তথ্য-প্রযুক্তি
সব দেখুন641c60afa81e0.jpg)
ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্যে শতভাগ ক্যাশব্যাক অফার
কম্পিউটার পণ্যে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক দিচ্ছে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।‘ওয়ালটন কম্পিউটার ক্যাশব্যাক অফার’ শীর্ষক এই ক্যাম্পেইন ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ‘প্রযুক্তি পণ্য সবার জন্য’ স্লোগানে এই অফারে দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে ল্যাপটপ, ডেক্সটপ কম্পিউটার ও এক্সেসরিজ ক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন ক্রেতারা। শতভাগ ক্যাশব্যাকসহ বিভিন্ন অংকের নিশ্চিত ক্যাশব্যাক পেয়ে আনন্দে আপ্লুত অগণিত ক্রেতা।ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্যের চীফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ বলেন, বাংলাদেশে তৈরি সর্বাধুনিক প্রযুক্তিপণ্য সবার হাতে সাশ্রয়ী মূল্যে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এরফলে শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবি, মুক্ত পেশাজীবিসহ সবার জন্য ডিজিটাল ডিভাইস ক্রয় সহজ হয়েছে। দেশের প্রায় ৬০০ ওয়ালটন প্লাজা থেকে কম্পিউটার পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকরা এই সুবিধা পাচ্ছেন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও ডিজিটাল ডিভাইসের অপ্রতুলতার মধ্যেও ক্রেতাদের জন্য এমন সুবিধা দিতে ওয়ালটন কম্পিউটারের এই উদ্যোগ।তিনি জানান, বর্তমানে ৩২টি ব্র্যান্ড নামে ১৭টি ক্যাটাগরির ৪৪টি প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন কম্পিউটার। বছরব্যাপী মূল্যছাড়ের পাশাপাশি ইএমআই ও কিস্তি সুবিধা, এক্সচেঞ্জ অফারসহ ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্য ও এক্সেসরিজে নানান ক্রেতাসুবিধা দেয়া হচ্ছে। জানা গেছে, দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কম্পিউটার পণ্য ও এক্সেসরিজ ক্রয়ের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাকের সুবিধা উপভোগ করা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে প্লাজা থেকে ক্রয়কৃত পণ্যের বারকোড রেজিস্ট্রেশনের সাথে সাথে এসএসএসের মাধ্যমে গ্রাহককে ক্যাশব্যাকের পরিমাণ জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। নগদ মূল্যে ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত ক্যাশব্যাক গ্রাহক তাক্ষণিকভাবে প্রদেয় মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারছেন। জিরো ইন্টারেস্টে ৬ মাসের কিস্তি সুবিধায়ও পণ্য কেনার ক্ষেত্রেও গ্রাহকরা এই অফার পাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বাজারে রয়েছে নানান মডেল ও ফিচারের ওয়ালটন ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, অল-ইন-ওয়ান পিসি, অ্যান্ড্রয়েড ও উইন্ডোজ ট্যাব, মনিটর, প্রজেক্টর, ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিসপ্লে, প্রিন্টার, টোনার, ইউপিএস, সিসিটিভি, অ্যাক্সেস কন্ট্রোল, কিবোর্ড, মাউস, পেন ড্রাইভ, ওয়াই-ফাই রাউটার, নেটওয়ার্ক সুইচ,স ইউএসবি হাব, কার্ড রিডার, ওয়েবক্যাম, স্পিকার, ইয়ারফোন, হেডফোন, এসএসডি, এক্সটার্নাল এসএসডি, র্যাম, কুলার, পাওয়ার সাপ্লাই, পিসিবিএ, মেমোরি কার্ড, পাওয়ার ব্যাংক, স্মার্ট ওয়াচ, স্মার্ট ফিটনেস স্কেল, ডিজিটাল রাইটিং প্যাড, ইউএসবি, টাইপ সি ও এইচডিএমআই ক্যাবল, কনভার্টার, ইলেকট্রিক বাইক ইত্যাদি।মডেলভেদে গ্রাহকরা ওয়ালটন ল্যাপটপে সর্বোচ্চ ২ বছর এবং ডেস্কটপে ৩ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা পাচ্ছেন।
অর্থের বিনিময়ে ব্লু ব্যাজ দেওয়া শুরু করল ফেসবুক
মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড চালু করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জায়ান্ট কোম্পানি মেটা। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাকাউন্টের পাশে এখন ব্লু ব্যাজ যুক্ত করতে পারছেন অর্থ খরচ করেই।শনিবার (১৮ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি সংবাদ ওয়েবসাইট দ্য ভার্জের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। একই তথ্য জানিয়েয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিত সংবাদমাধ্যম সিএনএন বিজনেস। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া ঘোষণায় মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জুকারবার্গ অর্থের বিনিময়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করা যাবে বলে জানান। তার ঘোষণা অনুযায়ী, মাসিক নির্দিষ্ট একটি অংকের অর্থের বিনিময়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের নামের পাশে ব্লু ব্যাজ চিহ্ন পাবেন ব্যবহারকারীরা।সিএনএন বলছে, শুক্রবার থেকে মেটা দু’টি সামাজিক নেটওয়ার্কের মার্কিন ব্যবহারকারীদের জন্য পেইড ভেরিফায়েড কর্মসূচি পরীক্ষামূলক শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সিইও মার্ক জুকারবার্গ ইনস্টাগ্রামে এক ঘোষণায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।কোম্পানিটি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও বেশিসংখ্যক মার্কিন ব্যবহারকারীর জন্য এই কর্মসূচি উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে।এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে প্রথম পরীক্ষামূলক এই কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল। ওই সময় ওয়েবে মেটা ভেরিফায়েড মাসে ১১ দশমিক ৯৯ ডলার আর আইওএসে ১৪ দশমিক ৯৯ ডলারের বিনিময়ে শুরু হয়।মেটা ভেরিফায়েড সাবস্ক্রিপশন নামের চালু করা এই সেবার আওতায় জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে অ্যাকাউন্ট যাচাই, ব্লু ব্যাজ, অতিরিক্ত সুরক্ষাসহ সরাসরি গ্রাহক সহায়তা সুবিধা পাওয়া যাবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ছদ্মবেশে অন্যের নামে ব্যবহার করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সুরক্ষাও মিলবে এই গ্রাহক সেবায়।মেটার নতুন এই ফিচার ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের পরিষেবাজুড়ে গ্রাহকের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে বলে ফেব্রুয়ারিতে জানিয়েছিলেন জুকারবার্গ।
ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড অমান্য করলেই বিপদ
ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড স্টেপ বাই স্টেপ
(বাংলায়)
** সহিংসতা এবং অপরাধমূলক আচরণ (১-৫)
১. সহিংসতা এবং উসকানি
আমরা অনেক সময় মনের ক্ষোভে ফেইসবুক এ স্ট্যাটাস দেই, "এসব মানুষের ক্ষতি হওয়ায় দরকার" বা "যারা সন্ত্রাসী তাদের মেরে ফেলা উচিত" বা "তাকে পাপের ফল ভোগ করতে হবে এবং সে পঙ্গু হয়ে যাবে" বা "যারা এগুলো করছে তাদের অচিরেই পাগলা গারদে পাঠানো উচিত" বা "তারা অপরাধী তাদের দেখা মাত্র গুলি করা উচিত" এই ধরণের স্ট্যাটাস অথবা গ্রাফিকাল কনটেন্টকে ফেইসবুক প্রথমে মুছে ফেলে, একাউন্ট disabled করে এবং দরকার পড়লে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কাজ করে।
২. বিপজ্জনক ব্যক্তি এবং সংগঠন
বাস্তব সম্মত আইন বিরোধী এবং নিজ উদ্যোগে নেওয়া সহিংস মিশন ঘোষণাকারীদের ফেসবুকে কোনো জায়গা নেই। সন্ত্রাসী হামলা, ঘৃণ্য ঘটনা, গণহত্যা বা গণহত্যার চেষ্টা, একাধিক খুন, বা ঘৃণ্য অপরাধকে সমর্থন করে এমন ব্যক্তি, পেজ, ইভেন্টকে ফেসবুক মুছে ফেলে। এছাড়া এ সকল ঘৃণ্য অপরাধকে যারা সংগঠিত করার চেষ্টা করে তাদের কেও ফেসবুক মুছে ফেলে।
৩. ক্ষতি সমন্বয় এবং অপরাধ প্রচার
অফলাইনে ক্ষতি হয় এমন কাজ- যেমন ধরুন আমি অনলাইনে প্রচার করলাম যে, ABC প্রতিষ্ঠান ক্ষতিকারক উপাদান দিয়ে প্রোডাক্ট তৈরী করছে এবং বাজারজাত করছে, কিন্তু বাস্তবে সেটা সঠিক নয় এমন প্রচারণা ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে না। আবার আপনি আরেক প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে বা তাদের কোনো আচরণকে কপিক্যাট করে প্রচার করলে সেটাও কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে না। এছাড়া মানুষ, ব্যবসা, সম্পত্তি বা পশুদের লক্ষ্য করে নির্দিষ্ট অপরাধমূলক বা ক্ষতিকর ক্রিয়াকলাপে সহায়তা, সংগঠন, প্রচার বা স্বীকার করাও কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে না।
৪. নিয়ন্ত্রিত পণ্য
যে সকল পণ্য সেই দেশের সরকার প্রধান থেকে নিয়ন্ত্রিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে সেই সকল পণ্যের প্রচার করা যেমন ধরুন অ-চিকিৎসা ওষুধ, মারিজুয়ানা ক্রয়, বিক্রয়, আগ্নেয়াস্ত্রের যন্ত্রাংশ বা গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়, বিক্রয়, উপহার, বিনিময় এবং স্থানান্তর ফেইসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে না।
৫. প্রতারণা এবং প্রবঞ্চনা
উদ্দেশ্যমূলকভাবে অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে অথবা অর্থ বা সম্পত্তির জন্য ভুল উপস্থাপন করে প্রচারণার মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, গোষ্ঠী, ব্যবসা, কিংবা সমাজকে প্রতারণা বা শোষণ করার ক্রিয়াকলাপগুলোকে ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে না। এখানে উল্লেখ যে, সাধারণ মানুষকে সচেতনতা বাড়াতে এবং অন্যদের শিক্ষিত করার পাশাপাশি এই ক্রিয়াকলাপগুলোর নিন্দা করার অনুমতি দেয় ফেইসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড।
** নিরাপত্তা (৬-১১)
৬. আত্মহত্যা এবং স্ব-আঘাত
ফেসবুক রক্ত পছন্দ করে না। কারো আত্মহত্যা ভিডিও কিংবা গ্রাফিক চিত্র প্রদর্শন করা যাবে না। কেউ যদি লাইভ এ এসে আত্মহত্যা করার হুমকি বা প্রচেষ্টার কথা বলে সে ক্ষেত্রে ফেসবুক স্থানীয় জরুরি পরিষেবাগুলোর সাথে যোগাযোগ করে। যাইহোক, এই সামগ্রী দেখে অন্যদের নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হওয়ার ঝুঁকি কমানোর জন্য, ফেসবুক সেই প্রান্তে লাইভস্ট্রিম বন্ধ করে দেয়। স্ব-আঘাত অর্থাৎ নিজেই নিজেকে আঘাত করা এবং তার প্রচারণাকে ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে না।
এছাড়া আত্ম-আঘাতের শিকার বা বেঁচে থাকা ব্যক্তিদেরকে গুরুতরভাবে, হাস্যরসাত্মক বা অলঙ্কারিকভাবে চিহ্নিত করে প্রদর্শন করাকেও ফেইসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড সমর্থন করে না।
৭. শিশু যৌন শোষণ, অপব্যবহার এবং নগ্নতা
এমন কোনো কনটেন্ট বা পোস্ট করা যাবে না, যা শিশুদের যৌন শোষণ অথবা শিশু শোষণ অথবা শিশু সুরক্ষাকে বিপন্ন করে। অনেক সময় বিচারের দাবিতে অথবা ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে নিজের সন্তানের নগ্ন ছবি শেয়ার করে থাকে কিন্তু সেই সকল ছবি অথবা ভিডিওচিত্র গুলো অন্যদের দ্বারা অপব্যবহারের সম্ভাবনার কারণে অথবা পুনরায় ব্যবহার এর সম্ভাবনা এড়াতে ফেইসবুক সেই সকল ছবি অথবা ভিডিও চিত্র মুছে ফেলে। এছাড়া এই ধরণের ছবি অথবা ভিডিও চিত্র সম্পর্কে ফেসবুক ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়েটেড চিলড্রেন (এনসিএমইসি) -কে রিপোর্ট করে থাকে।
ফেসবুক ফটো-ম্যাচিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিচিত শিশু শোষণের ছবি শেয়ার করা থেকে বিরত রাখে। এছাড়া যখন পূর্ব পরিচিত নয় এমন ছবি আপলোড করা হয় তখন ফেসবুকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে সেই সকল ছবিকে দ্রুত শনাক্ত করতে এবং সরিয়ে ফেলতে বা মুছে ফেলতে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। পাশাপাশি ফেসবুক সেই সকল একাউন্ট কেও অপসারণ করে অথবা করতে পারে যার বা যাদের দ্বারা শিশুদের সাথে সম্ভাব্য অনুপযুক্ত মিথস্ক্রিয়ায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।
এছাড়া অ-যৌন বিষয় বস্তু যেমন শিশুদের গোসল করার সময়ের ছবি কেও ফেইসবুক অপসারণ করে থাকে যদিও আপাত দৃষ্টিতে তা অনেক সময় সৌম্য ছবি বলে বিবেচিত হয়। গড়ে প্রতি তিনমাসে ফেসবুক ৭ মিলিয়ন বা ৭০ লক্ষ্য ছবি অপসারণ করে যার মধ্যে ৯৯ ভাগ অন্য কোনো ফেইসবুক একাউন্ট দ্বারা রিপোর্ট করার আগেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং ব্যবহারের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।
৮. প্রাপ্তবয়স্কদের যৌন শোষণ
যৌন সহিংসতা এবং শোষণ নিয়ে আলোচনা ও মনোযোগ আকর্ষণ করতে সাহায্য করে ফেসবুক। কিন্তু ছবি অথবা ভিডিও চিত্র শেয়ার করা এলাও করে না। যৌন সহিংসতা নিয়ে কথোপকথন এবং ভুক্তভোগীদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে দেয় কিন্তু কোনো ঘটনার বাস্তবচিত্র দিয়ে নয়। কিন্তু যৌন সহিংসতা, যৌন নিপীড়ন, বা যৌন শোষণকে চিত্রিত করে, হুমকি দেয় বা প্রচার করে এমন বিষয়গুলি সরিয়ে দেয় ফেসবুক।
