এইমাত্র
  • ছেঁড়া-ফাটা নোট নিতে না চাইলেই ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
  • ‘ডিজিটালাইজেশনের কারণে বিদেশ গমনে দুর্নীতি-ভোগান্তি অনেক কমেছে’
  • আইপিএলে ১০ দলের চূড়ান্ত স্কোয়াড
  • ১১ বছরে বাংলাদেশ সীমান্তে ২১ হাজারের বেশি মানুষকে আটক করেছে ভারত
  • সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল
  • শ্রমশক্তি রপ্তানিতে বড় বাধা দালাল চক্র: প্রধান উপদেষ্টা
  • প্রাথমিকের শতভাগ পাঠ্যবইয়ের কাজ শেষ
  • এবার অং সান সু চি’র মৃত্যুর খবর, যা বলছে মিয়ানমার জান্তা
  • ১৩ দিনে এল ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স
  • গাজায় মানবিক সংকট চরমে, ঠান্ডায় মারা গেল নবজাতক
  • আজ বুধবার, ৩ পৌষ, ১৪৩২ | ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
    ধর্ম ও জীবন

    ১০ বছরে যে ১০ লাখ বর্গমাইল বিজয় করেছিলেন নবীজি (সাঃ)

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫০ এএম
    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫০ এএম

    ১০ বছরে যে ১০ লাখ বর্গমাইল বিজয় করেছিলেন নবীজি (সাঃ)

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫০ এএম
    ছবি: সংগৃহীত

    পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক দিগ্বিজয়ী বীরের নাম পাওয়া যায় আলেকজান্ডার, নেপোলিয়ন কিংবা চেঙ্গিস খান। তাঁরা তলোয়ারের জোরে দেশ দখল করেছেন, রক্ত গঙ্গা বইয়ে দিয়ে মানচিত্র বদলেছেন।

    কিন্তু ইতিহাসের পাতায় এমন একজন রাষ্ট্রনায়ক আছেন, যিনি মাত্র ১০ বছরে ১০ লক্ষ বর্গমাইলের এক বিশাল ভূখণ্ড জয় করেছিলেন অথচ সেখানে রক্তের দাগ ছিল নগণ্য। তিনি আর কেউ নন, মানবতার মহান শিক্ষক, মানবতার মুক্তিদূত হযরত মুহাম্মদ (সা.)। আজ আমরা জানব, তাঁর জীবদ্দশায় তিনি কোন কোন অঞ্চল বা দেশ বিজয়ের মাধ্যমে এক পতাকার নিচে সমবেত করেছিলেন।

    হিজরতের পর মদিনা ছিল ইসলামের প্রথম রাজধানী। এখান থেকেই শুরু হয় এক অভাবনীয় বিপ্লব। তবে নবীজির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিজয় ছিল ৮ম হিজরির ‘মক্কা বিজয়’। কোনো আধুনিক ‘দেশ’ দখলের মতো নয়, তিনি জয় করেছিলেন আরবের হৃৎপিণ্ড ‘মক্কা’। রক্তপাতহীন এই বিজয়ের মাধ্যমেই কুরাইশদের দম্ভ চূর্ণ হয় এবং হেজাজ অঞ্চল—অর্থাৎ মক্কা, মদিনা, তায়েফ ও জেদ্দার বিশাল এলাকা মদিনার ইসলামী রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয়। এটি ছিল সেই মুহূর্ত, যখন সত্য এল এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হলো। নবীজি বলিষ্ঠ কণ্ঠে সেদিন ঘোষণা করেছিলেন,

    جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ ۚ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا সত্য এসেছে। আর মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয়ই মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই যোগ্য।

    মক্কা বিজয়ের পর ইসলামের প্রভাব বিদ্যুৎগতিতে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বময় । নবীজি (সা.)-এর জীবদ্দশাতেই সমগ্র ‘জাজিরাতুল আরব’ বা আরব উপদ্বীপ তার শাসনাধীনে চলে আসে। আজকের মানচিত্রের দিকে তাকালে দেখা যায়, বর্তমান সৌদি আরব, ইয়েমেন, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন এবং কুয়েত, এই সাতটি আধুনিক দেশের পুরো ভূখণ্ডটিই নবীজি (সা.)-এর জীবদ্দশায় ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানায় চলে এসেছিল। বিশেষ করে ইয়েমেন ছিল তৎকালীন সময়ে অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী এলাকা।

    নবীজি সেখানে হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.)-কে গভর্নর হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। একইভাবে ওমান এবং বাহরাইনের শাসকরাও নবীজির চিঠি পেয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং মদিনার আনুগত্য স্বীকার করেন।

    উত্তরে রোমান সাম্রাজ্যের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে তিনি তাবুক পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন। যদিও সেখানে যুদ্ধ হয়নি, কিন্তু এই অভিযানের ফলে জর্ডান ও সিরিয়া সীমান্তের বড় অংশ মদিনার প্রভাবে চলে আসে। বিদায় হজ্জের সময় যখন তিনি আরাফাতের ময়দানে ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন তাঁর সামনে উপস্থিত লক্ষাধিক জনতা প্রমাণ দিচ্ছিল গোটা আরব আজ এক আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের অনুগত। গোত্রীয় সংঘাত ভুলে তারা এক জাতিতে পরিণত হয়েছে।

    মাত্র ২৩ বছরের নবুওয়াতি জিন্দেগি, আর মদিনার ১০ বছরের শাসনকাল। এর মধ্যেই তিনি এক অসভ্য, শতভাগেবিভক্ত মরুভূমিকে একটি সুশৃঙ্খল, কল্যাণকামী রাষ্ট্রে রূপান্তর করেছিলেন।

    তিনি শুধু মাটি জয় করেননি, জয় করেছিলেন মানুষের হৃদয়ের রাজ্য। ইতিহাস সাক্ষী, নবীজি (সা.)-এর ইন্তেকালের সময় উত্তরে ইরাক ও সিরিয়া সীমান্ত থেকে শুরু করে দক্ষিণে এডেন সাগর পর্যন্ত—পুরো আরব বিশ্ব কালেমার পতাকাতলে এক হয়েছিল। ইসলাম ও মুসলিমদের সেই সোনালী অতীত ইতিহাসের রাজসাক্ষী হয়ে আজও জ্বলজ্বল করছে। আবারো সেই যুগ ফিরে আসবে, যখন ইসলামের বিজয় গোটবিশ্ব অবাক হয়ে দেখবে।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…