

এটা 'বীভৎস দৃশ্য', আয়নাঘরের বর্ণনায় প্রধান উপদেষ্টা
বহুল আলোচিত আয়নাঘর নামে খ্যাত ঢাকার তিনটি স্থান পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আয়নাঘরের বর্ণনা যদি দিতে হয় তাহলে বলতে হয়, বীভৎস দৃশ্য। মানুষের মনুষ্যত্ববোধ যে আছে, তা জানতে বহু গভীরে যেতে হয়। যতটাই শুনি অবিশ্বাস্য মনে হয়- এটা কি আমাদের জগত, আমাদের সমাজ। আজ ১২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরার তিনটি আয়নাঘর পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্বল্পসংখ্যক দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আয়নাঘরে নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনকালে ২০০৯ থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬০৫ জনকে গোপনে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। অন্য আরেকটি তথ্যে বলা হয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩৪৪ ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৪০ জনকে। আর ৬৬ জনকে সরকারি হেফাজতে গ্রেপ্তার অবস্থায় পাওয়া গেছে।এবি

বাধা পেয়ে সড়কেই বসে পড়লেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা
চাকরিতে পুনর্বহালসহ মোট ৬ দফা দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। এসব দাবি দ্রুত মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয় অভিমুখে রওনা করেন তারা। পরে তাদের পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়। এমন অবস্থায় সড়কে বসে পড়েন তারা। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে শিক্ষাভবন মোড় পর্যন্ত সড়কের উভয়পাশের যান চলাচল।সরেজমিনে দেখা গেছে, বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে এলে শিক্ষা ভবন মোড়েই পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়তে হয়। পরে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ জলকামান নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে বিডিআর সদস্যরা তাদের অবস্থান ধরে রাখেন। একপর্যায়ে সড়কে বসে পড়েন তারা।এসময় বিক্ষুব্ধ বিডিআর সদস্যদের ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘তুমি কে আমি কে, বিডিআর বিডিআর’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’-ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।বিডিআর সদস্যরা বলছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ৬ দফা দাবি মানা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই আন্দোলন চলমান থাকবে। চাকরি পুনর্বহালের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সড়কেই সবাই অবস্থান করবে। আমাদেরকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সচিবালয়ে আমরা ন্যায়সংগত অধিকার আদায় করতে এসেছি।এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার। এসময় তাকে ‘বিজিবি না বিডিআর, বিডিআর বিডিআর’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।পরে তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দপ্তর থেকে কোনো প্রতিনিধি না আসবে কিংবা কোনো আশ্বাস না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত এখানে অবস্থান চলবে।এর আগে, মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ৬ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন বিডিআর কল্যাণ পরিষদ। বিডিআর সদস্যদের দাবিগুলো হচ্ছে-১. পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে যেসব বিডিআর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। একইসঙ্গে তাদের ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।২. এরই মধ্যে হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত এবং সাজা শেষ হওয়া কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এ ছাড়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিস্ফোরক মামলা বাতিল করতে হবে।৩. গঠিত কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত ব্যতীত শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) নং ধারা বাদ দিতে হবে। একইসঙ্গে স্বাধীন তদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে অন্যায়ভাবে দণ্ডিত নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদঘাটন, মূল ষড়যন্ত্রকারী, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।৪. পিলখানায় শহীদ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ জন বিডিআর সদস্যসহ সর্বমোট ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে কারাগারে মারা যাওয়া সব বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উন্মোচন করতে হবে। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকলে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।৫. স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনতে হবে।৬. পিলখানার হত্যাকাণ্ডে সব শহীদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা করতে হবে। একইসঙ্গে শহীদদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।এবি
জাতীয়
সব দেখুন
বাধা পেয়ে সড়কেই বসে পড়লেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা
চাকরিতে পুনর্বহালসহ মোট ৬ দফা দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। এসব দাবি দ্রুত মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয় অভিমুখে রওনা করেন তারা। পরে তাদের পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়। এমন অবস্থায় সড়কে বসে পড়েন তারা। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে শিক্ষাভবন মোড় পর্যন্ত সড়কের উভয়পাশের যান চলাচল।সরেজমিনে দেখা গেছে, বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে এলে শিক্ষা ভবন মোড়েই পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়তে হয়। পরে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ জলকামান নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে বিডিআর সদস্যরা তাদের অবস্থান ধরে রাখেন। একপর্যায়ে সড়কে বসে পড়েন তারা।এসময় বিক্ষুব্ধ বিডিআর সদস্যদের ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘তুমি কে আমি কে, বিডিআর বিডিআর’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’-ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।বিডিআর সদস্যরা বলছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ৬ দফা দাবি মানা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই আন্দোলন চলমান থাকবে। চাকরি পুনর্বহালের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সড়কেই সবাই অবস্থান করবে। আমাদেরকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সচিবালয়ে আমরা ন্যায়সংগত অধিকার আদায় করতে এসেছি।এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার। এসময় তাকে ‘বিজিবি না বিডিআর, বিডিআর বিডিআর’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।পরে তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দপ্তর থেকে কোনো প্রতিনিধি না আসবে কিংবা কোনো আশ্বাস না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত এখানে অবস্থান চলবে।এর আগে, মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ৬ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন বিডিআর কল্যাণ পরিষদ। বিডিআর সদস্যদের দাবিগুলো হচ্ছে-১. পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে যেসব বিডিআর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। একইসঙ্গে তাদের ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।২. এরই মধ্যে হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত এবং সাজা শেষ হওয়া কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এ ছাড়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিস্ফোরক মামলা বাতিল করতে হবে।৩. গঠিত কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত ব্যতীত শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) নং ধারা বাদ দিতে হবে। একইসঙ্গে স্বাধীন তদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে অন্যায়ভাবে দণ্ডিত নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদঘাটন, মূল ষড়যন্ত্রকারী, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।৪. পিলখানায় শহীদ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ জন বিডিআর সদস্যসহ সর্বমোট ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে কারাগারে মারা যাওয়া সব বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উন্মোচন করতে হবে। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকলে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।৫. স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনতে হবে।৬. পিলখানার হত্যাকাণ্ডে সব শহীদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা করতে হবে। একইসঙ্গে শহীদদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।এবি

গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, চিকিৎসাধীন কাশেম মারা গেছেন
ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ খ ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত আবুল কাশেম (২০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ১৬ নম্বর বেডে মারা যান তিনি।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এর আগে শুক্রবার রাতে ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ খ ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার শিকার হন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা জানান, মোজাম্মেলের বাড়িতে তাদের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সেদিন ‘ডাকাত পড়েছে, যার যা আছে, তা নিয়েই এগিয়ে আসুন’—এমন মিথ্যা ঘোষণা দেওয়া হয় মসজিদের মাইকে। এরপরই বৈষমবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও জাহাঙ্গীর বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। এতে ১৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদেরই একজন ছিলেন কাসেম।
জুলাই আন্দোলন নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এতে বলা হয়েছে, সাবেক সরকার এবং এর নিরাপত্তা ও গোয়েন্দাবাহিনী আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সহিংস উপায় ব্যবহার করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এ ঘটনা আন্তর্জাতিক ফৌজদারি অপরাধ আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)। এসব ঘটনায় অধিকতর ফৌজদারি তদন্তের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।১১৪ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদন বলা হয়েছে, সাবেক সরকার এবং এর নিরাপত্তা ও গোয়েন্দাবাহিনী আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সহিংস উপায় ব্যবহার করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এতে শতশত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বলপ্রয়োগ করা হয়। একইসঙ্গে নির্বিচারে আটক, নির্যাতন এবং অন্যান্য ধরনের নিগ্রহের ঘটনা ঘটে।প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ওএইচসিএইচআর মনে করে, বিক্ষোভ এবং ভিন্নমত দমনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের অবগতি, সমন্বয় এবং নির্দেশনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের এসব ঘটনা ঘটেছে।জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত অভিযুক্ত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অবমাননা বিষয়ে একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন পরিচালনা করে। বাংলাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিত এবং তাৎক্ষণিক প্রভাব বুঝতে এ অনুসন্ধান চালানো হয়।গত ৩০ আগস্ট জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের শীর্ষ নির্বাহী ভলকার তুর্ককে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস।এবি
জুলাই আন্দোলনে ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা: জাতিসংঘ
বাংলাদেশে গত বছরের জুলাই-অগাস্টে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। এতে বলা হয়েছে, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ১,৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। এদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নিরাপত্তাবাহিনীগুলোর দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ শিশু ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে যে তাদের ৪৪ জন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের প্রতিবেদনটি অনুযায়ী, বাংলাদেশের সাবেক সরকার এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সহিংস উপাদানগুলোর পাশাপাশি, গত বছরের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের সময় পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর সাথে জড়িত ছিল। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য এবং অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে একটি সরকারি নীতি উঠে এসেছে যা সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের এবং সমর্থকদের আক্রমণ ও সহিংসভাবে দমন করার নির্দেশ দেয়, যা মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো উদ্বেগ উত্থাপনকারী এবং জরুরিভাবে আরও ফৌজদারি তদন্তের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন তদন্তে জাতিসংঘ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গঠনের নজির থাকলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটিই প্রথম।বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত মৃত্যুর তথ্যের ভিত্তিতে, প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে যে ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ১,৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন এবং এদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নিরাপত্তাবাহিনীগুলোর দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। প্রতিবেদনটি নির্দেশ করেছে যে নিহতদের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ ছিল শিশু। বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে যে তাদের ৪৪ জন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছিল সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনকারী উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত থেকে। কিন্তু এর পেছনে ছিল ধ্বংসাত্মক ও দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি এবং প্রশাসন থেকে সৃষ্ট বিস্তৃত ক্ষোভ, যা অর্থনৈতিক বৈষম্যের সৃষ্টি করেছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্ষমতায় থাকার জন্য সাবেক সরকার ক্রমাগত সহিংস পন্থা ব্যবহার করে এই বিক্ষোভগুলো দমনে পদ্ধতিগতভাবে চেষ্টা করেছিল। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, “এই নৃশংস প্রতিক্রিয়া ছিল সাবেক সরকারের একটি পরিকল্পিত এবং সমন্বিত কৌশল, যা জনতার বিরোধিতার মুখে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চেয়েছিল।’’ “বিক্ষোভ দমন করার কৌশলের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জ্ঞাতসারে, তাদের সমন্বয় ও নির্দেশনায় শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ব্যাপক নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও আটক এবং নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে।’’ এবি
আন্দোলনের সময় যে টর্চার সেলে রাখা হয়েছিল, শনাক্ত করলেন নাহিদ ও আসিফ
জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে বর্তমান তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ডিজিএফআইয়ের টর্চারসেলে রাখা হয়েছিল। আজ বুধবার সেই টর্চার সেল পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষগুলো শনাক্ত করেন তাঁরা।প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব শুচিস্মিতা তিথি আজ বুধবার তাঁর ফেসবুকে দেওয়া পৃথক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ বুধবার রাজধানীর তিনটি এলাকায় গোপন বন্দিশালা পরিদর্শন করেছেন, যা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত।শুচিস্মিতা তিথি আজ তাঁর ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে একটি কক্ষের কয়েকটি ছবি দিয়েছেন। একটি ছবিতে নাহিদ ইসলাম রয়েছেন।শুচিস্মিতা তিথি লিখেছেন, গত জুলাইয়ে সাদাপোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের এই টর্চার সেলে (নির্যাতনকেন্দ্র) রাখা হয়েছিল নাহিদ ইসলামকে। আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষটি শনাক্ত করেন নাহিদ। এই কক্ষের এক পাশে টয়লেট (শৌচাগার) হিসেবে একটি বেসিনের মতো ছিল বলে জানান তিনি। ৫ আগস্টের পর এই সেলগুলোর মাঝের দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়, দেয়াল রং করা হয়।শুচিস্মিতা তিথি আজ তাঁর ফেসবুকে দেওয়া আরেকটি পোস্টে অপর একটি কক্ষের কয়েকটি ছবি দিয়েছেন। একটি ছবিতে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া রয়েছেন।শুচিস্মিতা তিথি লিখেছেন, গত জুলাইয়ে সাদাপোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের এই টর্চারসেলে রাখা হয়েছিল আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে। আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষটি চিনতে পেরেছেন তিনি। দেয়ালের ওপরের অংশের খোপগুলোয় এগজোস্ট ফ্যান ছিল বলে জানান তিনি।এদিকে আলোচিত ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘এটা বীভৎস দৃশ্য। মানুষের মনুষত্ববোধ বলতে কোনও জিনিস আছে, সেটা থেকে বহু গভীরে নিয়ে গেছে তা (মনুষত্ব) নিশ্চিহ্ন করার জন্য। নৃশংস অবস্থা.... প্রতিটি জিনিস যে এখানে হয়েছে। যতটুকু শুনেছি, এটা অবিশ্বাস্য মনে হয়... এটা কি আমাদেরই জগত? আমাদেরই সমাজ?’এসব ‘নির্যাতন সেল’ এবং ‘গোপন কারাগারের’ ভুক্তভোগীদের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যারাই নিগৃহীত হয়েছেন, যারা এটার শিকার হয়েছেন; তারাও আমাদের সঙ্গে আছেন। তাদের মুখ থেকেই শুনলাম- কীভাবে হয়েছে। কোনও ব্যাখ্যা নেই।... বিনাকারণে রাস্তা থেকে উঠিয়ে আনা হলো, বিনাদোষে কতগুলো সাক্ষী তৈরি করে কোনও একটা ঘটনায় ঢুকিয়ে দিয়ে বলা হলো- তুমি সন্ত্রাসী, জঙ্গি। এগুলো বলে বলে তাকে নিয়ে আসা হয়েছে।’প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এধরনের ইন্টারোগেশন সেল, টর্চার সেল দেশজুড়ে আছে, সেটা শুনলাম আজকে। আমার ধারণা ছিল, এই আয়নাঘর শুধু এখানেই (রাজধানীতে) যে কয়েকটা আছে। এরপর আজ শুনলাম এগুলোর বিভিন্ন ভার্সন সারা দেশে আছে। কেউ বলছেন ৭০০, কেউ বলছেন ৮০০; সংখ্যাও নিরুপণ করা যায়নি, কতটা আছে। এরমধ্যে কতগুলো জানা আছে, কতগুলো অজানা।’
এটা 'বীভৎস দৃশ্য', আয়নাঘরের বর্ণনায় প্রধান উপদেষ্টা
বহুল আলোচিত আয়নাঘর নামে খ্যাত ঢাকার তিনটি স্থান পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আয়নাঘরের বর্ণনা যদি দিতে হয় তাহলে বলতে হয়, বীভৎস দৃশ্য। মানুষের মনুষ্যত্ববোধ যে আছে, তা জানতে বহু গভীরে যেতে হয়। যতটাই শুনি অবিশ্বাস্য মনে হয়- এটা কি আমাদের জগত, আমাদের সমাজ। আজ ১২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরার তিনটি আয়নাঘর পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্বল্পসংখ্যক দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আয়নাঘরে নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনকালে ২০০৯ থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬০৫ জনকে গোপনে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। অন্য আরেকটি তথ্যে বলা হয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩৪৪ ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৪০ জনকে। আর ৬৬ জনকে সরকারি হেফাজতে গ্রেপ্তার অবস্থায় পাওয়া গেছে।এবি
আয়নাঘর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই ‘আয়নাঘর’ ব্যাপক আলোচনায় আসে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তখন জানান, গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ইন্টারোগেশন সেলকেই আয়নাঘর বলা হয়েছে। আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী এবং ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজধানীর আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরার তিনটি আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন।প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আয়নাঘরের সংখ্যার বিষয়ে তিনি বলেন, “কেউ বলে ৭০০, কেউ বলে ৮০০। সংখ্যা নিরূপণ করা যায়নি, যে কতটা আছে। কতটা জানা আছে, কতটা অজানা রয়ে গেছে। গত সরকার আইয়ামে জাহেলিয়া সৃষ্টি করে গেছে সর্বক্ষেত্রে। এটা তার একটা নমুনা।” এ সময় তিনি গুম সম্পর্কিত তদন্ত কমিশনকে ধন্যবাদ দেন সঠিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করার জন্য। সূত্র জানায়, আয়নাঘর তিনটি পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্বল্পসংখ্যক দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আয়নাঘরে নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।দুপুর আড়াইটায় প্রেস ব্রিফিং ডেকেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। আয়নাঘর পরিদর্শন সম্পর্কে সেখানে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে বলে জানা গেছে।এবি
আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আয়নাঘর পরিদর্শনে গেছেন। তার সঙ্গে আছেন দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীরা। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে আয়নাঘর পরিদর্শনে যান প্রধান উপদেষ্টা।প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ নিয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে। গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়।এর আগে গুমের শিকার ব্যক্তিদের ছাড়া গোপন বন্দিশালা (আয়নাঘর হিসেবে পরিচিত) পরিদর্শনে অপারগতা প্রকাশ করেছিল গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশন। গত ২৯ জানুয়ারি কমিশনের সচিব আশিকুল খবির প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বিষয়টি জানান।চিঠিতে বলা হয়, পরিদর্শনের সময় স্থাপনা শনাক্ত করাসহ গুমের ঘটনার সব তথ্য যাচাইয়ে সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগীদের সঙ্গে রাখা আবশ্যক। পরিদর্শনের সময় ভুক্তভোগীদের সঙ্গে না রাখলে তাঁদের আইনগত অধিকার ক্ষুণ্ন হবে।এবি
সর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুন
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল: ডা. এ জেড এম জাহিদ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।ডা. জাহিদ বলেন, আপনারা জানেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গত ৮ জানুয়ারি থেকে লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন আছেন। এই মুহূর্তে বেগম জিয়া তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের বাসায় ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে আছেন। তিনি প্রফেসর প্যাট্রিক কেনেডি ও জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।খালেদা জিয়ার চিকিৎসা তার বাসা থেকে হচ্ছে জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, মাঝেমধ্যে যেসব পরীক্ষা নিরীক্ষা দেওয়া হয়, সেগুলো করানো হচ্ছে। চিকিৎসকরা তাকে বাসায় গিয়ে দেখে এসেছেন। ওনার শারীরিক অবস্থা এই মুহূর্তে স্থিতিশীল। আপনারা ওনার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।ডা. জাহিদ আরও বলেন, বাসায় ওনার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান, সৈয়দা শামিলা রহমান ও তিন নাতনী ব্যারিস্টার জায়মা রহমান, জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান তাদের দাদির যত্ন নিচ্ছেন। ফলে মানসিকভাবে তিনি অনেকটা আগের চেয়ে ভালো আছেন। সার্বক্ষণিকভাবে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানকার চিকিৎসকরা যেদিন ওনাকে যাওয়ার পরামর্শ দেবেন বা তারা যদি মনে করেন উনি বিদেশ থেকে দেশে যাওয়ার মতো অবস্থায় আছেন, তখনই তিনি দেশে ফিরবেন।এবি
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল: ডা. এ জেড এম জাহিদ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।ডা. জাহিদ বলেন, আপনারা জানেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গত ৮ জানুয়ারি থেকে লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন আছেন। এই মুহূর্তে বেগম জিয়া তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের বাসায় ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে আছেন। তিনি প্রফেসর প্যাট্রিক কেনেডি ও জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।খালেদা জিয়ার চিকিৎসা তার বাসা থেকে হচ্ছে জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, মাঝেমধ্যে যেসব পরীক্ষা নিরীক্ষা দেওয়া হয়, সেগুলো করানো হচ্ছে। চিকিৎসকরা তাকে বাসায় গিয়ে দেখে এসেছেন। ওনার শারীরিক অবস্থা এই মুহূর্তে স্থিতিশীল। আপনারা ওনার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।ডা. জাহিদ আরও বলেন, বাসায় ওনার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান, সৈয়দা শামিলা রহমান ও তিন নাতনী ব্যারিস্টার জায়মা রহমান, জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান তাদের দাদির যত্ন নিচ্ছেন। ফলে মানসিকভাবে তিনি অনেকটা আগের চেয়ে ভালো আছেন। সার্বক্ষণিকভাবে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানকার চিকিৎসকরা যেদিন ওনাকে যাওয়ার পরামর্শ দেবেন বা তারা যদি মনে করেন উনি বিদেশ থেকে দেশে যাওয়ার মতো অবস্থায় আছেন, তখনই তিনি দেশে ফিরবেন।এবি

