন্য উদাহরণ বলছেন৷''আরডি
    যারা নির্বাচন চায় না, তারাই হাদির ওপর হামলা করেছে: সালাউদ্দিন আহমেদ
    যারা বাংলাদেশে নির্বাচন চায় না, তারা ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন তিনি। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক বিতর্ক হবে, কিন্তু ফ‍্যাসিবাদবিরোধী ঐক‍্য যেন বিনষ্ট না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যদি ঐক‍্য থাকে, তবে জাতীয়ভাবে এ-জাতীয় ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব। যারা বাংলাদেশে নির্বাচন চায় না, তারা হাদির ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি আরও বলেন, কালকে ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে যে ঐক‍্যের ডাক দেয়া হয়েছে, সেখানে যাওয়ার জন‍্য প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। সেখানে যাবে বিএনপি। হাদির পাশাপাশি আরও হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছি না। তবে এ-জাতীয় বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে যদি পতিত ফ‍্যাসিবাদ মনে করে নির্বাচন রুখতে পারবে, সেটা ভুল ধারণা। এর আগে, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর বক্সকালভার্ট এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে গুরুতর আহত ওসমান হাদিকে উদ্ধার করে বিকেল পৌনে ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়।ঢামেকের জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসা শেষে রাত ৯টার দিকে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন। আরডি
    ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান
    টানা ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামী ২৫ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন বলে বিএনপি থেকে জানানো হয়েছে।শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।এক স্ট্যাটাসে বলা হয়, ‘আগামী ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, বাংলাদেশে ফিরছেন বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান।’ এফএস
    দেশের মানুষ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করে: সুলতান সালাউদ্দিন টুকু
    বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনীত এমপি প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, “বাংলাদেশের মানুষ আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করে।”শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।টুকু বলেন, এ দেশের মানুষ গণতন্ত্রের সুবাতাস পেতে শুরু করেছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়াকে আমরা স্বাগত জানাই। কারণ ২০১৪, ২০১৮ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। দিনের ভোট রাতেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।তিনি আরও বলেন, ৩ কোটি ৮০ লাখের বেশি তরুণ ভোটার থাকা সত্ত্বেও তারা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এখন তারা নিজেদের ভোট দিয়ে জনবান্ধব সরকার গঠন করতে চায়। এই দেশ আমাদের সকলের, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এ দেশ গড়ে তুলতে হবে।মওলানা ভাসানীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে টুকু বলেন, মজলুম মানুষের অধিকার আদায়ে তিনি সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে কখনো আপস করেননি। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে মূল বীজ মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী কাগমারি সম্মেলন বুনেছিলেন। মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সংগঠনটির উপদেষ্টা প্রফেসর একেএম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ ও জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দুর্জয় হোড় শুভ প্রমুখ।এফএস
    সারা দেশে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা
    ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও আসন্ন নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের ‘রাষ্ট্র গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।রিজভী বলেন, দুষ্কৃতকারীরা ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করেছে। এটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। আমরা অবিলম্বে হাদির গুলিবিদ্ধ ঘটনার তদন্ত করে দ্রুত দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। এই দাবিতে আগামীকাল শনিবার ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপিসহ সকল অঙ্গসংগঠন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।এদিকে ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।প্রেস উইং জানায়, রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশে এমন সহিংস হামলা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং দেশের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আহত ওসমান হাদীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ ছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে তা উন্মোচনের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশে কোনো ধরনের সহিংসতা বরদাশত করা হবে না। জনগণের নিরাপত্তা এবং প্রার্থীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। দোষীরা যে-ই হোক, আইনের আওতায় আনা হবে।তিনি দেশের সকল রাজনৈতিক পক্ষ, কর্মী-সমর্থক এবং নাগরিকদের প্রতি শান্তি ও সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানান, যাতে আসন্ন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও নিরাপদ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে পারে। এফএস
    ‘লাইফ সাপোর্টে’ ওসমান হাদি
    রাজধানীর বিজয়নগরে গুলিবিদ্ধ ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।হাসপাতালে হাদির অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালকের দপ্তর থেকে জানানো হয়- তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন, গুলিটি এখনও তার মাথার ভেতরেই রয়েছে।শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত ওসমান হাদির দিকে গুলি ছোড়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়।ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, দুপুর ২টা ২৫ মিনিটের দিকে মোটরসাইকেল আরোহী দুজন হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।ঘটনার সময় হাদির ঠিক পেছনের রিকশায় ছিলেন মো. রাফি। তিনি বলেন, ‘জুমার নামাজ শেষে রিকশায় হাইকোর্টের দিকে যাচ্ছিলাম। বিজয়নগর পৌঁছাতেই মোটরসাইকেলে দুজন আসে এবং হাদি ভাইয়ের ওপর গুলি চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।’ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন।ইখা

