চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুটি গ্রুপ এবং এলডিপি সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকায় নজরদারি জোরদার করেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, চন্দনাইশ থানাধীন কাঞ্চননগর ইউনিয়নের রওশনহাট এলাকায় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। কাঞ্চননগরের পাহাড়ি এলাকায় এলডিপি সমর্থক মো. মানিকের মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি ভেকু ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে প্রথমে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাৎ হোসেন গ্রুপের কর্মী মো. খোকার সঙ্গে বিএনপির নুরুল আনোয়ার গ্রুপের লোকজনের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। উত্তেজনা দ্রুতই সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে লাঠিসোঁটা নিয়ে মারামারি হয় বলে স্থানীয়রা জানান।
সংঘর্ষে নুরুল আনোয়ার গ্রুপের মো. রুস্তম (৩৫), শহীদুল ইসলাম (৩৮), মাসুদ (৩১) ও জয়ন্ত দে শিমুল (৩০) আহত হন। এছাড়া উভয় পক্ষের আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আহতদের চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে হাসপাতাল প্রাঙ্গণের ভেতরেই পুনরায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মো. রুস্তমের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
ঘটনার পর কাঞ্চননগর ও আশপাশের এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, বিএনপির নুরুল আনোয়ার গ্রুপ, মেয়র ডা. শাহাদাৎ হোসেন গ্রুপ এবং এলডিপি সমর্থক মো. মানিকের অনুসারীদের মধ্যে যেকোনো সময় নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ টহল জোরদার করেছে এবং পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াছ খান পিপিএম সময়ের কন্ঠস্বর-কে বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত রয়েছি। এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। ছায়া তদন্ত চলছে এবং এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এনআই