স্যালোমেশিন চুরির ঘটনা ধামা চাপা দিতে কার্তিক চন্দ্র নামে এক গরু ব্যবসায়ীকে গভীর রাতে মোবাইলে ডেকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের নারায়ানপুর কুয়াভিটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কার্তিক চন্দ্র (৫০) উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের কুয়াভিটা গ্রামের প্রয়াত খনা রায়ের ছেলে।
পরিবারের স্বজনদের অভিযোগ, চুরির ঘটনা টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল চোর ও তার লোকজন। কার্তিক চন্দ্র শালিস বৈঠকে স্বাক্ষী দিতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে গ্রামে সপ্তাহজুড়ে আলোচনা চলছিল। গভীর রাতে ডেকে মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে বললে রাজি না হওয়ায় শুরুতে এলোপাথারী মারপিট ও পরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় কার্তিক চন্দ্রকে।
মঙ্গলবার দুপুরে কার্তিক চন্দ্রের ছেলে কপিল চন্দ্র বর্মন বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে রানীশংকৈল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে রানীশংকৈল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ধর্মগড় ইউনিয়নের কুয়াভিটা গ্রামের প্রয়াত অনন্ত কুমার রায়ের দুই ছেলে তপন চন্দ্র (৪৩), ডালিম চন্দ্র (৩৫), একই গ্রামের নবদেব কুমার বর্মনের ছেলে রতন চন্দ্র বর্মন (২৩), প্রয়াত হেমন্তের ছেলে নবদেব কুমার বর্মন (৪৮) ও একই গ্রামের হিরা।
কার্তিক রায়ের মেয়ে ললিতা রায় বলেন, বাবাকে মোবাইলে ডেকে নেয় শ্যালোমেশিন চুরির সাথে জড়িত হদা ও তার লোকজন। আজ মঙ্গলবার বসতে চাওয়া শালিস বৈঠকে জড়িতদের নাম গোপন করে তাকে মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে বলে। এতে রাজি না হওয়ায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে। জড়িতদের বিচার দাবি করেন তিনি।
মামলার বাদী কপিল চন্দ্র বর্মন বলেন, বাবা ছিলেন সৎ ও রাগী মানুষ। পরিকল্পিতভাবে আসামীরা আমার বাবাকে হত্যা করেছে। আমি অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
রাণীশংকৈল থানার ওসি আরশেদুল হক বলেন, হত্যাকান্ডের এ ঘটনায় আমরা এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এসআর