ঘটনার শিকার এবং বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য যৌন সহিংসতার ঘটনা এবং চিত্রিত ব্যক্তির সম্মতি ছাড়াই শেয়ার করা অন্তরঙ্গ ছবিগুলোর সরিয়ে ফেলে ফেইসবুক।
৯. bullying এবং হয়রানি
হুমকি দেওয়া অথবা হুমকি বার্তা পাঠানো এবং অবাঞ্ছিত দূষিত যোগাযোগ করা, এই ধরনের আচরণ ফেসবুক সহ্য করে না। পাবলিক ফিগার এবং প্রাইভেট ব্যাক্তিদের মধ্যে পার্থক্য থাকায় দুই ভাবে তাদের একাউন্ট এর সুরক্ষা নিশ্চিত করে ফেসবুক। পাবলিক ফিগারের জন্য, bullying এবং হয়রানি আক্রমণগুলি ফেইসবুক সরিয়ে ফেলে এবং যেখানে পাবলিক ফিগার একাউন্টকে সরাসরি পোস্ট বা মন্তব্যে ট্যাগ করা হয় সেখান থেকেও। ব্যক্তিগত ব্যক্তিদের জন্য, ফেসবুকের সুরক্ষা আরও এক ধাপ এগিয়ে থাকে। ব্যক্তিগত ব্যক্তিদের জন্য এমন সামগ্রী অপসারণ করা হয় যা অবমাননাকর বা লজ্জাজনক, উদাহরণস্বরূপ, কারো যৌন কার্যকলাপ সম্পর্কে দাবি সহ। ফেসবুক স্বীকার করে যে অপব্যবহার এবং হয়রানি অপ্রাপ্তবয়স্কদের উপর আরো বেশি মানসিক প্রভাব ফেলতে পারে, যে কারণে ফেসবুক নীতি ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য উচ্চতর সুরক্ষা প্রদান করে।
১০। মানুষের শোষণ
মানব পাচার আর মানুষ কে শোষণ করে এমন কনটেন্ট ফেইসবুক সরাসরি সরিয়ে ফেলে। এখানে শোষণ বলতে ফেসবুক ইচ্ছার বিরুদ্ধে করানো শ্রম বা যৌন কার্যকলাপ কে বুঝিয়েছে। যেমন ধরুন প্রতারণা করে অথবা জোর করে অথবা জবরদস্তি করে কাউকে শোষণ করার চিত্রকর্ম অথবা ভিডিও চিত্র ফেসবুক ছেড়ে দেয়াটাকে ফেইসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড কোনোভাবেই সমর্থন করে না এবং সেই সকল কনটেন্ট কে দ্রুত গতিতে মুছে ফেলে।
মানব চোরাচালান যা রাষ্ট্রীয় অপরাধ এবং মানব পাচার যা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ সেই সকল ঘৃণ্য বিষয়ের কনটেন্টকে প্রতিহত করতে হবে। যৌনকাজে মানব পাচার, অবৈধভাবে দত্তক নেওয়ার জন্য শিশুদের বিক্রয়, এতিম শিশুদের পাচার এবং ক্রয়-বিক্রয়, জোর করে বিয়ে, জোর করে শ্রম নিবেশ, জোর করে ঘরোয়া দাসত্ব, মানব দেহের অঙ্গ পাচার, জোরপূর্বক অপরাধমূলক কার্যকলাপ যেমন জোরপূর্বক ভিক্ষা, জোরপূর্বক মাদক পাচার, জোর পূর্বক শিশু সৈনিক নিয়োগ অপরপাশে এই সকল কাজই জোর করে না করিয়ে যদি প্রলোভন, প্রতারণা, ব্ল্যাকমেইল করেও করানো হয় সেক্ষেত্রেও ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড এসকল কনটেন্ট এর প্রচার, চিত্রায়ন বা ওকালতি কোনো ভাবেই সহ্য করে না এবং সেই সকল কনটেন্ট পোস্ট করাকে সরাসরি নিষেধ করেছে ফেসবুক। তদোপরি সেই কনটেন্ট আপলোড করা একাউন্ট কেও রেড জোনে রাখে ফেইসবুক।
১১। গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং ছবির গোপনীয়তা অধিকার
গোপনীয়তা এবং ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা ফেসবুকের নজরে মৌলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং তার মূল্যবোধ রক্ষা করাতে তারা সর্বদা তৎপর। ফেসবুক আমাদেরকে আমাদের অথবা অন্যদের সম্পর্কে ব্যক্তিগত বা গোপনীয় তথ্য পোস্ট করার অনুমতি দেয় না। নিজের বা অন্যদের সম্পর্কে ব্যক্তিগতভাবে শনাক্তযোগ্য তথ্য পরিচয় যেমন:
ব্যক্তিগত পরিচয়: জাতিয় পরিচয় পত্র নম্বর অথবা পরিচয় পত্রের স্ক্যান করা ছবি বা ভিডিও, পাসপোর্ট নম্বর অথবা পাসপোর্টের স্ক্যান করা ছবি বা ভিডিও, জাতীয় বীমা/স্বাস্থ্য পরিষেবা নম্বর, ব্যক্তিগত করদাতা সনাক্তকরণ নম্বর, আইন প্রয়োগকারী, সামরিক বা নিরাপত্তা কর্মীদের সরকারি আইডি, এছাড়া বেসরকারি ব্যক্তিগত আইডি নম্বর বা নিবন্ধন তথ্য এবং ব্যক্তির নাম নির্দেশ করে একজন ব্যক্তিকে সরাসরি সনাক্ত করা যায় এমন তথ্য ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড পোস্ট করতে সরাসরি নিষেধ করেছে।
এছাড়া নাগরিক রেজিস্ট্রি তথ্যের রেকর্ড বা অফিসিয়াল ডকুমেন্টেশন (বিবাহ, জন্ম, মৃত্যু, নাম পরিবর্তন বা লিঙ্গ স্বীকৃতি ইত্যাদি); অভিবাসন এবং কাজের স্থিতি নথি (উদাহরণস্বরূপ, সবুজ কার্ড, ওয়ার্ক পারমিট, ভিসা বা অভিবাসন কাগজপত্র); ড্রাইভিং লাইসেন্স বা লাইসেন্স প্লেট; পাসওয়ার্ড সহ ইমেল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড সহ ডিজিটাল পরিচয়, ব্যক্তিগত তথ্য অ্যাক্সেস করার জন্য পাসওয়ার্ড, পিন বা কোড; অন্যের ব্যক্তিগত যোগাযোগের তথ্য, যেমন ফোন নম্বর, ঠিকানা এবং ইমেল ঠিকানা; নিজের বা অন্যদের সম্পর্কে ব্যক্তিগত আর্থিক তথ্য, যেমন নিরাপত্তা বা পিন কোড সহ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, লগইন বিশদ, নিরাপত্তা বা পিন কোড সহ ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতির তথ্য; বৈধতার তারিখ বা নিরাপত্তা পিন বা কোড সহ ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের তথ্য; স্টক এক্সচেঞ্জ আর্থিক রেকর্ড বা বিবৃতির তথ্য ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড পোস্ট করতে সরাসরি নিষেধ করেছে।
চিকিৎসা বিষয়ক তথ্য যেমন অন্যদের চিকিৎসা, মনস্তাত্ত্বিক, বায়োমেট্রিক বা জেনেটিক বংশগত প্রদর্শনকারী রেকর্ড বা অফিসিয়াল ডকুমেন্টেশন; হ্যাক করা উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য; সংবাদযোগ্যতার সীমিত ক্ষেত্রে ছাড়া, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি পাবলিক ফিগার বা প্রাইভেট ব্যক্তি কিনা তা বিবেচনা না করেই হ্যাক করা সোর্স থেকে নিশ্চিত করা তথ্য; পেশা সম্পর্কিত তথ্য যা আইন প্রয়োগকারী, সামরিক বা নিরাপত্তা কর্মীদের গোপনীয় অবস্থা প্রকাশ করে যেমন: বিষয়বস্তুতে এজেন্টের পুরো নাম বা অন্য স্পষ্ট শনাক্তকরণ রয়েছে এবং স্পষ্টভাবে তাদের গোপনীয় অবস্থা উল্লেখ করা হয়েছে এমন তথ্যচিত্র যা আইন প্রয়োগকারী কর্মীদের মুখ চিহ্নিত করে এবং তাদের গোপন অবস্থার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে এমন তথ্য ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড পোস্ট করতে সরাসরি নিষেধ করেছে।
** অবরোধযোগ্য বিষয়বস্তু (১২-১৫)
১২। ঘৃণাবাচক কথা
ফেসবুক স্বাধীনভাবে ব্যবহার করতে পারলেও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিদ্বেষ মূলক কথার অনুমতি দেয় না। কেননা বিদ্বেষমূলক কথা ভীতি প্রদর্শন করতে পারে এবং অনেক সময় এটা অফলাইন সহিংসতা তৈরি করতে পারে। যে বিষয়গুলোকে ফেসবুক সুরক্ষিত বৈশিষ্ট্য বলে তা হলো; জাতি, জাতীয় উৎপত্তি, অক্ষমতা, ধর্মীয় সম্পর্ক, বর্ণ, যৌন অভিমুখ, লিঙ্গ, লিঙ্গ পরিচয় এবং গুরুতর রোগ।
