যশোর সদর উপজেলার ইছালীর রামকৃষ্ণপুর গ্রামের স্কুলছাত্রী নাদিরা আক্তারকে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে প্রেমিকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে এবার আদালতে মামলা হয়েছে।
রবিবার(১৪ ডিসেম্বর) নাদিয়ার ফুফা একই গ্রামের নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আছাদুল ইসলাম অভিযোগটি গ্রহণ করে এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে।
আসামিরা হলো- একই গ্রামের প্রতিবেশী নাছির উদ্দিন মোল্যা ও তার দুই ছেলে নাজমুল ইসলাম ও হোসেন মোল্যা, নজরুল মোল্যার ছেলে মিরাজুল ইসলাম, মৃত আমিন মোল্যার ছেলে ফয়জুর রহমান, আদিল মোল্যার ছেলে বাবলু মোল্যা, মৃত হারেজ মোল্যার ছেলে ও নাজমুলের চাচা কামাল হোসেন এবং বাহারুলের ছেলে নাইম।
এর আগে নাদিরা মা শিল্পী বেগম এ ঘটনায় প্রেমিক নাজমুলসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও পর্নোগ্রাফি আইনে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।
এদিকে, নাদিরা হত্যার আসামিদের আটক ও দ্রুত বিচারের মাধ্যমে শাস্তির দাবিতে রোববার সকালে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, নাদিরার পিতা কুয়েত প্রবাসী। নাদিরা আক্তার ইছালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। আসামিরা সকলেই তাদের প্রতিবেশী। নাদিরার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে নাজমুল। পরবর্তীতে নজমুল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে নাদিয়া তাকে বিয়ের চাপ দিলে চরিত্রহীন বলে অপবাদ দিয়ে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। নাজমুলের করা ভিডিও দেখিয়ে ব্যাকমেইল করে বিদেশ থেকে নাদিরার পিতার পাঠানো টাকা ও গহনা নিয়ে নেয়। তারপরও নাদিরা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে আসামিরা জনতে পেরে তাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়। এতে অপমানিত হয়ে নাদিরা আসামিদের বাড়ির সামনে আমগাছে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
এনআই