    দেশজুড়ে

    সব দেখুন
    রাজধানীতে চলন্ত বাসে আগুন
    রাজধানীর বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত বাসে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে আগুন লাগে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার। রোজিনা আক্তার বলেন, আমাদের কাছে খবর আসে বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত বাসে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে বারিধারা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও বাসে যাত্রী ছিল কি না জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।এফএস
    রাজধানীতে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় ২ শিক্ষার্থী নিহত
    রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়া এলাকায় উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেলের আরোহী ২ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে ওই দুই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহতরা হলেন- আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এআইইউবি) ছাত্র ইরাম রেদওয়ান (২৫) ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) ছাত্র অপু আহমেদ (২৫)।নিহতদের সহপাঠী তাওসিফ বলেন, দুই বন্ধু একটি বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন। কোনাপাড়া এলাকায় উত্তর সিটি কর্পোরেশনের একটি ময়লার গাড়ি তাদের ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন তারা। পরে খবর পেয়ে আমরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রথমে অপুকে মৃত ঘোষণা করেন এবং তার কিছুক্ষণ পরেই ইরাম রেদওয়ানকেও মৃত ঘোষণা করে। তিনি আরও বলেন, তাদের দুজনের বাসা শানারপাড় চিটাগাং রোড এলাকায়। এই ঘটনায় সিটি কর্পোরেশনের ঘাতক গাড়িটি (নম্বর ঢাকা মেট্রো শ-১৪০৫৭৪) পুলিশ জব্দ করেছে। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ওই দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।তিনি আরও বলেন, মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ডেমরা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।এমআর-২
    রাজধানীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা
    রাজধানীর পুরান ঢাকায় দুর্বৃত্তের গুলিতে আব্দুর রহমান (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। তিনি শ্যামবাজার কাঁচাবাজার মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সূত্রাপুরের শ্যামবাজার এলাকার মাওলা বক্স চক্ষু হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পথচারীরা আব্দুর রহমানকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বেলা দেড়টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, আজ দুপুরের দিকে শ্যামবাজার মাওলা বক্স চক্ষু হাসপাতালের সামনে আব্দুর রহমান নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে গিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি নয়ন নামে এক যুবক তাকে গুলি করে পালিয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানতে পারিনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।আরডি
    শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভোগান্তি: সঠিক পথ খুঁজে পেতে হিমশিম
    শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রীদের জন্য চলমান দুর্ভোগের কোনো শেষ নেই। বিমানবন্দরের প্রবেশদ্বারে দীর্ঘ যানজট এবং স্পষ্ট দিকনির্দেশনা না থাকার কারণে যাত্রীরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। অনেক যাত্রী সঠিক পথে ডিপার্চার টার্মিনালে প্রবেশ করতে পারছেন না, ফলে কেউ ভুলক্রমে অ্যারাইভাল টার্মিনালে চলে যাচ্ছেন, আবার কেউ ডোমেস্টিক টার্মিনালের দিকে চলে যান।এখনকার সমস্যাগুলো একাধিক কারণে উদ্ভূত হয়েছে। নির্মাণকাজ, অতি কড়া নিরাপত্তা তল্লাশি, এবং সাইনেজের অভাব—এসবের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে ভ্রমণকারীরা লাগেজ ডেলিভারি ও রূঢ় আচরণের অভিযোগ করতেন; তবে বর্তমানের আগে লাগেজ ডেলিভারির সময়ের উন্নতি হলেও কিছু যাত্রী এখনও অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, বছরে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করেন এবং প্রতিদিন ১৪০ থেকে ১৫০টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালিত হয়। সম্প্রতি দেখা গেছে, এয়ারপোর্ট রোড থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মিনাল সংযোগ সড়কের প্রবেশপথে দীর্ঘ যানজট দেখা যায়, যদিও সেদিন রাজধানীতে রাজনৈতিক অবরোধের জন্য যানবাহনের সংখ্যা কম ছিল।সরাসরি প্রবেশপথে নিরাপত্তাকর্মীরা প্রতিটি গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করছেন, যা প্রয়োজনীয়, কিন্তু চলমান নির্মাণের কারণে সড়কটি সরু হয়ে যাওয়ার ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। যাত্রীদের মধ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে হতাশা। বর্তমানে, বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবাসীদের সঙ্গে আচরণের কিছুটা উন্নতি হলেও, লাগেজ নিয়ে অসন্তোষ এখনও বিদ্যমান। অনেক যাত্রীর কোথায় দাঁড়িয়ে থাকার কথা, তা তাদের জানানো হচ্ছে না। উদাহরণস্বরূপ, মাজু মিয়া নামের এক যাত্রী ওয়েটিং লাউঞ্জের কথা জানেন না।বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ডিপার্চার ড্রাইভওয়ে বা অ্যারাইভাল ক্যানোপি এলাকায় প্রত্যেক যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুইজন স্বজন থাকতে পারবেন। যদিও এতে ভেতরের ভিড় কিছুটা কমেছে, তবে বাইরে - বিশেষত প্রবেশদ্বারে - যাত্রী ও স্বজনদের ভোগান্তি বেড়েছে।শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন রাগিব সামাদ জানিয়েছেন, নিরাপত্তাজনিত তল্লাশির কারণে জট তৈরি হচ্ছে। তিনি দাবি করেছেন, সড়ক সংস্কার চলমান থাকায় পরিস্থিতির উন্নতির চেষ্টা চলছে এবং যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত সাইনেজও স্থাপন করা হবে।সেইসাথে, আন্ডারপাস নির্মাণের কারণে পরিবহণের অসুবিধা বেড়েছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ আশা করা হচ্ছে।এসএম
    স্বচ্ছতার প্রতিশ্রুতি দিলেন এনসিপির নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
    স্বচ্ছতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকা-১৮ (উত্তরা পূর্ব, উত্তরা পশ্চিম, উত্তরখান,  দক্ষিণখান, খিলক্ষেত, তুরাগ ও বিমানবন্দর থানা) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রার্থী ও দলটির প্রধান সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।বুধবার (১০ ডিসেম্বর) মনোনয়ন পাওয়ার পর রাতে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন। যেটি সময়ের কণ্ঠস্বর পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-‌‘আমি ঢাকা-১৮ (উত্তরা পূর্ব, উত্তরা পশ্চিম, উত্তরখান,  দক্ষিণখান, খিলক্ষেত, তুরাগ ও বিমানবন্দর থানা) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জনগণের সামনে একটি দৃঢ় অঙ্গীকার রাখতে চাই। নির্বাচন আচরণবিধি শুধু আইন নয়, এটি রাজনৈতিক নৈতিকতার ভিত্তি। নতুন বাংলাদেশে আমরা চাই অতিরিক্ত টাকার জৌলুস নয়, স্বচ্ছতা ও গণবিশ্বাসের রাজনীতি। আচরণবিধি অনুযায়ী প্রত্যেক প্রার্থী তার আসনের প্রতি ভোটারের জন্য সর্বোচ্চ ১০ টাকা ব্যয় করতে পারেন। ঢাকা-১৮ আসনে ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৮ জন। সেই হিসেবে আমার নির্বাচনি ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা: ৫,৮৮,৬০৮ × ১০ = ৫,৮৮,৬০,৮০ (৫৮ লাখ ৮৬ হাজার ৮০ টাকা) এটাই আমার সীমা, এবং এই সীমার বাইরে আমি এক টাকা ব্যয়ও করতে চাই না। কারণ, যে পরিবর্তনের কথা বলি, সেই পরিবর্তন নিজেকেই আগে ধারণ করতে হবে। এই পুরো অর্থ আমি ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকেই সংগ্রহ করব। এই প্রচারণা হবে জনগণের প্রচারণা, তহবিল হবে জনগণের তহবিল, আর শক্তি হবে জনগণের শক্তি। নির্বাচন শেষে টাকার প্রতিটি হিসাব জনগণের সামনে সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে প্রকাশ করা হবে। কারণ স্বচ্ছতা শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, এটি আমার রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির মূল ভিত্তি।আমি যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি- ১) টাকা নয়, নীতি, স্বচ্ছতা ও সততার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করব।২) কোনো অবৈধ ব্যয়, অযথা প্রদর্শন বা প্রভাব খাটানো হবে না।৩) কাজ হবে মাঠে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে, দরজায় দরজায় গিয়ে কথা বলে।৪) যে বাংলাদেশ দুর্নীতি ও প্রভাবশালীদের দখল থেকে মুক্ত, সেই চেতনা ধারণ করব।৫) আমার প্রচারণায় থাকবে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ, তাদের কণ্ঠ, তাদের স্বপ্ন।কেন এই সিদ্ধান্ত?কারণ নতুন বাংলাদেশ মানে:১) রাজনীতির নামে অপচয় নয়, দায়িত্ববোধ২) বিলবোর্ডের রাজনীতি নয়, মানুষের সমস্যার সমাধান৩) টাকার প্রভাব নয়, যোগ্যতা ও জনসমর্থন৪) ভোট কেনা নয়, আস্থা অর্জনঢাকা-১৮ আসন থেকেই আমরা দেখাতে চাই যে সৎ রাজনীতি সম্ভব, নিয়ম মেনে রাজনীতি সম্ভব, আর জনগণের টাকায় নয়, জনগণের ভালোবাসায় জেতা সম্ভব। আমি বিশ্বাস করি, নতুন বাংলাদেশ তৈরি হবে নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি দিয়ে। ঢাকা-১৮ হবে সেই পরিবর্তনের প্রথম আলোকবর্তিকা।’ইখা
    জীবননগরে ফ্ল্যাট বাসা থেকে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
    চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর শহরে একটি ভাড়া ফ্ল্যাট বাসা থেকে কালু প্রধান (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে জীবননগর পৌরসভার শাপলাকলি পাড়ার একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কালু প্রধান পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম প্রধানের ছেলে।তিনি জীবননগর বাজারের একজন ভুসিমাল ব্যবসায়ী ছিলেন। প্রায় চার বছর ধরে তিনি শাপলাকলি পাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় একাকী বসবাস করে আসছিলেন।কালু প্রধানের মেয়ে সালমা খাতুন জানান, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মোবাইল ফোনে তার বাবার সঙ্গে তার মায়ের শেষ কথা হয়।এরপর শুক্রবার সারাদিন বাবার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না হওয়ায় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তারা মামা মাসুদ রানাকে ফ্ল্যাটে পাঠান।ফ্ল্যাটে গিয়ে অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে বাসার মালিক মোসলেম উদ্দিনের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করা হয়। এ সময় খাটের ওপর কালু প্রধানকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়।পরিবারের সদস্যদের ধারণা, ঘরের ভেতরে অবস্থানকালে স্ট্রোকজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।এ বিষয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সোলায়মান সেখ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে এটি স্ট্রোকজনিত মৃত্যু বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় কন্যা সালমা খাতুন বাদী হয়ে জীবননগর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।এসআর
    যশোর কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির আত্মহত্যা
    যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আপন শ্যালক সুজায়েতুজ্জামান প্রিন্স হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ‘উদ্ভাবক’ মিজানুর রহমান ওরফে মিজান (৫৪) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে কারাগারের কার্পেট তৈরির পুরাতন গোডাউনের সিলিংয়ের লোহার বিম’র সাথে রশি দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। মিজানুর রহমান শার্শা উপজেলার আমতলা গাতিপাড়ার আক্কাস আলীর ছেলে। সাজা হওয়ার আগে তিনি বিভিন্ন যন্ত্র উদ্ভাবক করে আলোচিত হন। এছাড়া তার ছিল ‘ফ্রি খাবার বাড়ি’।যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার আবিদ আহমেদ জানান, প্রিন্স হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান কারাগারের কপোতাক্ষ ৩ নম্বর কক্ষের বন্দি ছিলেন। তার কয়েদি নম্বর-৮৭০৯। শুক্রবার বিকেলে মিজানুর রহমান সকলের অজান্তে কারাগারের কার্পেট তৈরির পুরাতন গোডাউনের দরজা ভেঙে ভিতরে যায়। এরপর সিলিংয়ের লোহার বিম’র সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। ঘটনাটি বুঝতে পেরে কারারক্ষীরা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কি কারণে মিজানুর রহমান আত্মহত্যা করেছেন এটা তাদের অজানা। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। মিজানুর চলতি বছরের ২৪ জুলাই থেকে কারাগারে ছিলেন।হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাকিরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে মিজানুর রহমানকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার বহনকারী কারারক্ষীদের তথ্যমতে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুক আহমেদ জানান, ফারুক আহমেদ সন্ধ্যা ৬.৫৯ মিনিটে জানান, কারাগারে কয়েদি মিজানুর রহমানের আত্মহত্যার ঘটনাটি তার জানা নেই।  উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ আগস্ট মিজানুর রহমানের শ্যালক শার্শা উপজেলার আমতলা গাতীপাড়ার আক্কাস আলী মোড়লের ছেলে সুজায়েতুজ্জামান প্রিন্স নিখোঁজ হন। ২১ আগস্ট ছোট নিজামপুর গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে প্রিন্সের লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় প্রিন্সের মামা বকতিয়ার রহমান অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তিনি এজাহারে সন্দেহ করেছিলেন প্রিন্সের মোটরসাইকেলের প্রতি ভগ্নিপতি মিজানের আগ্রহ ছিল। তদন্তে হত্যার সাথে মিজানুর রহমানসহ ৪ জনের সম্পৃক্ততার প্রমান মেলে। এই মামলায় চলতি বছরের ২৪ জুলাই যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতের বিচারক জয়ন্তী রানী দাস আলোচিত উদ্ভাবক মিজানুর রহমানসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। সেই থেকে মিজানুর কারাগারে ছিলেন। সামান্য মটর মেকানিক মিজানুর রহমান একের পর এক যন্ত্র উদ্ভাবন করে সবাইকে অবাক করেছিলেন। তার কর্মকান্ডে এলাকায় ব্যাপক সাড়া মেলে। তার উদ্ভাবনী কাজের মধ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে অ্যাম্বুলেন্স, স্বয়ংক্রিয় সেচযন্ত্র, জ্বালানি সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব যন্ত্র, যা ‘মিজান ইঞ্জিন’ নামে পরিচিতি পায়। শ্যামলাগাছী গ্রামে ‘ফ্রি খাবার বাড়ি’ ছিল তার। সেখানে ভবঘুরে, ভিক্ষুক, গরিব ও অসহায় মানুষকে প্রতি সপ্তাহে বিনামূল্যে খাবার খাওয়াতেন। এফএস
    সাতক্ষীরায় ওয়াইফাই ব্যবসার দ্বন্দ্বের জের, গুলিতে আহত ২
    ওয়াইফাই ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে দুইজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল ও কিছু বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করেছে পুলিশ।শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর ৪ টার দিকে সাতক্ষীরা সদরের ভোমরার শাকরা গ্রামের সাবেক মেম্বার সাহেব আলীর বাড়ির সামনে ওই ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।গুলিবিদ্ধরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাড়দ্দাহ গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে নাসির উদ্দিন (৩৮) ও দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের এস এম সাইদুর রহমানের ছেলে শাহিনুর রহমান (৩০)।সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাহীনুর রহমান বলেন, ‘দুটি মোটরসাইকেলে চারজন লোক ভোররাতে কোমরপুর গ্রামের সাহেব আলির বাড়ির সামনে এসে ওয়াইফাই লাইনের তার কাটার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে ভোর রাত ৪টার দিকে আমরা কয়েকজন মিলে তাদের মধ্যে একজনকে ধরে ফেলি। এ সময় বাকিরা আমাদের উপর গুলি চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা একটি মোটরসাইকেল ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাদেরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়।’ তার পেটে গুলির ছোররা লেগেছে বলে তিনি জানান।সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ওয়াইফাই ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। একপক্ষের লোকজন তার কাটতে আসলে অপরপক্ষের লোকজন তাদের একজনকে আটকালে তাকে ছাড়িয়ে নিতে এক ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। এ ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছে। এটি গুলিবর্ষণের ঘটনা নয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল ও বেশ কিছু বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।’ এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।ইখা
    চুয়াডাঙ্গায় ফুটপাতের পুরানো কাপড়ের দোকানে উপচেপড়া ভিড়
    চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে কয়েক দিনে শীতের তীব্রতা এবং হিমেল হাওয়া বেড়ে যাওয়ায় শহরের প্রধান প্রধান সড়কের পাশে গড়ে ওঠা ফুটপাতের পুরানো কাপড়ের দোকানগুলোয় উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।দোকানগুলোয় সব বয়সের নারী পুরুষ শিশুসহ শীতের কাপড় কেনার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন। চাহিদা মত কিনছেন শীতের কাপড়।জীবননগর উপজেলার ডাকবাংলো মার্কেট, কৃষি মার্কেট, উপজেলা মার্কেট, ইসলামী ব্যাংক মার্কেট, বাস স্ট্যান্ড মার্কেটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চল থেকে আসা নারী-পুরুষ ও শিশুরা ভিড় করছেন ফুটপাতে বসা সস্তা কাপড়ের দোকানগুলোয়।এ শীতে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাবেচা কাপড় করছেন দোকানিরা, কম দামে ছোট বাচ্চাসহ বিভিন্ন বয়সের ভিন্ন ভিন্ন গরম কাপড় নিয়ে বসেছেন ফুটপাতে।জীবননগর পৌর শহরের ডাকবাংলো, বাস স্ট্যান্ড থেকে উপজেলা পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে বসেছে নতুন ও পুরাতন কাপড়ের হাট। শীতের তীব্রতা ও ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ সকলেই কিনছেন শীতের কাপড়।তবে এসব ক্রেতা বেশির ভাগই নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। দেখে-শুনে কম দামের নতুন এবং পুরনো কাপড় কিনছেন।ফুটপাতের দোকানে কাপড় কিনতে আসা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ঠান্ডা নিবারণের জন্য প্রয়োজন গরম কাপড়ের। মার্কেটে নতুন কাপড়ের দাম গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ফুটপাতে নতুন ও পুরনো কাপড়ের দাম তুলনামূলক কম, মানেও বেশ ভালো। তাই ফুটপাতের কাপড়ের দোকানে কিনতে এসেছি। আমি একটি চাদর ও সুয়েটার কিনেছি।ফরিদা আক্তার বলেন, ‘আমাদের জীবননগরে তুলনামূলক ঠান্ডা ও শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। ঠান্ডা আসলেই প্রতি বছর সুয়েটার ও অন্যান্য গরম কাপড় কিনতে হয়। মার্কেটে নতুন কাপড়ের খুব দাম, তাই ফুটপাতে এসে দেখে শুনে ভালো মানের কাপড় কিনলাম। আমি দুটি সুয়েটার ও ট্রাউজারসহ কয়েকটি কাপড় কিনেছি। তবে গত বছরের চেয়ে এ বছর দামটা অনেক বেশি।’ফুটপাতের দোকানদার রুস্তম মিয়া বলেন, ‘এসব কাপড় আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন হাট-বাজারে ভ্রাম্যমাণ দোকান করে বিক্রি করি। দাম কম হওয়াতে বেশি বিক্রি হচ্ছে। ঠান্ডা যতই বাড়বে এসব কাপড়ের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে।’দোকানদার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গাইট হিসেবে সব কাপড় নিয়ে আসি। এখানে এনে শ্রেনী ভেদে বাচাই করে বিভিন্ন দামে বিক্রি করি। কম দামে ভালো মানের গরম কাপড় পেলে ক্রেতারা ভিড় করে। তবে অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বারে একটু দাম বেশি হওয়ায় ব্যবসা নিয়ে চিন্তায় আছি।’জীবননগর বাজার কমিটির সাবেক আহ্বায়ক মুন্সী মাহবুবুর রহমান বাবু বলেন, ‘শীতের তীব্রতা বেড়ে গেলে জেলা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও বিভিন্ন সংঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র কম্বল ও অন্যান্য গরম কাপড় বিতরণ করা হয়।’চলতি সপ্তাহে জীবননগরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।এসএম
    যশোর শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন ৭০ বিদ্যালয়কে শোকজ
    নীতিমালা অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়া ও এসএসসি পরীক্ষায় কাঙ্খিত ফলাফল না করায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ৭০টি বিদ্যালয়কে শোকজ করা হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একাডেমিক স্বীকৃতি নবায়নের আবেদন করলে শোকজ করা হয় বলে জানান বোর্ডের উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক ডালিম হোসেন। শোকজপ্রাপ্ত যে সব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শোকজের জবাবের সাথে অঙ্গীকারনামা দিচ্ছেন, সেটা বিবেচনা করে একাডেমিক স্বীকৃতি নবায়ন করা হচ্ছে।বোর্ড সূত্র জানায়, বিদ্যালয়ে একাডেমিক স্বীকৃতি প্রদানের শর্ত হলো-জেলা সদর ও শহরে নূন্যতম ৪০ শিক্ষার্থী ভর্তি হতে হবে। এসএসসি পরীক্ষায় পাস করতে হবে নূন্যতম ৩৫ পরীক্ষার্থী । গত তিন বছরে এসব বিদ্যালয়ে শর্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি ও এসএসসি পরীক্ষায় কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন করেনি। বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষক যখন একাডেমিক স্বীকৃতি নবায়নের জন্য আবেদন করেন তখন বিদ্যালয়ের তিন বছরের তথ্য দেখে শোকজ করা হয়েছে। শোকজপ্রাপ্ত কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শোকজের জবাবের সাথে অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন। শোকজের জবাব ও অঙ্গীকারনামা বিবেচনা করে একাডেমিক স্বীকৃতি নবায়ন করা হয়েছে। একার্যক্রম চলমান রয়েছে।শোকজ হওয়া বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে-খুলনার সোহরাওয়ার্দী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ১০ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৫ জন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকজ করলে তিনি শোকজের জবাব দেয়ার সাথে অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন। শোকজের জবাব দেয়ার পর শর্ত সাপেক্ষে একাডেমিক স্বীকৃতি নবায়ন করা হয়েছে। এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।যশোর শিক্ষাবোর্ডের  উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক  ডালিম হোসেন বলেন- এখন বিদ্যালয়ের একাডেমিক স্বীকৃতি নবায়নের জন্য প্রধান শিক্ষক অনলাইনে আবেদন করছেন। আবেদন করলে বিদ্যালয়ে তিন বছরের তথ্য দেখা হচ্ছে। তথ্যানুয়ায়ী যেসব বিদ্যালয়গুলো শর্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি ও এসএসসি পরীক্ষা কাঙ্খিত ফলাফল অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে। সেসব বিদ্যালয়গুলোকে শোকজ করা হচ্ছে। এসএম
    প্রশিক্ষণ ও অবকাঠামোতে দক্ষ মেরিন অফিসার গড়ছে সরকার: নৌপরিবহন সচিব
    বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রামের ৫৯তম ব্যাচ ক্যাডেটদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ (গ্র্যাজুয়েশন প্যারেড) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নুরুন্নাহার চৌধুরী, এনডিসি।দুই বছরের কঠোর একাডেমিক ও রেজিমেন্টাল প্রশিক্ষণ শেষে এ বছর মোট ১৬০ জন ক্যাডেট অফিসার প্রি-সি (Pre-Sea) সনদ অর্জন করেন। এর মধ্যে ১১ জন নারী ক্যাডেটসহ নটিক্যাল শাখায় ৮২ জন এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় ৭৮ জন রয়েছেন।বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ শেষে বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী ক্যাডেটদের মাঝে পদক বিতরণ করেন প্রধান অতিথি। সকল ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কৃতিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে ৫৯তম ব্যাচের ক্যাডেট নং ৫৭৮৯ মিফতাহুল ইসলাম রাজ্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক অর্জন করেন।অনুষ্ঠানে বক্তব্যে নৌপরিবহন সচিব ড. নুরুন্নাহার চৌধুরী বলেন, বৈশ্বিক মানসম্পন্ন মেরিন অফিসার ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ার তৈরিতে প্রশিক্ষণের গুণগত মান বৃদ্ধি, দক্ষ প্রশিক্ষক নিয়োগ, আধুনিক প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম সংযোজন এবং সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণে সরকার কাজ করছে। পাশাপাশি দেশি ও আন্তর্জাতিক সমুদ্রগামী জাহাজে ক্যাডেটদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সক্রিয় রয়েছে।তিনি আরও জানান, ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিকে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে সরকারি অর্থায়নে ১১৫ কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।একাডেমি সূত্রে জানা যায়, ছয় দশকের বেশি সময় ধরে দেশের মেরিটাইম খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এখান থেকে ৫ হাজার ৮৬০ জন নটিক্যাল ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাডেট প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তারা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিপিং কোম্পানি ও মেরিটাইম প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে দেশের জন্য বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন।নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একাডেমির অবদান তুলে ধরে জানানো হয়, ২০১২ সাল থেকে এখানে নারী ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু রয়েছে। বর্তমানে প্রশিক্ষিত নারী ক্যাডেটরা বিশ্বের বিভিন্ন সমুদ্রগামী জাহাজে পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ক্যাডেটদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।এসআর
    মিয়ানমারে দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর গোলাগুলি, টেকনাফ সীমান্তে আতঙ্ক!
    কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলির বিকট শব্দে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।তথ্য নিয়ে যায়, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর রাত থেকে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত হোয়াইক্যং নাফনদীর সীমান্তের ওপারে দু'পক্ষের সংঘটিত ঘটনার বেশ কয়েক ঘণ্টা গোলাগুলির বিকট শব্দে ভেসে আসে এপার সীমান্তে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে আরামের ঘুম হারাম হয়ে যায়।স্থানীয়রা সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানিয়েছেন, শনিবার ভোর রাত থেকে বেশ কয়েক ঘণ্টা হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা সংলগ্ন মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যের দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। মর্টারশেলসহ ভারি অস্ত্র নিক্ষেপের বিস্ফোরিত শব্দে কেঁপে উঠেছিল। এমনকি ওপারের ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পেয়ে এপার থেকে অনেকেই ছবি ধারণ করে রেখেছে বলেও জানান তারা।এবিষয়ে হোয়াইক্যং ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন, শনিবার ভোর থেকে সকাল লাগাতার চার ঘণ্টা যাবত অত্র ওয়ার্ড অন্তর্গত সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলির বিকট শব্দ ভেসে আসে।ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় সীমান্তবর্তী বসত বাড়ি গুলো কেঁপে উঠৈছিল। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজমান ছিল।এবিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে শুেছি শনিবার ভোরে হোয়াইক্যং সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারে দু'পক্ষের সংঘটিত ঘটনার গোলাগুলির বিকট শব্দ গুলো ভেসে এসেছে।তবে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সীমান্ত এলাকায় দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সদস্যরা সদা প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।এসআর
    ক্যান্সারের সাথে ২৬ মাসের লড়াইয়ে ক্লান্ত শিশু রাফসান
    দীর্ঘ ২৬ মাস ধরে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সার আক্রান্ত তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রাফসান। চন্দনাইশ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও গ্রামীণ ব্যাংকের চাকুরীজীবি মোঃ আলমগীরের একমাত্র ছেলে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শিশু রাফসানের ক্যান্সার সনাক্ত হয় এরপর দেড় বছর ভারতে চিকিৎসা চলে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আই সি ইউতে চিকিৎসাধীন আছে আট দিন ধরে। চিকিৎসক বলেছেন বোন মেরু ট্রাসপ্ল্যান্ট করতে যার জন্য প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। রাফসানের পিতা মোহাম্মদ আলমগীর জানান, প্রভিডেন্ট ফান্ড, আত্মীয়- স্বজন থেকে ধার নিয়ে টাকা খরচ করে আমি নিঃস্ব। আমার ছেলেকে বাঁচাতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। কেউ সহযোগিতার হাত বাড়াতে ইচ্ছুক হলে ( 01713-610413) রাফসানের পিতার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।এসআর
    আনোয়ারায় র‍্যাবের চেকপোস্টে ইয়াবাসহ দুই নারী আটক
    চট্টগ্রামের আনোয়ারায় র‍্যাবের মাদকবিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই নারী মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের সরকারহাট গরুর বাজার সংলগ্ন তৈলারদ্বীপ ব্রিজ এলাকায় চট্টগ্রাম-বাঁশখালী সড়কে স্থাপিত অস্থায়ী চেকপোস্টে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৫৫ লাখ টাকা।র‍্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে কক্সবাজারের পেকুয়া এলাকা থেকে একটি সিএনজিযোগে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে কয়েকজন মাদক কারবারি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের দিকে আসছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি দল উক্ত এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে অভিযান পরিচালনা করে।চেকপোস্ট চলাকালে একটি ভাড়ায় চালিত নাম্বরবিহীন সিএনজি অটোরিকশা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে এতে থাকা দুই নারী পালানোর চেষ্টা করে। তবে র‍্যাব সদস্যরা দ্রুত তাদের আটক করতে সক্ষম হনআটককৃতরা হলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার টেকনাইফফা পাহাড়া এলাকার মো. কাশেমের কন্যা ছবুরা খাতুন (৪৮) এবং একই উপজেলার বৈদ্যঘোনা এলাকার মো. ওমর ফারুকের স্ত্রী রহিমা বেগম (২৮)।পরবর্তীতে তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে সুকৌশলে লুকানো ১৭ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা বলে জানায় র‍্যাব।গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ তাদেরকে আনোয়ারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ‘আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।’র‍্যাব-৭ জানায়, মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে এবং মাদক নির্মূলে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।এসআর
    টেকনাফে এপার-ওপারের, ২২ চোরাকারবারী আটক
    কক্সবাজারের টেকনাফে উপকুলীয় ইউনিয়ন সেন্টমার্টিনের গভীর সাগরে আলাদা ভাবে দুটি অভিযান চালিয়ে অবৈধ পন্থায় মিয়ানমারে পাচারকালে দেশীয় তৈরি বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট, লুঙ্গির চালানসহ ২২ জন চোরাকারবারিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে কোস্টগার্ড। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে, কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক সময়ের কণ্ঠস্বরকে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, গোপন সংবাদের তথ্য মোতাবেক বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের দিকে, সেন্টমার্টিনের গভীর সাগরে অবস্থানরত কোস্ট গার্ড জাহাজ  ''অপূর্ব বাংলা'' সেন্টমার্টিনের ছেড়াদ্বীপ এলাকা সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম সাগরে একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে  সন্দেহজনক ১টি ফিশিং ট্রলার তল্লাশি করে অবৈধ পন্থায় মিয়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে ট্রলারের ভিতর থেকে ৭০০ বস্তা সিমেন্টসহ ১১ জন পাচারকারীকে আটক করে।অপরদিকে একই দিন ভোর রাতের দিকে উক্ত জাহাজে দায়িত্বরত কোস্টগার্ড সদস্যরা অপর একটি সন্দেহজনক ফিশিং ট্রলারে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে। এরপর মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা ১২০০ পিস বার্মিজ লুঙ্গিসহ সেদেশের ১১ জন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়।উদ্ধারকৃত মালামাল, বহনকারী দুটি ফিশিং ট্রলার ও আটককৃত দেশী-বিদেশী ২২ চোরাকারবারীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করার জন্য থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান কোস্টগার্ডের এই কর্মকর্তা।এসআর
