এইমাত্র
  • ভাল মন্দ নিজে বিচার করে পরবর্তীতে কাজ করব: নিহা
  • হত্যা মামলায় জামিনে বেড়িয়ে এসে কিশোরী ধর্ষণ, যুবক আটক
  • দিয়াজের মৃত্যু রহস্যের জট খুলতে তদন্তভার পেল পিবিআই
  • দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই, এ কথা আজ প্রমাণিত: ওবায়দুল কাদের
  • জামিন নামঞ্জুর, প্রথম আলোর সাংবাদিক শামস কারাগারে
  • মাদারীপুরে স্কুলছাত্রীকে লাঞ্ছিত করায় বখাটের ৬ মাসের কারাদণ্ড
  • শহীদের সুরে ফেরদৌস-পূর্ণিমার সিনেমায় গাইলেন নোলক
  • জন্মদিনে আপনারা যে ভালোবাসা দিয়েছেন তার কাছে আমি চিরঋণী: শাকিব খান
  • চরকিতে আসছে 'ট্রাভেল মেটস ২'
  • চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের নতুন কমিটির তালিকা প্রকাশ
  • আজ বৃহস্পতিবার, ১৬ চৈত্র, ১৪২৯ | ৩০ মার্চ, ২০২৩
    সাংবাদিকতা নয়, মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
    মিথ্যা তথ্যের জন্য প্রথম আলোর সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা হয়েছে মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে, সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে নয়।আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন মন্ত্রী।প্রথম আলোর সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, যে মামলা করা হয়েছে- সেটা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নয়, এটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আপনারা নির্ভীক সাংবাদিক আমি স্বীকার করি।তিনি বলেন, ‘যদি সত্য তথ্য প্রকাশ করেন, তাহলে কোনোমতেই এই সরকার সাংবাদিকদের বাধা দেবে না।’আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যে মামলা হয়েছে, সেখানে একটি ভিডিও ক্লিপের কথা আছে। সেখানে যে তথ্য-উপাত্ত আছে, তাতে মামলাটি পরীক্ষা নীরিক্ষার জন্য ডিজিটাল সেলে পাঠানোর প্রয়োজন হয়নি। এই মামলায় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অপব্যাবহার হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, যেখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে, সেখানেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
    প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।বুধবার (২৯ মার্চ) দিবাগত মধ্য রাতে অ্যাডভোকেট আব্দুল মশিউর মালেক নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় এই মামলা দায়ের করেন।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ এর (২), ৩১, ৩৫ আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করে এবং বিভ্রান্তি ছড়াতে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে।আইনজীবী আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, সাংবাদিক শামসুজ্জামান ও ক্যামেরাম্যানের বিরুদ্ধে একটি এজাহার করেছি।এর আগে, বুধবার (২৯ মার্চ) সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া নামের একজন বাদি হয়ে ডিএমপির তেজগাঁও থানায় সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।

    জাতীয়

    সব দেখুন
    জামিন নামঞ্জুর, প্রথম আলোর সাংবাদিক শামস কারাগারে
    রাজধানীর রমনা মডেল থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার শামসুজ্জামানকে আজ আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।শামসুজ্জামানের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী, প্রশান্ত কুমার কর্মকার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।এর আগে আজ (৩০ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে শামসুজ্জামানকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানির  সময় তাকে এজলাসে তোলা হয়।বুধবার ভোর ৪টায় সাভারের বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যায় শামসুজ্জামানকে। এর আগে বুধবার মধ্যরাতে গোলাম কিবরিয়া নামে এক ব্যক্তি তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় শামসের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত অনেককে আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২)/২৬(২)/২৯(১)/৩১(২)/৩৫(২) ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।এরপর বুধবার রাতে একই অভিযোগে রমনা থানায় আরেকটি মামলা করেন আইনজীবী আব্দুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক। মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, শামসুজ্জামান শামস ও অজ্ঞাত ক্যামেরাম্যানকে আসামি করা হয়।মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলো একটি ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করে। প্রথম আলো পত্রিকা অফিস থেকে সংবাদটি শেয়ার করে। সংবাদটিতে দেখা যায়, একটি শিশু ফুল হাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটকে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিবেদকের দাবি শিশুটির নাম জাকির হোসেন।রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, শিশু জাকির হোসেন বলে, পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়ে কি করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।সংবাদটি দেশ-বিদেশে অবস্থানরত হাজার হাজার মানুষ তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ক্রিনশটসহ শেয়ার করেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের সোনালী গৌরবোজ্জ্বল ভাবমূর্তি নিয়ে দেশের জনগণসহ বহির্বিশ্বে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। স্বাধীনতা দিবসের দিনে এ সংবাদ প্রকাশ করায় বিশ্বব্যাপী দেশের ভাবমূর্তি ও স্বাধীনতা অর্জন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।পরবর্তীতে ৭১ টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, প্রথম আলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা পরিচয় ও সাক্ষাৎকার দিয়ে সংবাদটি পরিবেশন করেছে। শিশুটির বিষয়ে ভুল তথ্য, নাম পরিচয়ও ভুল দেওয়া হয়েছে।পরে শিশুটি জানিয়েছে, প্রথম আলোর সাংবাদিক শিশুটির হাতে ১০ টাকা দিয়ে এ ছবি তুলেছে। এতে প্রমাণিত হয়েছে, স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও বাংলাদেশের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এমন সংবাদ করেছে প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদক।
    সাংবাদিকতা নয়, মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
    মিথ্যা তথ্যের জন্য প্রথম আলোর সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা হয়েছে মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে, সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে নয়।আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন মন্ত্রী।প্রথম আলোর সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, যে মামলা করা হয়েছে- সেটা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নয়, এটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আপনারা নির্ভীক সাংবাদিক আমি স্বীকার করি।তিনি বলেন, ‘যদি সত্য তথ্য প্রকাশ করেন, তাহলে কোনোমতেই এই সরকার সাংবাদিকদের বাধা দেবে না।’আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যে মামলা হয়েছে, সেখানে একটি ভিডিও ক্লিপের কথা আছে। সেখানে যে তথ্য-উপাত্ত আছে, তাতে মামলাটি পরীক্ষা নীরিক্ষার জন্য ডিজিটাল সেলে পাঠানোর প্রয়োজন হয়নি। এই মামলায় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অপব্যাবহার হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, যেখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে, সেখানেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
    প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।বুধবার (২৯ মার্চ) দিবাগত মধ্য রাতে অ্যাডভোকেট আব্দুল মশিউর মালেক নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় এই মামলা দায়ের করেন।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ এর (২), ৩১, ৩৫ আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করে এবং বিভ্রান্তি ছড়াতে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে।আইনজীবী আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, সাংবাদিক শামসুজ্জামান ও ক্যামেরাম্যানের বিরুদ্ধে একটি এজাহার করেছি।এর আগে, বুধবার (২৯ মার্চ) সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া নামের একজন বাদি হয়ে ডিএমপির তেজগাঁও থানায় সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
    সংলাপ নয়, অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য বিএনপিকে ডেকেছি: প্রধান নির্বাচন কমিশনার
    বিএনপিকে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশন কমিশনার।আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল এসব কথা বলেন। এ সময় সিইসির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতানা ও আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। চিঠির বিষয়ে সিইসি বলেন, 'আমরা একটি অনানুষ্ঠানিক পত্র দিয়ে বিএনপি মহাসচিবকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। আনুষ্ঠানিক নয়, অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আপনারা অংশগ্রহণ করতে পারেন- এভাবে একটি চিঠি দিয়েছিলাম।'বিএনপির সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা যদি আসেন, কী আলোচনা হবে সেটা সেই সময় আলাপচারিতার মধ্য দিয়ে ফুটে উঠবে। উনারা কী বললেন, আমরা কী বলবো। এই বিষয়ে আগাম কোনো বক্তব্য, আগাম কোনো ধারণা দিতে পারছি না।সিইসি আরও বলেন, 'আমরা কিন্তু সংলাপে আহ্বান করি নাই। সংলাপ বিষয়টা কিন্তু আনুষ্ঠানিক। আমরা কোনোভাবেই উনাদের সংলাপে আমন্ত্রণ জানাইনি। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি, আনুষ্ঠানিক না হলেও অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আপনারা আসতে পারেন।'তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার শেষ বেলায় চিঠিটা দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয়, চিঠিটা উনারা পেয়েছেন। বিভিন্ন বক্তব্য থেকে মনে হচ্ছে চিঠিটা উনারা পেয়েছেন। আমি ধরে নিচ্ছি উনারা চিঠিটা পেয়েছেন।  এ নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, 'অনেকে বলতে চেয়েছেন এটা সরকারের কূটকৌশল। আমি জাতিকে অবহিত করতে চাই, এই পত্রের সঙ্গে সরকারের কোনো রকম সংশ্রব নাই বা ছিল না। তিনি আরও বলেন, 'পত্রটি আমাদের এখান থেকে গেছে, সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী নয়। এটা মনে করায় আমরা অনেক সময় ব্যথিত হই যে, সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কোনো কাজ আমরা করব। আমরা সরকারের আজ্ঞা বহন করিনি। আমাদের চিন্তার মধ্য দিয়ে এটা ফুটে উঠেছে, বিএনপির মতো একটি দলকে নির্বাচনে আনতে পারলে ভালো হয়।'সিইসি বলেন, আমরা বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। আলোচনার ফল ইতিবাচক হতেও পারে, না-ও হতে পারে। প্রয়াস গ্রহণ করতে তো কোনো বাধা থাকা উচিত নয়। নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে সেটা নিয়ে আলোচনা হলে বিএনপি ইসির সঙ্গে কথা বলবে- এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, যেহেতু আমি চিঠি দিয়েছি। যেকোনো রেসপন্স আমাকে চিঠির মাধ্যমেই পেতে হবে। গণমাধ্যমে অনেকের বক্তব্য শুনেছি সেই কারণে আমি বললাম, অনেকে এই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। যেহেতু আমরা বিএনপি মহাসচিবকে চিঠি দিয়েছি, তাদের বক্তব্য চিঠির মাধ্যমে আসা কাঙ্ক্ষিত। এরপর আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নেব।তিনি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং কার্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করি। নির্বাচন কমিশন মনে করে, গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং দলীয় গণতন্ত্রের স্বার্থে বিশেষ করে দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। সংসদীয় গণতন্ত্রে দলীয় শাসনটাই মুখ্য। বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্রপ্রার্থী দ্বারা কখনো সরকার গঠন করা সম্ভব হয় না। সেই জন্য আমাদের লক্ষ্য, আমাদের দলগুলো চর্চার মাধ্যমে আরও সমৃদ্ধ, সংহত হোক এবং দেশে দলীয় চর্চা ও সংস্কৃতির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার আরও সংহত হোক। 
    ২০ এপ্রিল ছুটি নিলে ঈদে মিলবে টানা ৫ দিনের ছুটি
    এক দিন ছুটি নিলে এবার ঈদুল ফিতরে সরকারি চাকরিজীবীদের টানা পাঁচ দিনের ছুটি মিলবে। তবে এ ঈদের দুদিনই চলে যাচ্ছে সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবারের মধ্যে।গত শুক্রবার (২৪ মার্চ) সিয়াম সাধনার মাস রমজান শুরু হয়েছে। এক মাস রোজা রাখার পর আসবে মুসলমানদের সবেচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।এবার রমজান মাস ২৯ দিন ধরে ২২ এপ্রিল (শনিবার) ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণ করে ছুটির তালিকা করেছে সরকার। এক্ষেত্রে ২১ থেকে ২৩ এপ্রিল (শুক্র, শনি ও রোববার) ঈদের ছুটি থাকবে। এর আগে ১৯ এপ্রিল (বুধবার) শবে কদরের ছুটি। তবে ঈদের ছুটি শুরুর আগে ২০ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) অফিস খোলা। কেউ যদি ২০ এপ্রিল ছুটি নেয় সেক্ষেত্রে ১৯ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত টানা পাঁচ দিনের ছুটি পাবেন। এর মধ্যে ২১ ও ২২ এপ্রিল পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার।তবে রমজান মাস ৩০ দিন হলে ঈদুল ফিতর হবে ২৩ এপ্রিল (রোববার)। সেক্ষেত্রে ছুটি একদিন বাড়বে। ২৪ এপ্রিলও (সোমবার) ছুটি থাকবে। তাই কেউ ২০ এপ্রিল ছুটি নিলে ১৯ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছয়দিনের ছুটি ভোগ করতে পারবেন।
    জিতবে না জেনেই বিএনপি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
    আগামী জাতীয় নির্বাচনে জিতবে না জেনেই বিএনপি এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৭ মার্চ) আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভার আয়োজন হয়।অবৈধভাবে ক্ষমতায় যাওয়া বিএনপি এখন গণতন্ত্র চায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের জন্মই গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে হয়নি, মিলিটারির পকেট থেকে হয়েছে, তারাই না কি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা নালিশ করে বেড়ায় আওয়ামী লীগ নাকি অত্যাচার করছে। আওয়ামী লীগ অত্যাচার করেনি, অত্যাচার করেছে বিএনপি জামাত জোট। দেশের ভেতরেই না বাইরে গিয়েও নালিশ করা, কান্না করা বিএনপির চরিত্র। তারা মনে করেন বাইরে থেকে কেউ এসে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে। দেশের মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে বিএনপি। আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপি মিছিল মিটিং করছে। কিন্তু তাদের আমলে আওয়ামী লীগকে মাঠেই নামতে দেয়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
    বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি
    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তার সহধর্মিনী রাশিদা খানম দেশের ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রোববার বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেন। বিকেল ৫টার দিকে বঙ্গভবনের লনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া সংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দীর্ঘ ব্যবধানের পর স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রায় দুই হাজার ৫০০ জনের মতো অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।এর মধ্যে ছিলেন- মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, সংসদ সদস্য, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী নেতা, শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং পরিবারের সদস্যরা।শীর্ষ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সংবাদপত্রের সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দও সংবর্ধনায় যোগ দেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বীরত্ব পুরস্কারপ্রাপ্ত সদস্য ও বিশিষ্ট নাগরিকরা। এ উপলক্ষে কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে তারা আহত মুক্তিযোদ্ধা এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি ও অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।পরে ইফতারের আয়োজন করা হয়। ইফতারের আগে দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।মোনাজাত পরিচালনা করেন বঙ্গভবন জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. সাইফুল কাবির।
    বিএনপি ২১ বছর ধরে ইতিহাস বিকৃতি করেছে: তথ্যমন্ত্রী
    বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান আসলে মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন। বাংলাদেশের প্রথম সরকার, যে সরকার মুজিবনগরে শপথ গ্রহণ করেছিল এবং বাংলাদেশে স্বাধীনতাযুদ্ধ পরিচালনা করেছিল, সেই সরকারের অধীনে জিয়াউর রহমান একজন চাকুরে ছিলেন।২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সংগে মতবিনিমকালে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। এসময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিএনপির নানা বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় যদি কেউ একজন মুক্তিযোদ্ধাকে পানি খাইয়েছে বা একবেলা ভাত খাইয়েছে, সেই অপরাধে পাকিস্তানিরা তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে, তার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে, নির্যাতন করেছে। আর জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে আর তার স্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানিরা নতুন বউয়ের মতো আদর-যত্ন করে, এতেই তো প্রমাণিত হয়, জিয়াউর রহমান আসলে মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন।'হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘বিএনপি ২১ বছর ধরে ইতিহাসবিকৃতি করেছে। সেই বিকৃতি যখন ঠেকে গেছে, তখন তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে এবং সেই কারণে মির্জা ফখরুল সাহেবরা আবোল-তাবোল বকা শুরু করেছে।’

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    রাজনীতি

    সব দেখুন
    দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই, এ কথা আজ প্রমাণিত: ওবায়দুল কাদের
    আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই, এ কথা আজ প্রমাণিত। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দেশে মানুষের ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।তিনি বলেন, বাঙালি জাতির সকল সঙ্কট ও দুর্যোগ- দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে থেকেছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সঙ্কট মোকাবিলা করেছে। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার যেকোনো পরিস্থিতিতে জনগণের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ইতোমধ্যে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ওই বিবৃতিতে তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে অভিসন্ধিমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোতি আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে জনগণ ও দেশের উন্নয়নের জন্য তারা কোনো কাজ করেনি। অন্যদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিরবচ্ছিন্নভাবে এদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে অর্জিত সক্ষমতার কারণেই দেশে কেউ আর না খেয়ে দিনাতিপাত করে না।তিনি বলেন, অথচ বিএনপির সময় দেশের অবস্থা কী ছিল? মির্জা ফখরুল কী ভুলে গেছেন, তাদের শাসনামলে উত্তরবঙ্গে মঙ্গাপীড়িত মানুষ না খেতে পেয়ে কীভাবে ধুঁকে ধুঁকে মারা গেছে? বঙ্গবন্ধুকন্যার বহুমাত্রিক পদক্ষেপে দুর্বিষহ ক্ষুধার সেই অভিশপ্ত অন্ধকার থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাশে। মির্জা ফখরুলরা তাদের সময়ের দুঃসহ ইতিহাস আড়াল করার জন্যই সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনা মহামারির অভিঘাতের মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি একটি গভীর সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যার প্রকোপে সারা পৃথিবীতে আশঙ্কাজনক হারে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যস্ফীতির চাপে বাংলাদেশের জনগণও কিছুটা কষ্টে আছে। মানুষের এই কষ্ট লাঘবের জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের জনবান্ধব ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পাশাপাশি সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।তিনি বলেন, সরকার যখন বৈশ্বিক সঙ্কট মোকাবিলা করে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে, তখনই সঙ্কটকে পুঁজি করে কতিপয় চিহ্নিত মহল সরকারের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। একটি পত্রিকার সুরে সুর মিলিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও চাইল্ড এক্সপ্লয়টেশনের মত ঘৃন্য কাজকে নিলর্জ্জ সমর্থন দিয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যা আওয়ামী লীগের প্রতি অন্ধবিদ্বেষ ও আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ।   
    দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই, এ কথা আজ প্রমাণিত: ওবায়দুল কাদের
    আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই, এ কথা আজ প্রমাণিত। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দেশে মানুষের ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।তিনি বলেন, বাঙালি জাতির সকল সঙ্কট ও দুর্যোগ- দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে থেকেছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সঙ্কট মোকাবিলা করেছে। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার যেকোনো পরিস্থিতিতে জনগণের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ইতোমধ্যে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ওই বিবৃতিতে তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে অভিসন্ধিমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোতি আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে জনগণ ও দেশের উন্নয়নের জন্য তারা কোনো কাজ করেনি। অন্যদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিরবচ্ছিন্নভাবে এদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে অর্জিত সক্ষমতার কারণেই দেশে কেউ আর না খেয়ে দিনাতিপাত করে না।তিনি বলেন, অথচ বিএনপির সময় দেশের অবস্থা কী ছিল? মির্জা ফখরুল কী ভুলে গেছেন, তাদের শাসনামলে উত্তরবঙ্গে মঙ্গাপীড়িত মানুষ না খেতে পেয়ে কীভাবে ধুঁকে ধুঁকে মারা গেছে? বঙ্গবন্ধুকন্যার বহুমাত্রিক পদক্ষেপে দুর্বিষহ ক্ষুধার সেই অভিশপ্ত অন্ধকার থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাশে। মির্জা ফখরুলরা তাদের সময়ের দুঃসহ ইতিহাস আড়াল করার জন্যই সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনা মহামারির অভিঘাতের মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি একটি গভীর সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যার প্রকোপে সারা পৃথিবীতে আশঙ্কাজনক হারে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যস্ফীতির চাপে বাংলাদেশের জনগণও কিছুটা কষ্টে আছে। মানুষের এই কষ্ট লাঘবের জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের জনবান্ধব ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পাশাপাশি সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।তিনি বলেন, সরকার যখন বৈশ্বিক সঙ্কট মোকাবিলা করে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে, তখনই সঙ্কটকে পুঁজি করে কতিপয় চিহ্নিত মহল সরকারের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। একটি পত্রিকার সুরে সুর মিলিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও চাইল্ড এক্সপ্লয়টেশনের মত ঘৃন্য কাজকে নিলর্জ্জ সমর্থন দিয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যা আওয়ামী লীগের প্রতি অন্ধবিদ্বেষ ও আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ।   
    জবি শিক্ষার্থীদের উপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, নীরব ভূমিকায় পুলিশ
    পুরান ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের উপর সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালিয়েছে স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।এ ঘটনায় অন্তত ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত এক শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎধীন আছে। হামলার সময় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আহত শিক্ষার্থীরা।সোমবার (২৭ মার্চ) রাত ১০টার দিকে গেন্ডারিয়ার মুরগিটোলা মোড় এলাকায় প্রথম দফায় ও ১১ টার দিকে দ্বিতীয় দফায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় স্থানীয়দের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে শিক্ষার্থীদের। তখন এক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় দুইজনকে আটক করে সূত্রাপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।পরে রাত ১১ টার দিকে আবু সুফিয়ান ও শিহাব নামের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের টি-শার্ট পরিহিত অবস্থায় মুরগিটোলা মোড়ে চা খেতে গেলে হঠাৎ স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের ৫০-৬০ জন ওই দুই শিক্ষার্থীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তাদের চিৎকারে আশেপাশে অবস্থান করা আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী এগিয়ে এলে তাদের উপরও আক্রমণ করে স্থানীয়রা। গুরুতর আহত সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, আমি চা খাওয়ার জন্য আমার বন্ধুর সাথে বের হয়েছিলাম। হঠাৎ স্থানীয় কয়েকজন এসে আমাদের আটকিয়ে কোথায় থাকি জিজ্ঞাসা করে। বানিয়ানগর থাকি বলতেই আমাদের ওপর অনেকগুলো ছেলে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টি-শার্ট পরিহিত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে আর মারতে থাকে। আমরা আগের ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ করে বলেন, তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালালেও পাশে অবস্থান করা পুলিশ চেয়ে চেয়ে দেখেছে। হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে যায়নি পুলিশ। পুলিশ এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে বলেও জানান তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায় প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন মিলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করলেও তারা কার্যকর কোনো ভূমিকা পালন করেনি।  হামলার শিকার শিহাব নামের আরেক শিক্ষার্থী  বলেন, আমাদের মারধর করার পর পুলিশ এসে থামায়। কিন্তু বলতে থাকে তোরা জগন্নাথের স্টুডেন্ট এখানে আসছিস কেনো? এই কথা বলেই পুলিশ আমাকে মারতে থাকে।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আ‌মি বিষয়‌টি জানার পর আহত‌দের চি‌কিৎসার জন‌্য ব‌্যবস্থা ক‌রে দি‌য়ে‌ছি। সূত্রাপুর ও গেন্ডা‌রিয়া দুই থানার ও‌সির সা‌থেই কথা বলে‌ছি। থানাই অ‌ভি‌যোগ দি‌লে অ‌ভিযুক্ত‌দের বি‌রুদ্ধে ব‌্যবস্থা নি‌বে। আর পু‌লিশ‌ যে শিক্ষার্থী‌দের উপর হাত তু‌লে‌ছে সেই ভি‌ডিওটিও ও‌সি‌কে দি‌য়ে‌ছি।এবিষয়ে জানতে চাইলে গেন্ডারিয়া থানার ওসি মো. আবু সাঈদ আল মামুন বলেন, এটা সূত্রাপুর থানা অধীনে।  ঘটনার সময় সেখানে আমাদের পুলিশ সদস্যরা ছিল। তারা মারামারি থামিয়ে দিয়েছে। পরে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তবে এ ঘটনায় আমাদের এখানে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।সূত্রাপুর থানায় ওসি মো. মইনুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনায় ভিকটিম এখনো আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। কোথায় থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে তা ভিকটিম আসলে তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারবো। আর যেই দুজন কে আটক করা হয়েছিল তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত না। তাই তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।আরআইআর
    রোজা রেখেও বিএনপি মিথ্যাচার করে কীভাবে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
    আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের সফলতা ভোগ করেও বিএনপি অনবরত মিথ্যাচার করছে বলে দাবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। রোজা রেখেও বিএনপি নেতারা এত মিথ্যাচার কীভাবে করে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী।সোমবার (২৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপির সময় রেখে যাওয়া ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেট আমাদের সময় ৬ লাখ কোটি ছাড়িয়েছে। তবুও তারা বলে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে না। উন্নয়নের সুফল নিয়ে ঠিকই তারা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তবু মাইকে সারাদিন মিথ্যাচার করছে। রোজা রেখে তারা কীভাবে পারে এত মিথ্যা কথা বলতে?' এ সময় বাংলাদেশের মানুষের কষ্ট বোঝে না বলেই বিএনপি রমজানে আন্দোলনের ডাক দেয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপির নেতাকর্মীরা অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, এমন অভিযোগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী দলের সদস্যদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। আমরা তো তাদের মিছিল করতে দিচ্ছি। তারাতো আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতেই থাকতে দেয়নি। সড়কে নামলে বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে, বাড়িঘর দখল করেছে। হত্যা-গুমের মাধ্যমে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছিল।' 'রমজানে যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে, তাদের কাছে কেউ নিরাপদ না’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'তারা যা করেছে, সে সবের এক ভাগ করলেও তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু আমরা প্রতিশোধ নেইনি, আমরা অন্যায় করিনি। আমরা কেবল তাদের অন্যায়ের বিচার করছি।' বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আঁধার থেকে আলোর পথে যাত্রা শুরু হয়েছে বাংলাদেশের। আওয়ামী লীগের ওপর মানুষের যে আস্থা-ভালোবাসা তৈরি হয়েছে, তা ধরে রেখে এগিয়ে যেতে হবে।প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে সবাইকে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আজ বিএনপি দেশে-বিদেশে নালিশ করে বেড়াচ্ছে। আবার ধারাবাহিক গণতন্ত্রও অনেক মোড়লদের পছন্দ নয়। সব মিলে ষড়যন্ত্র চলছে বিভিন্ন স্থান থেকে। স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রেতাত্মারা যাতে আর ক্ষমতা দখল করতে না পারে, সে জন্য অতন্দ্র প্রহরীর মতো সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।'  জিতবে না জেনেই বিএনপি বারবার নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, '২০০৮ সালের পর তারা আর জিতবে না জেনে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছে বারবার। হেফাজত, অগ্নিসন্ত্রাসসহ বর্বর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ দেশের মানুষ। ক্ষমতায় থাকতে তারা দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারেনি, কিন্তু নিয়েছে অনেক।' বিএনপি মানে লুটপাট সন্ত্রাস এবং আওয়ামী লীগ মানেই উন্নয়ন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, 'দেশের সম্পদ বিদেশিদের কাছে বিক্রি করতে রাজি হইনি বলেই ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। তবে বিএনপি ক্ষমতায় এসে দেশকে কিছুই দিতে পারেনি। বরং বাংলাদেশের সম্পদ বিক্রি করেছে। লুটপাট, বিদেশে অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশের মানুষের অধিকার নষ্ট করেছে। তাদের সময় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করছে।'উন্নয়নের এ সুফল দেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে গেছে বলে দাবি করেন তিনি।
    সংলাপ নয়, অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য বিএনপিকে ডেকেছি: প্রধান নির্বাচন কমিশনার
    বিএনপিকে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশন কমিশনার।আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল এসব কথা বলেন। এ সময় সিইসির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতানা ও আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। চিঠির বিষয়ে সিইসি বলেন, 'আমরা একটি অনানুষ্ঠানিক পত্র দিয়ে বিএনপি মহাসচিবকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। আনুষ্ঠানিক নয়, অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আপনারা অংশগ্রহণ করতে পারেন- এভাবে একটি চিঠি দিয়েছিলাম।'বিএনপির সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা যদি আসেন, কী আলোচনা হবে সেটা সেই সময় আলাপচারিতার মধ্য দিয়ে ফুটে উঠবে। উনারা কী বললেন, আমরা কী বলবো। এই বিষয়ে আগাম কোনো বক্তব্য, আগাম কোনো ধারণা দিতে পারছি না।সিইসি আরও বলেন, 'আমরা কিন্তু সংলাপে আহ্বান করি নাই। সংলাপ বিষয়টা কিন্তু আনুষ্ঠানিক। আমরা কোনোভাবেই উনাদের সংলাপে আমন্ত্রণ জানাইনি। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি, আনুষ্ঠানিক না হলেও অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আপনারা আসতে পারেন।'তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার শেষ বেলায় চিঠিটা দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয়, চিঠিটা উনারা পেয়েছেন। বিভিন্ন বক্তব্য থেকে মনে হচ্ছে চিঠিটা উনারা পেয়েছেন। আমি ধরে নিচ্ছি উনারা চিঠিটা পেয়েছেন।  এ নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, 'অনেকে বলতে চেয়েছেন এটা সরকারের কূটকৌশল। আমি জাতিকে অবহিত করতে চাই, এই পত্রের সঙ্গে সরকারের কোনো রকম সংশ্রব নাই বা ছিল না। তিনি আরও বলেন, 'পত্রটি আমাদের এখান থেকে গেছে, সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী নয়। এটা মনে করায় আমরা অনেক সময় ব্যথিত হই যে, সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কোনো কাজ আমরা করব। আমরা সরকারের আজ্ঞা বহন করিনি। আমাদের চিন্তার মধ্য দিয়ে এটা ফুটে উঠেছে, বিএনপির মতো একটি দলকে নির্বাচনে আনতে পারলে ভালো হয়।'সিইসি বলেন, আমরা বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। আলোচনার ফল ইতিবাচক হতেও পারে, না-ও হতে পারে। প্রয়াস গ্রহণ করতে তো কোনো বাধা থাকা উচিত নয়। নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে সেটা নিয়ে আলোচনা হলে বিএনপি ইসির সঙ্গে কথা বলবে- এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, যেহেতু আমি চিঠি দিয়েছি। যেকোনো রেসপন্স আমাকে চিঠির মাধ্যমেই পেতে হবে। গণমাধ্যমে অনেকের বক্তব্য শুনেছি সেই কারণে আমি বললাম, অনেকে এই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। যেহেতু আমরা বিএনপি মহাসচিবকে চিঠি দিয়েছি, তাদের বক্তব্য চিঠির মাধ্যমে আসা কাঙ্ক্ষিত। এরপর আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নেব।তিনি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং কার্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করি। নির্বাচন কমিশন মনে করে, গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং দলীয় গণতন্ত্রের স্বার্থে বিশেষ করে দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। সংসদীয় গণতন্ত্রে দলীয় শাসনটাই মুখ্য। বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্রপ্রার্থী দ্বারা কখনো সরকার গঠন করা সম্ভব হয় না। সেই জন্য আমাদের লক্ষ্য, আমাদের দলগুলো চর্চার মাধ্যমে আরও সমৃদ্ধ, সংহত হোক এবং দেশে দলীয় চর্চা ও সংস্কৃতির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার আরও সংহত হোক। 
    স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরও গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিতে হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
    স্বাধীনতার  পাঁচ দশক পরও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপি সংগ্রাম করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজকে ৫২ বছর পরেও আমাদের গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিতে হচ্ছে। আমাদের লড়াই সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আমাদের ভোটের অধিকার হারিয়ে গেছে। আমাদের কথা বলার অধিকার হারিয়ে গেছে।রোববার (২৬ মার্চ) সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন ফখরুল। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সত্য কথা লেখার অধিকার হারিয়ে গেছে। এখানে কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আমরা এই দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম করছি। দেশনেত্রী বেগ খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে।মির্জা ফখরুল বলেন, সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। তখন যে স্বপ্ন ছিল, আশা আকাঙ্খা ছিল, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের।বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের কি দুর্ভাগ্য, দেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণীকে শুধুমাত্র গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের জন্য তাকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাসিত করা হয়েছে। ৩৫ লাখের বেশি আমাদের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে।তিনি বলেন, এই মহান দিনে, স্বাধীনতার শুভলগ্নে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে শপথ গ্রহণ করছি, আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে, চাল, ডাল তেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য ও দেশকে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আমরা যে সংগ্রাম শুরু করেছি, তা চালিয়ে যাবো।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহাজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
    জনগণকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল
    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে যে আশা-আকাঙ্খা নিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতাযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল- তা আজও পূরণ হয়নি। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য আজও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করার মাধ্যমে জনগণকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের চরম উত্থানে দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে।’আগামীকাল রোববার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শনিবার (২৫ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত দিয়ে তা বারবার বিপন্ন করতে চেষ্টা করেছে চক্রান্তকারীরা। কিন্তু আপোসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া বিপন্ন গণতন্ত্রকে বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেছেন, সেটিও আজকে ধ্বংস করে গণতন্ত্রের নামে কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ চালু করা হয়েছে। গণতন্ত্রের আপোসহীন নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে চক্রান্তমূলকভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের অপার সম্ভাবনাময় নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসিত করা হয়েছে।’মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘গুম, হত্যা, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্য দিয়ে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষকে অমানবিক হয়রানি করা হচ্ছে। রাষ্ট্রকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। নজিরবিহীন দুর্নীতি, সীমাহীন নির্যাতন ও দুঃশাসনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। তাই আজকের এই মহান দিনে বাংলাদেশের সকল দেশপ্রেমিক মানুষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি দলমত নির্বিশেষে ইস্পাতদৃঢ় ঐক্যের মাধ্যমে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে এই দেশবিরোধী গণবিরোধী শক্তিকে অপসারিত করে একটি জনগণের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য। সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায়বিচারের মাধ্যমে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে।’তিনি বলেন, ‘বিশাল রক্তস্রোত আর ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে মহিমান্বিত আমাদের স্বাধীনতা। অথচ আজও বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার এক গভীর চক্রান্ত চলছে। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার অপতৎপরতা এখনও বিদ্যমান। সকল ষড়যন্ত্র চক্রান্ত প্রতিহত করে মাতৃভূমির স্বাধীনতা সুরক্ষা এবং গণতন্ত্রের নুয়ে পড়া পতাকাকে সমুন্নত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এজন্য গড়ে তুলতে হবে সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য।’মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শোষিত জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব।
    আগামী নির্বাচনে বিএনপি না আসলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না: শাজাহান খান
    মাদারীপুরের সাংসদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি  শাজাহান খান বলেন, আসুন সবাই হিংসা বিদ্বেষ ভুলে একসাথে দেশের জন্য কাজ করি, আগামী নির্বাচনে বিএনপির আরেকটি ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করে আবারও সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। আমি তাদের একটা কথা বলতে চাই, বারবার শেখ হাসিনার সাথে পাঞ্জা লড়ে দেখছেন না, বারবার পরাজিত হয়েছেন। আমি আহবান জানাবো নির্বাচনে আসুন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি না আসলে তাদের অস্তিত্ব থাকবেনা। বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলা কদমবাড়ী ইউনিয়ন মহাবিদ্যালয় বিএনপি-জামায়াত এর সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও সহিংসতার বিরুদ্ধে রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের এর বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশের মানুষদের একত্রিত করেছিল বলে আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি।  আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ সেই চ্যালেঞ্জকে সামনে নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। আবারো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে আমাদের যেই উন্নয়ন সেই উন্নয়ন কে অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।এসময় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ আবুল বাসার, মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেলুর রহমান শফিক খান, রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক সাহাবুদ্দিন সাহা, এমপির মাদারীপুরের স্থানীয় প্রতিনিধি আজিজুল হক খান, এমপির রাজৈরের স্থানীয় প্রতিনিধি আ.ফ.ম ফুহাদ, কদমবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।এআই 