ঘৃণা মূলক কথা হিসেবে ফেসবুকে পোস্ট করতে দেয় না এমন কনটেন্ট হলো-
১। কোন ব্যক্তি বা জাতি কে উদ্দেশ্য করে কোন ঘৃণামূলক বা আক্রমনাত্মক লেখা পোস্ট করা। ২। সহিংসতামুলক কিছু লিখা বা সেটাকে সাপোর্ট করা। ৩। যেসব প্রাণী সাংস্কৃতিকভাবে বুদ্ধিবৃত্তিক বা শারীরিকভাবে নিকৃষ্ট হিসেবে বিবেচিত হয় এমন কনটেন্ট তৈরি করা। ৪। যৌন শিকারী। ৫। অমানবিকতা। ৬। হিংস্র এবং যৌন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পোস্ট করা। ৭। কালো মানুষদের নিয়ে বৈষম্যমূলক পোস্ট তৈরি করা। ৮। বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের ছোট করে পোস্ট করা। ৯। শারীরিক ও মানসিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের নিয়ে উপহাস মূলক পোস্ট করা।
এমন কনটেন্ট যা বর্ণনা করে বা নেতিবাচকভাবে মানুষকে অশ্লীলভাবে লক্ষ্য করে, যেখানে অশ্লীল শব্দগুলিকে সংজ্ঞায়িত করা হয় যা স্বভাবতই আপত্তিকর।
এমন আরও কিছু বাড়তি কনটেন্ট আছে যা ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পোস্ট করতে দেয় না তা হল- কনটেন্ট স্পষ্টভাবে অফার করে এমন পণ্য বা পরিষেবা প্রদান করে যা মানুষের যৌন দৃষ্টিভঙ্গি বা লিঙ্গ পরিচয় পরিবর্তন করার লক্ষ্য রাখে।
আক্রমণকারী বিষয়বস্তু, যা সেই সুরক্ষিত বৈশিষ্ট্যের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আসন্ন শারীরিক ক্ষতি, ভয় দেখানো বা বৈষম্যের জন্য অবদান রাখতে পারে। এ সমস্ত কনটেন্ট পোস্ট করলে ফেসবুক সেগুলো সরাসরি মুছে ফেলে তাই এ ধরনের পোস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।
১৩। সহিংস এবং গ্রাফিক সামগ্রী
ফেসবুক গ্রাফিক কনটেন্ট (কিছু সীমাবদ্ধতা সহ) এর মাধ্যমে মানুষকে সমস্যা সম্বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। গ্রাফিক এবং হিংসাত্মক বিষয়বস্তুর ব্যাপারে মানুষের আলাদা সংবেদনশীলতা রয়েছে।
সেই কারণে, ফেসবুক বিশেষ করে গ্রাফিক বা হিংসাত্মক বিষয়বস্তুতে একটি সতর্কতা লেবেল যোগ করেছে যাতে এটি আঠারো বছরের কম বয়সীদের জন্য উপলব্ধ না হয় এবং যাতে লোকেরা গ্রাফিক বা হিংসাত্মক স্বভাব সম্পর্কে সচেতন হয়।
ফেসবুকে পোস্ট করা যাবে না এমন কিছু কনটেন্ট হলো-
১। মানুষের চিত্র: মৃতদেহের চিত্রিত করা ছবি। ২। দৃশ্যমান অভ্যন্তরীণ অঙ্গ: আংশিক পচনশীল দেহ, আত্মহত্যার ছবি, একজন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের চিত্র সরাসরি সম্প্রচার ইত্যাদি।
নিচে উল্লিখিত কনটেন্ট গুলোর জন্য ফেসবুক কিছু সর্তকতা অবলম্বন করে থাকে যার ফলে ওই কনটেন্ট সম্পর্কে মানুষ সচেতন হতে পারে এবং ১৮ বছরের উপরে এবং প্রাপ্তবয়স্কদের সে বিষয়টি দেখার ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করে দেয়। কনটেন্ট গুলো হলো-
১। আহত বা মৃত মানুষের ছবি। ২। ছবি যা কোনো ব্যক্তি বা মানুষের বিরুদ্ধে নির্যাতনের কাজ দেখায়। ৩। ছবি যা একজন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড দেখায় ৪। মানুষ পশুদের হত্যা করে এমন ভিডিওগুলি দেখায় ৫। পশু থেকে পশুর লড়াইয়ের চিত্র
কিছু কিছু বিষয়বস্তুর জন্য ফেসবুক একটি লেবেল অন্তর্ভুক্ত করে যাতে লোকেরা সচেতন হয় যে বিষয়বস্তু সংবেদনশীল হতে পারে। সংবেদনশীল বিষয়বস্তুগুলো হলো-
১। ভ্রূণ এবং নবজাত শিশুদের চিত্র যা দেখায়। ২। জন্মের প্রেক্ষাপটে দৃশ্যমান অভ্যন্তরের চিত্র। ৩। ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে নন-মেডিকেল বিদেশী বস্তুর ছবি চামড়ার মাধ্যমে স্বেচ্ছায় দেখানো হয়। ৪। একটি গর্ভপাত বা পরিত্যাগ প্রসঙ্গ
পরিত্যক্ত প্রেক্ষাপটে নবজাত শিশুদের চিত্র ৫।
তবে এখানে উল্লেখ্য যে, কারো সংবেদনশীল মৃত্যুর ছবি বা ভিডিও আপলোড করা হলে আর সেটা অপসারণের জন্য যদি তার পরিবার অনুরোধ করে ফেসবুক সেই ছবি বা ভিডিও মুছে দেয়।
১৪। প্রাপ্তবয়স্ক নগ্নতা এবং যৌন কার্যকলাপ
ফেসবুক নগ্নতা বা যৌন কার্যকলাপ প্রদর্শনকে সীমাবদ্ধ করে কারণ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কিছু লোক এই ধরনের কনটেন্টের প্রতি সংবেদনশীল হতে পারে। যৌন কার্যকলাপ প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞাগুলি ডিজিটালভাবে তৈরি সামগ্রীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়। দৃশ্যমান যৌনাঙ্গ বা জন্মের পরের মুহূর্ত বা স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত পরিস্থিতিতে চিত্রিত করার জন্য ফেসবুক একটি সতর্কতা লেবেল অন্তর্ভুক্ত করে যাতে লোকেরা সচেতন থাকে যে বিষয়বস্তুটি সংবেদনশীল হতে পারে।
তাছাড়া ফেসবুক পেইন্টিং, ভাস্কর্য এবং অন্যান্য শিল্পের ফটোগ্রাফকেও সতর্কতা লেবেল দিয়ে সচেতন করে দেয় যা নগ্ন ছবি প্রদর্শন করে।
নগ্নতা জনিত বিষয় ফেসবুক পোস্ট করতে দেয় না এমন কিছু কনটেন্ট হলো-
* দৃশ্যমান যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করা।
* কোনও পাবলিক ফিগারে ফটোশপ না করা নগ্ন ছবি।
* স্তন্যপান, প্রসব এবং জন্মের পরের মুহূর্ত, স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত পরিস্থিতি প্রদর্শন করা।
* যেসব কাজ কোনো ব্যক্তি বা প্রাণীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
* যৌন কার্যকলাপ যা যৌনতা প্রদর্শন করে।
* যৌন খেলনার ব্যবহার।
* যৌন কার্যকলাপের বর্ধিত অডিও ইত্যাদি এসব উল্লেখিত বিষয়বস্তু সম্পর্কে পোস্ট করলে ফেসবুক তা সরাসরি মুছে দেয়।
১৫। যৌন আবেদন
ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস এর ধারা-৮ এ উল্লেখ করা হয়েছে, মানুষ যৌন সহিংসতা এবং শোষণের বিষয়ে আলোচনা এবং দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ফেসবুক ব্যবহার করে।
পাচার, জবরদস্তি এবং অসম্মতিপূর্ণ যৌনকর্ম জড়িত থাকতে পারে এমন লেনদেনের সুবিধা এড়াতে ফেসবুক কিছু সতর্কতা লেবেল অন্তর্ভুক্ত করেছে। ফেসবুক যৌনভাবে স্পষ্ট ভাষাকেও সীমাবদ্ধ করে যা অনুরোধের কারণ হতে পারে কারণ বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছু শ্রোতা এই ধরনের বিষয়বস্তুর প্রতি সংবেদনশীল হতে পারে যা তাদের বৃহত্তর সম্প্রদায়ের সাথে সংযোগ স্থাপনের ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
ফেসবুকে পোস্ট করা যাবে না এমন কিছু কনটেন্ট হলো-
* প্রাপ্তবয়স্কদের বাণিজ্যিক যৌন সেবা বা পতিতাবৃত্তির ক্রিয়াকলাপের সমন্বয় করার চেষ্টা করা হয়েছে।