আজ ৬ জেলায় বিএনপির সমাবেশ
চার দফা দাবিতে জনদাবির ব্যানারে আজ থেকে কর্মসূচিতে নামছে বিএনপি। প্রথম দিনে ৯টি জেলায় সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হবে।গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও পতিত ফ্যাসিবাদের নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশের ৬৪ জেলায় ১২ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি আট দিনের সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়– আজ প্রথমদিন বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) লালমনিরহাটে সমাবেশে বক্তব্য দেবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিরাজগঞ্জে নজরুল ইসলাম খান, খুলনায় হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, পটুয়াখালীতে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সুনামগঞ্জে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী।আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দিনে যশোরে বক্তব্য দেবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, টাঙ্গাইলে স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, মাদারীপুরে সেলিমা রহমান, চাঁদপুরে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, ঠাকুরগাঁওয়ে ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বগুড়ায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, মৌলভীবাজারে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী এবং ভোলায় থাকবেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন।এবি

জামায়াত কার্যালয়ে এসে আমিরের সঙ্গে পাকিস্তান হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাতে তারা মিলিত হন এবং মতবিনিময় করেন।জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের মুজিবুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা হয় এবং ভ্রাতৃপ্রতিম উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পাকিস্তান হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার মুহাম্মাদ ওয়াসিফ ও পলিটিক্যাল কাউন্সেলর কামরান ধাংগল এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ.টি.এম মা’ছুম, মাওলানা আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন।এফএস

কোনো ভদ্র ও সভ্য মানুষ আওয়ামী লীগ করে না: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘কোনো ভদ্র ও সভ্য মানুষ আওয়ামী লীগ করে না‘। তিনি আরও বলেন, যারা শয়তান লোক তারাই আওয়ামী লীগ করে। সকল প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের লোক আছে। তাদেরকে ধরুন।মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মুগদায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক কর্মশালায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।মির্জা আব্বাস বলেন, এখন সংস্কার সংস্কার বলে একদল লোক পাগল হয়ে যাচ্ছে। ঘোষণা দিয়ে সংস্কার হয় না। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। যা করার করে ফেলেন। একটু তাড়াতাড়ি করেন। ঘোষণা দিয়ে দেরি করতে হয় না। যদি কারো চক্রান্ত না থাকে তাহলে ডিসেম্বরেই নির্বাচন হবে। দেশের জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন ব্যক্ত করে তিনি বলেন, অশুভ শক্তির কোনো কার্যক্রম এই দেশে বাস্তবায়ন হতে দেবে না বিএনপি। ইউনূস সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে বিএনপি।বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ভাবসাব এমন, নির্বাচন আসলে শুধু বিএনপিই নির্বাচনে যাবে, আর কেউ যাবে না। নির্বাচন এলে নাকে খত দিয়ে আসবেন, কারণ বিএনপি নির্বাচনের কথা বলেছে।এফএস
-67ab67bc07847.webp&width=400)
আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ: মামুনুল হক
যুগে যুগে যারাই ইসলামের কথা বলেছে, ইসলামের ছায়াতলে মানুষকে ডেকেছে তাদের উপর সব সময়ই বাতিলের গোষ্ঠী সম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রশক্তি নির্যাতন, নিপিড়ন করেছে। শত জুলুম নির্যাতনের পরেও দিনের এই দায়ীদের ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত করতে তারা পারেনি। বরং এই দেশে ইসলামি আন্দোলন আরো তীব্রতর হয়েছে। এই দেশে ইসলামি পতাকা পতপত করে উড়বে, সে দিন বেশি দুরে নয়। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ। উপরোক্ত কথাগুলো বলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মওলানা মামুনুল হক। মঙ্গলবার (১১ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের শিবপুর রোকেয়া আকবর মহিলা মাদ্রাসার আয়োজনে ৭তম খতমে বুখারী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরো বলেন, বর্তমান এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম গঞ্জে প্রতিটি মানুষের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে চাই। আমরা অনেক ধৈর্য ধারণ করেছি, আমরা অনেক বরদাশত করেছি এখন সারা দুনিয়া জোড়া ইসলামের বিজয় নিশ্চিত হতে চলেছে। আপনারা দেখেছেন, কিভাবে গত ১৫ বছর সারা দেশে একটি মানুষের মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। সে সব মূর্তি কিন্তু আজ আর নাই। এভাবেই ইসলাম এদেশে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।রোকেয়া আকবর মহিলা মাদ্রাসার সভাপতি আলহাজ্ব মওলানা আবুল হোসাইন এর সভাপতিত্বে মাহফিলে স্থানীয় ওলামায় কেরাম ও খেলাফত মজলিসের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।পিএম

তিস্তা অভিমুখে ২ দিনের কর্মসূচি, অংশ নেবেন তারেক রহমান-ফখরুল
তিস্তা নদী পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা নদী তীরবর্তী অঞ্চলে আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ২ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, কর্মসূচির সার্বিক তত্ত্বাবধান করবেন রংপুর বিভাগের বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু।বিএনপির সূত্র বলছেন, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ এই স্লোগানে দুদিনের কর্মসূচিতে তিস্তা নদীর কাউনিয়া সেতু, মহিপুর সেতু এবং তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টসহ বিভিন্ন পয়েন্টে তাঁবু করে এই সমাবেশ করবে দলটি।এই কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী দিনে রাজনৈতিকভাবে ভারতকে চাপে রাখা যাবে মনে করেন বিএনপির নেতারা। তারা বলছেন, চীনের অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ভারত চাপে থাকবে। তবে, বিএনপি মনে করেন তিস্তা মহাপরিকল্পনায় যদি ভারত অর্থায়ন করে এতে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে।বিএনপির মিডিয়া সেলের সূত্রে জানা গেছে, এর আগেও ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল তৎকালীন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতৃত্বে তিস্তা অভিমুখে লং-মার্চ করেছিল। সেই সময় উত্তরা থেকে লং-মার্চ গাড়িবহর যাত্রা শুরু হয়। যাওয়ার পথে গাজীপুর কালিয়াকৈর, টাঙ্গাইল বাইপাস মোড়, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেইসময় ২২ এপ্রিল রাতে রংপুরে যাত্রাবিরতি থাকে।পরদিন রংপুরে সমাবেশ পর নীলফামারীর ডালিয়া ব্যারেজ অভিমুখে লং-মার্চ যাত্রা শুরু হয়। ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারেজের কাছে সমাবেশের মধ্য দিয়ে দুই দিনের কর্মসূচি শেষ করে।গত ৯ ফেব্রুয়ারি রংপুরের কাউনিয়ার তিস্তা সড়ক সেতুর পাশে তিস্তা নিয়ে করণীয় শীর্ষক শুনানি করে অন্তর্বর্তী সরকার। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য চীনকে দুই বছরের সময় দিতে সম্মত হয়েছি দুটি শর্তে। আপাতত ৪৫ কিলোমিটারে ভাঙন রোধে বাঁধের জন্য টেন্ডার দেওয়া হবে।চীনের ঋণ নিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে বিশদ সমীক্ষা করতে দেশটি যে পরামর্শ দিয়েছে তারই পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী কার্যক্রম বাস্তবায়নে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার।গত বছরের ১৪ জুন সংসদে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছিলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের স্বার্থে সহজ শর্তের ঋণ পেতে চীন সরকারকে অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।উত্তরবঙ্গের তিস্তা নদী পাড়ের মানুষের দুঃখ লাঘবে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছিলেন, এজন্য চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় সমীক্ষাও করা হয়েছে।শায়রুল কবির খান বলেন, উত্তরাঞ্চল খরা পিড়িত এলাকায় ১৯৩৭ সাল তিস্তা ব্যারেজ নির্মাণ পরিকল্পনা হয়। কিন্তু দেশ স্বাধীন ১৯৭৯ সালে তা শুরু করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।তিনি আরও বলেন, ১৯৮৫ সালে সৌদি উন্নয়ন ও আইডিবি তহবিলে ১৯৯০ নির্মাণ শেষ হয়, ৫ আগস্ট চালু হয়। ৫ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা হয়।বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, যে তিস্তা নদী এক সময় সুখ-সমৃদ্ধির উৎস ছিল তা আর নেই, তিস্তা এখন উত্তরাঞ্চলের দুঃখের কারণ। উচ্ছল জলধারার এই নদীর পানি এখন হাটুর নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই তিস্তা নদী ও এর অববাহিকার মানুষকে রক্ষায় পানির ন্যায্য হিস্যা এবং মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা জরুরি।এবি

বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকে ‘অর্থ সংকটে’
দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। পরে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলের অনেক নেতাকর্মী। বর্তমানে তাদের বড় একটি অংশ অর্থ সংকটে রয়েছেন। দলটির জ্যেষ্ঠ নেতার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন আল-জাজিরার অনুসন্ধানি সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে নিজের ভেরিভায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান তিনি। তার স্ট্যাটাসটি নিচে দেওয়া হলো:আওয়ামী লীগের বেশ সিনিয়র একজন নেতার সাথে কথা বললাম, তিনি যা বললেন তার সারমর্ম হলো,"ধানমন্ডি ৩২ এ আক্রমণ হওয়ার আগ পর্যন্ত হাসিনা ও তার বোন রাজনৈতিক ভাবে বেশ নিষ্ক্রিয় ছিলেন, কিন্তু ভবনটি ধ্বংসের পর সম্প্রতি তারা বেশ সক্রিয় হয়েছেন, হাসিনা এই ঘটনার প্রতিশোধ নেয়ার জন্যে ক্রোধে উন্মাদ প্রায়। কিন্তু দেশে কোন নেতা না থাকায় কর্মীদের সংগঠিত করার মতো অবস্থা নেই। আর যেসব নেতা এখনো দেশে লুকিয়ে আছেন তারা এক প্রকারের আতংকে আছেন। এই সিনিয়র নেতা উল্লেখ করেন; যেসকল নেতা-নেত্রী বিদেশে পালিয়ে গেছেন তারা দলের কাউকে না জানিয়ে, শেখ হাসিনার ভারতে চলে যাওয়ায় বেশ ক্ষুদ্ধ, অনেকেই বলেছেন তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে।বিদেশে অবস্থানরত এ সকল নেতাদের একটা বড় অংশ বেশ অর্থ সংকটে আছেন বলেও তিনি জানান, কারণ এভাবে চলে যাওয়ার কারণে তারা কেউই তেমন টাকা পয়সা সাথে করে নিতে পারেননি। কারোই কোন প্রস্তুতি ছিলোনা। আর বেশিরভাগই সম্পদ গড়েছেন অন্যের নামে। যা আদায় করতে তাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি আমির হোসেন আমু এবং নসরুল হামিদ বিপু'র কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, আমু'র সবই অন্যায়ের নামে করা, আর বিপু'র দুবাইতে করা সব বিনিয়োগ রাজিব সামদানির মাধ্যমে হয়েছে, যা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সামদানি আর ফেরত দিচ্ছেন না। বিপু ও তার স্ত্রী এই মুহূর্ত ভারতে অবস্থান করছে বলেও তিনি জানান। তিনি আরো বলেন নেতাদের মধ্যে বেশিরভাগই ভারতে আছেন, ফজলে তাপস আছেন সিংগাপুর আর বাদ বাকীরা দুবাই-কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য, কয়েকজন অস্ট্রেলিয়াতে।বর্ডার পার হয়ে নিরাপদে কলকাতা পর্যন্ত পৌঁছতে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মাথাপিছু ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করছেন বলেও তিনি জানান।
চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ওসি মুজিবুর রহমান গ্রেফতার
রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনানের প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর মহাখালী, রামপুরা ও উত্তরায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে দুই পুলিশ সদস্যসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ওসি মো. মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হচ্ছে।
তিন ছাত্রকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় হামলা শিক্ষার্থীদের
ঢাকা উত্তরায় তিন ছাত্র আটকের ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানা ঘেরাওয়ের পর উত্তরা পশ্চিম থানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ হামলা চালান বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এ সময় উত্তরা পশ্চিম থানায় কর্তব্যরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মহাদেব আহত হয়েছেন।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ বিকেলে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের গাউসুল আজম এভিনিউ সড়কে উত্তরা পশ্চিম থানা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বৈঠক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। সেখান থেকে আকাশ, রবিন ও বাপ্পি নামের তিন ছাত্রকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আমাদের তিন সহপাঠী আকাশ, রবিন ও বাপ্পিকে আটক করে উত্তরা পূর্ব থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পূর্ব থানায় আমরা গিয়ে জানতে পারি, তিন ছাত্রকে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ আটক করে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশের হেফাজতে রেখেছে। এতে উত্তেজিত ছাত্ররা উত্তরা পশ্চিম থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। সেই সঙ্গে থানার গেটে হামলা চালিয়েছে।চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক ওই তিন ছাত্রকে পরে পুলিশ ছেড়ে দেয়। সন্ধ্যার পর থেকে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছাত্রদের বৈঠক চলছে।বিষয়টি নিশ্চিত করে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান সাংবাদিকদের বলেন, উত্তরা পূর্ব থানার কম্পিউটার ল্যাব রুমে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে পুলিশ। পুলিশের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়েছেন।এফএস

ঢাকায় এসে নিখোঁজ সুবা, সিসি ক্যামেরায় যা দেখা গেল
ক্যানসারে আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসার জন্য দু’মাস আগে বরিশাল থেকে ঢাকায় এসেছিল ১১ বছরের আরাবি ইসলাম সুবা। রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বয়সে ছোট ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে বাসা থেকে বের হয় সুবা। এরপর রাস্তা পার হতে গিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় নিখোঁজ হয় সে।ওই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, মোহাম্মদপুরের টোকিও স্কয়ারের সামনে সুবাকে দেখা গেছে। তবে সেখানে সুবার ফুফাতো ভাই ছাড়া আরেকজনও ছিল। তার সঙ্গে সুবাকে হাঁটতে দেখা গেছে।এদিকে শিশু সুবার নিখোঁজের ঘটনায় তার বাবা ইমরান রাজিব সোমবার সন্ধ্যায় আদাবর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।জানা গেছে, বরিশালের একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুবা। সম্প্রতি জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে তার মায়ের কেমোথেরাপি শুরু হয়। গত চারদিন আগে সুবাকে সঙ্গে নিয়ে মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের কাছে আত্মীয়ের বাসায় ওঠেন সুবার মা। রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফুপাতো ভাইকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয় সুবা। কৃষি মার্কেট এলাকার প্রিন্স বাজার এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় তার ভাই একটি গাড়িকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যায়। এরপর সুবা আর বাসায় পৌঁছায়নি।সুবার বাবা ইমরান রাজিব বলেন, স্ত্রীর ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য দুই মাস ধরে ঢাকায় বোনের (সুবার ফুফু) বাড়িতে আছি। সুবা নিখোঁজের ঘটনায় আদাবর থানায় জিডি করেছি। পুলিশ বলেছে তারা চেষ্টা করছে।এ বিষয়ে আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাকারিয়া বলেন, মেয়েটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আশপাশের একাধিক সড়কের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হচ্ছে।এবি

মহাখালীতে ট্রেন আটকে দিলেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাখালী রেলপথ অবরোধ করেছেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তিতুমীর কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে আসা শিক্ষার্থীরা এ অবরোধ করেছেন। কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলন করছেন।আজ বেলা সোয়া ৩টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তিতুমীর কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে মহাখালীর আমতলী মোড়ের দিকে অগ্রসর হন। এ সময় তিনজন অনশনকারী শিক্ষার্থীকেও হুইলচেয়ারে করে নেওয়া হয়। মিছিলে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল। এদিকে রেললাইন অবরোধের ফলে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন আটকে গেছে। লাল পতাকা দেখিয়ে ট্রেনটি থামানো হয়।আটকে যাওয়া ট্রেনটির লোকোমাস্টার লতিফ বলেন, উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৩টা ২৫ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসে। আমার ট্রেনের গতিসীমা ছিল ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার। এর মধ্যে তিতুমীর রেলগেটে দূর থেকেই লাল পতাকা ও মানুষের জটলা দেখতে পাই। পরে ট্রেনটি দ্রুত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে গতি কমিয়ে থামাতে সক্ষম হই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।

হাতিরঝিলে ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ সংঘর্ষ, কলা বিক্রেতাসহ গুলিবিদ্ধ ২
রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ দুপক্ষের গোলাগুলির মধ্যে জিলানী (৫৫) ও শুভ (১৭) নামে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাতিরঝিল থানাধীন ফুলন পুরাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।গুলিবিদ্ধ জিলানীর ছেলে সাইফুল জানান, তার বাবা উলন পুরাবাড়ি এলাকায় কলা বিক্রি করেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ দুর্বৃত্তরা গুলি ছোড়ে। এতে তার বাবা গুলিবিদ্ধ হন। তখন পাশে থাকা শুভ নামের একজনও গুলিবিদ্ধ হন। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, হাতিরঝিলের উলন এলাকা থেকে এক বৃদ্ধ ও এক কিশোরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তারা বর্তমানে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এমআর
চুয়াডাঙ্গায় গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রাম থেকে ৮ কেজি গাঁজা ও ৬ বোতল ফেনসিডিলসহ এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে দর্শনা থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে দর্শনা থানার রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের আলিম উদ্দীনের চায়ের দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর হতে মাদক কারবারি টিপু সুলতানকে (৪৬) এসব মাদকসহ আটক করা হয়। টিপু সুলতান ঐ গ্রামের আফাজ উদ্দীনের ছেলে। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তথ্য নিশ্চিত করা হয়।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলার সার্বিক দিকনির্দেশনায় ও দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহম্মদ শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এক মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এসময় তারা দর্শনা থানার রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের আলিম উদ্দীনের চায়ের দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর হতে মাদক কারবারি টিপু সুলতানকে গ্রেফতার করে। পরে তার হেফাজত হতে ৮ কেজি গাঁজ ও ৬ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।এআই
কুষ্টিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে একজন নিহত
কুষ্টিয়ার মিরপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় জেলার মিরপুর রেলওয়ে স্টেশন ও রেল ব্রিজের মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তি দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদরগা এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন চলে যাওয়ার পরপরই অন্ধকারে লাশটি দুই ট্রেন লাইনের মাঝে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তবে ধারণা করা হচ্ছে নিহত ব্যক্তিটি ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে কিংবা ট্রেন লাইন দিয়ে চলার সময় ধাক্কা লেগে মারা যেতে পারেন। প্রাথমিকভাবে ওই ব্যক্তির পকেটে থাকা কাগজ দিয়ে তার পরিচয় শনাক্ত করে স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়রা পোড়াদহ রেলওয়ে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।পোড়াদহ রেলওয়ে থানার ওসি জহুরুল ইসলাম বলেন, সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেসে কাটা পড়ে বয়স্ক ব্যক্তিটির মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় এবং তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়না তদন্তে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।এমআর-২