    গাজীপুরে মায়ের উপর নির্যাতন, ছেলেকে মাটিতে পুঁতে দিল ক্ষুব্ধ জনতা
    গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদকাসক্ত ছেলের লাগাতার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে এক অসহায় মা প্রতিবেশীদের কাছে বিচার চান। পরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই যুবককে আটক করে মারধর করে এবং শাস্তিস্বরূপ কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখে।শনিবার (১৩ ডিসেম্বর ) সকালে শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের টেপিরবাড়ী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত যুবকের নাম খলিল (৩২)। তিনি ওই গ্রামের নুরু উদ্দিনের সন্তান ।এ বিষয়ে খোদেজা বেগমে (৬৫) বলেন, আমার ছেলে দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। নেশার টাকার জন্য প্রায়ই আমাকে মারধর করে। আজ সকালে টাকা দিতে না পারায় আবারও মারধর করে। আমি নিরুপায় হয়ে প্রতিবেশীদের কাছে বিচার চাই। আমি একজন মা, ছেলের শাস্তি চাই না আমি চাই সে সুস্থ হোক, মাদক ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক।স্থানীয়রা জানান , দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত খলিল নেশার টাকার জন্য নিয়মিতভাবে তার মা খোদেজা বেগমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন। শনিবার সকালে টাকা না পেয়ে তিনি মাকে মারধর করলে অসহায় মা প্রতিবেশীদের কাছে বিচার প্রার্থনা করেন।এ বিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহল জানান, মাদকাসক্তদের বিরুদ্ধে শুধু শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নয়, চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম জোরদার করা জরুরি। একই সঙ্গে মাদকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আরও কঠোর ও কার্যকর ভূমিকা দাবি করেন তারা।এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.নাছির আহমেদ বলেন, ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার সুযোগ নেই। মাদকাসক্ত যুবক ও এলাকাবাসী উভয় পক্ষের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে মাদকবিরোধী অভিযান ও মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের বিষয়েও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।এসআর
    শরীয়তপুরে বিছানায় রাখা কয়লার আগুনে পুড়ে ছাই ৮০ বছরের বৃদ্ধা 
    শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নে শীত থেকে রক্ষা পেতে বিছানায় রাখা কয়লার আগুন থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পুড়ে মারা গেছেন এক বৃদ্ধা নারী। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের রুদ্রকর এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম জানান, নিহতের নাম কামরুন নাহার (৮০)। তিনি রুদ্রকর এলাকার মৃত মোসলেম সরদারের স্ত্রী। তার একমাত্র মেয়ে বিবাহিত এবং স্বামীর বাড়িতে বসবাস করায় কামরুন নাহার দীর্ঘদিন ধরে নিজ বাড়িতে একাই থাকতেন।ওসি শাহ আলম বলেন, শীতের তীব্রতা কমাতে রাতে তিনি মাটির তৈরি একটি পাত্রে কয়লার আগুন জ্বালিয়ে সেটি বিছানার ওপর রেখেই ঘুমিয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই পাত্র থেকে জ্বলন্ত কয়লা বা আগুন বিছানায় পড়ে গেলে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তবে তার আগেই স্থানীয়রা আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায়, বিছানার ওপর আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া মরদেহ পড়ে আছে। মরদেহের পাশেই একটি মাটির তৈরি পাত্র পাওয়া যায়।তিনি জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। আইনানুগ কার্যক্রম শেষে মরদেহ নিহতের মেয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে।এসআর
    ওসমান হাদির ওপর গুলির প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
    ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে টাঙ্গাইল পৌর উদ্যান থেকে মিছিলটি বের হয়ে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের নিচে সমাপ্ত হয়।মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। মিছিল-পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি বলেন, একটি মহল দেশের বাইরে বসে নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। একই সঙ্গে তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীরা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ভীতির পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে।টুকু আরও বলেন, সম্প্রতি চট্টগ্রামে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদুল্লাহর ওপর গুলিবর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল, যা দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধিকারকে ব্যাহত করার একটি ষড়যন্ত্রের অংশ। যারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে না, তারাই এ ধরনের পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত। ওসমান হাদীর ওপর গুলিবর্ষণও সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ। এসব ঘটনার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সজাগ থেকে গণতান্ত্রিক আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি।এসময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, অতীতে একাধিক জাতীয় নির্বাচনে জনগণ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে দেশের সকল গণতন্ত্রকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তারা বলেন, শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র যেকোনো মূল্যে রক্ষা করা হবে।সমাবেশে জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক শানু, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক যুবদল সভাপতি আশরাফ পাহেলী, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ, টাঙ্গাইল জেলা শাখার স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইথেনসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে নেতাকর্মীরা ওসমান হাদীর ওপর গুলিবর্ষণের দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে প্রশাসনের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।এসআর
    নাগরপুরের দেবেন্দ্র মণ্ডল: অন্ধত্বের মধ্যেও অদম্য সংগ্রামী জীবন
    টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার নঙ্গিনাবাড়ী ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দেবেন্দ্র মণ্ডল ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলায় ভীষণ আগ্রহী ছিলেন। বিশেষ করে ফুটবল ছিল তার প্রিয় খেলা। খেলাধুলার মধ্য দিয়ে তিনি শিখেছিলেন আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য, সাহস এবং জীবনের প্রতি দায়িত্ববোধ। কখনো ভাবতেও পারেননি, একদিন তার জীবন এমন এক কঠিন বাঁকে পৌঁছাবে, যেখানে তিনি হারাবেন পৃথিবী দেখার ক্ষমতা।ফুটবল খেলতে গিয়ে একদিন গুরুতর চোখে আঘাত পান দেবেন্দ্র। প্রথমদিকে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা উন্নতি হলেও সময়ের সঙ্গে চোখের অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। এক পর্যায়ে চিকিৎসকরা জানান “চোখ আর আগের মতো হবে না।” যেকোনো মানুষের জন্য এটি ছিল ভয়াবহ খবর। কিন্তু দেবেন্দ্র ভেঙে পড়েননি। বরং জীবন ও পরিবারের প্রতি দায়িত্ববোধ তাকে আরও শক্ত করেছে।দৃষ্টি হারানোর পরও তিনি জীবনের চাকা থামিয়ে রাখেননি। নিজের বাসার সামনে, পারা মহল্লায় একটি ছোট চায়ের দোকান চালিয়ে আসছেন তিনি। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চা বানানো, অর্ডার দেওয়া, কাপ ধরানো সবই তিনি করেন শুধুমাত্র অনুভূতি ও স্পর্শের ওপর নির্ভর করে। অন্ধত্ব তাকে দুর্বল করেনি; বরং তিনি হয়েছেন আরও দৃঢ় ও আত্মনির্ভর।দেবেন্দ্রের স্ত্রীসহ দুই সন্তান রয়েছে। পরিবারের ভালো থাকা এবং সন্তানদের ভবিষ্যতই তার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। তিনি বলেন,“আমি কোনো সাহায্য চাই না। যা পারি, তা-ই করি। আমার সন্তানদের জন্যই এগিয়ে চলতে হয়। জীবনকে থামিয়ে রাখা যায় না।”দেবেন্দ্রের এই সংগ্রামী জীবন স্থানীয় মানুষের মধ্যেও অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে। তারা বলেন,“চোখে সমস্যা থাকা সত্ত্বেও তিনি প্রতিদিন দোকান চালান। তার অধ্যবসায় আমাদের সবার জন্য উদাহরণ। তিনি দেখিয়েছেন, অন্ধকারও পরাজিত হয় যখন মানুষের মনোবল দৃঢ় থাকে।”স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তার এই অদম্য মনোবলকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন,“দেবেন্দ্র মণ্ডলের অদম্য জীবনযুদ্ধ সত্যিই প্রেরণাদায়ক। শারীরিক সীমাবদ্ধতা থাকলেও তিনি শ্রম ও ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সমাজসেবা অফিসের পক্ষ থেকে তার মতো সংগ্রামী মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। প্রয়োজন হলে সরকারি সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা তাকে সর্বোচ্চ সহায়তা করবো।”দেবেন্দ্র মণ্ডলের জীবন আমাদের শেখায় দৃষ্টি হারালেও মানুষ হারায় না স্বপ্ন, সাহস কিংবা আত্মনির্ভরতার শক্তি। অন্ধকারের মাঝেও ইতিবাচক আলো ধরে রাখার অদম্য ইচ্ছাশক্তি মানুষকে সবসময় সামনে এগিয়ে যেতে শেখায়। তার গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয়, জীবনের কোনো বাধাই স্থায়ী নয় যদি মানুষের মনোবল অটুট থাকে।এসআর
    সদরপুরে গৃহবধূর গলায় ফাঁস, পরিবারের অভিযোগ হত্যা
    ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চরঠেংগামারী গ্রামে তানজিলা ইসলাম (১৮) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে গৃহবধুর শ্বশুর বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।নিহত তানজিলার স্বামী রাকিব মৃধা, যিনি সৌদি আরব প্রবাসী, ২ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। তাদের একটি এক বছর বয়সী ছেলে রয়েছে। আত্মহত্যার আগের রাতে তানজিলা তার স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন এবং পরে নিজের মায়ের কাছে ফোন করে সন্তান দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছেন। রাত ১টার সময় শ্বশুর বাড়ির লোকজন ফোন করে জানান তানজিলা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।তবে নিহত গৃহবধুর মামা কুদ্দুস আলী অভিযোগ করেছেন, “আমার ভাগ্নীর গলায় ফাঁসের কোন দাগ নেই, শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমার বিশ্বাস, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচারের জন্য মামলা করব।”মামলার তদন্তকারী এসআই মোঃ রাসেল জানান, “আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। আপাতত অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”এসআর
    মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা
    পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করেন দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর রাত ৪টার দিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসের দোতালায় জানালার কাচ ভেঙে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। পাশের একটি ভবন থেকে লাঠির সাথে গামছায় পেট্রোল লাগিয়ে আগুন ভিতরে দেয়। গামছা পুড়ে ছাই মেঝেতে পড়ে থাকে।এ সময় অফিসের লোকজনের টের পেয়ে ছু‌টে আস‌লে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসের নৈশপ্রহরী মোস্তফা হাওলাদার জানান, আমি রাত ২ টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি। আগুনের বিষয়টি শুরুতে টের পাইনি। টের পেলে ৯৯৯ কল দিতাম। পরে বিষয়টি নজরে আসলে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করি।মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার বাসুদেব সরকার জানান, তফসিল ঘোষণার পর থেকে আমাদের কোন ছুটি নেই আমি গতকাল রাত ১১টার সময় অফিসের কাজ শেষ করে বাসায় যাই। সকালে অফিসে আসলে এমন পরিস্থিতি দেখি তবে অফিস এবং অফিসের কোন নথিপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তি‌নি আরও ব‌লেন  ১১ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার জন্য একটি মহল এইরকম ঘটনা ঘটাতে পারে। আমি বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাদের, নির্বাহী অফিসার এবং থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করেছি নিরাপত্তা দেয়ার জন্য।মঠবাড়িয়া থানার অ‌ফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শেখ হেলাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্বৃত্তরা ভবনের পিছনের থাই গ্লাসের জানলা খুলে ফেলেছে কৌশলে। তারপর আগুন দেয়ার চেষ্টা করে। তবে বিষয়টি টের পাওয়ার কারণে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। এ ব্যাপারে লি‌খিত অভিযোগ পে‌লে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এসআর
    এনজিও কর্মীর ধরে নিয়ে যাওয়া সেই হাঁস ফিরে পেতে চান গৃহবধূ
    কিস্তির টাকার জন্য এনজিও কর্মীর নিয়ে যাওয়া চীনাহাঁস ফিরে পেতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন ঋণগ্রহীতা ওই গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখন বণিকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গৃহবধূ হাফিজা খানম।গত ৯ ডিসেম্বর একটি এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খান কিস্তির টাকা না পেয়ে উপজেলার ফুল্লশ্রী গ্রামের মুরাদ হোসেনের স্ত্রী ঋণগ্রহীতা হাফিজা খানমের বাড়ির উঠান থেকে একটি চীনাহাঁস ধরে নিয়ে যান। এ ঘটনা ১০ ডিসেম্বর দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন ও টিএমএসএস এনজিওর কর্মকর্তারা।ওই দিন (১০ ডিসেম্বর) সকালে ওই মাঠকর্মী ফিরোজ খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একাধিক মোটরসাইকেলযোগে ফুল্লশ্রী গ্রামে এসে হাফিজার বিপক্ষে ঋণখেলাপি সদস্যদের বক্তব্য রেকর্ড করেন। এ সময় তারা ঋণগ্রহীতা গৃহবধূ হাফিজা খানমের হাঁস ফেরত না দিয়ে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়ে চলে যান।হাঁস ফেরত পাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে ঋণগ্রহীতা গৃহবধূ হাফিজা খানম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখন বণিক, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তপন বিশ্বাস, সমবায় কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন ও আাগৈলঝাড়া উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল দাশগুপ্তের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল দাশগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, আগৈলঝাড়া উপজেলায় কাজ করার ক্ষেত্রে এনজিওটি প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করেছে কিনা জানি না। সঠিক তদন্ত করে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের দায় পাওয়া গেলে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় এনে ভুক্তভোগী নারীর ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা উচিত। যেহেতু ওই এনজিওটি আমাদের সমন্বয় পরিষদের সদস্য নয়, সেক্ষেত্রে এ বিষয়ে আমাদের সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান বা এখতিয়ার নেই। তবে উপজেলা প্রশাসন যদি এক্ষেত্রে প্রয়োজন মনে করে আমরা সহযোগিতা করব।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখন বণিক বলেন, আমি ঘটনাটি জানার পরে সমাজসেবা কর্মকর্তার কাজে জানতে চেয়েছি- এই এনজিও কিভাবে আগৈলঝাড়ায় কাজ করে। বিস্তারিত জেনে আমাকে জানাতে বলেছি। প্রয়োজনে ওই গৃহবধূর হাঁস ফেরত পাওয়ার জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।উল্লেখ্য, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামের মো. মুরাদ হোসেনের স্ত্রী হাফিজা খানম একটি এনজিওর সদস্য। ওই এনজিও থেকে ৬০ হাজার টাকা লোন উত্তোলন করেন হাফিজা খানম। এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খান ৯ ডিসেম্বর শেষ কিস্তির ১২৫০ টাকা নিতে আসেন। হাফিজা কিস্তি দিতে অপারগতা জানিয়ে পাশের বাড়ি চলে যান। এ সময় এনজিও কর্মী ফিরোজ খান হাফিজার বাড়ির উঠান থেকে ধাওয়া করে একটি চীনাহাঁস ধরে নিয়ে যান।এনআই
    ভোলায় এনসিপির আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে ক্ষোভ, পূনর্গঠনের আল্টিমেটাম
    ভোলা জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি স্থগিত করে তৃণমূলকে প্রাধান্য দিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে করেছে সংগঠনটির কয়েকজন নেতাকর্মী। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ভোলা জেলা পরিষদের মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির যুগ্ম সদস্য সচিব ইয়াসির আরাফাত।তিনি অভিযোগ করে বলেন, নবনির্বাচিত আহ্বায়ক কমিটির অধিকাংশ সদস্য অতীতে দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা না করে ঢাকায় বসে ‘রাজনীতি করা ব্যক্তিদের’ মূল পদে রাখা হয়েছে। এতে যোগ্য ও পরিশ্রমী স্থানীয় নেতাদের কোনো মূল্যায়ন করা হয়নি। তার দাবি, কেন্দ্রীয় নীতিমালা উপেক্ষা করে ব্যক্তিগত সুপারিশের ভিত্তিতেই এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, এনসিপিকে ‘অন্য রাজনৈতিক দলের বি-টিমে পরিণত করার লক্ষ্যে’ সেইসব দলের লোকদের কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। একই ব্যক্তিকে একাধিক পদে রাখাসহ যুবশক্তি ও মূল দলে একসঙ্গে পদায়ন করা হয়েছে যা নীতিমালা পরিপন্থী। এছাড়া ঢাকায় বসে রাজনীতি করা ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে ভোলার স্থানীয়দের বঞ্চিত করা হয়েছে।এসময় তিনি ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে নবগঠিত  কমিটি স্থগিত করে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নতুন করে কমিটি পুনর্গঠন না করা হলে পর্যায়ক্রমে দলের গঠিত কমিটি থেকে সকলে পদত্যাগ করবে বলেও জানান।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব তাজিম রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুল্লাহ আতিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ রাকিব, কোষাধ্যক্ষ হাফেজ ড. মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য মো. সবুজ মিয়া, রুহুল আমিন, আলাউদ্দিন, নাসরিন জাহান হাবিবা, মোহাম্মদ নুরনবী, মোহাম্মদ লিমন, মো. সুজন, মোহাম্মদ ইব্রাহিমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।এসএম
    বরিশালে আসামি ধরতে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্য আহত
    গ্রেপ্তারী পরোয়ানা তামিল করতে গিয়ে আসামিদের হামলায় বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার দুই সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় তাদের চাঁদাবাজ অভিহিত করে আটকে রাখার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন।ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নের সোনালী পোল এলাকায়। এ ঘটনায় আহতরা হলেন-থানার এএসআই দেলোয়ার হোসেন ও কনস্টেবল আব্দুস সালাম। তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত এএসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, একটি মামলার সাক্ষী ছিলো উক্ত এলাকার বাসিন্দা প্রতাপ ঘোষ। আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য না দেয়ার কারনে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হওয়ায় আদালতে হাজির করতে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা তামিল করার উদ্দেশ্যে প্রতাপ ঘোষের বাড়িতে যান তারা।তখন প্রতাপ ঘোষ, তার স্ত্রী এবং দুই ছেলে মিলন ঘোষ ও বাসুদেব ঘোষ তাদের সাথে তর্কে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে তাদের উপর হামলা করে আটকে রাখার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। তখন আরো পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘মারধর করাসহ চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে পুলিশ সদস্যদের আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে দুইজনকে উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতির পাশাপাশি হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’এসএম
    যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
    মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে বরিশাল র‍্যাব-৮ এর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল র‍্যাব-৮ এর  সদর দপ্তর থেকে প্রেরিত ই-মেইল বার্তায় তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৮ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক অমিত হাসান।গ্রেপ্তারকৃত মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মিরাজ শিকদার বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাশাইল গ্রামের মৃত মোসলেম শিকদারের ছেলে।সূত্রমতে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১০ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বরিশাল র‍্যাব-৮ এর সদস্যরা র‍্যাব-২ সিপিসি-১ এর সহায়তায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার পুলপাড় জাফরাবাদ এলাকা থেকে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মিরাজ শিকদারকে গ্রেপ্তার করেছেন।এসআর
    নেত্রকোনায় চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
    নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসকের অবহেলায় জুয়েল মিয়া (৩২) নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে দায়িত্ব হস্তান্তর না করেই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক উধাও হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।জুয়েল মিয়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে।শ্বাসকষ্ট, গলাব্যাথা, জ্বর নিয়ে আটপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া রোগী জুয়েল মিয়া (৩২) নামের এক রোগী গত মঙ্গলবার (৯ডিসেম্বর) আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। গত বুধবার রাতে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: আজিমুল সাদাত সুমনকে ডেকেও পায়নি রোগীর স্বজনসহ নার্সরা। এক পর্যায়ে আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ভোরে রোগী জুয়েল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে এই খবরে সকাল পর্যন্ত দায়িত্বে থাকলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: আজিমুল সাদাত সুমন দায়িত্বভার না দিয়েই উধাও হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মৃত জুয়েল মিয়া উপজেলার তেলিগাতি ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে।জুয়েলের স্ত্রী লাকী আক্তার বলেন, ভর্তির পর হাসপাতালের নিয়মিত রাউন্ডের চিকিৎসক রোগীকে মাত্র একবার দেখেন। এরপর অবস্থার অবনতি হলে রাতে ডিউটিরত চিকিৎসক ডা: আজিমুল সাদাত সুমনকে নার্সকে সাথে নিয়ে ডাকলেও তিনি আসেননি। কর্তব্যরত নার্স অমৃতা হাজং স্বীকার করে বলেন, সবাই মিলে এতো ডেকেও স্যারকে আমরা আনতে পারিনি। যা খুবই দুঃখজনক। মারা যাওয়ার পরেও অন্তত একবার দেখে যেতে পারতেন।আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উত্তম কুমার পাল জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। হাসপাতালে মাত্র চিকিৎসক তিনজন। তার ডিউটি সকালে শেষ হওয়ার কথা। তিনি রাতের রোগীদের সেবায় থাকা অবস্থায় উচিৎ ছিলো রোগীর পাশে থাকা। তিনি সকালে দায়িত্ব হস্তান্তর করে না যাওয়াটা খুবই দু:খের। আমরা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এফএস
    জামালপুরে কুড়িয়ে পাওয়া শিশুকে দত্তক নিতে ৪৫ আবেদন
    জামালপুরের ইসলামপুরে কুড়িয়ে পাওয়া ফুটফুটে এক নবজাতক শিশু ঘুমিয়ে আছে মোশারফগন্জ এলাকায় শাহজালালের বাড়ির বিছানায়। কিছুক্ষণ পর পর তাকে দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে মানুষ। তবে সমাজসেবার অফিসের কর্তৃপক্ষ সবাইকে সে সুযোগ দিচ্ছে না।পরিচয়বিহীন এই মেয়ে শিশুকে বুকে জড়িয়ে নিতে অর্থাৎ দত্তকের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত অন্তত ৪৫টি আবেদন জমা পড়েছে সমাজসেবা অফিসের কর্তৃপক্ষের কাছে। আবেদন করার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন আরও কয়েকজন। জটিলতা এড়াতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি বরাবর আবেদন করতে বলা হয়েছে আগ্রহীদের।গত ৮ডিসেম্বর জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ জামালপুর সড়কের পাশে ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। জন্মের পরপরই কে বা কারা তাকে ফেলে যায় সেখানে। উপজেলা প্রশাসনের হাত ঘুরে পরে তার স্থান হয়েছে মোশারফগঞ্জ এলাকা শাহজালালের বাড়িতে। এরইমধ্যে ফেসবুকে ফুটফুটে শিশুটির ছবি ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্য দেখা দেয়। তারপর থেকে শিশুটি এক নজর দেখতে শাহজালালের বাড়িতে আসছেন অনেকে।প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, সোমবার ভোরে ইসলামপুর উপজেলার ইসলামপুর পৌরসভা মোশারফগন্জ বাজার এলাকায় সড়কের পাশ থেকে নবজাতকের কান্নার শব্দ আসছিল। স্থানীয় বাসিন্দা শাহজালাল প্রতিদিনের মতো রাস্তা হাটতে গিয়ে ওই নবজাতককে দেখতে পান। এরপর শাহজালাল ও তার মা আমেনা বেগম শিশুটিকে উদ্ধার করে ৯৯৯ এ কল দেন। পরে পুলিশ এসে শিশুটিকে নিয়ে যান ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। খবর পেয়ে সেখানে যান সমাজসেবা কার্যালয়ের শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মী আনোয়ার। পরে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, অনেকে আসছে শিশুটিকে দত্তক নিতে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমার কোন সন্তান নেই । ফেসবুকে মেয়ে শিশুটি দেখে স্ত্রী হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আমার খুব মায়া হয়েছে। ওকে কেউ না নিলে আমরা শিশুটি দত্তক নিতে চাই।’হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের প্রধান ডা. এ,এস এম আবু তাহের জানান, শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। সোমবারেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ।উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ‘শিশুটির দায়িত্ব নিতে এখন পর্যন্ত ৪৫ জন আবেদন করেছেন। আবেদনগুলো নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা শিশুকল্যাণ বোর্ডের সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হলে শিশুটি মোশারফগঞ্জ শাহজালালের বাড়িতে থাকবে।’উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসাইন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করি। তার সুস্থতা ও নিরাপত্তা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সমাজের সম্মিলিত দায়িত্ববোধ ও সহমর্মিতা এই শিশুটির নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে বলে আমরা আশা করি।’এসএম
    সরিষাবাড়ীতে র‍্যাবের স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা
    জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে লিপি বেগম (৩৫) নামে র‍্যাব সদস্যের এক স্ত্রী'কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পৌরসভার শিমলা বাজার (গনময়দান শ্রম কল্যাণ) সংলগ্ন এক বাসায় এঘটনা ঘটে। পরে সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে সরিষাবাড়ী থানার (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া।পুলিশ সুত্রে জানা যায়, লিপি বেগম উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নে শুয়াকৈর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী মন্জুরুল হকের মেয়ে এবং একই গ্রামের মহির উদ্দিনের স্ত্রী। তার স্বামী মহির উদ্দিন পুলিশের এএসআই এবং বর্তমানে (র‍্যাব-২ মুহাম্মদপুরে) কর্মরত আছেন। নিহত লিপি বেগম তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে গনময়দান এলাকায় 'টিনসেট' বাসায় ১বছর যাবত ভাড়া থাকতেন। বুধবার আনুমানিক রাত ১-৪টার মধ্যে বারান্দার গ্রিল কেটে দুর্বৃত্তরা ঘরে প্রবেশ করে। পরে তার গলায় উর্না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। সকালে সংবাদ পেয়ে সরিষাবাড়ী পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করে। এ বিষয়ে (ওসি) বাচ্চু মিয়া আরো জানান, ‘ধারনা করা হচ্ছে চুরি করার উদ্দেশ্যে দুর্বৃত্তরা ঘরে প্রবেশ করে ছিলো এবং চোরকে চিনে ফেলায় তাকে হত্যা করেছেন। তদন্ত চলমান রয়েছে ও মামলার প্রক্রিয়া চলছে।এসআর
    গৌরীপুরে হিল্লা বিয়ের নামে গৃহবধু প্রতারণার শিকার!
    ময়মনসিংহের গৌরীপুরে হিল্লা বিয়ের নামে প্রতারণার শিকার হয়েছেন এক নারী। পরকীয়া প্রেমিকাকে ঘরে তুলতে তার স্বামী এমন ঘটনা সাজিয়েছেন বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ। তারপরও সংসার টিকিয়ে রাখতে মৌখিক তালাকের শুদ্ধতা জন্য স্বামীর ভগ্নিপতির সঙ্গে হিল্লা বিয়েতেও রাজি হন এ নারী। পাওনা টাকা ফেরতের নামে কাজির বিরুদ্ধে তালাকনামায় স্বাক্ষর নেওয়াসহ এসব ঘটনায় বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।এ প্রসঙ্গে গৌরীপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর মাসুদুর রহমান জানান, ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত চলছে।অভিযোগ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগীর স্বামী আব্দুল কাদির জানান ভিন্ন বক্তব্য। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্ত্রীকে বৈধভাবেই গত ১৫ নভেম্বর তালাক দেই। তবে বড় ছেলে জয়নাল আবেদিনকে শনিবার স্কুল থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। সে (ভুক্তভোগী নারী) যেহেতু চলে গেছে! তার দিন সে দেখেছে। আমিও শনিবার নতুন বিয়ে করেছি। ছেলেকে অপহরণের ঘটনায় মামলা করবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার সন্তানকে জিম্মি করে তার মায়ের নিকট থেকে স্বাক্ষর নিয়েছি, এ অভিযোগও সত্য না।’ভুক্তভোগী নারী জানান, ২০১৫ সনে উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের দত্তবাড়ি গ্রামের আবুল হাকিমের ছেলে আব্দুল কাদিরের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে জয়নাল আবেদিন (৮) ও ওয়াসকুরনি (১৮মাসের) নামের দুই ছেলে রয়েছে। প্রায় এক বছর যাবত অন্য এক মহিলার সঙ্গে তার স্বামীর পরিকিয়া প্রেম চলছিলো। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে সালিশ হয়ে এ থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতিও দেয় সে। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় ৪মাস পূর্বে তাকে মৌখিকভাবে তালাক দেয় তার স্বামী। রাগান্বিত ও ক্ষুব্দ হয়ে এ তালাক দেওয়ায় তা সঠিক না হওয়ায় স্বামীর গৃহে বসবাস করেন। আরও নির্যাতন-নিপীড়ন করায় এক পর্যায়ে পিত্রালয়ে চলে আসেন। তবে তার বড় ভাই ও স্বজনদের নিকট থেকে আনা ধারকর্জের ১৩লাখ টাকা তার স্বামীর নিকট থেকে যায়।তিনি আরও জানান, এরপরে স্বামীর ভগ্নিপতি রঞ্জু মিয়া ও তার স্ত্রী আমাকে বুঝায় যে, ‘মৌখিক তালাকটা শুদ্ধ করতে হলে একটি রেজিস্ট্রি তালাকনামা করতে হবে এবং তোমার হিল্লা বিয়ে বসতে হবে।’ তার স্বামীও একই কথা বলে, ‘তুমি একটা স্বাক্ষর দিয়ে, দুলাভাইকে হিল্লা বিয়ে করো। তারপরে তোমাকে আবার ঘরে তুলে আনবো।’ওই নারী বলেন, ‘এরপরে আমার সন্তানকে ভিডিও কলে রেখে জানায়, স্বাক্ষর দাও, না হলে ছেলের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। এতেও রাজি না হওয়ায় স্বামীর নিকট পাওনা টাকা নেয়ার জন্য কল দেই গৌরীপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাজি (বিবাহনিবন্ধনকারী) মো. হুজাইাকে। ওই কাজির কথা মোতাবেক কাজি অফিসে আসলে আমার স্বামী আমাকে জানায়, সে ৮লাখ টাকা পাবে। এরমধ্যে নগদে ৩লাখ ৯০হাজার টাকা দেন। স্বাক্ষর দিয়ে নিতে হবে বলে কাজি জানায়। কাজির কথায় আমি দুইবার দু’টি স্বাক্ষর দেই। পরে জানতে পারি টাকা দেওয়ার কথা বলে কাজি তালাকনামায় স্বাক্ষর নিয়েছে।’অচিন্তপুর ইউনিয়নের খালিজুড়ী গ্রামের রঞ্জু মিয়া বলেন, ‘আমার শ্যালক আব্দুল কাদির গিয়ে বলেছে রাগে যেহেতু তার স্ত্রীকে ৩বার তালাক বলেছে ফেলছে, সে জন্য তার বউকে বুঝাতে সে যেনো আমাকে (রঞ্জু) হিল্লা বিয়ে করে এবং একটি স্বাক্ষর (তালাকনামায়) দেয়। কাজি হুজাইফাও তখন বলেছে আপনি হিল্লা বিয়ে করে তাকে নষ্ট (শারীরিক সম্পর্ক) করলে সহি-শুদ্ধ হবে। তারপরে আমি আবার তাকে রেজিস্ট্রি করে কাদিরের নিকট বিয়ে পরিয়ে দিবো। তালাকের নামে ওর (বুক্তভোগী নারী) সঙ্গে প্রতারণা করেছে কাজি হুজাইফা ও শ্যালক আব্দুল কাদির।’ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন আব্দুল কাদিরের বড় ভাই মতিউর রহমান। তিনি জানান, তার ছোট ভাইকে কয়েকবার বুঝিয়েছেন। কিন্তু সে ওই মহিলাকে বিয়ে করতেই এই মেয়ের সঙ্গে ছলচাতুরী করেছে। তিনি বলেন, ‘কোলে দু’টি সন্তান রেখে তাকে যাতে বাড়ি থেকে বের করে দিতে না পারে, সে জন্য আমরা চেষ্টা করেছি। মিথ্যা কথা বলে স্বাক্ষর নেওয়া উচিত হয়নি।’ ‘স্বাক্ষর দিয়ে এসে সব পাওনা টাকা নিয়ে যাও’-ভুক্তভোগী নারীকে এ ফোন দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন গৌরীপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাজি মো. হুজাইফা। তিনি জানান, প্রথমবার যখন তালাকনামায় স্বাক্ষর নেয়া হয়েছিলো। তখন সেটা সঠিক হয়নি। এরপর কাদির বলছিলো, স্বাক্ষর দিয়ে ওর পাওনা টাকা নিয়ে যাক। ‘সে জন্য আমি তাকে কল দিয়েছিলাম’- বলে কাজি জানান।তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থল ও ছেলে-মেয়ের বাড়ি আমার নির্ধারিত এলাকায় নয়। তবে উভয়পক্ষ মিলে অফিসে আসলে তখন সেটা করা যায়। আমার উপরে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। তালাকনামা যখন হয়েছিলো তখন উভয়পক্ষের লোকজন ছিলো। শুধু তাকে ফোন করে আসতে বলাটা আমার ঠিক হয়নি।’এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর মাসুদুর রহমান জানান, ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ইখা