    দেশজুড়ে

    সব দেখুন
    রমজানের প্রথম কর্মদিবসে রাজধানীতে তীব্র যানজট

    টানা তিন দিন ছুটির পর রমজান মাসে আজ প্রথম কার্যদিবস শুরু হয়েছে। আর কার্যদিবসের প্রথম দিনেই যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী। গাড়ির জট লেগে রয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে।


    রোজা রেখে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অফিসগামী মানুষদের। বেলা বাড়ার সঙ্গে শহরে যানজটের পরিমাণও বাড়ছে। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় গাড়ি আটকে রয়েছে।


    রাজধানীর বিমানবন্দর, কুড়িল, বনানী, বাড্ডা, মহাখালী, হাতিরঝিল, রামপুরা, কারওয়ান বাজার, পান্থপথ, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়ী ও কালশী এলাকায় যানজট রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে রাস্তায় গাড়ির চাপও বাড়ছে বলে জানা গেছে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা চলছে বিমানবন্দর থেকে মহাখালী পর্যন্ত সড়কে।


    রাজধানীজুড়ে যানজটের বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ বলছে, তিন দিন ছুটি থাকার পর রমজানের প্রথম কর্মদিবসে একসঙ্গে সবাই কর্মস্থলে যাচ্ছেন। ফলে রাস্তায় গাড়ির চাপ বেড়েছে। 


    এদিকে ভুক্তভোগীরা বলছেন, ঢাকা শহরের যানজট প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এখন আর সকাল, বিকাল বা গভীররাত বলে কোন কথা নেই সব সময় যানজট। আর এই অবস্থা থেকে উত্তরণের কোন পথও খোঁজা হচ্ছে না। এতে করে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।


    ভিক্টর বাসের চালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা নিরূপায়। রজমানের শুরুতেই যদি এমন হয় তাহলে সামনের দিনগুলো তাহলে আর কত যানজট হবে, ভাবতে পারি না।

    রাজধানীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ৪৯

    রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।


    সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।


    এ সময় গ্রেপ্তারদের কাছে থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ডিএমপির বিভিন্ন থানায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ৩২টি মামলা করা হয়েছে।


    ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএমপির নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে রোববার (২৬ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে আজ (সোমবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।


    গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে থেকে ৭৭৬ পিস ইয়াবা, ১৫ কেজি ৪৫০ গ্রাম গাঁজা, ৪৫ গ্রাম ৩০ পুরিয়া হেরোইন ও ১৩ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।


    গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩২টি মামলা রুজু হয়েছে।

    লিফটে আটকা ৬ পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করলো ফায়ার সার্ভিস

    রাজধানীর শাহবাগে আব্দুল গণি রোডের পুলিশ কন্ট্রোলরুমে লিফটে আটকা পড়া ৬ পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করেছে ‘দি লাইফ সেভিং ফোর্স বাহিনী’। 

    ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ একটি কল আসে, এতে জানানো হয় রাজধানীর শাহবাগে আব্দুল গণি রোডের পুলিশ কন্ট্রোলরুমের লিফটে ৬ জন পুলিশ সদস্য আটকা পড়েছেন। এমন খবর পেয়ে শনিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাসস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

    উদ্ধার কর্মীরা অত্যাধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে অক্ষত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়। উদ্বারকৃতরা সকলেই পুলিশের কনস্টেবল।

    ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

    খালেদা ইয়াসমিন জানান, ৬ পুলিশ সদস্য লিফটে আটকা পড়ার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর থেকে একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।

    তিনি জানান, পুলিশ কন্ট্রোল রুমের নিচ তলায় মেশিনের সাহায্যে লিফটের দরজা খুলে আটকে পড়া ছয় পুলিশ সদস্যকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। লিফটে গোলযোগের কারণে দরজাটি লক হয়ে যাওয়ায় ৬ পুলিশ কনস্টেবল আটকে পড়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

    মালিবাগ রেলগেটে ট্রেনের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ

    মালিবাগ রেলগেটে ট্রেনের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

    ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাসেল ফারুক জানান, বুধবার রাত ৯টা ২ মিনিটের দিকে মালিবাগ রেলগেটে ট্রেনের সঙ্গে সোহাগ পরিবহনের একটি বাসের সংঘর্ষ হয়।

    তিনি জানান, এ ঘটনায় ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

    এফএস

    মিরপুরে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উৎযাপিত

    "স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজধানীর মিরপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে।

    শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকাল ১০ টায় মীরপুর সিদ্ধান্ত হাই স্কুলের উদ্যোগে স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। 

    এরপর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ বজলুর রহমানের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যদিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীত পরিবেশন,কেক কেটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম শুভ জন্মদিন পালন ও তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

    মীরপুর সিদ্ধান্ত হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা-১৪ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আঁগা খান মিন্টু (এমপি),বিশেষ অতিথি হিসেবে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি,বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনীতিবীদ কাইয়ুম খান ঝন্টু, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ও দারুসসালাম থানা আওয়ামীলীগ নেতা সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ গিয়াস উদ্দিন,বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


    এরপর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে স্বরচিত কবিতা আবৃতি,চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা,সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পরিশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

    সড়কে ঝরল স্বামী-স্ত্রীর প্রাণ, মেয়ে নাতিসহ গুরুতর আহত ৩

    ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে কালীগঞ্জে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের সঙ্গে মাছবোঝাই পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে স্বামী ও স্ত্রী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় শিশুসহ ভ্যানের তিন যাত্রী আহত হয়েছেন।


    আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের ছাবদার আলী (৫০) ও তার স্ত্রী পারভীনা বেগম (৪৫)।


    এ সময় নিহতদের মেয়ে সাথী খাতুন (২৫), নাতি আরাফাত ও ভ্যানচালক করিম হোসেন আহত হয়। তাদের প্রথমে কালীগঞ্জ, পরে যশোর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। 


    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিষয়খালী বাজারের তেল ব্যবসায়ী সাবদার আলী ও তার স্ত্রী মেয়ে ও নাতিকে সঙ্গে নিয়ে ভ্যানে করে যশোরে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলেন। পথে কালীগঞ্জ শহরে মোচিক চিনিকল গেটের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাছবোঝাই পিকআপ গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ভ্যানের সকল যাত্রীই গুরুতর জখম হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়।  


    কালীগঞ্জ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে আসার আগেই দুজন মারা গেছে। আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের যশোর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। 


    স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী মৃত্যুদন্ড

    যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী মোস্তফা বিশ্বাসকে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৭ মার্চ) সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক এম জি আযম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ঘাতক স্বামী মোস্তফা বিশ্বাস (৩৯) আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।


    মোস্তফা বিশ্বাস সাতক্ষীরার তালা উপজেলার চাঁদকাটি গ্রামের আমজেদ বিশ্বাসের ছেলে। নিহত স্ত্রী শিউলী খাতুন একই উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুস সবুরের মেয়ে।


    নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিশেষ পিপি জহুরুল হায়দার বাবু বলেন, বিয়ের পর যৌতুকের নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণের দাবি করে স্ত্রী শিউলী খাতুনকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন মোস্তফা বিশ্বাস। শিউলী খাতুন বাবার বাড়িতে থাকায় যৌতুকের টাকাসহ তাকে আনতে শ্বশুরবাড়ি রঘুনাথপুরে যান তিনি। যৌতুকের টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০০৯ সালের ১৬ জুলাই রাতে কথাকাটির এক পর্যায়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে শিউলী খাতুনকে হত্যা করেন মোস্তফা বিশ্বাস। 


    ওই দিনই পুলিশ মোস্তফা বিশ্বাসকে আটক করে। এই ঘটনার পরদিন মোস্তফা ও তার বাবা আমজেদ বিশ্বাসকে আসামি করে তালা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন শিউলী খাতুনের বাবা আব্দুস সবুর। ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর তালা থানার তৎকালিন এসআই লুৎফর রহমান মোস্তফা বিশ্বাস ও তার বাবা আমজাদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।


    তিনি আরো বলেন, ১০ জনের সাক্ষ্য ও পুলিশের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সোমবার ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মোস্তফা বিশ্বাসের মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আদেশ দেন বিচারক এমজি আযম। 


    এছাড়া অভিযোগ প্রমানণত না হওয়ায় মোস্তফা বিশ্বাসের বাবা আমজেদ হোসেনকে বেকসুর খালাস দেন বিচারক। আসামি পক্ষের আইনজীবী এড. বশির আহমেদ বলেন, 'আমরা এই রায়ে খুশী নই। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।'


    চাকু নিয়ে টিকটক করায় ২ কিশোর আটক

    যশোর: যশোরে চাকু নিয়ে টিকটক ভিডিও করে এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করায় অনিক (১৯) ও আলামিন (১৮) নামে দুই কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি বার্মিজ চাকু জব্দ করা হয়। 


    আটক টিকটকার অনিক শহরের শংকরপুর হারানের মোড়ের নুর ইসলামের ছেলে ও তার সহযোগী আলামিন শহরতলির সুলতানপুর গ্রামের নুর আমিনের ছেলে। শনিবার (২৫ মার্চ) বিকেলে শহরের পৃথক পৃথক স্থান থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশ।


    কোতয়ালী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল জানান, আটক অনিক শংকরপুর কলাবাগান ভাঙ্গড়ি পট্টিতে বার্মিজ চাকু নিয়ে নানা অঙ্গ-ভঙ্গি করে ভিডিও তৈরির মাধ্যমে ওই এলাকার লোকজনকে ভয়ভীতি দেখায়। আবার সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে পোস্ট করে। অনিককে বার্মিজ চাকু জব্দসহ আটক করা হয়েছে।


    এদিকে চাঁদপাড়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, সুলতানপুর এলাকায় বার্মিজ চাকু দিয়ে ভিডিও করার সময় স্থানীয়রা আলামিন নামে আরেক যুবককে আটক করে। পরে তারা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে আলামিনকে হেফাজতে নেয়।

    এআই 

    মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২

    মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় সাতক্ষীরায় একজন নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২ জন। 


    শুক্রবার(২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের শাকদাহ ব্রীজ এলাকায় দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে।

    নিহত আশিক(২৫) কলারোয়া উপজেলার কাজীর হাট এলাকার সামছুর রহমানের ছেলে। আহত ইমন ও শিমুল নিহত আশিকের খালাতো ভাই।


    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আশিক, ইমন ও শিমুল একটি এপাচি মোটরসাইকেলে চড়ে দ্রুতগতিতে সাতক্ষীরা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পাটকেলঘাটা থানাধীন শাকদাহ ব্রীজ এলাকায় পৌঁছানো মাত্র রাস্তার পাশে রাখা বালিতে মোটর সাইকেল স্লিপ করে তিনজনই পড়ে যায়। 


    মারাত্মক আহতাবস্থায় তিনজনকে পথচারীরা উদ্ধার করে দ্রুত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মমতাজ মুজিদ আশিককে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইমন ও শিমুলকে সদর হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


    সাতক্ষীরা থানার এসআই শাহেদুজ্জামান বলেন, 'সড়ক দুর্ঘটনায় আশিক নামের একজন মারা গেছেন এবং আরো ২ জন আহত হয়েছেন।' 

    আরআইআর

    মাগুরায় ট্রাক চাপায় নিহত ২

    মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া-শালিখা সড়কের আড়পাড়া বাজারের গ্রামীণফোন টাওয়ারের সামনে বালুভর্তি ট্রাকের চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩মার্চ) রাত ৮টার দিকে এই মর্মান্তিক দূঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেলে থাকা দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।

    নিহত শাহাবুর শালিখা উপজেলার ঝুনারী গ্রামের নূর মহম্মদ মোল্যা ও শাকিব হোসেন একই গ্রামের শামীমুর রহমান মোল্যার পুত্র।
     

    স্থানীয়রা জানায়, আড়পাড়া বাজারের দাতের চিকিৎসক সাহাবুর রহমান (৪০) ও কাপড়ের দোকানের কর্মচারী শাকিব হোসেন (২৫) নামে দুজন নিহত হয়েছে। তাদের দুজনের বাড়ি স্থানীয় জুনারি গ্রামে। সন্ধায় মোটরসাইকেল যোগে বাজার থেকে তাদের গ্রামের বাড়ি জুনারী যাওয়ার পথে দাউদ মুন্সীর রাইচ মিল পার হয়ে গ্রামীণফোন টাওয়ারের সামনে পৌছালে শালিখা-আড়পাড়া গামী ওষুধের কার্ভড ভ্যানকে সাইড দিতে গিয়ে বালু ভর্তি ট্রাক মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই  মোটরসাইকেলে থাকা দুজন নিহত হয়।

    এসময় শালিখা থানা পুলিশ ট্রাকসহ ওই গাড়ি চালক হানিফ মোল্যাসহ পিকআপ ভ্যান আটক করে। তবে পিকআপ ভ্যানের ওই চালক এবং হেল্পারকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তারা দু্জন পালাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।

    এঘটনায় শালিখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মোশাররফ হোসেন জানান, দূর্ঘটনার সংবাদ পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত দুজন কে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ঘাতক ট্রাক চালক সহ পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়েছে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

    এফএস

    ফেনীতে তরমুজের ব্যাপক ক্ষতি: দুশ্চিন্তায় চাষিরা

    এ বছর ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় তরমুজের ভালো ফলন সম্ভবনা থাকলেও চষিদের চোখে-মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। কারণ বৃষ্টিতে তাদের বোনা স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যাবে। অর্থনৈতিকভাবে মুখ থুবড়ে পড়ার সম্ভবনা চাষীদের। টানা দুইদিনের বৃষ্টিতে তরমুজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সোনাগাজী উপজেলায় এ বছরে দিগুণ জমিতে তরমুজ চাষ করেছে কৃষকরা। 


    আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় তরমুজ চাষীরা আশাবাদী ছিল এবার ভাল ফলন হবে। রমজানকে সামনে রেখে অধিক লাভের আশায় কৃষকরা বুক বেধেছিল। টানা বৃষ্টিতে তরমুজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। অল্প সময়ে বেশি লাভ হওয়ায় কয়েক বছর ধরে তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন কৃষক। গত বছরগুলোতে তরমুজে ব্যাপক লাভ হওয়ায় এবার সেই ঝোঁক আরও বেড়েছে। এবার পতিত জমিতেও মতো তরমুজ চাষে নেমেছেন অনেকে।


    সাইদ আনোয়ার নামে এক তরমুজ চাষী জানান, আমরা ১৬ জন মিলে শাহাপুর ও গুচ্চ গ্রামে ২০০ একরের মধ্যে পৌনে দুইকোটি টাকা ব্যায়ে তরমুজ আবাদ করেছি। এভাবে ধারাবাহিক বৃষ্টি হলে আমরা চরম ক্ষতির লোকসানে পড়বো। 


    উপজেলার দক্ষিণ চরদরবেশের মাইন উদ্দিন বলেন, গত বছর ৯ একর জমির তরমুজ বিক্রি করে ১১ লাখ টাকা পেয়েছিলেন। এ বছর আবাদের পরিমাণ বাড়িয়ে ১৫ একর জমিতে ঠেকেছে। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে তরমুজ ক্ষেতে পানি জমে গেছে। প্রথমদিকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কারণে কৃষকরা আশাবাদী ছিল অসময়ের বৃষ্টি ক্রমান্বয়ে থেমে যাবে। কিন্তু বুধবারের সকাল থেকে আবারও বৃষ্টিতে তরমুজের ক্ষেতে পানি জমে গেছে। জমে থাকা পানিতে পরবর্তীতে তরমুজ গাছ মরে যাওয়া ফলনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকায় করছে কৃষকরা। 


    উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলাতে ৫৭০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গেল বছর চাষাবাদ হয়েছে ৩৪৫ হেক্টর জমিতে ও ২০২১ সালে ১১৭ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। গত বছর ২৬ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি করেছে চাষীরা। এবার ৫০ কোটির বেশি বিক্রি হবে বলে জানান সোনাগাজী কৃষি অফিস।


    সোনাগাজী উপজেলা উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র নাথ বলেন, নবাবপুর,  চরচান্দিয়া, চরদরবেশ, সোনাগাজী সদর, আমিরাবাদ ইউনিয়নে তরমুজ আবাদ করছে চাষীরা। বৈরি আবহাওয়ার কারণে গত দুইদিনের বৃষ্টিতে তরমুজের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

    এআই 

    সাংবাদিক পরিচয়ে মাদক কারবার, সহযোগীসহ অবশেষে ধরা

    কক্সবাজার শহরের লালদিঘীর পাড় এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই মাদক কারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। এসময় তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ইয়াবা ও একটি প্রেস কার্ড জব্দ করেছেন।

    গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল এলাকার নুরুল হুদার ছেলে সাংবাদিক পরিচয়ী কক্সবাজার জেলা শ্রমিকলীগের সদস্য কামরুল হুদা সোহেল (৩৮)। ও একই উপজেলার রড়ঘোপ পশ্চিম আমজাখালীর মৃত ছৈয়দ নুরের ছেলে আলী হোসেন (৫০)।

    সোহেল বর্তমানে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজার দক্ষিণ ডিক্কুলে বসবাস করছেন। অপরজন ঝিলংজার দক্ষিণ মুহুরী পাড়ার বিসিক শিল্প এলাকায় থাকতেন।

    ডিএনসি বলছে, সোহেল সাংবাদিক এবং শ্রমিকলীগ নেতা পরিচয়ে মাদকের কারবার চালিয়ে আসছিলেন। বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ইয়াবাসহ স্বাধীন বাংলা নামের একটি পত্রিকার প্রেস কার্ড উদ্ধার করা হয়।

    মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন আসামী জানিয়েছেন, পরিদর্শক জীবন বড়ুয়ার নেতৃত্বে একটি টিম লালদিঘীর পাড় এলাকায় সোনালী ব্যাংকের সামনে এ বিশেষ অভিযান চালায়। এ সময় দুই যুবককে আটক করা হয়। আটকের পর তাদের শরীর তল্লাশি করে ১ হাজার ইয়াবা ও স্বাধীন পত্রিকার কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধির একটি কার্ড উদ্ধার করা হয়।

    রুহুল আমিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ওই পত্রিকার সাংবাদিক ও সরকার দলীয় নেতা পরিচয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধোঁকা দিয়ে মাদক কারবার চালিয়ে আসার কথা স্বীকার করেছেন। তারা কেউই সাংবাদিক নন। শুধু মাদকের কারবারের জন্য ওই পত্রিকার কার্ড ব্যবহার করতেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ কক্সবাজার জেলার নেতা পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়াতো বলে জানা গেছে।

    গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরিদর্শক জীবন বড়ুয়া বাদী হয়ে মাদক আইনে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    এফএস

    ফেনী রেলওয়ে স্টেশন এখন সব অপকর্মের নিরাপদ আশ্রয়!

    সকল ধরনের অপকর্মের নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে ফেনী রেলওয়ে স্টেশনের আশপাশের এলাকা। এ যেন একের ভেতর সব অপকর্মের নিরাপদ আশ্রয়। ছিনতাইকারি, মাদকসেবী, ভ্রাম্যমান পতিতাদের অভয় আশ্রমে পরিণত হয়েছে ফেনী রেলওয়ে স্টেশনের আশপাশের এলাকা। তাদের উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে স্টেশনে আগত যাত্রী সাধারণসহ এ পথ দিয়ে চলাচলরত সাধারণ জনগন।

    জানা যায়, রেলওয়ে প্লাটফর্ম থেকে রেলক্রসিং পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত বসে মাদকসেবীদের মিলনমেলা। তাদের দেখভালের দায়িত্বে থাকেন এলাকার প্রভাবশালী বড় ভাইরা। এ এলাকার মাদক বিকিকিনির হিড়িক দিন-দিন বাড়ছে।

    রেলওয়ের জায়গা দখল করে রেল লাইনের দুই পাশে প্রভাবশালীরা গড়ে তুলেছেন অবৈধ স্থাপনা। মাহে রমজানেও এখানে প্রকাশ্যে দিবালোকে বিক্রি হচ্ছে খাবার। অবাধে খাবার বিক্রি না করার নির্দেশনা থাকলেও মানছে না কেউই। পর্দার অন্তরালে খাবারের পাশাপাশি তারা চালিয়ে যাচ্ছেন মাদকের রমরমা ব্যবসাও। হাত বাড়ালেই এখানে মিলছে নেশা জাতীয় বিভিন্ন দ্রব্য । এখান থেকে মাদক পাওয়া সহজলভ্য হওয়ায় বেড়েছে ক্রেতা। এ এলাকায় বেড়েছে চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপরাধ। রাজনৈতিক কয়েক বড় ভাইয়ের ছত্রছায়ায় এসব অপকর্ম চলছে বলে জানা যায়। তাদের ভয়ে মুখ খুলছেন না স্থানীয়রা।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদকের টাকা যোগানোর জন্য তারা করছেন চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ। তাদের টার্গেট থাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াতরত যাত্রীরা। সুযোগ বুঝে ব্যাগ ধরে দেয় টান।চুরির মালমালের মধ্যে বিশেষ করে মোবাইল বিক্রি হচ্ছে স্টেশন রোডের বিভিন্ন দোকানে। তাদের খপ্পরে পরে সর্বশান্ত হচ্ছেন সাধারন যাত্রীরা। এতো কিছুর পরও প্রশাসনের নেই তেমন কোন নজরদারি। সন্ধ্যা নামলেই দেখা যায় পতিতাদের রেল লাইনের দুই পাশে আনাগোনা। রেল লাইনের দুই পাশে বসে উঠতি বয়সী তরুণদের আড্ডা। গ্রুপ বেঁধে তারা খেলেন লুডু। প্রায় সময় লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ঘটে মারামারির ঘটনা। প্রথমে চলে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ। পরে চলে দেশিয় অস্ত্রের মহড়া। আতঙ্কে থাকে জনগণ ।

    স্টেশন রোডের বিভিন্ন ব্যবসায়ী জানান, ছিনতাইকারীরা সাধারনত চোরাই মোবাইল বেশি বিক্রি করেন। তবে তারা যদি বুঝেন মোবাইলটি চোৱাই, তাহলে তারা তা কিনেন না। তবে কেউ কেউ হয়তো কিনতে পারেন। তারা জানান, পুরাতন মোবাইল শুধু স্টেশন রোডের দোকানদাররা যে কিনে তা নয়, জেলার বিভিন্ন স্থানে পুরাতন মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় হয়।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্টেশন রোডের বিভিন্ন ব্যবসায়ী জানান, স্টেশন এলাকায় এসব অপকর্ম যুগযুগ ধরে চলে আসছে। দেশের বিভিন্ন স্টেশন এলাকায় অপকর্ম হয় না তাতো ভাবাই যায় না। তারা জানান, কিছু টোকাই ও উঠতি বয়সের ছেলেদের উৎপাত স্টেশন রোড ও আশপাশের এলাকায় আগের চেয়ে বেড়েছে। রমজান ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বখাটেদের লাগাম টেনে ধরার দাবিও জানান তারা।

    ফেনী রেলওয়ে স্টেশনের ইনচার্জ (জিআরপি পুলিশ) পুলিশের উপ-পরিদর্শক আমজাদ আলি জানান, তিনি চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ফেনীর কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। এ সময়কালের মধ্যে চুরি, ছিনতাই ও মাদক বেচা-কেনার কোন ঘটনার কোন অভিযোগ তিনি পাননি। আজও তিনি কয়েকজন তরুন- তরুণীকে রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে বাজে আড্ডার জন্য বের করে দিয়েছেন। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি। কেউ যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দেয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। রেলওয়ের জায়গায় যে অবৈধ স্থাপনা আছে জিআরপি পুলিশ সাধারণত সেখানে যান না। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ যদি নির্দেশনা দেয় সেখানেও অভিযান চালানো হবে।

    তিনি বলেন, গত বছরের আক্টোবর মাসে দুর্বৃত্তরা রেলওয়ে পুলিশের এক কনস্টেবলকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে আহত করেছিল। সে ঘটনায় ১৩জনকে আসামি করে ৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। একটি মামলায় চার্জশিট হয়েছে। বাকি মামলার চার্জশিটও সহসায় হয়ে যাবে।

    ফেনী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. হারুন বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ তিনি পাননি। তিনি জিআরপি পুলিশের সাথে যোগাযোগের জন্য পরামর্শ দেন।

    পিএম

    তুফানে মাঠে ছিড়ে পড়লো বিদ্যুতের তার: দুই কিশোরের মৃত্যু!

    চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন হাফেজ খান (৭০) নামে এক বৃদ্ধ।

    মৃত দুই কিশোর হলেন- রামদাসদী লালুর দোকান এলাকার জাহাঙ্গীর খানের ছেলে মো. মিনহাজ (১৫) ও একই এলাকার আকতারের ছেলে মো. তামীম (১৬)।

    বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে শহরের পুরান বাজার পূর্ব রামদাসদী এলাকায় একটি মাঠে এ ঘটনা ঘটে। তারা দু’জনই পুরান বাজার নুরিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিলো। আর আহত হাফেজ খান ওই এলাকার বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

    জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তীব্র বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়। ঠিক ওই সময় হাফেজ খানের বাড়ির সামনের খোলা মাঠে খেলাধুলা করছিল কয়েকজন কিশোর। এ সময় মাঠের পাশের বৈদ্যুতিক লাইনের তার ছিঁড়ে নিচে পড়ে। এতে খেলারত দুই কিশোর ওই ছিঁড়ে পড়া তারে জড়িয়ে যায়। বিষয়টি নজরে এলে হাফেজ খান ওই দুই কিশোরকে ছাড়াতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি গুরুতর আহত হন।  স্থানীয়রা আহত তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে ওই দুই কিশোরের মৃত্যু হয়। আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

    চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, স্বজনরা ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতালের কর্মচারীদেরকে মারধর করেছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বর্তমানে হাসপাতাল থেকে থানায় এনে রাখা হয়েছে মরদেহ দুটি।

    পিএম



    চট্টগ্রামে ডোবা থেকে শিশুর গলিত মরদেহ উদ্ধার

    চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থেকে 'অপহৃত' শিশু আবিদা সুলতানা আয়নীর (১০) গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৯ মার্চ) ভোরে নগরের পাহাড়তলী থানাধীন মুরগী ফার্ম আলম তারারপুকুর পাড় থেকে আবিদা সুলতানা আয়নীর মরদেহ চট্টগ্রাম মেট্টো পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) উদ্ধার করেন।


    এর আগে গত ২১ মার্চ শিশুটি নিখোঁজ হয়। শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। এ ঘটনায় মোহাম্মদ রুবেল নামের স্থানীয় ওই তরকারি বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


    মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শরমিন জাহানের আদালতে বিড়ালছানা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে আবিদা সুলতানা আয়নীকে অপহরণ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন শিশুটির মা বিবি ফাতেমা।


    মামলাটি আদালত পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার হিসেবে নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, শিশু আবিদা সুলতানা আয়নী নগরের পাহাড়তলী কাজীর দীঘি সাগরিকা রোড এলাকার একটি বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী।


    মা পোশাক কারখানায় কাজ করেন। বাবা একই পেশায় ঢাকায় কর্মরত। গত ২১ মার্চ স্কুলের যাওয়ার পথে তাকে বিড়ালছানা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে স্থানীয় তরকারি বিক্রেতা মো. রুবেল অপহরণ করে নিয়ে যায়।  


    আবিদার মা বিবি ফাতেমা বলেন, ‘মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় গিয়েছিলাম। পুলিশ যদি আমার মেয়েকে খুঁজতো-এই ঘটনা ঘটতো না। আমি বার বার এসআই দুলালকে বলেছি, রুবেলকে সন্দেহ হয়। সে আমাকে দেখলে হাসে। এসআই দুলাল আমার কথার গুরুত্ব দেয়নি। আমি মেয়েকে অনেক খুঁজেছি। রুবেলকে সন্দেহ করেছি। তারা আমার মেয়েকে জ্বিন চালান দিয়ে নিয়ে আসবে বলে ঠাট্টা করেছে।’  


    তিনি আরও বলেন, ‘আমার মেয়ের অনেক শখ পূরণ করতে পারিনি। তার কাপড়গুলো কে পড়বে? আম্মু বেতন পেলে আমাকে ৫০ টাকা দিও। আব্বু আমি কুরআন নিয়েছি। আমার জন্য দোয়া করিও, তাড়াতাড়ি যেন শেষ করতে পারি। রুবেল আমার মেয়েকে কুরআন পড়তে দেয় নাই। সবাইকে বলেছি, আমার বাচ্চাকে খুন করেছে। থানার এসআই দুলাল ও মনিরকেও বলেছি। তারা আমাকে বলেছে- আমার মেয়ে নাকি প্রেম করে। রুবেল নাকি ভাল ছেলে। ছোট বাচ্চা কিসের প্রেম করে? আমার জ্বলজ্যান্ত বাচ্চাকে খুন করেছে। আমি মা ডাক শুনিনি আটদিন।’


    পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের বিশেষ পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, ডোবা থেকে বস্তাবন্দী শিশু আবিদা সুলতানা আয়নীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের পরে রুবেল আবিদাকে হত্যা করেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে ।’  

    এআই 

    ফরিদপুরে শিলাবৃষ্টিতে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি, কৃষকদের মাথায় হাত

    হঠাৎ শিলা বৃষ্টিতে ফরিদপুরের সালথা-নগরকান্দায় উত্তোলনের অপেক্ষায় থাকা হালি পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় ঘন্টাব্যাপী বৃষ্টিতে এই ক্ষতি হয়। 


    দাম না পেয়ে গত বছর পেঁয়াজ চাষ করে লোকসান গুনতে হয়েছে এখানকার হাজারো কৃষকের। তারপরেও জীবিকার তাগিদে এবার বিপুল পরিমাণে হালি পেঁয়াজ চাষ করেন তারা। ইতিমধ্যে সেই পেঁয়াজ উত্তোলন শুরু করা হয়েছে। এরই মধ্যে শিলা বৃষ্টিতে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হলো। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।   


    বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালে সরেজমিনে সালথার বালিয়া গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের বেশিরভাগ নিচু জমির পেঁয়াজ তলিয়ে গেছে। আর উচু জমির পেঁয়াজ শিলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যারা পেঁয়াজ ক্ষেতের ভেতরে আগাম পাটের বীজ বপণ করেছেন, তাদের আরও বেশি ক্ষতি হয়েছে। এমন অবস্থায় কৃষকেরা এক বুক হতাশা আর মাথায় দুশ্চিন্তা নিয়ে ক্ষেতের চারপাশ দিয়ে ঘুরাঘুরি করছেন। কেউ কেউ শ্রমিকদের নিয়ে কাঁদা-পানিতে নেমে পেঁয়াজ উত্তোলন করছেন। 


    জানা গেছে, পেঁয়াজ চাষ করে সারা বছরের অর্থনৈতিক চাহিদা মিটিয়ে থাকেন সালথা ও নগরকান্দার কৃষকেরা। এবারও উভয় উপজেলায় প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর হালি পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে। 


    কৃষকরা জানিয়েছেন, এমতিইে এবার পেঁয়াজের আশানুরূপ ফলন হয়নি। এরমধ্যে আবার শিলা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে। অন্যদিকে বাজারে পেঁয়াজের দামও তুলনামূলক কম। সব মিলিয়ে এবারও পেঁয়াজ চাষ করে কৃষকেরা পথে বসে যাবে। 


    ক্ষতিগ্রস্ত সালথার বালিয়া গট্টি গ্রামের কৃষক মো. সবুর খান বলেন, আমি এবার চার বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। এরমধ্যে শিলা বৃষ্টিতে তিন বিঘা জমির পেঁয়াজই তলিয়ে গেছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া এসব পেঁয়াজ ঘরে মজুদ রাখা সম্ভব না। ঘরে রাখলে সব পঁচে যাবে। 


    মো. মনসুর মাতুব্বর নামে আরেক কৃষক বলেন, গত বছর পেঁয়াজ চাষ করে লোকসান হয়েছে। তারপরেও এবার দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। ফলন তেমন ভাল হয়নি। দুই এক দিনের মধ্যে ক্ষেতের পেঁয়াজ উত্তোলন করতে চেয়েছিলাম। তারআগেই শিলা বৃষ্টিতে পেঁয়াজের তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে। 


    ইনছুর মাতুব্বর নামে অপর কৃষক বলেন, আমার চার বিঘা জমির পেঁয়াজই তলিয়ে গেছে। রোদে ক্ষেত শুকানোর পর এসব পেঁয়াজ উত্তোলন করতে গেলে ক্ষেতেই পঁচে যাবে। তাই বাধ্য হয়েই এখন পানির নিচ থেকে পেঁয়াজ উত্তোলন করছি। এমনতিইে পেঁয়াজের দাম নেই, তারপর ক্ষেতের পেঁয়াজ পানিতে তলিয়ে ও শিলার আঘাতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা এবার কিভাবে বাঁচবো? যদি এবারও আমরা ন্যায্য দাম না পাই তাহলে আমাদের ঘরে বসে থাকতে হবে।   


    নগরকান্দার বিনোকদিয়া এলাকার কৃষক মিলন শেখ বলেন, শিলা বৃষ্টিতে আমাদের এলাকায় পেঁয়াজের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বেশি ক্ষতি হয়েছে পেঁয়াজের (দানা) বীজের। এবার হালি পেঁয়াজ ঘরে রাখা যাবে না, আবার এসব পেঁয়াজ এখন বাজারে বিক্রি করলেও কম দামে বিক্রি করতে হবে। বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা করে। এই দামে পেঁয়াজ বিক্রি করলে এবারও পেঁয়াজ চাষ করে লোকসান হবে আমাদের। 


    সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জীবাংশু দাস বলেন, গতকালের শিলা বৃষ্টিতে আংশিক ক্ষতি হয়েছে পেঁয়াজের দানার। কিছু নিচু জমির পেঁয়াজ তলিয়ে গেলেও পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে। আবহাওয়া এমন থাকলে বা আর বৃষ্টি না হলে তলিয়ে যাওয়া পেঁয়াজের বেশি ক্ষতি হবে না। তবে এসব পেঁয়াজ বেশিদিন ঘরে রাখা যাবে না। আর শিলার আঘাতে পেঁয়াজের যে ক্ষতি হয়েছে, তাতে বেশি সমস্যা হবে না। 