মহেশপুর সীমান্তে ১৪ বাংলাদেশি আটক
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে তিন শিশুসহ ১৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। একই সঙ্গে পৃথক অভিযানে ৭২ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিজিবির শ্যামকুড়, পলিয়ানপুর, কুসুমপুর এবং লড়াইঘাট বিওপি পৃথক অভিযান চালিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় ১৪ জন বাংলাদেশিকে আট করে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে তিনটি শিশু, একজন নারী এবং ১০ জন পুরুষ রয়েছেন। এছাড়া নিমতলা বিওপির বিজিবি সদস্যরা এক অভিযানে ৭২ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করেন। এ বিষয়ে মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ উদ্দিন মৃধা জানান, আটক তিন শিশুকে যশোরে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। অন্য ১১ জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা শেষে আদালতে পাঠানো হবে। তবে তদন্তের স্বার্থে আটক ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এমআর-২

সৌদিতে স্বামীর মৃত্যুর খবরে মারা গেলেন স্ত্রীও, একসঙ্গে জানাযা-দাফন
সৌদি আরবে ওমরা হজ করতে গিয়ে মারা গেছেন স্বামী সেই খবর শুনে মারা গেলেন তার স্ত্রীও। একসঙ্গে হয়েছে তাদের জানাযা ও দাফন। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাদিয়াপাড়া পশ্চিম পাড়া গ্রামে।গত জানুয়ারি মাসের ২৩ তারিখে সৌদি আরবে পবিত্র ওমরা হজ করতে যান ফজলুল রহমান (৬৫)। ওমরা হজ পালনকালে সৌদি আরবে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের ৬ তারিখে মারা যান তিনি। পরে দুই দেশের আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ বুধবার দেশে আছে।এদিকে স্বামীর মৃত্যু ও লাশ ফেরার খবর শুনে ফজলুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন (৫৫) গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বামন্দীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বেই মারা যান।বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ফজলুল রহমানের লাশ এসে পৌঁছায় তারা নিজ গ্রাম বাদিয়াপাড়া পশ্চিম পাড়ায়। কবরে নেওয়ার পূর্বে গোসল শেষে সাদা কাফন পড়িয়ে স্বামী-স্ত্রীর লাশ রাখা হয়েছে পাশাপাশি। তাদের আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা শেষ দেখার জন্য এসে ভিড় জমিয়েছে তাদের বাড়িতে।এদিকে একসঙ্গে বাবা-মার মৃত্যুর খবরে শোকে কাতর তাদের সন্তান। মৃত ফজলুল রহমান ও রহিমা খাতুনের একমাত্র ছেলে কাফিরুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা গত মাসের ২৩ তারিখে সৌদি আরবে ওমরা হজ পালন করতে গেছিলো। ওমরা হজ পালনকালে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফেব্রুয়ারি মাসের ৬ তারিখে মারা যায় তিনি। বাবার মৃত্যুর খবর শুনে আমার মা শোকে কাতর হয়ে পড়েন। আজকে লাশ আসার খবর শুনে গতকাল তিনি মারা যান। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় জানাযার নামাজের শেষে তাদের বাদিয়াপাড়া কবরস্থানে পাশাপাশি দাফন করা হয়।বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শাহ আলম জানান, আমার ইউনিয়নের বাদিয়াপাড়া গ্রামে সৌদি আরবে ওমরা হজ করতে গিয়ে মারা গেছেন ফজলুল রহমান এই খবর শুনে তার স্ত্রী ও মারা গেছে গতকাল। আজ সকালে তাদের জানাজাও দাফন সম্পন্ন হয়। আসলে স্বামী স্ত্রীর একসাথে মারা যাওয়ার ঘটনাটি খুবই বেদনাদায়ক।এআই

নড়াইল জেলা কৃষক দলের আহবায়ক কমিটি স্থগিত
অনিবার্য কারণে নড়াইলে জেলা কৃষক দলের তিন সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহবায়ক কমিটি ঘোষণার পরদিনই স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই কমিটি স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।এর আগে গতকাল সোমবার কমিটিতে হিমায়েত হুসাইন ফারুককে আহবায়ক, রবিউল ইসলাম রুবেলকে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক, শোয়েব মিনাকে সদস্য সচিব করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে, জাতীয়তাবাদী কৃষকদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গতকাল ১০ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত নড়াইল জেলা শাখার তিন সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহবায়ক কমিটি অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আহবায়ক কমিটির ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত জানানো হবে।গতকাল জেলা কৃষক দলের আহবায়ক কমিটি ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। নিবেদিতদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সঙ্গে সখ্য থাকা চেয়ারম্যান হিমায়েত হুসাইন ফারুককে আহবায়ক করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। অনেকেই আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সঙ্গে থাকা হিমায়েতের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে সমালোচনা করেন। মঙ্গলবার দুপুরে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ওই কমিটি বাতিলের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।এআই
ওসি-এসআইসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার চাঁদাবাজির মামলা
চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার ওসি (তদন্ত) বাবুল আজাদসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তা ও আরও চারজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা বিএনপি নেতা মামুন আলী ওরফে কিং আলীর কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় তাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নির্যাতন করা হয় এবং তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালিয়ে মালামাল লুট করা হয়।মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসেনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মামুন আলী। শুনানি শেষে আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফুর রহমান বলেন, "আমার মক্কেল একজন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তাকে নির্যাতন করা হয়, যা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা ন্যায়বিচারের আশায় আছি।"মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— পাহাড়তলী থানার ওসি (তদন্ত) বাবুল আজাদ, এসআই মানিক ঘোষ, এসআই আসাদুল হক, এসআই কিশোর মজুমদার। এসএস ট্রেডিংয়ের সত্ত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম সুমন, ব্যবস্থাপক আরিফ মঈনুদ্দিন, উপ-ব্যবস্থাপক মো. আমান এবং সুপারভাইজার দিদার হোসেন সজিব।মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর মামুন আলী বন্দর এলাকার জিএইচ এন্টারপ্রাইজ থেকে ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার বিনিময়ে ২০ হাজার টন পাথর কিনেছিলেন। ওই পাথরগুলো তিনি পাহাড়তলী টোল রোডের কিং আলী গ্রুপের ডিপোতে সংরক্ষণ করেন।এরপর, ১৭ অক্টোবর অভিযুক্তরা ডিপোর কার্যক্রমে বাধা দেন এবং এসআই মানিক ঘোষ বাদীকে থানায় ওসির সঙ্গে দেখা করার জন্য বলেন। সন্ধ্যায় থানায় গেলে ওসি (তদন্ত) বাবুল আজাদ তার কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে থানায় আটকে রেখে মারধর করা হয়। পরদিন তাকে একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।১৯ অক্টোবর বিএনপি মামুন আলীকে দল থেকে বহিষ্কার করে। এর মধ্যে ২৪ অক্টোবর অভিযুক্তরা ৩০টি ট্রাক নিয়ে এসে ডিপোর সব মালামাল লুট করে নিয়ে যান।এই প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নোয়াখালীতে বিনামূল্যে ফিজিওথেরাপি উপকরণ বিতরণ করল 'আশা'
নোয়াখালীর সদরে অসহায় মানুষের মাঝে বিনামূল্যে ফিজিওথেরাপি সংশ্লিষ্ট উপকরণ বিতরণ করেছে এনজিও সংস্থা আশা।বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে নোয়াখালী সদরের মাইজদী স্টেডিয়াম পাড়ায় এন লিটল স্টার কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের আঙিনায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশা'র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিনিয়র ডিস্ট্রিক ম্যানাজার মো.তাজুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আশা এমন একটি এনজিও সংস্থা যে সংস্থা মানবিক সকল বিপর্যয়ে দুর্যোগ দূর্বিপাকে মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, ফিজিওথেরাপি সেবা তেমনই একটি উদ্যোগ। আমাদের এই চিকিৎসাসেবা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। অসুস্থ সকলেই এই সেবা নিতে পারেন।এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ এনজিও সংস্থা আশা'র প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট মো. সফিকুল হক চৌধুরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মানবিক চিকিৎসা সেবার আয়োজন করা হয়।কর্মসূচিতে ১০০ জন অসুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে চিকিৎসা সরঞ্জাম ফিজিওথেরাপি সংশ্লিষ্ট উপকরণ কোমরের বেল্ট, ঘাড়ের বেল্ট, হাতের বেল্ট, কনুইয়ের বেল্ট, ওয়াকিং স্টিক, পুলি, স্কুইজিং বল বিতরণের পাশাপাশি অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট ফারহানা রহমান ও এস এম ইমাদুল ইসলাম ফিজিওথেরাপি বিষয়ে পরামর্শ ও সেবা প্রদান করেন।এ সময় কর্মসূচিতে আশা'র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিনিয়র ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মো. শাহজাহান ভূঁইয়া, নোয়াখালী সদর অঞ্চলের আর এম প্রভাত কুমার বিশ্বাস, নোয়াখালী সদর সিনিয়র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোস্তফা কামাল, সিনিয়র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার (নোয়াখালী সদর ২) জাকারিয়া ফেরদৌস, বেগমগঞ্জ এসএমই ব্রাঞ্চ ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম, বাংলাবাজারের সিনিয়র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার পবিত্র কুমার দাসসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ এবং স্থানীয় সেবা গ্রহীতা ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।এমআর-২

চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৩
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় কাঠ বোঝাই চাঁদের গাড়ি ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৩ জন।মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের মরিয়মনগর চৌমুহনী বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত হাফেজ মোহাম্মদ ফুরকান (৪৫) তিনি উপজেলার চন্দ্রঘোনা কালুগোট্টা এলাকার মো. হোসেনের ছেলে। আহতরা হলেন- সাতকানিয়া উপজেলার মো. পারভেজ এবং বাকী দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে দুজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং একজনকে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার এসআই আখতার হোসেন জানান, সিএনজিটি কাপ্তাইয়ের দিকে এবং চাঁদের গাড়িটি রোয়াজারহাটের দিকে যাচ্ছিল। মুখোমুখি সংঘর্ষে চাঁদের গাড়িটি উল্টে সিএনজির ওপর পড়ে যায়। এতে সিএনজিটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং চারজন আহত হন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মধ্যে একজনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ চালান এবং দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি সড়িয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম জানান, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এআই

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া প্রদান
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরকালীন (লাম্প গ্রান্ড, আনুতোষিক ও ভবিষ্যৎ তহবিল) বকেয়া টাকা প্রদান করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আয়োজনে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পৌরসভা হল রুলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও পৌরসভার প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন। এ সময় বক্তব্য রাখেন পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ ফারাবী, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা প্রাণ গোপাল প্রমুখ। এতে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার কর্মচারী এসোসিয়েশনের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালাম আজাদ, সদস্য সচিব মাসুদুর রহমান, সদস্য আজাদ হোসেন, রাজু আহমেদ। পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, বিগত দিনে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার অবসরপ্রাপ্ত ২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাঝে অবসরকালীন বকেয়া ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকার মধ্যে আজ পৌরসভার প্রশাসকের উদ্যোগে ১ কোটি ১১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। পৌরসভার প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, বিগত দিনে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার প্রায় ২৬কোটি টাকা ঋণ ছিলো। এটি অত্যান্ত দুঃখজনক। "ক" শ্রেণীর পৌরসভা হয়েও এমন পৌরকার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করেছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ঋণ পরিশোধ করার চেষ্টা করছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কিছু বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে। আস্তে আস্তে বাকি ঋণও পরিশোধ করা হবে।এমআর-২

অবৈধ ইটভাটার আগুন নিভিয়ে দিল প্রশাসন
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটা বন্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা প্রশাসন দুটি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারিস্তা করিম।ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের মাদারবাড়ি এলাকায় অবস্থিত অবৈধ ইটভাটা নূর হোসেন ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের আগুন ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় পানি দিয়ে নিভিয়ে ভাটার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং লাইসেন্স ব্যতীত কোনো কার্যক্রম ভবিষ্যতে চলমান রাখা যাবে না মর্মে কঠোর হুঁশিয়ারি বার্তা প্রদান করা হয়।এছাড়াও উপজেলার দক্ষিণ ঢেমশাস্থ গাউছিয়া ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের মালিকপক্ষ এবং ম্যানেজারকেও লাইসেন্স হালনাগাদকরণ ব্যতীত ইটভাটার কোনো কার্যক্রম চালানো যাবে না মর্মে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়। আগামী এক মাসের মধ্যে লাইসেন্সের কাগজপত্র হালনাগাদ করার সময় বেধে দেওয়া হয়।অভিযানে সহযোগিতা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন ফয়সল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করেন আনসার ও থানা পুলিশ।অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারিস্তা করিম বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০), পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ (সংশোধিত ২০০৭) এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রদান করা হবে। উপজেলা প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।এমআর-২
টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের ওপর হামলার মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ সন্দেহে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় বিজয় বাড়ৈ নামে এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার বিজয় বাড়ৈ (৫৫) ডুমুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও লেবুতলা গ্রামের বিমল বাড়ৈর ছেলে।এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খোরশেদ আলম।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সন্দেহে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সম্পৃক্ততা থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল এ্যন্ড কলেজের সামনের আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লিফলেট বিতরণ করা বন্ধ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডা বাধে তাদের। এসময় আওয়ামী লীগ সন্দেহে সাফায়েত গাজী নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশ। এসময় পুলিশের গাড়ি আটকে ভাঙচুর করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।আরও জানা যায়, হামলার ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তা দিতে বেশ কয়েকটি সাজোয়া যান নিয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার সামনে সারারাত অবস্থান করছিলো সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ১৭১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩৫০ জনকে আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানা একটি মামলা দায়ের করেন এসআই রাব্বি মোরসালিন।এআই
টাঙ্গাইলের যে মেলায় ডুব দিয়ে হয় ‘পাপমোচন’
টাঙ্গাইলের বাসাইল কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সৈয়দামপুর গ্রামে বংশাই নদীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দিনব্যাপী ডুবের মেলা। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ডুবের মেলা যুগ যুগ ধরে পালিত হচ্ছে। মাঘী পূর্ণিমায় এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। যা মানুষের মুখে মুখে ডুবের মেলা নামে পরিচিত। স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এই মেলায় নদীতে পূণ্যস্নান করলে পাপমোচন হয়।সরেজমিনে দেখা যায়, মেলায় জেলার দূর দূরত্ব থেকে আগত জনগণ পূজা ও স্নান পর্বে অংশগ্রহণ করে। বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে স্নান উৎসব। নারী-পুরুষ ও কিশোর-কিশোরী ম্নান উৎসবে অংশ নেন। তারা জমির আইল ধরে ডুবের মেলা আসেন। স্নান উৎসবে অংশ নেওয়া পূণ্যার্থীরা বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের পাপ মোচন উপলক্ষে ভোরে মানত ও গঙ্গাস্নান পর্ব সমাপণ করেন। গঙ্গাস্নান করলে সাড়া বছরের পাপ মোচন হয়। মনের আশা ও বাসনা পূরণ হয়। এই স্নান অংশ নিলে পূর্ণ মিলে। দুর-দুরান্ত থেকে লোকজন আসে গঙ্গাস্নানে অংশ নিয়ে তাদের মনের বাসনা পূরণ করে।এই মেলা ব্রিটিশ শাসনামলে বক্ত সাধু নামে খ্যাত এই সন্যাসীর (মাদব ঠাকুর) মূর্তি প্রতিস্থাপন করে পূজা অর্চনা শুরু করেন। এই পূজা উপলক্ষে তখন থেকে গঙ্গাস্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তখন থেকে এটা ডুবের মেলা নামে পরিচিত। ডুবের মেলায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ম্নান উৎসব চলে। নারী-পুরুষ ও কিশোর-কিশোরী ম্নান উৎসবে অংশ নেন।স্নানে অংশ নেওয়া শান্তি রায় বলেন, আমি টাঙ্গাইল শহর থেকে আজকে মাঘী পূর্ণিমার মেলায় আসছি। এখানে আমি ১০-১২ বছর ধরে আসি। এখানে এসে স্নান করি অনেক ভালো লাগে। আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি পূর্ণ্য স্থান। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত গঙ্গাস্নান হয়। প্রায় ১০০ বছরের উপরে এই গঙ্গাস্নান চলে আসছে। ডুবের মেলায় যারা আসে তারা মনের বাসনা নিয়ে গঙ্গাস্নান করতে আসেন। গঙ্গাস্নান করলে মনের বাসনা পূরণ হয়।স্নানে অংশগ্রহণ করতে আসা আরতি রায় বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করে যে আজকে এই মাঘীপূর্ণিমার তিথিতে উত্তর বাহিত জলে স্নান করলে সাড়া বছরের পাপ মোচন হয়। অনেকের মনে আশা থাকে যে স্নান করলে তাদের মনের আশা পূরণ হয়। যাদের ছেলে-মেয়ে হয় না তারা এখানে এসে স্নান করে। একেক জনে একক রকমের বাসনা নিয়ে এসে স্নান করে। মিষ্টি বিক্রেতা ফজল আলী বলেন, আমি ৩২ বছর ধরে এই মেলায় আসি। মেলায় ভালোই মিষ্টি বিক্রি হয়। মেলায় ১০-১২ মণ মিষ্টি বিক্রি করা যায়। মেলায় অনেক লোকের সমাগম হয়।পুরোহিত রবিন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, পূর্ব পুরুষ থেকে এই গঙ্গাস্নান শুরু হয়েছে। এই গঙ্গাস্নানকে বলে মাঘীপূর্ণিমার গঙ্গাস্নান। ১৫-২০ জন পুরোহিত এই গঙ্গাস্নানে এসেছে। দূর-দুরান্ত থেকে লোকজন এসেছেন গঙ্গাস্নানে অংশ গ্রহণ করে। পূণ্যার্থীরা তাদের মনের বাসনা নিয়ে এখানে আসেন। তারা ডুব দিলে তাদের মনের বাসনা পূর্ণ হয়।কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আল মামুন বলেন, পূর্বপুরুষ থেকেই এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মাঘী পূর্ণিমায় ডুবের মেলা পালন করে থাকেন। মেলা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসেন। এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা দিচ্ছে। এমআর-২