    ১৫ বছরে ২৮ লাখ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে: মামুনুল হক
    বিগত ১৫ বছরে দুর্নীতিবাজ শেখ হাসিনার সরকার এবং তাদের ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে প্রায় ২৮ লাখ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক। তিনি বলেন, এই অর্থ দিয়ে কয়েক বছরের জাতীয় বাজেট দেওয়া সম্ভব।বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ফুলবাড়ীয়া উপজেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।মামুনুল হক বলেন, লুটের অর্থ বিদেশে পাচার করে ‘বেগম পাড়া’সহ বিভিন্ন স্থানে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে দেশের সাধারণ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে দিনযাপন করছে। তিনি বলেন, মানুষের বেতন বাড়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা, অথচ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ে ২০ থেকে ৩০ টাকা; ফলে আয় বাড়লেও মানুষের মুখে হাসি ফোটে না।তিনি আরও বলেন, ‘যে দেশে একজন মানুষ তার অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে পারে না, সন্তানকে দুধ খাওয়াতে পারে না, চোখের অশ্রুতে বুক ভাসে—আমরা সে রকম বাংলাদেশ চাই না।’ বৈষম্যহীন ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ার আহ্বান জানান তিনি।সমাবেশে তিনি অভিযোগ করেন, ফ্যাসিবাদ পতনের পর নতুন করে পুনরায় দমন–পীড়নের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে আবার রাজপথে আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।তিনি বলেন, মাথাপিছু আয় ও গড় আয় বাড়লেও তার সুফল ভোগ করছে কোটিপতি ও বড় শিল্পপতিরা। কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষ প্রকৃত অর্থে এর সুফল পাচ্ছেন না। কৃষক–শ্রমিকবান্ধব সরকার গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান—আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, বৈষম্যহীন ইনসাফের সমাজ গড়তে আমাদের একবার সুযোগ দিয়ে দেখুন। আমরা প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করব।’সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শায়েখ কুররা হাফেজ আব্দুল লতিফ। এতে আরও বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির সাইদ নুর পীর সাহেব, ফুলবাড়ীয়া আসনে দলটির সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুফতি আব্দুল কাদির, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, কেন্দ্রীয় বাইতুল মাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।ইসলামী সমমনা দলের পক্ষে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামী ফুলবাড়ীয়ার প্রতিনিধি অধ্যক্ষ মু. কামরুল হাসান মিলন এবং ইসলামী আন্দোলনের মুফতি নুরে আলম সিদ্দীকি।এফএস
    টানা দুই দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে তেঁতুলিয়া
    উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে দ্বিতীয় দিনের মতো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার নেমেছিল ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রিতে।আবহাওয়া অফিস জানায়, তেঁতুলিয়া ও আশপাশের এলাকায় টানা দু’দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে। সপ্তাহজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকলেও দিনের তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি। যা আগের দিন দুই ডিগ্রি বেশি ছিল।ভোরে সূর্যের দেখা মিললেও রাতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা না থাকলেও হালকা কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল বাতাসে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। ভোরের রোদ উঠলে শীত কিছুটা কমলেও বিকেলের পর থেকেই আবার ঠান্ডা বাড়তে থাকে।তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, “তেঁতুলিয়া ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার নেমেছিল ৮ থেকে ৯ ডিগ্রি পর্যন্ত।”এসএম
    দিনাজপুরে ইটভাটায় অভিযান, ১৭ লাখ টাকা জরিমানা
    দিনাজপুরে তিন দিনে ১১টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ইটভাটার ছয়টি চিমনি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে পাটি ভাটা মালিককে ১৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর (সদর দপ্তর)–এর মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট শাখার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল।বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের রাজারামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেসার্স নবী ব্রিকস ও একই এলাকার মেসার্স এনএইচ ব্রিকস নামের দুটি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তিন লাখ টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়। সেই সঙ্গে উপজেলার রাঙ্গামাটি এলাকার অবৈধভাবে পরিচালিত মেসার্স ইব্রাহিম ব্রিকস ও একই এলাকার মেসার্স শিল্পী ব্রিকস নামের দুটি ইটভাটার চিমনি সম্পূর্ণভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।গত বুধবারের অভিযানে পার্বতীপুর উপজেলার মেলারডাঙ্গা এলাকায় অবৈধভাবে পরিচালিত মেসার্স শাফী ব্রিকস ও মরনাই এলাকার মেসার্স বারী ব্রিকস নামের দুটি ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তিন লাখ করে মোট ছয় লাখ টাকা জরিমানা তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়। সেই সঙ্গে কাঁচা ইট বিনষ্ট করা হয় এবং হয়রতপুরের মেসার্স যমুনা ব্রিকস ও সৈয়দপুরের মেসার্স আরটি ব্রিকস—এই দুটি ইটভাটার চিমনি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দেওয়া হয়।মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) পার্বতীপুর উপজেলার ঢেরেরহাট ও দক্ষিণ পলাশবাড়ীতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযানকালে মেসার্স ভাই ভাই ব্রিকসকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মেসার্স এআরবি ব্রিকস ও মেসার্স সততা ব্রিকস—এই দুটি ইটভাটার চিমনি সম্পূর্ণভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযানগুলো ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন’ মোতাবেক পরিচালনা করা হয়।অভিযানগুলো পরিচালনা করেন দিনাজপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বদরুন্নাহার সীমা এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের রিসার্চ অফিসার রুনায়েত আমিন রেজা। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন সেনা সদস্য, থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও আবাসিক বিদ্যুৎ সরবরাহ বিভাগের সদস্যরা।দিনাজপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বদরুন্নাহার সীমা বলেন, “দিনাজপুরে ৩১টি ইটভাটার বিরুদ্ধে জাল রিট ও ভুয়া আদেশ দেখিয়ে ভাটা পরিচালনার অভিযোগে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। সেই ৩১টি ইটভাটাসহ অবৈধভাবে ভাটা পরিচালনাকারীদের কার্যক্রম বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা ইটভাটাগুলো অবৈধভাবে চালিয়ে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পরিবেশ সুরক্ষায় দিনাজপুর জেলায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”এনআই
    রংপুর বিভাগীয় ইজতেমায় ২ মুসল্লির মৃত্যু
    রংপুর বিভাগীয় ইজতেমার প্রথম দিন বার্ধক্য ও ঠান্ডাজনিত কারণে এখন পর্যন্ত দুই মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরও অন্তত ৯ জন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইজতেমার মাঠের ৬ নম্বর হালকার জিম্মাদার আবুল হোসেন।মারা যাওয়া মুসল্লিরা হলেন— রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার সাঈদুর রহমান এবং টাঙ্গাইল জেলার তারা মিয়া। তারা মিয়া ৪০ দিনের চিল্লায় রংপুর এসে ইজতেমায় অংশ নিয়েছিলেন। ইজতেমা ময়দানেই বাদ জোহর মরহুমদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।তারা মিয়া ৪০ দিনের চিল্লায় রংপুর এসে ইজতেমায় অংশ নিয়েছিলেন বলে জানান মাঠের ৬ নম্বর হালকার জিম্মাদার আবুল হোসেন।রংপুর মেট্রোপলিটন পশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম বলেন, ইজতেমার মাঠে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে দুজন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তাদের দুজনের মৃত্যুই স্বাভাবিক। এখন পর্যন্ত মাঠে আরও ৯ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের বিভিন্নভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।এনআই
    ফুলবাড়ীতে মাদক সেবনের সময় দুইজন আটক
    দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাদক সেবনের সময় হাতেনাতে আটক দুই ব্যক্তিকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের স্বজনপুকুর (বুন্দিপাড়া) এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। ফুলবাড়ী থানা পুলিশের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সামিউল ইসলাম।সাজাপ্রাপ্তরা হলেন—স্বজনপুকুর গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (২৩) এবং একই গ্রামের মৃত আফজাল আলীর ছেলে মোহন আলী (৩৫)।উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সামিউল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনের সময় তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং ১০০ টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়।তিনি আরও বলেন, মাদকবিরোধী এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।এনআই
    তারাগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
    রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় সাবেক প্রধান শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তার স্ত্রীকে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় তারাগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ড তারাগঞ্জ উপজেলা শাখা'র আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।তারাগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডের আহ্বায়ক ডা. আলী হোসেন বলেন, ‘আমরা দেশের জন্য জীবন বাজি রেখেছি, দেশ স্বাধীন করেছি। মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ছিলেন একজন নিতান্তই ভালো মানুষ। কখনও তিনি কারও সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলতেন না। মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ ও তার স্ত্রীকে তার নিজ বাড়িতেই হত্যা করা হয়েছে।  খুবই দুঃখজনক বিষয় হলো আমরা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি। আজ আমাদের নিজের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে ঘুমাতে না পারলে তাহলে এ দেশ স্বাধীন করে আমাদের কি হলো? আমরা দেশ স্বাধীন করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবো? মুক্তিযোদ্ধাদের নিরাপত্তা দিন। আমরা দেশ স্বাধীন করেছি আমরা স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই।’রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা এসে এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। তারাও এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলন করবো।’ অপরাধীদের ফাঁসির দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধারা।তারা পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা দম্পতির হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও আপনারা কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেননি। যা নিতান্তই দুঃখজনক বিষয়। আমরা চাই আপনারা (পুলিশ) আর সময় অতিবাহিত করবেননা। দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করুন।’উল্লেখ্য, গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর খিয়ারপাড়া গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ ও তার স্ত্রীকে নৃশংস হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরের দিন সকালে তাদের মরদেহ দেখতে পান দীপক নামের তাদের বাড়ির কাজের ছেলে। ময়নাতদন্তের পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায়কে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সৎকার করা হয়।ইখা
    শহীদ মিনারের ইট খুলে চুলা, প্রধান শিক্ষক-দপ্তরীকে কৈফিয়ত তলব
    জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার ভান্ডারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন শহীদ মিনারের ইট খুলে পঞ্চম শ্রেণির বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে রান্নার কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ও দপ্তরী কাম প্রহরী এর কাছে কৈফিয়ত তলব করেছে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইমরান হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের নির্মাণকাজ চলমান থাকা অবস্থায় এর কিছু ইট খুলে তা দিয়ে চুলা বানিয়ে রান্নার আয়োজন করেন প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. মাহবুবা সুলতানা এবং দপ্তরী কাম প্রহরী ফিরোজ হোসেন। এ ঘটনাটি দৈনিক সমকালসহ কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় নেতিবাচক সংবাদ হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে, যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তির জন্য অশোভন ও ক্ষতিকর।চিঠিতে আরও বলা হয়, উল্লিখিত অনিয়মের ঘটনায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী কেন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পত্র প্রেরণ করা হবে না—তা সাত দিনের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ে জবাব জমা না দিলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে চিঠিতে সতর্ক করা হয়েছে।ইখা
    পাবনায় মদপানে ২ যুবকের মৃত্যু
    পাবনায় বিষাক্ত মদপানে সুমন সরকার (৩৫) এবং মামুন হোসেন (৩২) নামে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতের দিকে এ ঘটনা ঘটে।তবে উভয় পরিবার থেকে তাদের মৃত্যুর বিষয় নিয়ে কোন তথ্য দিতে বা কথা বলতে রাজি হয়নি। ঘটনার পর থানায় অভিযোগও করেনি পরিবারের সদস্যরা।মৃতরা হলেন, পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার সঞ্চিত সরকারের ছেলে সুমন সরকার এবং রাধানগর মক্তব এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে মামুন হোসেন (৩২)। তারা দুইজনই স্থানীয় একটি ব্যান্ড সাউন্ড প্রতিষ্ঠানের সদস্য। একইসাথে বাদ্যযন্ত্র শিল্পি হিসেবে পরিচিত।বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন জানান, 'হাসপাতালের নথিপত্র অনুযায়ী তাদের মৃত্যুর কারণ মদ্যপান উল্লেখ করা হয়েছে। কোথা থেকে, কিভাবে, কি মদ খেয়ে, তারা কিভাবে মারা গেল,এ বিষয়ে তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।'ওসি আরো জানান, ‌'একজনের মৃতদেহ সনাতনী হওয়ার কারণে সৎকার করেছেন পরিবারের সদস্যরা। আর অপরজনের মৃতদেহ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এখনও মৃত্যুর বিষয়ে কোন পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করেনি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।'পাবনা জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স সুখি খাতুন বলেন, ‘মৃত্যুর পূর্বে তাদের একজনকে রাত ১২টা এবং অপরজনকে রাত ৩টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। একজন হাসপাতালে মারা গেলে তাকে তার স্বজনরা নিয়ে চলে যান। আরেকজনকে রাজশাহী নেওয়ার পথে মারা গেছেন।'স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে তারা উভয়ে একটি অনুষ্ঠান শেষে মদপান করেন। তারপর থেকে তারা অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার রাতে বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়া হয় তাদের।ইখা
    জয়পুরহাটে অনুমতি ছাড়া পুকুর খননের দায়ে জরিমানা
    জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় অনুমতি ছাড়া পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি করার দায়ে এক পুকুর মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের ঘাটুরিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা আদায় করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম আরা।উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের ঘাটুরিয়া এলাকার নিজ ভোগদখলীয় পুকুরের তলদেশ খনন করে মাটি বিক্রি ও কৃষিজমি ভরাট করছিলেন এমদাদুল হক। এ কাজে কোনো ধরনের সরকারি অনুমতি না থাকায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘিত হয়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে এবং পুকুর খনন কাজ তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেয়।ইউএনও শামীম আরা বলেন, ‘পরিবেশবিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসনের জিরো টলারেন্স রয়েছে। জনস্বার্থে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ইখা
    নিজের ব্যানার-ফেষ্টুন নিজেই অপসারণ শুরু করলনে জামায়াত প্রার্থী
    নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট আ স ম সায়েম নিজ উদ্যোগে সব প্রকার নির্বাচনী প্রচারণামূলক ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে ফেলছেন।শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে নিজের ব্যানার-পোস্টার নিজেই অপসারণ করেন দাঁড়ি পাল্লার এই প্রার্থী।জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ সময় নির্বাচন কমিশনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিজ খরচে সব ধরনের আগাম প্রচারসামগ্রী সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। সেই প্রজ্ঞাপনের আলোকে শুক্রবার সকালে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী নেতাকর্মীদের নিয়ে শহরের দয়ালের মোড়ে তার নির্বাচনি ব্যানার-পোস্টার নিজের হাতে খুলে অপসারণ শুরু করেন।এ সময় নির্বাচনের তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে এমপি পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট আ স ম সায়েম বলেন, ‘আইনের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রেখে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে জামায়াতে ইসলামী। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা ও আচরণবিধি মেনে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণামূলক ব্যানার ফেস্টুন সরিয়ে ফেলা হবে। নির্বাচনে প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতারও আশ্বাস দেন জামায়াতের এই প্রার্থী।’‎এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া, নওগাঁ সদর উপজেলা জামায়াতের আমির এ্যাড: আব্দুর রহিম, পৌরসভা জামায়াতের সেক্রেটারি আনোয়ার আলমসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।ইখা
    সাজিদের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল, অশ্রুসিক্ত নয়নে দাফন
    রাজশাহীর তানোরে শোকে স্তব্ধ পুরো গ্রাম, প্রতিবেশীর কান্নায় সকাল থেকেই ভারী হয়ে ওঠে এলাকার বাতাস। মসজিদের মাইকে বারবার ভেসে আসতে থাকে সেই ঘোষণা—‘কোয়েলহাট পূর্বপাড়া নিবাসী রাকিব উদ্দীনের দুই বছরের শিশু সন্তান সাজিদ মারা গেছে’।শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় নেককিড়ি কবরস্থান-সংলগ্ন মাঠে জানাজা শেষে গভীর নলকূপে পড়ে মারা যাওয়া শিশু সাজিদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।এদিন মসজিদের ঘোষণা শুনে থেমে যায় সব কাজকর্ম। কেউ মাঠে যাননি, তেমন কোনো দোকানপাটও খোলেনি। সবাই গ্রামের রাস্তা ধরে গায়ে পাঞ্জাবি জড়িয়ে মাথায় টুপি দিয়ে আসেন সাজিদের বাড়ির দিকে। তারা একবার দেখতে চান সেই নিষ্পাপ মুখটা, যে মুখে প্রতিদিন হাসি ছিল, অথচ আজ নিস্তব্ধতা।এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে সাজিদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়ে। একই দিন গভীর নলকূপের ৪০ ফুট মাটি খনন করে ৩২ ঘণ্টা পর রাত ৯টার দিকে শিশু সাজিদকে উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।জানাজার মাঠে মানুষের ঢল নামে সকালেই। গ্রামের বৃদ্ধ থেকে শুরু করে স্কুলপড়ুয়া ছেলেরা সবার চোখ ভিজা দেখা যায়। কারও কণ্ঠে ফিসফিস—‘আল্লাহ, এমন মৃত্যু কেউ না পাক। সাজিদের ছোট্ট দেহটি যখন সাদা কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় আনা হলো, তখন কান্নার রোল পড়ে গেল চারপাশে। তার মা-বারবার ছুটে আসতে চাইছিলেন-করছেন আহাজারি। লোকজন ধরে রেখেছিল তাকে, কিন্তু কান্না থামাতে পারেনি কেউ।জানাজার নামাজের ইমাতি করেন কাজী মাওলানা মিজানুর রহমান। ইমাম সাহেব জানাজা শেষে যখন তাকবির দিলেন, মানুষ হাত তুলল দোয়ার ভঙিতে। হাজারো কণ্ঠে দোয়া অনুষ্ঠিত হলো। সবাই সাজিদের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করেন। একইসঙ্গে এ দোয়াও করেন, যেন তার পরিবারকে আল্লাহ ধ্যর্য ধরার তৌফিক দান করেন।জানাজা শেষে সাজিদের ছোট্ট কফিনটা যখন কবরের দিকে নেওয়া হলো, তখন বাতাস যেন থেমে গেল, শুধু শোনা যাচ্ছিল কান্নার শব্দ। কান্না করছেন স্বজনরা। একটি শিশুর জানাজা—যেখানে অংশ নিয়েছে পুরো গ্রাম, এমন দৃশ্য আগে কখনও দেখেনি গ্রামবাসী।প্রসঙ্গত, বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে নিখোঁজ হয় শিশু সাজিদ। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ৪০ ফুট মাটি খনন করে ৩২ ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করে। এরপর তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।এমআর-২
    সিলেটে মধ্যরাতে ৫ মিনিটের ব্যবধানে দুইবার ভূমিকম্প
    সিলেটে মধ্যরাতে মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুইবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে প্রথমবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এরপর ২টা ২৫ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সিলেট।ভারতের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ভূকম্পনটির মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৫ এবং গভীরতা ছিল ২০ কিলোমিটার। পরেরটির মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩। এর গভীরতা ছিল ৩০ কিলোমিটার।এদিকে রাত ৩টা ৩৮ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। এর গভীরতা ছিল ১৫ কিলোমিটার।এছাড়া রাত ২টা ৫৪ মিনিট ৩ সেকেন্ডে মিয়ানমারে ৩ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার খবর জানায় ভারতের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের উত্তর মান্দালয় থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে।এরআগে, রাজধানীতে গত ৪ ডিসেম্বর ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের মাত্র ছিল ৪ দশমিক ১। এই ভূমিকম্পের গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০ কিলোমিটার এবং এর উৎপত্তি টঙ্গী থেকে ৩৩ কিলোমিটার উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এবং নরসিংদীর ৩ কিলোমিটার উত্তরে।এরআগে, সোমবার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ৫৭ মিনিটে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কক্সবাজার শহর, উখিয়া, চকরিয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা ভূমিকম্প অনুভব করেন। ওই দিনের ভূমিকম্পের আঘাতে কোনো ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্যমতে, কম্পনের স্থায়িত্ব ছিল কয়েক সেকেন্ড। ভূমিকম্পের মাত্র ছিল ৪ দশমিক ৯ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমার।এরআগে, শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। নরসিংদীর মাধবদীতে উৎপত্তি হওয়া এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭। এতে উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে বাবা-ছেলেসহ পাঁচজন, ঢাকায় চার ও নারায়ণগঞ্জে এক শিশুসহ তিন জেলায় মোট ১০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হন কয়েক শত মানুষ।এবি 
    রাস্তা নিয়ে গ্রামবাসীর দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০
    সিলেটের বিশ্বনাথে রাস্তা নিয়ে গ্রামবাসীর দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় ককটেল বিস্ফোরণ, বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগও পাওয়া গেছে।খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।সোমবার সকালে দশঘর ইউনিয়নের বল্লব গ্রামের রাস্তা নিয়ে লন্ডন প্রবাসী সাইদ আলী (৭০) ও গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গ্রামবাসীর পক্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ২৩ জন।আহতরা হলেন- ছনফর আলী (৩৫), আলালা (৩০), কামাল (২৭), নজির (৪৫), আব্দুল হান্নান (৬৫), ফারুক (৪০), হুসিয়ার (৫৫), হুমায়ুন (২২), মাজহারুল (২০), জুবেক (২০), শরিফ (১৮), দিলাল (৩৭), রাহি (২০), রবিউল (৩০), সাহেব আলী (২৫), জুনুর (২৫), মুহিনুর (২৭), ফারুক (১৮), কবির (৩৫), সোয়া আলম (৩৫), মাজহারুল (১৮), নোমান (১৮) ও আছকর (৩৫)।তবে লন্ডন প্রবাসী সাইদ আলী তার পক্ষের আহতদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।গ্রামবাসীর পক্ষে আহত দিলাল মিয়াসহ কয়েকজন জানান, প্রায় ৩০-৩৫ বছরের পুরাতন জনবহুল একটি রাস্তার কিছু অংশ সম্প্রতি প্রবাসীদের উদ্যোগে আরসিসি ঢালাই করা হয়। আর এই ঢালাই করা রাস্তা ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে ভাঙার কাজ শুরু করেন লন্ডন প্রবাসী সাইদ আলী। এ সময় গ্রামবাসী বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের লোকজন কয়েকটি ককটেলও বিস্ফোরণ ঘটান।এদিকে স্থানীয় নুর আলী মেম্বার জানান, সকালে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে লন্ডন প্রবাসী সাইদ আলী ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে রাস্তা ভাঙার কাজ শুরু করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।জানতে চাইলে লন্ডন প্রবাসী সাইদ আলী বলেন, তার ভূমির উপর দিয়ে রাস্তা নেওয়া হয়েছে; কিন্তু তাকে না জানিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন রাস্তা পাকা করেছেন। তাই তিনি ওই পাকা অংশ ভাঙতে গেলে গ্রামের লোকজন হামলা চালিয়ে তার কয়েকজন লোককে আহত করেছে। এছাড়াও তার বাড়িতে হামলা করে ঘর ভাঙচুর, একটি হালচাষের ট্রাকটর ও একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। লুটপাট করে নেওয়া হয়েছে গরু-ছাগলও।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এনআই
    হবিগঞ্জে ট্রাক চাপায় স্কুলশিক্ষক নিহত
    হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলায় ট্রাক চাপায় রূপজিত কর রাজু (৩৬) নামে স্কুল শিক্ষক মারা গেছেন। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের নতুনবাজার এলাকার বেন্দারপুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত রাজু উপজেলার মিরপুর সানশাইন মডেল হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক এবং বানিয়াগাঁও গ্রামের নিপেশ করের ছেলে। এ ঘটনায় সানশাইন মডেল হাই স্কুলের সকল পরীক্ষা স্থগিত করে শোক পালনে একদিনের বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার সকালে চাকরিজীবী স্ত্রীকে কুলাউড়ার উদ্দেশ্যে মিরপুর বাজার থেকে বাসে তুলে দেওয়ার পর রাজু কর বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর এলাকার আরও দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে মিরপুর–শ্রীমঙ্গল আঞ্চলিক মহাসড়ক ধরে নতুনবাজার এলাকায় হাঁটতে যান। সকাল ৭টার দিকে বেন্দারপুল এলাকায় পৌঁছালে শ্রীমঙ্গলগামী একটি সবজি বোঝাই ট্রাক তাদের চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।দুর্ঘটনায় রূপজিত কর রাজু ও ফুরঞ্জন দেব গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক রূপজিতকে মৃত ঘোষণা করেন। ফুরঞ্জন দেবকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ইখা
    যারা এতদিন নির্বাচনের জন্য পাগল ছিলেন, তাদের এখন ভিন্ন সুর: জামায়াত আমির
    যারা এতদিন নির্বাচন নির্বাচন করে পাগল হয়ে গিয়েছিলেন, তারা এখন ভিন্ন সুরে কথা বলছেন। কারণ তারা বুঝতে পারছেন, জনগণ তাদের লালকার্ড দেখাবে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সিলেটে সমমনা ইসলামি ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশটি। জামায়াত আমির বলেন, দেশবাসী আশা করেছিল- অতীত অপকর্মের পরিণতি থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজনীতিবিদরা নতুন করে রাজনীতি শুরু করবেন। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, একদল সেই পুরাতন ধারায় পড়ে আছে। তারা কোনো সংস্কারে রাজি না, সনদ বাস্তবায়নেও রাজি না। এখন আবার কোথাও কোথাও আমরা ভিন্ন সুর শুনতে পাচ্ছি। যারা এতদিন নির্বাচন নির্বাচন করে জনগণকে বেহুঁশ করে তুলেছিল, এখন তারা ভিন্ন সুরে কথা বলতে শুরু করেছে। এ লক্ষণ ভালো নয়। তারা বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশের জনগণ তাদেরকে আগামী নির্বাচনে লাল কার্ড দেখানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। এ সময়, কেউ নির্বাচনকে ভন্ডুল করার চেষ্টা করলে, তাদের সব ষড়যন্ত্র দেশের সংগ্রামী জনগণ ভন্ডুল করে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, আমাদের যুবসমাজ যেই আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রক্ত দিয়েছে, তার সাথে ৮ দল সম্পূর্ণ একমত। এই আকাঙ্ক্ষার বিপক্ষে যারা দাঁড়াবেন, জনগণ আগামী নির্বাচনে তাদেরকে আর ক্ষমা করবে না। কেউ কেউ আমাদেরকে অন্যদের রক্তচক্ষুর ভয় দেখান— অমুক শক্তি, তমুক শক্তি, অমুক দেশ, তমুক দেশ। তাদের উদ্দেশে বলেন, ইসলামি এবং দেশপ্রেমিক নেতাকর্মী হাসিমুখে যেখানে ফাঁসি বরণ করতে পারে, তাদেরকে কোনো কিছুর ভয় দেখাবেন না। আমরা ভয় করি শুধু আল্লাহ তায়ালাকে। বাকি যাদের কথা বলেন, তাদেরকে আমরা কোনো পাত্তাই দেই না। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিশ্বের সব শান্তিকামী সভ্য দেশকে আমরা সম্মান জানাই। কিন্তু কেউ যেন আমাদের ওপরে কোনো দাদাগিরি করতে না আসে। আমরা আর কারো দাদাগিরি দেখতেও চাই না, বরদাস্ত করতেও রাজি নই। বাংলাদেশ চলবে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ মোতাবেক, এই দেশের জনগণের পছন্দে। এ সময়, যারা প্রশাসনিক ক্যু'র মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চান তাদের উদ্দেশে বলেন, সেই সূর্য দেশে উঠবে না। সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, যারা নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে, তাদের বয়কট করবে জনগণ। অপরদিকে, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, গণভোটে যারা 'না'-এর পক্ষে ক্যাম্পেইন করবে, তাদের জনতা প্রত্যাখ্যান করবে। আরডি 
    হবিগঞ্জে বেপরোয়া ট্রাক চাপায় নারী নিহত
    হবিগঞ্জ জেলার শহরের পোদ্দারবাড়ি বাইপাস এলাকায় রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় ট্রাক চাপায় সুজিনা আক্তার (২০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। তিনি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল নাজিরপুর গ্রামের মো. মানিক মিয়ার মেয়ে।শুক্রবার (০৫ ডিসেম্বর) রাতে শহরের পোদ্দারবাড়ি বাইপাস এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় ঢাকা মেট্রো-ট-২০১৭২৮নংট্রাক তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ট্রাকটি হবিগঞ্জ শহরের দিকে আসার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।স্থানীয়রা জানান, পোদ্দারবাড়ি বাইপাস এলাকা জনবহুল। সড়কের পাশে বাজার ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকায় প্রতিদিন মানুষের চলাচল বেশি। তবুও দীর্ঘদিন ধরে এখানে স্পিড ব্রেকার না থাকায় যানবাহনগুলো বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। এ কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা বিভিন্ন সময় দাবি জানিয়ে আসছেন।দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। ট্রাকটি আটক করা হলেও চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘাতক চালককে শনাক্তে চেষ্টা চালাচ্ছে। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।এসআর