    হত্যা মামলায় জামিনে বেড়িয়ে এসে কিশোরী ধর্ষণ, যুবক আটক

    ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় হত্যা মামলায় জামিনে বের হয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ লাদেন শেখ (২০) নামে এক যুবককে আটক করেছে র‌্যাব-৮।


    বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ফরিদপুর র‌্যাব-৮ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে লাদেন নামে ওই যুবককে আটকের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। 


    এর আগে বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলা থেকে তাকে আটক করা হয়। লাদেন শেখ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের রায়ের পানাইল গ্রামের আফজাল আলী মোল্যার ছেলে। সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। 


    ফরিদপুর-৮ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই যুবককে আটক করা হয়েছে। আটকের পর তাকে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 


    গত বছরের ৩০ জানুযারি পারিবারিক বিরোধের জেরে লাদেন শেখ, ইব্রাহীম শেখসহ আরও কয়েকজন একই এলাকার সৌদি প্রবাসী শেখ সাদির ছেলে ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহেদ শেখকে দিনদুপুরে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই নিহত শাহেদ শেখের ফুফা লিটন খান বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।


    এরপর ওই রাতেই লাদেন শেখ ও ইব্রাহিম শেখকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। ইব্রাহীম শেখ বর্তমানে জেলহাজতে থাকলেও গত বছরের সেপ্টেম্বরে আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হয় লাদেন শেখ।


    পরবর্তীতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলার স্বপ্ননগর আবাসন এলাকার একটি বাড়িতে অভিযুক্ত লাদেন শেখ নির্মাণ শ্রমিকের কাজে যায়। এ সুযোগে ওই বাড়ির ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে বাড়ির পাশের একটি ঘাসের জমিতে নিয়ে গামছা দিয়ে মুখ বেধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর ঘটনার একদিন পর ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে লাদেন শেখকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। 


    ঘটনার পর থেকে লাদেন শেখ পলাতক ছিলেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে ফরিদপুর র‌্যাব-৮ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা থেকে তাকে আটক করে।

    ওমরাহ হজ্জ করতে গিয়ে মাদারীপুরের রণি মারা গেছেন

    বাবাকে হারিয়েছে ১৬ বছর আগে। অনেক কষ্ট করে মা সন্তানদের মানুষ করেছেন। সাত সন্তানদের মধ্যে ছোট সন্তান হচ্ছে রুহুল আমিন রনি (৩৫)। মাদারীপুরে থাকা অবস্থায় অটোবাইক চালিয়ে সংসারের খরচ জোগার করতেন। গত প্রায় ৭ মাস আগে ধার দেনা করে জীবিকার সন্ধানে সৌদি আরব যান। 


    সৌদি আরবের খামিজ শহরের মিন্দিমাতাম নামেবএকটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন। ইতিমধ্যেই একটু একটু করে দেনা পরিশোধ করতে ছিলেন। এরই মধ্যে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় ওমরাহ হজ্জ করতে যাবার সময় সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলের আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাদারীপুরের কুনিয়া ইউনিয়নের দিয়াপাড়া গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের রুহুল আমিন (রনি) মারা যান। 


    এই ঘটনার খবর পাবার পর থেকেই মাদারীপুরের নিজ বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। বৃদ্ধা মাকে কোনভাবেই শান্তনা দিতে পারছেন না আত্মীয়-স্বজনসহ পাড়া প্রতিবেশি। 


    মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের দিয়াপাড়া গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের মৃত এসহাক মাতুব্বরের ছেলে রুহুল আমিন রনি।


    খোজ নিয়ে জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের দিয়াপাড়া গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের এসহাক মাতুব্বর তার পরিবার নিয়ে খুলনা থাকতেন। সেখানেই প্রায় ১৬ বছর আগে মারা যান। এরপর গত সাত বছর ধরে মাদারীপুরের নিজ বাড়িতে সাত সন্তান নিয়ে চলে আসেন এসহাকের স্ত্রী রাবেয়া বেগম। 


    অনেক কষ্ট করে চার ছেলে ও তিন মেয়েকে বড় করেছেন। তার একটি মেয়ে স্বামীর থেকে তালাকপ্রাপ্ত হওয়ায় চলে আসেন মায়ের সংসারে। ছোট্ট একটি দোচালা ঘর ছাড়া তাদের আর কিছুই নেই। অভাবের সংসারে কিছুটা খরচ জোগারের জন্য রনি অটোবাইক চালানো শুরু করেন। এরপর বিয়ে করেন। সংসারে এক ছেলে তাসরিফ মাতুব্বর (৭) ও মেয়ে তাসফিয়া (৩) বড় হতে থাকলে, সংসারের খরচ বেড়ে যায়। 


    কোন উপায় না পেয়ে ধার-দেনা করে জীবিকার সন্ধানে গত সাত মাস আগে সৌদি আরব যান রনি। সংসারের সবাই একটু সুখের সন্ধান পেতে থাকার মুর্হূতেই হারাতে হলো রনিকে। সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় ওমরাহ হজ্জ করতে যাবার সময় সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলের আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। 


    এই খবর শোনার পর থেকেই বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। মা কিছুক্ষণ পর পর জ্ঞান হারাচ্ছেন। স্ত্রী আসমা বেগমেরও একই অবস্থা। ছোট মেয়ে তেমন কিছু না বুঝলেও ছেলে বাবা বাবা বলে কান্না করছে। খবর পেয়ে আসে পাশের লোকজনও ছুটে আসছেন রনি বাড়িতে।


    মা রাবেয়া বেগম বলেন, ১৬ বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছি। এরপর অনেক কষ্ট করে সন্তানদের বড় করেছি। রণি অনেক ধার-দেনা করে সৌদি আবর গেছেন। সেখানে কাজ করতেন রনি। সৌদি আরব থেকে ফোন করে পরিচিত কয়েকজন জানিয়েছেন গাড়িতে আগুনে পুড়ে রনি মারা গেছে। তার লাশও নাকি পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে আমার ছেলেও লাশও কি দেখতে পাবোনা। এত টাকা ধার-দেনা করেছে, তা কিভাবে শোধ করবো। আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই।


    শাশুরী রাশিদা বেগম বলেন, আমার মেয়ের স্বামী অনেক ধার-দেনা করে বিদেশ গেছে। এখন আমরা কি করবো। আমার মেয়ে এই ছোট ছোট দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে কিভাবে বেচে থাকবে। শুনেছি ঐ গাড়িতে আগুন লেগেছে। তাই হয়তো তার লাশ আগুনে পুড়ে গেছে। হয়তো তাই লাশটি পাওয়া যাচ্ছে না।


    স্ত্রী আসমা বেগম বলেন, আমার সব শেষ হয়ে গেলো। আমার দুই সন্তান নিয়ে আমি একেবারে পথে বসে গেলাম। তাছাড়া এই ধার করা প্রায় ৪ লাখ টাকা আছে। তা কিভাবে শোধ করবো। আমি এব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা চাই। যাতে করে আমরা দেনা শোধ করতে পারি আর এই ছোট ছেলে-মেয়েকে নিয়ে একটু খেয়ে পড়ে বাচতে পারি। তাছাড়া আমার স্বামী মারা গেছে শুনছি। আরো শুনেছি তার লাশ নাকি পাওয়া যায়নি। যদি সে বেচে থাকে, তাহলে যেন তার ভালোভাবে চিকিৎসা হয়। আর মারা গেলে যেন, লাশটা বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়, এই দাবী সরকারের কাছে জানাই।


    রনির চাচাতো ভাই মিঠু মাতুব্বর বলেন, গতকাল রাতে বুধবার (২৯ মার্চ) আমরা রনির মারা যাবার খবর পেয়েছি। আমাদের এক আত্মীয় এই গ্রামেরই জসিম নামের একজন সৌদি আরবে রনির সাথে থাকতেন। জসিমই রাতে ফোন করে আমাদের জানিয়েছেন রনি ঐ গাড়িতে ছিলেন। দুর্ঘটনায় রনি মারা গেছেন। তবে তার লাশ পাওয়া যায়নি।


    কুনিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বর মো. হুমায়ন বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। রণি অনেক ধার-দেনা করে সৌদি আরব গেছেন। তাই পরিবারটি রনিকে হারিয়ে খুবই অসহায় হয়ে পড়েছেন। তাই যদি সরকারীভাবে কোন সহযোগিতার ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে হয়তো পরিবারটির একটু উপকার হতো।


    মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাইনউদ্দিন বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে রনির পরিবারের জন্য যতটুকু সহযোগিতা করা সম্ভব, তা করা হবে। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। 

    এআই 

    মাদারীপুরে স্কুলছাত্রীকে লাঞ্ছিত করায় বখাটের ৬ মাসের কারাদণ্ড

    মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের পশ্চিম রঘুরামপুর এলাকার এক স্কুলছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার অপরাধে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বখাটে ফয়সাল মোল্লাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে। বখাটে ফয়সাল মোল্লা (২৫) একই এলাকার মৃত জলিল মোল্লার ছেলে।


    ভ্রাম্যমাণ আদালত, শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের পশ্চিম রঘুরামপুর এলাকার এন্তাজদ্দিন খান পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে প্রায় উত্যক্ত করতো একই এলাকার ফয়সাল মোল্যা। 


    বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ের ভেতরে গিয়ে বখাটে ফয়সাল মোল্যা ঐ স্কুলছাত্রীকে উত্যক্ত করছিল। স্কুলছাত্রী এর প্রতিবাদ করলে বখাটে ফয়সাল ঐ ছাত্রীর গালে চড় মারে। এসময় ছাত্রী চিৎকার করলে বিদ্যালের শিক্ষকসহ অন্যরা এসে বখাটে ফয়সাল মোল্লাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাইনউদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ফয়সাল মোল্লাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।


    এ ছাত্রী বলেন, ফয়সাল আমাকে সব সময় বিরক্ত করতো। আজ আমি প্রতিবাদ করায় ও আমাকে মেরেছে। তাই ওর শাস্তি হওয়ায় আমি খুব খুশি। 


    বিদ্যালয়ের ইংরেজী শিক্ষক রিপন ফকির বলেন, বখাটে ফয়সাল মোল্যা আমার সামনে বসেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই ওর বিচার হওয়ায় আমরা খুশি। যাতে করে ও আর কোন মেয়ের সাথে এমন ঘটনা ঘটাতে না পারে।


    মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাইনউদ্দিন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ঐ বখাটে ফয়সাল মোল্লাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

    এআই 

    ফরিদপুরে ট্রেনের সাথে নসিমনের ধাক্কা, তিন ঘন্টা বন্ধ ট্রেন চলাচল

    ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গেছে একটি নসিমন। এ সময় নসিমনটি প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ঠেলে নিয়ে যায় ট্রেনটি। 


    বুধবার (২৯ মার্চ) রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুর বাজার রেলক্রসিংয়ে এ ঘটনা ঘটে। 


    তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন নসিমন চালকসহ দুই যাত্রী। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নামপরিচয় বা খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ দুঘর্টনার পর প্রায় ৩ ঘন্টা আটকে পড়ে ট্রেনটি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। 


    স্থানীয় ও রেলস্টেশন সূত্রে জানাগেছে, বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে রাজশাহী থেকে গোবরাগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস (গাড়ী নম্বর ৭৮৪) ট্রেনটি ছেড়ে আসে। রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর বাজার রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় একটি নসিমনকে ধাক্কা দেয় এবং দুর্ঘটনার শিকার হয়। নসিমনটি ট্রেনের নিচে দুমড়েমুচড়ে আটকে যায়। এ সময় ট্রেনের সামনের বাম্পার ভেঙ্গে যায়। প্রায় তিন ঘন্টা আটকে পড়ে ট্রেনটি। 


    ট্রেনযাত্রী ও নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বাসিন্দা প্রকাশ কুমার বিশ্বাস বলেন, রাজশাহী থেকে ছাড়ার পরই গতি কম থাকায় নির্ধারিত টাইম ঠিক ছিলনা। বোয়ালমারী ষ্টেশন থেকে প্রায় চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দুরে একটি নসিমন রেল ক্রসিং পার হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে নসিমনটি ট্রেনের নিচে আটকে পড়ে এবং নসিমনটিকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দুরে ঠেলে আনার পর চালক টের পেয়ে ট্রেনটি থামান। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। 


    বোয়ালমারী রেলষ্টেশন এলাকার লাইনম্যান চাঁন মিয়া বলেন, খবর পেয়ে লোকজন নিয়ে প্রায় তিন ঘন্টা চেষ্টার পর ট্রেনটি চালু হয়। নসিমন আটকে ট্রেনের ইঞ্জিনের বাম্পার ভেঙ্গে যায়। ভারী লোহার বাম্পারটি খুলে ট্রেনের বগির সঙ্গে বেঁধে ট্রেনটি চালু করা হয়। 


    বোয়ালমারী রেলস্টেশন এলাকার বাসিন্দা মোঃ মিজানুর রহমান মিজান বলেন, রেলের লাইনম্যান, স্থানীয় লোকজনের সহোযোগিতায় প্রায় তিনঘন্টার চেষ্টা চালিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত নসিমনটি সরানো হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ সময় যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। তিনি আরও বলেন, নসিমনে চালকসহ দুই যাত্রী থাকলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নামপরিচয় বা খোঁজ পাওয়া যায়নি।


    বোয়ালমারী রেলস্টেশনের বুকিং ইনচার্জ মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে বোয়ালমারীর সৈয়দপুর বাজার রেলক্রসিংয়ে একটি নসিমনকে ধাক্কা দেয় এবং দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ ঘটনায় প্রায় তিন ঘন্টা আটকে পড়ে ট্রেনটি। রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে বোয়ালমারী ষ্টেশন থেকে ট্রেনটি গোবরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

    এআই 

    ভোলায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবকের মৃত্যু

    ভোলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে  তারেক মাহমুদ বাবু (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে।

    সোমবার (২৭ মার্চ) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার ৩ নম্বর পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের চর নন্দনপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মৃত যুবক ওই গ্রামের মৃত হেলাল হাওলাদারের ছেলে।

    ভোলা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মাসুদ জানান, দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে একই উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে মো. হেলাল মেম্বার ও আলাউদ্দিনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলমান রয়েছে। হেলাল ও আলাউদ্দিন সহোদর ভাই। এছাড়াও হেলাল শ্যামপুর গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। হেলাল ও আলাউদ্দিন ব্যতীত কবির মঞ্জু নামে আরেকটি গ্রুপ রয়েছে।

    দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে দুই সহোদর ভাইয়ের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলমান রয়েছে। এরই জের ধরে সোমবার রাতে দু’গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে আহত বাবুকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    বাবুর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কোপের আঘাত রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় সোমবার মধ্যে রাত পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ভোলায় দুই যুগেও সংস্কার হয়নি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর

    দীর্ঘ দুই যুগেও সংস্কার না করায় জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাক হাউস। ঘরগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে থাকে। পলেস্তারা খসে পড়া সিমেন্টের খুঁটির উপর নড়বড়ে অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে এখানকার ঘরগুলো। ১৯৯৮ সালের জুলাই মাসের ১৬ তারিখে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ব্যারাক হাউজটি নির্মিত হয়। প্রকল্পটির অবস্থান ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার নায়ইবের পোল এলাকায়।

    প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের জুলাই মাসের ১৬ তারিখে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দুই একর জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাক হাউজ নির্মিত হয়। হতদরিদ্র ভিটাবাড়ি হারা ৪০টি পরিবারের জন্য এ প্রকল্পের ঘরগুলো বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রকল্পে ৪০টি পরিবারের জন্য দুইটি শৌচাগার ও দুটি গোসলখানা নির্মাণ করে দেওয়া হয়। পরিবারগুলোর জন্য দুইটি নলকূপ দেওয়া হয়। কিন্তু গত ১৬ বছর আগে নলকূপ, শৌচাগার ও ঘরসহ অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে গেছে।

    আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, ব্যারাকের প্রতিটি ঘর জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ঘরের ছাউনির টিনগুলো মরিচা পড়ে ছিদ্র হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই অঝোরে পানি পড়বে। সেগুলো বন্ধ করতে পলিথিন বিছিয়ে তার ওপর ইট চাপা দেওয়া হয়। দরজা-জানালা ভেঙে গেছে বহু আগে। এসব দরজা-জানালা বন্ধ করার কাজ চালিয়ে নিচ্ছে চটের বস্তা টানিয়ে। শৌচাগারটির ভেঙে যাওয়া দরজা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছে বাসিন্দারা। একটি নলকূপ অকেজো হয়ে রয়েছে। বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে বর্তমানে ব্যবহার অযোগ্য এসব ঘরে ৩৪টি পরিবারে নারী ও শিশুসহ অন্তত ২শ' ২০জন বসবাস করেছেন। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানবেতর জীবনযাপন করেছেন আশ্রয়হীন পরিবারগুলো। এমন দুর্ভোগের জীবন সহ্য করতে না পেরে কয়েক বছর আগে ৬টি পরিবার চলে গেছে।

    এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে আশ্রিত বৃদ্ধ আবুল কালাম ১৭ বছর আগে লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নে বাবার ভিটায় বসবাস করতেন। বাবা দেনার দায়ে বসত ভিটি বিক্রি করে দিলে বিচ্ছন্ন হয়ে পরে তার পরিবার। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আশ্রয় মেলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে। ছেলেরা অন্যত্র চলে গেলেও বৃদ্ধ স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন এ প্রকল্পের একটি ঘরে। কয়েক দশক মেরামাত না হওয়ায় জরাজীর্ণ ঘরে এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরায় মাথা গুজার শেষ ঠাঁইটুকু এখন কালো অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে।

    তিনি বলেন, 'আমাগো কষ্ট কেউ দেহেনা। বৃষ্টি আইলে চাল (ছাউনি) দিয়া পানি পইরা কাঁথা-বালিশ ভিইজ্যা (ভিজে) যায়। মাইনষ্যের (মানুষের) গরুঘরও এর চেয়ে ভালা থাহে।'

    তিন সন্তানের জননী বিউটি বেগম বলেন, 'বৃষ্টি আইলে রানদনের (রান্না) পাতিল নিয়া বইশ্যা থাকি। বৃষ্টির কোপে টিন ফুটা হইয়্যা বিছনায় পানি পড়ে সব ভিইজ্যা (ভিজে) যায়। আমাগ ঘরগুলা দশ বছর আগে ভাইংগা (ভেঙে) গেলেও ঠিক করে নাই। আমাগ (আমাদের) খোঁজ কেউ নেয় না। সরকারের কোন সহায়তা পাই নাই।'

    আশ্রিত ময়ফুল বেগম, শ্বাশুড়ি, স্বামী ও দুই সন্তান মিলে পাঁচজনের সংসার। আঠারো বছর ধরে দুই কক্ষের একটা ঘরে বসবাস করলেও প্রায় পাঁচ বছর আগে একটি কক্ষের ছাউনির টিন মড়িচায় পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। ওই চাউনির টিন না থাকায় পরিত্যক্ত হয়ে আছে কক্ষটি। বৃষ্টি হলে ঘরের এক কোনে বসে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। তাই একটি কক্ষে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে পাঁচজনের এই পরিবারটিকে।

    ব্যারাক হাউজের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, 'সামনে দুর্যোগ মৌসুম। আশ্রয়ণ প্রকল্পের জরাজীর্ণ ঘরগুলোতে পলিথিনের ছাউনি দিয়ে বসবাস করছে আশ্রিতরা। এসব জরাজীর্ণ ঘর ও টয়লেট, টিউবওয়েল মেরামত করা প্রয়োজন। আমরা সরকারিভাবে কোন সুযোগ সুবিধা পাইনি। নেই শিশুদের কোনো শিক্ষার ব্যবস্থা। এবিষয়ে উপর মহলকে একাধিকার জানিয়েও কোনো সুফল পাইনি।'

    প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অনিছুর রহমান বলেন, 'আপাতত পুরানো আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো মেরামতের কোন উদ্যোগ নাই। সরকার উদ্যোগ নিলে সংস্কার হতে পারে।'

    উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আল নোমান বলেন, 'ইতিপূর্বে পুরানো আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো সংস্কার চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্ধ হলে আশ্রীতদের বসবাসের অনুপযোগী ঘরগুলো মেরামত করা হবে।'

    ওমরাহ করে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ বাংলাদেশির

    বরগুনা: ওমরাহ হজ করে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের দুইজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশ সময় শনিবার (২৫ মার্চ) রাত ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।


    নিহতরা হলেন- বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের মোতাহার জোমাদ্দারের ছেলে সাগর জোমাদ্দার (২৩) ও তার দুলাভাই মো. মোজাম্মেল হোসেন (৪৫)।


    রবিবার (২৬ মার্চ) সকালে নিহত সাগর জোমাদ্দারের বড় ভাই উজ্জ্বল জোমাদ্দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


    পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাগর ও তার দুলাভাই মোজাম্মেল সৌদি আরব প্রবাসী। তারা সৌদি আরবের আলগাছিমের উনাইযা নামক স্থানে কাজ করতেন। গত বৃহস্পতিবার তারা ওমরাহ হজ পালনের জন্য মক্কায় যান। ওমরা হজ পালন শেষে শনিবার কর্মস্থলে ফেরার পথে তাদের বহন করা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি পাথরের পাহাড়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান।


    এদিকে একই পরিবারের দুইজন ব্যক্তির নিহতের খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওই পরিবারসহ পুরো এলাকাজুড়ে।


    নিহত সাগরের বড় ভাই উজ্জ্বল জোমাদ্দার বলেন, তাদেরকে তো আর ফিরে পাব না, অন্তত কবর যেন বাড়িতে দিতে পারি। তাই আমার ভাইয়ের ও দুলাভাইয়ের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।


    এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুহৃদ সালেহীন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন প্রবাসীর নিহতের খবর শুনেছি। নিহতদের মরদেহ বাংলাদেশে আনার ক্ষেত্রে সৌদি আরবে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    এআই 

    এমপির সামনে আওয়ামী লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ

    বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শাহ আলম তালুকদারের সামনে উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই সহ-সভাপতি গ্ৰুপের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ওরফে ইকবালের বিরুদ্ধে একই কমিটির সহ-সভাপতি মো. ইদ্রিস সরদারকে (৪৫) পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত ইদ্রিস সরদারকে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।


    রোববার (২৬ মার্চ) সকালে উজিরপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।


    প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা গেছে, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে উজিরপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকাল ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শাহ আলম তালুকদার। সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হলে তার সঙ্গে উপস্থিত হন উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উজিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ওরফে ইকবাল এবং একই কমিটির সহ-সভাপতি মো. ইদ্রিস সরদার।


    এ সময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সাংসদের সামনে ইদ্রিস সরদারকে কটূক্তি করে অশালীন ও অসংলগ্ন মন্তব্য করলে ইদ্রিস তার প্রতিবাদ করলে হাফিজুর রহমান তাকে সাংসদের সামনে মারধর শুরু করেন।


    আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইদ্রিস সরদার করে বলেন, সংসদ সদস্যর সামনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান আমাকে নিয়ে কটূক্তি ও অশালীন মন্তব্য করে। আমি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের কথার প্রতিবাদ করলে হাফিজুর রহমান আমার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ক্যাডার কাজী রিয়াজ (২৭), পলাশ তালুকদার (৩০) ও রুবেল হোসেন (২৫) ইদ্রিসসহ ৭/৮ জন সন্ত্রাসী আমাকে লাঠিপেটা করে রক্তাক্ত জখম করেছে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।


    অভিযোগের ব্যাপারে জানতে মো. হাফিজুর রহমানকে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।


    এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান বলেন, এখনও এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


    পায়রা দেশের সবচেয়ে গভীরতম সমুদ্র বন্দরে রূপান্তরিত হয়েছে: বন্দর চেয়ারম্যান

    পায়রা সমুদ্র বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বলেছেন, পায়রা সমুদ্র বন্দরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ক্যাপিটাল ড্রেজিং সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে পায়রা দেশের সবচেয়ে গভীরতম সমুদ্র বন্দরে রূপান্তরিত হয়েছে।

    রবিবার দুপুরে পায়রা সমুদ্র বন্দরের সম্মেলন কক্ষে ড্রেজিং কার্যক্রম শেষে চ্যানেল হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

    বন্দর চেয়ারম্যান আরো বলেন, ড্রেজিংয়ের ফলে ৭৫ নটিক্যাল মাইল দৈর্ঘ এবং ১১০ থেকে ২০০ মিটার প্রস্থের চ্যানেলটির গভীরতা ১০.৫ মিটারে উন্নীত হয়েছে, এর  ফলে প্যানামেক্স সাইজের বড় মাদার ভ্যাসেল সহজে প্রতিনিয়ত বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে। ৪০ হাজার মেট্রিকটন পন্য বোঝাই জাহাজের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের লাইটারেজের প্রয়োজন হবেনা। এতে  বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বহুগুন বৃদ্ধি পাবে,  যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। মে মাসে বন্দরের প্রথম টার্মিনালের কাজ শেষ হবে। ইতিমধ্যে ইনার ও আউটারবারে মার্কিং, বয়াবাতি বসানো হয়েছে। ইনারবারে ১৫টি জাহাজ রাখা যাবে। সেখানে লোডিং আনলোডিং কার্যক্রম চলবে। 

    এসময় পটুয়াখালী-৪ আসনের সদস্য মুহিব্বুর রহমান, জান ডি নূল-এর প্রকল্প পরিচালক জান মঈন, বন্দরের স্কীম পরিচালক রাজিব ত্রিপুরাসহ বন্দরের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। 

    সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বেলজিয়াম ভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নূল। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত তারা মেনেটেইনেন্স ড্রেজিং করবে।

    শেরপুরে বৃদ্ধ দম্পতির রহস্যজনক মৃত্যু

    শেরপুরের একটি বাড়ি থেকে ছয়রা বেগম (৮০) ও তার স্বামী শামসুল হকের (৮২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় বসত ঘরের ভেতর থেকে একটি বিষের বোতল জব্দ করা হয়। বিষপান বা অন্য কোনো কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করেনি পুলিশ।

    মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে সদর উপজেলার বলাইরচর ইউনিয়নের চকসাহাব্দী ফকিরগঞ্জ বাজারের বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার হয়। 

    পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রাতে খাবার শেষে ঘুমাতে যান ছয়রা বেগম ও শামসুল হক। সকাল পৌনে ৭টার দিকে তাদের নাতি ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে টিনের বেড়ার ফাঁক দিয়ে ঘরের ভেতর উঁকি দেন। এসময় তিনি ছয়রা বেগমকে বিছানায় এবং শামসুল হককে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে লাশ দুটি উদ্ধার করে এবং শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

    শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুবকর সিদ্দিক বলেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে একটি বিষের বোতল উদ্ধার করেছি। মারা যাওয়া দম্পতির একমাত্র ছেলে আমাদের জানিয়েছেন, তার বাবা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এই দম্পতির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। আমাদের একাধিক ইউনিট এই বিষয়ে কাজ করছে।

    পিএম


    চোর ধরে লাখপতি মোশারফ

    শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ভোরে উপজেলার রূপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের সিঙ্গুয়ারপাড় গ্রামে স্থানীয়দের কাছে আটক হওয়ার পর সকালে ওই চোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সকালেই স্থানীয় মাহফুজ হাজী নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

    এদিকে ট্রান্সফরমার চোর ধরিয়ে দেওয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান মো: মোকছেদুর রহমান লেবুর ঘোষণা অনুযায়ী লাখ টাকা পুরষ্কার পেতে যাচ্ছেন মোশারফ নামের এক ব্যাক্তি।

    গ্রেফতার হওয়া চোর চক্রের ওই সদস্যের নাম রাসেল মিয়া (৩৫)। তিনি পার্শ্ববর্তী হালুয়াঘাট উপজেলার রুহি পাগারিয়া গ্রামের মৃত কায়েশ মিয়ার ছেলে।

    পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত উপজেলায় আশঙ্কাজনকহারে ট্রান্সফরমার ও বৈদ্যুতিক সেচপাম্পের মোটর চুরি হচ্ছিল। পরে গত বছরের জুলাই মাসে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু পরিষদের পক্ষ থেকে ট্রান্সফরমার চোর ধরতে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন। পরে মাঝে কিছুদিন ট্রান্সফরমার চুরি বন্ধ থাকলেও চলতি বোরো মৌসুমে পুনরায় আশঙ্কাজনকহারে ট্রান্সফরমার ও মোটর চুরি বৃদ্ধি পায়। এতে গত এক বছরে অন্তত অর্ধশত ট্রান্সফরমার ও মোটর চুরি হয়ে যায়। গেল সপ্তাহেও উপজেলার রূপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গা থেকে একরাতে ৯টি বৈদ্যুতিক মোটর চুরি হয়।

    পরে বৃহস্পতিবার ভোররাত তিনটার দিকে উপজেলার রুপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের সিঙ্গুয়ারপাড় গ্রামের মাহফুজ হাজীর পুকুর সংলগ্ন বৈ্যুতিক খুঁটিতে উঠতে যায় চোর চক্রের সদস্য রাসেল। এসময় প্রতিবেশি মোশারফ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে এলে সে চোর দেখে চিৎকার করে। চিৎকার শোনে রাসেল খুঁটি থেকে নিচে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক মোশারফ চোরকে জাপটে ধরে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে গণধোলাই দিয়ে রাসেলকে বেঁধে রাখে। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সকাল দশটার দিকে আহত রাসেলকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করে।

    মোশারফ বলেন, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে খুঁটিতে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে উঠতে দেখি। ফলে চিৎকার দিলে সে নিচে পড়ে পালাতে চেষ্টা করে। এসময় তাকে ধরে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের মানুষ এসে তাকে আটক করে।

    উপজেলা চেয়ারম্যান মো: মোকছেদুর রহমান লেবু বলেন, আশঙ্কাজনক হারে ট্রান্সফার চুরিতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছিলো। চোর ধরতে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা পুরষ্কারের ঘোষণা দিয়েছিলাম। দ্রুত আনুষ্ঠানিকভাবে মোশারফ নামের ওই ব্যাক্তিকে পুরষ্কার বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

    জানতে চাইলে নালিতাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল লতিফ বলেন, আহত অবস্থায় চোর চক্রের সদস্য রাসেলকে উদ্ধার করে শেরপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে৷ চিকিৎসা শেষে আদালতে পাঠানো হবে।

    ত্রিশালের রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

    ময়মনসিংহের ত্রিশাল-বৈলর ফুলবাড়িয়া সড়কটি বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। ১২ বছর ধরে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিনেও সড়কটির কোনো উন্নয়ন না হাওয়ায় কাদামাটিতে একাকার হয়ে যায় এই ব্যস্ততম সড়ক। 


    ফলে ভোগান্তিতে রয়েছেন ত্রিশাল ও ফুলবাড়ীয়া উপজেলার জনসাধারণ। সংস্কারের অভাবে যত দিন যাচ্ছে ততই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে সড়কটি। 


    সংস্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত স্থানীয় এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। এক পর্যায়ে মানববন্ধনে অংশ কারীরা উত্তেজিত হয়ে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের বৈলর নামক স্থানে প্রায় দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে আটকা পড়ে হাজার হাজার যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েন দূরপাল্লার গাড়ির যাত্রীরা। পরে ত্রিশাল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন হস্তক্ষেপে জনতা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। 


    উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, গত ৫ মাস যাবত রাস্তাটির কাজ বন্ধ আছে। নতুন করে টেন্ডার আহ্বান করা হবে।  

    এআই 

    জামালপুরে হাট-বাজার ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ, কোটি টাকা কমেছে ইজারা মূল্য!

    জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার হাট-বাজার ইজারা দেওয়া নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

    উপজেলার গোপালগঞ্জ বাজার নামক একটি হাটের গত বছরের ইজারা মূল্য ছিল ১ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এ বছরে ওই হাটটি মাত্র ৮৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা ইজারা হয়েছে। এতে সরকার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, সরিষাবাড়ী পৌরসভার কাউন্সিলর সাখাওয়াতুল আলম মুকুলের প্রভাবের কারণে হাট-বাজার ইজারা প্রত্যাশীরা দরপত্র কিনতে পারেননি। দরপত্র কিনতে না‌ দেওয়ার কারণে এবং উপজেলা প্রশাসনের যোগসাজসে ইজারা মূল্য কমেছে।

    ওই হাট ইজারা নিয়েছে সরিষাবাড়ী পৌরসভার প্রভাবশালী কাউন্সিলর সাখাওয়াতুল আলম মুকুল। তিনি সরিষাবাড়ী আসনের সংসদ সদস্য ডা: মুরাদের প্রতিনিধি।

    সরিষাবাড়ী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, বাংলা ১৪৩০ সনের জন্য ১০ টি হাট ও ২টি কুলঘাট ইজারার জন্য ১ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপমা ফারিসা দরপত্র বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, ৫ মার্চ হতে ১৪ মার্চ পর্যন্ত সিডিউল বিক্রি ও ১৫ মার্চ দুপুর ১২ টা পর্যন্ত দরপত্র জমাদানের তারিখ (১ম পর্যায়) নির্ধারণ করা হয়। দরপত্র বাক্স খোলা হয় ১৬ মার্চ বিকেলে।

    খোঁজ খবর নিয়ে আরো জানা গেছে, উপজেলার সর্ববৃহৎ হাট পিংনা ইউনিয়নের গোপালগঞ্জ হাটের গত বছরের ইজারা মূল্য ছিল ১ কোটি ৯১ লাখ ৫২০ টাকা। এ বছরে ওই হাটটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা ইজারা হয়েছে। জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে উপজেলার ১০ টি হাট ইজারার সর্বমোট সিডিউল ৬৫ টি বিক্রি হয়। জমা পড়ে ৩৫ টি। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ গরুর হাটের সিডিউল জমা পড়ে মাত্র ৪টি।

    উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমি গোপালগঞ্জ গরুহাটের সিডিউল ক্রয় করি। আমাকে কৌশলে ধনবাড়িতে ডেকে নিয়ে আমার সিডিউলটি নিয়ে নেন। সিডিউলে আমার স্বাক্ষর আদায় করলেও পরে তা ফেরত বা আমাকে জমা দিতে দেয় নাই।

    ডোয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রতন বলেন,'আমি ডোয়াইল বাজারের জন্য সিডিউল কিনতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ইউএনও অফিস থেকে আমাকে বলা হয়, সিডিউল বিক্রিতে নিষেধ আছে। পরে জানতে পারি যে, মুকুলের নির্দেশে সাংকেতিক টোকেনের মাধ্যমে নির্ধারিত লোকদের কাছেই সিডিউল বিক্রি হয়েছে। পরে বিক্রিত সিডিউলগুলো কৌশলে একত্র করে নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা নিশ্চিতের পর দরপত্র বাক্সে জমা দেয়া হয়।

    সাখাওয়াত আলম মুকুল বলেন, সরকার তাঁর নীতিমালা অনুযায়ী দিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যে কথাগুলো বলছে সেগুলো মিথ্যা ভিত্তিহীন।

    অভিযোগের এ বিষয়ে মুঠোফোনে সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপমা ফারিসা বলেন,' এ বিষয়ে জানতে চাইলে আপনি অফিসে আসেন। তাহলে ভালোভাবে জানতে পারবেন।

    এ বিষয়ে জামালপুরে জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় বলেন, অনিয়মের লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


    ত্রিশাল উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন ঘোষণা, মিষ্টি বিতরণ

    আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার এই প্রতিপাদ্য দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত তালিকায় যোগ হয়েছে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলা। 


    বুধবার (২২ মার্চ) সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের ন্যায় এই উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন হিসেবে ঘোষণা করেন। 


    সকালে ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ হল রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের হাতে জমির দলিল হস্তান্তর ও উপকারভোগীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

     

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার ময়মনসিংহের পরিচালক ফরিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কান্তি চক্রবর্তী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মতিন সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আখতারুজ্জামান, উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি  হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির আকন্দ, উপজেলা পরিষদের মহিলা  ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা খানম রুমা, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মোমেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ বাদল, আব্দুল কুদ্দুস মন্ডল, আব্দুল আজিজ, আপেল মাহমুদ সহ অন্যরা। 


    এই নতুন ৩৩টি ঘরসহ ত্রিশাল উপজেলায় চার ধাপে মোট ১৫৩ জন গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।

    এআই 

    ঠাকুরগাঁওয়ে মাটি চাপা পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

    ঠাকুরগাঁওয়ে টয়লেটের রিং স্লাব বসাতে গিয়ে মাটি ধসে লক্ষণ চন্দ্র পাল (৩০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

    বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুর ৩টার সময় পৌর শহরের ডিসি বস্তি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত লক্ষণ দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থানার ৯নং সাতর ইউনিয়নের দক্ষিন দোলুয়া গ্রামের মৃত রাজবিহারী পালের ছেলে।

    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বুধবার সকাল ১১টা থেকে ডিসি বস্তি এলাকায় মমতা বেগমের বাড়িতে কয়েকজন শ্রমিক মাটির গভীরে টয়লেটের রিং বসাচ্ছিলেন। এসময় কাজ করতে করতে প্রায় ১৪টি রিং বসার পর লক্ষণের ওপর মাটি ধসে পড়ে। তার সাথে থাকা নারায়ন চন্দ্র চিৎকার করলে তাকে উদ্ধার করতে আশাপাশের লোকজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে লক্ষণের মৃতদেহ উদ্ধার করে।

    ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


    হাঁড়ির হিসাব মিলাতে পারি না, সেহরি-ইফতারের খবর করে লাভ কী?

    দেশে বহুদিন ধরেই নানা সংকটে ভরপুর। এক সংকটের পর আরেক সংকটের আবির্ভাব। তার মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি এটা আর নতুন কিছু নয়। এদেশে বহুকাল ধরেই লাফিয়ে লাফিয়ে, দফায় দফায় বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম।


    অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে চাল, ডাল, মাছ, মাংস, তেল, তরিতরকারি, ফলমূল, চিনি, লবণ, গম, আটা, রুটিসহ ওষুধপত্র ইত্যাদি দ্রব্যের মূল্যের দাম। শুধু তাই নয় বরং নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ গুলোর প্রিয় খাবার ডিম। সেই ডিমের দাম আগের তুলনায় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি হিসাবেই মোটা চালের কেজি এখন ৪৮ টাকা হয়েছে।


    পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সী জরিনা বেগম রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের গুঞ্জরখাঁ গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামী আবুল কালাম ওরফে কাইল্ল্যা পেশায় দিনমজুর। পরিবারের সাত সদস্যের মুখে দুবেলা দু-মুঠো ভাত তুলে দিতে গতরখাটা পরিশ্রম করতে হয় তাকে।


    উপার্জনক্ষম বড় ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। হঠাৎ ওই ছেলের মৃত্যুতে জরিনার সংসারে নেমে এসেছে নিদারুণ কষ্ট। ছোট ছেলে বিয়ে করে থাকেন আলাদা। একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন কিন্তু সেই সংসারেও অভাব পিছু ছাড়েনি। এ কারণে মেয়ের ঘরের দুই নাতনি এখন জরিনার সঙ্গী।


    মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বেলা আড়াইটার দিকে জরিনার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে চুলায় চালের হাঁড়ি বসিয়েছেন। ভাত রান্নার পর বসবে তরকারির হাঁড়ি। তবে কী তরকারি রান্না হবে সেটা তখনো অজানা, কারণ তার স্বামী কাজ থেকে বাড়ি ফিরেনি। যদি গাছ কাটায় (পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা) বেশি রোজগার হয়, তবেই তরকারির হাঁড়িতে ভালো কিছু জুটবে।


    জরিনা বেগম সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, এখন কোনোরকমে দিন যায় দিন আসে। সংসারে দুবেলা ঠিকমতো খাবারের নিশ্চয়তাও নেই। একজন মানুষের আয়ের সংসার। বৃদ্ধ স্বামী একদিন কাজে না গেলে চুলায় হাঁড়ি উঠে না। বড় ছেলের বউ-বাচ্চা আমার ঘরে খায়। সঙ্গে মেয়ের দুই সন্তানও আছে। হাঁড়ির হিসাব মিলাতে পারি না, সেহরি-ইফতারের খবর করে লাভ কী?


    তিনি আক্ষেপ করে বলেন, 'গেল চার রোজার দুই দিন ইফতারে সিদ্ধ আলু খাইছি। রাতে ডিম ভাজা দিয়ে সেহরি করছি। এখন তো ডিমের দামও বেশি। প্রথম রমজানের দিন ছোট মাছ সস্তা ছিল। সেটা দিয়ে রোজা শুরু করছি। এরপর থেকে নিরামিষ তরকারি করতেই হা-হুতাশ। ব্রয়লার মুরগি আর গরুর মাংস তো একেবারেই খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।'


    প্রতিবেশী আবু বক্কর সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, জরিনার স্বামী গ্রামে বাড়ি বাড়ি গাছ-গাছালি পরিষ্কার করে আবার কখনো গাছ কাটার কাজ করেন। তাতে দিনে ২০০-৪০০ টাকা যা আয় হয়, ওই টাকায় কোনো রকমে দিনাতিপাত করছে। সংসারের হাল ধরার মতো কেউ নেই। এছাড়া প্রতিদিন তো গাছ কাটার কাজও থাকে না।

    একই গ্রামের সৈয়দ বোরহান কবীর সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, মাস দেড়েক আগে জরিনাকে বাজারে ব্রয়লার মুরগির চামড়া-পা কিনতে দেখেছি। এরপর আর ভালো তরকারি কিনতে দেখিনি। তাদের আবাদ-সুবাদ নেই, গরিব মানুষ। সংসারে টানাপোড়ন, তারপর মাসে মাসে কিস্তি দিতে হয়। এই রমজানে কী খাচ্ছে সেটা জানি না। তবে আমাদের উচিত জরিনাদের মতো মানুষদের খোঁজখবর নেওয়া।


    স্থানীয় পারুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে ওই পরিবারকে সহযোগিতার চেষ্টা করবো। তবে এখনই তাদের জন্য কিছু করা আমার পক্ষে সম্ভব হবে না। আমি সাত-আট দিন পর যতটুকু পারি তাদের জন্য চেষ্টা করবো।


    তিনি সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়াও সমাজের বিত্তবান ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অসহায় ও গরিব মানুষদের পাশে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

    এদিকে রংপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সারা দেশের মতো রংপুরেও মুরগির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও বেড়েছে ডিমের দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। 


    বর্তমানে গরুর মাংস ৬৭০-৭০০ টাকা, খাসির মাংস ৮৫০-৯০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০-৫৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৩০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগির মাংস ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ডিম প্রতি হালি ৪৪-৪৮ টাকা, মোটা বেগুন কেজি প্রতি ৫০ টাকা, চিকন বেগুন ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, লেবু এক হালি ৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৩০ টাকা কেজি, বটবটি ৮০ টাকা, পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকা, মরিচ ৮০ টাকা ও শজনে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।



    রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফারহান লাবীব জিসান সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, রমজান ঘিরে প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং চলছে। কোথাও কোনো অভিযোগ পেলে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কেউ বেশি দামে পণ্য বিক্রি করলে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় আনা হচ্ছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।


    ব্রহ্মপুত্র নদে লক্ষাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বীর অষ্টমির স্নান

    কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে শুরু হয়েছে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের পুন্যস্নান উৎসব। বুধবার ভোর থেকে এ স্নান উৎসব শুরু। পিতা-মাতাসহ পুর্বপুরুষ ও নিজেদের পাপ মোচনের আশায় চিলমারীর থানাহাট ইউনিয়নের রমনা ঘাট থেকে রাজারভিটা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার ব্যাপী এলাকায় স্নানে অংশ নেয় লক্ষাধিক নারী ও পুরুষ।

    তবে এবারে পুণ্যস্নান বুধবার হওয়ায় পুণ্যার্থীর সংখ্যা দ্বিগুন হয়েছে বলে জানায় আয়োজকরা। স্নান উৎসবে রংপুর বিভাগের সকল জেলা ছাড়াও পাশ্ববর্তী জেলার সনাতন ধর্মেও মানুষেরা অংশ নেয়।
     

    স্নান উৎসব নির্বিঘ্ন করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করার পাশাপাশি পুণ্যার্থীদের পোষাক পরিবর্তনে বুথসহ অস্থায়ী লেট্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    শুক তিথি অনুযায়ী বুধবার ভোর ৪টা থেকে ৫টা ৩০মিনিট পর্যন্ত দেড় ঘন্টা স্নানের উত্তম সময়। আর উত্তম লগ্ন সকাল ৯টা ৯মিনিট ২৩ সেকেন্ড থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা ৯মিনিট ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত। কিন্তু স্নানে অংশ নিতে মঙ্গলবার বিকেল থেকে বাস, মাইক্রোসহ বিভিন্ন যান-বাহনে এসে অবস্থান নেন পুণ্যার্থীরা।

    পুণ্যার্থীরা জানান, পরশুরাম ব্রহ্মপুত্রের ত্রিধারায় গোসল করে মাকে হত্যার পাপ মোচন করেছিলেন। সেই থেকে তাকে অনুসরন করে পাপ মোচনের জন্য বছরের নিদিষ্ট দিনে এখানে স্নান করেন তারা।

    চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান শাহীন জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পুণ্যস্নান সুষ্ঠভাবে করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যাতে করে পুণ্যার্থীদের কোন ধরনের সমস্যা না হয়।  

    এফএস

    ফুলবাড়ীতে বিদেশি পিস্তলসহ দুই যুবক গ্রেফতার

    কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিদেশি পিস্তলসহ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের সোনাইকাজী এলাকায় শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর পূর্বে পাড়ের বাঁশঝাড় এলাকা থেকে বিদেশি পিস্তলসহ দুই যুবককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।

    গ্রেফতারকৃত দুই যুবক হলেন উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের সোনাইকাজী এলাকার বেল্টু মিয়ার ছেলে আলামিন (২০) ও ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কবিরমামুদ এলাকার শাহিন ছেলে সজিব মিয়া (২০)।

    কুড়িগ্রামের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো: রুহুল আমিন বিদেশি পিস্তলসহ দুই যুবককে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    এফএস

    পল্লী বিদ্যুতের বকেয়া বিল আদায় করতে গিয়ে হামলার শিকার, গ্রেফতার ১

    কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পল্লীবিদ্যুতের বকেয়া বিল আদায় করতে গিয়ে মারপিটের শিকার হয়েছেন জোনাল অফিসের লোকজন। গুরুতর আহত হয়েছেন সাজু নামের একজন পল্লিবিদ্যুতের মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। 


    সোমবার (২৭ মার্চ) বিকালে উপজেলার কাশিপুর কলেজ মোড় এলাকায় এঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের সহকারি জোনাল ম্যানেজার মোকছেদুল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার রাতে ৫ জনের বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।


    মামলা সুত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ী জোনাল অফিসের সহকারি জোনাল ম্যানেজার মোকছেদুল ইসলাম ১৭/১৮ জনের একটি টিম নিয়ে বকেয়া আদায় করার জন্য উপজেলার কাশিপুর কলেজ মোড়ের আব্দুর রহমানের ছেলে আসাদুজ্জামানের রহমান বস্ত্র বিতানে বকেয়া আদায়ের কাজ শুরু করলে পাশেই ওৎ পেতে থাকা ওই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে আলতাফ হোসেন (৪১), মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে তাজুল ইসলাম (২৭), আব্দুল আজিজের ছেলে নাজমুল হুদা (২৬)সহ আরও ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পল্লিবিদ্যুত টিমের উপর হামলা চালায়। 


    এ সয়য় পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির মিটার রিডার সাজু (৩৯) লাইন শ্রমিক গুল বাহার ও ড্রাইভার তরুন কুমার চক্রবর্তিকে বেধরক মারপিট করে। এ সময় ছিনিয়ে নেওয়া হয় একটি মোবাইলসহ নগদ ২২ হাজার টাকাসহ লাইন ম্যানের টুলস্। সাজুকে পাকা সড়কে ফেলিয়ে করা নির্মম ভাবে মারপিট। 


    খবর পেয়ে ফুলবাড়ী জোনাল অফিসের ডিজিএম আসাদুজ্জামান পুলিশ নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে থাকলেও মঙ্গলবার একই ইউনিয়নের অনন্তপুর এলাকায় পল্লিবিদ্যুতের লোকজন বকেয়া বিল আদায় করতে গিয়ে আবারও হামলার শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে।


    ফুলবাড়ী পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আসাদুজ্জামান জানান, বিদ্যুতের বকেয়া বিল আদায়ের জন্য সেখানে আমাদের লোক গেলে তারা অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। থানায় মামলা করা হয়েছে। পরবর্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 


    ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং একজনকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। 

    এআই 

    ট্রাকে ঘুরে ঘুরে মহাসড়কে ডাকাতি করতো তারা

    ট্রাকে বসে ভ্রাম্যমান ডাকাতের দল বিভিন্ন জেলার সড়ক মহাসড়কে ঘুরে ঘুরে ডাকাতি করেন তারা, এমন আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পাবনা জেলা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ট্রাকসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার ও লুন্ঠিত মালামাল জব্দ করা হয়।


    বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে পাবনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।


    গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বাগেরহাটের ফকিরহাট থানার জাড়িয়া বারুইডাঙ্গা গ্রামের জিয়াউল হকের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৭), একই গ্রামের মৃত আমির আলী শেখের ছেলে বোরহান শেখ ওরফে বুরান (১৯), লখপুর গ্রামের মৃত মাহবুব শেখ ওরফে হাবিবুর রহমানের ছেলে আশরাফুল শেখ ওরফে আসাদুল ওরফে ছোট (২২), জাড়িয়া মাইটকুড়রা গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর শেখের ছেলে শিমুল শেখ  ওরফে হৃদয় (২৪) এবং খুলনা জেলার রূপসা থানার তালিমপুর গ্রামের হেলাল শেখের ছেলে বর্তমানে বাগেরহাট পৌর এলাকার চালতাতলা মহল্লার বাসিন্দা কামাল শেখ ওরফে কামরান শেখ (২৭)।


    পুলিশ সুপার বলেন, ‘গত ২৩ মার্চ পাবনার ঈশ্বরদীর জয়নগর পাঠশালার মোড়ে দাশুরিয়া-রুপপুর মহাসড়কের পাশে রাকিবুল হাসানের চাউল ও মুড়ি উৎপাদনের চাতাল মিলে ডাকাতি করে তারা। চাতালের নৈশপ্রহরীর হাত-পা ও মুখ বেঁধে দুর্ধর্ষ ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পাবনা জেলা পুলিশ।’


    তিনি বলেন, ‘এরা সবাই পেশাদার ডাকাতি দল। তারা ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায়। এসময় সুযোগ বুঝে ডাকাতি করে তারা। বিশেষ করে মহাসড়কের পাশে যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেইসব প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে ডাকাতি করে তারা।’


    গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে একটি ট্রাক, মোটরসাইকেল, হাসুয়া, ডাকাতিকৃত চাউল, মুড়িসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাত সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি, দস্যুতা, ছিনতাই, হত্যা ও মাদকসহ ৪ থেকে ৮টি পৃথক পৃথক মামলা রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।


    সংবাদ সম্মেলনে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান এবং সদর সার্কেল ডি,এম হাসিবুল বেনজীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    শজিমেকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৮

    বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত আট নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।


    মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে বুধবার (২৯ মার্চ) রাত ১০টা থেকে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সময় ছাত্রাবাসের নিচতলার অন্তত পাঁচটি কক্ষ ভাঙচুর করেছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।


    শজিমেকের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, সম্প্রতি মেডিকেল কলেজটিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া নবাগত ছাত্রদের নিজ গ্রুপে ভেড়ানোকে কেন্দ্র করে শজিমেক শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।


    আহতরা হলেন, শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আসিফের অনুসারী ধ্রুব, অনিক, শুভ ও হৃদয়। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন রনির অনুসারী ইমতিয়াজ, রেজা, ফুয়াদ ও অমিও।


    বর্তমানে তারা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শজিমেক ছাত্রাবাসে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২৩ সালে মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া (৩২ ব্যাচের) শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ভর্তি হতে এসেছেন। তাদের নিজ নিজ গ্রুপে ভেড়ানোকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে বুধবার সন্ধ্যা থেকে দ্ব›দ্ব শুরু হয়। দ্ব›েদ্ব জড়ানো সবাই ভর্তি হতে আসা ৩২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ইমিডিয়েট সিনিয়র ৩১ ব্যাচের শিক্ষার্থী। 


    একপর্যায়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রাত ১০টার দিকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় ছাত্রাবাসের নিচতলায় অন্তত পাঁচটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়।


    বগুড়া শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর আসিফ বলেন, জুনিয়ররা ক্যাম্পাসে আসার পর তাদের থাকা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। তবে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা আমার কর্মীদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছেন। এতে চারজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে তিনজন গুরুতর জখম হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না।


    অন্যদিকে, শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন রনি বলেন, সভাপতির গ্রুপের নেতাকর্মীরা প্রথমে আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পরে শিক্ষকরা এসে আমাদের উভয়পক্ষকে নিয়ে মীমাংসা করে দিয়েছেন। এই নিয়ে দ্ব›েদ্বর কিছু নেই। জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে এর সূত্রপাত হয়েছে। ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। আমার চার কর্মী আহত অবস্থায় হাসপাতালে আছেন।


    বগুড়া ছিলিমপুর (শজিমেক হাসপাতাল) পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছার রহমান বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বুধবার রাতে সংঘর্ষ হয়েছিল। এখন ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় আহতরা শজিমেক হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এআই 

    বগুড়ায় ৩ শতাধিক ফেন্সিডিলসহ পাঁচজন গ্রেফতার

    বগুড়ায় র‍্যাবের অভিযানে ৩ শতাধিক ফেন্সিডিলসহ ৫ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে মাদক বহনকারী দুটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়।


    মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টার দিকে জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।


    গ্রেফতারকৃতরা হলেন- দিনাজপুর জেলার বিরামপুরের মৃত মোকলেছার হোসেনের ছেলে দিলবর হোসেন (৩৫), একই উপজেলার ভাইগররের নাসির উদ্দিনের ছেলে জাকিরুল ইসলাম (২৮), একই জেলার ফুলবাড়ির রসুলপুরের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩৫) ও আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ছাবেদুল ইসলাম (২৯) এবং বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার বরইপাড়া গোসাইবাড়ির মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে শিহাব উদ্দিন (৩৩)।


    গ্রেফতারকৃত ওই পাঁচজন বিভিন্ন মামলার আসামি ছিলেন বলে জানিয়েছেন র‍্যাব ১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন।


    র‍্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় দিনাজপুর থেকে সিরাজগঞ্জগামী দুটি মোটরসাইকেলে মাদক বহন করা হচ্ছে। তখন র‍্যাবের একটি টিম বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার ধলিরকান্দি গ্রামের একটি রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে ৩৩৭ বোতল ফেন্সিডিলসহ ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ৯টি মোবাইল ও সীমকার্ড,  ২টি মোটরসাইকেল ও নগদ ৫ হাজার টাকা জব্দ করে র‍্যাব।


    তিনি আরো জানান, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আসামিদের সারিয়াকান্দি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।


    উল্লেখ্য যে, আসামিদের পিসিপিআর যাচাই করে জানা যায় যে, তাদের নামে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। ১নং আসামির বিরুদ্ধে ২টি চুরি ও ২টি মাদক মামলা রয়েছে, ২নং আসামির বিরুদ্ধে ২টি মাদক মামলা রয়েছে, ৩নং আসামির বিরুদ্ধে ৩টি মাদক মামলা রয়েছ, ৪নং আসামির বিরুদ্ধে ২টি মাদক মামলা রয়েছে এবং ৫নং আসামীর বিরুদ্ধে ২টি ডাকাতি ও ২টি চুরির মামলা রয়েছে।

    এআই
    নওগাঁয় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরোহী নিহত

    নওগাঁর সাপাহারে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের সাথে ধাক্কা লেগে মোস্তাফিজুর রহমান (২৮) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় এন্তাজুল (২৭) নামের আরও এক আরোহী গুরুত্বর আহত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাসুলডাঙ্গা মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মোস্তাফিজুর জেলার পত্নীতলা উপজেলার ফোকন্দা ফরিদপুর গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে। আহত এন্তাজুল সাপাহার উপজেলার দু’কুড়ী গ্রামের আব্দুর রশিদে ছেলে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত মোস্তাফিজুর ও আহত এন্তাজাল মোটরসাইকেল যোগে উপজেলর নিশ্চিন্তপুর থেকে সাপাহার সদরের দিকে আসতেছিলেন। এসময় ঘটনাস্থল পৌঁছালে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের সাথে ধাক্কা লেগে তারা রাস্তায় ছিটকে পড়ে গেলে দ্রুত গতিতে আসা একটি পিকআপ ভ্যান মোস্তাফিজুরকে চাপা দিয়ে চলে গেলে গুরুত্বর আহত হয় সে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোস্তাফিজুরকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত এন্তাজুলের অবস্থার গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    বগুড়ায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৩৮

    বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় বিশেষ অভিযানে নারীসহ ৩৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বেশকিছু মাদকদ্রব্য ও ধারালো ছুরি জব্দ করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে তাদের আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এর আগে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রউফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত ৩৮ জনের মধ্যে মাদকদ্রব্যসহ ১৬ জন, মাদকসেবী ১২ জন, আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ বিঘ্ন করায় ১৫১ ধারায় পাঁচজন, পরোয়ানামূলে তিনজন ও ছুরিসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে।

    পরিদর্শক আব্দুর রউফ আরও বলেন, অভিযানে জব্দ মাদকদ্রব্যের মধ্যে আড়াই কেজি গাঁজা, ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ফেনসিডিল ২৪ বোতল ও ২ বোতল বিদেশি মদ আছে। বিকেলে আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

    পিএম

    চুনারুঘাট শিল্পবর্জ্যে কারণে পরিবেশ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

    হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ১নং গাজীপুর ইউনিয়নের উসমানপুর এলাকায় প্রায় ৭ বছর আগে বিশাল পাহাড়ি জমি ক্রয় করে শিল্প কারখানা স্থাপন করা হয়। এখানে মুরগী থেকে ডিম উৎপাদন হচ্ছে। পাশাপাশি মুরগীর বিষ্ঠা থেকে উপৎপাদন হচ্ছে সার।

     

    এই কারখানার সৃষ্ট বর্জ্য ও নিষ্কাশিত দূষিত পানিতে বিনষ্ট হচ্ছে এলাকার খাল-বিল, নদী-নালার পানি, মাছ ও কৃষি জমি। উৎকট দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী। মুরগির বর্জ্য ও বিষাক্ত পানির দ্বারা আশেপাশের গ্রামের পরিবেশ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই কারখানার ভেতর থেকে কালো পানি প্রথমে ধলাজাই খালে প্রবেশ করে। পরে ভূইছড়া হয়ে খোয়াই নদীতে কালো পানি প্রবেশ করছে। এমনকি কৃষকদের ধানের জমিতে এ পানি প্রবেশ করছে। 


    আলাপকালে ধলাজাই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মতিন, আব্দুল হামিদ, রহিমা খাতুন, জায়েদা খাতুনরা বলেন, কারখানা করার পূর্বে ওই পাহাড়ি জমিতে নানা ধরণের ফসল চাষ করা হতো। এখন ডিম ও সার উৎপাদন হচ্ছে। কারখানার ভেতর থেকে কালো পানি বেরুচ্ছে। এ পানি ধলাজাই খাল, বিল থেকে আমাদের জমিতে ছড়িয়ে পড়ছে। 


    তারা বলেন, ভূইছড়া হয়ে খোয়াই নদীতে প্রবেশ করছে বিষাক্ত পানি। কোম্পানির বিষাক্ত পানিতে প্রচুর পরিমাণে দুর্গন্ধযুক্ত বর্জ্য তৈরি করে। কৃষকরা এসব বর্জ্যের পানি থাকায় কৃষি জমিতে কাজ করতে পারছেন না। 


    তারা আরো বলেন, আমরা কৃষির উপর নির্ভর। কৃষি কাজে খালের পানি ব্যবহার করা হত। বর্তমানে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কারখানার কালো পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে করে স্থানীয়রা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। 


    প্রায় ৭ বছর পূর্বে জমি ক্রয় করে কারখানা নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণ শেষে প্রায় দুই বছর ধরে কারখানায় উৎপাদন চলছে। যত দিন যাচ্ছে কারখানা থেকে কালো পানি অধিকহারে বের হচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে দুর্গন্ধ। শুধু তাই নয়, মশা ও মাছির উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। খাল থেকে কালো পানি জমিতে প্রবেশ করায় কাজ করতে গিয়ে কৃষকরা বিরাট সমস্যার মুখে পড়েছেন। 


    স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা বলেন, কালো পানির দুর্গন্ধের পাশাপাশি এর বাতাস লাগলেই শরীরে চুলকানি শুরু হয়। তাই স্কুলে যেতে মন চায় না। স্থানীয়রা দ্রুত এর প্রতিকার চেয়েছেন। এ ব্যাপারে সাইনবোর্ডবিহীন ওই কারখানার ব্যবস্থাপক চঞ্চলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখানে মুরগী থেকে ডিম ও মুরগীর বিষ্ঠা থেকে জৈব সার উৎপাদন হয়। কালো পানির সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। 


    তিনি বলেন, মিডিয়ার কাছে বক্তব্য দিতে হলে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের উপ-পরিচালক আখতারুজ্জামান টুকুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা মুঠোফোন বা সারাসরি বক্তব্য দেই না। অভিযোগ করা হলে খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানও।

     

    বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, লোকজনের বসবাসের আশপাশে কলকারখানা হয় না। নিয়মানুযায়ী বিষাক্ত বর্জ্য একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাইরে নির্গত করতে হয়। কিন্তু অনেক শিল্প কারখানা সেই নিয়ম অনুসরণ না করে বর্জ্য ও বিষাক্ত কেমিক্যাল সরাসরি জলাভূমিতে ছেড়ে দিচ্ছে। এ নিয়ে প্রশাসনের জরুরি উদ্যোগ প্রয়োজন।

    এআই 

    লাখাইয়ে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

    ধান চাষের উপর নির্ভর করেই হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার কৃষকদের জীবন-জীবিকা চলছে যুগ যুগ ধরে। বিশেষ করে বোরো ধান চাষাবাদ বর্তমানে বহুলাংশে বেড়েছে। কৃষি বিভাগের হিসেব মতে চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১১১৭৪ হেক্টর জমিতে রেকর্ড পরিমাণ বোরো ধান চাষ হয়েছে যা গত বছরের চেয়ে বেশি। একই সাথে উপজেলায় এবার বোরোধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। যার বাস্তবায়নে কাজ করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।


    উপজেলায় বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে প্রায় ৫৭৯৮২ মেট্রিক টন। আর ক’দিন পরেই শুরু হবে হাওরে বোরো ধান কাটার ধুম। প্রথমে পর্যায়ে কাটা হবে ব্রি ধান-২৮ ও হাইব্রিড জাতের ধান। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জাত। সবুজ ধানের ক্ষেতে পরিচর্যায় কৃষকগণ ব্যস্ত সময় পার করছে। থেমে নেই কৃষি বিভাগের কর্মতৎপরতা। ধান ক্ষেতে নিবিড় পরিচর্যা, নিরবিচ্ছিন্ন সেচ ব্যাবস্থাপনা ও রোগ বালাই দমনে কৃষকদের নিয়মিতভাবে পরামর্শ সেবা দিয়ে যাচ্ছে লাখাই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।


    উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমিত ভট্টাচার্য্যের পরামর্শ ও উদ্বুদ্ধকরণে লাখাই ইউনিয়নে ধান আবাদের পাশাপাশি ভুট্টা চাষে ঘটেছে নিরব বিপ্লব। তেমনি প্রকৃতির উপর ভরসা করেই কৃষকরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ধান ফসলের পরিচর্যায় থেমে নেই। কৃষি বিভাগ বরাবরের মতই রোগ প্রবণ জাত হওয়ায় ব্রি ধান- ২৮ চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করে আসছে। 


    কিন্তু হাওরের কিছু নিন্মাঞ্চলের জমিতে আগাম বন্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে ও এর চাল সুস্বাদু হওয়ায় কৃষক নিজ উদ্যোগে এ জাত চাষ করে আসছে। ফলশ্রুতিতে কিছু ব্রি ধান-২৮ এর জমিতে ব্লাস্ট হয়ে ধানে চিটা হতে দেখা গেলেও উপজেলার বোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমস্যা হবেনা বলে কৃষি বিভাগ আশাবাদী। 


    বিরাজমান বৈরী আবহাওয়ায় রাতে ঠান্ডা, দিনে গরম ও সকালে কুয়াশার কারণে ব্রি ধান ২৮ এর জমিতে ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধ ও দমনে করনীয় সম্পর্কে কৃষকদের জন্য উপজেলা কৃষি অফিস বিভিন্ন প্রচারনার মাধ্যমে নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।


    কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা এ আবহাওয়ায় ধানের জমিতে ৭ দিন পর পর ২-৩ বার ছত্রাকনাশক ট্রুপার/নাটিভো স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছেন, লিফলেট বিতরণ করছেন। উপজেলার বোরো ধানের উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপপরিচালক মো. নূরে আলম সিদ্দিকীর নির্দেশনায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন আহমেদ ও কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. শাকিল খন্দকার নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করছেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ-দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ও কৃষকদের বিরামহীন পরামর্শ দিচ্ছেন।


    সম্প্রতি হবিগঞ্জের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মামুনুর রশিদ ও তাঁর টিমসহ লাখাই উপজেলা কৃষি অফিসের অফিসারবৃন্দ হাওরে ধানের রোগ-বালাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন ও উপস্থিত কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন। কোনরকম বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর লাখাইতে বাম্পার ফলন আশা করছে কৃষক।

    এআই 

    শায়েস্তাগঞ্জে টমটম চালক হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ২

    হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জের টমটম চালক আয়াত আলী হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।


    মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) শায়েস্তাগঞ্জ ও মাধবপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে র‍্যাব-৯ সিপিসি-১ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল। 


    আটকৃতরা হলেন- শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পুরাসুন্দা গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে মিঠুন মিয়া (২৪) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার পুর্ববাগ এলাকার জমশের আলীর ছেলে ভাঙারী ব্যবসায়ী ওসমান (৩৫)।


    এসময় ছিনতাই হওয়া টমটমের ৫টি ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়। বুধবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-৯ সিপিসি-১ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান।


    উল্লেখ্য, গত রবিবার (২৬ মার্চ) বিকালে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পুরাসুন্দা গ্রামের বড় বাড়ি কবরস্থান এলাকা থেকে টমটম চালক আয়াত আলী (২৫) এর লাশ উদ্ধার করে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ।


    নিহত আয়াত আলী স্থানীয় আমির হোসেন নামে এক ব্যক্তির টমটম ভাড়ায় চালাতেন। গত ২৩ মার্চ রাত থেকে টমটমসহ সে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় গত ২৭ মার্চ নিহতের বড় ভাই বিলাল মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    এআই 

    সিলেটে সরকারি মৎস্য কর্মকর্তাকে ‘ভাই’ ডেকে ক্ষোভের মুখে

    এবার সিলেটে এক সরকারি কর্মকর্তাকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করে ক্ষোভের মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক ব্যক্তি।

    মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ফাহিম আহমেদ।

    গোলাপগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের এই সদস্যের ভাষ্য, “দুপুরে একটি কাজে মৎস্য কার্যালয়ে যাই। গিয়ে দেখি উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল হাসান নেই। তখন পাশের কক্ষের উপ-সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে বলি, ‘ভাই (মৎস্য অফিসার হাসিবুল হাসান) কোথায়’?

    “এ কথা বলতেই উপ-সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা খেপে গিয়ে বলেন, ‘ভাই কেন ডাকলেন? একজন বিসিএস ক্যাডারকে কীভাবে ডাকতে হয় আপনি জানেন না..?’