* প্রাপ্তবয়স্ক যৌন ক্রিয়াকলাপের জন্য নিয়োগের প্রচেষ্টা।
* চিত্রিত যৌন কার্যকলাপ, পর্নোগ্রাফিক ক্রিয়াকলাপ ইত্যাদি।
* সুস্পষ্ট যৌন আবেদন।
* যৌন আড্ডা বা কথোপকথন।
* বহিরাগত পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইটের লিঙ্ক ভাগ করা।
উপরের আলোচিত বিষয়বস্তুগুলো পোস্ট করা হলে ফেসবুক তা মুছে দেয়।
** সংহতি এবং প্রাসঙ্গিকতা (১৬-২২)
১৬। অ্যাকাউন্টের অখণ্ডতা এবং খাঁটি পরিচয়
আমাদের বৈশ্বিক সম্প্রদায় জুড়ে পরিচয় প্রকাশের বিভিন্ন উপায়ে অনুমতি দিতে চায় ফেসবুক, পাশাপাশি ছদ্মবেশ এবং পরিচয়ের ভুল উপস্থাপনাও রোধ করে ফেসবুক। এজন্যই ফেসবুক চায় যে লোকেরা দৈনন্দিন জীবনে যে নামটি ব্যবহার করে তা ফেসবুকে সংযুক্ত করতে। ফেসবুকের নীতিগুলি একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে চায় যেখানে মানুষ একে অপরকে বিশ্বাস করতে পারে এবং জবাবদিহি করতে পারে।
একটি নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে এবং স্বাধীন মতপ্রকাশের ক্ষমতায়নের জন্য, ফেসবুক স্বয়ংক্রিয় এবং ম্যানুয়াল সিস্টেমের সংমিশ্রণে সেসকল অ্যাকাউন্ট কে খুজে বের করে যা অবিরাম বা গুরুতরভাবে কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডগুলিকে অপব্যবহার করে থাকে এবং ফেসবুক সেই সকল অ্যাকাউন্ট কে ব্লক এবং অপসারণ করে থাকে।
যদিও অ্যাকাউন্ট-স্তর অপসারণ একটি কঠোর পদক্ষেপ, যখনই সম্ভব, ফেসবুক আমাদের সম্প্রদায়কে তাদের নিয়মগুলো শিখতে এবং অনুসরণ করতে সুযোগ দেওয়ার দিকে লক্ষ্য রাখে।
ক্রমাগত লঙ্ঘন, বারবার সতর্কতা এবং বিধিনিষেধ সত্ত্বেও লঙ্ঘন যা গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করে, এবং একটি অ্যাকাউন্ট অক্ষম করা হয়।
ফেসবুক অনুমতি দেয় না এবং অ্যাকাউন্ট নিস্ক্রিও করে থাকে এমন কিছু বিষয় হলো-
১। গুরুতরভাবে অথবা ক্রমাগত ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘন করলে।
২। বিপজ্জনক ব্যক্তি বা সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করলে।
৩। এমন একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করলে বা ব্যবহার করলে যা ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘনের অভিপ্রায় প্রদর্শন করে।
৪। একবার ওয়ার্নিং দেবার পর অ্যাকাউন্ট অক্ষম হয়েছে এবং পরবর্তীতে আবার একই কাজ করলে ওয়ার্নিং ছারাই অক্ষম করা হয়।
৫। অন্যদের ছদ্মবেশ ধারণ করলে।
৬। অন্যদের প্রতারিত করার স্পষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের ছবি ব্যবহার করলে।
৭। অন্য ব্যক্তি বা সত্তার হয়ে বা ছদ্মবেশ হয়ে কথা বলে এমন একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করলে।
৮। এমন একটি পৃষ্ঠা তৈরি করা যা অন্য কোনো ব্যক্তি বা সত্তার কথা বলে বা ছদ্মবেশ হয়ে কথা বলে যার জন্য ব্যবহারকারী তা করার জন্য অনুমোদিত নয়।
৯। ১৩ বছরের কম বয়সী অ্যাকাউন্ট খুললে।
১০। একজন দণ্ডিত যৌন অপরাধী হিসেবে অ্যাকাউন্ট খুললে।
১১। প্রযোজ্য আইনের অধীনে আমাদের পণ্য, পরিষেবা বা সফটওয়্যার গ্রহণ করা নিষিদ্ধ।
১৭। স্প্যাম
ফেইসবুক স্প্যামের বিস্তার সীমাবদ্ধ করতে বদ্ধপরিকর। অনেক সময় ফেসবুক ব্যবহারকারী তার প্রোফাইলের অথবা পেজের অথবা কোনো গ্রুপের কনটেন্ট এর বেশি বেশি প্রসার করানোর উদ্দেশে যেমন ভিডিও এর ভিউ বাড়ানোর জন্যে অন্যের কনটেন্টকে নিজের বলে দেখিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।
এতে তিনটি ঘটনা ঘটে বলে ফেইসবুক উল্লেখ করেছে। প্রথমত, যে বা যারা এরকম করে মানে অন্যের কনটেন্ট অথবা সেই কনটেন্ট এর কিছু অংশ নিজের বলে প্রকাশ করে তার প্রতি নেতিবাচক অভিজ্ঞতা তৈরি হয়।
দ্বিতীয়ত, যারা সত্যিকার অর্থে সেই কনটেন্ট কে ভালোবেসে ফেলেছে তারাও সামনে সেই কনটেন্ট এর প্রতি জড়িত থাকা থেকে বিরত হয়ে পরে। আর তৃতীয়ত, ফেসবুক পরিষেবার নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং ব্যবহারযোগ্যতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
ফেইসবুক সরাসরি করতে নিষেধ করেছে:
১। অনেক বেশি মাত্রায় যেকোনো কনটেন্ট এ পোস্ট করা, শেয়ার করা এবং এংগেজ হওয়া যাবে না। (ম্যানুয়ালি অথবা অটোমেটিক ভাবে)
২। অনেক বেশি মাত্রায় একাউন্ট তৈরী করা, গ্রুপ তৈরী করা, পেজ তৈরী করা, ইভেন্ট তৈরী করা থেকে বিরত থাকুন। (ম্যানুয়ালি অথবা অটোমেটিক ভাবে)
৩। ব্র্যান্ডেড কন্টেন্ট দ্বারা সংজ্ঞায়িত, স্পষ্টভাবে চিহ্নিত ব্র্যান্ডেড কন্টেন্ট ব্যতীত, সাইটের বিশেষাধিকার বা প্রোডাক্ট ফিচার, যেমন অ্যাকাউন্ট, অ্যাডমিন রোল, পোস্ট করার অনুমতি, পেজ, গ্রুপ, লাইক ইত্যাদির চেষ্টা বা সফলভাবে বিক্রয়, ক্রয় বা বিনিময় করার চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকুন।
৪। কোনো কনটেন্ট কারো কাছে ফেইসবুক এলগোরিদম দ্বারা পৌঁছানোর আগেই সেই ইউজার যদি লাইক এবং শেয়ার করে তাহলে তা ফেইসবুক এর নজরে স্প্যাম হিসেবে দেখা হয়।
৫। সরাসরি লাইক, শেয়ার, ফলো, ক্লিক করুন বলা যাবে না। আবার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ক্লিক করানো যাবে না। যেমন ধরুন, ১০ টি শেয়ার করলেই আপনার একাউন্ট থেকে আপনি ডিজলাইক করার বাটন পাবেন। মিথ্যা ডিসকাউন্ট কোডের প্রলোভন দেখিয়ে ক্লিক বানানো যাবে না। আবার মিথ্যা প্লে বাটন দিয়েও ক্লিক আনা যাবে না।
৬। মিথ্যা টুল এর উপযোগিতা কে দেখিয়ে লিংক এর মাদ্ধমে ক্লিক করিয়ে ইউজার কে ফেইসবুক থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না।
৭। বিভ্রান্তিকর বিষয়বস্তু যেমন বিষয়বস্তুতে এমন একটি লিঙ্ক রয়েছে যা এক ধরনের বিষয়বস্তুর প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু যথেষ্ট ভিন্ন কিছু সরবরাহ করে। যেমন প্রতারণামূলক পপ-আপ ওয়েবসাইট; ক্যাপচা, বিজ্ঞাপন দেখুন, এখানে ক্লিক করুন।
৮। অফ-ফেসবুক কন্টেন্ট অ্যাক্সেস করার আগে কন্টেন্টের সাথে লাইক, শেয়ার বা অন্যথায় জড়িত থাকার প্রয়োজন অথবা অফার টি পেতে হলে ল্যান্ডিং পেজ কে ফলো, পপ-আপ/, ক্লিকজ্যাকিং ইত্যাদি করানো যাবে না।
৯। ছদ্মবেশ: একটি নাম, ডোমেইন বা টাইপ, ভুল বানান বা কন্টেন্ট বিশিষ্ট ব্র্যান্ড www.faceb00k.com, www.face_book.com, অনুরূপ ল্যান্ডিং পেজ ব্যবহার করে অথবা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে এবং ওয়েবসাইটটি একটি নামী ব্র্যান্ড বা পরিষেবা হওয়ার ভান করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার জন্য অন্য একটি বিশ্বস্ত সাইটে নিয়ে যাওয়া এসকল কাজকে ফেইসবুক স্প্যাম বলে সংজ্ঞায়িত করে এবং সেই সকল ফেইসবুক একাউন্ট কে প্রতিহত করে।