    অনলাইন ভোট

    প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজন করা হবে। আপনি কি এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?

    আন্তর্জাতিক

    সব দেখুন
    রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানির বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় সাইবার হামলার অভিযোগ
    জার্মানির বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় সাইবার হামলার পেছনে রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলেছে দেশটির সরকার। বার্লিনের দাবি, শুধু অবকাঠামোয় হামলাই নয়—নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাও করেছে মস্কো। এ অভিযোগে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে জার্মানি। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য ‘পরিণতি ভোগ করতে হবে’ বলে কঠোর বার্তা দিয়েছে দেশটি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, ২০২৪ সালের আগস্টে সংঘটিত আলোচিত সাইবার হামলায় রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে তারা। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জার্মানির সাংবিধানিক নির্বাচনকে প্রভাবিত করা এবং দেশটির ভেতরে অস্থিরতা তৈরি করাও ছিল ওই তৎপরতার অংশ।তবে জার্মান সরকারের এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে রাশিয়া। মস্কোর পক্ষ থেকে এসব অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলা হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাশিয়ার সম্ভাব্য সাইবার তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে।জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ‘স্টর্ম ১৫১৬’ নামে একটি অপতথ্য ছড়ানোর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে জার্মানির সর্বশেষ ফেডারেল নির্বাচন ও দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালানো হয়। এই প্রচারণার লক্ষ্য ছিলেন গ্রিন পার্টির শীর্ষ নেতা রবার্ট হাবেক এবং বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস।সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো ব্যালট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে তৈরি করা কিছু ভুয়া ভিডিও শনাক্ত করে। এসব ভিডিওকে রাশিয়ার পরিকল্পিত বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
    বাংলাদেশসহ ৪ দেশে মার্কিন ভ্রমণ সতর্কতা
    বাংলাদেশসহ ৪টি দেশের বিরুদ্ধে লেভেল-২ ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)। এসব দেশে মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এই রোগের কার্যকর কোনো চিকিৎসা নেই।  আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঘোষণায় বলা হয়-কিউবা, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সিডিসি কিছু উষ্ণমণ্ডলীয় দেশে যাত্রার পরিকল্পনা করা আমেরিকানদের জন্য নতুন ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে। এ সব দেশে বর্তমানে এমন এক মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, যার কার্যকর কোনো চিকিৎসা নেই। এ সব এলাকায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে আমেরিকানদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, চিকুনগুনিয়ার কোনো চিকিৎসা না থাকলেও রোগটি টিকাপ্রতিরোধযোগ্য। যেসব এলাকায় এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে এবং সেখানে কারো ভ্রমণের পরিকল্পনা রয়েছে, সেখানে ভ্রমণকারীদের টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ হলো জ্বর এবং জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা। এছাড়া মাথাব্যথা, মাংসপেশির ব্যথা, জয়েন্ট ফুলে যাওয়া বা র‌্যাশও দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত মশার কামড়ের সাধারণত তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয় এবং বেশিরভাগ মানুষ এক সপ্তাহের মধ্যে সেরে ওঠে।এইচএ
    স্কুলে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করল অস্ট্রিয়া
    ১৪ বছরের কম বয়সী মেয়েদের জন্য স্কুলে হিজাবসহ মাথা ঢাকার ধর্মীয় পোশাক নিষিদ্ধ করে নতুন আইন পাস করেছে অস্ট্রিয়া।বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দেশটির সংসদ মুসলিম মেয়েদের হিজাব নিষিদ্ধ করার ওই আইন অনুমোদন দিয়েছে।এক প্রতিবেদনে এএফপি জানায়, স্কুলে মেয়ে শিক্ষার্থীদের হিজাব নিষিদ্ধ করার একটি আইন অস্ট্রিয়ার সংসদে পাস হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা বৈষম্যমূলক এবং সমাজে বিভাজন আরও গভীর করতে পারে।দেশটিতে কঠোর অভিবাসনবিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় চাপের মুখে রয়েছে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল সরকার। চলতি বছরে স্কুলে মেয়ে শিক্ষার্থীদের হিজাবের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করেছিল দেশটির সরকার।হিজাব নিষিদ্ধের পেছনে যুক্তি হিসেবে ‌‘মেয়েদের নিপীড়ন থেকে রক্ষা করতেই’ এই পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেছে অস্ট্রিয়ার সরকার। যদিও দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দল গ্রিন পার্টি ওই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে বলেছে, এটি সংবিধানবিরোধী।এর আগে, ২০১৯ সালে দেশটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সেই সময় দেশটির সাংবিধানিক আদালত সরকারের এই পদক্ষেপকে ‘অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক’ অভিহিত করে তা বাতিল করে দেয়। তবে এবার অস্ট্রিয়ার সরকার জোর দিয়ে বলছে, হিজাব নিষিদ্ধের নতুন আইনটি সাংবিধানিক।নতুন আইনটি পাস হওয়ায় দেশটির সব স্কুলে ১৪ বছরের কম বয়সি মেয়ে শিক্ষার্থীরা ‘ইসলামী ঐতিহ্য অনুযায়ী মাথা ঢেকে রাখার’ হিজাব পরতে পারবে না। দেশটির সরকার বলেছে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাথমিকভাবে শিক্ষক, অভিভাবক এবং শিশুদের কাছে হিজাবের বিষয়ে নতুন নিয়ম ব্যাখ্যা করা হবে। ওই সময় আইন লঙ্ঘনের জন্য কাউকে জরিমানা করা হবে না।তবে বার বার অমান্য করা হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ১৫০ থেকে ৮০০ ইউরো (১৭৫-৯৩০ ডলার) পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। দেশটির সরকার বলেছে, নতুন আইন দেশের বিভিন্ন স্কুলের প্রায় ১২ হাজার মেয়ে শিক্ষার্থীকে মেনে চলতে হবে। দেশটির ২০১৯ সালের এক গবেষণায় বলা হয়েছিল, ছয় বছর আগে ১৪ বছরের কম বয়সী প্রায় ৩ হাজার মেয়ে শিক্ষার্থী হিজাব পরত।সূত্র: বিবিসিএমআর-২
    কম্বোডিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিল থাইল্যান্ড
    প্রতিবেশী দেশ কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে যুদ্ধের মধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছে থাই্যান্ডে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) এক রাজকীয় ডিক্রি জারির মাধ্যমে পার্লামেন্ট বিলোপের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।থাইল্যান্ডের সংবিধানে পার্লামেন্ট বিলোপের ৪৫ থেকৈ ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা আছে।প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুলের পরামর্শেই এ পদক্ষেপ নিয়েছেন রাজা মাহা ভাজিরালঙকর্ন। ডিক্রিতে থাই প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিন মাস আগে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতসহ এমন সব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী তাকে এবং তার নেতৃত্বাধীন সরকারকে হতে হচ্ছে, যেগুলো আসলে নির্বাচিত সরকারের মোকাবিলা করা উচিত। এ কারণেই রাজাকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।প্রসঙ্গত, গত মাসে থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ১৭৬ জন নিহত হয়েছেন। এই নিয়ে দেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন আনুতনি চার্নভিরাকুল। এমনকি পার্লামেন্ট তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের ব্যাপারেও আলাপ-আলোচনা চলছিল।রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, অনাস্থা ভোটের আলোচনা ধামাচাপা দিতেই রাজাকে পার্লামেন্ট বিলোপের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।তবে এমন এক সময়ে এই ডিক্রি জারি করা হয়েছে, যখন সীমান্তে কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘাত চলছে থাই সেনাবাহিনীর। গত প্রায় চার দিন ধরে চলমান এ সংঘাতে ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন উভয় দেশের অন্তত ২০ জন এবং নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বাড়িঘর ছেড়ে ছুটতে বাধ্য হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।রাজকীয় ডিক্রিতে এ ব্যাপারেও বলেছেন আনুতিন। তিনি বলেছেন, “অতি সম্প্রতি দেশে জরুরি অবস্থা দেখা দিয়েছে এবং এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি প্রশাসন দ্রুত এবং তাৎক্ষণিকভাবে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিয়েছে…কিন্তু আপনি যখন একটি অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকার সরকার পরিচালনা করবেন, তখন সবার আগে প্রয়োজন জাতীয় স্থিতিশীলতা।”“জাতীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি যখন সংকটময় হয়ে ওঠে—সে সময় নিরবিচ্ছিন্ন, কার্যকর এবং স্থিতিশীলতার সঙ্গে জনপ্রশাসন পরিচালনা করা একটি অনির্বাচিত সরকারের পক্ষে অসম্ভব”, ডিক্রিতে বলেছেন আনুতিন।সূত্র : বিবিসিএমআর-২
    যুক্তরাজ্যে ব্রিস্টল জাদুঘর থেকে ৬ শতাধিক শিল্পকর্ম চুরি
    যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টল জাদুঘর থেকে ৬ শতাধিক শিল্পকর্ম চুরি হয়েছে। চুরি হওয়া এসব শিল্পকর্মগুলো যুক্তরাজ্যের রাজপরিবার, ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত।বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ব্রিস্টল পুলিশের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিভিন্ন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। চুরি হওয়া শিল্পকর্মগুলোর ‘ব্যাপক সাংস্কৃতিক মূল্য’ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার চার সন্দেহভাজনের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।চুরি অবশ্য ঘটেছে বেশ আগে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আনতে কেন আড়াই মাস সময় লাগল, তা এখনও পরিষ্কার নয়। জাদুঘর কর্তৃপক্ষ কিংবা পুলিশ— কেউই এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।ব্রিস্টল নগর কাউন্সিলের সংস্কৃতি এবং সৃষ্টিশীল শিল্প বিভাগের প্রধান ফিলিপ ওয়াকার জানায়, চুরি হওয়া শিল্পকর্মের মধ্যে আছে মেডেল, ব্যাজ এবং পিন, নেকলেস, চুড়ি, আংটি, নকশা খোদাই কারা হাতির দাঁত, রুপা ও ব্রোঞ্জের মূর্তি ও গৃহসজ্জার সামগ্রী এবং ভূাতাত্ত্বিক বিভিন্ন নমুনা।এএফপিকে ফিলিপ ওয়াকার জানান, “চুরি যাওয়া শিল্পকর্মগুলো ব্রিটেনের এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের। ২০০ বছরের ব্রিটিশ সাম্রাজ্য, এই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় যারা অবদান রেখেছে এবং এর দ্বারা যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে— সেসবের সঙ্গে সম্পর্কিত অমূল্য সব রেকর্ড ছিল এই শিল্পকর্মগুলো।”এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তার এবং ব্রিস্টল পুলিশের জ্যেষ্ট কনস্টেবল ড্যান বার্গান এএফপিকে বলেন, “এটা আমাদের শহরের জন্য অনেক বড় ক্ষতি। যেসব শিল্পকর্ম চুরি হয়েছে, সেসবের  মধ্যে অনেকগুলো দানের জিনিস ছিল, অর্থাৎ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সময় বিভিন্ন দেশের অভিজাতরা এসব শিল্পকর্ম দান করেছিলেন। এমন অনেক শিল্পকর্ম চুরি হয়েছে, যেগুলো আমাদের ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতীক।”“আমরা এখন পর্যন্ত এই চুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চার জন সন্দেহভাজন সম্পর্কে তথ্য পেয়েছি। চার সন্দেহভাজনের ছবিও প্রকাশ করেছে পুলিশ। আমরা আশা করছি যে সন্দেহভাজনদের আটক করতে জনগণ আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করবেন”, এএফপিকে বলেন ড্যান বার্গান।সূত্র : এএফপিএমআর-২
    জাপানে ৬.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা
    জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর পরপরই সুনামি সতর্কতা জারি করেছে দেশটি। খবর আল জাজিরার।জেএমএ জানায়, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪৪ মিনিটে আওমোরি প্রিফেকচারের উপকূলে ২০ কিলোমিটার (১২.৪ মাইল) গভীরতায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।ওই অঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ও বড় ভূমিকম্প আঘাত হানার মাত্র কয়েকদিন পরই এই ভূ-কম্পন আঘাত হানল।সোমবারের ভূমিকম্পের পর, সরকার উত্তরে হোক্কাইডো থেকে টোকিওর পূর্বে চিবা পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়েছে। সেইসঙ্গে  এক সপ্তাহের মধ্যে আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার সম্ভাবনা বৃদ্ধির জন্য সতর্ক থাকতে বলেছে।জাপান প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত হওয়ায় নিয়মিতভাবেই ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়। ২০১১ সালে ৯ দশমিক ১ মাত্রার তোহোকু ভূমিকম্প ও সুনামি দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত। এতে ২২ হাজারের বেশি মানুষ মারা যান বা নিখোঁজ হন এবং ফুকুশিমা দাইইচি পারমাণবিক কেন্দ্রে চুল্লি গলে ভয়াবহ তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে।এমআর-২
    ন্যাটোভুক্ত দেশে হামালা চালাতে পারে রাশিয়া: ন্যাটো মহাসচিব
    পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুতে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, রাশিয়া আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ন্যাটোভুক্ত কোনো একটি দেশে হামলা চালাতে পারে।বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) জার্মানিতে একটি আয়োজনে বক্তব্য দিতে গিয়ে মার্ক রুতে বলেন, “আমাদের (ন্যাটো) বিরুদ্ধে রাশিয়া এরই মধ্যে গোপন অভিযান বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের দাদা-দাদি কিংবা প্রপিতামহ যেই মাত্রার যুদ্ধ মোকাবিলা করেছেন, তেমনটার জন্য আমাদেরও প্রস্তুত থাকতে হবে।” ন্যাটোর প্রধানের পক্ষ থেকে এমন এক সময় এই সতর্কবার্তা দেওয়া হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার যুদ্ধের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করছেন।এদিকে, চলতি মাসের শুরুর দিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর কোনো পরিকল্পনা তাঁর দেশের নেই। তবে যদি ইউরোপ যুদ্ধ শুরু করতেই চায়, তাহলে রাশিয়া এখনই প্রস্তুত রয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তবে পুতিন ২০২২ সালে যখন রাশিয়ার প্রায় দুই লাখ সেনা সীমান্ত পেরিয়ে ইউক্রেনের ভেতরে ঢুকে পড়েন, তার আগেও একই সুরে কথা বলেছিলেন। তাই পুতিনের এমন কথা ইউরোপীয় নেতাদের আশ্বস্ত করতে পারছে না।পুতিনের অভিযোগ, ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মার্কিন প্রচেষ্টা বাস্তবায়নে ইউরোপের দেশগুলো বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি সম্প্রতি ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা শান্তি পরিকল্পনার খসড়া প্রস্তাবগুলো পরিবর্তনের চেষ্টায় যে ভূমিকা নিয়েছে, সেটার প্রতি ইঙ্গিত করে এই অভিযোগ তুলেছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মধ্যস্থতা করলেও শান্তি পরিকল্পনার খসড়া প্রস্তাবগুলো আখেরে রাশিয়ার পক্ষে যাবে। তাই ইউরোপের নেতারাও খসড়া বদলানোর পক্ষে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পাশে দাঁড়িয়েছেন।এনআই
    গোপন সফরে ইসরাইলে তাইওয়ানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী
    তাইওয়ানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া উ সম্প্রতি গোপনে ইসরাইল সফর করেছেন। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্র ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে। বেইজিংয়ের চাপের কারণে তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক কিছুটা গোপনীয়ই থাকে। প্রকাশ্যে তৎপরতা খুব একটা দেখা যায় না কারণ বেইজিং তাইওয়ানকে তাদের একটি প্রদেশ হিসেবে মনে করে, কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না।অন্যান্য বেশিরভাগ দেশের মতো, ইসরাইল কেবল আনুষ্ঠানিকভাবে বেইজিংকেই স্বীকৃতি দেয়, তাইপেইকে নয়। তবে তাইওয়ানের শীর্ষ কূটনীতিকরা প্রায়ই বিদেশ ভ্রমণ করলেও ইসরাইলের মতো দেশে তাদের ভ্রমণের ঘটনা বেশ বিরল।তাইওয়ান ইসরাইলকে একটি গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক অংশীদার হিসেবে দেখে এবং ২০২৩ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ ইসরাইলে  হামাসের আক্রমণ এবং পরবর্তীকালে গাজায় যুদ্ধের পর থেকেই দেশটিকে দৃঢ় সমর্থন করে যাচ্ছে এবং তারপর থেকে তাদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে।বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কিছু সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে ফ্রাঁসোয়া উ ইসরাইলে  গিয়েছিলেন। দুটি সূত্র জানিয়েছে যে, তার এই সফর চলতি মাসেই হয়েছে।তবে এই সফরে কাদের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছে বা কী আলোচনা হয়েছে তার বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়নি। এমনকি তিনি তাইওয়ানের নতুন বহু-স্তরযুক্ত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা টি-ডোম সম্পর্কেও কথা বলেছেন কি না সে বিষয়টিও নিশ্চিত নয়। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে গত অক্টোবরে এই বিষয়টি উন্মোচন করেন যা আংশিকভাবে ইসরাইলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আদলে তৈরি হবে।এদিকে ফ্রাঁসোয়া উ ইসরাইল সফর করেছেন কি না সে বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাইওয়ান এবং ইসরাইল স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের মূল্যবোধ ভাগাভাগি করে এবং বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং সংস্কৃতির মতো ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মতভাবে পারস্পরিক বিনিময় এবং সহযোগিতা প্রচার অব্যাহত রাখবে। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এই মন্তব্যের অনুরোধের কোনো জবাব দেয়নি।এনআই
    আগে ফিলিস্তিনিদের নিশ্চিহ্ন করা উচিত: ট্রাম্প মিত্র র‍্যান্ডি
    ফিলিস্তিনি জনগণকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র র‍্যান্ডি ফাইন। এই রিপাবলিকান নেতা দম্ভ করে আরও বলেছেন, এ জন্য তাকে ইসলামবিদ্বেষী বলা হলেও তিনি পরোয়া করেন না। ফাইন এর আগেও অনেকবার ইসলামবিদ্বেষী ও ফিলিস্তিনবিরোধী মন্তব্য করেছেন।মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কংগ্রেসে এক শুনানিতে ফাইন বলেন, বসতি স্থাপনকারীদের ওপর বর্ণবৈষম্যমূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে অধিকৃত পশ্চিম তীরের কয়েকটি এলাকায় ইসরায়েলিরা যেতে পারেন না। তবে বাস্তবতা হলো, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীই নিরাপত্তার কারণে অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীদের ফিলিস্তিনি শহরগুলোতে প্রবেশ না করতে সতর্কতামূলক সাইন টানিয়ে রাখে।শুনানিতে ফাইন যুক্তরাষ্ট্রের জায়নবাদী সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মর্টন ক্লেইনকে প্রশ্ন করে, ‘যখন আপনাকে এমন মানুষদের মুখোমুখি হতে হয়, যারা প্রতিনিয়ত ইসরায়েল রাষ্ট্রের ধ্বংস কামনা করে, ইহুদিরা এখানে প্রবেশ করতে পারবে না, আমরা ইহুদিমুক্ত হতে চাই—এমন সাইন দেখতে কারই–বা ভালো লাগতে পারে, এমন অবস্থায় আপনি কীভাবে শান্তি আনবেন?’ এরপর ক্লেইনকে পরামর্শের সুরে ফাইন আরও বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতে আপনি কীভাবে একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে আসবেন? নাকি আমাদের অন্য কোনো পথ বেছে নিতে হবে?’ জবাবে ক্লেইন বলেন, ইসলামের একটি সংস্কারের ভেতর দিয়ে যাওয়া এবং ইসরায়েলকে একটি ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু এ নিয়ে কেউ কথা বলতে চায় না, কারণ ইসলামবিদ্বেষী হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার ভয় পায়। এ পর্যায়ে ক্লেইনকে থামিয়ে ফাইন বলে ওঠেন, ‘আমি এসবে ভয় পাই না।’ফ্লোরিডার একটি আসন থেকে কংগ্রেস সদস্য ফাইন আরও বলেন, ‘যারা আপনার ধ্বংস কামনা করে, তাদের সঙ্গে কীভাবে শান্তিতে আসা যায়—আমি জানি না। আমার মনে হয়, আপনি আগে তাদের নিশ্চিহ্ন করুন।’ যদিও ফিলিস্তিনিদের এই ভূখণ্ডটির নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলি সেনাদের হাতে, তবুও ইসরায়েলি বাহিনীর সুরক্ষায় থেকে সশস্ত্র ইহুদি অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরাই বরং ফিলিস্তিনি গ্রামগুলো দখল ও লুটপাট করে। চলতি বছরে অন্তত দুজন মার্কিন নাগরিক বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় নিহত হয়েছেন।এনআই
    কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট পেত্রোকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি তিনি মাদকবিরোধী যুদ্ধের ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ না নেন, তবে তার জন্য বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।হোয়াইট হাউজে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, কলম্বিয়া প্রচুর কোকেন উৎপাদন করছে এবং তা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে, তাই পেত্রোকে সাবধান হওয়া উচিত।ট্রাম্পের মন্তব্য এসেছে এমন সময়ে, যখন তিনি ক্যারিবীয় সাগরে তেল ট্যাঙ্কার দখল এবং ভেনেজুয়েলা ও ইরানকে শাস্তি দেওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন। ট্রাম্প ও পেত্রোর দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে; পেত্রো কলম্বিয়ার ইতিহাসে প্রথম বামপন্থী নেতা।পেত্রো দাবি করেন, তার সরকারের মাদকবিরোধী অভিযানে ইতোমধ্যেই প্রায় ১৮,৪০০টি মাদক পরীক্ষাগার ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি ট্রাম্পকে সতর্ক করে বলেন, কলম্বিয়ার সার্বভৌমত্বে আঘাত দেওয়া মানে যুদ্ধ ঘোষণা করা। একই সঙ্গে তিনি ট্রাম্পকে কলম্বিয়ায় এসে মাদকবিরোধী অভিযানে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণও দেন।দুই নেতার মধ্যে অন্যান্য বিষয়েও বিবাদ চলেছে। পেত্রো যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসী বিতাড়ন ও শুল্ক নীতি নিয়ে ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্প পেত্রোর ভিসা বাতিল এবং নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।পাশাপাশি, পেত্রো ট্রাম্প প্রশাসনের ক্যারিবীয় সাগরে নৌ-হামলার কঠোর সমালোচক। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই হামলাকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন। পেত্রো এসব হামলাকে কলম্বিয়ার সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন।এবি 

