ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরই গণভবনে ঢুকে পড়েন অসংখ্য মানুষ। গণভবন ভাঙচুরসহ লুটপাট চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এমতবস্থায় নিজেদের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত গণভবন মেরামতের আগ্রহ প্রকাশ করেছে হাউজিং প্রতিষ্ঠান স্বপ্নধরা।
রবিবার (১১ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় হাউজিং প্রতিষ্ঠান স্বপ্নধরা। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের পেইজে একটি পোস্টের মাধ্যমে এই আগ্রহের কথা জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত সোমবার ছাত্র-জনতার গণ–আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন। তারপর গণভবনে ঢুকে পড়েন অসংখ্য মানুষ। একইভাবে জাতীয় সংসদ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও দেখা যায় জনতার ঢল। এসময় উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে অনেকেই গণভবন ভাংচুড় করেন। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গণভবনের কাঠামো, রঙ, ইলেকট্রিক লাইন, লাইট, ফ্যান ও আরও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস।
এক পর্যায়ে গণভবনের বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যায় সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে ছিল এসি, টিভি, ফার্নিচারসহ আরও নানান জিনিসপত্র। অবশ্য পরবর্তীতে সেসব জিনিস ফেরত দিয়েছেন অনেকেই। তবে আমাদের গণভবন এক রকম ধ্বংস্তুপেই পরিণত হয়েছে। আর তাই দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধ থেকেই স্বপ্নধরা গণভবনকে আবারও পূর্বের ন্যায় কাঠামোগত রিপেয়ার করে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
বর্তমানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দেশ বিনির্মাণের কাজ শুরু করেছে, এমনকি ট্রাফিক কন্ট্রোলের মতো কাজেও নিজেদের সম্পৃক্ত করেছে তারা৷ শিক্ষার্থীদের এরকম প্রশংসনীয় উদ্যোগ দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছে স্বপ্নধারা। ‘আমাদের গণভবন, আমরা সাজাবো’ স্লোগান নিয়ে কাজ করতে চায় স্বপ্নধরা।
স্বপ্নধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ উর রশিদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা পারলে আমরা কেন পারবো না। আমাদেরও তো কিছু দায়িত্ব আছে। আর গণভবন আমাদেরই সম্পদ। সেটা ঠিক করার দায়িত্ব আমাদের সকলের।'
অন্যান্য দেশীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবাই একসাথে এগিয়ে আসলে ও একসাথে কাজ করলে আমরা আমাদের দেশটা ঠিক করতে পারবো, এটা ছাত্র-জনতা প্রমাণ করেছে।'
এইচএ