এইমাত্র
  • হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে সোমবার
  • সোমবার হাদিকে থাইল্যান্ডে নিতে চায় তার পরিবার
  • আবারও রাজধানীতে বাসে আগুন
  • প্রধান উপদেষ্টাকে ফোন করে শোক জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব
  • সেই ফয়সালের সই করা বিপুল চেকসহ আটক ৩
  • সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে
  • কুড়িগ্রামের দুই সেনাসদস্য সুদানে শহিদ, ‘নীরব হওয়ার’ শেষ বার্তা শান্তর
  • বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে সাকিব-লিটনের পোস্ট
  • ছোট পুঁজি নিয়েও পাকিস্তানকে হেসে-খেলে হারাল ভারত
  • সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শামীমের বাড়িতে শোকের মাতম
  • আজ সোমবার, ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    সমুদ্রের নিচে ৭ হাজার বছরের পুরোনো নগরীর দেওয়ালের সন্ধান

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম

    সমুদ্রের নিচে ৭ হাজার বছরের পুরোনো নগরীর দেওয়ালের সন্ধান

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম
    সংগৃহীত ছবি

    ফ্রান্সের পশ্চিম উপকূলে সমুদ্রের নিচে প্রায় ৭ হাজার বছরের পুরোনো একটি বিশাল পাথরের দেওয়াল আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানিরা। ব্রিটানি অঞ্চলের ইল দ্য সাঁ দ্বীপের অদূরে সমুদ্রের নিচে এই দেওয়ালটির সন্ধান পাওয়া গেছে। দেওয়ালটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০০ ফুট এবং এর সঙ্গে একই সময়ের বেশ কিছু ছোট কাঠামো শনাক্ত করা হয়েছে।

    গবেষকরা ধারণা করছেন, এই ডুবে যাওয়া স্থাপনাগুলোই হয়তো ব্রিটানি অঞ্চলের প্রাচীন লোককথায় প্রচলিত ডুবে যাওয়া নগরী ইস- এর অংশ।

    ওয়েস্টার্ন ব্রিটানি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ইভান পায়ের জানান, এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার যা প্রত্নতত্ত্বে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে এবং উপকূলীয় সমাজগুলো কীভাবে সংগঠিত ছিল সে বিষয়ে আমাদের জ্ঞান আরও বিস্তৃত করবে।

    এই কাঠামোগুলো প্রথম নজরে আসে ২০১৭ সালে। অবসরপ্রাপ্ত ভূতত্ত্ববিদ ইভস ফুকে লেজার প্রযুক্তিতে তৈরি সমুদ্রতলের মানচিত্র বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এগুলোর অস্তিত্ব শনাক্ত করেন। পরবর্তী সময়ে ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ডুবুরিরা সরাসরি সাইটটি অনুসন্ধান করে গ্রানাইট পাথরের তৈরি এসব কাঠামোর উপস্থিতি নিশ্চিত করেন।

    বিবিসি জানায়, সাগরের নিচে আবিষ্কৃত এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নির্মাণকাজ।

    গবেষকদের মতে, খ্রিস্টপূর্ব ৫,৮০০ থেকে ৫,৩০০ সালের মধ্যে নির্মিত এসব স্থাপনা বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৯ মিটার নিচে অবস্থান করছে। ওই সময় সমুদ্রের পানির উচ্চতা আজকের তুলনায় অনেক কম ছিল।

    প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এসব দেওয়াল ও কাঠামো হয়তো উপকূলবর্তী এলাকায় মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো অথবা ক্রমশ বাড়তে থাকা সমুদ্রের পানির হাত থেকে বসতি রক্ষার জন্য প্রতিরক্ষামূলক প্রাচীর হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল।

    গবেষণাপত্রে বলা হয়, এই নির্মাণগুলো এমন এক সমাজের পরিচয় বহন করছে যখন বহু টন ওজনের পাথর উত্তোলন, স্থানান্তর ও স্থাপন করার মতো উন্নত প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও সামাজিক সংগঠন ছিল।

    গবেষকদের মতে, এই নতুন আবিষ্কার ইউরোপের প্রাগৈতিহাসিক উপকূলীয় সভ্যতা সম্পর্কে ধারণা বদলে দিতে পারে এবং সাগরতলে প্রত্নতত্ত্ব গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

    এমআর-২

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…