আশুলিয়ায় অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ৫
আশুলিয়ায় 'অপারেশন ডেভিল হান্ট' পরিচালনা করে অস্ত্রসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে ভোর পর্যন্ত আশুলিয়ার জামগড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ জেলা সদর থানার ছোনগাছা এলাকার মো. মিন্টু মিয়ার ছেলে রানা মিয়া (৩২)। তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যরা হলেন- আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার মৃত আঃ মালেক মোল্লার ছেলে মো. রাজা মোল্লা (৪০), আশুলিয়ার খেজুর বাগান এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে মো. মশিউর রহমান (৩৮) ও আশুলিয়ার রোস্তমপুর এলাকার মৃত জগন্নাথ শাহার ছেলে বিজয় গোপাল শাহা (৬৫) ও আশুলিয়ার কাঠগড়া দুর্গাপুর এলাকার আঃ গনির ছেলে আমিনুল ইসলাম সুমন (৩১)। এদের মধ্যে বেশিরভাগই আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির জানান, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানির পায়তারা, চাঁদাবাজি ও বৈষম্যবিরোধী কার্যকলাপের দায়ে 'অপারেশন ডেভিল হান্ট' পরিচালনা করা হয়। এসময় আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ দুপুরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।এআই

রাজবাড়ীতে সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
রাজবাড়ীতে মাছরাঙা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক ইমরান হোসেন মনিমের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার সময় রাজবাড়ীতে কর্মরত সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।মানববন্ধনে সাংবাদিকরা বলেন, সাংবাদিক ইমরান হোসেন মনিমের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে কিন্তু ৪৮ ঘন্টা পার হলেও কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি প্রশাসন। আগামী ২৪ ঘটনার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা না হলে আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির কথা বলেছেন তারা।সাংবাদিক ইমরান হোসেন মনিমের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাংবাদিকরা। এ সময়ে জেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার শতাধিক সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।এর আগে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার চরপাতুরিয়া বালু মহলের ইজহারকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় পেশাগত কাজে ভিডিও ধারণ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ১৫/২০ জনের একদল সন্ত্রাসী মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক ইমরান হোসেন মোনিমের ওপর হামলা করে এবং এলোপাতারি ভাবে মারধর করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে রক্তাক্ত করে জখম করা হয়। পরে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।এমআর-২

আশুলিয়ায় হত্যা মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার
আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মশিউর রহমান (৩৮) কে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে আশুলিয়া ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মশিউর ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন আশুলিয়া গ্রামের মৃত নূরুল হকের ছেলে। সে আশুলিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। ডিবি পুলিশ সুত্রে জানা যায়, অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনাকালে রাতে আশুলিয়া এলাকা থেকে ছাত্র জনতা হত্যা মামলা ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার আসামি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মশিউরকে গ্রেফতার করা হয়। ডিবি ঢাকা জেলা উত্তরের ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মশিউরের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।এআই
গলাচিপায় ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
পটুয়াখালীর গলাচিপায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জাহানারা বেগমকে (৪৮) ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার রাত ৯টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চিকনিকান্দি ইউনিয়নের পূর্ব মাঝগ্রামে নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় জাহানারা বেগমের বাসা থেকে ১৫৯২ পিচ ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ ২১ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। আটককৃত ইয়াবার বাজারমূল্য আনুমানিক ৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক প্রেসব্রিফিংয়ে গ্রেফতার ও মাদক জব্দের তথ্য বিস্তারিত জানান পুলিশ। গলাচিপা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জয়নাল আবেদীন জানান, দীর্ঘদিন ধরে জাহানারা বেগম গলাচিপা ও আশপাশের এলাকায় মাদক সরবরাহ করতেন। এ কাজে তার সহযোগী ছেলে ওয়াহিদ প্যাদা, যিনি একজন ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধেও একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।গলাচিপা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ জাহানারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণির ১০(ক) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।এলাকাবাসীর অভিযোগ, জাহানারা বেগম দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যার ফলে এলাকার যুবসমাজ নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছিল। তার গ্রেফতারে স্থানীয়রা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।এআই
বাড়িতে আগুন নিয়ে যা বললেন কাফির বাবা
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে বিভিন্ন ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলা কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির বাড়ি। এ ঘটনায় অল্পের জন্য বেঁচে যান তার মা-বাবাসহ পরিবারের ছয় সদস্য। এদিকে এই অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত বলে অভিযোগ করেছেন কাফি।এর প্রতিবাদে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানাধীন তার পোড়াবাড়িতে সাংবাদিকদের ডেকেছেন তিনি।এ ঘটনায় কাফির বাবা মাওলানা মো. এবিএম হাবিবুর রহমান বলেন, বাইরে থেকে দরজা আটকে ঘরে আগুন দেওয়া হয়। যে যার মতো করে দরজা ভেঙে বের হয়েছি। আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে গেছে, আর কিছু নেই। আমাদের পুড়িয়ে মারার জন্যই এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এর তদন্তপূর্বক বিচার চাই।তিনি আরও জানান, আগুনে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মো. ইলিয়াস হোসাইন জানান, রাত সোয়া ২টার দিকে আমাদের মোবাইলে কল আসে নুরুজ্জামান কাফির বাসায় আগুন লেগেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে যাই। যাওয়ার পর দেখি আগুন সিলিংয়ে উঠে গেছে। আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যই আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সক্ষম হই। পাশের গোয়াল ঘরটাকে নিরাপদ রাখতে পেরেছি। মানুষের কোনো ক্ষতি হয়নি। বাড়ির সবাই নিরাপদে ও অক্ষত আছে।এমআর-২

গলাচিপায় ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
পটুয়াখালীর গলাচিপায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জাহানারা বেগমকে (৪৮) ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চিকনিকান্দি ইউনিয়নের পূর্ব মাঝগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গ্রেফতার ও মাদক জব্দের তথ্য বিস্তারিত জানান পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জয়নাল আবেদীন। জানা যায়, গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) আশাদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল অভিযানে অংশ নেয়। অভিযানে ছিলেন এসআই বেল্লাল হোসেন, এসআই হাসিবুর রহমান তুষার, এএসআই সাইদুল ইসলাম ও এএসআই হুমায়ুন। এ সময় জাহানারা বেগমের বাসা থেকে ১৫৯২ পিচ ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ ২১ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। আটককৃত ইয়াবার বাজারমূল্য আনুমানিক ৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জাহানারা বেগম গলাচিপা ও আশপাশের এলাকায় মাদক সরবরাহ করতেন। এ কাজে তার সহযোগী ছেলে ওয়াহিদ প্যাদা, যিনি একজন ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধেও একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।গলাচিপা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, "মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ জাহানারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণির ১০(ক) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।"এলাকাবাসীর অভিযোগ, জাহানারা বেগম দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যার ফলে এলাকার যুবসমাজ নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছিল। তার গ্রেফতারে স্থানীয়রা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।এমআর-২

কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফির ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই
জুলাই আন্দোলনের পক্ষে ও বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলা পটুয়াখালীর কলাপাড়ার জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির গ্রামের বাড়ি দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাসে এ অভিযোগ করেন কাফি।এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘মধ্যরাতে আমার বাড়ির ঘর, রান্না-ঘর সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দিয়েছে। কোন দেশের জন্য, কাদের জন্য কথা বলছিলাম? যুদ্ধ করেছিলাম এবং করছি। নিরাপত্তা পাইনি।’কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মো. ইলিয়াস হোসাইন বলেন, রাত সোয়া ২টার দিকে আমাদের মোবাইলে কল আসে নুরুজ্জামান কাফির বাসায় আগুন লেগেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে যাই। যাওয়ার পর দেখি আগুন সিলিংয়ে উঠে গেছে। আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যই আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সক্ষম হই। পাশের গোয়াল ঘরটাকে নিরাপদ রাখতে পেরেছি। মানুষের কোনো ক্ষতি হয়নি। বাড়ির সবাই নিরাপদে ও অক্ষত আছে।উল্ল্যেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি শুরু করেন কাফি। বরিশালের আঞ্চলিক ভাষাতেই ভিডিও তৈরি করেন তিনি। তার ভিডিওগুলোয় হাস্যরসের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সময়ের সংকটময় পরিস্থিতিসহ অসামঞ্জস্য, অসংগতি, দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদ থাকে।এর আগে বইও লিখেছেন তিনি। যা এবারের বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু মেলার শুরুর দিক থেকে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে জায়গা করে নেন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি এক ভিডিওতে এ নিয়ে দুঃখও প্রকাশ করেন তিনি।কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফি বলেন, আমার সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। যে যেখান থেকে যেভাবে পারছেন সমালোচনা করতেছেন। এই যে আলিঙ্গনের যে ছবিটা (অন্য একটা মোবাইল ফোনে একটি মেয়েকে আলিঙ্গনের ছবি দেখিয়ে) মানুষকে গিলাচ্ছেন। বলা হচ্ছে, জড়াজড়ি করছে কাফি। আরে ভাই, এটা ভ্যালেনটাইনস ডে উপলক্ষে একটি নাটকের ক্লিপ। সেখান থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে ভুল বুঝাচ্ছেন মানুষকে।কাফি আরও বলেন, বইমেলায় এক বান্ধবীর হাত ধরেছি। সেটি নিয়ে এতদূর আসার কথা নয়। এরপরও আমি আমার জায়গা থেকে সরি বলেছি। আমি এখনো সরি বলছি। বইমেলার মতো এমন জায়গায় হাত ধরা ঠিক হয়নি।এমআর

জামায়াত প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিলে বিএনপিপন্থীদের বাধা, পিপিসহ আহত-২
পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জামায়াত ইসলামীর প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিল করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এমনকি এ ঘটনার সময় নারী ও শিশু আদালতের পিপি এবং জামায়াতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিনকে মারধর করা হয়। রুহুল আমি বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত আইনজীবী অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন বলেন, ‘পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনা করা হয়নি। তাই জামায়াত আলাদাভাবে ৯টি পদেই প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন এবং জেলা জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান সভাপতি ও অ্যাডভোকেট মো. মহিউদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীসহ ৯টি পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের সিদ্ধান্ত নেয়। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নির্বাচন কমিশনার কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় তাদের বাধা দেয়া হয় এবং প্রার্থীদের মারধর করে বিএনপিপন্থী একটি অংশের আইনজীবীরা। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের সব প্রার্থীদের জামানতের এক লাখ টাকা আমার কাছে ছিল। ওই টাকাও নিয়ে যায়। ফলে আমাদের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেননি’। এ প্রসঙ্গে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শরীফ মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এ অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। এ ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি আইনজীবী সমিতি চত্বরে। বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তারা এসব রটাচ্ছেন’। এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এটিএম মোজাম্মেল হক তপন বলেন, ‘এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন ৫ আগস্টের আগে আওয়ামীলীগের ছিলেন। এখন জামায়াতের কাধে ভর করেছে। তাই তাকে দেখে আইনজীবীদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। এখন স্বাভাবি হয়েছে এবং জামায়াতের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন’। প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হবার কথা রয়েছে এবং আজ মঙ্গলবার ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এমআর
সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় জিরা, চিনি ও ফেনসিডিল জব্দ
শেরপুরের নালিতাবাড়ী এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবি’র পৃথক অভিযানে চোরাই পথে আনা ৩ হাজার ৮৪০ কেজি ভারতীয় জিরা এবং চিনি ও ফেনসিডিল জব্দ করেছে বিজিবি।মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন ৩৯ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মাদ সানবীর হাসান মজুমদার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।বিজিবি জানায়, মঙ্গলবার ভোররাতে বিজিবি অধিনায়কের নেতৃত্বে হালুয়াঘাটের আইলাতলী বিওপি’র রাংরাপাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে একটি কার্ভাডভ্যান ভর্তি ৩ হাজার ৮৪০ কেজি ভারতীয় জিরা, সোমবার ভোররাতে বান্দরকাটা বিওপি’রর বেলতলী থেকে ২টি সাইকেল ও ১৮০ কেজি চিনি, ঘোষগাঁও চন্দ্রকোনা সীমান্ত থেকে ৯০ কেজি চিনি এবং রামচন্দ্রকুড়া বিওপি’র পানিহাটা সীমান্ত থেকে ২২ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করে বিজিবি জওয়ানরা। তবে অভিযানের খবর পেয়ে চোরাকারবারীরা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। বিজিবি জানায়, জব্দকৃত এসব ভারতীয় পণ্যের মূল্য প্রায় ১ কোটি ২৬ লাখ ৭১ হাজার টাকা।ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন ৩৯ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মাদ সানবীর হাসান মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এআই
ত্রিশালে যুবলীগ নেতাসহ ৫ জন গ্রেফতার
ময়মনসিংহের ত্রিশালে অপারেশন ডেভিল হান্ট ত্রিশাল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে যুবলীগ ও শ্রমিকলীগের নেতাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ত্রিশাল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে জসিম উদ্দিন বাচ্চু (৪০), শ্রমিকলীগ ত্রিশাল পৌর শাখার সভাপতি গোলাম মোস্তফার ছেলে রুবেল সরকার (৩৫)। এছাড়াও বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি উজানপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া, গুজিয়াম এলাকার জহুর উদ্দিনের ছেলে রুবেল মিয়া, গুজিয়াম এলাকার আব্দুর রশীদের ছেলে স্বপন মিয়া।ত্রিশাল থানা অফিসার ইনচার্য মনসুর আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সদর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি বাচ্চুকে রাগামারা ও পৌর শ্রমিকলীগের সভাপতি রুবেল সরকারকে নওধার জিরো পয়েন্ট থেকে আটক করা হয়। তাদেরকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর গত ৪ আগষ্ট হামলার ঘটনার মামলায় তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এছাড়াও সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামিকে মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।এআই

শেরপুরে ট্রাক্টর চাপায় প্রাণ গেল শিশুর
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মাটিবাহী ট্রাক্টর চাপায় শিশু নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার গৌবিন্দনগর গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত শিশুটির নাম কাউসার (৬)। নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন। শিশু কাউছার একই গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, নিজ বাড়ির পাশেই কাঁচা রাস্তায় খেলছিল কাউছার। একই সড়কে চলাচল করা মাটিভর্তি ট্রাক্টর শিশুটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় কাউছার। টের পেয়ে চালক ও সহযোগী ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন।নালিতাবাড়ী থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, টাক্ট্রর চাপায় শিশু মারা গেছেন। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।এফএস
-67ab65c1df863.webp)
নেত্রকোনায় অবৈধ ভেটেনারি ওষুধ কারখানায় অভিযান
নেত্রকোনায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিনা ছাড়পত্রে ভেটেনারি ওষুধ প্যাকেজিং ও সংরক্ষণের দায়ে রেডিয়েট এগ্রি কেয়ার সাইন্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে একমাসের জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শহরের পৌর এলাকার শিবগঞ্জ রোডের আজিজ তালুকদারের বাড়িতে সেনাবাহিনীর, পুলিশ ও প্রাণিসম্পদের যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সেখানে রেডিয়েট এগ্রি কেয়ার সাইন্স নামের অবৈধ ওষুধ তৈরীর কারখানায় কয়েক ঘণ্টা অভিযান শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মেহেদী হাসান ভোক্তা অধিকার আইনে এই সাজা প্রাদান করেন। এছাড়াও ঔষধসহ মামলামাল জব্দ করে যৌথ বাহিনী। সাজাপ্রাপ্ত মো. মোস্তাফিজুর রহমান জামালপুর জেলার ঘুরাদাপ ইউনিয়নের চিতলিয়া গ্রামের বাসিন্ধা। তিনি নেত্রকোনায় এসে গেল দুবছর যাবৎ এই অবৈধ কারখানায় ঔষধ তৈরীর ব্যবসা করছেন। নেত্রকোনা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন নুহাসের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা কালে কন্টেইনার হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, ক্যামিকেল, সিপ্রম্যাক্স ১০ গ্রাম পাউডার (১৫০) প্যাকেট, অক্সিমিক্স ১০ গ্রাম (৪০০) প্যাকেট জব্দ করা হয়েছে। অভিযানিক দল সূত্রে জানা গেছে, মুস্তাফিজুর রহমান পূর্বে একটি ওষুধ কম্পানিতে ১৮ বছর চাকরী করেছেন। গত দুই বছর আগে নেত্রকোনার শিবগঞ্জ রোডে বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র দেখিয়ে আজিজ তালুকদারের কাছ থেকে ওষুধ তৈরীর জন্য বাড়িটি ভাড়া নেন। পরবর্তীতে যাবৎ একজন কর্মচারী নিয়ে এবং গত ছয় মাস যাবৎ একজন কর্মচারী নিয়ে ওষুধ তৈরি করে আসছেন। তিনি তার রেডিয়েট এগ্রি কেয়ার সাইন্স কম্পানির নামে ঔষধ সংক্ষণের জন্য একটু লাইসেন্স থাকলেও দুই বছর আগে তার মেয়াদ শেষ হয়। গত দুই বছর যাবৎ এখানে তিনি বিভিন্ন প্রকার ভেটেনারি ওষুধ তৈরি করে আসছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালালে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ কেমিক্যাল ব্যবহার অনুপযোগী অনেক ধার্য পদার্থ জব্দ করা হয়।এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মেহেদী হাসান জানান, আমরা অবৈধ একটি ওষুধ তৈরীর কারখানার খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে একজনকে আটক করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।নেত্রকোনা সদর ক্যাম্প ক্যাপ্টেন মো. আসিফ প্রামাণিক নুহাস জানান, আমাদের সেনাবাহিনী সকল প্রকার অরাজগতা, অবৈধ কার্যক্রম, চাদাবাজিসহ সকল কিছুতে তৎপর রয়েছে।অভিযানে অন্যানের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরিফা পারভিন রিপা সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।পিএম

