বেনাপোল বন্দরে ফেলে পালিয়ে যাওয়া ভারতীয় ট্রাক আড়াই মাস পরে তল্লাশি করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ সময় ট্রাকটিতে বিপুল পরিমাণে ভারতীয় আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ, শাড়ি ও কসমেটিকস দ্রব্যাদি পাওয়া যায়। জব্দ পণ্যের বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণায় জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ট্রাকটির সিলগালা ভেঙে তল্লাশি করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এসময় বন্দর ও সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর বন্দর কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে তারা ট্রাকটি থামতে বললে বেনাপোল বন্দরের কার্গোভেহিকেল টার্মিনালে ভারতীয় ট্রাকটি (এইচ আর ৩৮ ইউ ২৪৮২) ফেলে পালিয়ে যায় ভারতীয় চালক ও হেলপার। এরপর থেকে গাড়িটি বন্দরের দায়িত্বে থাকা বেসরকারী সংস্থা পিমার নিরাপত্তা কর্মীরা পাহারা দিচ্ছিল। পরবর্তীতে কাস্টমস হাউসের তত্বাবধায়নে ট্রাকটি সিলগালা করে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ইতিপূর্বে পণ্য আটক হওয়ার সাথে সাথে কাস্টমস হাউজে বা বন্দরের মধ্যে তল্লাশি করে তালিকা প্রস্তুুত করা হলেও রহস্যজনত কারণে বর্তমানে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এক মাস দুই মাস পরে তল্লাশি করছে। কাস্টমসের রহস্যজনক এই ভূমিকার কারণে বেনাপোল বন্দরে ব্যবসায়ীদের মাঝে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার সাকিবুর রহমান জানান, প্রাথমিক পরীক্ষণে ট্রাকের ভেতর ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, শাড়ি, থ্রি-পিস এবং বাজি (পটকা) পাওয়া গেছে। মালামালের তালিকা চলছে। হিসাব করে পরে পণ্যের মূল্য ও মালের পরিমাণ জানা যাবে।
এদিকে, বৈধ পথে অবৈধ পণ্যের চালানটি ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলেও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশ করেনি। তবে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, অবৈধ পণ্যে চালানের মালিক আমদানিকারক রাইস ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল।
সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাস্টমসের এক শ্রেণি কর্মকর্তাদের যোগসাজসে বেড়েছে শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি। অপরাধীরা পার পেয়ে যাওয়ায় কোনোভাবে বন্ধ হচ্ছে না বৈধ পথে পণ্য পাচার। এতে সরকার বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাচ্ছে। অন্যদিকে বৈধ ব্যবসায়ীরা নানা ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
এসআর