১৮। সাইবার নিরাপত্তা
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য, অ্যাকাউন্ট, প্রোফাইল এবং অন্যান্য ফেসবুক সত্ত্বার নিরাপত্তা যা তারা পরিচালনা করতে পারে।
প্রতারণামূলক বা আক্রমণাত্মক পদ্ধতি দ্বারা সংবেদনশীল ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ বা অননুমোদিত অ্যাক্সেসের মাধ্যমে অপরাধমূলক কাজে বা অপব্যবহারে লিপ্ত হওয়ার প্রচেষ্টাকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেয় না।
ফেসবুক যা করা যাবে না তা হলো-
* ফেসবুকের পণ্য বা পরিষেবার অপব্যবহার, প্রতারণামূলক উপায়ে সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ করা বা অননুমোদিত অ্যাক্সেসে জড়িত থাকার প্রচেষ্টা করা।
* অন্য ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে লগইন করে সংবেদনশীল তথ্য পেতে অনুরোধ করার চেষ্টা করা স্পষ্ট প্রতারণামূলক কাজ বা ফিশিং।
* ফেসবুক ব্যবহারকারী বা পণ্য ও পরিষেবাগুলিকে ব্রাউজার এক্সটেনশন এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে বিভিন্নভাবে ঝুঁকিতে ফেলে।
* ওয়েব হোস্টিং সেবা, ডোমেইন নাম সিস্টেম সার্ভার এবং বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক সহ অনলাইন অবকাঠামো প্রদান করা যা ঝুঁকিপূর্ণ লিঙ্কগুলিকে সক্ষম করে যেমন ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে এই লিঙ্কগুলির অধিকাংশই কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের স্প্যাম বা সাইবার নিরাপত্তা বিভাগ লঙ্ঘন করে।
* নিজের বা অন্যদের লগইন তথ্য প্রকাশ্যে ভাগ করা ইত্যাদি ফেসবুকে এসব কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
১৯। অমানবিক আচরণ
ফেসবুকে নিজেদেরকে ভুলভাবে উপস্থাপন করতে, জাল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে, কৃত্রিমভাবে কন্টেন্টের জনপ্রিয়তা বাড়াতে বা ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের অধীনে অন্যান্য শর্ত লঙ্ঘন করতে দেয় না ফেসবুক। এই নীতি অবলম্বনের কারণ হলো সুরক্ষিতভাবে ফেসবুক ব্যবহার করা এবং ফেসবুকের সেবা প্রদান করা যাতে করে এটি মানুষের বিশ্বস্ততার একটি জায়গা তৈরি করতে পারে।
এক্ষেত্রে ফেসবুকে যা করা যাবে না তা হলো-
* একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা বা একাধিক মানুষের মধ্যে অ্যাকাউন্ট শেয়ার করা যাবে না।
* মানুষকে হয়রানি করতে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম রিপোর্টিং সিস্টেমের অপব্যবহার করা যাবে না।
* কোনো পেইজের উদ্দেশ্য গোপন করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা।
* ফেসবুককে বিভ্রান্ত করার জন্য ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে অমানবিক আচরণ করা।
অমানবিক আচরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা:
* পরিচয়, উদ্দেশ্য বা উৎপত্তি সম্পর্কে গোপন করা।
* ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের সামগ্রীর জনপ্রিয়তা সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রচার করা।
* কোনো শ্রোতা বা সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রচার করা।
* কনটেন্টের উৎস বা উৎপত্তি সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেয়া।
* ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো।
একাধিক ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম বা জাল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অমানবিক আচরণ করা যেখানে জাল অ্যাকাউন্টটি হয় কোনো বিদেশি অভিনেতার বা সরকারী হস্তক্ষেপের সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গের পরিচালিত অসত্য আচরণকে সমন্বিত করে।
২০। মিথ্যা খবর
ফেসবুকে মিথ্যা সংবাদের মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা কমানোর দায়িত্ব ফেসবুক গুরুত্ব সহকারে পালন করে থাকে। ফেসবুক জনসাধারণের বক্তৃতা বন্ধ না করে মানুষকে অবগত থাকতে সাহায্য করে কোনটি মিথ্যা খবর আর কোনটি সঠিক খবর। যা খুবই চ্যালেঞ্জিং এবং স্পর্শকাতর বিষয়।
মিথ্যা সংবাদ এবং ব্যঙ্গ বা মতামতের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম রেখা রয়েছে যার কারণে ফেসবুক মিথ্যা খবর অপসারণ করার চেয়ে বরং তা নিউজ ফিডে কম দেখায় এবং এর বিতরণকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে দেয়।
ফেসবুক আরো একটি সচেতন সম্প্রদায় গড়ে তুলতে এবং বিভিন্ন উপায়ে মিথ্যা সংবাদের বিস্তার কমাতে কাজ করছে। যেমন-
* মানুষের জন্য অর্থনৈতিক প্রণোদনা, ভুল তথ্য প্রচারকারী পেজ এবং ডোমেইন ব্যাহত করার মাধ্যমে।
* বিভিন্ন সংকেত ব্যবহার করে, একটি মেশিন লার্নিং মডেলকে অবহিত করার জন্য যা কোন গল্প মিথ্যা হতে পারে তা পূর্বাভাস দেয়।
* মিথ্যা হিসেবে বিবেচিত কোনো কনটেন্ট বিতরণ হ্রাস করা।
* মানুষকে সংবাদ সাক্ষরতার প্রচারের মাধ্যমে কী পড়বে, বিশ্বাস করবে এবং শেয়ার করবে তা নিজের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতায়ন।
* এই চ্যালেঞ্জিং সমস্যা সমাধানে সাহায্য করার জন্য আপনিও সহযোগিতা করুন।
২১। হেরফের করা মিডিয়া
মিডিয়া বিভিন্নভাবে সম্পাদনা করা যায় যেমন- ছবি, অডিও, ভিডিওতে ফিল্টারের প্রভাব ব্যবহার করে। ফেসবুকের লক্ষ্য হলো ম্যানিপুলেটেড মিডিয়াগুলি সরিয়ে ফেলা। তাছাড়া ফেসবুক মিথ্যা সংবাদ ও ভুল তথ্যের বিতরণ কমাতে এবং সেইসাথে অনলাইনে যে কনটেন্ট সম্পর্কে মানুষকে ভালোভাবে অবহিত করতে সাহায্য করতে পার্টনারশিপে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখে।
ফেসবুকে পোস্ট করা যাবে না এমন কিছু কনটেন্ট হলো-
* ভিডিওর একটি বিষয় এমন শব্দ বলেছে যা তারা বলেনি বা কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা মেশিন লার্নিং এর পণ্য সম্পর্কিত ভিডিও।
* যে ভিডিওগুলি সম্পাদনা বা সংশ্লেষিত হয়েছে, স্বচ্ছতা বা গুণমানের সমন্বয়ের বাইরে এবং যা মানুষকে বিশ্বাস করানোর জন্য কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।
* কোনো ব্যঙ্গাত্মক কনটেন্ট যা বর্জন করতে বলা হয়েছে এমন কিছু পোস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।
২২। স্মারককরণ