    বিনোদন

    সব দেখুন
    কন্যা সন্তানের বাবা হয়ে আলহামদুলিল্লাহ বললেন অপূর্ব
    বাবা হলেন ছোটপর্দার তারকা অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। তার স্ত্রী শাম্মা দেওয়ান কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টে অভিনেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পোস্টে অপূর্ব লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আনন্দ আর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের কন্যাসন্তানের আগমন ঘটেছে। এই দুনিয়ায় তোমাকে স্বাগতম, প্রিয় আনায়া।’ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী শাম্মা দেওয়ানকে বিয়ে করেন অপূর্ব। বিয়ের চার বছর পর কন্যার জন্ম দেন শাম্মা।এর আগে, ২০১১ সালের ২১ ডিসেম্বর অদিতিকে বিয়ে করেন অপূর্ব। ২০২০ সালে দুজনের বিচ্ছেদ ঘটেছে। অপূর্ব ও অদিতির সংসারে আয়াশ নামের এক পুত্রসন্তান রয়েছে।অভিনেত্রী প্রভাকে বিয়ে করেন অপূর্ব। সেই বিয়ে বেশি দিন টেকেনি।এইচএ
    আমির-কারিনাকে নিয়ে আবার শুটিং ফ্লোরে ‘থ্রি ইডিয়টস’
    রাজকুমার হিরানি পরিচালিত বলিউড ব্লকবাস্টার ‘থ্রি ইডিয়টস’। ২০০৯ সালে মুক্তি পায় এটি। মাঝে ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও র‌্যাঞ্চো, রাজু আর ফারহানদের ‘বন্ধুত্ব’ আজও মুগ্ধ করে চলেছে।‘থ্রি ইডিয়টস’ শুধু একটা সিনেমা ছিল না—বরং একটি প্রজন্মের কাছে হয়ে উঠেছিল বিশ্বাস, স্বপ্ন আর বন্ধুত্বের নতুন সংজ্ঞা। জনপ্রিয় পরিচালক রাজকুমার হিরানির সহজ-সরল কিন্তু গভীর গল্প বলার ধরণ, আমির খান– আর মাধবন- শর্মন জোসি ত্রয়ীর প্রাণবন্ত অভিনয় এবং হাস্যরস ছবিটিকে এমন জায়গায় পৌঁছে দেয়, যা আজও ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে একটি আলাদা অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। সেই ছবির গান, সংলাপ, চরিত্র -সবই দর্শকের মনে রয়ে গেছে স্থায়ী ছাপ হিসেবে।থ্রি ইডিয়টস মুক্তির পর সময়ের স্রোতে ১৫ বছর কেটে গেছে। কিন্তু দর্শকদের মধ্যে সিনেমাটির স্মৃতি এখনও চিরসবুজ। তাই ছবিটির সিক্যুয়েল ‘থ্রি ইডিয়টস ২’ আসছে শুনেই আনন্দিত সিনেমাপ্রেমীরা। একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, সিক্যুয়েলের চিত্রনাট্য ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে এবং আগামী বছর থেকেই শুরু হবে শুটিং। জানা গেছে, প্রথম ছবির প্রধান অভিনেতা আমির খান, করিনা কাপুরসহ মূল টিম—আবারও ফিরছেন এই সিক্যুয়ালে। নির্মাতাদের বিশ্বাস প্রথম ছবির যে ‘ম্যাজিক’ দর্শককে আবেগে ভাসিয়েছিল, সেটি আবারও ফিরতে চলেছে।সিক্যুয়েলের গল্প প্রথম ছবির পর থেকেই শুরু হবে না, বরং সময় এগোবে অনেকটা—পুরো ১৫ বছর। প্রথম ছবির ক্লাইম্যাক্সে যে তিন বন্ধু আলাদা পথে হাঁটতে শুরু করেছিল, এইবার তারা আবার এক হবে নতুন অভিযানে। তাদের জীবনে এই দীর্ঘ সময়ে কী বদল এসেছে? রাঞ্চোর দর্শন, ফারহানের স্বপ্ন আর রাজুর সংগ্রাম—এসবই নতুনভাবে গল্পে ফিরে আসতে পারে সম্পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের প্রেক্ষাপটে। ঠিক এই কারণেই অনেকেই মনে করছেন, সিক্যুয়েলটি হবে আরও ‘রিয়েল’ম আরও আবেগঘন।নির্মাতা দল জানিয়েছে, নতুন গল্পে আছে হাসি, আছে কান্না, আছে নিজেদের কাছে ফিরে আসার আনন্দ—ঠিক যেমনটা ছিল প্রথম ছবিতে। শুধু তাই নয়, বর্তমান সময়ের শিক্ষাব্যবস্থা, প্রতিযোগিতা আর জীবনের দৌড়ঝাঁপ—এসবকেও ছবির গল্পে নতুন করে দেখা যেতে পারে। ফলে, ছবিটি শুধু স্মৃতির নস্টালজিয়া নিয়েই ফিরছে না, বরং নতুন প্রজন্মের জন্যও তৈরি করছে আরেকটি বার্তা-নির্ভর বিনোদন।বলিউডে ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘থ্রি ইডিয়টস’ শুধু একটা সিনেমা ছিল না—বরং একটি প্রজন্মের কাছে হয়ে উঠেছিল বিশ্বাস, স্বপ্ন আর বন্ধুত্বের নতুন সংজ্ঞা। জনপ্রিয় পরিচালক রাজকুমার হিরানির সহজ-সরল কিন্তু গভীর গল্প বলার ধরণ, আমির খান– আর মাধবন- শর্মন জোসি ত্রয়ীর প্রাণবন্ত অভিনয় এবং হাস্যরস ছবিটিকে এমন জায়গায় পৌঁছে দেয়, যা আজও ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে একটি আলাদা অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। সেই ছবির গান, সংলাপ, চরিত্র -সবই দর্শকের মনে রয়ে গেছে স্থায়ী ছাপ হিসেবে।থ্রি ইডিয়টস মুক্তির পর সময়ের স্রোতে ১৫ বছর কেটে গেছে। কিন্তু দর্শকদের মধ্যে সিনেমাটির স্মৃতি এখনও চিরসবুজ। তাই ছবিটির সিক্যুয়েল ‘থ্রি ইডিয়টস ২’ আসছে শুনেই আনন্দিত সিনেমাপ্রেমীরা। একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, সিক্যুয়েলের চিত্রনাট্য ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে এবং আগামী বছর থেকেই শুরু হবে শুটিং।জানা গেছে, প্রথম ছবির প্রধান অভিনেতা আমির খান, করিনা কাপুরসহ মূল টিম—আবারও ফিরছেন এই সিক্যুয়ালে। নির্মাতাদের বিশ্বাস প্রথম ছবির যে ‘ম্যাজিক’ দর্শককে আবেগে ভাসিয়েছিল, সেটি আবারও ফিরতে চলেছে।সিক্যুয়েলের গল্প প্রথম ছবির পর থেকেই শুরু হবে না, বরং সময় এগোবে অনেকটা—পুরো ১৫ বছর। প্রথম ছবির ক্লাইম্যাক্সে যে তিন বন্ধু আলাদা পথে হাঁটতে শুরু করেছিল, এইবার তারা আবার এক হবে নতুন অভিযানে। তাদের জীবনে এই দীর্ঘ সময়ে কী বদল এসেছে? রাঞ্চোর দর্শন, ফারহানের স্বপ্ন আর রাজুর সংগ্রাম—এসবই নতুনভাবে গল্পে ফিরে আসতে পারে সম্পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের প্রেক্ষাপটে। ঠিক এই কারণেই অনেকেই মনে করছেন, সিক্যুয়েলটি হবে আরও ‘রিয়েল’ম আরও আবেগঘন।নির্মাতা দল জানিয়েছে, নতুন গল্পে আছে হাসি, আছে কান্না, আছে নিজেদের কাছে ফিরে আসার আনন্দ—ঠিক যেমনটা ছিল প্রথম ছবিতে। শুধু তাই নয়, বর্তমান সময়ের শিক্ষাব্যবস্থা, প্রতিযোগিতা আর জীবনের দৌড়ঝাঁপ—এসবকেও ছবির গল্পে নতুন করে দেখা যেতে পারে। ফলে, ছবিটি শুধু স্মৃতির নস্টালজিয়া নিয়েই ফিরছে না, বরং নতুন প্রজন্মের জন্যও তৈরি করছে আরেকটি বার্তা-নির্ভর বিনোদন।এইচএ
    প্রায় ৩০ হাজার বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন হৃতিক
    ২০০০ সাল। মুক্তি পেল বলিউড সিনেমা ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’। আর এই এক ছবিতেই রাতারাতি পাল্টে গেল হৃতিক রোশনের জীবন। প্রথম ছবিতেই তার আকাশছোঁয়া সাফল্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, মাত্র এক মাসের মধ্যে তার কাছে প্রায় ৩০ হাজার বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল! সম্প্রতি ভারতীয় একটি জনপ্রিয় টক শো-তে অংশ নিয়ে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের সেই উন্মাদনার কথাই শোনালেন বলিউডের এই ‘গ্রিক গড’।হৃতিক জানান, সিনেমাটি সুপারহিট হওয়ার পর তার বাড়ির সামনে প্রতিনিয়ত ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকত। বিশেষ করে তরুণী ও তাদের অভিভাবকরা হৃতিকের সঙ্গে দেখা করার জন্য অধীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতেন। প্রতিদিন সকালে জানালার পর্দা সরালেই হৃতিক দেখতেন বাড়ির প্রধান ফটকে দীর্ঘ লাইন।পেছনের দরজা দিয়ে পালানোর গল্প ভক্তদের এই বিশাল ভিড় সামলানো তখন হৃতিকের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছিল। অভিনেতা জানান, সেই সময় ভক্তদের চোখ এড়িয়ে নিজের প্রেমিকা সুজান খানের সঙ্গে দেখা করতে মাঝেমধ্যে বাড়ির পেছনের দরজা ব্যবহার করতেন তিনি। সামনের গেটে যখন হাজারো তরুণী তার একঝলক পাওয়ার আশায় দাঁড়িয়ে, তখন পেছনের দরজা দিয়ে চুপিচুপি প্রেমিকার কাছে ছুটতেন হৃতিক।সাফল্য ও ব্যক্তিগত জীবন পর্দায় সুপুরুষ চেহারা, নাচ এবং অভিনয়ের জাদুতে হৃতিক তখন ভারতীয় তরুণ প্রজন্মের কাছে সেনসেশন। তবে ৩০ হাজার বিয়ের প্রস্তাব বা আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা কোনো কিছুই তাকে তার ভালোবাসা থেকে টলাতে পারেনি। ভক্তদের হৃদয় ভেঙে ২০০০ সালেই অভিনেতা সঞ্জয় খানের কন্যা ও তার বাল্যবন্ধু সুজান খানকে বিয়ে করেন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুতেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও তার জনপ্রিয়তায় তখন বিন্দুমাত্র নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।‎এসআর
    কাজের সংকটের কারণে শিল্পীরা বিদেশ চলে যাচ্ছে: মিশা সওদাগর
    মন্দা বাজার, কাজের সংকট আর অনিশ্চয়তার কারণে আগের মতো জমজমাট নেই এফডিসি। বদলেছে শিল্পীদের জীবনধারাও। ফলে দেশের শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকা সাম্প্রতিক সময়ে পাড়ি জমাচ্ছেন বিদেশে। কেউ স্থায়ীভাবে সেখানেই বসবাস শুরু করেছেন, কেউ আবার দেশে এসে সীমিত পরিসরে কাজ করছেন।  কিন্তু কেন এভাবে দেশ ছাড়ছেন তারকারা— সম্প্রতি এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির সভাপতি ও জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগর।তিনি স্পষ্ট করে জানান, কাজের সংকটই তারকাদের বিদেশে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ।মিশা বলেন, ‌‌‘কাজ না থাকলে শিল্পীদের কী করার আছে? একসময় দিনে চার-পাঁচটা সিনেমার কাজ করেছি। সকাল ৭টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত শুটিং চলত। এখন সেই এফডিসি প্রায় বন্ধ।যে শিল্পীরা দেশ ছেড়েছেন, তাদের কি কারো মন চাইছিল? অমিত হাসান, মৌসুমী, ইমন, আলেকজান্ডার বোসহ অনেকেই চলে গেছেন। মাহিয়া মাহিও এখন যুক্তরাষ্ট্রে। কাজ থাকলে তারা কেউই যেত না।’নিজের কথাও উল্লেখ করেন এ অভিনেতা। তিনি বলেন,তার পরিবার স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছে। তিনিও বছরের বড় একটা সময় থাকেন সেখানে।শিল্পীদের জীবনযাত্রার চাপ নিয়ে মিশার ব্যাখ্যা, ‘শিল্পীদের কাজ থাকুক বা না থাকুক, অনেক কিছুই মেইনটেইন করতে হয়। চেহারা, পোশাক, গাড়ি, মোবাইল, ঘরের পরিবেশ— সব কিছুতেই একটা মান ধরে রাখতে হয়। আমরা কাজ করি পরিবারের জন্য, বেঁচে থাকার তাগিদে। কিন্তু কাজই যদি না থাকে, ইনকাম যদি বন্ধ হয়ে যায়, তখন একজন শিল্পী কী করবে।’তিনি আরো বলেন, ‘বিদেশে গেলে অন্তত স্থায়ীভাবে কাজ পাওয়া যায়, পরিবার নিয়ে টিকে থাকা যায়। তাই অনেকেই বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়ছেন। এটা তাদের দোষ নয়, পরিস্থিতির চাপ।’মিশা সওদাগরের মতে, স্থানীয় চলচ্চিত্রশিল্পে কাজের পরিমাণ বাড়লেই তারকারা আবার দেশে ফিরে আসবেন।এইচএ