    “তখন কী ডাকতে হবে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘ফিশারি অফিসার ডাকবেন।” এ সময় সঙ্গে থাকা দুজন সহকর্মীও এর প্রতিবাদ করেন বলে জানান ফাহিম আহমেদ।

    এ বিষয়ে উপ-সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, “কয়েকজন লোক অফিসে এসে জানতে চাইছিলেন, ‘ভাই কোথায়, আমি তাদের বলি ভাই কে?’ তখন উনারা মৎস্য কর্মকর্তার রুম দেখালে আমি বলি, মৎস্য কর্মকর্তা একজন বিসিএস কর্মকর্তা। একটু শালীনতার সঙ্গে বলুন।

    “এতে উনারা রাগ করে থাকলে আমি দুঃখিত। আমি মৎস্য কর্মকর্তাকে ‘স্যার’ ডাকার কথা বলিনি।”

    গোলাপগঞ্জ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. হাসিবুল হাসান বলেন, “ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি আজ উপস্থিত ছিলাম না, থাকলে এটি হত না। সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা এটি ভুল করেছেন। আজ বিয়ানিবাজার উপজেলায় ছিলাম; গোলাপগঞ্জে আমি অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছি।”

    পিএম

    গরুর ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হাতে এক কৃষক নিহত

    আমন জমিতে গরুর ঘাস কাটতে গিয়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে কৃষক শুক্কর মিয়া নিহত হয়েছে। নিহত কৃষক সুনামগঞ্জর সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা। 

    মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের পাশে আমন ক্ষেতে ঘটনাটি ঘটে। 

    প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের শুক্কুর মিয়া নিজের গৃহপালিত গরুর জন্য ঘাস কাটতে গ্রামের পাশে আমন জমিতে যান। এ সময় একই গ্রামের মৃত সাঈদ আলীর পূত্র নায়েব আলী, তার ৪ ছেলে ময়না মিয়া,লিটন মিয়া,আনোয়ার হোসেন,আইনুল মিয়া শুক্কর মিয়াকে ঘাস কাটতে নিষেধ করেন। শুক্কুর মিয়া নিষেধ দেয়ার কারণ জানতে চাইলে পিতাপূত্রসহ ৫জন মিলে তাকে কিল ঘুষি মেরে ফেলে দেয়। কিছুক্ষণ পরে শুক্কুর মিয়ার নিস্তেজ দেহ পড়ে থাকতে দেখে তারা সবাই পালিয়ে যায় বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। 

    খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন শুক্কুর আলীকে তাৎক্ষনিক সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

    পিএম


    খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল রির্পোট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। 


    এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,হত্যাকান্ডের ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি। দোষীদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

    অনলাইন ভোট

    আন্তর্জাতিক

    সব দেখুন
    সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৮ বাংলাদেশির মৃত্যু
    পবিত্র ওমরাহ করতে যাওয়ার পথে সৌদি আরবের আকাবা শারেতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৮ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের প্রথম সচিব (শ্রম) আরিফুজ্জামান দুর্ঘটনায় নিহতের এই তথ্য দিয়েছেন। নিহতরা হলেন, নোয়াখালীর সেনবাগের শরিয়তউল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আউয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদ নগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কালু মিয়ার ছেলে রুকু মিয়া, কক্সবাজারের মহেশখালীর শাফাতুল ইসলাম, কুমিল্লার দেবিদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কোতোয়ালির মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাদের হোসাইনের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন, খাইরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, তুষার মজুমদার, মিরাজ হোসাইন, সাকিব এবং রানা মিয়া। সৌদি আরবের গণমাধ্যম জানায়, ওমরাহযাত্রীদের বাসটি খামিস মুশাইত শহর থেকে রওনা হয়ে মক্কায় যাচ্ছিল। স্থানীয় সময় সোমবার বিকাল ৪টার দিকে আসির প্রদেশের আকাবা শার সড়কে সেটি দুর্ঘটনায় পড়ে। একটি সেতুর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পাহাড়ি দেয়ালে ধাক্কা খায় এবং আগুন ধরে যায়। ওই বাসের ৪৭ জন যাত্রীর মধ্যে ৩৪ জনই ছিলেন বাংলাদেশি। দুর্ঘটনায় মোট ২২ জন নিহত হন। আহত ১৬ বাংলাদেশির মধ্যে কয়েকজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সহায়তার জন্য সৌদিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে হতাহতদের পরিবারকে +966553026814 ও +966538643532 নম্বর দুটিতে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।এফএস
    সৌদিতে ওমরাহ্‌ করতে যাওয়ার পথে বাস দুর্ঘটনায় আট বাংলাদেশিসহ ২০ নিহত
    সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ওমরাহ্‌ উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি বাস দুর্ঘটনায় আট বাংলাদেশিসহ ২০জন ওমরাহ্‌ যাত্রী নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছে।সৌদি আরবের মক্কায় ওমরাহ পালনের জন্য যাওয়ার সময় দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে একটি সেতুর রেলিং ভেঙে বাস উল্টে নিহত ২০ জনের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।গতকাল আল-আসির প্রদেশ থেকে মক্কা আল মুকারামার পথে হজযাত্রীদের বহনকারী বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে ঘটনাস্থলে ২০ জন ওমরাহ্‌ যাত্রী নিহত হন এদের মধ্যে অসংখ্য বাংলাদেশি ওমরাহ্‌ হজযাত্রীদের রয়েছে বলে জানা যায় তবে এখন পর্যন্ত আটজন বাংলাদেশির মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গিয়েছে,এদের মধ্যে দুজনের নাম পরিচয় পাওয়া গিয়েছে নিহতরা হলেন মুহাম্মদ আসিফ কক্সবাজার জেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের পূর্ব ফকিরাঘোনা গ্রামের আহম্মদ উল্লাহর সন্তান এবং কক্সবাজার জেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের বড় ডেইল এলাকার সেফায়েত।জানা যায়,ওমরাহ যাত্রীদের বহনকারী একটি বাস একটি সেতুর সাথে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গিয়ে মুহুর্তেই আগুন ধরে যায় । আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় এই দুর্ঘটনায আট জন বাংলাদেশিসহ ২০ জন নিহত এবং প্রায় ২৯ জন গুরুতর আহত হয়েছে।গতকাল সোমবার বিকাল ৪টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকার খামিস মুশায়েত থেকে ছেড়ে বাসটি মক্কার দিকে যাচ্ছিল।তথ্যে জানা যায় যে বাসটি ব্রেক নিয়ে সমস্যা দেখা দিলে তা একটি সেতুর সাথে সংঘর্ষ হয়, যার ফলে বাসটি উল্টে গিয়ে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলে রেডক্রিসেন্ট ফায়ারসার্ভিস দলের সদস্যদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়,এদিকে দুর্ঘটনায় নিহতরা বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন জাতীয়তার রয়েছে বলে জানা যায় তবে এখনও সকলের নাম পরিচয় জানা যায়নি।এফএস
    সৌদিতে বাস দুর্ঘটনায় ২০ জন ওমরাহ্‌ যাত্রী নিহত
    সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি বাস দুর্ঘটনায় ২০জন ওমরাহ্‌ যাত্রী নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছে।আল-আসির প্রদেশ থেকে মক্কা আল মুকারামার পথে হজযাত্রীদের বহনকারী বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে ঘটনাস্থলে ২০ জন ওমরাহ্‌ যাত্রী নিহত হন।জানা যায়,ওমরাহ যাত্রীদের বহনকারী একটি বাস একটি সেতুর সাথে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গিয়ে মুহুর্তেই আগুন ধরে যায় । আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় এই দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন নিহত এবং প্রায় ২৯ জন গুরুতর আহত হয়েছে।দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি আল-এখবারিয়া জানিয়েছে, সোমবার বিকাল ৪টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকার খামিস মুশায়েত থেকে ছেড়ে বাসটি মক্কার দিকে যাচ্ছিল।তথ্যে জানা যায় যে বাসটি ব্রেক নিয়ে সমস্যা দেখা দিলে তা একটি সেতুর সাথে সংঘর্ষ হয়, যার ফলে বাসটি উল্টে গিয়ে আগুন ধরে যায়। এদিকে দুর্ঘটনায় নিহতরা কোন দেশের নাগরিক তা এখনও জানা যায়নি।পিএম
    প্রবাসী কর্মীদের স্বামী বা স্ত্রীকেও কাজ দেবে সৌদি আরব
    সৌদি প্রবাসী কর্মীদের জন্য নতুন সুসংবাদ দিল মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল  দেশ সৌদি আরব। দেশটিতে কর্মরত প্রবাসী পুরুষ এবং নারী  কর্মীরা এখন থেকে সৌদিআরব নিয়ে যেতে পারবেন তাদের স্বামী অথবা স্ত্রীকেও।  সৌদির গেজেট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবাসী কর্মীদের সঙ্গে তাদের সঙ্গীদেরও নিয়োগ দেওয়ার একটি নতুন নীতি চালু করা হয়েছে। তবে এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত পালন করতে হবে।অ্যারাবিয়ান বিজনেসের এক প্রতিবেদন হতে জানা যায়, শুধু স্বামী বা স্ত্রী নয়, সৌদি প্রবাসী নারীদের রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়দেরও একই সুবিধা দেবে সৌদিআরব । প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় প্রবাসী কর্মীদের জন্য এমন নীতির অনুমোদন দিয়েছে। দেশটিতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বিকাশের লক্ষ্যেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। প্রবাসীদের সঙ্গীদের নিয়োগের জন্য পদ শূন্য থাকার পাশাপাশি অবশ্যই কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।এজন্য তাদের  নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে । এফএস
    রমজানেই বৈঠকে বসার পরিকল্পনা সৌদি ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
    সৌদি আরব ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঐতিহাসিক দ্বিপাক্ষিক পুনর্মিলন চুক্তি বাস্তবায়নে পবিত্র রমজান মাস শেষ হওয়ার আগেই বৈঠকে বসার অঙ্গীকার করেছেন। সোমবার রিয়াদ এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।সরকারি সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে সৌদি যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহান ও ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ান দ্বিতীয় দফায় টেলিফোনে কথা বলেছেন। এ সময়ে উভয়ে অভিন্ন বেশকিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ চীনের মধ্যস্থতায় দুদেশ আকস্মিক পুনর্মিলন চুক্তি ঘোষণা করে।সৌদি প্রেস এজেন্সি আরো জানিয়েছে, উভয় মন্ত্রী চলতি রমজান মাসেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছে। এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে রমজাস মাস শেষ হচ্ছে। তবে বার্তা সংস্থাটির খবরে বৈঠকে তারিখ কিংবা স্থান নিয়ে কিছু বলা হয়নি।সৌদি কর্মকর্তারা বলছেন, সম্পর্ক ছিন্নের সাত বছর পর তা পুনরুদ্ধারে পরবর্তী পদক্ষেপ হবে এই্ বৈঠক।  শিয়া ধর্মগুরু নিমর আল নিমরকে ২০১৬ সালে সৌদি আরব ফাঁসি দিলে ইরানীরা প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা সৌদি কূটনৈতিক মিশনে হামলা চালায়। এর জের ধরে সৌদি আরব ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে দুদেশ যে চুক্তি ঘোষণা করেছে তাতে দুমাসের মধ্যে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরান ও সুন্নী সংখ্যাগরিষ্ঠ সৌদি আরব দুমাসের মধ্যে তাদের দূতাবাসগুলো খুলবে। এছাড়া ২০ বছর আগে স্বাক্ষরিত নিরাপত্তা ও সহযোগিতা চুক্তি বাস্তবায়ন করবে।এদিকে ইরানের এক কর্মকর্তা সম্প্রতি বলেছেন, সৌদি বাদশাহ সালমানের কাছ থেকে ইরানী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সৌদি আরব সফরের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। তবে রিয়াদ এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেনি।
    পাকিস্তানে ডিম আর ময়দা কিনতেই নাজেহাল সাধারণ মানুষ!
    পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সঙ্কট গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। এ বার সে দেশের সরকারি সংস্থার তরফেই জানানো হল যে, মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়তে বাড়তে ৪৭ শতাংশে পৌঁছেছে! পাকিস্তানি সংস্থা পাকিস্তান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকস (পিবিএস) সংবেদনশীল দাম সূচক (এসপিআই)-এর নিরিখে এই পরিসংখ্যান হাতে পেয়েছে।ওই সংস্থার বার্ষিক রিপোর্ট বলছে, দেশে পেট্রোলিয়াম দ্রব্যের বিপুল মূল্যবৃদ্ধি হওয়ার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসেরই দাম বেড়েছে। তবে ময়দা আর ডিমের মতো গৃহস্থালিতে ব্যবহৃত জিনিসের তিন গুণ দাম বেড়ে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সাধারণ মানুষের কপালে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে গত কয়েক দিন পাকিস্তানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২২৮.২৮ শতাংশ। সিগারেটের দাম বেড়েছে ১৬৫.৮৮ শতাংশ। ডিজেল এবং কলার দাম বেড়েছে যথাক্রমে ১০২.৮৯ শতাংশ এবং ৮৯.১৭ শতাংশ।আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ)-এর ১১০ কোটি ডলারের ঋণে দিকে চেয়ে রয়েছে পাকিস্তান। তবে ওই ঋণ পাওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছে আইএমএফ। তার মধ্যে একটি হল পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর দামকে নির্দিষ্ট একটি অঙ্কে রাখতে হবে। পাকিস্তান অবশ্য আইএমএফের সঙ্গে রফাসূত্রে যাওয়ার আগে অভিনব একটি পরিকল্পনা নিয়েছে। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট একটি অঙ্কের বেশি আয় করলে ধনী ব্যক্তিদের পেট্রল-ডিজ়েল কিনতে অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হবে। শুল্কবাবদ গৃহীত ওই টাকা ভর্তুকি হিসাবে জনকল্যাণমূলক নানা প্রকল্পে ব্যয় করা হবে।
    কোরআন ও আজান প্রতিযোগিতায় হলিউডের চিত্রনাট্য লেখক
    আন্তর্জাতিক কোরআন ও আজান প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন হলিউডের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন চিত্রনাট্য লেখক ইয়াসির ওমর শাহিন। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত এই মার্কিন নাগরিক নিজের সুরেলা কণ্ঠে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে দর্শকদের মুগ্ধ করেন।গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সৌদি আরবে শুরু হয় ‘ওতর এলকালাম’ নামের এ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সংস্করণ। প্রতিযোগিতায় ইসলামিক বিশ্বের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও তুলে ধরা হচ্ছে।প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া শাহিন জানান, তিনি হলিউডে ১৩০টির বেশি অনুষ্ঠান নির্মাণের বিষয়টি তত্ত্বাবধান করেছেন, তৈরি করেছেন ১৪টি তথ্যচিত্র। এ ছাড়া তিনি আরব ও ইসলামিক দেশগুলোর টিভি চ্যানেলের বেশ কয়েকটি শো নির্মাণে অবদান রেখেছেন।শাহিন বলেন, তিনি তার কাজের পাশাপাশি পবিত্র কোরআন মুখস্থ ও তিলাওয়াত করেন। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ডালাসের একটি মসজিদে মুসলিম শিশুদের কোরআন পড়ান শাহিন।তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান জোসে ইউনিভার্সিটিতেও পড়ান।কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ধাপে অংশ নেন শাহিন। চূড়ান্ত ধাপের প্রথম পর্বে সারা বিশ্বের ৩২ প্রতিযোগী অংশ নেন।প্রতিযোগিতার জন্য প্রাথমিক নিবন্ধন শুরু হয় গত ৪ জানুয়ারি। এতে ১৬৫টি দেশ থেকে ৫০ হাজারের বেশি প্রতিযোগী নিবন্ধন করেন।
    রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল
    ‘মোদি’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে দুই বছর কারাদণ্ড পাওয়া রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।  শুক্রবার লোকসভা সচিবালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। খবর এনডিটিভির।ভারতীয় সংবিধানের ১০২ (১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে।ওই আইন বলছে, সংসদ সদস্য পদ বাতিল হওয়া রাহুল অন্তত আগামী ছয় বছর কোনো ভোটে লড়তে পারবেন না।এর আগে বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানিকর মামলায় দুই বছরের সাজা দেয় দেশটির আদালত। একই সঙ্গে আপিল করার জন্য তাকে ৩০ দিনের জামিন দিয়েছে আদালত।  গুজরাটের সুরাটের একটি আদালত রাহুলের বিরুদ্ধে এ  রায় দেয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় বিতর্কিত মন্তব্য করেন রাহুল। তার বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন গুজরাটের এক বিধায়ক। সুরাটের আদালতে সেই মামলার শুনানি চলছিল চার বছর ধরে। বৃহস্পতিবার সকালে মামলার রায়কে কেন্দ্র করে গুজরাটের সুরাতে গিয়ে পৌঁছান রাহুল গান্ধী। সেখানে তাকে স্বাগত জানান রাজ্যের নেতারা।রাহুলের আগমন উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার–ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান নেন গুজরাট রাজ্যের কংগ্রেস নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা। কারও কারও হাতে রাহুলকে ‘শের–ই–হিন্দুস্তান’ লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।এদিকে শুক্রবার নরেন্দ্র মোদি সরকারে বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অভিযোগ তুলে অন্য বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলনের পথে নেমেছে কংগ্রেস। শুক্রবার দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন ১২টি বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাম, জেডি (ইউ), ডিএমকের পাশাপাশি বৈঠকে ছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিও (আপ)। এর পরে সংসদ ভবন থেকে মিছিল করে রাষ্ট্রপতি ভবনে যান তারা। এফএস
    মস্কোর বার্তা, পুতিনকে গ্রেফতারের অর্থ যুদ্ধ
    রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিদেশের মাটিতে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হলে, তা ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে ধরা হবে। এমনই বার্তা দিলেন রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ।ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু ও শিশুদের জোর করে রাশিয়ায় তুলে নিয়ে যাওয়ার ‘অপরাধে’ সম্প্রতি পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এর সদস্য বিশ্বের ১২৩টি দেশ। আদালতের রায়, এই দেশগুলির মধ্যে কোনও একটিতে পা রাখলেই গ্রেফতার করা হবে পুতিনকে। রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, তারা আইসিসি-র সদস্য নয়। ওই রায় মস্কো মানে না। বিষয়টিকে ‘ফাঁপা আওয়াজ’ বলেও উড়িয়ে দিয়েছে ক্রেমলিন। যদিও স্বাভাবিক ভাবেই এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাশিয়া। গতকাল অনেক রাতে একটি বক্তৃতায় মেদভেদেভ বলেন, ‘‘পুতিনকে গ্রেফতার করা হলেই একটি দেশকে আক্রমণ করা হবে।’’ পুতিন-ঘনিষ্ঠেরা বলছেন, ‘‘এটা পরিষ্কার, এমন কোনও ঘটনা কখনওই ঘটবে না। কিন্তু কল্পনা করা যাক, পুতিনকে গ্রেফতার করা হল। ধরা যাক, জার্মানিতে গেলেন পরমাণু শক্তিধর দেশটির প্রধান। আর সেখানে তাঁকে গ্রেফতার করা হল। সেটা কেমন হবে? সেটা কিন্তু রুশ ফেডারেশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে।’’ মেদভেদেভ বলেন, ‘‘সে ক্ষেত্রে বুন্ডেসটাগের উপরে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে পড়বে। জার্মান চ্যান্সেলরের অফিসে হামলা চলবে।’’রাশিয়া আজও ইউক্রেনের একাধিক শহরে হামলা চালিয়েছে। সদ্য মস্কো সফর সেরে বেজিংয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিন দিনের সফরে পুতিনের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন শি। তাঁদের আলোচনার অন্যতম বিষয়বস্তু ছিল ইউক্রেনের যুদ্ধ। দু’দেশ যৌথ বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘‘রাশিয়া ফের শান্তি আলোচনা শুরু করতে চায়।’’ অথচ শি রওনা দিতে না-দিতেই ইউক্রেনে হামলা চালাল রাশিয়া। কিভ অঞ্চলে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের জ়াপোরিজ়িয়া থেকে এক জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। দু’টি শিশু-সহ ৩৪ জন গুরুতর জখম। একটি আবাসনে এসে পড়েছিল রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। ৯তলা বাড়িটি দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে। সেই ছবি ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।এ পর্যন্ত রাশিয়ার প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ে সরব হয়েছে ইউক্রেন। যদিও চিনা প্রেসিডেন্টের মস্কো-সফর নিয়ে একেবারে চুপ তারা। ফেব্রুয়ারি মাসে চিন যুদ্ধ থামাতে ১২টি পয়েন্টের একটি শান্তি-প্রস্তাব দিয়েছিল। তাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল ইউক্রেন। ধারণা করা হচ্ছে, চিন যতই রাশিয়ার হয়ে কথা বলুক না কেন, তাদের নিয়ে আশাবাদী ইউক্রেন। শি-র মস্কো সফরের পরে ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। সে নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। জ়েলেনস্কি বলেছেন, ‘‘তেমন নির্দিষ্ট কোনও কিছু সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা এখনও কিছু জানি না।’’পিএম
    রমজানের শেষ ১০ দিন মক্কা-মদিনায় নামাজ আদায়ে অনুমতি লাগবে না
    সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে রমজানের শেষ দশ দিনে মুসল্লিদের জন্য মক্কার পবিত্র গ্র্যান্ড মসজিদ এবং পবিত্র মদিনার মসজিদে নববীতে নামাজ পড়ার কোন অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই।মুসল্লিদের এক প্রশ্নের জবাবে অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সুবিধাভোগী পরিষেবা বিভাগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয় যে, পবিত্র দুই মসজিদে নামাজের জন্য রমজানের শেষ দশদিন কোনও অনুমতির প্রয়োজন নেই।তবে হজ মন্ত্রণালয় বলেছে যে ওমরাহ পালন বা মসজিদে নববীতে রওজা শরীফ জিয়ারত ও পরিদর্শনের জন্য অনুমতি বাধ্যতামূলক।এই প্রক্রিয়ার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে, নুসুক বা তাওয়াক্কলনা অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে, তবে শর্ত থাকে যে কোনও করোনভাইরাস সংক্রমণ বা সংক্রামিত ব্যক্তি ওমরাহ পালন করতে পারবেন না।এআই 

    বিনোদন

    সব দেখুন
    শহীদের সুরে ফেরদৌস-পূর্ণিমার সিনেমায় গাইলেন নোলক
    দেশের গুণি নির্মাতা ছটকু আহমেদ। নির্মাণ করছেন নতুন সিনেমা 'আহারে জীবন'। ফেরদৌস-পূর্ণিমা জুটির সিনেমাটির দৃশ্যায়ণ প্রায় শেষের দিকে। পারিবারিক ও সামাজিক গল্পে নির্মিত এ চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় সব শিল্পীদের কণ্ঠে থাকছে শ্রুতিমধুর কিছু গান।'আহারে জীবন' সিনেমার টাইটেল গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা নোলক বাবু। গানটি গেয়েছেন এস আই শহীদের সুরে। এই গানের কথা লিখেছেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা জাকির হোসেন রাজু। সংগীতায়োজন করেছেন রাফি মোহাম্মদ।সরকারি অনুদানের নির্মিত 'আহারে জীবন' ছবিতে গানটি গেয়ে উচ্ছ্বসিত নোলক বাবু। তিনি বলেন, 'খুব চমৎকার গল্পটি। আমি পড়েছি। আর যে গানটি গেয়েছি সেটির কথা অসাধারণ। প্রিয় পরিচালক জাকির হোসেন রাজু ভাই লিখেছেন। তিনি সিনেমার গান লেখার জন্য সবসময়ই সফল। তার লেখা বেশ কিছু রোমান্টিক গান আমার প্রিয়। আশা করছি এই গানটি অনেকের প্রিয় হবে। আর এস আই শহীদের সুরটিও করেছেন ছবির গল্প ও গানের কথার সঙ্গে মিলিয়ে। বিরহ, বেদনা দারুণভাবে ফুটে উঠেছে।' গানটির সুরকার এস আই শহীদ বলেন, 'আমি ছটকু আহমেদ ভাইয়ের কাছে কৃতজ্ঞ। তার মতো গুণি নির্মাতা অনুদানের সিনেমার টাইটেল গানটি আমাকে দিয়ে সুর করিয়েছেন। আমি জাকির হোসেন রাজু ভাইয়ের কাছে কৃতজ্ঞ। দারুণ একটি গান তিনি লিখে দিয়েছেন। আশা করছি এই গানটি শ্রোতাদের মন ভরাবে।''আহারে জীবন' সিনেমায় ফেরদৌস-পূর্ণিমা জুটি ছাড়াও অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, জয় চৌধুরী, মৌমিতা মৌ, রেবেকা, শাহনূর প্রমুখ।  আরআইআর
    নাট্যজন মামুনুর রশীদের পাশে অভিনয় শিল্পী সংঘ
    কিংবদন্তি অভিনেতা ও নাট্যজন মামুনুর রশীদের একটি মন্তব্য ঘিরে সম্প্রতি আলোচনা-সমালোচনা চলছে। দেশের সংস্কৃতি ও শিল্প অঙ্গনের করুণ অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, 'আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে গেছি। সেখান থেকে হিরো আলমের মতো একটা লোকের উত্থান হয়েছে। যে উত্থান কুরুচি, কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির উত্থান। এই উত্থান কীভাবে রোধ করা যাবে, এটা যেমন রাজনৈতিক সমস্যা, তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিক সমস্যাও।' মামুনুর রশীদের এই মন্তব্যে নাট্য ও সিনেমা অঙ্গনের অধিকাংশ মানুষই একাত্মতা প্রকাশ করছেন। তবে বিপক্ষেও ব্যাখ্যা দিচ্ছেন কেউ কেউ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই এই নন্দিত ব্যক্তিত্বের সমালোচনা করছেন অনেকেই।গত কয়েকদিন চুপ ছিল নাট্যকেন্দ্রিক অন্যতম সংগঠন 'অভিনয়শিল্পী সংঘ'। তবে এবার সরব হল সংগঠনটি। গতকাল বুধবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় 'অভিনয়শিল্পী সংঘ'র সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম তার ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্টে লিখেন, "অদ্ভুত আঁধার এক পৃথিবীতে আজ! সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের অগ্রজ নাট্যজন,একুশে পদক প্রাপ্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আমাদের সবার প্রিয় শ্রদ্ধার ভালোবাসার অভিনয়শিল্পী, অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশের সম্মানিত উপদেষ্টা জনাব মামুনুর রশীদ একটি সাক্ষাৎকার এ সাম্প্রতিক সময়ের আমাদের দেশের শিল্পসাহিত্য, রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি সহ নানান বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন। বিশেষ করে আমাদের শিল্প সাহিত্য নাটক ও চলচ্চিত্রে সাম্প্রতিক রুচির যে অবনমন, যে ধরনের বিষয়বস্তু প্রাধান্য পাচ্ছে ও আলোচিত হচ্ছে তা নিয়ে তিনি শংকিত হয়ে বলেছেন, আমাদের রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে....উদাহরণ হিসেবে প্রতিকী অর্থে একটি নাম বলেছেন। তিনি কোনোভাবেই কোনো ব্যাক্তি কে উদ্দেশ্য করে বলেননি বলেই আমরা বিশ্বাস করি।"তিনি আরও লিখেন, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিকাশে একজন মামুনুর রশিদ এর অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি তাঁর সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিকাশে। একটি বিশেষ সম্প্রদায় মামুনুর রশিদ এর বলা একটি শব্দ, লাইনকে ব্যবহার করে যেভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন, বিভাজন তৈরি করছেন তা ভীষণ নিন্দনীয় এবং অগ্রহণযোগ্য। যে বা যারা এই কাজটি করছেন তারাই শিল্প ও সংস্কৃতির প্রধান শত্রু। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মামুনুর রশিদ এর সাথে একমত। রুচি ও মূল্যবোধের ভীষণ অবক্ষয় চলছে। অদ্ভুত আঁধার এক পৃথিবীতে আজ!একই বিবৃতি পোস্ট করেছেন সংগঠনটির সদস্য-নেতাদের অনেকেই। এর মধ্যে আছেন অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু, মিজান রহমান, প্রাণ রায়, অভিনেত্রী উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, তানভীন সুইটি, নাজনিন হাসান চুমকি, গোলাম ফরিদা ছন্দা, অভিনেতা সাজু খাদেমসহ আরও অনেকে।আরআইআর
    জাপানে কি করছেন জয়া আহসান?
    দুই বাংলার দর্শকরা এখন তাকে চেনেন 'ডুব সাঁতার'র রেণুকা, 'গেরিলা'র বিলকিস বানু কিংবা 'দেবী'র রানু হিসেবে। আবার কেউ কেউ তাকে 'রাজকাহিনী'র রুবিনা, 'কণ্ঠ'র রমিলা বা 'ক্রিসক্রস'র মিসেস সেন বলেও চিহ্নিত করেন। কারণ, চরিত্রগুলো নিজের মধ্যে ধারণ করেছেন এবং অভিজ্ঞতা-ব্যক্তিত্ব দিয়ে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন জয়া আহসান। জয়া আহসান দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী । সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত ছবি পোস্ট করে সরব উপস্থিতির জানান দেন তিনি। সম্প্রতি জাপানে ঘুরতে গেছেন এই অভিনেত্রী। সেখান থেকেই একের পর এক ছবি পোস্ট করে অন্তর্জাল কাঁপাচ্ছেন তিনি।গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড পেজে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছেন জয়া আহসান। জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপে তোলা ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, সাদা বরফের মাঝে ছুটে বেড়াচ্ছেন, দুষ্টুমির ছলেও দিয়েছেন নানা পোজ।আজ বৃহস্পতিবার (৩০মার্চ) জয়া ফের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। জাপানের ওতারু শহর চষে বেরাচ্ছেন জয়া।  জয়ার রূপ অনেক আগেই ভক্তদের হৃদয়ে দাগ কেটেছে। অনেকের ধারণা, দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জয়ার রূপও বেড়ে চলেছে। কেউ কেউ মনে করেন, জয়ার বয়স একটি ঘরেই আটকে আছে, এ জন্যই তিনি চিরসবুজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় জয়ার প্রতিটি পোস্ট নেটিজেনদের নজর কাড়ে। সেই ধারাবাহিকতায় তার ঘুরে বেড়ানোর নতুন ছবিগুলোতেও সবার চোখ আটকে গেছে। নতুন ছবিগুলোতে চিরতরুণী এক জয়াকেই আবিষ্কার করেছেন তার অনুরাগীরা। সেটি মাথায় রেখেই তার পোস্টে কমেন্ট করছেন নেটিজেনরা।আরআইআর
    ওয়েব সিরিজ নিয়ে বিস্ফোরক নাট্যজন মামুনুর রশীদ
    মামুনুর রশীদ একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের মঞ্চ আন্দোলনের পথিকৃৎ। তার নাট্যকর্মে প্রখর সমাজ সচেতনতা লক্ষণীয়। শ্রেণীসংগ্রাম তার নাটকের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু। তিনি টিভির জন্যেও অসংখ্য নাটক লিখেছেন এবং অভিনয় করেছেন। বিভিন্ন সামাজিক ইস্যূ নিয়ে, শ্রেণীসংগ্রাম, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা অধিকার আদায়ের নানা আন্দোলন নিয়ে নাটক রচনা ও পরিবেশনা করে বাংলাদেশের নাট্য জগতে আলাদা স্থান করে নিয়েছেন। নাট্যকলায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১২ সালে তিনি একুশে পদকে ভুষিত হন। ১৯৮২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেলেও স্বৈরশাসনের প্রতিবাদ স্বরূপ তিনি পুরস্কারটি প্রত্যাখ্যান করেন।সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে বরেণ্য নাট্যজন মামুনুর রশীদ রুচির দুর্ভিক্ষের কথা উল্লেখ্য করেন। একই অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ওয়েব সিরিজগুলোতে সেক্স ,ভায়োলেন্স ছাড়া কিছু দেখা যায় না।বর্তমান নাটক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনকার নাটকে মা-বাবা থাকে না। বয়স্ক লোকেরা থাকে না। এই নাটক বানায় কারা? এই যে ইউটিউবিং অবাধ যে অশ্লীলতার একটা জোয়ার চলছে এগুলো বানায় কারা? তার মানে আমাদের সংস্কৃতিটা ঠিক জায়গায় নাই! কিন্তু যদু সংস্কৃতিটা ঠিক না করা যায় তাহলে এগুলো ব্যবহার করবে কারা? ইউটিউব, ওয়েব সিরিজ বর্তমান সময়ের বেশ জনপ্রিয়তা পেলেও সেগুলোতে যৌনতা, ভায়োলেন্স ছাড়া কিছু নেই বলে মনে করেই গুণী এই নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক। তিনি বলেন, বর্তমান ইউটিউব, ওয়েব সিরিজ অবাধ ভাবে হচ্ছে। ওয়েব সিরিজগুলোতে সেক্স ভায়োলেন্স ছাড়া কিছু দেখা যায় না।  উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে মামুনুর রশীদ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে টেলিভিশনের জন্য নাটক লিখতে শুরু করেন। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং জড়িত হন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে। আরআইআর