দেওয়ানগঞ্জে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয় উদ্বোধন
জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চর আমখাওয়া ও ডাংধরা ইউনিয়ন শাখার কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে।মঙ্গলবার ( ১১ ফেব্রুয়ারি) এ দু'টি ইউনিয়ন শাখার কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পৃথকভাবে চরআমখাওয়া ও ডাংধরা ইউনিয়ন শাখার আমীর যথাক্রমে মাওলানা মো. আব্দুল মজিদ আকন্দ ও মাওলানা মো. ঈমান আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও জামালপুর জেলার সাবেক আমীর অ্যাড. নাজমুল হক সাঈদী।উভয় শাখার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জামালপুর জেলার আমীর মাওলানা আব্দুস সাত্তার। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আমীর মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদার, উপজেলা সেক্রেটারী কাজী মো. আতিকুর রহমান, মাওলানা মো. রেজাউল করিম, অধ্যাপক মো. নুর উদ্দীন আহমেদ প্রমুখ। পিএম
বিরামপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
দিনাজপুরের বিরামপুর বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন প্রেমিক উধাও।বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে বিরামপুর পৌর শহরের দেবীপুর বনখঞ্জা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, একই গ্রামের শ্রী ব্রজেন চক্রবর্তী এর ছেলে শ্রী মেঘনাথ চক্রবর্তী (২৫) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ছদ্মনাম (মায়া) এর সাথে অবৈধ মেলামেশা করে আসছে।এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধায় শ্রী মেঘনাথ চক্রবর্তী ছদ্মনাম (মায়া) কে ফুঁসলিয়ে পার্শ্বে মেঘনাথের মামা আপনের (৪৫) ফাকা বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে, এসময় ছদ্মনাম (মায়া) চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে লম্পট প্রেমিক মেঘনাথ পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী ছদ্মনাম (মায়া) কে উদ্ধার করে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়, সেই থেকে লম্পট মেঘনাথ পালিয়ে আছে তার কোন খোঁজ পাচ্ছে না এই মর্মে গত ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার মেঘনাথের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করে। ছদ্মনাম (মায়া) বাবা বাদি হয়ে বিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।প্রেমিকা ছদ্মনাম (মায়া) জানান, মেঘনাথ আমাকে বিয়ে করবে বলে ৬/৭ বছর ধরে আমার সাথে অবৈধ সম্পর্ক ও মেলামেশা করে এরই মাঝে আমার পরিবার বিয়ের প্রস্তাব দিলে তারা না করে দেয় এবং আমাকে আমার পরিবার অন্য ছেলে দেখে বিয়ে দেয় মেঘনাথের কারণে আমার ঐ বিয়েও ছাড়াছাড়ি হয়। আর এখন সেও আমাকে ফাঁকি দিচ্ছে তাই আমি তার বাড়িতে এসেছি সে আমাকে বিয়ে না করলে আমি এখানেই আত্মহত্যা করবো।মেঘনাথের বড় ভাই শ্রী শান্ত জানান, ৯ তারিখে ঘটনার পর আমার ছোট ভাই মেঘনাথ বাড়িতে নাই তার কোন খোঁজ পাচ্ছিনা।এবিষয়ে বিরামপুর থানার উপপরিদর্শক এসআই দুলু সাথে কথা বললে তিনি জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি কিন্তু ছেলে বাড়িতে নাই, ছেলেকে হাজির করে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে তার পরিবারকে বলা হয়েছে।এআই
এক মাস পেরিয়ে গেলেও বই পায়নি হিলির শিক্ষার্থীরা
দিনাজপুরের হিলি উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণির ক্লাস শুরুর এক মাস পার হলেও এখনো বেশিরভাগ বই হাতে পায়নি প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা। এতে করে স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা। ভোগান্তিতেও পড়তে হচ্ছে তাদের। তবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসাররা বলেছেন দ্রুত সব বই দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে, তারা বলেন, প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে বই উৎসব পালন করা হলেও এ বছর তা করা হয়নি। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়নি সব বই। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বই পেয়েছে, কিন্তু চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অধিকাংশ বিষয়ের বই এখনো পায়নি শিক্ষার্থীরা। নতুন বছরের এক মাস পেরিয়ে গেলেও সব বই না পাওয়ায় স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ হারাচ্ছে কমলমতি শিক্ষার্থীরা।কথা হয় কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে, তারা বলেন, নতুন বছরের একমাস পেরিয়ে গেলেও আমাদের সন্তানরা ঠিকমত লেখা-পড়াতে মনযোগী হতে পারছেন না। প্রথম সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল কি করবে তা নিয়ে আমরা সঙ্কিত। উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা শামসুল আলম বলেন, প্রাক-প্রাথমিকের কোন বই পায়নি তারা, এমনকি ৪র্থ শ্রেণির চারটি এবং ৫ম শ্রেণির তিনটি করে বই পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। তবে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির সব বই বিতরণ করা হয়েছে।অন্যদিকে মাধ্যমিক অফিসের কর্মকর্তা আহছান হাবীব বলেন, ৬ষ্ট, ৯ম ও ১০ম শ্রেণির ৯৫ শতাংশ বই পাওয়া গেলেও অন্য শ্রেণির মাত্র ৩০ শতাংশ বই বিতরণ করেছে শিক্ষা অফিস।এই উপজেলাতে কিন্ডার গার্টেনসহ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৭০টি এবং কলেজ, মাদ্রাসাসহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৩৮টি। বই না পাওয়াতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের তবে, দ্রুত সকল বই দেওয়া হবে বলছেন সংশ্লিষ্ট এই দুই শিক্ষা কর্মকর্তা।এমআর-২
-67ab53db3aabe.webp)
তেঁতুলিয়ায় বিদ্যুতের আগুনে ২৫টি ঘর পুড়ে ছাই
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বিদ্যুতের আগুনে পুড়ে ছাই হলো ২ টি ঘর। উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের কাটাপাড়া গ্রামে এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে । মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।জানা যায়, দুপরে রান্না ঘরের বৈদ্যুতিক তার থেকে আকস্মিক ভাবে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়েলে এতে ওই গ্রামের ৭ পরিবারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ২টি পরিবারের আংশিক কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে প্রায় ৯টি পরিবারের আসবাবপত্র বসতবাড়ী নগদ টাকা পয়সাসহ আনুমানিক ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।আগুনে ৯টি পরিবারের ২৫টি কক্ষের আসবাবপত্র সহ নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার এবং ঘরে মজুদকৃত খাদ্য শস্য পুড়ে ছাই হয়েছে। আগুনের ব্যাপকতা দেখে স্থানীয়রাও এগিয়ে আসে। স্থানীয়রা তেঁতুলিয়া ফায়ার সার্ভিসকে তাৎক্ষণিক খবর দিলে ঘটনাস্থলে ২টি ইউনিট এসে ৪০ মিনিটের ব্যবধানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে৷ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা হলেন ওই এলাকার, আসির উদ্দীন, নজরুল ইসলাম, সাদেকুল, কুলসুম, বসির উদ্দীন, মজিবর, মফিজুল, আশু ও হায়দার। এ বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আবুল কালাম জানান, যখনি শুনি আমার এলাকায় আগুন লেগেছে ওই সময় সরেজমিনে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চেস্টা করি এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। গ্রামের সবাই একত্র হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেস্টা করেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে সমাজের বৃত্তবানদের দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।তেঁতুলিয়া ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানায়, ১২টা ৪৮ মিনিটে খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনা স্থলে আসি, ২টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে, ৪০ মিনিটের ব্যবধানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পিএম

নীলফামারীতে ছাত্রশিবিরের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নীলফামারীতে দুই দিনব্যাপী এক বিশেষ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেছেন ছাত্রশিবিরের শহর শাখার নেতাকর্মীরা।মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় নীলফামারী বড় মাঠে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা শাখার নায়েবে আমির ড. খাইরুল আনাম।দুই দিনব্যাপী এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের বিভিন্ন কার্ণার পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. মোর্শেদ আলম ও অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের শহর শাখার সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারি মো. মাজেদুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতাকর্মী।এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষদের সারিবদ্ধভাবে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। দুই দিনব্যাপী এই ক্যাম্প চলবে বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত।চিকিৎসা নিতে আসা আনিসুর রহমান (৫০) বলেন, ‘আমি এখানে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে এসেছি। এখানে ফ্রি সেবা পাওয়ায় আমি খুব উপকৃত হয়েছি। এছাড়া ডাক্তারদের পরামর্শও বেশ ভালো লেগেছে। ছাত্রশিবির এমন মানবিক উদ্যোগ নিয়েছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের ক্যাম্প আরও বেশি হলে সাধারণ মানুষ অনেক উপকার পাবে।’রক্ত পরীক্ষা করতে আসা নীলফামারী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রাইসা আক্তার বলেন, ‘আমি অনেকদিন ধরেই আমার রক্তের গ্রুপ জানার প্রয়োজন অনুভব করছিলাম, কিন্তু সুযোগ হচ্ছিল না। ছাত্রশিবিরের এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করতে পেরে খুব উপকৃত হলাম। এছাড়া, ডায়াবেটিস চেকসহ অন্যান্য সেবাও পাওয়া যাচ্ছে, যা আমাদের মতো শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক উপকারী। এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়, ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন হোক—এটাই প্রত্যাশা।’চিকিৎসা নিতে আসা মোছা. নাজমা বেগম বলেন, ‘বাহিরে ডাক্তার দেখাতে গেলে অনেক টাকার ভিজিট লাগে, ঔষুধ কিনতে হয় অনেক টাকার। ভালো চিকিৎসা নিতে পারছিলাম না। এখানে ফ্রি চিকিৎসা ও ওষুধ পাওয়ায় আমি খুবই খুশি। ডাক্তাররা খুব ভালো করে পরামর্শও দিয়েছেন। এ ধরনের সেবা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য অনেক উপকার হবে।’বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীলফামারী জেলা শাখার নায়েবে আমির ড. খাইরুল আনাম বলেন, ‘এই ধরনের মানবিক উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ সৃষ্টি করবে। ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমাজসেবা ও মানবিক দায়িত্ববোধের চেতনা জাগ্রত করবে।’তিনি আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র পড়াশোনা নয়, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা ও মানুষের জন্য কিছু করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীরা যখন এই ধরনের উদ্যোগে অংশ নেবে, তখন তারা নিজেদের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে, এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের সেবামূলক কাজের প্রতি তাদের আগ্রহ আরও বাড়বে। এই ক্যাম্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করবে এবং সমাজের প্রতি আরও কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।’নীলফামারী শহর শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুই দিনব্যাপী এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ছাত্রশিবিরের মানবিক উদ্যোগের একটি অংশ, যা আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করেছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা, যাতে তারা চিকিৎসা গ্রহণে কোনো বাধার সম্মুখীন না হন।’তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসা খরচের কারণে অনেকেই সেবা থেকে বঞ্চিত থাকেন, কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, এই ধরনের উদ্যোগ তাদের সাহায্য করতে পারে। আমাদের ছাত্রশিবির সবসময় সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাব।’এমআর-২

সৈয়দপুরে অগ্নিকাণ্ডে ৩০টি ঘর পুড়ে ছাই, কোটি টাকার ক্ষতি
নীলফামারীর সৈয়দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮ পরিবারের ৩০টি ঘর পুড়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উপজেলার কাশীরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের ব্রমত্তর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।এঘনায় রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট অগ্নিকাণ্ডের ৩০ মিনিট পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তার কিছুক্ষণ পরে সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, এলাকার সেকেন্দার আলীর বাড়ি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডে আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, ধান-চাল ও নগদ অর্থ পুড়ে যায়। এ ছাড়া ২টি গরু ও ২টি ছাগল পুড়ে মারা গেছে।অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কাদের টিটু বলেন, ‘আমার চারটি ঘর পুড়েছে। ঘরে থাকা নগদ ২ লাখ টাকা ও একটি গরু আগুনে পুড়ে যায়। এছাড়া স্বর্ণালংকার, ফ্রিজ, টিভি, আসবাবপত্রসহ সর্বস্ব পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লানচু হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আগুনের ভয়াবহতায় ৮টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কম্বল ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’তারাগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শরিফ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘খবর পাওয়া মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, বিদ্যুতের শট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। সার্বিক তদন্ত শেষে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যাবে। তবে আনুমানিক ধারণা করা হচ্ছে যে তা কোটি টাকার বেশি হতে পারে।’সৈয়দপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দীন জানান, ‘শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত বলে জানা গেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।’এআই
সারদা পুলিশ একাডেমি থেকে এসপি তানভীর আটক
রাজশাহীর সারদায় অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি থেকে পুলিশ সুপার (এসপি) তানভীর সালেহীন ইমনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল তাকে আটক করে।পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) সারোয়ার জাহান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘গতরাতে ঢাকা থেকে ডিবির টিম এসে এসপি তানভীর সালেহীন ইমনকে নিয়ে গেছে। কেন, কী অভিযোগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা ডিবি বলতে পারবে।’২৮তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে ২০১০ সালে পুলিশে যোগ দেন তানভীর সালেহীন। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইকবাল করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি ২০১৬ সালে আইজিপি ব্যাজ এবং ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পান। কর্মজীবনে তিনি রেকর্ড ২৭ বার কুমিল্লা জেলা পুলিশের সেরা সার্কেল অফিসার হিসেবে পুরস্কৃত হন। ২০২২ সালে তিনি এসপি হিসেবে পদোন্নতি পান।এরপর তাকে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সদরদপ্তর ও প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাকে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার (বেসিক ট্রেনিং-২) হিসেবে পদায়ন করা হয়। সম্প্রতি সারদায় প্রশিক্ষণরত পুলিশ কর্মকর্তা ও কনস্টেবলদের তার স্বাক্ষরেই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হচ্ছিল। একাডেমির অধ্যক্ষের পক্ষে তিনি তাদের এই শোকজ করছিলেন।
যমুনা রেলসেতুতে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু
উত্তরাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর উদ্বোধনের আগেই যমুনা রেলসেতুতে বাণিজ্যিকভাবে চলছে যাত্রীবাহী ট্রেন। পূর্বের সেতু দিয়ে আর যাত্রীবাহি ট্রেন বলবে না। নতুন সেতুতে ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের জনগণের যাতায়াত সুবিধার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিক উন্নয়ন ভূমিকা পালন হবে।বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে সাড়ে ৯ টার দিকে সয়দাবাদ রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মনিরুজ্জামান এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রথমে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি সেতু দিয়ে পারাপার হয়।প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুরর রহমান বলেন, সকাল ১০টায় সিল্কসিটি এক্সপ্রেস যাত্রীবাহি ট্রেনটি যমুনা রেল সেতু অতিক্রম করেছে। পর্যায়ক্রমে সিডিউল অনুযায়ী বাকি ট্রেনগুলো চলবে।তিনি আরো বলেন, আগামী (১৮ ফেব্রুয়ারি) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। যোগাযোগ উপদেষ্টাসহ কর্মকর্তারা ওই অনুষ্ঠানে থাকবেন। ওই দিন থেকে দুই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। তবে, আজ নতুন রেল সেতু চালুর সঙ্গে সঙ্গে পূর্বের সেতু দিয়ে আর ট্রেন চলবে না বলে প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন।প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ যমুনা রেলসেতুতে দুটি লাইন থাকলেও প্রথমে একটি লাইন দিয়েই উভয় দিকে ট্রেন চলাচল করবে। আগামীকাল (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা থেকে যেতে ডান পাশের লাইন, অর্থাৎ সেতুর উত্তর পাশের লাইনটি দিয়ে ট্রেন চলবে। আপাতত একটি লাইনে উভয়দিকে ট্রেন চলবে।১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হচ্ছে। এ সমস্যার জন্য ২০২০ সালের ৩ মার্চ যমুনা নদীর ওপর উজানে আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করে সরকার। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর রেলসেতুরটির নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০২১ সালের মার্চে রেল সেতুর পিলার নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা নির্ধারিত হলেও পরে তা ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন এসেছে দেশীয় উৎস থেকে এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকা। দেশের বৃহত্তর এ রেল সেতুর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে জাপানি কোম্পানি ওটিজি ও আইএইচআই।রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, পূর্বের সেতুর সমান্তরালে ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের এ রেলসেতু ব্যবহারের জন্য ৭ দশমিক ৬৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পের শুরুতে এই সেতুর নাম ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব পালনের পর গত বছরের ডিসেম্বরে সেতুর নাম পরিবর্তন করে যমুনা রেল সেতু রাখা হয়।এমআর-২

সুনামগঞ্জে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযান, গ্রেফতার ৬
দেশ বিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে সুনামগঞ্জে চলছে "অপারেশন ডেভিল হান্ট"। জেলার বিভিন্ন থানা কর্তৃক পরিচালিত এ অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।গ্রেফতারকৃতরা হলেন, দোয়ারাবাজার থানার দোয়ারাবাজার গ্রামের বাসিন্দা তপন সরকার তপু (৫০), তিনি দোয়ারাবাজার উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য। একই গ্রামের প্রিয়তোষ দে চন্ডী (৪৪), তিনি দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্মআহ্বায়ক। ছাতক থানার রুক্কা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমান (৫৮), তিনি উত্তর খুরমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোশাধ্যক্ষ। জগন্নাথপুর থানার মোহাম্মদপুর সেরা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মুহিবুর রহমান (৪৫), তিনি পাটলী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক। শাল্লা থানার সহদেবপাশা গ্রামের বাসিন্দা আরজ আলী (৫৩), তিনি শাল্লা থানা কৃষক লীগের সদস্য। দিরাই থানার কাজুয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা সাঈদ আহম্মেদ খসরু (৪৩), তিনি রাজনগর ইউপি আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও ওয়ার্ড মেম্বার।সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধীদের গ্রেফতারে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।এমআর-২

বগুড়ায় ৯৭ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ২
বগুড়ার আদমদীঘিতে র্যাবের অভিযানে ট্রাক চালকের সিটের নীচে অভিনব কায়দায় লুকানো ৯৭ কেজি ৮শ' গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার আউখাব গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে সবুজ (৩২) ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লঘুনন্দনপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে কামাল হোসেন (৩০)।এরআগে সোমবার সন্ধ্যায় বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার ইন্দইল আশা ফিলিং স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ট্রাক থেকে এসব মাদক উদ্ধার করা হয়। এসময় মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাকটি জব্দ করা হয়। থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় র্যাব-৫ রাজশাহী ক্যাম্পের সিনিয়র এএসপি রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের আদমদীঘি উপজেলার ইন্দইল আশা ফিলিং স্টেশন এলাকায় অবস্থান করা (ঢাকা মেট্রো-ট-২২-৬৫৫৬) নম্বরের একটি ট্রাক তল্লাশি করে ট্রাকের চালকের সিটের নীচে অভিনব কায়দায় লুকানো ৯৭ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার ও ট্রাকটি জব্দ করে আদমদীঘি থানায় সোর্পদ করা হয়। আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় আদমদীঘি থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের বগুড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে।এআই

