বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রামের ৫৯তম ব্যাচ ক্যাডেটদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ (গ্র্যাজুয়েশন প্যারেড) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নুরুন্নাহার চৌধুরী, এনডিসি।
দুই বছরের কঠোর একাডেমিক ও রেজিমেন্টাল প্রশিক্ষণ শেষে এ বছর মোট ১৬০ জন ক্যাডেট অফিসার প্রি-সি (Pre-Sea) সনদ অর্জন করেন। এর মধ্যে ১১ জন নারী ক্যাডেটসহ নটিক্যাল শাখায় ৮২ জন এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় ৭৮ জন রয়েছেন।
বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ শেষে বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী ক্যাডেটদের মাঝে পদক বিতরণ করেন প্রধান অতিথি। সকল ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কৃতিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে ৫৯তম ব্যাচের ক্যাডেট নং ৫৭৮৯ মিফতাহুল ইসলাম রাজ্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক অর্জন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে নৌপরিবহন সচিব ড. নুরুন্নাহার চৌধুরী বলেন, বৈশ্বিক মানসম্পন্ন মেরিন অফিসার ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ার তৈরিতে প্রশিক্ষণের গুণগত মান বৃদ্ধি, দক্ষ প্রশিক্ষক নিয়োগ, আধুনিক প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম সংযোজন এবং সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণে সরকার কাজ করছে। পাশাপাশি দেশি ও আন্তর্জাতিক সমুদ্রগামী জাহাজে ক্যাডেটদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সক্রিয় রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিকে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে সরকারি অর্থায়নে ১১৫ কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
একাডেমি সূত্রে জানা যায়, ছয় দশকের বেশি সময় ধরে দেশের মেরিটাইম খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এখান থেকে ৫ হাজার ৮৬০ জন নটিক্যাল ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাডেট প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তারা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিপিং কোম্পানি ও মেরিটাইম প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে দেশের জন্য বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন।
নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একাডেমির অবদান তুলে ধরে জানানো হয়, ২০১২ সাল থেকে এখানে নারী ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু রয়েছে। বর্তমানে প্রশিক্ষিত নারী ক্যাডেটরা বিশ্বের বিভিন্ন সমুদ্রগামী জাহাজে পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ক্যাডেটদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
এসআর