    অর্থ-বাণিজ্য

    সব দেখুন
    রমজান উপলক্ষে কাল থেকে অফিস-ব্যাংকে নতুন সময়সূচি
    রমজান মাসে নতুন সময়সূচিতে চলবে সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী রমজানে সকাল ৯টায় অফিস শুরু হয়ে চলবে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এর মধ্যে দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ১৫ মিনিট নামাজের বিরতি থাকবে।গত ১৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।প্রথম রোজা থেকে এই সময়সূচি চালু হয়। তবে এবার রমজান সরকারি ছুটির দিন (শুক্রবার) শুরু হয়। শুক্র-শনি সরকারি ছুটি শেষে আজ রবিবার মহান স্বাধীনতা দিবসের ছুটিতে সব প্রতিষ্ঠান। এতে আগামীকাল সোমবার থেকে রমজানের নতুন সময়সূচিতে চলবে অফিস।এদিকে গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন ডিপার্টমেন্টের এক সার্কুলারে জানানো হয়, রমজান মাসের জন্য ব্যাংকের অফিস ও লেনদেনের সময়সূচি পরিবর্তন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন সূচি অনুযায়ী রমজান মাসে লেনদেন হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। আর অফিস চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।এর মধ্যে দুপুর ১টা ১৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে। তবে এ বিরতির সময় অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাংকের লেনদেন অব্যাহত রাখা যাবে।এফএস
    সারাদেশে একদরে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি হবে
    সারাদেশে একদরে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার বিক্রি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মো.নুরুল আমিন। আজ সকালে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।বিইআরসি’র নির্ধারিত নতুন দামে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার ১ হাজার ৪২২ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু এর চেয়ে বেশি দামে তা বিক্রি হচ্ছে। আর একেক এলাকায় একেক দরে তা বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিইআরসি চেয়ারম্যান একদরে এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি নিশ্চিত করা হবে বলে জানান। এ জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।গণমাধ্যমে আলাপের সময় বিইআরসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রকৌশলীরা।একটানা ১০ বছর জাতীয় গ্রিডে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে চাঁদপুরের কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। সম্প্রতি বেশকিছু যন্ত্রাংশ অচল হয়ে পড়ায় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গত ডিসেম্বর পুরোপুরি বন্ধ করা হয় এ বিদ্যুতকেন্দ্রের উৎপাদন।প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী নুরুল আবছার জানিয়েছেন, তারা আবারও এ কেন্দ্রের মাধ্যমে উৎপাদনে ফিরতে কাজ করছেন। প্রকৌশলীরা দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।এফএস
    স্বর্ণের রেকর্ড দাম, ভরি লাখ ছুঁই ছুঁই
    দে‌শের বাজা‌রে সোনার দা‌ম রেকর্ড প‌রিমাণ বে‌ড়ে‌ছে। এক লাফে প্রতি ভরিতে বেড়েছে সাড়ে ৭ হাজার টাকারও বেশি। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভালো মানের প্রতিভরি সোনা কিনতে খরচ হবে ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। আগামীকাল রোববার থেকে সোনার নতুন এই দাম কার্যকর হবে।আজ শ‌নিবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।নতুন দাম অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা কিনতে লাগবে ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেট ৯৪ হাজার ৩০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৮০ হাজার ৮৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হবে ৬৭ হাজার ৩০১ টাকা দরে।এর আগে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ সোনার দাম নির্ধারণ ক‌রেছিল বাজুস যা পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী শ‌নিবার পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের ভরি বিক্রি হয়েছে ৯১ হাজার ৯৬ টাকায়। সেই হিসেবে আজ সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি টাকা বাড়ানো হলো স্বর্ণের দাম।গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি ভরি সোনার (২২ ক্যারেট) দাম ছিল ৮৭ হাজার ২৪৭ টাকা। ওই দিন ১ হাজার ১৬৬ টাকা বেড়ে হয় ৮৮ হাজার ৪১৩ টাকা। এরপর ৭ জানুয়ারি ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বেড়ে হয় ৯০ হাজার ৭৪৬ টাকা এবং ১৪ জানুয়ারি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা বেড়ে হয় রেকর্ড ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা। মাঝে ৪ ফেব্রুয়ারি সোনার দাম কিছুটা কমলেও সেটি ৯০ হাজারের ঘরে থেকে যায়।আজ এক লাফে ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়িয়ে প্রতি ভরি সোনার দাম করা হলো ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণের দামের ক্ষেত্রে এটিই একবারে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা।এফএস
    পুরো রমজান মাসের বাজার একবারে না করার অনুরোধ
    আসছে পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে পুরো মাসের বাজার একবারে না করার অনুরোধ জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। শুক্রবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিশেষ তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা শেষে ভোক্তা প্রতি তিনি এ অনুরোধ জানান।ভোক্তাদের উদ্দেশে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘সামনে রোজা। দয়া করে আপনারা এক মাসের বাজার একসঙ্গে কিনতে যাবেন না। আপনারা ১০ দিনের বা এক সপ্তাহের বাজার করেন। হঠাৎ বেশি পণ্য কিনলে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়। তখন কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা ফায়দা লোটার চেষ্টা করে। এ কারণে অনুরোধ করব, আপনারা একসঙ্গে পুরো মাসের বাজার করবেন না।ভোক্তা অধিকারের পরিচালক বলেন, ‘রোজার আগের দিন আপনারা বেগুন কিনতে যাবেন না। আমরা যদি একসঙ্গে অনেক মানুষ বেগুন কিনতে চাই, তাহলে উৎপাদন-সরবরাহের থেকে চাহিদা বেড়ে যাবে। আর চাহিদা বেড়ে গেলে ব্যবসায়ীরা মুনাফা লাভের চেষ্টা করেন। তাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অনুরোধ করছি- আপনারা দেখে, শুনে, বুঝে পণ্য কিনুন। পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখুন।তিনি বলেন, ‘পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করছে। আমরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিত্যপণ্যের বাজার, বিশেষ করে রমজান কেন্দ্রিক পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ ঠিক আছে কিনা তা দেশব্যাপী যাচাই করছি। আজকে কারওয়ান বাজারের মুদি ও মুরগির বাজার তদারকি করা হয়েছে। তদারকিতে দেখা গেছে, রমজান কেন্দ্রিক যেসব পণ্য রয়েছে, যেমন ছোলা, চালের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়েনি বলে তারা জানিয়েছেন।চিনির বিষয়ে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘চিনির বিষয়ে কয়েকজন দোকানদার অভিযোগ করেছেন। দুই একটি কোম্পানি চিনির সঙ্গে অন্য পণ্য ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এটি ঠিক নয়। আমরা এ বিষয়ে সেসব কোম্পানির সঙ্গে আজকেই কথা বলব।ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের এ পরিচালক বলেন, ‘এবার এফবিসিসিআই থেকে শুরু করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, সবাই সমন্বিত হয়ে কাজ করছি। আমরা সবাইকে অনুরোধ করেছি, যার যার অবস্থান থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালন করার। পাশাপাশি কোনো বাজারে বা কোনো মার্কেটে আমরা যদি কোনো রকম অনিয়ম পাই, তাহলে ওই মার্কেটের বা বাজারের ব্যবসায়ী সমিতিকে ধরা হবে। কারণ ব্যবসায়ী সমিতিগুলোর দায়বদ্ধতা রয়েছে। ইতোমধ্যে একটি বাজারে অনিয়ম পাওয়ার পর আমরা সেই বাজারের ব্যবসায়ী সমিতিকে শোকজ দিয়েছি। তারা আর অনিয়ম হবে না মর্মে মুচলেকা দিয়েছে।এ সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান আব্দুল জব্বার মণ্ডলসহ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এফএস
    ইন্স্যুরটেক কোম্পানিগুলোর জন্য পৃথক লাইসেন্সিং গাইডলাইন ও নীতিমালা তৈরির দাবি
    বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে ইন্স্যুরটেক কোম্পানিগুলোর জন্য আলাদা নীতিমালা ও লাইসেন্সিং গাইডলাইন তৈরির দাবি করেছেন এই খাতের উদ্যোক্তারা। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) 'স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ইন্স্যুরটেকের ভূমিকা' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এই দাবি করা হয়। আলোচনায় বলা হয়, দেশে এরইমধ্যে অর্ধশতাধিক  ইন্স্যুরটেক কোম্পানি কাজ শুরু করেছে প্রান্তিক পর্যায়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বীমা সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কিন্তু যেহেতু ইন্স্যুরটেক বিষয়ে সরকারের কোনো নীতিমালা বা রেগুলেশন নেই, সেহেতু এই খাতে প্রয়োজনীয় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হচ্ছে না। বর্তমানে লাইসেন্স প্রাপ্ত বীমা কোম্পানিগুলোই শুধুমাত্র ইন্সুরেন্স সেবা দিতে পারে, কিন্তু আমাদের আশেপাশের অনেক দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI), আই-ও-টি (IOT), ডাটা-সাইন্স নির্ভর নতুন প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনী বীমা সেবা বাজারে আনার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে নতুন প্রজন্মের ইন্স্যুরটেক ও ফিনটেক কোম্পানিগুলো। ইন্স্যুরটেক খাতে প্রচুর ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট হয়েছে ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়াসহ অন্যান্য অনেক উন্নয়নশীল দেশে, কিন্তু আমাদের দেশে  ইন্স্যুরটেক প্রতিষ্ঠানগুলোর আলাদা আইনগত স্বীকৃতি না থাকাতে এই খাতে যথেষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ হচ্ছে না। গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যার মাত্র ৫% -এর কম বীমা সেবার আওয়তায় আছে। প্রতিবেশী দেশগুলিতে এই হার ২০-৩০% এর উপরে, কেননা সেখানে প্রযুক্তিনির্ভর ইন্স্যুরটেক কোম্পানিগুলো বীমা বাজার তৈরী করার ব্যাপারে নেতৃত্ব দিচ্ছে।  এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এর চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মাদ জয়নুল বারী। আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও বীমা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসিনা শেখ। গোলটেবিল আলোচনাটি পরিচালনা করেন বেসিস ফিনটেক স্ট্যান্ডিং কমিটির সহ-আহবায়ক এবং আদর্শ প্রাণিসেবার প্রধান ফিদা হক। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বীমা কোম্পানিকে শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশের ২০টি শীর্ষস্থানী ইন্স্যুরটেক কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতাবৃন্দ।  প্রধান অতিথি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষর প্রধান মোহাম্মাদ জয়নুল বারী বলেন, সরকার ব্যাপক সংখ্যক জনগণের মধ্যে বীমা সেবা দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও আছে। যেকোনো ধরণের নতুন প্রযুক্তি বাস্তবায়নের ব্যাপারে বীমা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সব সময়ই সহায়ক ও উদ্যোগী ভূমিকা পালন করবে। নতুন ইন্স্যুরটেক নীতিমালা তৈরির ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে তিনি ইন্স্যুরটেক উদ্যোক্তাদের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। গোলটেবিল  বৈঠকে বেসিস ফিনটেক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধান ফাহিম মাশরুর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, দেশের বীমা খৎ উন্নয়নে মূল ধারার বীমা কোম্পানিগুলো ও ইন্স্যুরটেক কোম্পানিগুলোকে একসাথে কাজ করতে হবে। এছাড়াও তিন থেকে ৫ বছরের জন্য স্থানীয় ইন্স্যুরটেক কোম্পানিগুলোকে বিদেশী কোম্পানিগুলি থেকে অসম প্রতিযোগিতার থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা তৈরীর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।  অনুষ্ঠানে বেসিসের পক্ষে থেকে একটি খসড়া ইন্স্যুরটেক গাইডলাইন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
    ১.৪ মিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ পেল বাংলাদেশি কোম্পানি এসএম ফিনটেক
    হংকং ও চীন ভিত্তিক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান থেকে সম্প্রতি ১.৪ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পেয়েছে বাংলাদেশের এসএম ফিনটেক লিমিটেড। এসএম ফিনটেক মুলত একটি প্রযুক্তি ভিত্তিক আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান।  তাদের সেবা সমূহের মধ্যে রয়েছে, “Crediee” একটি মোবাইল অ্যাপ ভিত্তিক ক্রেডিট স্কোরিং ইঞ্জিন, যার দ্বারা একজন গ্রাহক ঘরে বসেই তার মোবাইল ফোনের মাধ্যেমে অনলাইন লোনের আবেদন করতে পারবেন। এটির ব্যবহার মুলত বিভিন্ন ঋণ প্রদানকারী সংস্থা সমুহ তাদের কাস্টমারদের Risk Assessment, Credit Worthiness Checking এর কাজ করে থাকে।এর পাশাপাশি “Myne মাইনে” আরেকটি মোবাইল এপ্লিকেশন যার মাধ্যমে জরুরি প্রয়োজনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চাকুরিজীবীদের বেতনের বিপরীতে অগ্রিম আর্থিক সেবা নিতে পারবেন।এখন পর্যন্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ফাইনান্স লিমিটেড ও আম্বালা ফাউন্ডেশন এর সাথে এসএম ফিনটেক চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আরিফ সিকদার সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, আমরা বাংলাদেশের জনগণের আর্থিক প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে আমাদের এ সার্ভিসটি ডেভেলপ করেছি। আমরা দেশের সাধারণ মানুষ ও প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ প্রদানকারী সংস্থাদের মধ্যে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করতে চাই।
    রমজানে নতুন সময়সূচীতে চলবে ব্যাংকে লেনদেন
    রমজান মাসের পুরো সময়টাতে নতুন সময়সূচীতের চলবে ব্যাংক গুলোতে লেনদেন।  প্রতিদিন সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এই পাঁচ ঘণ্টা করে এই লেনদেন সেবা চালু থাকবে। সরকারি-বেসরকারি  সকল  ব্যাংকের জন্যেই এই নতুন সময়সূচী।  তবে ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। অর্থাৎ ব্যাংকগুলো লেনদেন পরবর্তী সময়ে আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন হবে।গত বুধবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। ওই প্রজ্ঞাপনে নতুন এ সময়সূচি উল্লেখ করা হয়কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, রোজায় রোববার থেকে বৃহস্পতিবার ব্যাংক লেনদেন হবে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে একটানা বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। এর মধ্যে দুপুর ১টা ১৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে। তবে এ বিরতির সময় অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাংকের লেনদেন অব্যাহত রাখা যাবে। রমজান মাস অতিবাহিত হওয়ার পরে অফিস সময়সূচি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।সাধারণ সময়ে সব ব্যাংকে লেনদেন হয় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। আর ব্যাংকের আনুষঙ্গিক কাজের জন্য অফিস খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। রমজান মাস উপলক্ষে অফিস ও লেনদেন সূচিতে পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ ব্যাংক।
    রমজান উপলক্ষে কাল থেকে অফিস-ব্যাংকে নতুন সময়সূচি
    রমজান মাসে নতুন সময়সূচিতে চলবে সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী রমজানে সকাল ৯টায় অফিস শুরু হয়ে চলবে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এর মধ্যে দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ১৫ মিনিট নামাজের বিরতি থাকবে।গত ১৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।প্রথম রোজা থেকে এই সময়সূচি চালু হয়। তবে এবার রমজান সরকারি ছুটির দিন (শুক্রবার) শুরু হয়। শুক্র-শনি সরকারি ছুটি শেষে আজ রবিবার মহান স্বাধীনতা দিবসের ছুটিতে সব প্রতিষ্ঠান। এতে আগামীকাল সোমবার থেকে রমজানের নতুন সময়সূচিতে চলবে অফিস।এদিকে গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন ডিপার্টমেন্টের এক সার্কুলারে জানানো হয়, রমজান মাসের জন্য ব্যাংকের অফিস ও লেনদেনের সময়সূচি পরিবর্তন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন সূচি অনুযায়ী রমজান মাসে লেনদেন হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। আর অফিস চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।এর মধ্যে দুপুর ১টা ১৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে। তবে এ বিরতির সময় অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাংকের লেনদেন অব্যাহত রাখা যাবে।এফএস
    সারাদেশে একদরে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি হবে
    সারাদেশে একদরে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার বিক্রি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মো.নুরুল আমিন। আজ সকালে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।বিইআরসি’র নির্ধারিত নতুন দামে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার ১ হাজার ৪২২ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু এর চেয়ে বেশি দামে তা বিক্রি হচ্ছে। আর একেক এলাকায় একেক দরে তা বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিইআরসি চেয়ারম্যান একদরে এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি নিশ্চিত করা হবে বলে জানান। এ জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।গণমাধ্যমে আলাপের সময় বিইআরসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রকৌশলীরা।একটানা ১০ বছর জাতীয় গ্রিডে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে চাঁদপুরের কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। সম্প্রতি বেশকিছু যন্ত্রাংশ অচল হয়ে পড়ায় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গত ডিসেম্বর পুরোপুরি বন্ধ করা হয় এ বিদ্যুতকেন্দ্রের উৎপাদন।প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী নুরুল আবছার জানিয়েছেন, তারা আবারও এ কেন্দ্রের মাধ্যমে উৎপাদনে ফিরতে কাজ করছেন। প্রকৌশলীরা দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।এফএস
    স্বর্ণের রেকর্ড দাম, ভরি লাখ ছুঁই ছুঁই
    দে‌শের বাজা‌রে সোনার দা‌ম রেকর্ড প‌রিমাণ বে‌ড়ে‌ছে। এক লাফে প্রতি ভরিতে বেড়েছে সাড়ে ৭ হাজার টাকারও বেশি। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভালো মানের প্রতিভরি সোনা কিনতে খরচ হবে ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। আগামীকাল রোববার থেকে সোনার নতুন এই দাম কার্যকর হবে।আজ শ‌নিবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।নতুন দাম অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা কিনতে লাগবে ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেট ৯৪ হাজার ৩০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৮০ হাজার ৮৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হবে ৬৭ হাজার ৩০১ টাকা দরে।এর আগে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ সোনার দাম নির্ধারণ ক‌রেছিল বাজুস যা পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী শ‌নিবার পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের ভরি বিক্রি হয়েছে ৯১ হাজার ৯৬ টাকায়। সেই হিসেবে আজ সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি টাকা বাড়ানো হলো স্বর্ণের দাম।গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি ভরি সোনার (২২ ক্যারেট) দাম ছিল ৮৭ হাজার ২৪৭ টাকা। ওই দিন ১ হাজার ১৬৬ টাকা বেড়ে হয় ৮৮ হাজার ৪১৩ টাকা। এরপর ৭ জানুয়ারি ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বেড়ে হয় ৯০ হাজার ৭৪৬ টাকা এবং ১৪ জানুয়ারি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা বেড়ে হয় রেকর্ড ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা। মাঝে ৪ ফেব্রুয়ারি সোনার দাম কিছুটা কমলেও সেটি ৯০ হাজারের ঘরে থেকে যায়।আজ এক লাফে ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়িয়ে প্রতি ভরি সোনার দাম করা হলো ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণের দামের ক্ষেত্রে এটিই একবারে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা।এফএস
    পুরো রমজান মাসের বাজার একবারে না করার অনুরোধ
    আসছে পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে পুরো মাসের বাজার একবারে না করার অনুরোধ জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। শুক্রবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিশেষ তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা শেষে ভোক্তা প্রতি তিনি এ অনুরোধ জানান।ভোক্তাদের উদ্দেশে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘সামনে রোজা। দয়া করে আপনারা এক মাসের বাজার একসঙ্গে কিনতে যাবেন না। আপনারা ১০ দিনের বা এক সপ্তাহের বাজার করেন। হঠাৎ বেশি পণ্য কিনলে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়। তখন কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা ফায়দা লোটার চেষ্টা করে। এ কারণে অনুরোধ করব, আপনারা একসঙ্গে পুরো মাসের বাজার করবেন না।ভোক্তা অধিকারের পরিচালক বলেন, ‘রোজার আগের দিন আপনারা বেগুন কিনতে যাবেন না। আমরা যদি একসঙ্গে অনেক মানুষ বেগুন কিনতে চাই, তাহলে উৎপাদন-সরবরাহের থেকে চাহিদা বেড়ে যাবে। আর চাহিদা বেড়ে গেলে ব্যবসায়ীরা মুনাফা লাভের চেষ্টা করেন। তাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অনুরোধ করছি- আপনারা দেখে, শুনে, বুঝে পণ্য কিনুন। পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখুন।তিনি বলেন, ‘পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করছে। আমরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিত্যপণ্যের বাজার, বিশেষ করে রমজান কেন্দ্রিক পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ ঠিক আছে কিনা তা দেশব্যাপী যাচাই করছি। আজকে কারওয়ান বাজারের মুদি ও মুরগির বাজার তদারকি করা হয়েছে। তদারকিতে দেখা গেছে, রমজান কেন্দ্রিক যেসব পণ্য রয়েছে, যেমন ছোলা, চালের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়েনি বলে তারা জানিয়েছেন।চিনির বিষয়ে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘চিনির বিষয়ে কয়েকজন দোকানদার অভিযোগ করেছেন। দুই একটি কোম্পানি চিনির সঙ্গে অন্য পণ্য ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এটি ঠিক নয়। আমরা এ বিষয়ে সেসব কোম্পানির সঙ্গে আজকেই কথা বলব।ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের এ পরিচালক বলেন, ‘এবার এফবিসিসিআই থেকে শুরু করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, সবাই সমন্বিত হয়ে কাজ করছি। আমরা সবাইকে অনুরোধ করেছি, যার যার অবস্থান থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালন করার। পাশাপাশি কোনো বাজারে বা কোনো মার্কেটে আমরা যদি কোনো রকম অনিয়ম পাই, তাহলে ওই মার্কেটের বা বাজারের ব্যবসায়ী সমিতিকে ধরা হবে। কারণ ব্যবসায়ী সমিতিগুলোর দায়বদ্ধতা রয়েছে। ইতোমধ্যে একটি বাজারে অনিয়ম পাওয়ার পর আমরা সেই বাজারের ব্যবসায়ী সমিতিকে শোকজ দিয়েছি। তারা আর অনিয়ম হবে না মর্মে মুচলেকা দিয়েছে।এ সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান আব্দুল জব্বার মণ্ডলসহ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এফএস
    ইন্স্যুরটেক কোম্পানিগুলোর জন্য পৃথক লাইসেন্সিং গাইডলাইন ও নীতিমালা তৈরির দাবি
    বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে ইন্স্যুরটেক কোম্পানিগুলোর জন্য আলাদা নীতিমালা ও লাইসেন্সিং গাইডলাইন তৈরির দাবি করেছেন এই খাতের উদ্যোক্তারা। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) 'স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ইন্স্যুরটেকের ভূমিকা' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এই দাবি করা হয়। আলোচনায় বলা হয়, দেশে এরইমধ্যে অর্ধশতাধিক  ইন্স্যুরটেক কোম্পানি কাজ শুরু করেছে প্রান্তিক পর্যায়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বীমা সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কিন্তু যেহেতু ইন্স্যুরটেক বিষয়ে সরকারের কোনো নীতিমালা বা রেগুলেশন নেই, সেহেতু এই খাতে প্রয়োজনীয় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হচ্ছে না। বর্তমানে লাইসেন্স প্রাপ্ত বীমা কোম্পানিগুলোই শুধুমাত্র ইন্সুরেন্স সেবা দিতে পারে, কিন্তু আমাদের আশেপাশের অনেক দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI), আই-ও-টি (IOT), ডাটা-সাইন্স নির্ভর নতুন প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনী বীমা সেবা বাজারে আনার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে নতুন প্রজন্মের ইন্স্যুরটেক ও ফিনটেক কোম্পানিগুলো। ইন্স্যুরটেক খাতে প্রচুর ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট হয়েছে ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়াসহ অন্যান্য অনেক উন্নয়নশীল দেশে, কিন্তু আমাদের দেশে  ইন্স্যুরটেক প্রতিষ্ঠানগুলোর আলাদা আইনগত স্বীকৃতি না থাকাতে এই খাতে যথেষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ হচ্ছে না। গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যার মাত্র ৫% -এর কম বীমা সেবার আওয়তায় আছে। প্রতিবেশী দেশগুলিতে এই হার ২০-৩০% এর উপরে, কেননা সেখানে প্রযুক্তিনির্ভর ইন্স্যুরটেক কোম্পানিগুলো বীমা বাজার তৈরী করার ব্যাপারে নেতৃত্ব দিচ্ছে।  এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এর চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মাদ জয়নুল বারী। আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও বীমা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসিনা শেখ। গোলটেবিল আলোচনাটি পরিচালনা করেন বেসিস ফিনটেক স্ট্যান্ডিং কমিটির সহ-আহবায়ক এবং আদর্শ প্রাণিসেবার প্রধান ফিদা হক। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বীমা কোম্পানিকে শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশের ২০টি শীর্ষস্থানী ইন্স্যুরটেক কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতাবৃন্দ।  প্রধান অতিথি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষর প্রধান মোহাম্মাদ জয়নুল বারী বলেন, সরকার ব্যাপক সংখ্যক জনগণের মধ্যে বীমা সেবা দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও আছে। যেকোনো ধরণের নতুন প্রযুক্তি বাস্তবায়নের ব্যাপারে বীমা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সব সময়ই সহায়ক ও উদ্যোগী ভূমিকা পালন করবে। নতুন ইন্স্যুরটেক নীতিমালা তৈরির ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে তিনি ইন্স্যুরটেক উদ্যোক্তাদের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। গোলটেবিল  বৈঠকে বেসিস ফিনটেক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধান ফাহিম মাশরুর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, দেশের বীমা খৎ উন্নয়নে মূল ধারার বীমা কোম্পানিগুলো ও ইন্স্যুরটেক কোম্পানিগুলোকে একসাথে কাজ করতে হবে। এছাড়াও তিন থেকে ৫ বছরের জন্য স্থানীয় ইন্স্যুরটেক কোম্পানিগুলোকে বিদেশী কোম্পানিগুলি থেকে অসম প্রতিযোগিতার থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা তৈরীর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।  অনুষ্ঠানে বেসিসের পক্ষে থেকে একটি খসড়া ইন্স্যুরটেক গাইডলাইন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

    শিক্ষাঙ্গন

    সব দেখুন
    গুচ্ছ পদ্ধতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে: ড. আইনুল ইসলাম
    গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে ২ এপ্রিলের মধ্যে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি গঠন ও ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।আজ ২৯ মার্চ (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত শিক্ষকদের এক সাধারণ সভা শেষে উপাচার্য বরাবর লিখিত দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।লিখিত দাবিতে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনাল সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়-ই ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এবং ইতোমধ্যে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্নও করেছে। এমতাবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী দুই এপ্রিলের মধ্যে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে ভর্তি কমিটি গঠনসহ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রদানেরও দাবি জানান শিক্ষকরা।জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, আমরা আগের সিদ্ধান্তেই অনড় আছি। গুচ্ছ পদ্ধতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে৷ আমরা আজও মিটিং শেষে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি আগামী ২ এপ্রিলের মধ্যে নিজস্ব ব্যবস্থায় ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি দিতে। প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছে দ্রুত মিটিং ডেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে। যদি নির্ধারিত সময়ে দাবি বাস্তবায়িত না হয় আমরা পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি দিব।উল্লেখ্য, গত ১৫ই মার্চ অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের বিশেষ সভায় সর্বসম্মতভাবে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।আরআইআর
    জবি ছাত্রীকে বুকে লাথি, গ্রেফতার ১
    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে কটুক্তি ও শারীরিক হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে। হেনস্তার শিকার ঐ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ওয়ারী থানা পুলিশ।মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকাল ৫ টায় ওই শিক্ষার্থী টিউশনিতে যাওয়ার পথে নারিন্দা স্টার বেকারির সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা উল্লেখ করে ওয়ারী থানায় মামলা করেছেন ওই শিক্ষার্থী। জানা যায়, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম  উমর ফারুক সুমন (৫০)। তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। সুমন একাধিকবার বাজে মন্তব্য করলে প্রতিবাদ করে ওই নারী শিক্ষার্থী। এসময় প্রতিবাদ করায় ইট দিয়ে মারতে উদ্যত হন এবং শ্লীলতাহানি করেন তিনি। ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ইট ফেলে ওই শিক্ষার্থীর বুকে লাথি দিয়ে পালায় যায় আসামী সুমন।পরবর্তীতে ওয়ারী থানা পুলিশের সহায়তায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ও স্থানীয়দের বর্ননায় অভিযুক্ত সুমনকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করেন ওয়ারী থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক খায়রুল ইসলাম।এঘটনায় আসামীর শাস্তি চেয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, আমি এই কুলাঙ্গারের শাস্তি চাই। আমার সাথে যা হয়েছে তা কোন স্বাভাবিক ঘটনা না। প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটছে। এঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই। উপ-পরিদর্শক খায়রুল ইসলাম বলেন, ঘটনা জানার পরপরই  তাৎক্ষণিকভাবে আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হেনস্তার ঘটনা জেনেছি। থানায় যোগাযোগ করেছি। আসামী গ্রেফতার হয়েছে। আইন অনুযায়ী উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা হবে।"পিএম
    জবি শিক্ষার্থীদের উপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, নীরব ভূমিকায় পুলিশ
    পুরান ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের উপর সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালিয়েছে স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।এ ঘটনায় অন্তত ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত এক শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎধীন আছে। হামলার সময় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আহত শিক্ষার্থীরা।সোমবার (২৭ মার্চ) রাত ১০টার দিকে গেন্ডারিয়ার মুরগিটোলা মোড় এলাকায় প্রথম দফায় ও ১১ টার দিকে দ্বিতীয় দফায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় স্থানীয়দের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে শিক্ষার্থীদের। তখন এক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় দুইজনকে আটক করে সূত্রাপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।পরে রাত ১১ টার দিকে আবু সুফিয়ান ও শিহাব নামের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের টি-শার্ট পরিহিত অবস্থায় মুরগিটোলা মোড়ে চা খেতে গেলে হঠাৎ স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের ৫০-৬০ জন ওই দুই শিক্ষার্থীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তাদের চিৎকারে আশেপাশে অবস্থান করা আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী এগিয়ে এলে তাদের উপরও আক্রমণ করে স্থানীয়রা। গুরুতর আহত সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, আমি চা খাওয়ার জন্য আমার বন্ধুর সাথে বের হয়েছিলাম। হঠাৎ স্থানীয় কয়েকজন এসে আমাদের আটকিয়ে কোথায় থাকি জিজ্ঞাসা করে। বানিয়ানগর থাকি বলতেই আমাদের ওপর অনেকগুলো ছেলে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টি-শার্ট পরিহিত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে আর মারতে থাকে। আমরা আগের ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ করে বলেন, তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালালেও পাশে অবস্থান করা পুলিশ চেয়ে চেয়ে দেখেছে। হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে যায়নি পুলিশ। পুলিশ এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে বলেও জানান তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায় প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন মিলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করলেও তারা কার্যকর কোনো ভূমিকা পালন করেনি।  হামলার শিকার শিহাব নামের আরেক শিক্ষার্থী  বলেন, আমাদের মারধর করার পর পুলিশ এসে থামায়। কিন্তু বলতে থাকে তোরা জগন্নাথের স্টুডেন্ট এখানে আসছিস কেনো? এই কথা বলেই পুলিশ আমাকে মারতে থাকে।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আ‌মি বিষয়‌টি জানার পর আহত‌দের চি‌কিৎসার জন‌্য ব‌্যবস্থা ক‌রে দি‌য়ে‌ছি। সূত্রাপুর ও গেন্ডা‌রিয়া দুই থানার ও‌সির সা‌থেই কথা বলে‌ছি। থানাই অ‌ভি‌যোগ দি‌লে অ‌ভিযুক্ত‌দের বি‌রুদ্ধে ব‌্যবস্থা নি‌বে। আর পু‌লিশ‌ যে শিক্ষার্থী‌দের উপর হাত তু‌লে‌ছে সেই ভি‌ডিওটিও ও‌সি‌কে দি‌য়ে‌ছি।এবিষয়ে জানতে চাইলে গেন্ডারিয়া থানার ওসি মো. আবু সাঈদ আল মামুন বলেন, এটা সূত্রাপুর থানা অধীনে।  ঘটনার সময় সেখানে আমাদের পুলিশ সদস্যরা ছিল। তারা মারামারি থামিয়ে দিয়েছে। পরে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তবে এ ঘটনায় আমাদের এখানে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।সূত্রাপুর থানায় ওসি মো. মইনুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনায় ভিকটিম এখনো আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। কোথায় থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে তা ভিকটিম আসলে তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারবো। আর যেই দুজন কে আটক করা হয়েছিল তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত না। তাই তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।আরআইআর
    জাতীয় স্মৃতিসৌধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়'র শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিশেষ মোনাজাত
    মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ হতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ  রবিবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০টায়  জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। পরবর্তীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল এবং বিভিন্ন সংগঠন একে একে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। মহান স্বাধীনতার সংগ্রামে বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এসময় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, দপ্তরের পরিচালক, প্রভোস্ট, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: আইনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো: এ কে এম লুৎফর রহমান,অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা, সাংবাদিক এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনসমূহ আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের গান ও দেশাত্মবোধক গান প্রচার করা হয়। এছাড়াও আগামীকাল ২৭ মার্চ সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে সংগীত বিভাগের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।আরআইআর