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মৌমাছির কামড়ে কৃষকের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মৌমাছির কামড়ে আনছার আলী (৪২) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সগুনা কালিবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আনছার আলী সরকার উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের জোকনালা গ্রামের সাদেক আলী সরকারের ছেলে। ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য রানা আহাম্মেদ জানান, বিকালে ধানের চারা তোলার জন্য জমিতে যাচ্ছিলো এমন সময় সগুনা কালিবাড়ী এলাকায় পৌছাঁলে মৌমাছির দল এসে আনছার আলীকে আক্রমন করে। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: একেএম মোফাখখারুল ইসলাম জানান, মৌমাছির আক্রান্ত অবস্থায় আনছার আলীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমরা মৃত অবস্থায় পাই।এআই
চাঁদাবাজির অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জের ১৩ পুলিশ ক্লোজড
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন (রঃ) টিলার পাথরবাহী গাড়ি থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৩ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।ক্লোজড করা পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন এসআই ২ জন, এএসআই ২ জন ও কনস্টেবল ৯ জন। তাদের সবাইকে সিলেট পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রাসেলুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদেরকে ক্লোজড করা হয়। ১৩ পুলিশ সদস্যরা হলেন- এসআই খোকন চন্দ্র সরকার ও মিলন ফকির, এএসআই শিশির আহমেদ মুকুল ও শামীম হাসান, কনস্টেবল নাজমুল আহসান, মুন্না চৌধুরী, নাইমুর রহমান, তুষার পাল, আবু হানিফ, সাখাওয়াত সাদী, সাগর চন্দ্র দাস, মেহেদী হোসেন, ও কিপেস চন্দ্র রায়। এর আগে শাহ আরেফিন টিলার পাথরবাহী গাড়ি থেকে রাস্তায় দাড়িয়ে পুলিশের চাঁদাবাজির অভিযোগে বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়। নিউজ প্রকাশের পর তাদেরকে সিলেট পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান মঙ্গলবার সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, কোম্পানীগঞ্জ থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাই আমরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসআইসহ ১৩ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের আপাতত অন্য কোন কর্মস্থলে দেওয়া হয়নি। তদন্তের পরে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এমআর-২
হবিগঞ্জের সাবেক এমপি মজিদ খান গ্রেফতার
হবিগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খানকে (৬০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর উত্তরা এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার গ্রেফতারের খবর জেলায় ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন।ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ডিবির একটি দল গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উত্তরার একটি এলাকার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন।বিষয়টি হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারকে জানালে হবিগঞ্জ থেকে একদল পুলিশ তাকে আনার জন্য রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। আজ হবিগঞ্জে আনার কথা রয়েছে। জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বানিয়াচংয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে নয় জন নিহত হওয়ার মামলায় আব্দুল মজিদ খান ২ নম্বর আসামি। এছাড়াও হবিগঞ্জ শহরে রিপন শীল হত্যা মামলায় তার নাম ৩ নম্বরে রয়েছে বলে ওসি আলমগীর কবীর জানিয়েছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিশু হাসান মিয়া (১২) নিহতের ঘটনায় সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খানসহ ৪ শতাধিক জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত (২২ আগস্ট) নিহত হাসানের পিতা ছানু মিয়া বাদি হয়ে বানিয়াচং থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। এ ছাড়া শহরের রাজনগর এলাকার বাসিন্দা ফজল মোহাম্মদের ছেলে ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সালেহ আহমেদ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বরাবর মজিদ খানসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন।তাছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চোখে গুলিবিদ্ধ রিমন মিয়ার মা মরম চান বাদী হয়ে মজিদ খানসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১, এ মামলাটি করেন। শুধু তাই নয়, বানিয়াচংয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নয়জন হত্যার ঘটনায় মজিদ খানসহ ৩০০ জনের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এতে ২৬৪ জনের নামোল্লেখ ও বাকিরা অজ্ঞাত পরিচয় আসামি।এমআর-২

সুনামগঞ্জে অপারেশন 'ডেভিল হান্ট' অভিযানে গ্রেফতার ৬
সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের বিভিন্ন থানা ও যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে বিশেষ অভিযান "অপারেশন ডেভিল হান্ট" শুরু হয়েছে। এই অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।গ্রেফতারকৃতরা হলেন: দোয়ারাবাজার থানার বরকতনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দোয়ারাবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম (৫৫),তাহিরপুর উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের বাসিন্দা ও বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জলিল মিয়া (৪৮),দিরাই থানার দৌজ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দিরাই সরকারি কলেজের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাওছার আহমেদ (২৮),ছাতক থানার সেওতাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ছাতক উপজেলা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল আহমেদ (২৫), শাল্লা থানার কান্দিগাও গ্রামের বাসিন্দা ও ৪নং শাল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ সাত্তার মিয়া (৭৬), শাল্লা থানার ডুমরা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ৩নং বাহড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু (৫০)।সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন,তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধীদের গ্রেফতারে এই বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।এমআর

চাঁদাবাজি,জুলুম-লুটপাটের ফল আ.লীগ পেয়েছে: আনিসুল হক
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের তাহিরপুর বাজারে বিশাল কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যোগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,কৃষকদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সহ-সাধারণ সম্পাদক,সুনামগঞ্জ জেলা কৃষকদলের আহবায়ক,সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য আনিসুল হক।তিনি বলেন, দলের পরিচয় দিয়ে কেউ চাঁদাবাজি,জুলুম লুটপাট করবেন না। এর ফল আওয়ামীলীগ পেয়েছে পরিনতি দেখেছেন।তাই আমরা ছোট খাট সোনা,হিরার টুকরার দিকে ছুটবো না। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করবো তাহলে মানুষ ভালবাসবে। বিএনপি শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান মানুষের অধিকার আদায়ের জন পরিশ্রম করেছে যার জন্য মানুষ বিএনপিকে চায়। আরযত ক্ষন ভোটের অধিকার প্রয়োগ না করতে পারেন ততক্ষণ রাজ পথে থাকার জন্য জনাব তারেক রহমান নির্দেশনা দিয়েছেন। মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য অন্তবর্তি সরকার যেন একটি ভোটের নির্বাচনের জন্য একটি রোড ম্যাপ তৈরি করে। আর দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে এই অন্তবর্তি সরকার কে। নির্বাচনী রোড ম্যাপে যদি ভোটের অধিকার প্রয়োগ সুযোগ আসে তাহলে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আপনরা আপনাদের অধিকারের ভোট বিএনপিকে,জনাব তারেক রহমানের পক্ষে ধানের শীষের পক্ষে এই অঞ্চলের বিএনপির প্রতিনিধি পক্ষে প্রদান করবেন এবং সারা দেশে ভোটের মাধ্যমে বিএনপি তথা তারেক রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে তাহলে কাউকে আর পিছিয়ে থাকতে হবে না। সবাই সমান অধিকার পাবেন। বৈষম্য থাকবে না। উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল কালামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন,উপজেলা বিএনপি সাবেক সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন রশীদ,জেলা বিএনপি সাবেক মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক রাখাব উদ্দিন,জেলা বিএনপি সাবেক তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ভাষ্কর রায়,বাদাঘাট বাজার বনিক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম সিকদার, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এ কে এম নাসের উজ্জ্বল,সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাদল মিয়া,উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান সংগ্রাম,উপজেলা যুবদল আহবায়ক এনামুল হক এনাম,সদস্য সচিব আবু সায়েম,উপজেলা সেচ্ছাসেবক দল আহবায়ক শাহিন আলম মেম্বার,সদস্য সচিব ডাঃ হাবিবুর রহমানসহ উপজেলা বিএনপি,যুবদল,কৃষকদলসহ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।উপজেলা কৃষকদের আহবায়ক ও সদস্য সচিব জানান,কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে তিন মাসব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশের অংশ হিসাবে সমাবেশ কে কেন্দ্র করে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয় কৃষকদের নেতা কর্মীগন। তাহিরপুর সদর ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশের মধ্যে দিয়ে ৭টি ইউনিয়নের কৃষক সমাবেশ সম্পন্ন হয়েছে।এমআর

শায়েস্তাগঞ্জে ডাকাতি মামলার পলাতক আসামী সালমান আটক
হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জে খুনসহ ডাকাতির ক্লুলেস মামলার অন্যতম পলাতক আসামী সালমান উদ্দিনকে (২৭) গ্রেফতার করেছে র্যাব। সে জেলার চুনারুঘাট উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে এসব তথ্য দেন র্যাব-৯ সিলেটের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল। এর আগে প্রাপ্ত গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ সিপিসি-৩ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল জেলার চুনারুঘাট উপজেলার শিমূলতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানে খুনসহ ডাকাতি মামলার অন্যতম পলাতক আসামি সালমান উদ্দিন গ্রেফতার হয়। ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়- রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ব্যবসায়ী মহসিন মিয়া শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বড়চর তালুগড়াই এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ফার্দিন-মার্দিন হোটেলে চা পান করার উদ্দেশ্যে যান। চা পান শেষে ডাকাতির ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে হঠাৎ রাস্তার পাশে থাকা ৮ থেকে ১০ জন ডাকাত লোহার রড ও রামদা দিয়ে ভিকটিমকে মারাত্মকভাবে আঘাত করে। একপর্যায়ে জীবন বাঁচানোর জন্য আহত অবস্থায় দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে মাটিতে পড়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন মহসিনকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে এ ঘটনায় শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই মোঃ তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে খুনসহ ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। এ প্রেক্ষিতে মামলার পলাতক আসামী সালমান উদ্দিনকে আটক করা হয়।এমআর
অনলাইন ভোট

সংস্কারের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও দুই বছর সময় দিতে হবে বলে মনে করেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। আপনি কি তার এই মন্তব্যকে সমর্থন করেন?
আন্তর্জাতিক
সব দেখুন
১৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত, অপেক্ষায় আরও ৩৫ জন
ভারতের পশ্চিম উপকূলীয় রাজ্য গুজরাটের আহমেদাবাদ পুলিশের অপরাধ শাখা সেখানে গ্রেপ্তার ১৫ বাংলাদেশি অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। এছাড়া আরও অন্তত ৩৫ বাংলাদেশিকে আগামী মার্চের মধ্যে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। বুধবার আহমেদাবাদ পুলিশের সহকারী কমিশনার ভারত প্যাটেল এই তথ্য জানিয়েছেন।আহমেদাবাদ পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেছেন, গত বছর আহমেদাবাদের চাদোলা লেকের কাছের একটি এলাকায় যৌথ অভিযান চালায় পুলিশের অপরাধ শাখা। এই অভিযানে প্রায় ৫০ জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে একজন কন্যা শিশুও ছিল।গ্রেপ্তারকৃত অভিবাসীদের কাছ থেকে ভুয়া আধার কার্ডসহ ভারতীয় জাল নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশের তদন্তে আহমেদাবাদে বাংলাদেশি নারী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের মাধ্যমে সেখানে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়।এই চক্রের সদস্যরা বাংলাদেশ থেকে নারী ও তরুণীদের পাচারের পর সেখানে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেন। পরে উদ্ধারকৃতদের বাংলাদেশি নাগরিকত্বের প্রমাণ পাওয়ার পর ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে আহমেদাবাদ পুলিশ।দেশটির বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক কন্যাশিশুসহ ১৫ বাংলাদেশি অভিবাসীকে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সফলভাবে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। আগামী মার্চের মাঝে আরও ৩৫ বাংলাদেশিকে ভারত থেকে নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।আহমেদাবাদ পুলিশের সহকারী কমিশনার ভারত প্যাটেল বলেছেন, পতিতাবৃত্তিতে জড়িত নারীদের এই কাজে বাধ্য করতেন দালালরা। সেখান থেকে পাওয়া অর্থ ব্যবসা-বাণিজ্যের আড়ালে বাংলাদেশে পাঠানো হতো।মানবপাচার চক্রের নেটওয়ার্ক ও বাংলাদেশে অর্থ পাঠানোর বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে, দিল্লির দ্বারকা জেলা পুলিশ অবৈধভাবে ভারতে বসবাসের অভিযোগে ১৬ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন বাংলাদেশি নাগরিক বলে ধারণা করছে দিল্লি পুলিশ।এবি

গাজা পুনর্গঠনে লাগবে ৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলার: জাতিসংঘ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড পুনর্গঠন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলজুড়ে চলমান মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় ৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলার লাগবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।জাতিসংঘের বরাতে প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, এই বিপুল অর্থের মধ্যে শুধুমাত্র প্রথম তিন বছরেই ২০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। এ বিষয়ে বিশ্ব সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে গাজায় প্রয়োজনীয় চাহিদার সম্পূর্ণ মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রাথমিক বিশ্লেষণে বোঝা যাচ্ছে যে, গাজা উপত্যকায় ব্যাপক পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।'২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে আসছে। টানা এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ১ লাখেরও বেশি মানুষ।গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও এটি নিয়ে অনিশ্চয়তা নতুনভাবে তীব্রতর হয়েছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের এই বর্বরোচিত হামলায় গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, আর অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির ৬০ শতাংশ অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।এবি

বুর্জ খলিফায় বিক্রি হবে পেন্টহাউজ, দাম কত জানেন
বিশ্বের সবচেয়ে উচুঁ ভবন দুবাইয়ের বুর্জ খলিফায় একটি বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স পেন্টহাউজ বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে দুবাইয়ের একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি। ২১,০০০ বর্গফুটের এ পেন্টহাউজটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬২০ কোটি টাকা। এই পেন্টহাউজটিতে নানা সুযোগ সুবিধাসহ ব্যবহারকারীরা দুবাইয়ের আকাশ, আরবীয় উপসাগর এবং বিশাল মরুভূমির বিস্তৃত দৃশ্য দেখতে পাবেন।ডুপ্লেক্স এ পেন্টহাউজের প্রধান স্তরের আয়তন ১৪,০০০ বর্গফুট এবং উপরের স্তরটি আরও ৭,০০০ বর্গফুট আয়তন নিয়ে বিস্তৃত।পেন্টহাউজটি ভূমি থেকে ১৩০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। এতে রয়েছে ফ্লোর-টু-সিলিং গ্লাস উইন্ডো, যার মাধ্যমে চারপাশের শহরের ৩৬০ ডিগ্রী দৃশ্য উপভোগ করা যাবে। পেন্টহাউজটিতে ভেতরের অংশ খালি রাখা হয়েছে, যাতে ক্রেতা ইচ্ছেমতো ইন্টেরিয়র ডিজাইন করতে পারেন। এছাড়া এতে রয়েছে বিলাসবহুল শয়নকক্ষ, বিনোদন এবং কাস্টম সুবিধাগুলোর জন্য পর্যাপ্ত স্থান।উল্লেখ্য, পেন্টহাউসটিতে বুর্জ খলিফার একমাত্র ব্যক্তিগত লিফট রয়েছে, যা এই অসাধারণ আবাসস্থলে একচেটিয়া প্রবেশাধিকার প্রদান করে।ব্যক্তিগত লিফটের পাশাপাশি পেন্টহাউসে একটি ব্যক্তিগত সুইমিং পুলও রয়েছে। সাঁতার কাটার সময় এখান থেকে দুবাইয়ের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগ করা যাবে। বুর্জ খলিফার অন্যান্য বাসিন্দাদের মতো এই পেন্টহাউজটিতে যারা বসবাস করবেন তারাও একটি লাউঞ্জ, ফিটনেস সেন্টার, জাপানি বাগান, স্পাসহ ২৪/৭ যে সুযোগ সুবিধাগুলো দেওয়া হয় সেগুলোও উপভোগ করতে পারবেন। ইনভেস্ট দুবাই রিয়েল এস্টেট এই পেন্টহাউজটি বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও আসাদ খান বলেছেন, এই পেন্টহাউজটি অন্যরকম বিলাসিতা এবং স্থাপত্যকলার উৎকর্ষতার একটি প্রতীক। বুর্জ খলিফায় একটি আবাসস্থল মালিকানা শুধু একটি বাড়ি থাকা নয়, এটি ইতিহাসের অংশ হওয়ারও বিষয়।এফএস

