এইমাত্র
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় আরও ২ জন আটক
  • প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় উপদেষ্টার দপ্তরের নির্দেশে তদন্ত শুরু
  • সাবেক বিচারপতি মেজবাহ উদ্দিন মারা গেছেন
  • বাসভবন-কার্যালয় প্রস্তুত, সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তারেক রহমান
  • ফটিকছড়িতে অবাধে কাটা হচ্ছে পাহাড়-টিলা-কৃষি জমি, হুমকিতে পরিবেশ
  • আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
  • মেসি-শচীনের ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ, উপহার বিনিময়
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় মামলা
  • হাবিবুরসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুরু আজ
  • বাংলাদেশি শান্তিকর্মীদের ওপর হামলা, সুদানকে সতর্কবার্তা জাতিসংঘের
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    রামুতে বনবিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ

    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (কক্সবাজার) প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৫ এএম
    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (কক্সবাজার) প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৫ এএম

    রামুতে বনবিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ

    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (কক্সবাজার) প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৫ এএম

    কক্সবাজারের রামুতে হিমছড়ি ঝর্ণার আশপাশের জমি নিয়ে বনবিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দিয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) এ বিরোধের জেরে উভয় পক্ষই স্থাপনা উচ্ছেদ ও ভাঙচুরে জড়ায়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে প্রকাশ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়, যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

    জানা গেছে, হিমছড়ি এলাকায় মেরিন ড্রাইভ ঘেঁষা ঝর্ণাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বনবিভাগের অধীন জাতীয় উদ্যান, নিসর্গ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং উপজেলা প্রশাসনের ইজারা দেওয়া হিমছড়ি বাজার, পার্কিং ও পাবলিক টয়লেট। জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব বৃহস্পতিবার নতুন মাত্রা পায়।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, 'হিমছড়ি ঝর্ণাটি বনবিভাগের পক্ষ থেকে ইজারা দেওয়া হয়। আর ঝর্ণার সামনের বাজার ও পার্কিং ইজারা দেয় উপজেলা প্রশাসন। প্রায় চার বছর আগে এনজিওর অর্থায়নে তৈরি হওয়া পাবলিক টয়লেটটিও উপজেলা প্রশাসন ইজারা দিয়ে পরিচালনা করছে।'

    তবে সম্প্রতি ঝর্ণার প্রবেশ গেট নির্মাণকাজ শুরু করে বনবিভাগ। গেট তৈরির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে পাবলিক টয়লেটের একাংশ ভেঙে ফেলা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রামু উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল। তিনি বনবিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তর্কে জড়ান এবং দাবি করেন, 'বনবিভাগের নিসর্গ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ কয়েকটি স্থাপনা সরকারের ১ নম্বর খাস খতিয়ানের আওতায়।'

    এ সময় সহকারী কমিশনার ভূমির উপস্থিতিতে নিসর্গ কেন্দ্রের সাইনবোর্ডসহ বেশ কিছু কাঠামো ভেঙে ফেলা হয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

    বনবিভাগের হিমছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. হাবিবুল হক বলেন, 'নিসর্গ পুরোপুরি বনবিভাগের ২ নম্বর খতিয়ানে রয়েছে। সেখানকার ঘরবাড়ি, সাইনবোর্ডসহ সব স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে। অথচ পাবলিক টয়লেটটি বহুদিন ধরে আমাদের জমিতে থাকলেও আমরা কখনো বাধা দিইনি। প্রবেশ গেট নির্মাণের জন্য টয়লেটের একাংশ ভাঙতে হয়েছে।'

    বন বিভাগের দক্ষিণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম জানান, 'শতভাগ বনবিভাগের জমিতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এতে আমাদের ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাস্থলে গেলে আমাদের অপদস্থ করা হয়। বিষয়টি আমরা ইতোমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন।'

    এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি মো. সাজ্জাদ জাহিদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি

    তবে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, 'এখানে উভয় পক্ষই সরকারের স্বার্থে কাজ করছে। কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমি বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে মীমাংসা করেছি।'

    তিনি আরও বলেন, 'বিরোধের কিছু নেই। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেভাবে ভিডিও এসেছে, তা কিছুটা বিব্রতকর।'

    প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্পট হিমছড়িকে ঘিরে এমন অস্থিরতা পর্যটনবান্ধব পরিবেশে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। তারা দ্রুত সমন্বয় ও সমাধান চাচ্ছেন।

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…