কেউ মারা গেলে তার বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের কেউ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি স্মরণীয় করে রাখতে অনুরোধ করে তাহলে ফেসবুক সেই অ্যাকাউন্টটিকে স্মরণীয় করে রাখতে অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল নামের উপরে "মনে রাখা" শব্দটি দিয়ে দেয়। এতে স্পষ্ট হয় যে অ্যাকাউন্টটি এখন একটি স্মারক সাইট এবং অ্যাকাউন্টটিতে লগইনের চেষ্টা করা বা প্রতারণামূলক ক্রিয়াকলাপ থেকে রক্ষা করার জন্যই মূলত এটা করা হয়।
মৃত ব্যক্তির প্রতি সম্মান জানাতে ফেসবুক মৃত্যুর পর তাদের অ্যাকাউন্ট সংরক্ষণ করে রাখে। এক্ষেত্রে মৃত্যুর আগে যদি ওই ব্যক্তি তাদের অ্যাকাউন্ট সংরক্ষণ করার কোনো উত্তরাধিকারী নির্বাচন করে যায় তাহলে শোকাহত ব্যক্তি বা উত্তরাধিকারীদের সমর্থন করতে ফেসবুক কিছু কনটেন্ট অপসারণ বা পরিবর্তন করে থাকে যদি উত্তরাধিকারী বা পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করে অনুরোধ করে এটি করার জন্য।
খুন এবং আত্মহত্যাকারী বা মৃত ব্যক্তির প্রোফাইল ফটো, কভার ফটো বা সাম্প্রতিক টাইমলাইন পোস্টগুলির মধ্যে যদি কোনো একটি উত্তরাধিকারী বা মৃতের পরিবারের সদস্যের অনুরোধের জন্য প্রদর্শিত হয় তবে ফেসবুক নিম্নলিখিত সামগ্রীগুলি সরিয়ে দেয়:
* মৃত ব্যক্তির মৃত্যুতে ব্যবহৃত বস্তুর ছবি বা ভিডিও।
* মৃত ব্যক্তির কথিত হত্যাকারীর ছবি।
* মৃত ব্যক্তির মৃত্যু সম্পর্কিত কোনো কনটেন্ট।
* মৃত ব্যক্তির প্রোফাইল থেকে দোষী সাব্যস্ত বা কথিত হত্যাকারী রিলেশনশিপ স্ট্যাটাসে বা বন্ধুদের মধ্যে উল্লেখ করা থাকলে তাও সরিয়ে দেয় ফেসবুক।
উত্তরাধিকারী যোগাযোগ বা মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের দ্বারা ফেসবুকের নজরে যে পোস্টগুলো এলে ফেসবুক সেটাকে স্মারক করে তাহলো-
* একটি স্মারকযুক্ত প্রোফাইলে লঙ্ঘনকারী মন্তব্যগুলি সরানো হলে যা সাধারণত ব্যক্তিকে স্ব -প্রতিবেদন করতে হবে যাতে ফেসবুক জানতে পারে যে তারা অবাঞ্ছিত।
* একটি স্মরণীয় প্রোফাইলে মৃত ব্যক্তির মৃত্যু, রোগ বা ক্ষতির জন্য প্রশংসা বা সমর্থন সরানো হলে।
* মৃত ব্যক্তির ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার্থে সেটিংস জনসাধারণ থেকে বন্ধুদের মধ্যে পরিবর্তন করুন যখন প্রোফাইলে কোনো ক্ষতিকারক সামগ্রী থাকে।
* মৃত ব্যক্তির প্রোফাইলে লঙ্ঘনকারী অ্যাকাউন্টের নাম পরিবর্তন করুন।
** শ্রদ্ধাশীল বুদ্ধিজীবী সম্পত্তি (২৩)
২৩। মেধা সম্পত্তি
ফেসবুক বুদ্ধিবৃত্তিক কাজগুলো গুরুত্ব সহকারে দেখে। ফেসবুক মনে করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মতপ্রকাশ, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনের প্রচার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ফেসবুকে কোনো কন্টেন্ট শেয়ার করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার এটি পোস্ট বা শেয়ার করার অধিকার আছে কি না।
কেননা ফেসবুকে পোস্ট করা আপনার বিষয়গুলো ও তথ্যগুলোর মালিক এবং গোপনীয়তা রক্ষা এবং অ্যাপ্লিকেশন সেটিংসের মাধ্যমে এটি কীভাবে ভাগ করা হয় তা আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। তাছাড়া ফেসবুক অন্যদের কপিরাইট, ট্রেডমার্ক এবং অন্যান্য আইনি অধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে বলে থাকে। কারন ফেসবুক মানুষ এবং সংস্থাগুলোর মেধা সম্পত্তির অধিকার প্রচার ও সুরক্ষায় সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ফেসবুক পরিষেবার শর্তাবলী কপিরাইট এবং ট্রেডমার্কসহ অন্য কারো মেধা সম্পত্তি অধিকার লঙ্ঘন করে এমন কনটেন্ট পোস্ট করার অনুমতি দেয় না।
ফেসবুক দ্বি-বার্ষিক স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে প্রাপ্ত বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির প্রতিবেদন সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করে থাকে। কারো অধিকার লঙ্ঘন করে এমন পোস্ট বা প্রতিবেদন ফেসবুক অপসারণ বা সীমাবদ্ধ করে থাকে।
** বিষয়বস্তু-সম্পর্কিত অনুরোধ এবং সিদ্ধান্ত (২৪-২৫)
২৪। ব্যবহারকারীর অনুরোধ
১) ব্যবহারকারী তাদের নিজস্ব অ্যাকাউন্ট সরানোর জন্য অনুরোধ করলে।
২) পরিবারের সদস্য বা নির্বাহকের কাছ থেকে মৃত ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট সরানোর অনুরোধ আসলে।
৩) একজন অনুমোদিত প্রতিনিধি থেকে একজন অক্ষম ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট সরানোর অনুরোধ আসলে।
২৫। অপ্রাপ্তবয়স্কদের অতিরিক্ত সুরক্ষা।
১) একটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক অ্যাকাউন্ট সরানোর জন্য অনুরোধ আসলে।
২) শিশু নির্যাতনের চিত্র অপসারণের জন্য সরকারি অনুরোধ, উদাহরণস্বরূপ, একজন প্রাপ্তবয়স্কের দ্বারা মারধর করা বা একজন প্রাপ্তবয়স্কের দ্বারা শ্বাসরোধ করা বা শ্বাসরোধ করা হলে।
৩) আইনগত অভিভাবক যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে ঘটে যাওয়া অপ্রাপ্তবয়স্কদের উপর হামলা চিত্র অপসারণের জন্য অনুরোধ করে সেক্ষেত্রে।
তাকিওন ব্র্যান্ডের নতুন মডেলের সাশ্রয়ী মূল্যের ই-বাইক আনলো ওয়ালটন
নতুন মডেলের ইলেকট্রিক বাইক বাজারে ছাড়ালো শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটন। পরিবেশবান্ধব এই ই-বাইকের নাম তাকিওন লিও (TAKYON Leo)। সাশ্রয়ী মূল্যের তাকিওন লিও মডেলটি বাজারে এসেছে ৩টি ভার্সনে। মাত্র ৬ থেকে ৮ ঘন্টা চার্জে এই বাইকে ৪০ থেকে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ পাড়ি দেয়া যাবে। প্রতি কিলোমিটারে সর্বোচ্চ খরচ পড়বে মাত্র ১০ পয়সা।
সম্প্রতি গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে তাকিওন লিও মডেলের নতুন ই-বাইকের উদ্বোধন করেন আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইয়াসির আল ইমরান, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ওয়ালটনের তাকিওন বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র বিআরটিএ অনুমোদিত ইলেকট্রিক বাইক। বর্তমানে ২ মডেলে ৪টি ভার্সনে ওয়ালটনের ই-বাইক পাওয়া যাচ্ছে। বাসার ২২০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক লাইন থেকেই ওয়ালটনের ই-বাইকে চার্জ দেয়া যাচ্ছে। শব্দ ও পরিবেশ দূষণমুক্ত এই বাইকে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম, চালানো সহজ ও নিরাপদ।