আমেরিকার পর ব্রিটেনেও চাপে মোদী, খুঁজে খুজে বের করা হচ্ছে ভারতীয়দের!
যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ব্রিটেন! অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ধরতে ব্যাপক তল্লাশি শুরু করে যুক্তরাজ্য প্রশাসন।ইতিমধ্যে ৬০৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কিয়ের স্টারমারের সরকার। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দফতর বলছে , সারা দেশ জুড়েই অভিযান চলছে। আলাদা করে ভারতীয়দের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। কয়েকদিন আগেই অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের হাতে-পায়ে বেড়ি পরিয়ে ফেরত পাঠিয়েছিল আমেরিকা। সেই নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন তুঙ্গে।জানা গেছে, ভারতীয় রেস্তোরাঁ, নেইল বার, কার ওয়াশ, কনভিনিয়েন্স স্টোরগুলিতে হানা দিচ্ছে ব্রিটিশ পুলিশ। চলছে অবৈধ অভিবাসীদের খোঁজে তল্লাশি। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৮২৮টি জায়গায় হানা দিয়ে ৬০৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।হোম অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবৈধ শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করতে এবং মানব পাচার গ্যাংগুলোর মিথ্যে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যবসা চালানো রুখতেই অভিযান চালানো হচ্ছে। রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “অভিবাসন সংক্রান্ত নিয়ম মানতেই হবে। দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধ অভিবাসীদের এ দেশে ঢোকানো হচ্ছে। তাঁরা ব্রিটেনে থাকছেন, কাজ করছেন। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন আর তা চলবে না।বিবিসি-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জুলাইয়ে সরকার গঠন করে লেবার পার্টি। তারপর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ডিঙি নৌকায় চেপে ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়েছে ২৩ হাজারের বেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। এর মধ্যে ব্রিটেনে ‘রিফর্ম ইউকে’ নামের অ্যান্টি-ইমিগ্র্যান্ট দলের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। ফলে লেবার পার্টি অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে আর হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারছে না। কঠোর মনোভাব নিচ্ছে।পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুলাই মাস থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৯,০০০ অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার করেছে ব্রিটিশ সরকার। প্রথমবার সেই বহিষ্কারের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে সরকার যে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে সেটা জনগণ বুঝতে পারে।সূত্র: নিউজ ১৮এফএস
আদানিকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের পুরোটাই দিতে বলেছে বাংলাদেশ
ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ারের ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই সরবরাহ করতে বলেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ আদানি পাওয়ারকে ভারতে তার ১৬০০ মেগাওয়াট প্ল্যান্ট থেকে সরবরাহ সম্পূর্ণরূপে পুনরায় শুরু করতে বলেছে। শীতের সময়ে কম চাহিদা এবং অর্থপ্রদান নিয়ে বিরোধের কারণে সরবরাহের পাশাপাশি বিক্রিও কমে যাওয়ার তিন মাসেরও বেশি সময় পরে বাংলাদেশ একথা জানাল।২০১৭ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশের সঙ্গে ২৫ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল আদানি। ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে অবস্থিত সংস্থাটি তাদের ২ বিলিয়ন ডলারের প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিটের প্ল্যান্টটির প্রতিটি থেকেই একচেটিয়াভাবে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রি করে তারা।রয়টার্স বলছে, অর্থপ্রদানে বিলম্বের কারণে ভারতীয় এই কোম্পানিটি গত বছরের ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশে সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে। এর ফলে গত ১ নভেম্বর তাদের একটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে প্ল্যান্টটি প্রায় ৪২ শতাংশ সক্ষমতায় কাজ করছে।পরবর্তীকালে, বাংলাদেশ আদানিকে মাত্র অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ বহাল রাখতে বলেছিল।রাষ্ট্র-চালিত বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) বলেছে, বকেয়া বকেয়া পরিশোধের জন্য তারা আদানিকে মাসে ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করছে এবং এখন কোম্পানিকে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে সরবরাহ পুনরায় শুরু করতে বলেছে।বিপিডিবি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম রয়টার্সকে বলেন, “আমাদের প্রয়োজন অনুসারে, তারা দ্বিতীয় ইউনিটটি সিঙ্ক্রোনাইজ করার পরিকল্পনা করেছে, কিন্তু উচ্চ কম্পনের কারণে তা হয়নি। কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সোমবার থেকে ইউনিটটি পুনরায় চালু করা যায়নি।”তিনি আরও বলেন, “এই মুহূর্তে, আমরা প্রতি মাসে ৮৫ মিলিয়ন ডলার পেমেন্ট করছি। আমরা আরও বেশি অর্থ দেওয়ার চেষ্টা করছি, এবং আমাদের উদ্দেশ্য হলো ওভারডিউ কমানো। এখন আদানির সাথে বড় কোনও সমস্যা নেই।”গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি একটি বৈঠকের পর মঙ্গলবার বিপিডিবি এবং আদানির কর্মকর্তাদের মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।আদানি পাওয়ারের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। গত ডিসেম্বরে আদানির একটি সূত্র জানিয়েছিল, বিপিডিবি কোম্পানির কাছে তাদের পাওনা ৯০০ মিলিয়ন ডলার। যেখানে রেজাউল করিম জানিয়েছিলেন, এর পরিমাণ প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন ডলার।মূলত আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বাংলাদেশের বিরোধের কেন্দ্র হচ্ছে ২০১৭ সালের চুক্তি।এই চুক্তি অনুযায়ী, দুটি সূচকের গড়ের ভিত্তিতে মূল্য নির্ধারণ করা হয়। এর আগে রয়টার্স পৃথক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, আদানি পাওয়ারের কাছ থেকে নেওয়া বিদ্যুতের মূল্য ভারত থেকে সরবরাহকৃত অন্যান্য কেন্দ্রের বিদ্যুতের মূল্যের তুলনায় ৫৫ শতাংশ বেশি।এবি
মাস্কের এআই কিনতে চাওয়ার প্রস্তাবে, পাল্টা এক্স কেনার প্রস্তাব অল্টম্যানের
ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন এক বিনিয়োগকারী সংস্থা ওপেন-এআই প্রতিষ্ঠানটিকে কিনতে ৯৭ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব দিয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত মাস্কের দরপত্রটি স্টার্টআপটির ভবিষ্যৎ নিয়ে ওপেন-এআই’এর সিইও স্যাম অল্টম্যানের সাথে দীর্ঘস্থায়ী কলহকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, চ্যাটজিপিটি’র মাদার কোম্পানি ওপেন-এআই কেনার প্রস্তাবের জবাবে মাস্কের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ অল্টম্যান বলেন, ‘না ধন্যবাদ, তবে আপনি চাইলে আমরা টুইটার ৯ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারে কিনে নিতে পারি।’এই প্রস্তাবটি ইলন মাস্ক এবং ওপেনএআই-এর সিইও স্যাম অল্টম্যানের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধের নতুন এক অধ্যায়। ২০১৫ সালে তারা একত্রে ওপেনএআই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে ২০১৮ সালে সংস্থাটি ছেড়ে চলে যান মাস্ক। এরপর থেকেই দুজনের সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন দেখা দেয়।এবি
৫ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে মরক্কো
মরক্কোর উত্তরাঞ্চলে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এক প্রতিবেদনে দেশটির সংবাদমাধ্যম মরক্কো ওয়ার্ল্ড নিউজ এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর মরক্কোর কাসার এল কেবিরের কাছে ৫.৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে আজ ভোরে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)।ভূমিকম্পটি রাজধানী রাবাতসহ ভূমিকেন্দ্রের ২০০ কিলোমিটার (১২৫ মাইল) দক্ষিণে অনুভূত হয়েছিল। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।এর আগে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আফ্রিকার এই দেশটিতে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এবি
পশ্চিমবঙ্গে জয় বাংলা স্লোগান আছে, থাকবে: মমতা
বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে। যা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এদিকে, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাংলায় লেখা জয় বাংলা স্লোগান মুছে ফেলা হচ্ছে বলে খবর ছড়িয়েছে পড়েছে চারদিকে। ‘জয় বাংলা’ লেখা থাকলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আওয়ামী লীগের সমর্থক।এসব খবরের প্রতিক্রিয়ায় সোমবার বিধানসভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের এখানে জয় বাংলা স্লোগান আছে এবং থাকবে। এই স্লোগান কাজি নজরুল ইসলামের একটি কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। মমতা আরও বলেন, বাংলা ও বাঙালির গর্ব প্রকাশ করার জন্য ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া হয়। বাংলাদেশে যাই হোক, আমাদের এখানে জয় বাংলা স্লোগান আছে এবং থাকবে।
বাস উল্টে গুয়েতেমালায় নিহত ৫১
গুয়েতেমালায় সেতু থেকে বাস খাদে পড়ে ৫১ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আল জাজিরা ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র মাইনর রুয়ানো গতকাল সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের বলেন, বাসটির ধ্বংসাবশেষের মধ্যে আটকে পড়াদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে ৩৬ জন পুরুষ এবং ১৫ জন নারীর মরদেহ উদ্ধার করে প্রাদেশিক মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাসটি গতকাল গুয়েতেমালার রাজধানী থেকে একটি ব্যস্ত সড়ক থেকে যাওয়ার পথে পুয়েন্তে বেলিস নামক স্থানে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেতু পারাপারের সময় বাসটি খাদে পড়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা ফায়ার বিভাগের ছবিতে দেখা গেছে, দূষিত খাদে পড়া বাসটি থেকে আহত ও নিহতদের বের করে আনা হচ্ছে। ছবিতে বাসটিকে উল্টে থাকতে দেখা গেছে।গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট বার্নার্দো আরেভালো বাস দুর্ঘটনায় তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন। আহত ও নিহতদের উদ্ধারে তিনি সেনাবাহিনী ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাকে মোতায়েন করেছেন।তিনি বলেন, ‘আমি নিহতদের পরিবারের প্রতি সংহতি জানাই, যারা স্বজনদের মৃত্যুর খবর শুনে জেগে উঠেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘তাদের কষ্ট আমার কষ্ট।’গুয়াতেমালার কংগ্রেসের প্রেসিডেন্টও সামাজিক মাধ্যমে এ ঘটনাকে হৃদয়বিদারক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, চার ডজনেরও বেশি গুয়াতেমালাবাসী দৈনন্দিন জীবিকার সন্ধানে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।’গুয়াতেমালা সিটির মেয়র রিকার্ডো কুইনোনেজ বলেন, ঘটনাস্থলে জরুরি সেবা মোতায়েন করা হয়েছে এবং ট্রাফিক পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় যান চলাচল রোধে বিকল্প পথ তৈরিতে কাজ করছে। ন্যাশনাল সিভিল পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনা কবলিত স্থানে যাবতীয় সহায়তা দিতে তারা প্রস্তুত রয়েছে। এবি
প্রেমিকের সঙ্গে পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল প্রেমিকার
পালিয়ে সংসার আর করা হল না যুবতীর। প্রেমিকের সঙ্গে পালাতে গিয়ে বাইক দুর্ঘটনায় এক যুবতীর মৃত্যু ঘটল। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে আসামের ধেমাজি জেলার শিলাপাথরে। মৃত যুবতী হলেন জনমণি মেদক।জানা যায়, শচীন দলের সঙ্গে জনমণির দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ দুর্ঘটনায় প্রেমিক শচীন গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানা যায়নি। এ নিয়ে পরিবারের মাঝে শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
বিনোদন
সব দেখুন
একযুগ পর 'তাণ্ডবে' এক হচ্ছেন শাকিব খান ও জয়া আহসান
শাকিব খানের সিনেমা মানেই তার ভক্তদের ভিন্ন আনন্দের খোরাক। ঈদে তার সিনেমা দেখতে দর্শকের মধ্যে থাকে এক ধরনের উত্তেজনা। ভক্তদের উৎসবের বাড়তি আনন্দ দিতে রায়হান রাফী নির্মাণ করেছিলেন তুফান সিনেমাটি। সিনেমাটি বাংলা সিনেমার অতীতের অনেক রেকর্ড ভেঙে দেয়। ব্যবসা করে দেশ ও দেশের বাইরে। নতুন করে দর্শক টেনেছে সিনেমাটি; দেশ-বিদেশে হয়েছে সমাদৃত। তুফানের পর শাকিবকে নিয়ে রায়হান রাফীর পরবর্তী সিনেমা কী, এমন প্রশ্ন ছিল অনেকের। এমন প্রশ্ন যখন ভক্তদের হৃদয়ে, ঠিক তখনই এল নতুন খবর। শাকিব খান ও রায়হান রাফী জুটি হয়ে আবারো আসছেন পর্দায়। তুফান ২ না হলেও নতুন নামে নতুন সিনেমা নিয়েই হাজির হবেন দুজন। সিনেমার নাম আগেই জানা গিয়েছিল। নতুন সিনেমাটির নাম 'তাণ্ডব'। আগেই জানা গিয়েছিলো সুপারস্টার শাকিব খানের এবারের নায়িকা হবেন দেশের কোন অভিনেত্রী। সত্য হলো তাই! রায়হান রাফী পরিচালিত মেগাস্টার শাকিব খান অভিনীত 'তাণ্ডব' সিনেমায় অভিনয় করবেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। প্রযোজক সমিতির বিশ্বস্ত একটি সুত্র সময়ের কণ্ঠস্বরকে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য। ব্লকবাস্টার 'তুফান'-এর পর শাকিব-রাফী আবারও আসছেন বাজিমাৎ করতে, এমনটাই ভাবছেন বাংলা সিনেপ্রেমীরা! তাণ্ডবে থাকবেন আরও একজন দেশি নায়িকা! তবে এ চরিত্রে চূড়ান্ত হয়নি কেউ। সিনেমার আইটেম সঙে থাকতে পারে চমক! হাজির হতে পারেন জনপ্রিয় কোনো চিত্রনায়িকা! দ্রুতই শুরু হবে তাণ্ডব সিনেমার শুটিং। সিনেমাটি মুক্তি পাবে চলতি বছররের ঈদুল আযহা উৎসবে। শাকিব খান জয়া আহসানকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৩ সালে পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী সিনেমায়। এটি শাকিব খান অভিনীত ২০০তম চলচ্চিত্র।

প্রেম না থাকলে ক্রিয়েটিভিটি আসে না সত্যি: কুসুম শিকদার
শিল্পীদের মনে প্রেম থাকতে হয় বলে মনে করেন অভিনেত্রী কুসুম শিকদার। নইলে সৃজনশীলতার উদয় হয় না বলে ধারণা কুসুমের। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এ সময়ে আসন্ন ভালোবাসা দিবসের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কুসুম বলেন, '১৪ ফেব্রুয়ারি নিয়ে এখনও কোনো প্ল্যান নেই, সত্যি। এখনও অনেক দেরি আছে।' প্রেমের জন্য ডেট করতে যান কি না, এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলে মজার ছলে ফুলের নামে নামের এ তারক, 'হ্যাঁ যাই। দেশে, দেশের বাহিরে সব জায়গায়ই যাই।'এরপর প্রেম নিয়ে তিনি বলেন, 'শিল্পীদের মনে প্রেম থাকতেই হয়। প্রেম না থাকলে ক্রিয়েটিভিটি আসে না সত্যি।'বলে রাখা ভালো, কদিন আগে কুসুম শিকদার প্রযোজিত ও অভিনীত নতুন ছবি শরতের জবা মুক্তি পেয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন কুসুম। তার সহ-অভিনেতা ইয়াশ রোহান। আরও অভিনয় করেছেন জিতু আহসান, নিদ্রা দে নেহা, নরেশ ভূঁইয়া প্রমুখ। সবশেষ ২০১৬ সালে মুক্তি পায় কুসুম শিকদার অভিনীত ‘শঙ্খচিল’ সিনেমাটি। এর আট বছর পর শরতের জবা দিয়ে বড় পর্দায় ফিরেছেন তিনি।

'এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়' তাহসান খানের বিয়ে প্রসঙ্গে মিথিলা
চলতি বছরের শুরুতেই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন দেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। মেকওভার শিল্পী রোজা আহমেদকে বিয়ে করেছেন তিনি।রোজাকে বিয়ের আগে অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সঙ্গে দীর্ঘ ১১ বছরের দাম্পত্য ছিল তাহসানের। ২০১৭ সালে তাদের সেই সংসারে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ওপার বাংলার পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মিথিলা। অন্যদিকে মিথিলার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর দীর্ঘদিন কোনো সম্পর্কে জড়াননি তাহসান। তবে ২০২৫ সালের শুরুতেই নিজের জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর খবর প্রকাশ্যে আনেন।প্রাক্তনের বিয়ের পর মিথিলার প্রতিক্রিয়া কি ছিল, সেটা জানতে ব্যাপক আগ্রহী ছিলেন ভক্তরা। কিন্তু তাহসানের বিয়ে নিয়ে শুরু থেকেই নীরব ছিলেন এই অভিনেত্রী। এমনকি সাবেক স্বামীর প্রতি কোনো শুভেচ্ছাবার্তাও পাঠাননি তিনি।তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাহসানের বিয়ে নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন মিথিলা। যেখানে তিনি বলেন, 'বিয়ে নিয়ে আমার কিছুই বলার নাই। এটা নিয়ে কথা বলতেও চাই না। এটা যার যার ব্যক্তিগত বিষয়, এটা আমারও কোনো ব্যক্তিগত বিষয় না যে আমি কথা বলবো। যার জীবনের ঘটনা, এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। এখানে আমার কিছুই বলার থাকতে পারে না।' এর আগে মিথিলা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও তাহসানের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব রয়েছে। অভিনেত্রী মনে করেন, সন্তান থাকলে তার স্বার্থ আগে দেখতে হবে। সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য সর্বাগ্রে।অভিনেত্রীর কথায়, 'আমি আয়রাকে দেখতে পেলাম না। আমি আর তাহসান লড়াই করলাম, এই ইগোর যুদ্ধে তো বাচ্চার ক্ষতি হবে। তাই তাহসানের সঙ্গে এখনো আমার বন্ধুত্ব রয়েছে। আমাদের প্রায়সই কথা হয় মেয়েকে নিয়ে।'

নতুন বিজ্ঞাপনে চিত্রনায়ক ইমন, সঙ্গী তার স্ত্রী আয়েশা
ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক মামনুন ইমন। দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে কাজ করেছেন সিনেমা, নাটক ও বিজ্ঞাপনে। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন বিজ্ঞাপনে কাজ করলেন এই অভিনেতা। তবে এবার তার সঙ্গী হয়েছেন তার স্ত্রী আয়েশা ইসলাম আশা। এর মধ্যদিয়ে অভিনয়ের খাতায় নাম লিখালেন আয়েশা।ইমন বলেন, 'এটি আমার জন্য অনন্য এবং স্মরণীয় একটি অভিজ্ঞতা ছিল। স্বামী-স্ত্রী মিলে কাজ করেছি। এটি প্রথমবার, তবে শেষবার কি না জানি না। স্ত্রীর সঙ্গে কাজের জন্য একটি রোমান্টিক গল্প বেছে নিয়েছেন তিনি। এটি দর্শকেরও ভালো লাগবে- এমনটাই তার প্রত্যাশা।' মডেল হওয়া আয়েশা প্রসঙ্গে বলেন, 'ইমন সাহস জুগিয়েছে তাই কাজটি করতে পারলাম। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা আমার জন্য। দেখার অপেক্ষায় আছি কেমন ফিডব্যাক আসে।' খুব শিগরিই বিজ্ঞাপনটি প্রচারে আসবে বলে জানিয়েছেন চিত্রনায়ক ইমন।বলা দরকার, ২০০৮ সালে ভালোবেসে গোপনে আয়েশাকে বিয়ে করেন ইমন। তাদের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে ৭ বছর পর। আর ইমনও শোবিজের বিভিন্ন অনুষ্ঠান কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে স্ত্রীকে খুব একটা সামনে আনেন না।
অর্থ-বাণিজ্য
সব দেখুন
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৩৫ কর্মকর্তার লকার খুলছে আজ
বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ করে অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জন, শেয়ারবাজার থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, রিজার্ভের অর্থ তছরুপ ও সঞ্চয়পত্র জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক-বর্তমান ৩৫ কর্মকর্তাকে নজরদারিতে নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব কর্মকর্তার ব্যক্তিগত লকার খুলে তার সম্পদ পরীক্ষা করতে চায় সংস্থাটি।রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের উপস্থিতিতে দুদকের বিশেষ টিম লকারগুলো খুলবে। এর আগে, আদালতের অনুমতি নিয়ে লকারগুলো ফ্রিজ করা হয়।দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল এসব লকার খুলে অর্থ ও সম্পদের তালিকা তৈরি করবে। পরে তা আদালতকে জানানো হবে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) লকার থেকে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ উদ্ধারের পর আরও ৩৫ কর্মকর্তার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে।আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে লকার খোলার বিপক্ষে মত দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ চান দুর্নীতিবাজদের অপকর্ম প্রকাশ পাক।দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক দুই গভর্নর ড. আতিউর রহমান ও মো. আবদুর রউফ তালুকদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে। সংস্থার আতশি কাচে রয়েছেন ডেপুটি গভর্নর মোছা. নুরুন্নাহার, ড. হাবিবুর রহমান, কাজী সাইদুর রহমান, উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাসের, নির্বাহী পরিচালক ড. সায়েরা ইউনুস, পরিচালক ইমাম আবু সাঈদ, পরিচালক (এফপিআইবি) সরোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পরিচালক আবদুর রউফ, মঞ্জুর হোসেন খান, মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম পরিচালক সুনির্বাণ বড়ুয়া, জোবায়ের হোসেন, নিক তালুকদার, রুবেল চৌধুরী, লেলিন আজাদ পলাশ, উপমহাব্যবস্থাপক তরুণ কান্তি ঘোষ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ ফেরদৌস কবির, পদস্থ কর্মকর্তা এ বি এম মোবারক হোসেন, উপপরিচালক হামিদুল আলম সখা, সহকারী পরিচালক মো. কাদের ও সহকারী ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন।দুদকের তালিকায় সাবেক নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, খুরশিদ আলম, সাবেক পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ, সাবেক উপপরিচালক মোফাজ্জল হোসেন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (বরখাস্ত) সিকদার লিয়াকত ছাড়াও বিএফআইইউর তিন অতিরিক্ত পরিচালক, দুই যুগ্ম পরিচালক ও এক উপপরিচালক রয়েছেন।বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক।সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি গত বছর ৫ আগস্টের পর ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ ও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, সেসব আমলে নিয়ে অনুসন্ধান করছে দুদক। ২০০৬ সাল থেকে যেসব কর্মকর্তা বিএফআইইউতে কর্মরত ছিলেন বা এখনও আছেন, তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন, জালিয়াতি করে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থ পাচার, পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, প্রতারণার মাধ্যমে সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে টাকা আত্মসাৎ, রিজার্ভের অর্থে গঠিত তহবিল তছরুপের অভিযোগও অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি। ফলে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে লকার রয়েছে, তারা চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন।এবি