    অর্থ-বাণিজ্য

    সব দেখুন
    আমদানির পরও কমেনি পেঁয়াজের দাম, স্বস্তি মৌসুমি সবজিতে
    শীতের আগমনে বাজারে সবজির আনাগোণা বৃদ্ধি পেলেও কমেনি দাম। বাজারে বেগুন, পেঁপেসহ কয়েকটি সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমলেও মৌসুমি সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দামে এখনও লাগেনি শীতের ছোঁয়া; ফলে স্বস্তি মিলছে না ক্রেতাদের।বাজারে আমদানির পর পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও এখনো সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে আসেনি। যদিও বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে। তবে এখনো প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে গুনতে হচ্ছে ১০০ টাকার বেশি।বাজারে এখন নতুন আলুর দাম কমতির দিকে। প্রতি তিন কেজি আলুর প্যাকেজ হাঁকডাক দিয়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। অর্থাৎ, কেজি পড়ছে ৩৩ টাকা। আর প্রতি কেজি নতুন আলু খুচরায় ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।বাজারে দেখা গেছে, গত মৌসুমে উৎপাদিত প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ এখন ১৪০-১৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আর বাজারে নতুন আসা মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে, কোথাও কোথাও অবশ্য ১৩০ টাকাতেও বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে, আমদানি করা পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।বিক্রেতা আবু হোসেন বলেন, দেশি পেঁয়াজের দাম বেশি থাকার কারণে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কম হলেও তা দেশি পেঁয়াজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চড়া দামে বিক্রি করছেন আমদানিকারকরা।তিন-চারদিন আগে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দেশের পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা কমেছিল। কিন্তু শেষ দুদিনের মধ্যেই দাম আবার বেড়ে যায়।গত নভেম্বরের শুরুতে হঠাৎ অস্থির হয়ে ওঠে পেঁয়াজের বাজার। তখন ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম ১১০-১২০ টাকায় স্থিতিশীল হয়। সবশেষ ১০-১২ দিন আগে ফের পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে, দাম ওঠে ১৫০-১৬০ টাকায়। এরপরই আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।পেঁয়াজের চড়া দামের মধ্যেও ভোক্তার স্বস্তি কিছুটা ফিরছে সবজিতে। কারণ, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় নানান ধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। এরমধ্যে গত দুই সপ্তাহের মধ্যে আলুর দাম নেমে এসেছে ৪০ টাকার নিচে।খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা কমে বরবটি, বেগুন ও করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। একইভাবে কেজিতে ঢ্যাঁড়স ও পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়।অন্যদিকে, ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম আরও কমেছে। মাঝারি আকারের এ দুটি সবজির প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।এছাড়া বেশ কয়েক মাস নিম্নমুখী ডিম ও মুরগির বাজার। ফার্মের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকায়। পাড়া-মহল্লার দোকানে বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা দামে।বাজারে এখন ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০-১৬০ টাকার মধ্যে। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০-২৭০ টাকায়। পোল্ট্রি মুরগির বিক্রেতারা বলছেন, শীতে সবজির প্রচুর সরবরাহ থাকলে মুরগি ও ডিমের চাহিদা কিছুটা কমে যায়। এ কারণেই দাম কমেছে।গত রোববার প্রতি লিটার বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে যথাক্রমে ৬ ও ৭ টাকা। এছাড়া প্রতি লিটার পাম তেলের দাম ১৬ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয় ৩৩ টাকা। এতে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে হয় ১৯৫ টাকা। যা আগে ছিল ১৮৯ টাকা।৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯২২ টাকা থেকে বেড়ে ৯৫৫ টাকা হয়েছে। এছাড়া এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম এখন ১৭৬ টাকা এবং প্রতি লিটার পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৬ টাকায়। তবে বাজারে অন্য মুদি পণ্যগুলোর দাম অনেকটাই অপরিবর্তিত দেখা গেছে।এসএম
    ফের ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো রিজার্ভের পরিমাণ
    বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তবে আইএমএফের নির্ধারিত বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব করলে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভ ছিল ২৭ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।এর আগে গত ৬ নভেম্বর রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল। ওই সময়ে রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে তা ছিল ২৮ বিলিয়ন ডলার।তবে এর তিনদিন পর ৯ নভেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের জন্য ১৬১ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আকুর দায় পরিশোধের পর দেশের গ্রস রিজার্ভ ৩১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারে অবস্থান করে। এরপর থেকে ৩০ ও ৩১ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ছিল রিজার্ভ।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাইয়ে মে-জুন মেয়াদের আমদানি ব্যয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ আকুকে ১ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছিল—যা ছিল সর্বশেষ বড় অঙ্কের বিল। এরপর ২০২৩ সালের পুরো সময়জুড়ে দ্বিমাসিক আকু বিল কমে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে ছিল।২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে আকু বিল আবার বাড়তে শুরু করে। চলতি বছরের মে-জুনে বিলের পরিমাণ পৌঁছে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারে, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ইউএনইএসক্যাপ) আকু প্রতিষ্ঠা করে। ইরানের তেহরানভিত্তিক এ সংস্থার মাধ্যমে ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা—মোট ৯টি দেশের আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তি করা হয়।অন্যদিকে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহকে সহায়তা দিতে ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার কিনছে বাংলাদেশ ব্যাংক।গতকাল বৃহস্পতিবার ১৬টি ব্যাংক থেকে মোট প্রায় ১৫ কোটি মার্কিন ডলার (১৪৯ মিলিয়ন ডলার) কেনা হয়েছে। এসময় প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২২.২৫ টাকা থেকে ১২২.২৯ টাকা পর্যন্ত। কাট-অফ রেট ১২২.২৯ টাকা, যা মাল্টিপল প্রাইস নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এ পর্যন্ত নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে মোট ২৬৬ কোটি ৩০ লাখ (২.৬৬ বিলিয়ন ডলার) ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৩ জুলাই থেকে নিলামের মাধ্যমে ডলার কেনা শুরু করে। ওই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই এখন পর্যন্ত এই বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করা হয়েছে।এসএম
    দেশের বাজারে বেড়েছে স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
    দেশের বাজারে বাড়ানো হয়েছে স্বর্ণের দাম। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ (শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর) থেকে স্বর্ণ বিক্রি হবে নতুন দামে। তবে আগের দামেই বিক্রি হবে রুপা।সবশেষ গত ১১ ডিসেম্বর রাতে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়েছে সংগঠনটি।নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ২ হাজার ৪৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।এর আগে, সবশেষ গত ২ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ১ হাজার ৪৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭২ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ৩ ডিসেম্বর থেকে।এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৮৪ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫৭ বার, আর কমেছে মাত্র ২৭ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়।এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়।চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯ বার সমন্বয় করা হয়েছে রুপার দাম। এর মধ্যে বেড়েছে ৬ বার, আর কমেছে মাত্র ৩ বার। আর গত বছর সমন্বয় করা হয়েছিল ৩ বার।এইচএ
    দামে খুশি গদখালীর ফুল চাষিরা, ৫ কোটি টাকা ব্যবসার আশা
    বিজয় দিবসকে সামনে রেখে যশোরের গদখালীর ফুল চাষিরা মৌসুমের প্রথম বাজারে ভালো দাম পাচ্ছেন। চাহিদা বাড়ায় তারা আসন্ন ইংরেজি নববর্ষের বাজার নিয়েও আশাবাদী। এভাবে দাম থাকলে চলতি বছর লাভবান হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন তারা। চাষি নেতারা বলছেন, বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলের ফুল চাষিরা প্রায় ৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করতে পারবেন।গত কয়েক মাসের পরিশ্রমে গদখালীর মাঠগুলোতে ফুটেছে গোলাপ, জারবেরা, গাঁদা, গ্ল্যাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জিপসি, রডস্টিক, কেলেনডোলা, চন্দ্রমল্লিকা সহ বিভিন্ন প্রকারের ফুল। মৌসুমের প্রথম বাজারে চাষিরা ফুলের ভালো দাম পেয়েছেন।সরজমিনে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) গোলাপ প্রতি পিস ৫-৭ টাকা, গ্ল্যাডিওলাস কালার ভেদে ৬-১৪ টাকা, জারবেরা ৮-১২ টাকা, রজনীগন্ধা ৫-৭ টাকা, একশ’ পিস চন্দ্রমল্লিকা ২০০-৩০০ টাকায় এবং এক হাজার হলুদ গাঁদা ৪০০ ও বাসন্তি কালারের গাঁদা ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।চাষিদের মতে, গত কয়েক মাস ধরে ফুলের বাজার ভালো যাচ্ছে এবং আগামী দিনগুলোতে দাম আরও বাড়ার আশা রয়েছে। বিশেষ করে আসন্ন ইংরেজি নববর্ষের বাজার নিয়েও আশাবাদী। আজিজুর রহমান নামের এক ফুল চাষি বলেন, ‘বাজারের অবস্থা গত বছরের তুলনায় খুবই ভালো। সব ধরনের ফুলের দাম সন্তোষজনক। পহেলা জানুয়ারি পর্যন্ত এই দাম অব্যাহত থাকলে আগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো।’চাষি জালাল উদ্দিন জানান, ‘এবার জারবেরা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস ও চন্দ্রমল্লিকা চাষ করেছি। গত এক মাস ধরে ফুলের দাম ভালো আছে। সামনের দিনগুলোতে দাম আরও বাড়বে। যদি এই উর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকে, উৎপাদন খরচ উঠে যাবে এবং লাভও হবে।’আরেক চাষি আব্দুল মঈন বলেন, ‘৪০০ গোলাপ ফুল নিয়ে এসেছি। দাম ৫ টাকা প্রতি পিস বলা হয়েছে, কিন্তু আমি আরও একটু বেশি আশা করছি। সামনে বিজয় দিবস এবং আসন্ন শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) থেকে দাম বাড়বে। আশা করছি, এই দাম বাড়ার ধারা পহেলা জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। চলতি বছর আমরা ফুল বিক্রি করে লাভবান হতে পারব।’গালিব হোসেন নামে আরেক চাষি বলেন, ‘চলতি বছর গরম থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দাম স্থিতিশীল রয়েছে। গোলাপের দাম ৫ টাকার নিচে নামেনি। অন্যান্য ফুলের দামও সমানভাবে আছে। প্রতিদিন ফুলের দাম বাড়ছে। তবে মাঠে ফুলের ধরন কমে গেছে। আগে ১ বিঘা গোলাপ বাগান থেকে ২৫০০-২৬০০ ফুল পাওয়া যেত, এখন সেটা কমে ৫০০-৬০০ এ দাঁড়িয়েছে। চাহিদার তুলনায় যোগান কম হওয়ায় আমরা দাম একটু বেশি পাচ্ছি। সার ও কীটনাশকের দাম যদি নাগালের মধ্যে থাকতো, তবে একটু স্বস্তি পেতাম।’ফুলের বাজার মূল্য নিয়ে ব্যবসায়ীরাও সন্তুষ্ট। সোহরাব নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা চাষিদের কাছ থেকে ফুল কিনে বিভিন্ন জেলায় বিক্রেতাদের কাছে পাঠাই। চলতি বছর শুরু থেকেই ফুলের দাম একটু বেশি। আমরা ক্রয়মূল্য থেকে সামান্য লাভ রেখে বিক্রি করি। এছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে দাম অতিরিক্ত না হয়, সেদিকেও নজর রাখি। এই মাত্রায় যে লাভ হচ্ছে তাতে আমি সন্তুষ্ট।’রিপন হোসেন নামে অপর এক ব্যবসায়ী জানান, ‘ফুলের দাম মানের ওপর নির্ভর করে। বাজারে পর্যাপ্ত ফুল রয়েছে এবং চাহিদাও ভালো। ফলে বাজার এখন ভালো যাচ্ছে। চাষিরা ভালো দাম পাচ্ছেন, এতে আমাদেরও খুশি। চাষি ভালো থাকলে ব্যবসায়ীরাও ভালো থাকবেন।’এদিকে, গদখালী ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ফুলের দাম সন্তোষজনক। চাহিদা ও বাজার দর চাষিদের জন্য অনুকূলে রয়েছে। আমাদের প্রায় পাঁচ হাজার ফুল চাষি আছেন। তারা প্রত্যেকে যদি বিজয় দিবসকে সামনে রেখে অন্তত দশ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেন, তাহলে পাঁচ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করা যাবে। তবে আমি আশাবাদী, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে এর চেয়েও বেশি টাকার ফুল বিক্রি করবে এ অঞ্চলের চাষিরা।”কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, যশোরে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে চাষিরা ১৩ ধরনের ফুল চাষ করেন।এইচএ
    ‘দুর্নীতিবাজদের শাস্তি দিয়ে তাদের প্রতি ঘৃণার সাংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে’
    অতীতের দুর্নীতিবাজদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করে সমাজে তাদের প্রতি ঘৃণার সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দুদকের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ আহ্বান জানান তিনি।সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভবিষ্যতে যেন দুর্নীতি আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে এ জন্য প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। সেইসঙ্গে অতীতের দুর্নীতিবাজদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা এবং সমাজে তাদের প্রতি ঘৃণার সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।তিনি বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারকারীদের শুধু কারাগারে রাখলেই শাস্তি পূর্ণ হয় না। তাদের বিরুদ্ধে সমাজে ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সামাজিক প্রতিরোধই দুর্নীতিকে ঠেকানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়।অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ভবিষ্যতে দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে কেবল আইনি ব্যবস্থাই নয়, সমগ্র সমাজকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে। দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট না করলে তাদের দৌরাত্ম্য কমবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।এমআর-২
    দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
    দেশের বাজারে সবশেষ সমন্বয়ের মাধ্যমে কমানো হয়েছে স্বর্ণের দাম। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সবশেষ সমন্বয়কৃত দামেই দেশের বাজারে মূল্যবান এই ধাতু বিক্রি হচ্ছে।সবশেষ গত ২ ডিসেম্বর রাতে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা কমিয়েছে সংগঠনটি।সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ১ হাজার ৪৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭২ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৯ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।এর আগে, সবশেষ গত ১ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ২ হাজার ৪৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ২ ডিসেম্বর থেকে।এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৮৩ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫৬ বার, আর কমেছে মাত্র ২৭ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়।এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়।চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯ বার সমন্বয় করা হয়েছে রুপার দাম। এর মধ্যে বেড়েছে ৬ বার, আর কমেছে মাত্র ৩ বার। আর গত বছর সমন্বয় করা হয়েছিল ৩ বার।এইচএ
    ডিসেম্বরের ১০ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৯ কোটি ডলার
    ডিসেম্বরের প্রথম ১০ দিনেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সে নতুন গতি দেখা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে দেশে এসেছে ১২৯ কোটি মার্কিন ডলার, অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার।গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন ‘গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১০৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।’তিনি আরো বলেন, ‘শুধু ১০ ডিসেম্বর একদিনেই দেশে এসেছে ১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৩২ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮.৪০ শতাংশ বেশি।’এর আগে চলতি অর্থবছরের মধ্যে নভেম্বরেই রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল সর্বোচ্চ—মোট ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার ডলার।অক্টোবর ও সেপ্টেম্বরে এসেছে যথাক্রমে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর আগস্ট ও জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ও ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার।বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরজুড়ে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৩০.৩২ বিলিয়ন (৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ) ডলার, যা দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহের রেকর্ড।এইচএ
    আমদানির পরও কমেনি পেঁয়াজের দাম, স্বস্তি মৌসুমি সবজিতে
    শীতের আগমনে বাজারে সবজির আনাগোণা বৃদ্ধি পেলেও কমেনি দাম। বাজারে বেগুন, পেঁপেসহ কয়েকটি সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমলেও মৌসুমি সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দামে এখনও লাগেনি শীতের ছোঁয়া; ফলে স্বস্তি মিলছে না ক্রেতাদের।বাজারে আমদানির পর পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও এখনো সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে আসেনি। যদিও বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে। তবে এখনো প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে গুনতে হচ্ছে ১০০ টাকার বেশি।বাজারে এখন নতুন আলুর দাম কমতির দিকে। প্রতি তিন কেজি আলুর প্যাকেজ হাঁকডাক দিয়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। অর্থাৎ, কেজি পড়ছে ৩৩ টাকা। আর প্রতি কেজি নতুন আলু খুচরায় ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।বাজারে দেখা গেছে, গত মৌসুমে উৎপাদিত প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ এখন ১৪০-১৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আর বাজারে নতুন আসা মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে, কোথাও কোথাও অবশ্য ১৩০ টাকাতেও বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে, আমদানি করা পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।বিক্রেতা আবু হোসেন বলেন, দেশি পেঁয়াজের দাম বেশি থাকার কারণে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কম হলেও তা দেশি পেঁয়াজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চড়া দামে বিক্রি করছেন আমদানিকারকরা।তিন-চারদিন আগে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দেশের পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা কমেছিল। কিন্তু শেষ দুদিনের মধ্যেই দাম আবার বেড়ে যায়।গত নভেম্বরের শুরুতে হঠাৎ অস্থির হয়ে ওঠে পেঁয়াজের বাজার। তখন ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম ১১০-১২০ টাকায় স্থিতিশীল হয়। সবশেষ ১০-১২ দিন আগে ফের পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে, দাম ওঠে ১৫০-১৬০ টাকায়। এরপরই আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।পেঁয়াজের চড়া দামের মধ্যেও ভোক্তার স্বস্তি কিছুটা ফিরছে সবজিতে। কারণ, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় নানান ধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। এরমধ্যে গত দুই সপ্তাহের মধ্যে আলুর দাম নেমে এসেছে ৪০ টাকার নিচে।খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা কমে বরবটি, বেগুন ও করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। একইভাবে কেজিতে ঢ্যাঁড়স ও পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়।অন্যদিকে, ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম আরও কমেছে। মাঝারি আকারের এ দুটি সবজির প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।এছাড়া বেশ কয়েক মাস নিম্নমুখী ডিম ও মুরগির বাজার। ফার্মের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকায়। পাড়া-মহল্লার দোকানে বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা দামে।বাজারে এখন ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০-১৬০ টাকার মধ্যে। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০-২৭০ টাকায়। পোল্ট্রি মুরগির বিক্রেতারা বলছেন, শীতে সবজির প্রচুর সরবরাহ থাকলে মুরগি ও ডিমের চাহিদা কিছুটা কমে যায়। এ কারণেই দাম কমেছে।গত রোববার প্রতি লিটার বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে যথাক্রমে ৬ ও ৭ টাকা। এছাড়া প্রতি লিটার পাম তেলের দাম ১৬ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয় ৩৩ টাকা। এতে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে হয় ১৯৫ টাকা। যা আগে ছিল ১৮৯ টাকা।৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯২২ টাকা থেকে বেড়ে ৯৫৫ টাকা হয়েছে। এছাড়া এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম এখন ১৭৬ টাকা এবং প্রতি লিটার পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৬ টাকায়। তবে বাজারে অন্য মুদি পণ্যগুলোর দাম অনেকটাই অপরিবর্তিত দেখা গেছে।এসএম
    ফের ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো রিজার্ভের পরিমাণ
    বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তবে আইএমএফের নির্ধারিত বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব করলে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভ ছিল ২৭ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।এর আগে গত ৬ নভেম্বর রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল। ওই সময়ে রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে তা ছিল ২৮ বিলিয়ন ডলার।তবে এর তিনদিন পর ৯ নভেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের জন্য ১৬১ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আকুর দায় পরিশোধের পর দেশের গ্রস রিজার্ভ ৩১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারে অবস্থান করে। এরপর থেকে ৩০ ও ৩১ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ছিল রিজার্ভ।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাইয়ে মে-জুন মেয়াদের আমদানি ব্যয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ আকুকে ১ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছিল—যা ছিল সর্বশেষ বড় অঙ্কের বিল। এরপর ২০২৩ সালের পুরো সময়জুড়ে দ্বিমাসিক আকু বিল কমে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে ছিল।২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে আকু বিল আবার বাড়তে শুরু করে। চলতি বছরের মে-জুনে বিলের পরিমাণ পৌঁছে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারে, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ইউএনইএসক্যাপ) আকু প্রতিষ্ঠা করে। ইরানের তেহরানভিত্তিক এ সংস্থার মাধ্যমে ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা—মোট ৯টি দেশের আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তি করা হয়।অন্যদিকে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহকে সহায়তা দিতে ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার কিনছে বাংলাদেশ ব্যাংক।গতকাল বৃহস্পতিবার ১৬টি ব্যাংক থেকে মোট প্রায় ১৫ কোটি মার্কিন ডলার (১৪৯ মিলিয়ন ডলার) কেনা হয়েছে। এসময় প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২২.২৫ টাকা থেকে ১২২.২৯ টাকা পর্যন্ত। কাট-অফ রেট ১২২.২৯ টাকা, যা মাল্টিপল প্রাইস নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এ পর্যন্ত নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে মোট ২৬৬ কোটি ৩০ লাখ (২.৬৬ বিলিয়ন ডলার) ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৩ জুলাই থেকে নিলামের মাধ্যমে ডলার কেনা শুরু করে। ওই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই এখন পর্যন্ত এই বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করা হয়েছে।এসএম
    দেশের বাজারে বেড়েছে স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
    দেশের বাজারে বাড়ানো হয়েছে স্বর্ণের দাম। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ (শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর) থেকে স্বর্ণ বিক্রি হবে নতুন দামে। তবে আগের দামেই বিক্রি হবে রুপা।সবশেষ গত ১১ ডিসেম্বর রাতে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়েছে সংগঠনটি।নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ২ হাজার ৪৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।এর আগে, সবশেষ গত ২ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ১ হাজার ৪৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭২ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ৩ ডিসেম্বর থেকে।এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৮৪ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫৭ বার, আর কমেছে মাত্র ২৭ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়।এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়।চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯ বার সমন্বয় করা হয়েছে রুপার দাম। এর মধ্যে বেড়েছে ৬ বার, আর কমেছে মাত্র ৩ বার। আর গত বছর সমন্বয় করা হয়েছিল ৩ বার।এইচএ
    দামে খুশি গদখালীর ফুল চাষিরা, ৫ কোটি টাকা ব্যবসার আশা
    বিজয় দিবসকে সামনে রেখে যশোরের গদখালীর ফুল চাষিরা মৌসুমের প্রথম বাজারে ভালো দাম পাচ্ছেন। চাহিদা বাড়ায় তারা আসন্ন ইংরেজি নববর্ষের বাজার নিয়েও আশাবাদী। এভাবে দাম থাকলে চলতি বছর লাভবান হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন তারা। চাষি নেতারা বলছেন, বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলের ফুল চাষিরা প্রায় ৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করতে পারবেন।গত কয়েক মাসের পরিশ্রমে গদখালীর মাঠগুলোতে ফুটেছে গোলাপ, জারবেরা, গাঁদা, গ্ল্যাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জিপসি, রডস্টিক, কেলেনডোলা, চন্দ্রমল্লিকা সহ বিভিন্ন প্রকারের ফুল। মৌসুমের প্রথম বাজারে চাষিরা ফুলের ভালো দাম পেয়েছেন।সরজমিনে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) গোলাপ প্রতি পিস ৫-৭ টাকা, গ্ল্যাডিওলাস কালার ভেদে ৬-১৪ টাকা, জারবেরা ৮-১২ টাকা, রজনীগন্ধা ৫-৭ টাকা, একশ’ পিস চন্দ্রমল্লিকা ২০০-৩০০ টাকায় এবং এক হাজার হলুদ গাঁদা ৪০০ ও বাসন্তি কালারের গাঁদা ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।চাষিদের মতে, গত কয়েক মাস ধরে ফুলের বাজার ভালো যাচ্ছে এবং আগামী দিনগুলোতে দাম আরও বাড়ার আশা রয়েছে। বিশেষ করে আসন্ন ইংরেজি নববর্ষের বাজার নিয়েও আশাবাদী। আজিজুর রহমান নামের এক ফুল চাষি বলেন, ‘বাজারের অবস্থা গত বছরের তুলনায় খুবই ভালো। সব ধরনের ফুলের দাম সন্তোষজনক। পহেলা জানুয়ারি পর্যন্ত এই দাম অব্যাহত থাকলে আগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো।’চাষি জালাল উদ্দিন জানান, ‘এবার জারবেরা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস ও চন্দ্রমল্লিকা চাষ করেছি। গত এক মাস ধরে ফুলের দাম ভালো আছে। সামনের দিনগুলোতে দাম আরও বাড়বে। যদি এই উর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকে, উৎপাদন খরচ উঠে যাবে এবং লাভও হবে।’আরেক চাষি আব্দুল মঈন বলেন, ‘৪০০ গোলাপ ফুল নিয়ে এসেছি। দাম ৫ টাকা প্রতি পিস বলা হয়েছে, কিন্তু আমি আরও একটু বেশি আশা করছি। সামনে বিজয় দিবস এবং আসন্ন শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) থেকে দাম বাড়বে। আশা করছি, এই দাম বাড়ার ধারা পহেলা জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। চলতি বছর আমরা ফুল বিক্রি করে লাভবান হতে পারব।’গালিব হোসেন নামে আরেক চাষি বলেন, ‘চলতি বছর গরম থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দাম স্থিতিশীল রয়েছে। গোলাপের দাম ৫ টাকার নিচে নামেনি। অন্যান্য ফুলের দামও সমানভাবে আছে। প্রতিদিন ফুলের দাম বাড়ছে। তবে মাঠে ফুলের ধরন কমে গেছে। আগে ১ বিঘা গোলাপ বাগান থেকে ২৫০০-২৬০০ ফুল পাওয়া যেত, এখন সেটা কমে ৫০০-৬০০ এ দাঁড়িয়েছে। চাহিদার তুলনায় যোগান কম হওয়ায় আমরা দাম একটু বেশি পাচ্ছি। সার ও কীটনাশকের দাম যদি নাগালের মধ্যে থাকতো, তবে একটু স্বস্তি পেতাম।’ফুলের বাজার মূল্য নিয়ে ব্যবসায়ীরাও সন্তুষ্ট। সোহরাব নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা চাষিদের কাছ থেকে ফুল কিনে বিভিন্ন জেলায় বিক্রেতাদের কাছে পাঠাই। চলতি বছর শুরু থেকেই ফুলের দাম একটু বেশি। আমরা ক্রয়মূল্য থেকে সামান্য লাভ রেখে বিক্রি করি। এছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে দাম অতিরিক্ত না হয়, সেদিকেও নজর রাখি। এই মাত্রায় যে লাভ হচ্ছে তাতে আমি সন্তুষ্ট।’রিপন হোসেন নামে অপর এক ব্যবসায়ী জানান, ‘ফুলের দাম মানের ওপর নির্ভর করে। বাজারে পর্যাপ্ত ফুল রয়েছে এবং চাহিদাও ভালো। ফলে বাজার এখন ভালো যাচ্ছে। চাষিরা ভালো দাম পাচ্ছেন, এতে আমাদেরও খুশি। চাষি ভালো থাকলে ব্যবসায়ীরাও ভালো থাকবেন।’এদিকে, গদখালী ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ফুলের দাম সন্তোষজনক। চাহিদা ও বাজার দর চাষিদের জন্য অনুকূলে রয়েছে। আমাদের প্রায় পাঁচ হাজার ফুল চাষি আছেন। তারা প্রত্যেকে যদি বিজয় দিবসকে সামনে রেখে অন্তত দশ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেন, তাহলে পাঁচ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করা যাবে। তবে আমি আশাবাদী, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে এর চেয়েও বেশি টাকার ফুল বিক্রি করবে এ অঞ্চলের চাষিরা।”কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, যশোরে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে চাষিরা ১৩ ধরনের ফুল চাষ করেন।এইচএ
    ‘দুর্নীতিবাজদের শাস্তি দিয়ে তাদের প্রতি ঘৃণার সাংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে’
    অতীতের দুর্নীতিবাজদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করে সমাজে তাদের প্রতি ঘৃণার সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দুদকের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ আহ্বান জানান তিনি।সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভবিষ্যতে যেন দুর্নীতি আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে এ জন্য প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। সেইসঙ্গে অতীতের দুর্নীতিবাজদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা এবং সমাজে তাদের প্রতি ঘৃণার সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।তিনি বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারকারীদের শুধু কারাগারে রাখলেই শাস্তি পূর্ণ হয় না। তাদের বিরুদ্ধে সমাজে ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সামাজিক প্রতিরোধই দুর্নীতিকে ঠেকানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়।অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ভবিষ্যতে দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে কেবল আইনি ব্যবস্থাই নয়, সমগ্র সমাজকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে। দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট না করলে তাদের দৌরাত্ম্য কমবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।এমআর-২

    শিক্ষাঙ্গন

    সব দেখুন
    ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ: জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল
    ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদি মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি তাঁতিবাজার মোড় প্রদক্ষিণ করে বিশ্বজিৎ চত্বরে এসে সমবেত হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি করেন।এসময় শিক্ষার্থীরা ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জালো’, ‘হাদির ওপর হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘আমার ভাই হাসপাতালে, ইন্টেরিম কি করে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।পদার্থবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর এই হামলা শুধু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা হাদির ওপর হামলা নয় বরং এই হামলা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা। পাঁচ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে গুপ্ত হামলা শুরু হয়েছে। আমরা ইন্টেরিম সরকারকে দ্রুত এই হত্যার বিচার নিশ্চিতের দাবি জানাই।’গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইভান তাহসিব বলেন, ‘এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, একটা গণঅভ্যুত্থানের পরে দিবালোকে একজন রাজনৈতিক কর্মীকে গুলি করা হয়েছে। ইন্টেরিম সরকার যে সংস্কারের কথা বলেছিলেন তা বাস্তবায়ন না হওয়ার ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা আজ হুমকির মুখে। আমরা অবিলম্বে এই সন্ত্রাসী হামলাকারীদের বিচারের দাবি জানাই।’পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার অওরিন বলেন, ‘চব্বিশের জুলাই আন্দোলনের পর আমরা চেয়েছিলাম স্বাধীনভাবে বাঁচতে। এত রক্তের বিনিময়ে পাওয়া এই স্বাধীনতা অর্জনের পরে আমরা যখন দিনেদুপুরে একজন মানুষের ওপর এমন নৃশংস হামলা দেখি; তখন সত্যিই সেটি উদ্বেগের। আমরা ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি করছি।’ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ফেরদৌস শেখ বলেন, ‘আর কত রক্ত দিলে বাংলাদেশ বাংলার মানুষের হবে। বারবার আমরা রক্ত দিয়েছি বাংলাদেশকে আজাদ করার জন্য। কিন্তু বারবার আমরা দেখছি একদল স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী আমাদের সেই আকাঙ্ক্ষাকে বিনষ্ট করেছে।’ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর এই অতর্কিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। স্বৈরাচার হাসিনার বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করছি।’প্রসঙ্গত, আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরে বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।এসএম
    শেষ হলো এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা
    অনুষ্ঠিত হলো ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে মোট আসন ১৩ হাজার ৫১টি৷ প্রতি আসনের বিপরীতে লড়ছেন ৯ জন করে শিক্ষার্থী।আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে সোয়া ১ ঘণ্টা সারা দেশে একযোগে ১৭টি কেন্দ্রের ৪৯টি ভেন্যুতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে সকাল ৮ থেকে কেন্দ্রে আসতে শুরু করে পরীক্ষার্থীরা। নির্দেশ অনুযায়ী কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হয় সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যেই৷ এরপর ১০টায় শুরু হয় পরীক্ষা, চলে ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। এবার নতুন যোগ হওয়া মানবিক গুণাবলি বিষয়ের কারণে শিক্ষার্থীরা ১৫ মিনিট বেশি পেয়েছেন। পরীক্ষা শুরুর পর কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষা করেন অভিভাবকরা। উৎকণ্ঠিত অভিবাবকদের কাউকে কাউকে দেখা যায় সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করতে। তাদের প্রত্যাশা, সন্তানরা চিকিৎসক হয়ে ঘুনে ধরা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল ধরবেন। সেই সঙ্গে সরকারি মেডিকেলে আসন বৃদ্ধিরও দাবি জানান তারা।পরীক্ষা শেষে উচ্ছ্বসিত দেখা যায় ভর্তিচ্ছুদের। তারা জানান, সুযোগ পেলে মানুষের সেবা করবেন। এছাড়া প্রথমবার অভিন্ন প্রশ্নে এমবিবিএস ও বিডিএস পরীক্ষা নিয়েও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। তবে, সন্তুষ্ট প্রশ্নের মান নিয়ে।এইচএ
    ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ, সাদিক কায়েমের হুঁশিয়ারি
    আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম।শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।সাদিক কায়েম লিখেন, ‘ওসমান হাদীকে গুলি করা হলো। চাঁদাবাজ ও গ্যাংস্টারদের কবল থেকে ঢাকা সিটিকে মুক্ত করতে অচিরেই আমাদের অভ্যুত্থান শুরু হবে। রাজধানীর ছাত্র-জনতাকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’এর আগে, জুমার নামাজের পর রাজধানীর পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন শরিফ ওসমান হাদী। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে।পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম সাংবাদিকদের জানান, আমি শুনেছি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে কোথায় তা আমরা জানি না।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক বলেন, দুপুর আড়াইটার পর পরইই তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার বাম কানের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক।এমআর-২
    ২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে নতুন নির্দেশনা
    ২০২৬ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনিয়মিত, মানোন্নয়নে ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দের পরীক্ষার্থীদের ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস অনুযায়ী নেওয়া হবে। সব শিক্ষা বোর্ড এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক চিঠিতে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়।স্কুলে ভর্তিতে লটারির ফল প্রকাশ, দেখবেন যেভাবেচিঠিতে বলা হয়, ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান এবং আলিম পরীক্ষা এনসিটিবি কর্তৃক পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি আলোকে অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৬ সালের এইচএসসি ও সমমান এবং আলিম পরীক্ষায় অনিয়মিত/মানোন্নয়ন হিসেবে যেসব পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে তাদের পরীক্ষা ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি ও সমমান এবং আলিম পরীক্ষার জন্য ইতোপূর্বে এনসিটিবি পাঠানো পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির আলোকে অনুষ্ঠিত হবে।এইচএ