নতুন আসা তাকিওন লিও ১২ অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি প্যাকে এন্ট্রি লেভেলের ভার্সনে পাওয়া যাচ্ছে। এক চার্জে এই বাইকটি ৪০ কিলোমিটার মাইলেজ দেবে। এর দাম ৪৯ হাজার ৮৫০ টাকা। তাকিওন লিও ২০ অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি প্যাকে মাইলেজ মিলবে ৭০ কিলোমিটার। বাইকটির দাম ৫৬ হাজার ৮৫০ টাকা। তাকিওন লিও এর সর্বোচ্চ ভার্সন পাওয়া যাচ্ছে ২৩ অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি প্যাকে। এতে ৮০ কিলোমিটার মাইলেজ মিলবে। এটির দাম ৫৯ হাজার ৮৫০ টাকা।
ওয়ালটন ডিজিটেক ওয়েবসাইট (https://waltondigitech.com/products/e-bike) থেকে গ্রাহকরা বিনামূল্যে তাকিওন লিও (TAKYON Leo) মডেলটির ৩টি ভার্সনের প্রি-অর্ডার দিতে পারছেন।
অন্যদিকে, তাকিওন ১.০০ (TAKYON 1.00) মডেলের হাইয়েস্ট ভার্সনের ই-বাইকটি দেশের সকল ওয়ালটন শোরুমের পাশাপাশি অনলাইনের ওয়ালটন ডিজিটেক ওয়েবসাইট থেকে কেনা যাচ্ছে। লাল, নীল এবং ধূসর রঙের সাশ্রয়ী বাইকটির দাম ১২৭,৭৫০ টাকা।
তাকিওন লিও মডেলের উদ্বোধনের আগে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে পৌঁছে আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালকসহ অন্য অতিথিরা ওয়ালটনের অত্যাধুনিক বিভিন্ন পণ্যে সাজানো ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। এরপর তারা বিশ্বমানের ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর, কম্প্রেসর, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ-কম্পিউটার, পিসিবি-মাদারবোর্ড ইত্যাদি পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিদর্শন করেন।
তাকিওন লিও ই-বাইকের উদ্বোধনের পর মো. মোস্তফা কামাল বলেন, প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে ওয়ালটন বাংলাদেশে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তাদের অত্যাধুনিক হেডকোয়ার্টারে বিশ্বমানের নানান পণ্যের সর্বাধুনিক প্রোডাকশন প্ল্যান্ট দেখে আমি অভিভূত। ই-বাইক বর্তমান সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় একটি পণ্য। অত্যন্ত অল্প খরচে যাতায়াতের সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি পরিবেশের সুরক্ষায় ই-বাইক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নতুন নতুন উদ্ভাবনী পণ্য উৎপাদনে ওয়ালটনের এই প্রচেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। ওয়ালটনের জন্য শুভকামনা।
প্রথম প্রজন্মের আইফোন নিলামে, ভিত্তিমূল্য ৫০ হাজার ডলার
প্রথম প্রজন্মের একটি আইফোন নিলামে তোলা হয়েছে। তৎকালীন অ্যাপল ইনকরপোরেশনের তৈরি এই ফোনটির ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০০৭ সালে স্টিভ জবসের হাত ধরে বাজারে সেই আইফোনটি অবশ্য এখনো অব্যবহৃতই রয়ে গেছে। সম্প্রতি ডিভাইসটির মালিক এটিকে নিলামে তোলেন।
চলতি ফেব্রুয়ারিতে আইফোন বাজারে আনার ১৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। ২০০৭ সালে প্রথম প্রজন্মের এই আইফোন আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আনেন অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও তৎকালীন প্রধান নির্বাহী স্টিভ জবস।
৩ দশমিক ৫ ইঞ্চি পর্দার আইফোনটি যখন বাজারে আসে তখন এটির দাম ছিল ৫৯৯ মার্কিন ডলার। এতে ছিল ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা এবং আইটিউনস। তবে এতে কোনো অ্যাপ স্টোর ছিল না। ডিভাইসটি টু-জি মোবাইল নেটওয়ার্কে চলত এবং শুধু এটিঅ্যান্ডটি নেটওয়ার্কে এটি ব্যবহার করা যেত।
৪ গিগাবাইট (জিবি) এবং ৮ জিবি এই দুই মেমোরি স্টোরেজ ফিচারে এসেছিল প্রথম প্রজন্মের এই আইফোন।
নিলামে ওঠা আইফোনটির ৮ জিবি সংস্করণ উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন মেকআপ ট্যাটু শিল্পী ক্যারেন গ্রিন। তবে তিনি আইফোনের মোড়কটি কখনো খোলেননি। ২০১৯ সালে এক টিভি শোতে সর্বপ্রথম এটি জানিয়েছিলেন ক্যারেন। তখন একজন ডিভাইসটির মূল্য পাঁচ হাজার ডলার বলে জানিয়েছিলেন।
নিলামকারী প্রতিষ্ঠান এলসিজি অকশন ডিভাইসটি নিলামে উঠিয়েছে। গত অক্টোবরেও একই ধরনের আরেকটি আইফোন ৩৯ হাজার ডলারে নিলামে বিক্রি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্যারেনের আইফোন নিলামে থাকবে।
এক মাসেই বিশ্বব্যাপী চাকরি হারিয়েছেন ১ লাখ প্রযুক্তি কর্মী
প্রযুক্তি কর্মীদের জন্য সর্বকালের সবচেয়ে খারাপ মাস হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে চলতি বছরের জানুয়ারিকে। আমাজন, মাইক্রোসফ্ট, গুগল, সেলসফোর্সের মতো সংস্থাগুলোতে এসময় বিশ্বব্যাপী প্রায় ১ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে।
এ হিসেবে বিশ্বব্যাপী ২৮৮ টিরও বেশি কোম্পানি গড়ে প্রতিদিন ৩,৩০০ জনের বেশি প্রযুক্তি কর্মীকে ছাঁটাই করেছে।
অ্যাপল ছাড়া অন্য সব বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জানুয়ারিতে তাদের কর্মী ছাঁটাই করেছে। আমাজন ১৮০০০, গুগল ১২০০০ এবং মাইক্রোসফট ১০,০০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে।
তার আগের মাসের সেলসফোর্স ৭,০০০ আইবিএম ৩৯০০ এবং এসএপি ৩০০০ কর্মী ছাঁটাই এর ঘোষণা করেছিল।
লে অফ ট্র্যাকিং সাইট 'লে-অফস ডট এফওয়াইআই'র তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে এক হাজারেরও বেশি কোম্পানি ১,৫৪,৩৩৬ জন কর্মী ছাঁটাই করেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২.৫ লাখের বেশি প্রযুক্তি কর্মী চাকরি হারিয়েছেন।
বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো তাদের কর্মী ছাঁটাই অব্যাহত রেখেছে এবং এই বিষয়ে তারা বিভিন্ন কারণ দেখিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণগুলো হলো অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা এবং করোনা মহামারী।
১১ হাজার কর্মী ছাঁটাই এর পর মেটার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ জানান ২০২৩ সালকে তিনি দক্ষতার বছর হিসেবে দেখতে চান।
বৈশ্বিক মন্দা ও মন্দার আশঙ্কার অংশ হিসেবে অনলাইন মার্কেটপ্লেস ওএলএক্স গ্রুপ ভারতসহ বিশ্বব্যাপী ১৫০০ এরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে।
এডটেক কোম্পানি তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম থেকে আরও ১৫ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। জানা গেছে, নতুন করে কর্মী ছাঁটাইয়ের পর আরো ১,০০০ এর বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করতে বলা হয়েছে।