এইমাত্র
  • নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে নিরাপত্তা জোরদার
  • যমুনায় জেগে উঠেছে অসংখ্য ডুবোচর, নৌ চলাচল ব্যাহত
  • সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে এভারকেয়ার ছাড়লেন হাদি
  • আগামীকাল সাময়িক বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল
  • হাদি গুলিবিদ্ধের ঘটনায় গুজবে সয়লাব ফেসবুক : ফ্যাক্টওয়াচ
  • কওমী মাদ্রাসার বোর্ড পরীক্ষার সময়সূচি এগিয়ে আনা হয়েছে
  • কলম্বিয়ায় স্কুলবাস খাদে পড়ে নিহত ১৭
  • হাদির ওপর হামলায় নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না: সিইসি
  • হাদিকে গুলি করা অভিযুক্ত মাসুদের ভারতে গিয়ে সেলফি
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় আরও ২ জন আটক
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    জাতীয়

    বিধ্বস্ত হওয়ার আগমুহূর্তে কন্ট্রোল রুমে যে বার্তা দিয়েছিলেন পাইলট তৌকির

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম

    বিধ্বস্ত হওয়ার আগমুহূর্তে কন্ট্রোল রুমে যে বার্তা দিয়েছিলেন পাইলট তৌকির

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
    ছবি: সংগৃহীত

    উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে কন্ট্রোল রুমে শেষবারের মতো যোগাযোগ করেছিলেন পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর। তার কণ্ঠে ছিল উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা নিয়ে কন্ট্রোল রুমকে তিনি বলেছিলেন, ‘বিমান ভাসছে না... মনে হচ্ছে নিচে পড়ছে।’

    রাজধানীর কুর্মিটোলা পুরাতন বিমানঘাঁটি থেকে গত সোমবার (২১ জুলাই) বেলা সোয়া ১টার দিকে এফ-৭ যুদ্ধবিমান নিয়ে একক উড্ডয়ন (সলো ফ্লাইট) করেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম। এটি ছিল তাঁর প্রথম সলো ফ্লাইট, যা বৈমানিক প্রশিক্ষণের সর্বশেষ ও সবচেয়ে জটিল ধাপ। এ পর্যায়ে পাইলটকে কোনো সহকারী, নেভিগেটর বা প্রশিক্ষক ছাড়াই একা বিমান পরিচালনা করতে হয়।

    একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি উত্তরা, দিয়াবাড়ি, বাড্ডা, হাতিরঝিল ও রামপুরার আকাশসীমায় প্রবেশ করে। এর মধ্যে হঠাৎই বিমানটির আচরণ অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে। তখন পাইলট কন্ট্রোল রুমে জানান, ‘বিমান ভাসছে না... মনে হচ্ছে নিচে পড়ছে।’

    তাৎক্ষণিকভাবে কন্ট্রোল রুম থেকে ইজেক্ট (বিমান থেকে বের হয়ে যাওয়া) করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিমানটিকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যান। সর্বোচ্চ গতিতে তিনি বিমানটি বেসে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। এর মধ্যেই কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মাত্র এক থেকে দেড় মিনিটের মধ্যে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইলস্টোন স্কুল ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে।

    জানা গেছে, ট্রেনিংয়ের এই সর্বশেষ ধাপে একজন বৈমানিককে সলো বা এককভাবে বিমান চালাতে হয়, যা তাঁর স্কিল ও প্রস্তুতির সর্বোচ্চ পরীক্ষা। যুদ্ধবিমান চালানোর জন্য একজন পাইলটের যে উচ্চ দক্ষতা দরকার, সেটিই প্রমাণিত হয় সলো ফ্লাইটের মাধ্যমে। ট্রেনিংয়ের এ পর্যায়ে পাইলটকে নেভিগেটর বা কো-পাইলট বা কোনো ধরনের ইন্সট্রাক্টর ব্যতীত একাই ফ্লাইট অপারেট করতে হয়। নিহত বিমানচালক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরের প্রথম সলো ফ্লাইটে ছিলেন এদিন।

    বিমানবাহিনীর সাবেক একাধিক কর্মকর্তা জানান, যেকোনো ধরনের প্রশিক্ষণ ফ্লাইট জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে দূরেই হয়ে থাকে। তবে সলো ফ্লাইট সাধারণত নগরাঞ্চলেই হয়ে থাকে। এ ধরনের ফ্লাইটের জন্য পাইলটকে যথেষ্ট দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হয়। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির তেমনই একজন পাইলট ছিলেন।

    এসকে/এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…