    তথ্য-প্রযুক্তি

    সব দেখুন
    ফেসবুক অ্যাপে বড় পরিবর্তন
    মেটা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফেসবুক এবার তার মূল উদ্দেশ্যগুলোতে ফিরে আসছে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ, ছবি শেয়ার এবং মার্কেটপ্লেস। বেশ কিছু বছর মেটাভার্সে মনোনিবেশ করার পর, এবার খরচ কমানো এবং ব্যবহারকারীর আগ্রহ ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে তারা নতুন করে ফেসবুকের অভিজ্ঞতা পরিবর্তন করছে।বিশ্বজুড়ে ব্যবহারকারীর সংখ্যা অগণিত হলেও, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু বাজারে তরুণ ব্যবহারকারীর প্রবৃদ্ধি থেমে গিয়েছিল। তাই জেন–জেড প্রজন্মকে ধরে রাখার জন্য ফেসবুক নতুন ফিচার নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো মার্কেটপ্লেসের গুরুত্ব বৃদ্ধি। মার্কেটপ্লেস এখন তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়, কিন্তু আগে এটি অ্যাপের ‘More’ মেনুর ভিতরে ছিল। নতুন আপডেটে মার্কেটপ্লেসকে নিচের নেভিগেশন বারে তুলে আনা হয়েছে, যেখানে থাকবে রিলস ও বন্ধু সংক্রান্ত অপশন।ফেসবুকে বন্ধুত্ব-কেন্দ্রিক অভিজ্ঞতা আরও জোরদার করতে প্রোফাইল ট্যাব আগের অবস্থানে রাখা হয়েছে এবং ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দ মতো সেটিংস কাস্টমাইজ করতে পারবে। ছবি দেখার ধরনও বদলানো হয়েছে—ডাবল ট্যাপ করে ইনস্টাগ্রামের মতো লাইক করা যাবে এবং ছবিগুলো একটি গ্রিডে সাজানো হবে, ক্লিক করলে ফুল স্ক্রিনে দেখা যাবে। সার্চ পেজেও ইন্টারেকটিভ গ্রিড ডিজাইন যোগ করা হচ্ছে, যাতে ছবি ও ভিডিও আরও গভীরভাবে দেখা যাবে। স্টোরি ও পোস্ট তৈরি করাও সহজ হচ্ছে, মিউজিক যোগ করা এবং বন্ধু ট্যাগ করার সুবিধা সামনে আনা হয়েছে।কমেন্ট সেকশনেও নতুন ফিচার এসেছে, যেমন সহজ রিপ্লাই, বেশি দৃশ্যমান ব্যাজ, পিনিং টুল এবং মডারেশন টুল উন্নত করা হয়েছে। বিরক্তিকর মন্তব্য অ্যানোনিমাস রিপোর্ট করার সুবিধাও দেয়া হয়েছে। ব্যবহারকারীরা ফিডে কোন পোস্ট পছন্দ না হলে তার কারণ জানাতে পারবে, যা ফিডকে আরও ব্যক্তিগতকৃত করবে।সবশেষে, ফেসবুকে প্রোফাইলে আগ্রহ, শখ, ভ্রমণ তথ্যসহ নানা তথ্য যোগ করা যাবে, যা মিল থাকা বন্ধুদের সঙ্গে সংযোগ বাড়াবে। তবে এই তথ্য ফিডে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যাবে না; ব্যবহারকারী চাইলে বন্ধ করতে পারবে।পরিবর্তনগুলো আগামী কয়েক সপ্তাহে সারা বিশ্বে চালু হবে, যদিও নেভিগেশন, সার্চ ও কমেন্ট সংক্রান্ত কিছু পরিবর্তন শুধুমাত্র মোবাইল সংস্করণে দেখা যাবে। ফেসবুকের এই নতুন দিকনির্দেশনা মূলত ব্যবহারকারীর বন্ধুত্ব এবং যোগাযোগকে সহজ ও আরও আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছে।এইচএ
    আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
    আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হচ্ছে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম। এ অবস্থায় মজুত ও পাইপলাইনে থাকা আনঅফিসিয়াল বিক্রি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত হয়েছে।নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অননঅফিসিয়াল ফোন বিক্রির জন্য বিক্রেতারা মার্চ মাস পর্যন্ত সময় পাবেন। অর্থাৎ মার্চ পর্যন্ত আনঅফিসিয়াল ফোন কিনলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা নিবন্ধিত হবে। এসব ফোন বন্ধ হবে না। মার্চ মাসের পর থেকে আর আনঅফিসিয়াল ফোন বিক্রির আরও কোনো সুযোগ থাকবে না।বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে হ্যান্ডসেট উৎপাদক, বিটিআরসি ও মোবাইল ব্যবসায়ীদের মধ্যে হওয়া বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের সভাপতি মো. আসলাম।এ বিষয়ে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সরকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবেন বলেও জানান তিনি। এদিকে, সন্ধ্যা ৬টার দিকে এনইআইআর সিস্টেম সংস্কারের দাবিতে কারওয়ান বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।মোবাইল ফোন বিক্রেতাদের আন্দোলন বিষয়ে তিনি বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে আন্দোলন প্রত্যহারের বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হবে।আরডি
    চ্যাটজিপিটি থেকে কপি-পেস্ট করে পড়াচ্ছেন শিক্ষকেরা
    শিক্ষা ক্ষেত্রে গত কয়েক বছর ধরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়তে থাকায় এক নতুন চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাজ্যের স্ট্যাফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন যে তাদের জন্য এআই ব্যবহার করে কোর্স ও লেকচার তৈরি করা হচ্ছে।শিক্ষার্থীদের দাবি, এআই দিয়ে তৈরি এসব কোর্সে সন্দেহজনক ফাইলের নাম ও অপ্রত্যাশিত ভয়েসওভার উচ্চারণ শোনা যাচ্ছে, যা পড়াশোনার মান কমিয়ে দিচ্ছে। তাদের মতে, কোর্সের বেশিরভাগ অংশ এআই-নির্ভর হওয়ায় তারা শিক্ষকের জ্ঞান ও পড়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জেমস ও ওয়েনসহ ৪১ জন শিক্ষার্থী ২০২৪ সালে স্ট্যাফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে কোডিং মডিউলের ওপর কোর্সে ভর্তি হন। এই কোর্সের উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বা সফটওয়্যার প্রকৌশলী হওয়ার কৌশল শেখানো। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, পুরো এক টার্ম ধরে কোর্সটিতে এআই দিয়ে তৈরি স্লাইড ও মাঝে মাঝে একটি এআই ভয়েসওভার ব্যবহার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এটিকে তাদের জীবনের দুই বছর নষ্ট করার শামিল বলে অভিযোগ করেছেন এবং এর মাধ্যমে সবচেয়ে সস্তা উপায়ে কোর্স তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করছেন। শিক্ষার্থীদের প্রধান ক্ষোভের কারণ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিমুখী নীতি। শিক্ষার্থীদের যদি তাদের বাড়ির কাজ বা ক্লাসে এআই ব্যবহার করতে দেখা যায়, তবে তাদের নীতি লঙ্ঘনে অভিযুক্ত করা হয় এবং একাডেমিক অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করা হয়। অথচ তাদেরই এআই দিয়ে পড়ানো হচ্ছে। এক অধ্যাপকের সঙ্গে বিতর্কের সময় শিক্ষার্থী জেমস এই অসঙ্গতির কথা তুলে ধরেন।বারবার বিশ্ববিদ্যালয়কে এআই-নির্ভর লেকচার সম্পর্কে জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ এখনো কোর্স শেখানোর জন্য এআই দিয়ে তৈরি সামগ্রী ব্যবহার করছে এবং একটি বিবৃতির মাধ্যমে এআই ব্যবহারের ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করছে।যুক্তরাজ্যের শিক্ষা বিভাগ এআই ব্যবহারকে শিক্ষার উন্নয়নে স্বাগত জানালেও, শিক্ষকদের জন্য উপকারী প্রমাণিত হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য এটি হতাশাজনক হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে। একটি জরিপে দেখা গেছে, তিন হাজার ২৮৭ জন শিক্ষকের মধ্যে প্রায় এক-চতুর্থাংশ তাদের শিক্ষাদানে এআই টুল ব্যবহার করছেন।অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে এআই ব্যবহারকারী অধ্যাপকদের সম্পর্কে নেতিবাচক রিভিউ পোস্ট করে অভিযোগ করছেন যে শিক্ষকেরা চ্যাটজিপিটি থেকে কপি-পেস্ট করে এনে পড়াচ্ছেন।স্ট্যাফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনা শিক্ষা ক্ষেত্রে এআইয়ের ব্যবহার ও নৈতিকতা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ানএইচএ
    জাপানের বাজারে এলো মানব ওয়াশিং মেশিন
    জাপানের বাজারে এসেছে ‘মানব ওয়াশিং মেশিন’। ব্যবহারকারী একটি পডে শুয়ে ঢাকনা বন্ধ করলেই কাপড়ের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে।‘হিউম্যান ওয়াশার অব দ্য ফিউচার’ নামের এই যন্ত্রের একটি মডেল গত অক্টোবরে ওসাকায় এক প্রদর্শনীতে প্রদর্শন করা হয়। সে সময় যন্ত্রটি দেখার জন্য দীর্ঘ লাইন পড়ে গিয়েছিল। জাপানি প্রতিষ্ঠান ‘সায়েন্স’ যন্ত্রটি তৈরি করেছে। এটি ১৯৭০ সালে ওসাকায় আয়োজিত এক্সপোতে প্রদর্শিত একটি পুরোনো পণ্যের আধুনিক সংস্করণ। গত শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) নির্মাতা কোম্পানি সায়েন্স-এর মুখপাত্র সাচিকো মায়েকুরা বলেন, ‘আমাদের কোম্পানির প্রেসিডেন্ট তখন ১০ বছরের শিশু ছিলেন। সেই প্রদর্শনী থেকেই তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই মেশিন শুধু শরীর নয়, মনও পরিষ্কার করে দেবে।’ একই সাথে ব্যবহারকারীর হৃদস্পন্দন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক লক্ষণও পর্যবেক্ষণ করবে।ওসাকার একটি হোটেল প্রথম ক্রেতা হিসেবে একটি মানব ওয়াশিং মেশিন কিনেছে এবং অতিথিদের জন্য সেবা চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।মূখপাত্র মায়েকুরা বলেন, ‘মেশিনটির মূল আকর্ষণ হলো- এটি খুবই বিরল একটি যন্ত্র। আমরা প্রায় ৫০টি মেশিন বানানোর পরিকল্পনা করছি।’ যন্ত্রটির বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ কোটি ইয়েন (৩ লাখ ৮৫ হাজার মার্কিন ডলার)।এইচএ
    ১৬ ডিসেম্বর থেকে অনিবন্ধিত মুঠোফোন বন্ধে কঠোর সরকার
    সরকার ১৬ ডিসেম্বর থেকে মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন প্রক্রিয়া (এনইআইআর) চালু করতে যাচ্ছে। যা টেলিযোগাযোগ খাতে নিরাপত্তা জোরদার ও অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করবে। এই নতুন উদ্যোগের ফলে দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে নিবন্ধনবিহীন, চুরি হওয়া কিংবা অনুমোদনবিহীন আমদানি করা মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।নতুন ব্যবস্থার আগাম ঘোষণা পাওয়ার পর অনিবন্ধিত মোবাইল ডিভাইসের দাম বাড়ার আশঙ্কায় বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। তবে সাধারণ মানুষ বিশেষত ছাত্র-যুবকরা অভিযোগ করছেন, সরকারি শুল্ক ও ভ্যাটের কারণে অফিসিয়াল ফোনের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় তারা পছন্দের ফোন কেনার সুযোগ পাচ্ছেন না। একটি ২০ হাজার টাকার ফোনে ৫৭ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত হয়ে এর দাম ৫০ হাজার টাকারও বেশি হয়ে যাচ্ছে।অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা অনিবন্ধিত ফোন আমদানিতে ৫৭ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন। মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির সভাপতি মো. আসলাম বলেন, সরকার যদি আলোচনায় না আসে, তাহলে ব্যবসায়ীরা রাজপথে নামার পথে বাধ্য হবে।ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব জানান, দেশে ৭৩ শতাংশ ডিজিটাল প্রতারণায় অবৈধ স্মার্টফোন ব্যবহৃত হচ্ছে, যা বন্ধ করতে সরকার এই কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, মোবাইল ফোন চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত একটি বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থে এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।নির্বাচনের আগে অবৈধ ডিভাইসকেন্দ্রিক অপরাধ দমন, সুলভ দামে মোবাইল সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি এই লক্ষ্য নিয়েই ১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর কার্যকর করার সিদ্ধান্ত সরকার নেয়।আইসিটি বিভাগ জানিয়েছে, এনইআইআর চালুর আগের দিন পর্যন্ত নেটওয়ার্কে থাকা সব মোবাইল ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। পরবর্তীতে বিদেশ থেকে ফোন আনার ক্ষেত্রে অনলাইনে নিবন্ধনের সুযোগ থাকবে। এইচএ
    সারাদেশে মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ, বিটিআরসি ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি
    সিন্ডিকেট প্রথা বিলোপ ও মোবাইল ফোন আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত করাসহ নানা দাবিতে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য আজ থেকে মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন মোবাইল ব্যবসায়ীরা। দাবি না মানলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।আজ রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ঢাকায় মোবাইল ফোনের বেশিরভাগ দোকান বন্ধ রাখতে দেখা গেছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর চালু হতে যাওয়া ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) সংস্কার, সিন্ডিকেট প্রথা বিলোপ ও মোবাইল ফোন আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত করাসহ কয়েকটি দাবি আদায়ে এ কর্মসূচি করছেন তারা।এদিকে, দাবি আদায়ে মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় মোবাইল ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি (এমবিসিবি)।বাংলাদেশ মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সায়ীদ পিয়াস জানান, দাবি আদায়ে রোববার সকাল থেকেই সারাদেশে মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ রেখেছেন। ব্যবসায়ীরা এখন বিটিআরসি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হচ্ছেন। সেখানে অবস্থান কর্মসূচি করা হবে।মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এনইআইআর বাস্তবায়ন হলে লাখো ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নতুন এ নিয়মের ফলে শুধুমাত্র একটি বিশেষ গোষ্ঠী লাভবান হবে এবং বাড়তি করের চাপে গ্রাহক পর্যায়েও মোবাইলের দাম বেড়ে যাবে।ব্যবসায়ীদের যত অভিযোগ ও দাবিমোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের মোবাইল ফোন ব্যবসার মার্কেট শেয়ার যাদের ৭০ শতাংশের বেশি, তাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে এনইআইআর চালু করতে হবে। কোনোভাবেই তারা এনইআইআরের বিরুদ্ধে না। তবে এ প্রক্রিয়ার কিছু সংস্কার, ন্যায্য করনীতি প্রণয়ন, একচেটিয়া সিন্ডিকেট বিলোপ এবং মুক্ত বাণিজ্যের স্বার্থে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে তাদের কিছু দাবি ও প্রস্তাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা সরকারকে জানাতে চান। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের বিশাল সংখ্যক ব্যবসায়ীর কথা না শুনেই একতরফা এনইআইআর চালু করতে যাচ্ছে।ব্যবসায়ী নেতাদের অভিযোগ, কোনো পূর্ব-পরামর্শ ছাড়াই হঠাৎ এনইআইআর বাস্তবায়নের ঘোষণা বাজারে চরম অস্থিরতা তৈরি করেছে। ফলে দেশের প্রায় ২৫ হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং এর সঙ্গে জড়িত ২০ লাখেরও বেশি মানুষের জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। তারা বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। বর্তমানে তাদের স্টকে কোটি কোটি টাকার হ্যান্ডসেট রয়েছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিপুল পরিমাণ অবিক্রিত হ্যান্ডসেট বিক্রি করা অসম্ভব। দাবি না মেনে গুটিকয়েক ব্যবসায়ীকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দিলে তারা পথে বসবেন।এমবিসিবির নেতারা জানান, এনইআইআরের বর্তমান কাঠামো যদি অপরিবর্তিতভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে শুল্ক ৫৭ শতাংশ হোক কিংবা শূন্য শতাংশ, কোনো অবস্থাতেই বৈধ উপায়ে মোবাইল ফোন আমদানি সম্ভব হবে না। কারণ বিটিআরসির আমদানি নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, কোনো বিদেশি ব্র্যান্ড যদি স্থানীয়ভাবে তাদের পণ্য সংযোজন করে, তাহলে সেই ব্র্যান্ডের কোনো মডেল অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান আমদানি করতে পারবে না।তাদের অভিযোগ, এ নীতিমালা কার্যত মনোপলি ব্যবসার সুযোগ তৈরি করছে। এর ফলে বাজারে বিদ্যমান প্রতিযোগিতা বিলুপ্ত হবে এবং প্রায় ১৮ কোটি মানুষের মোবাইল ফোন বাজারের নিয়ন্ত্রণ গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে যাবে। একই সঙ্গে স্মার্টফোনের দাম আকস্মিকভাবে বেড়ে যাবে এবং সাধারণ ভোক্তারা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এইচএ  

    আইন-আদালত

    সব দেখুন
    হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীরা শনাক্ত, যেকোনো সময় গ্রেপ্তার: ডিএমপি কমিশনার
    ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করেছে পুলিশ। যেকোনো সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে দেশের একটি অন্যতম টিভি চ্যানেলকে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।তিনি জানান, ওসমান হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করা হয়েছে। যেকোনো সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। এ বিষয়ে কাজ চলছে।এফএস

    প্রবাস

    সব দেখুন
    গ্রিসে পানি ভেবে পেট্রোল পান করে ২ বাংলাদেশির মৃত্যু, অসুস্থ ৪০
    গ্রিসে অবৈধভাবে নৌপথে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন প্রায় ৪০ জন বাংলাদেশি। তীব্র শীত ও ক্ষুধার পাশাপাশি মানবপাচারকারীদের নৌকায় পানি ভেবে পেট্রোল পান করায় তারা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।নিহতরা হলেন– সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার আব্দুস মিয়ার পুত্র শাকিব আহমেদ শুভ, একই জেলার জিতু উল্লাহর পুত্র সায়েম আহমেদ।গ্রিসের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, গত ২৬ নভেম্বর ছোট নৌকায় লিবিয়া থেকে গ্রিস অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন। মাঝ সমুদ্রে তাদের প্লাস্টিকের তৈরি নৌকাটি ছিদ্র হয়ে পানি প্রবেশ করে। পথে তাদের কাছে কোনো খাবার ছিল না। তারা প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত ছিলেন। প্রায় দু’দিন খাবার না পেয়ে তারা প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত অবস্থায় পানি ভেবে বোতলে থাকা পেট্রোল পান করেন। এতে অনেকেই অচেতন হয়ে পড়েন। পরে গ্রিসের কোস্টগার্ড ও স্থানীয় পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।এদিকে, এথেন্সের এক্সার্খিয়া এলাকার একটি হাসপাতাল এ ঘটনায় বাংলাদেশ দূতাবাসকে অবহিত করলে দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশিদের খোঁজখবর নেয়। দূতাবাসের প্রথম সচিব রাবেয়া বেগম হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন ও চিকিৎসার খোঁজ নেন।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, পেট্রোল পান করার কারণে তাদের অনেকের পাকস্থলী ও শ্বাসযন্ত্রে গুরুতর জটিলতা দেখা দিয়েছে। শারীরিক দুর্বলতা, পানিশূন্যতা ও হাইপোথার্মিয়ার কারণে চিকিৎসা আরও জটিল হয়ে উঠেছে। পেট্রোল পান করার কারণেই দুই জনের মৃত্যুসহ বাকি চার জনের অবস্থা গুরুতর ছিল। এছাড়াও একজনের কিডনিতে পেট্রোলের প্রভাব পড়েছে, যার কারণে তার কিডনি ডায়ালাইসিস চলমান রয়েছে। বাকিদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত থাকায় দু’দিন পর তাদের হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে দেওয়া হবে। এছাড়াও আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তাদের মালাকাসা ক্যাম্পে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়।আটকরা জানান, দালাল চক্রের মাধ্যমে নৌকায় গ্রিসে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার সময় পর্যাপ্ত খাবার বা পানি দেওয়া হয়নি। অমানবিক অবস্থায় ভ্রমণ করতে গিয়ে তারা জীবনের ঝুঁকিতে পড়েন।এথেন্সের বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব রাবেয়া বেগম বলেন, মানবপাচারকারীদের হাত থেকে দূরে থাকতে এবং কোনোভাবেই অবৈধভাবে সমুদ্রপথে গ্রিসে যাওয়ার চেষ্টা না করতে সর্বসাধারণকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে। একইসঙ্গে হাসপাতালে থাকা বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা করা হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, অবৈধ পথে অনুপ্রবেশ জীবনের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকি। গ্রিসে বৈধভাবে আসার পথ ছাড়া অন্য কোনো উপায় গ্রহণ করা উচিত নয়।নিহত দুই যুবকের মরদেহ দেশে পাঠাতে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে দূতাবাস।এ ঘটনায় গ্রিসে অবস্থানরত প্রবাসীদের মধ্যেও ব্যাপক উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। মানবিক সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দূতাবাস, গ্রিক পুলিশ ও হাসপাতাল প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করছে।এমআর-২

    লাইফস্টাইল

    সব দেখুন
    ঔষধি গুণে ভরপুর প্রকৃতির অলৌকিক ভেষজ উদ্ভিদ 'ফুরফুরি গাছ'
    গ্রাম-বাংলার অতি পরিচিত একটি গুল্ম হল ফুরফুরি গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Scoparia dulcis। ক্ষেতের আইল বা পরিত্যাক্ত জায়গায় গাছটি প্রায়শই চোখে পড়ে। এর হালকা মিষ্টি স্বাদ এবং পাতা ঘষলে এক প্রকার সুগন্ধ বের হওয়ার কারণে এটি অনেকের কাছেই পরিচিত। এই সাদামাটা গাছটি আদতে আমাদের ঐতিহ্যবাহী ভেষজ চিকিৎসায় এক অমূল্য রত্ন।​প্রচলিত নাম ও পরিচিতি: ​ফুরফুরি গাছকে অঞ্চলভেদে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। যেমন, মিষ্টি ঝাড়ু (Sweet Broomweed), চিনি গাছ (চিনির মতো মিষ্টি স্বাদের জন্য), বন মরিচ,বন তুলসি। এই গাছটি বহুবর্ষজীবী এবং প্রায় এক ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। এর পাতাগুলো ছোট, ডিম্বাকার এবং ফুলগুলো ক্ষুদ্রাকৃতির, সাধারণত সাদা রঙের।​ফুরফুরি গাছের বৈজ্ঞানিক ভেষজ গুণাগুণ: ​আধুনিক গবেষণা এবং লোক-চিকিৎসা উভয়ই ফুরফুরি গাছের অসাধারণ ভেষজ গুরুত্ব তুলে ধরেছে। এর মূল, কাণ্ড, পাতা সবকিছুই ঔষধি গুণে ভরপুর।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: ​ফুরফুরি গাছের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা ফ্লাভোনয়েডস (Flavonoids) এবং ট্রাইটারপেনয়েডস (Triterpenoids) নামক যৌগগুলি ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে এবং গ্লুকোজের শোষণ কমাতে সহায়ক হতে পারে। ঐতিহ্যগতভাবে, ডায়াবেটিস রোগীরা এর পাতার রস বা ক্বাথ সেবন করে থাকেন।​উচ্চ রক্তচাপ কমাতে: ​এই ভেষজটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ফুরফুরি গাছের নির্যাস রক্তনালীকে শিথিল করে এবং মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে, যা উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন কমাতে সহায়তা করে।​জ্বর ও প্রদাহ উপশমে: ​ফুরফুরি গাছের ক্বাথ বা পাতার রস জ্বর কমাতে বা জ্বরনাশক (Antipyretic) হিসেবে খুবই উপকারী। একইসঙ্গে, এতে থাকা যৌগসমূহ শরীরের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক প্রদাহ (Inflammation) কমাতে সাহায্য করে। এটি বাতের ব্যথা বা ফোলা কমাতে লোক-চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শক্তি: ​ফুরফুরি গাছ হলো প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট-এর ভান্ডার। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলি শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি র‍্যাডিকেলস (Free Radicals) এর বিরুদ্ধে লড়াই করে, যা কোষের ক্ষয় রোধ করে এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে।​যকৃতের সুরক্ষায়: ​ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসায়, এই গাছটিকে যকৃত (Liver)-এর সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ফুরফুরি গাছের নির্যাস যকৃতের কোষকে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থের হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম।​ব্যবহারের প্রথাগত পদ্ধতি। ফুরফুরি গাছ সাধারণত নিম্নলিখিত উপায়ে ব্যবহার করা হয়।ব্যবহারের ক্ষেত্র প্রস্তুত প্রণালী ও উপকারিতা** ডায়াবেটিস পাতার টাটকা রস বা শুকনো পাতার ক্বাথ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ** জ্বর/সর্দি-কাশিতে এই গাছের পাতা ও কাণ্ডের সাথে আদা মিশিয়ে ক্বাথ তৈরি করে নিতে হবে। ফলে জ্বর কমায়, শ্বাসযন্ত্রের আরাম দেয়।** পেটের সমস্যা মূল ও পাতার পেস্ট অল্প পরিমাণে সেবন করতে হবে। হজম উন্নত করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।** পাতার পেস্ট বা রস ত্বকের ক্ষতস্থানে সরাসরি প্রয়োগ করতে হবে।ফলে দ্রুত আরোগ্য এবং সংক্রমণ রোধ হবে।সতর্কতা: ​ফুরফুরি গাছ একটি প্রাকৃতিক ভেষজ হলেও, এর ব্যবহারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যেকোনো ভেষজ চিকিৎসার ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় বা গুরুতর অসুস্থতায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যিক। ডায়াবেটিসের ওষুধ গ্রহণকারী ব্যক্তিরা এই গাছ সেবন করলে রক্তে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে।​উল্লেখ্য, ফুরফুরি গাছ কেবল একটি আগাছা নয়, এটি আমাদের প্রকৃতির এক নীরব চিকিৎসক। এর বহুমুখী ভেষজ গুণাগুণ এটিকে আধুনিক ফার্মাসিউটিক্যাল গবেষণার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে স্থান দিয়েছে। প্রয়োজন শুধু এই অমূল্য সম্পদকে সংরক্ষণ করা এবং সঠিক বৈজ্ঞানিক উপায়ে এর গুণাগুণকে কাজে লাগানো।এইচএ

    Loading…