    তথ্য-প্রযুক্তি

    সব দেখুন
    ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্যে শতভাগ ক্যাশব্যাক অফার
    কম্পিউটার পণ্যে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক দিচ্ছে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।‘ওয়ালটন কম্পিউটার ক্যাশব্যাক অফার’ শীর্ষক এই ক্যাম্পেইন ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ‘প্রযুক্তি পণ্য সবার জন্য’ স্লোগানে এই অফারে দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে ল্যাপটপ, ডেক্সটপ কম্পিউটার ও এক্সেসরিজ ক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন ক্রেতারা। শতভাগ ক্যাশব্যাকসহ বিভিন্ন অংকের নিশ্চিত ক্যাশব্যাক পেয়ে আনন্দে আপ্লুত অগণিত ক্রেতা।ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্যের চীফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ বলেন, বাংলাদেশে তৈরি সর্বাধুনিক প্রযুক্তিপণ্য সবার হাতে সাশ্রয়ী মূল্যে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এরফলে শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবি, মুক্ত পেশাজীবিসহ সবার জন্য ডিজিটাল ডিভাইস ক্রয় সহজ হয়েছে। দেশের প্রায় ৬০০ ওয়ালটন প্লাজা থেকে কম্পিউটার পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকরা এই সুবিধা পাচ্ছেন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও ডিজিটাল ডিভাইসের অপ্রতুলতার মধ্যেও ক্রেতাদের জন্য এমন সুবিধা দিতে ওয়ালটন কম্পিউটারের এই উদ্যোগ।তিনি জানান, বর্তমানে ৩২টি ব্র্যান্ড নামে ১৭টি ক্যাটাগরির ৪৪টি প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন কম্পিউটার। বছরব্যাপী মূল্যছাড়ের পাশাপাশি ইএমআই ও কিস্তি সুবিধা, এক্সচেঞ্জ অফারসহ ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্য ও এক্সেসরিজে নানান ক্রেতাসুবিধা দেয়া হচ্ছে। জানা গেছে, দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কম্পিউটার পণ্য ও এক্সেসরিজ ক্রয়ের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাকের সুবিধা উপভোগ করা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে প্লাজা থেকে ক্রয়কৃত পণ্যের বারকোড রেজিস্ট্রেশনের সাথে সাথে এসএসএসের মাধ্যমে গ্রাহককে ক্যাশব্যাকের পরিমাণ জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। নগদ মূল্যে ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত ক্যাশব্যাক গ্রাহক তাক্ষণিকভাবে প্রদেয় মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারছেন। জিরো ইন্টারেস্টে ৬ মাসের কিস্তি সুবিধায়ও পণ্য কেনার ক্ষেত্রেও গ্রাহকরা এই অফার পাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বাজারে রয়েছে নানান মডেল ও ফিচারের ওয়ালটন ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, অল-ইন-ওয়ান পিসি, অ্যান্ড্রয়েড ও উইন্ডোজ ট্যাব, মনিটর, প্রজেক্টর, ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিসপ্লে, প্রিন্টার, টোনার, ইউপিএস, সিসিটিভি, অ্যাক্সেস কন্ট্রোল, কিবোর্ড, মাউস, পেন ড্রাইভ, ওয়াই-ফাই রাউটার, নেটওয়ার্ক সুইচ,স ইউএসবি হাব, কার্ড রিডার, ওয়েবক্যাম, স্পিকার, ইয়ারফোন, হেডফোন, এসএসডি, এক্সটার্নাল এসএসডি, র‌্যাম, কুলার, পাওয়ার সাপ্লাই, পিসিবিএ, মেমোরি কার্ড, পাওয়ার ব্যাংক, স্মার্ট ওয়াচ, স্মার্ট ফিটনেস স্কেল, ডিজিটাল রাইটিং প্যাড, ইউএসবি, টাইপ সি ও এইচডিএমআই ক্যাবল, কনভার্টার, ইলেকট্রিক বাইক ইত্যাদি।মডেলভেদে গ্রাহকরা ওয়ালটন ল্যাপটপে সর্বোচ্চ ২ বছর এবং ডেস্কটপে ৩ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা পাচ্ছেন।
    অর্থের বিনিময়ে ব্লু ব্যাজ দেওয়া শুরু করল ফেসবুক
    মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড চালু করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জায়ান্ট কোম্পানি মেটা।  যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাকাউন্টের পাশে এখন ব্লু ব্যাজ যুক্ত করতে পারছেন অর্থ খরচ করেই।শনিবার (১৮ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি সংবাদ ওয়েবসাইট দ্য ভার্জের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। একই তথ্য জানিয়েয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিত সংবাদমাধ্যম সিএনএন বিজনেস।  গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া ঘোষণায় মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জুকারবার্গ অর্থের বিনিময়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করা যাবে বলে জানান। তার ঘোষণা অনুযায়ী, মাসিক নির্দিষ্ট একটি অংকের অর্থের বিনিময়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের নামের পাশে ব্লু ব্যাজ চিহ্ন পাবেন ব্যবহারকারীরা।সিএনএন বলছে, শুক্রবার থেকে মেটা দু’টি সামাজিক নেটওয়ার্কের মার্কিন ব্যবহারকারীদের জন্য পেইড ভেরিফায়েড কর্মসূচি পরীক্ষামূলক শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সিইও মার্ক জুকারবার্গ ইনস্টাগ্রামে এক ঘোষণায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।কোম্পানিটি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও বেশিসংখ্যক মার্কিন ব্যবহারকারীর জন্য এই কর্মসূচি উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে।এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে প্রথম পরীক্ষামূলক এই কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল। ওই সময় ওয়েবে মেটা ভেরিফায়েড মাসে ১১ দশমিক ৯৯ ডলার আর আইওএসে ১৪ দশমিক ৯৯ ডলারের বিনিময়ে শুরু হয়।মেটা ভেরিফায়েড সাবস্ক্রিপশন নামের চালু করা এই সেবার আওতায় জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে অ্যাকাউন্ট যাচাই, ব্লু ব্যাজ, অতিরিক্ত সুরক্ষাসহ সরাসরি গ্রাহক সহায়তা সুবিধা পাওয়া যাবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ছদ্মবেশে অন্যের নামে ব্যবহার করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সুরক্ষাও মিলবে এই গ্রাহক সেবায়।মেটার নতুন এই ফিচার ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের পরিষেবাজুড়ে গ্রাহকের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে বলে ফেব্রুয়ারিতে জানিয়েছিলেন জুকারবার্গ।
    ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড অমান্য করলেই বিপদ
    ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড স্টেপ বাই স্টেপ (বাংলায়) ** সহিংসতা এবং অপরাধমূলক আচরণ (১-৫) ১. সহিংসতা এবং উসকানি আমরা অনেক সময় মনের ক্ষোভে ফেইসবুক এ স্ট্যাটাস দেই, "এসব মানুষের ক্ষতি হওয়ায় দরকার" বা "যারা সন্ত্রাসী তাদের মেরে ফেলা উচিত" বা "তাকে পাপের ফল ভোগ করতে হবে এবং সে পঙ্গু হয়ে যাবে" বা "যারা এগুলো করছে তাদের অচিরেই পাগলা গারদে পাঠানো উচিত" বা "তারা অপরাধী তাদের দেখা মাত্র গুলি করা উচিত" এই ধরণের স্ট্যাটাস অথবা গ্রাফিকাল কনটেন্টকে ফেইসবুক প্রথমে মুছে ফেলে, একাউন্ট disabled করে এবং দরকার পড়লে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কাজ করে। ২. বিপজ্জনক ব্যক্তি এবং সংগঠন বাস্তব সম্মত আইন বিরোধী এবং নিজ উদ্যোগে নেওয়া সহিংস মিশন ঘোষণাকারীদের ফেসবুকে কোনো জায়গা নেই। সন্ত্রাসী হামলা, ঘৃণ্য ঘটনা, গণহত্যা বা গণহত্যার চেষ্টা, একাধিক খুন, বা ঘৃণ্য অপরাধকে সমর্থন করে এমন ব্যক্তি, পেজ, ইভেন্টকে ফেসবুক মুছে ফেলে। এছাড়া এ সকল ঘৃণ্য অপরাধকে যারা সংগঠিত করার চেষ্টা করে তাদের কেও ফেসবুক মুছে ফেলে। ৩. ক্ষতি সমন্বয় এবং অপরাধ প্রচার অফলাইনে ক্ষতি হয় এমন কাজ- যেমন ধরুন আমি অনলাইনে প্রচার করলাম যে, ABC প্রতিষ্ঠান ক্ষতিকারক উপাদান দিয়ে প্রোডাক্ট তৈরী করছে এবং বাজারজাত করছে, কিন্তু বাস্তবে সেটা সঠিক নয় এমন প্রচারণা ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে না। আবার আপনি আরেক প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে বা তাদের কোনো আচরণকে কপিক্যাট করে প্রচার করলে সেটাও কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে না। এছাড়া মানুষ, ব্যবসা, সম্পত্তি বা পশুদের লক্ষ্য করে নির্দিষ্ট অপরাধমূলক বা ক্ষতিকর ক্রিয়াকলাপে সহায়তা, সংগঠন, প্রচার বা স্বীকার করাও কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে না।   ৪. নিয়ন্ত্রিত পণ্য যে সকল পণ্য সেই দেশের সরকার প্রধান থেকে নিয়ন্ত্রিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে সেই সকল পণ্যের প্রচার করা যেমন ধরুন অ-চিকিৎসা ওষুধ, মারিজুয়ানা ক্রয়, বিক্রয়, আগ্নেয়াস্ত্রের যন্ত্রাংশ বা গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়, বিক্রয়, উপহার, বিনিময় এবং স্থানান্তর ফেইসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে না। ৫. প্রতারণা এবং প্রবঞ্চনা উদ্দেশ্যমূলকভাবে অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে অথবা অর্থ বা সম্পত্তির জন্য ভুল উপস্থাপন করে প্রচারণার মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, গোষ্ঠী, ব্যবসা, কিংবা সমাজকে প্রতারণা বা শোষণ করার ক্রিয়াকলাপগুলোকে ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে না। এখানে উল্লেখ যে, সাধারণ মানুষকে সচেতনতা বাড়াতে এবং অন্যদের শিক্ষিত করার পাশাপাশি এই ক্রিয়াকলাপগুলোর নিন্দা করার অনুমতি দেয় ফেইসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড। ** নিরাপত্তা (৬-১১) ৬. আত্মহত্যা এবং স্ব-আঘাত ফেসবুক রক্ত পছন্দ করে না। কারো আত্মহত্যা ভিডিও কিংবা গ্রাফিক চিত্র প্রদর্শন করা যাবে না। কেউ যদি লাইভ এ এসে আত্মহত্যা করার হুমকি বা প্রচেষ্টার কথা বলে সে ক্ষেত্রে ফেসবুক স্থানীয় জরুরি পরিষেবাগুলোর সাথে যোগাযোগ করে। যাইহোক, এই সামগ্রী দেখে অন্যদের নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হওয়ার ঝুঁকি কমানোর জন্য, ফেসবুক সেই প্রান্তে লাইভস্ট্রিম বন্ধ করে দেয়। স্ব-আঘাত অর্থাৎ নিজেই নিজেকে আঘাত করা এবং তার প্রচারণাকে ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে না।  এছাড়া আত্ম-আঘাতের শিকার বা বেঁচে থাকা ব্যক্তিদেরকে গুরুতরভাবে, হাস্যরসাত্মক বা অলঙ্কারিকভাবে চিহ্নিত করে প্রদর্শন করাকেও ফেইসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে না। ৭. শিশু যৌন শোষণ, অপব্যবহার এবং নগ্নতা এমন কোনো কনটেন্ট বা পোস্ট করা যাবে না, যা শিশুদের যৌন শোষণ অথবা শিশু শোষণ অথবা শিশু সুরক্ষাকে বিপন্ন করে। অনেক সময় বিচারের দাবিতে অথবা ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে নিজের সন্তানের নগ্ন ছবি শেয়ার করে থাকে কিন্তু সেই সকল ছবি অথবা ভিডিওচিত্র গুলো অন্যদের দ্বারা অপব্যবহারের সম্ভাবনার কারণে অথবা পুনরায় ব্যবহার এর সম্ভাবনা এড়াতে ফেইসবুক সেই সকল ছবি অথবা ভিডিও চিত্র মুছে ফেলে। এছাড়া এই ধরণের ছবি অথবা ভিডিও চিত্র সম্পর্কে ফেসবুক ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়েটেড চিলড্রেন (এনসিএমইসি) -কে রিপোর্ট করে থাকে। ফেসবুক ফটো-ম্যাচিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিচিত শিশু শোষণের ছবি শেয়ার করা থেকে বিরত রাখে। এছাড়া যখন পূর্ব পরিচিত নয় এমন ছবি আপলোড করা হয় তখন ফেসবুকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে সেই সকল ছবিকে দ্রুত শনাক্ত করতে এবং সরিয়ে ফেলতে বা মুছে ফেলতে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। পাশাপাশি ফেসবুক সেই সকল একাউন্ট কেও অপসারণ করে অথবা করতে পারে যার বা যাদের দ্বারা শিশুদের সাথে সম্ভাব্য অনুপযুক্ত মিথস্ক্রিয়ায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া অ-যৌন বিষয় বস্তু যেমন শিশুদের গোসল করার সময়ের ছবি কেও ফেইসবুক অপসারণ করে থাকে যদিও আপাত দৃষ্টিতে তা অনেক সময় সৌম্য ছবি বলে বিবেচিত হয়। গড়ে প্রতি তিনমাসে ফেসবুক ৭ মিলিয়ন বা ৭০ লক্ষ্য ছবি অপসারণ করে যার মধ্যে ৯৯ ভাগ অন্য কোনো ফেইসবুক একাউন্ট দ্বারা রিপোর্ট করার আগেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং ব্যবহারের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। ৮. প্রাপ্তবয়স্কদের যৌন শোষণ যৌন সহিংসতা এবং শোষণ নিয়ে আলোচনা ও মনোযোগ আকর্ষণ করতে সাহায্য করে ফেসবুক। কিন্তু ছবি অথবা ভিডিও চিত্র শেয়ার করা এলাও করে না। যৌন সহিংসতা নিয়ে কথোপকথন এবং ভুক্তভোগীদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে দেয় কিন্তু কোনো ঘটনার বাস্তবচিত্র দিয়ে নয়। কিন্তু যৌন সহিংসতা, যৌন নিপীড়ন, বা যৌন শোষণকে চিত্রিত করে, হুমকি দেয় বা প্রচার করে এমন বিষয়গুলি সরিয়ে দেয় ফেসবুক।  ঘটনার শিকার এবং বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য যৌন সহিংসতার ঘটনা এবং চিত্রিত ব্যক্তির সম্মতি ছাড়াই শেয়ার করা অন্তরঙ্গ ছবিগুলোর সরিয়ে ফেলে ফেইসবুক। ৯. bullying এবং হয়রানি হুমকি দেওয়া অথবা হুমকি বার্তা পাঠানো এবং অবাঞ্ছিত দূষিত যোগাযোগ করা, এই ধরনের আচরণ ফেসবুক সহ্য করে না। পাবলিক ফিগার এবং প্রাইভেট ব্যাক্তিদের মধ্যে পার্থক্য থাকায় দুই ভাবে তাদের একাউন্ট এর সুরক্ষা নিশ্চিত করে ফেসবুক। পাবলিক ফিগারের জন্য, bullying এবং হয়রানি আক্রমণগুলি ফেইসবুক সরিয়ে ফেলে এবং যেখানে পাবলিক ফিগার একাউন্টকে সরাসরি পোস্ট বা মন্তব্যে ট্যাগ করা হয় সেখান থেকেও। ব্যক্তিগত ব্যক্তিদের জন্য, ফেসবুকের সুরক্ষা আরও এক ধাপ এগিয়ে থাকে। ব্যক্তিগত ব্যক্তিদের জন্য এমন সামগ্রী অপসারণ করা হয় যা অবমাননাকর বা লজ্জাজনক, উদাহরণস্বরূপ, কারো যৌন কার্যকলাপ সম্পর্কে দাবি সহ। ফেসবুক স্বীকার করে যে অপব্যবহার এবং হয়রানি অপ্রাপ্তবয়স্কদের উপর আরো বেশি মানসিক প্রভাব ফেলতে পারে, যে কারণে ফেসবুক নীতি ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য উচ্চতর সুরক্ষা প্রদান করে। ১০। মানুষের শোষণ মানব পাচার আর মানুষ কে শোষণ করে এমন কনটেন্ট ফেইসবুক সরাসরি সরিয়ে ফেলে। এখানে শোষণ বলতে ফেসবুক ইচ্ছার বিরুদ্ধে করানো শ্রম বা যৌন কার্যকলাপ কে বুঝিয়েছে। যেমন ধরুন প্রতারণা করে অথবা জোর করে অথবা জবরদস্তি করে কাউকে শোষণ করার চিত্রকর্ম অথবা ভিডিও চিত্র ফেসবুক ছেড়ে দেয়াটাকে ফেইসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড কোনোভাবেই সমর্থন করে না এবং সেই সকল কনটেন্ট কে দ্রুত গতিতে মুছে ফেলে।  মানব চোরাচালান যা রাষ্ট্রীয় অপরাধ এবং মানব পাচার যা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ সেই সকল ঘৃণ্য বিষয়ের কনটেন্টকে প্রতিহত করতে হবে। যৌনকাজে মানব পাচার, অবৈধভাবে দত্তক নেওয়ার জন্য শিশুদের বিক্রয়, এতিম শিশুদের পাচার এবং ক্রয়-বিক্রয়, জোর করে বিয়ে, জোর করে শ্রম নিবেশ, জোর করে ঘরোয়া দাসত্ব, মানব দেহের অঙ্গ পাচার, জোরপূর্বক অপরাধমূলক কার্যকলাপ যেমন জোরপূর্বক ভিক্ষা, জোরপূর্বক মাদক পাচার, জোর পূর্বক শিশু সৈনিক নিয়োগ অপরপাশে এই সকল কাজই জোর করে না করিয়ে যদি প্রলোভন, প্রতারণা, ব্ল্যাকমেইল করেও করানো হয় সেক্ষেত্রেও ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড এসকল কনটেন্ট এর প্রচার, চিত্রায়ন বা ওকালতি কোনো ভাবেই সহ্য করে না এবং সেই সকল কনটেন্ট পোস্ট করাকে সরাসরি নিষেধ করেছে ফেসবুক। তদোপরি সেই কনটেন্ট আপলোড করা একাউন্ট কেও রেড জোনে রাখে ফেইসবুক। ১১। গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং ছবির গোপনীয়তা অধিকার গোপনীয়তা এবং ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা ফেসবুকের নজরে মৌলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং তার মূল্যবোধ রক্ষা করাতে তারা সর্বদা তৎপর। ফেসবুক আমাদেরকে আমাদের অথবা অন্যদের সম্পর্কে ব্যক্তিগত বা গোপনীয় তথ্য পোস্ট করার অনুমতি দেয় না। নিজের বা অন্যদের সম্পর্কে ব্যক্তিগতভাবে শনাক্তযোগ্য তথ্য পরিচয় যেমন:  ব্যক্তিগত পরিচয়: জাতিয় পরিচয় পত্র নম্বর অথবা পরিচয় পত্রের স্ক্যান করা ছবি বা ভিডিও, পাসপোর্ট নম্বর অথবা পাসপোর্টের স্ক্যান করা ছবি বা ভিডিও, জাতীয় বীমা/স্বাস্থ্য পরিষেবা নম্বর, ব্যক্তিগত করদাতা সনাক্তকরণ নম্বর, আইন প্রয়োগকারী, সামরিক বা নিরাপত্তা কর্মীদের সরকারি আইডি, এছাড়া বেসরকারি ব্যক্তিগত আইডি নম্বর বা নিবন্ধন তথ্য এবং ব্যক্তির নাম নির্দেশ করে একজন ব্যক্তিকে সরাসরি সনাক্ত করা যায় এমন তথ্য ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড পোস্ট করতে সরাসরি নিষেধ করেছে। এছাড়া নাগরিক রেজিস্ট্রি তথ্যের রেকর্ড বা অফিসিয়াল ডকুমেন্টেশন (বিবাহ, জন্ম, মৃত্যু, নাম পরিবর্তন বা লিঙ্গ স্বীকৃতি ইত্যাদি); অভিবাসন এবং কাজের স্থিতি নথি (উদাহরণস্বরূপ, সবুজ কার্ড, ওয়ার্ক পারমিট, ভিসা বা অভিবাসন কাগজপত্র); ড্রাইভিং লাইসেন্স বা লাইসেন্স প্লেট; পাসওয়ার্ড সহ ইমেল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড সহ ডিজিটাল পরিচয়, ব্যক্তিগত তথ্য অ্যাক্সেস করার জন্য পাসওয়ার্ড, পিন বা কোড; অন্যের ব্যক্তিগত যোগাযোগের তথ্য, যেমন ফোন নম্বর, ঠিকানা এবং ইমেল ঠিকানা; নিজের বা অন্যদের সম্পর্কে ব্যক্তিগত আর্থিক তথ্য, যেমন নিরাপত্তা বা পিন কোড সহ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, লগইন বিশদ, নিরাপত্তা বা পিন কোড সহ ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতির তথ্য; বৈধতার তারিখ বা নিরাপত্তা পিন বা কোড সহ ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের তথ্য; স্টক এক্সচেঞ্জ আর্থিক রেকর্ড বা বিবৃতির তথ্য ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড পোস্ট করতে সরাসরি নিষেধ করেছে। চিকিৎসা বিষয়ক তথ্য যেমন অন্যদের চিকিৎসা, মনস্তাত্ত্বিক, বায়োমেট্রিক বা জেনেটিক বংশগত প্রদর্শনকারী রেকর্ড বা অফিসিয়াল ডকুমেন্টেশন; হ্যাক করা উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য; সংবাদযোগ্যতার সীমিত ক্ষেত্রে ছাড়া, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি পাবলিক ফিগার বা প্রাইভেট ব্যক্তি কিনা তা বিবেচনা না করেই হ্যাক করা সোর্স থেকে নিশ্চিত করা তথ্য; পেশা সম্পর্কিত তথ্য যা আইন প্রয়োগকারী, সামরিক বা নিরাপত্তা কর্মীদের গোপনীয় অবস্থা প্রকাশ করে যেমন: বিষয়বস্তুতে এজেন্টের পুরো নাম বা অন্য স্পষ্ট শনাক্তকরণ রয়েছে এবং স্পষ্টভাবে তাদের গোপনীয় অবস্থা উল্লেখ করা হয়েছে এমন তথ্যচিত্র যা আইন প্রয়োগকারী কর্মীদের মুখ চিহ্নিত করে এবং তাদের গোপন অবস্থার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে এমন তথ্য ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড পোস্ট করতে সরাসরি নিষেধ করেছে।   ** অবরোধযোগ্য বিষয়বস্তু (১২-১৫) ১২। ঘৃণাবাচক কথা ফেসবুক স্বাধীনভাবে ব্যবহার করতে পারলেও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিদ্বেষ মূলক কথার অনুমতি দেয় না। কেননা বিদ্বেষমূলক কথা ভীতি প্রদর্শন করতে পারে এবং অনেক সময় এটা অফলাইন সহিংসতা তৈরি করতে পারে। যে বিষয়গুলোকে ফেসবুক সুরক্ষিত বৈশিষ্ট্য বলে তা হলো; জাতি, জাতীয় উৎপত্তি, অক্ষমতা, ধর্মীয় সম্পর্ক, বর্ণ, যৌন অভিমুখ, লিঙ্গ, লিঙ্গ পরিচয় এবং গুরুতর রোগ। ঘৃণা মূলক কথা হিসেবে ফেসবুকে পোস্ট করতে দেয় না এমন কনটেন্ট হলো- ১। কোন ব্যক্তি বা জাতি কে উদ্দেশ্য করে কোন ঘৃণামূলক বা আক্রমনাত্মক লেখা পোস্ট করা। ২। সহিংসতামুলক কিছু লিখা বা সেটাকে সাপোর্ট করা। ৩। যেসব প্রাণী সাংস্কৃতিকভাবে বুদ্ধিবৃত্তিক বা শারীরিকভাবে নিকৃষ্ট হিসেবে বিবেচিত হয় এমন কনটেন্ট তৈরি করা। ৪। যৌন শিকারী। ৫। অমানবিকতা। ৬। হিংস্র এবং যৌন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পোস্ট করা। ৭। কালো মানুষদের নিয়ে বৈষম্যমূলক পোস্ট তৈরি করা। ৮। বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের ছোট করে পোস্ট করা। ৯। শারীরিক ও মানসিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের নিয়ে উপহাস মূলক পোস্ট করা। এমন কনটেন্ট যা বর্ণনা করে বা নেতিবাচকভাবে মানুষকে অশ্লীলভাবে লক্ষ্য করে, যেখানে অশ্লীল শব্দগুলিকে সংজ্ঞায়িত করা হয় যা স্বভাবতই আপত্তিকর। এমন আরও কিছু বাড়তি কনটেন্ট আছে যা ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পোস্ট করতে দেয় না তা হল- কনটেন্ট স্পষ্টভাবে অফার করে এমন পণ্য বা পরিষেবা প্রদান করে যা মানুষের যৌন দৃষ্টিভঙ্গি বা লিঙ্গ পরিচয় পরিবর্তন করার লক্ষ্য রাখে। আক্রমণকারী বিষয়বস্তু, যা সেই সুরক্ষিত বৈশিষ্ট্যের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আসন্ন শারীরিক ক্ষতি, ভয় দেখানো বা বৈষম্যের জন্য অবদান রাখতে পারে। এ সমস্ত কনটেন্ট পোস্ট করলে ফেসবুক সেগুলো সরাসরি মুছে ফেলে তাই এ ধরনের পোস্ট করা থেকে বিরত থাকুন। ১৩। সহিংস এবং গ্রাফিক সামগ্রী ফেসবুক গ্রাফিক কনটেন্ট (কিছু সীমাবদ্ধতা সহ) এর মাধ্যমে মানুষকে সমস্যা সম্বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। গ্রাফিক এবং হিংসাত্মক বিষয়বস্তুর ব্যাপারে মানুষের আলাদা সংবেদনশীলতা রয়েছে। সেই কারণে, ফেসবুক বিশেষ করে গ্রাফিক বা হিংসাত্মক বিষয়বস্তুতে একটি সতর্কতা লেবেল যোগ করেছে যাতে এটি আঠারো বছরের কম বয়সীদের জন্য উপলব্ধ না হয় এবং যাতে লোকেরা গ্রাফিক বা হিংসাত্মক স্বভাব সম্পর্কে সচেতন হয়। ফেসবুকে পোস্ট করা যাবে না এমন কিছু কনটেন্ট হলো- ১। মানুষের চিত্র: মৃতদেহের চিত্রিত করা ছবি। ২। দৃশ্যমান অভ্যন্তরীণ অঙ্গ: আংশিক পচনশীল দেহ, আত্মহত্যার ছবি, একজন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের চিত্র সরাসরি সম্প্রচার ইত্যাদি। নিচে উল্লিখিত কনটেন্ট গুলোর জন্য ফেসবুক কিছু সর্তকতা অবলম্বন করে থাকে যার ফলে ওই কনটেন্ট সম্পর্কে মানুষ সচেতন হতে পারে এবং ১৮ বছরের উপরে এবং প্রাপ্তবয়স্কদের সে বিষয়টি দেখার ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করে দেয়। কনটেন্ট গুলো হলো- ১। আহত বা মৃত মানুষের ছবি। ২। ছবি যা কোনো ব্যক্তি বা মানুষের বিরুদ্ধে নির্যাতনের কাজ দেখায়। ৩। ছবি যা একজন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড দেখায় ৪। মানুষ পশুদের হত্যা করে এমন ভিডিওগুলি দেখায় ৫। পশু থেকে পশুর লড়াইয়ের চিত্র কিছু কিছু বিষয়বস্তুর জন্য ফেসবুক একটি লেবেল অন্তর্ভুক্ত করে যাতে লোকেরা সচেতন হয় যে বিষয়বস্তু সংবেদনশীল হতে পারে। সংবেদনশীল বিষয়বস্তুগুলো হলো- ১। ভ্রূণ এবং নবজাত শিশুদের চিত্র যা দেখায়। ২। জন্মের প্রেক্ষাপটে দৃশ্যমান অভ্যন্তরের চিত্র। ৩। ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে নন-মেডিকেল বিদেশী বস্তুর ছবি চামড়ার মাধ্যমে স্বেচ্ছায় দেখানো হয়। ৪। একটি গর্ভপাত বা পরিত্যাগ প্রসঙ্গ পরিত্যক্ত প্রেক্ষাপটে নবজাত শিশুদের চিত্র ৫। তবে এখানে উল্লেখ্য যে, কারো সংবেদনশীল মৃত্যুর ছবি বা ভিডিও আপলোড করা হলে আর সেটা অপসারণের জন্য যদি তার পরিবার অনুরোধ করে ফেসবুক সেই ছবি বা ভিডিও মুছে দেয়। ১৪। প্রাপ্তবয়স্ক নগ্নতা এবং যৌন কার্যকলাপ ফেসবুক নগ্নতা বা যৌন কার্যকলাপ প্রদর্শনকে সীমাবদ্ধ করে কারণ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কিছু লোক এই ধরনের কনটেন্টের প্রতি সংবেদনশীল হতে পারে। যৌন কার্যকলাপ প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞাগুলি ডিজিটালভাবে তৈরি সামগ্রীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়। দৃশ্যমান যৌনাঙ্গ বা জন্মের পরের মুহূর্ত বা স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত পরিস্থিতিতে চিত্রিত করার জন্য ফেসবুক একটি সতর্কতা লেবেল অন্তর্ভুক্ত করে যাতে লোকেরা সচেতন থাকে যে বিষয়বস্তুটি সংবেদনশীল হতে পারে।  তাছাড়া ফেসবুক পেইন্টিং, ভাস্কর্য এবং অন্যান্য শিল্পের ফটোগ্রাফকেও সতর্কতা লেবেল দিয়ে সচেতন করে দেয় যা নগ্ন ছবি প্রদর্শন করে। নগ্নতা জনিত বিষয় ফেসবুক পোস্ট করতে দেয় না এমন কিছু কনটেন্ট হলো- * দৃশ্যমান যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করা।  * কোনও পাবলিক ফিগারে ফটোশপ না করা নগ্ন ছবি। * স্তন্যপান, প্রসব এবং জন্মের পরের মুহূর্ত, স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত পরিস্থিতি প্রদর্শন করা। * যেসব কাজ কোনো ব্যক্তি বা প্রাণীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। * যৌন কার্যকলাপ যা যৌনতা প্রদর্শন করে। * যৌন খেলনার ব্যবহার। * যৌন কার্যকলাপের বর্ধিত অডিও ইত্যাদি এসব উল্লেখিত বিষয়বস্তু সম্পর্কে পোস্ট করলে ফেসবুক তা সরাসরি মুছে দেয়। ১৫। যৌন আবেদন ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস এর ধারা-৮ এ উল্লেখ করা হয়েছে, মানুষ যৌন সহিংসতা এবং শোষণের বিষয়ে আলোচনা এবং দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ফেসবুক ব্যবহার করে। পাচার, জবরদস্তি এবং অসম্মতিপূর্ণ যৌনকর্ম জড়িত থাকতে পারে এমন লেনদেনের সুবিধা এড়াতে ফেসবুক কিছু সতর্কতা লেবেল অন্তর্ভুক্ত করেছে। ফেসবুক যৌনভাবে স্পষ্ট ভাষাকেও সীমাবদ্ধ করে যা অনুরোধের কারণ হতে পারে কারণ বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছু শ্রোতা এই ধরনের বিষয়বস্তুর প্রতি সংবেদনশীল হতে পারে যা তাদের বৃহত্তর সম্প্রদায়ের সাথে সংযোগ স্থাপনের ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। ফেসবুকে পোস্ট করা যাবে না এমন কিছু কনটেন্ট হলো- * প্রাপ্তবয়স্কদের বাণিজ্যিক যৌন সেবা বা পতিতাবৃত্তির ক্রিয়াকলাপের সমন্বয় করার চেষ্টা করা হয়েছে। *  প্রাপ্তবয়স্ক যৌন ক্রিয়াকলাপের জন্য নিয়োগের প্রচেষ্টা। *  চিত্রিত যৌন কার্যকলাপ, পর্নোগ্রাফিক ক্রিয়াকলাপ ইত্যাদি। *  সুস্পষ্ট যৌন আবেদন। *  যৌন আড্ডা বা কথোপকথন। *  বহিরাগত পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইটের লিঙ্ক ভাগ করা। উপরের আলোচিত বিষয়বস্তুগুলো পোস্ট করা হলে ফেসবুক তা মুছে দেয়।   ** সংহতি এবং প্রাসঙ্গিকতা (১৬-২২) ১৬। অ্যাকাউন্টের অখণ্ডতা এবং খাঁটি পরিচয় আমাদের বৈশ্বিক সম্প্রদায় জুড়ে পরিচয় প্রকাশের বিভিন্ন উপায়ে অনুমতি দিতে চায় ফেসবুক, পাশাপাশি ছদ্মবেশ এবং পরিচয়ের ভুল উপস্থাপনাও রোধ করে ফেসবুক। এজন্যই ফেসবুক চায় যে লোকেরা দৈনন্দিন জীবনে যে নামটি ব্যবহার করে তা ফেসবুকে সংযুক্ত করতে। ফেসবুকের নীতিগুলি একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে চায় যেখানে মানুষ একে অপরকে বিশ্বাস করতে পারে এবং জবাবদিহি করতে পারে। একটি নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে এবং স্বাধীন মতপ্রকাশের ক্ষমতায়নের জন্য, ফেসবুক স্বয়ংক্রিয় এবং ম্যানুয়াল সিস্টেমের সংমিশ্রণে সেসকল অ্যাকাউন্ট কে খুজে বের করে যা অবিরাম বা গুরুতরভাবে কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডগুলিকে অপব্যবহার করে থাকে এবং ফেসবুক সেই সকল অ্যাকাউন্ট কে ব্লক এবং অপসারণ করে থাকে। যদিও অ্যাকাউন্ট-স্তর অপসারণ একটি কঠোর পদক্ষেপ, যখনই সম্ভব, ফেসবুক আমাদের সম্প্রদায়কে তাদের নিয়মগুলো শিখতে এবং অনুসরণ করতে সুযোগ দেওয়ার দিকে লক্ষ্য রাখে।  ক্রমাগত লঙ্ঘন, বারবার সতর্কতা এবং বিধিনিষেধ সত্ত্বেও লঙ্ঘন যা গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করে, এবং একটি অ্যাকাউন্ট অক্ষম করা হয়। ফেসবুক অনুমতি দেয় না এবং অ্যাকাউন্ট নিস্ক্রিও করে থাকে এমন কিছু বিষয় হলো-   ১। গুরুতরভাবে অথবা ক্রমাগত ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘন করলে।  ২। বিপজ্জনক ব্যক্তি বা সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করলে।  ৩। এমন একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করলে বা ব্যবহার করলে যা ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘনের অভিপ্রায় প্রদর্শন করে।  ৪। একবার ওয়ার্নিং দেবার পর অ্যাকাউন্ট অক্ষম হয়েছে এবং পরবর্তীতে আবার একই কাজ করলে ওয়ার্নিং ছারাই অক্ষম করা হয়।  ৫। অন্যদের ছদ্মবেশ ধারণ করলে।  ৬। অন্যদের প্রতারিত করার স্পষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের ছবি ব্যবহার করলে।  ৭। অন্য ব্যক্তি বা সত্তার হয়ে বা ছদ্মবেশ হয়ে কথা বলে এমন একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করলে।  ৮। এমন একটি পৃষ্ঠা তৈরি করা যা অন্য কোনো ব্যক্তি বা সত্তার কথা বলে বা ছদ্মবেশ হয়ে কথা বলে যার জন্য ব্যবহারকারী তা করার জন্য অনুমোদিত নয়।  ৯। ১৩ বছরের কম বয়সী অ্যাকাউন্ট খুললে।  ১০। একজন দণ্ডিত যৌন অপরাধী হিসেবে অ্যাকাউন্ট খুললে।  ১১। প্রযোজ্য আইনের অধীনে আমাদের পণ্য, পরিষেবা বা সফটওয়্যার গ্রহণ করা নিষিদ্ধ। ১৭। স্প্যাম ফেইসবুক স্প্যামের বিস্তার সীমাবদ্ধ করতে বদ্ধপরিকর। অনেক সময় ফেসবুক ব্যবহারকারী তার প্রোফাইলের অথবা পেজের অথবা কোনো গ্রুপের কনটেন্ট এর বেশি বেশি প্রসার করানোর উদ্দেশে যেমন ভিডিও এর ভিউ বাড়ানোর জন্যে অন্যের কনটেন্টকে নিজের বলে দেখিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।  এতে তিনটি ঘটনা ঘটে বলে ফেইসবুক উল্লেখ করেছে। প্রথমত, যে বা যারা এরকম করে মানে অন্যের কনটেন্ট অথবা সেই কনটেন্ট এর কিছু অংশ নিজের বলে প্রকাশ করে তার প্রতি নেতিবাচক অভিজ্ঞতা তৈরি হয়।  দ্বিতীয়ত, যারা সত্যিকার অর্থে সেই কনটেন্ট কে ভালোবেসে ফেলেছে তারাও সামনে সেই কনটেন্ট এর প্রতি জড়িত থাকা থেকে বিরত হয়ে পরে। আর তৃতীয়ত, ফেসবুক পরিষেবার নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং ব্যবহারযোগ্যতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। ফেইসবুক সরাসরি করতে নিষেধ করেছে: ১। অনেক বেশি মাত্রায় যেকোনো কনটেন্ট এ পোস্ট করা, শেয়ার করা এবং এংগেজ হওয়া যাবে না। (ম্যানুয়ালি অথবা অটোমেটিক ভাবে) ২। অনেক বেশি মাত্রায় একাউন্ট তৈরী করা, গ্রুপ তৈরী করা, পেজ তৈরী করা, ইভেন্ট তৈরী করা থেকে বিরত থাকুন। (ম্যানুয়ালি অথবা অটোমেটিক ভাবে) ৩। ব্র্যান্ডেড কন্টেন্ট দ্বারা সংজ্ঞায়িত, স্পষ্টভাবে চিহ্নিত ব্র্যান্ডেড কন্টেন্ট ব্যতীত, সাইটের বিশেষাধিকার বা প্রোডাক্ট ফিচার, যেমন অ্যাকাউন্ট, অ্যাডমিন রোল, পোস্ট করার অনুমতি, পেজ, গ্রুপ, লাইক ইত্যাদির চেষ্টা বা সফলভাবে বিক্রয়, ক্রয় বা বিনিময় করার চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকুন। ৪। কোনো কনটেন্ট কারো কাছে ফেইসবুক এলগোরিদম দ্বারা পৌঁছানোর আগেই সেই ইউজার যদি লাইক এবং শেয়ার করে তাহলে তা ফেইসবুক এর নজরে স্প্যাম হিসেবে দেখা হয়। ৫। সরাসরি লাইক, শেয়ার, ফলো, ক্লিক করুন বলা যাবে না। আবার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ক্লিক করানো যাবে না। যেমন ধরুন, ১০ টি শেয়ার করলেই আপনার একাউন্ট থেকে আপনি ডিজলাইক করার বাটন পাবেন। মিথ্যা ডিসকাউন্ট কোডের প্রলোভন দেখিয়ে ক্লিক বানানো যাবে না। আবার মিথ্যা প্লে বাটন দিয়েও ক্লিক আনা যাবে না। ৬। মিথ্যা টুল এর উপযোগিতা কে দেখিয়ে লিংক এর মাদ্ধমে ক্লিক করিয়ে ইউজার কে ফেইসবুক থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। ৭। বিভ্রান্তিকর বিষয়বস্তু যেমন বিষয়বস্তুতে এমন একটি লিঙ্ক রয়েছে যা এক ধরনের বিষয়বস্তুর প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু যথেষ্ট ভিন্ন কিছু সরবরাহ করে। যেমন প্রতারণামূলক পপ-আপ ওয়েবসাইট; ক্যাপচা, বিজ্ঞাপন দেখুন, এখানে ক্লিক করুন। ৮। অফ-ফেসবুক কন্টেন্ট অ্যাক্সেস করার আগে কন্টেন্টের সাথে লাইক, শেয়ার বা অন্যথায় জড়িত থাকার প্রয়োজন অথবা অফার টি পেতে হলে ল্যান্ডিং পেজ কে ফলো, পপ-আপ/, ক্লিকজ্যাকিং ইত্যাদি করানো যাবে না। ৯। ছদ্মবেশ: একটি নাম, ডোমেইন বা টাইপ, ভুল বানান বা কন্টেন্ট বিশিষ্ট ব্র্যান্ড www.faceb00k.com, www.face_book.com, অনুরূপ ল্যান্ডিং পেজ ব্যবহার করে অথবা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে এবং ওয়েবসাইটটি একটি নামী ব্র্যান্ড বা পরিষেবা হওয়ার ভান করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার জন্য অন্য একটি বিশ্বস্ত সাইটে নিয়ে যাওয়া এসকল কাজকে ফেইসবুক স্প্যাম বলে সংজ্ঞায়িত করে এবং সেই সকল ফেইসবুক একাউন্ট কে প্রতিহত করে। ১৮। সাইবার নিরাপত্তা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য, অ্যাকাউন্ট, প্রোফাইল এবং অন্যান্য ফেসবুক সত্ত্বার নিরাপত্তা যা তারা পরিচালনা করতে পারে। প্রতারণামূলক বা আক্রমণাত্মক পদ্ধতি দ্বারা সংবেদনশীল ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ বা অননুমোদিত অ্যাক্সেসের মাধ্যমে অপরাধমূলক কাজে বা অপব্যবহারে লিপ্ত হওয়ার প্রচেষ্টাকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেয় না। ফেসবুক যা করা যাবে না তা হলো-  * ফেসবুকের পণ্য বা পরিষেবার অপব্যবহার, প্রতারণামূলক উপায়ে সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ করা বা অননুমোদিত অ্যাক্সেসে জড়িত থাকার প্রচেষ্টা করা। * অন্য ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে লগইন করে সংবেদনশীল তথ্য পেতে অনুরোধ করার চেষ্টা করা স্পষ্ট প্রতারণামূলক কাজ বা ফিশিং। * ফেসবুক ব্যবহারকারী বা পণ্য ও পরিষেবাগুলিকে ব্রাউজার এক্সটেনশন এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে বিভিন্নভাবে ঝুঁকিতে ফেলে। * ওয়েব হোস্টিং সেবা, ডোমেইন নাম সিস্টেম সার্ভার এবং বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক সহ অনলাইন অবকাঠামো প্রদান করা যা ঝুঁকিপূর্ণ লিঙ্কগুলিকে সক্ষম করে যেমন ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে এই লিঙ্কগুলির অধিকাংশই কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের স্প্যাম বা সাইবার নিরাপত্তা বিভাগ লঙ্ঘন করে। * নিজের বা অন্যদের লগইন তথ্য প্রকাশ্যে ভাগ করা ইত্যাদি ফেসবুকে এসব কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। ১৯। অমানবিক আচরণ ফেসবুকে নিজেদেরকে ভুলভাবে উপস্থাপন করতে, জাল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে, কৃত্রিমভাবে কন্টেন্টের জনপ্রিয়তা বাড়াতে বা ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের অধীনে অন্যান্য শর্ত লঙ্ঘন করতে দেয় না ফেসবুক। এই নীতি অবলম্বনের কারণ হলো সুরক্ষিতভাবে ফেসবুক ব্যবহার করা এবং ফেসবুকের সেবা প্রদান করা যাতে করে এটি মানুষের বিশ্বস্ততার একটি জায়গা তৈরি করতে পারে। এক্ষেত্রে ফেসবুকে যা করা যাবে না তা হলো- * একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা বা একাধিক মানুষের মধ্যে অ্যাকাউন্ট শেয়ার করা যাবে না। * মানুষকে হয়রানি করতে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম রিপোর্টিং সিস্টেমের অপব্যবহার করা যাবে না। * কোনো পেইজের উদ্দেশ্য গোপন করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা। * ফেসবুককে বিভ্রান্ত করার জন্য ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে অমানবিক আচরণ করা। অমানবিক আচরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা: * পরিচয়, উদ্দেশ্য বা উৎপত্তি সম্পর্কে গোপন করা। * ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের সামগ্রীর জনপ্রিয়তা সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রচার করা। * কোনো শ্রোতা বা সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রচার করা। * কনটেন্টের উৎস বা উৎপত্তি সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেয়া। * ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো। একাধিক ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম বা জাল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অমানবিক আচরণ করা যেখানে জাল অ্যাকাউন্টটি হয় কোনো বিদেশি অভিনেতার বা সরকারী হস্তক্ষেপের সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গের পরিচালিত অসত্য আচরণকে সমন্বিত করে। ২০। মিথ্যা খবর ফেসবুকে মিথ্যা সংবাদের মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা কমানোর দায়িত্ব ফেসবুক গুরুত্ব সহকারে পালন করে থাকে। ফেসবুক জনসাধারণের বক্তৃতা বন্ধ না করে মানুষকে অবগত থাকতে সাহায্য করে কোনটি মিথ্যা খবর আর কোনটি সঠিক খবর। যা খুবই চ্যালেঞ্জিং এবং স্পর্শকাতর বিষয়। মিথ্যা সংবাদ এবং ব্যঙ্গ বা মতামতের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম রেখা রয়েছে যার কারণে ফেসবুক মিথ্যা খবর অপসারণ করার চেয়ে বরং তা নিউজ ফিডে কম দেখায় এবং এর বিতরণকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে দেয়।  ফেসবুক আরো একটি সচেতন সম্প্রদায় গড়ে তুলতে এবং বিভিন্ন উপায়ে মিথ্যা সংবাদের বিস্তার কমাতে কাজ করছে।  যেমন- * মানুষের জন্য অর্থনৈতিক প্রণোদনা, ভুল তথ্য প্রচারকারী পেজ এবং ডোমেইন ব্যাহত করার মাধ্যমে। * বিভিন্ন সংকেত ব্যবহার করে, একটি মেশিন লার্নিং মডেলকে অবহিত করার জন্য যা কোন গল্প মিথ্যা হতে পারে তা পূর্বাভাস দেয়। * মিথ্যা হিসেবে বিবেচিত কোনো কনটেন্ট বিতরণ হ্রাস করা। * মানুষকে সংবাদ সাক্ষরতার প্রচারের মাধ্যমে কী পড়বে, বিশ্বাস করবে এবং শেয়ার করবে তা নিজের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতায়ন। * এই চ্যালেঞ্জিং সমস্যা সমাধানে সাহায্য করার জন্য আপনিও সহযোগিতা করুন। ২১। হেরফের করা মিডিয়া মিডিয়া বিভিন্নভাবে সম্পাদনা করা যায় যেমন- ছবি, অডিও, ভিডিওতে ফিল্টারের প্রভাব ব্যবহার করে। ফেসবুকের লক্ষ্য হলো ম্যানিপুলেটেড মিডিয়াগুলি সরিয়ে ফেলা। তাছাড়া ফেসবুক মিথ্যা সংবাদ ও ভুল তথ্যের বিতরণ কমাতে এবং সেইসাথে অনলাইনে যে কনটেন্ট সম্পর্কে মানুষকে ভালোভাবে অবহিত করতে সাহায্য করতে পার্টনারশিপে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখে। ফেসবুকে পোস্ট করা যাবে না এমন কিছু কনটেন্ট হলো- * ভিডিওর একটি বিষয় এমন শব্দ বলেছে যা তারা বলেনি বা কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা মেশিন লার্নিং এর পণ্য সম্পর্কিত ভিডিও। * যে ভিডিওগুলি সম্পাদনা বা সংশ্লেষিত হয়েছে, স্বচ্ছতা বা গুণমানের সমন্বয়ের বাইরে এবং যা মানুষকে বিশ্বাস করানোর জন্য কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। * কোনো ব্যঙ্গাত্মক কনটেন্ট যা বর্জন করতে বলা হয়েছে এমন কিছু পোস্ট করা থেকে বিরত থাকুন। ২২। স্মারককরণ কেউ মারা গেলে তার বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের কেউ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি স্মরণীয় করে রাখতে অনুরোধ করে তাহলে ফেসবুক সেই অ্যাকাউন্টটিকে স্মরণীয় করে রাখতে অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল নামের উপরে "মনে রাখা" শব্দটি দিয়ে দেয়। এতে স্পষ্ট হয় যে অ্যাকাউন্টটি এখন একটি স্মারক সাইট এবং অ্যাকাউন্টটিতে লগইনের চেষ্টা করা বা প্রতারণামূলক ক্রিয়াকলাপ থেকে রক্ষা করার জন্যই মূলত এটা করা হয়। মৃত ব্যক্তির প্রতি সম্মান জানাতে ফেসবুক মৃত্যুর পর তাদের অ্যাকাউন্ট সংরক্ষণ করে রাখে। এক্ষেত্রে মৃত্যুর আগে যদি ওই‌ ব্যক্তি তাদের অ্যাকাউন্ট সংরক্ষণ করার কোনো উত্তরাধিকারী নির্বাচন করে যায় তাহলে শোকাহত ব্যক্তি বা উত্তরাধিকারীদের সমর্থন করতে ফেসবুক কিছু কনটেন্ট অপসারণ বা পরিবর্তন করে থাকে যদি উত্তরাধিকারী বা পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করে অনুরোধ করে এটি করার জন্য। খুন এবং আত্মহত্যাকারী বা মৃত ব্যক্তির প্রোফাইল ফটো, কভার ফটো বা সাম্প্রতিক টাইমলাইন পোস্টগুলির মধ্যে যদি কোনো একটি উত্তরাধিকারী বা মৃতের পরিবারের সদস্যের অনুরোধের জন্য প্রদর্শিত হয় তবে ফেসবুক নিম্নলিখিত সামগ্রীগুলি সরিয়ে দেয়: * মৃত ব্যক্তির মৃত্যুতে ব্যবহৃত বস্তুর ছবি বা ভিডিও। * মৃত ব্যক্তির কথিত হত্যাকারীর ছবি। * মৃত ব্যক্তির মৃত্যু সম্পর্কিত কোনো কনটেন্ট। * মৃত ব্যক্তির প্রোফাইল থেকে দোষী সাব্যস্ত বা কথিত হত্যাকারী রিলেশনশিপ স্ট্যাটাসে বা বন্ধুদের মধ্যে উল্লেখ করা থাকলে তাও সরিয়ে দেয় ফেসবুক। উত্তরাধিকারী যোগাযোগ বা মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের দ্বারা ফেসবুকের নজরে যে পোস্টগুলো এলে ফেসবুক সেটাকে স্মারক করে তাহলো- * একটি স্মারকযুক্ত প্রোফাইলে লঙ্ঘনকারী মন্তব্যগুলি সরানো হলে যা সাধারণত ব্যক্তিকে স্ব -প্রতিবেদন করতে হবে যাতে ফেসবুক জানতে পারে যে তারা অবাঞ্ছিত। * একটি স্মরণীয় প্রোফাইলে মৃত ব্যক্তির মৃত্যু, রোগ বা ক্ষতির জন্য প্রশংসা বা সমর্থন সরানো হলে। * মৃত ব্যক্তির ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার্থে সেটিংস জনসাধারণ থেকে বন্ধুদের মধ্যে পরিবর্তন করুন যখন প্রোফাইলে কোনো ক্ষতিকারক সামগ্রী থাকে। * মৃত ব্যক্তির প্রোফাইলে লঙ্ঘনকারী অ্যাকাউন্টের নাম পরিবর্তন করুন। ** শ্রদ্ধাশীল বুদ্ধিজীবী সম্পত্তি (২৩) ২৩। মেধা সম্পত্তি ফেসবুক বুদ্ধিবৃত্তিক কাজগুলো গুরুত্ব সহকারে দেখে। ফেসবুক মনে করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মতপ্রকাশ, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনের প্রচার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ফেসবুকে কোনো কন্টেন্ট শেয়ার করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার এটি পোস্ট বা শেয়ার করার অধিকার আছে‌ কি না। কেননা ফেসবুকে পোস্ট করা আপনার বিষয়গুলো ও তথ্যগুলোর মালিক এবং গোপনীয়তা রক্ষা এবং অ্যাপ্লিকেশন সেটিংসের মাধ্যমে এটি কীভাবে ভাগ করা হয় তা আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। তাছাড়া ফেসবুক অন্যদের কপিরাইট, ট্রেডমার্ক এবং অন্যান্য আইনি অধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে বলে থাকে। কারন ফেসবুক মানুষ এবং সংস্থাগুলোর মেধা সম্পত্তির অধিকার প্রচার ও সুরক্ষায় সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফেসবুক পরিষেবার শর্তাবলী কপিরাইট এবং ট্রেডমার্কসহ অন্য কারো মেধা সম্পত্তি অধিকার লঙ্ঘন করে এমন কনটেন্ট পোস্ট করার অনুমতি দেয় না। ফেসবুক দ্বি-বার্ষিক স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে প্রাপ্ত বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির প্রতিবেদন সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করে‌ থাকে। কারো অধিকার লঙ্ঘন করে এমন পোস্ট বা প্রতিবেদন ফেসবুক অপসারণ বা সীমাবদ্ধ করে থাকে। ** বিষয়বস্তু-সম্পর্কিত অনুরোধ এবং সিদ্ধান্ত (২৪-২৫) ২৪। ব্যবহারকারীর অনুরোধ    ১) ব্যবহারকারী তাদের নিজস্ব অ্যাকাউন্ট সরানোর জন্য অনুরোধ করলে। ২) পরিবারের সদস্য বা নির্বাহকের কাছ থেকে মৃত ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট সরানোর অনুরোধ আসলে। ৩) একজন অনুমোদিত প্রতিনিধি থেকে একজন অক্ষম ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট সরানোর অনুরোধ আসলে। ২৫। অপ্রাপ্তবয়স্কদের অতিরিক্ত সুরক্ষা। ১) একটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক অ্যাকাউন্ট সরানোর জন্য অনুরোধ আসলে। ২) শিশু নির্যাতনের চিত্র অপসারণের জন্য সরকারি অনুরোধ, উদাহরণস্বরূপ, একজন প্রাপ্তবয়স্কের দ্বারা মারধর করা বা একজন প্রাপ্তবয়স্কের দ্বারা শ্বাসরোধ করা বা শ্বাসরোধ করা হলে।  ৩) আইনগত অভিভাবক যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে ঘটে যাওয়া অপ্রাপ্তবয়স্কদের উপর হামলা চিত্র অপসারণের জন্য অনুরোধ করে সেক্ষেত্রে।
    তাকিওন ব্র্যান্ডের নতুন মডেলের সাশ্রয়ী মূল্যের ই-বাইক আনলো ওয়ালটন
    নতুন মডেলের ইলেকট্রিক বাইক বাজারে ছাড়ালো শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটন। পরিবেশবান্ধব এই ই-বাইকের নাম তাকিওন লিও (TAKYON Leo)। সাশ্রয়ী মূল্যের তাকিওন লিও মডেলটি বাজারে এসেছে ৩টি ভার্সনে। মাত্র ৬ থেকে ৮ ঘন্টা চার্জে এই বাইকে ৪০ থেকে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ পাড়ি দেয়া যাবে। প্রতি কিলোমিটারে সর্বোচ্চ খরচ পড়বে মাত্র ১০ পয়সা। সম্প্রতি গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে তাকিওন লিও মডেলের নতুন ই-বাইকের উদ্বোধন করেন আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইয়াসির আল ইমরান, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ প্রমুখ। উল্লেখ্য, ওয়ালটনের তাকিওন বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র বিআরটিএ অনুমোদিত ইলেকট্রিক বাইক। বর্তমানে ২ মডেলে ৪টি ভার্সনে ওয়ালটনের ই-বাইক পাওয়া যাচ্ছে। বাসার ২২০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক লাইন থেকেই ওয়ালটনের ই-বাইকে চার্জ দেয়া যাচ্ছে। শব্দ ও পরিবেশ দূষণমুক্ত এই বাইকে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম, চালানো সহজ ও নিরাপদ। নতুন আসা তাকিওন লিও ১২ অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি প্যাকে এন্ট্রি লেভেলের ভার্সনে পাওয়া যাচ্ছে। এক চার্জে এই বাইকটি ৪০ কিলোমিটার মাইলেজ দেবে। এর দাম ৪৯ হাজার ৮৫০ টাকা।  তাকিওন লিও ২০ অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি প্যাকে মাইলেজ মিলবে ৭০ কিলোমিটার। বাইকটির দাম ৫৬ হাজার ৮৫০ টাকা। তাকিওন লিও এর সর্বোচ্চ ভার্সন পাওয়া যাচ্ছে ২৩ অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি প্যাকে। এতে ৮০ কিলোমিটার মাইলেজ মিলবে। এটির দাম ৫৯ হাজার ৮৫০ টাকা। ওয়ালটন ডিজিটেক ওয়েবসাইট (https://waltondigitech.com/products/e-bike) থেকে গ্রাহকরা বিনামূল্যে তাকিওন লিও (TAKYON Leo) মডেলটির ৩টি ভার্সনের প্রি-অর্ডার দিতে পারছেন। অন্যদিকে, তাকিওন ১.০০ (TAKYON 1.00) মডেলের হাইয়েস্ট ভার্সনের ই-বাইকটি দেশের সকল ওয়ালটন শোরুমের পাশাপাশি অনলাইনের ওয়ালটন ডিজিটেক ওয়েবসাইট থেকে কেনা যাচ্ছে। লাল, নীল এবং ধূসর রঙের সাশ্রয়ী বাইকটির দাম ১২৭,৭৫০ টাকা।  তাকিওন লিও মডেলের উদ্বোধনের আগে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে পৌঁছে আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালকসহ অন্য অতিথিরা ওয়ালটনের অত্যাধুনিক বিভিন্ন পণ্যে সাজানো ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। এরপর তারা বিশ্বমানের ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর, কম্প্রেসর, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ-কম্পিউটার, পিসিবি-মাদারবোর্ড ইত্যাদি পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিদর্শন করেন।  তাকিওন লিও ই-বাইকের উদ্বোধনের পর মো. মোস্তফা কামাল বলেন, প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে ওয়ালটন বাংলাদেশে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তাদের অত্যাধুনিক হেডকোয়ার্টারে বিশ্বমানের নানান পণ্যের সর্বাধুনিক প্রোডাকশন প্ল্যান্ট দেখে আমি অভিভূত। ই-বাইক বর্তমান সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় একটি পণ্য। অত্যন্ত অল্প খরচে যাতায়াতের সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি পরিবেশের সুরক্ষায় ই-বাইক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নতুন নতুন উদ্ভাবনী পণ্য উৎপাদনে ওয়ালটনের এই প্রচেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। ওয়ালটনের জন্য শুভকামনা। 
    প্রথম প্রজন্মের আইফোন নিলামে, ভিত্তিমূল্য ৫০ হাজার ডলার
    প্রথম প্রজন্মের একটি আইফোন নিলামে তোলা হয়েছে। তৎকালীন অ্যাপল ইনকরপোরেশনের তৈরি এই ফোনটির ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০০৭ সালে স্টিভ জবসের হাত ধরে বাজারে সেই আইফোনটি অবশ্য এখনো অব্যবহৃতই রয়ে গেছে। সম্প্রতি ডিভাইসটির মালিক এটিকে নিলামে তোলেন। চলতি ফেব্রুয়ারিতে আইফোন বাজারে আনার ১৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। ২০০৭ সালে প্রথম প্রজন্মের এই আইফোন আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আনেন অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও তৎকালীন প্রধান নির্বাহী স্টিভ জবস। ৩ দশমিক ৫ ইঞ্চি পর্দার আইফোনটি যখন বাজারে আসে তখন এটির দাম ছিল ৫৯৯ মার্কিন ডলার। এতে ছিল ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা এবং আইটিউনস। তবে এতে কোনো অ্যাপ স্টোর ছিল না। ডিভাইসটি টু-জি মোবাইল নেটওয়ার্কে চলত এবং শুধু এটিঅ্যান্ডটি নেটওয়ার্কে এটি ব্যবহার করা যেত। ৪ গিগাবাইট (জিবি) এবং ৮ জিবি এই দুই মেমোরি স্টোরেজ ফিচারে এসেছিল প্রথম প্রজন্মের এই আইফোন। নিলামে ওঠা আইফোনটির ৮ জিবি সংস্করণ উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন মেকআপ ট্যাটু শিল্পী ক্যারেন গ্রিন। তবে তিনি আইফোনের মোড়কটি কখনো খোলেননি। ২০১৯ সালে এক টিভি শোতে সর্বপ্রথম এটি জানিয়েছিলেন ক্যারেন। তখন একজন ডিভাইসটির মূল্য পাঁচ হাজার ডলার বলে জানিয়েছিলেন। নিলামকারী প্রতিষ্ঠান এলসিজি অকশন ডিভাইসটি নিলামে উঠিয়েছে। গত অক্টোবরেও একই ধরনের আরেকটি আইফোন ৩৯ হাজার ডলারে নিলামে বিক্রি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্যারেনের আইফোন নিলামে থাকবে।
    এক মাসেই বিশ্বব্যাপী চাকরি হারিয়েছেন ১ লাখ প্রযুক্তি কর্মী
    প্রযুক্তি কর্মীদের জন্য সর্বকালের সবচেয়ে খারাপ মাস হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে চলতি বছরের জানুয়ারিকে। আমাজন, মাইক্রোসফ্ট, গুগল, সেলসফোর্সের মতো সংস্থাগুলোতে এসময় বিশ্বব্যাপী প্রায় ১ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে। এ হিসেবে বিশ্বব্যাপী ২৮৮ টিরও বেশি কোম্পানি গড়ে প্রতিদিন ৩,৩০০ জনের বেশি প্রযুক্তি কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। অ্যাপল ছাড়া অন্য সব বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জানুয়ারিতে তাদের কর্মী ছাঁটাই করেছে। আমাজন ১৮০০০, গুগল ১২০০০ এবং মাইক্রোসফট ১০,০০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে। তার আগের মাসের সেলসফোর্স ৭,০০০ আইবিএম ৩৯০০ এবং এসএপি ৩০০০ কর্মী ছাঁটাই এর ঘোষণা করেছিল। লে অফ ট্র্যাকিং সাইট 'লে-অফস ডট এফওয়াইআই'র তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে এক হাজারেরও বেশি কোম্পানি ১,৫৪,৩৩৬ জন কর্মী ছাঁটাই করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২.৫ লাখের বেশি প্রযুক্তি কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো তাদের কর্মী ছাঁটাই অব্যাহত রেখেছে এবং এই বিষয়ে তারা বিভিন্ন কারণ দেখিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণগুলো হলো অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা এবং করোনা মহামারী। ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাই এর পর মেটার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ জানান ২০২৩ সালকে তিনি দক্ষতার বছর হিসেবে দেখতে চান। বৈশ্বিক মন্দা ও মন্দার আশঙ্কার অংশ হিসেবে অনলাইন মার্কেটপ্লেস ওএলএক্স গ্রুপ  ভারতসহ বিশ্বব্যাপী ১৫০০ এরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে। এডটেক কোম্পানি তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম থেকে আরও ১৫ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। জানা গেছে, নতুন করে কর্মী ছাঁটাইয়ের পর আরো ১,০০০ এর বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করতে বলা হয়েছে।

    আইন-আদালত

    সব দেখুন
    জামিন নামঞ্জুর, প্রথম আলোর সাংবাদিক শামস কারাগারে
    রাজধানীর রমনা মডেল থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার শামসুজ্জামানকে আজ আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।শামসুজ্জামানের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী, প্রশান্ত কুমার কর্মকার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।এর আগে আজ (৩০ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে শামসুজ্জামানকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানির  সময় তাকে এজলাসে তোলা হয়।বুধবার ভোর ৪টায় সাভারের বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যায় শামসুজ্জামানকে। এর আগে বুধবার মধ্যরাতে গোলাম কিবরিয়া নামে এক ব্যক্তি তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় শামসের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত অনেককে আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২)/২৬(২)/২৯(১)/৩১(২)/৩৫(২) ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।এরপর বুধবার রাতে একই অভিযোগে রমনা থানায় আরেকটি মামলা করেন আইনজীবী আব্দুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক। মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, শামসুজ্জামান শামস ও অজ্ঞাত ক্যামেরাম্যানকে আসামি করা হয়।মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলো একটি ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করে। প্রথম আলো পত্রিকা অফিস থেকে সংবাদটি শেয়ার করে। সংবাদটিতে দেখা যায়, একটি শিশু ফুল হাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটকে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিবেদকের দাবি শিশুটির নাম জাকির হোসেন।রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, শিশু জাকির হোসেন বলে, পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়ে কি করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।সংবাদটি দেশ-বিদেশে অবস্থানরত হাজার হাজার মানুষ তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ক্রিনশটসহ শেয়ার করেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের সোনালী গৌরবোজ্জ্বল ভাবমূর্তি নিয়ে দেশের জনগণসহ বহির্বিশ্বে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। স্বাধীনতা দিবসের দিনে এ সংবাদ প্রকাশ করায় বিশ্বব্যাপী দেশের ভাবমূর্তি ও স্বাধীনতা অর্জন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।পরবর্তীতে ৭১ টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, প্রথম আলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা পরিচয় ও সাক্ষাৎকার দিয়ে সংবাদটি পরিবেশন করেছে। শিশুটির বিষয়ে ভুল তথ্য, নাম পরিচয়ও ভুল দেওয়া হয়েছে।পরে শিশুটি জানিয়েছে, প্রথম আলোর সাংবাদিক শিশুটির হাতে ১০ টাকা দিয়ে এ ছবি তুলেছে। এতে প্রমাণিত হয়েছে, স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও বাংলাদেশের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এমন সংবাদ করেছে প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদক।

    প্রবাস

    সব দেখুন
    সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে ১৩ জন, মিলেছে নাম পরিচয়
    সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ওমরাহ্‌ উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি বাস দুর্ঘটনায় ২৪ ওমরাহ্‌ যাত্রী নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছে। সৌদি আরবের মক্কায় ওমরাহ পালনের জন্য যাওয়ার সময় দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে একটি সেতুর রেলিং ভেঙে বাস উল্টে নিহত ২৪ জনের মধ্যে ১৩ জনই বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বেশ কয়েকজন।নিহত ১৩ জন প্রবাসী বাংলাদেশিরা হলেন-  নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার শাহীদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগর থানার মামুন মিয়া ও রাসেল মোল্লা, নোয়াখালী জেলার মো. হেলাল, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানার সবুজ হোসাইন, কক্সবাজার জেলার মো. আসিফ ও মোহাম্মদ হোসেন, গাজীপুর জেলার টঙ্গীর মো. ইমাম হোসাইন রনি, চাঁদপুর জেলার রুকু মিয়া, কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানার সিফাত উল্লাহ, কুমিল্লা জেলার গিয়াস হামিদ, যশোর জেলার মোহাম্মদ নাজমুল এবং  রনি। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রবাসী বাংলাদেশিরা হচ্ছেন- চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডের সালাহউদ্দিন, ভোলা জেলার  আল আমিন ও বুরহান উদ্দিন, লক্ষীপুর জেলার  মিনহাজ ও রিয়াজ, চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার জুয়েল, মাগুরা জেলার  আফ্রিদি মোল্লা ও মিজানুর রহমান, নোয়াখালী জেলার  মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, কুমিল্লা জেলার  ইয়ার হোসাইন ও জাহিদুল ইসলাম এবং যশোর জেলার  মোশাররফ হোসাইন।এছাড়া চিকিৎসা সেবা  নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন আব্দুল হাই, রানা, সেলিম, দেলোয়ার হোসাইন, হোসাইন আলী ও কুদ্দস।উল্লেখ্য যে, ওমরাহ যাত্রীদের বহনকারী একটি বাস একটি সেতুর সাথে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গিয়ে মুহুর্তেই আগুন ধরে যায় । আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় গত সোমবার বিকাল ৪টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকার খামিস মুশায়েত থেকে ছেড়ে বাসটি মক্কার দিকে যাচ্ছিল।ঘটনাস্থলে রেডক্রিসেন্ট ফায়ার সার্ভিস দলের সদস্যদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এদিকে দুর্ঘটনায় নিহতরা বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন জাতীয়তার রয়েছে বলে জানা যায় ।

    লাইফস্টাইল

    সব দেখুন
    সেহরি ও ইফতারে যা যা খাওয়া উচিত
    সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান। এ সময় সঠিক খাদ্যাভ্যাস পালন করা অত্যন্ত জরুরি। সারাদিন রোজা পালন শেষে ইফতারে অনেকেই অনেক বেশি খেয়ে ফেলেন। আবার সারাদিন না খেয়ে থাকতে হবে এই কথা চিন্তা করে অনেকেই সেহরিতে জোর করে অনেক বেশি খাবার খান। দুটোর কোনটিই ঠিক নয়। খাদ্য তালিকায় মুখরোচক ভাজাপোড়া নয় বরং পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে এবং পরিমিত আহার করতে হবে। শরীরের চাহিদার থেকে খাবারের পরিমাণ কম বা বেশি কোনোটিই ভালো নয়। চলুন জেনে নেই রমজান মাসে ইফতার ও সেহরিতে স্বাস্থ্যকর খাবার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে- রোজার মাসে নিয়মিত জীবনযাপনে আসে পরিবর্তন। ভাজাপোড়া খাওয়া বাড়ে। পাল্টে যায় ঘুমের সময়। এই একমাসে  শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি।তীব্র গরমে সেহরির জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার: রোজার মাসে সারাদিনের সংযম আর সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত প্রচুর তেলে ভাজা, মসলাদার সুস্বাদু খাবারের সমারোহ। আর মাসটা শেষ হলেই ঈদ। প্রচুর মিষ্টি, সেমাই, পায়েসের ছড়াছড়ি। মন ভরে খাওয়া আর কদিন পরেই ওজন মেশিনের দিকে তাকিয়ে মুষড়ে পড়া। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সারা মাসের সংযমের ফলাফল ওজন বৃদ্ধি। চুল ও ত্বকে বাড়ে মলিনতা আর শরীরজুড়ে নেমে আসে অবসাদ। বেহিসেবি খাওয়া আর অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারাই এর কারণ। ইফতারে পুষ্টিকর খাবার:সারাদিনের তৃষ্ণার্ত শরীর পরিতৃপ্ত হয় শরবত পানের মধ্য দিয়ে। তাই এই পানিয় ঘরে বানানো তাজা ফলের হওয়া চাই। এখন যেহেতু মৌসুমি ফলের মাস তাই প্রায় প্রতিদিনই ঘরে তৈরি শরবত খাওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়।আম, কমলা, তরমুজ, বাঙ্গি, পেঁপে, লেবু-যে কোনো একটি ফলের রস দিয়েই শুরু করা যায় ইফতার। তবে শরবতে অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার না করে মুখ মিষ্টি করার মতো চিনি ব্যবহারই ভালো।  রোজাতে শরীরে অতিরিক্ত পানির চাহিদা তৈরি হয়। তাই শরবতের পরই শশা, খেজুর এগুলো খাওয়া যেতে পারে। তবে খেজুর দু-তিনটির বেশি খাওয়া ঠিক না। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খেজুরের বরাদ্দ কেবল দুটো। অঙ্কুর ওঠা কাঁচাছোলা ভিটামিন সি-র খুব ভালো উৎস। প্রতিদিনের ইফতারির মেন্যুতে কাঁচাছোলাটা তাই নিশ্চিত করুন। সারাদিনের অনাহারের পর ভাজাপোড়া, তেল-মসলা শরীরের জন্য একদমই ভালো না। তা খেতে যতই মুখরোচক হোক না কেন। ইফতারিতে একটু পেঁয়াজু, বেগুনি বা ছোলা না খেলে যদি অসম্পূর্ণ মনে হয়, তবে দই-চিড়া বা ফলাহারের পর সামান্য ভাজাপোড়া চলতে পারে। সেহরিতে পুষ্টিকর খাবার:গরমকালে দীর্ঘ সময় রোজা রেখে সুস্থ থাকার জন্য চাই সেহরিতে পুষ্টিকর খাবার। যেহেতু গরমকালে রোজা তাই শরীরের পানির চাহিদার প্রতি বিশেষ মনযোগ দিতে হবে। শরীরের পুষ্টি ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণের জন্য খাদ্য তালিকায় সব ধরণের খাদ্য উপাদান যোগ করতে হবে। সেহেরিতে সুষম খাবার। খাদ্য তালিকায় খাবারের ছয়টি উপাদান- শর্করা, স্নেহ, আমিষ, ভিটামিন, খনিজ ও পানি ইত্যাদি উপাদানগুলো প্রয়োজন মতো রাখতে হবে। যেহেতু সারাদিন কোনো কিছু খাওয়া হয় না তাই সেহেরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার খেতে হবে।অনেকে মনে করেন যে, সারাদিন কিছু খাওয়া হবে না তাই সেহেরিতে বেশি করে খেতে হবে। এটা একটা ভুল ধারণা। বরং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাওয়া হলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সেহেরিতে আঁশ বহুল খাবার বা হজম দেরিতে হয় এমন খাবার খাওয়া ভালো। এতে ক্ষুধা দেরিতে লাগে। শরীর ঠিক রাখতে সেহেরিতে শর্করা জাতীয় খাবার যেমন- ভাত, রুটি ইত্যাদি খেতে পারেন। এর সঙ্গে আমিষ ও স্নেহ পদার্থের চাহিদা মেটানোর জন্য মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি খাওয়া ভালো।

    Loading…