আর্জেন্টিনা থেকে ৫০ হাজার টন গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ
আর্জেন্টিনা থেকে ৫০ হাজার ২ শত মেট্রিক টন গম নিয়ে এমভি এলপিডা জিআর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি জানান, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি করা জাহাজে রক্ষিত গমের মধ্যে ৩০ হাজার ১২০ মেট্রিক টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং ২০ হাজার ৮০ মেট্রিক টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে। ইমদাদ ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে গম খালাসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ করতে গভর্নরকে চিঠি
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে কর্মকর্তাদের অর্থ-সম্পদ জমা রাখার ব্যক্তিগত সব লকার সাময়িকভাবে ফ্রিজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেসব বিশেষ লকারে অপ্রদর্শিত বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ জমা রয়েছে বলে মনে করছে দুদক।মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন দুদক পরিচালক।ব্যাংকের গভর্নরকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতি নিয়ে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশনের টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর সেফ ডিপোজিট তল্লাশি করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে তার জমা করা তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫.৪ গ্রাম স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে। যা তার নিয়মিত আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করা হয়নি।এতে আরও বলা হয়, তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য কিছু কর্মকর্তাও সিলগালা করে সেফ ডিপোজিট রেখেছেন। এসব সিলগালা কৌটাতেও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার অবকাশ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান চলমান।চিঠিতে আরও বলা হয়, গত ৩০ জানুয়ারি বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের দুদক ও সম্পদ পুনরুদ্ধার বিষয়ক আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ওই ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িকভাবে ফ্রিজের সম্মতি দিয়েছেন।বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গভর্নরকে দেওয়া দুদকের চিঠি ও অর্থ উপদেষ্টার সম্মতি থাকায় ভল্টের সব লকারের সম্পদ ফ্রিজ করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে এর মালিকরা তাদের লকার থেকে কোনো ধরনের অর্থ-সম্পদ সরিয়ে নিতে পারবেন না।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই সব লকার খোলা ও লকারে থাকা অর্থ-সম্পদের তালিকা তৈরির অনুমতির জন্য গত সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজের কাছে আবেদন জমা দিয়েছে দুদক।দুদকের আবেদনে বলা হয়, বিগত ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নরের সেইফ ডিপোজিট তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য কিছু কর্মকর্তাও সিলগালা করে সেইফ ডিপোজিট রেখেছেন। এসব সিলগালা কৌটায়ও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার অবকাশ রয়েছে। কমিশন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টের লকারে রক্ষিত অন্যান্য কর্মকর্তাদের সেইফ ডিপোজিটসমূহ তল্লাশি ও ইনভেন্টরি লিস্ট করার অনুমতি চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে আবেদন দাখিলের সদয় অনুমতি দিয়েছেন। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় নিরাপত্তা ভল্টে রক্ষিত লকারে সেইফ ডিপোজিট খোলার আবেদন বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করার পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।শিগগিরই এ সংক্রান্ত আদেশ দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর সব লকার খোলা, অর্থ-সম্পদ গণনা ও তালিকা তৈরির জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত করার জন্য দু-এক দিনের মধ্যে ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জমা দেবে দুদক।এবি

এলপি গ্যাসের দাম বাড়ল ১৯ টাকা
চলতি মাসের জন্য ভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৯ টাকা থেকে ১৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এছাড়া প্রতিলিটার অটোগ্যাসের দাম ৮৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ৭৪ পয়সায় নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) নতুন এ দামের ঘোষণা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।এর আগে জানুয়ারি মাসের শুরুতে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল এলপিজির দাম। তবে গত ১৪ জানুয়ারি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৯ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।এদিকে জানুয়ারি শুরুতে ৩ পয়সা কমিয়ে ৬৬ টাকা ৭৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল অটোগ্যাসের দাম। এরপর গত ১৪ জানুয়ারি অটোগ্যাসের দাম ৪৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ২৭ পুনর্নির্ধারণ করা হয়। আর গত ২২ জানুয়ারি ৪২ পয়সা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয় ৬৬ টাকা ৮৫ পয়সা।এবি

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ
সদ্য বিদায়ী জানুয়ারি মাসে তিন দফা বাড়ার পর দেশের বাজারে ফের বেড়েছে স্বর্ণের দাম। এর ফলে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৯৯ টাকা বেড়ে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯০ টাকা হয়েছে। দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে এটি রেকর্ড।আজ শনিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আগামীকাল রবিবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।দাম বাড়ার ফলে প্রতি ভরি ২১ ক্যারেট স্বর্ণ ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩০০ টাকায়, ১৮ ক্যারেটের প্রতি স্বর্ণ ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৪১ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৯৭ হাজার ৪৭৬ টাকায় বিক্রি হবে।তবে স্বর্ণেরর দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত থাকবে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ১১১ টাকা ওসনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।উল্লেখ্য, এর আগে সবশেষ গত ২৯ জানুয়ারি স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। যা পরের ৩০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। তখন ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৩৬৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪২ হাজার ৭৯১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এফএস

করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়তে পারে আরও ১৫ দিন
ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় আরও ১৫ দিন বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করতে পারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর বিভাগ। তবে নির্ধারিত এই সময়ের পরও সারাবছরই জমা দেয়া যাবে রিটার্ন। যার জন্য গুণতে হবে বাড়তি জরিমানা। সংশ্লিষ্টরা জানান, এর আগের অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার আয়কর রিটার্ন জমা পড়ে ৪০ লাখের বেশি। চলতি অর্থবছরে যার প্রত্যাশা ছিল অন্তত ৫০ লাখ। কিন্তু গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত রিটার্ন জমা পড়ে ৩৪ লাখের কাছাকাছি। তাই এনবিআরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় বাড়ানোর সায় দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ও।প্রত্যাশিত রিটার্ন জমা না হওয়ার পেছনে রাজনৈতিক অস্থিরতাকে দুষছেন সংশ্লিষ্টরা। যেখানে রয়েছে অর্থনৈতিক সংকটও। রয়েছে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার জটিলতাও।এবি

‘আম্বালা ফাউন্ডেশন’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
দেশের এনজিও সেক্টরে দীর্ঘ তিন দশকের অধিক সময় ধরে অতি সুনামের সঙ্গে প্রান্তিক সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবা দিয়ে আসছে ক্ষুদ্রঋণ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘আম্বালা ফাউন্ডেশন’। দেশের যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগময় পরিস্থিতিতেও ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের স্বাবলম্বী করার জন্য কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৯৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি এনভায়রনমেন্ট কাউন্সিল বাংলাদেশ বা সংক্ষেপে ইসি বাংলাদেশ নামে যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে আম্বালা ফাউন্ডেশন করা হয়। সুনামের সাথে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ।আম্বালার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ সিকদারের ত্যাগ, শ্রম, মেধা, ধৈর্য্য আর তার সঙ্গে মিশে থাকা একদল সুদক্ষ, আন্তরিক কর্মীর সমন্বয়ে বিন্দু থেকে সিন্দুতে পরিণত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। জানা যায়, বর্তমানে আম্বালা ফাউন্ডেশন দেশের ২১টি জেলার ২৪১টি শাখায় দুই হাজারের অধিক কর্মীর নিরলস পরিশ্রমে এক লক্ষ উনিশ হাজার মানুষের মাঝে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম সুসংগঠিত ও স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও দেশের যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগময় পরিস্থিতিতেও ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের স্বাবলম্বী করার জন্যও কাজ করে যাচ্ছে আম্বালা। তারই অংশ হিসেবে গত বন্যায় দুর্গতদের সার, বীজ এবং নগদ আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।পাশাপাশি বন্যা কবলিত অঞ্চলে স্বল্প সুদে ঋণপ্রদানের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনেও ভুমিকা রেখেছে আম্বালা। এছাড়াও বন্যা কবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান এবং ঔষধ সরবরাহ, ক্ষতিগ্রস্থদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। মানুষের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় বিনামূল্যে গবাদি পশুর চিকিৎসা ও ঔষধ সরবরাহের দৃষ্টান্ত রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। অন্যদিকে ‘আম্বালা ফাউন্ডেশন’ বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। BD Rural Wash প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের মানুষকে নিরাপদ পানি সরবরাহ, উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে। গ্রামের মানুষের জন্য নতুন পানির পাম্প স্থাপন, স্বাস্থ্যকর শৌচাগার নির্মাণ এবং হাইজিন সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ প্রদান করে, যাতে তারা পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয়। এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান থেকে ৫৫৪০ টি খানার ২২১৬০ জন মানুষ নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন এর সুবিধাভোগী হয়েছেন। এতে করে গ্রামীণ সমাজে পানিবাহিত রোগের হার কমেছে এবং মানুষের জীবনযাত্রা উন্নত হয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ ফাইন্যান্সিং এন্ড ক্রেডিট এনহান্সমেন্ট প্রকল্পের মাধ্যমে ১৪টি জেলার ৪৮ উপজেলার ১৯৯টি গ্রামে ৫৩৪ জন লোককে কোটি কোটি টাকার অধিক ঋণ বিতরণ করেছে, যা দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা করছে। এই ঋণের লক্ষ্য হলো সমাজভিত্তিক উদ্যোগ বা কমিউনিটি-ভিত্তিক ব্যবসাগুলোকে অর্থায়ন করা, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রথম ডিজিটাল পাশবুক চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। খুব শিগগিরই ইমার্জেন্সি লোন সার্ভিসও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।আম্বালা ফাউন্ডেশন ক্ষুদ্রঋণ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানেই থেমে থাকেননি। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে ২০১২ সালে ঢাকা বিভাগের একমাত্র কমিউনিটি রিডিও 'রেডিও বিক্রমপুর এফএম ৯৯.২' প্রতিষ্ঠা করা হয়। যা প্রান্তিক, পশ্চাৎপদ এক জনগোষ্ঠীর কাছে নিয়ে গেছেন উন্নয়নের বার্তা, শিক্ষার শক্তি। এই প্রচার মাধ্যমে বাল্যবিবাহ, নারী ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ প্রতিরোধ, শিক্ষা, বিনোদন, স্বাস্থ্যসেবা ও সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়ে প্রোগ্রাম পরিচালনা করে থাকে। যা নিয়মিত শুনেন প্রায় ৯ লক্ষ শ্রোতা। নির্বাহী পরিচালক আরিফ সিকদারের নতুন নতুন কার্যক্রমে বিকশিত হচ্ছে আম্বালা ফাউন্ডেশন। তার মধ্যে অন্যতম 'স্বপ্নযাত্রা'। আর্থিক কারণে যেসকল মেধাবীরা পড়া লেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাদের পড়ালেখা যেন বন্ধ না হয় সেই স্বপ্ন থেকেই আম্বালা প্রতিষ্ঠা করেন স্বপ্নযাত্রা। যুগান্তকারী এই উদ্যোগ শত শত জীর্ণ পরিবারকে দিচ্ছে আলোর দিশা। দরিদ্র পরিবারের একজন ছেলে/মেয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ লেখাপড়ার দায়িত্ব নিচ্ছেন স্বপ্নযাত্রা। ২০১৯ সাল থেকে শুরু হয়ে এর ব্যপ্তি প্রতিবছর বাড়ছে। মাত্র ১৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে স্বপ্নযাত্রা বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের ১৬২ (১০৮ ছেলে ও ৫৪ জন মেয়ে) স্বপ্নযাত্রা থেকে শিক্ষা সহায়তা গ্রহণ করছে। দরিদ্র, মেধাবী, সুবিধাবঞ্চিত যেকোনো শিক্ষার্থী এই সহায়তার অনুর্ভুক্ত হতে পারে। আম্বালা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ সিকদার বলেন, ১৯৯৪ সালে যাত্রা শুরু হলেও আম্বালা ফাউন্ডেশন ১৯৯৮ সাল থেকে এ দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠির উন্নয়নের জন্য কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০২ সালে আর্থিক সেবা কার্যক্রমকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ক্ষুদঋণ কার্যক্রম শুরু করি। আমরা প্রথম থেকেই ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমকে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষে সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালনা করে আসছি।আমরা বর্তমানে ২১টি জেলায় কাজ করছি। আমাদের স্বপ্ন অনেক বড়, আমরা চাই আগামীতে দেশের ৬৪টি জেলাতেই আম্বালা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সেই সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৩৫ কর্মকর্তার লকার খুলছে আজ
বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ করে অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জন, শেয়ারবাজার থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, রিজার্ভের অর্থ তছরুপ ও সঞ্চয়পত্র জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক-বর্তমান ৩৫ কর্মকর্তাকে নজরদারিতে নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব কর্মকর্তার ব্যক্তিগত লকার খুলে তার সম্পদ পরীক্ষা করতে চায় সংস্থাটি।রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের উপস্থিতিতে দুদকের বিশেষ টিম লকারগুলো খুলবে। এর আগে, আদালতের অনুমতি নিয়ে লকারগুলো ফ্রিজ করা হয়।দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল এসব লকার খুলে অর্থ ও সম্পদের তালিকা তৈরি করবে। পরে তা আদালতকে জানানো হবে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) লকার থেকে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ উদ্ধারের পর আরও ৩৫ কর্মকর্তার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে।আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে লকার খোলার বিপক্ষে মত দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ চান দুর্নীতিবাজদের অপকর্ম প্রকাশ পাক।দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক দুই গভর্নর ড. আতিউর রহমান ও মো. আবদুর রউফ তালুকদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে। সংস্থার আতশি কাচে রয়েছেন ডেপুটি গভর্নর মোছা. নুরুন্নাহার, ড. হাবিবুর রহমান, কাজী সাইদুর রহমান, উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাসের, নির্বাহী পরিচালক ড. সায়েরা ইউনুস, পরিচালক ইমাম আবু সাঈদ, পরিচালক (এফপিআইবি) সরোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পরিচালক আবদুর রউফ, মঞ্জুর হোসেন খান, মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম পরিচালক সুনির্বাণ বড়ুয়া, জোবায়ের হোসেন, নিক তালুকদার, রুবেল চৌধুরী, লেলিন আজাদ পলাশ, উপমহাব্যবস্থাপক তরুণ কান্তি ঘোষ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ ফেরদৌস কবির, পদস্থ কর্মকর্তা এ বি এম মোবারক হোসেন, উপপরিচালক হামিদুল আলম সখা, সহকারী পরিচালক মো. কাদের ও সহকারী ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন।দুদকের তালিকায় সাবেক নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, খুরশিদ আলম, সাবেক পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ, সাবেক উপপরিচালক মোফাজ্জল হোসেন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (বরখাস্ত) সিকদার লিয়াকত ছাড়াও বিএফআইইউর তিন অতিরিক্ত পরিচালক, দুই যুগ্ম পরিচালক ও এক উপপরিচালক রয়েছেন।বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক।সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি গত বছর ৫ আগস্টের পর ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ ও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, সেসব আমলে নিয়ে অনুসন্ধান করছে দুদক। ২০০৬ সাল থেকে যেসব কর্মকর্তা বিএফআইইউতে কর্মরত ছিলেন বা এখনও আছেন, তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন, জালিয়াতি করে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থ পাচার, পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, প্রতারণার মাধ্যমে সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে টাকা আত্মসাৎ, রিজার্ভের অর্থে গঠিত তহবিল তছরুপের অভিযোগও অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি। ফলে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে লকার রয়েছে, তারা চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন।এবি

আর্জেন্টিনা থেকে ৫০ হাজার টন গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ
আর্জেন্টিনা থেকে ৫০ হাজার ২ শত মেট্রিক টন গম নিয়ে এমভি এলপিডা জিআর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি জানান, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি করা জাহাজে রক্ষিত গমের মধ্যে ৩০ হাজার ১২০ মেট্রিক টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং ২০ হাজার ৮০ মেট্রিক টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে। ইমদাদ ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে গম খালাসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ করতে গভর্নরকে চিঠি
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে কর্মকর্তাদের অর্থ-সম্পদ জমা রাখার ব্যক্তিগত সব লকার সাময়িকভাবে ফ্রিজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেসব বিশেষ লকারে অপ্রদর্শিত বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ জমা রয়েছে বলে মনে করছে দুদক।মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন দুদক পরিচালক।ব্যাংকের গভর্নরকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতি নিয়ে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশনের টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর সেফ ডিপোজিট তল্লাশি করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে তার জমা করা তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫.৪ গ্রাম স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে। যা তার নিয়মিত আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করা হয়নি।এতে আরও বলা হয়, তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য কিছু কর্মকর্তাও সিলগালা করে সেফ ডিপোজিট রেখেছেন। এসব সিলগালা কৌটাতেও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার অবকাশ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান চলমান।চিঠিতে আরও বলা হয়, গত ৩০ জানুয়ারি বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের দুদক ও সম্পদ পুনরুদ্ধার বিষয়ক আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ওই ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িকভাবে ফ্রিজের সম্মতি দিয়েছেন।বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গভর্নরকে দেওয়া দুদকের চিঠি ও অর্থ উপদেষ্টার সম্মতি থাকায় ভল্টের সব লকারের সম্পদ ফ্রিজ করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে এর মালিকরা তাদের লকার থেকে কোনো ধরনের অর্থ-সম্পদ সরিয়ে নিতে পারবেন না।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই সব লকার খোলা ও লকারে থাকা অর্থ-সম্পদের তালিকা তৈরির অনুমতির জন্য গত সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজের কাছে আবেদন জমা দিয়েছে দুদক।দুদকের আবেদনে বলা হয়, বিগত ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নরের সেইফ ডিপোজিট তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য কিছু কর্মকর্তাও সিলগালা করে সেইফ ডিপোজিট রেখেছেন। এসব সিলগালা কৌটায়ও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার অবকাশ রয়েছে। কমিশন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টের লকারে রক্ষিত অন্যান্য কর্মকর্তাদের সেইফ ডিপোজিটসমূহ তল্লাশি ও ইনভেন্টরি লিস্ট করার অনুমতি চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে আবেদন দাখিলের সদয় অনুমতি দিয়েছেন। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় নিরাপত্তা ভল্টে রক্ষিত লকারে সেইফ ডিপোজিট খোলার আবেদন বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করার পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।শিগগিরই এ সংক্রান্ত আদেশ দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর সব লকার খোলা, অর্থ-সম্পদ গণনা ও তালিকা তৈরির জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত করার জন্য দু-এক দিনের মধ্যে ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জমা দেবে দুদক।এবি

এলপি গ্যাসের দাম বাড়ল ১৯ টাকা
চলতি মাসের জন্য ভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৯ টাকা থেকে ১৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এছাড়া প্রতিলিটার অটোগ্যাসের দাম ৮৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ৭৪ পয়সায় নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) নতুন এ দামের ঘোষণা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।এর আগে জানুয়ারি মাসের শুরুতে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল এলপিজির দাম। তবে গত ১৪ জানুয়ারি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৯ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।এদিকে জানুয়ারি শুরুতে ৩ পয়সা কমিয়ে ৬৬ টাকা ৭৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল অটোগ্যাসের দাম। এরপর গত ১৪ জানুয়ারি অটোগ্যাসের দাম ৪৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ২৭ পুনর্নির্ধারণ করা হয়। আর গত ২২ জানুয়ারি ৪২ পয়সা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয় ৬৬ টাকা ৮৫ পয়সা।এবি

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ
সদ্য বিদায়ী জানুয়ারি মাসে তিন দফা বাড়ার পর দেশের বাজারে ফের বেড়েছে স্বর্ণের দাম। এর ফলে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৯৯ টাকা বেড়ে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯০ টাকা হয়েছে। দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে এটি রেকর্ড।আজ শনিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আগামীকাল রবিবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।দাম বাড়ার ফলে প্রতি ভরি ২১ ক্যারেট স্বর্ণ ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩০০ টাকায়, ১৮ ক্যারেটের প্রতি স্বর্ণ ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৪১ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৯৭ হাজার ৪৭৬ টাকায় বিক্রি হবে।তবে স্বর্ণেরর দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত থাকবে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ১১১ টাকা ওসনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।উল্লেখ্য, এর আগে সবশেষ গত ২৯ জানুয়ারি স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। যা পরের ৩০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। তখন ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৩৬৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪২ হাজার ৭৯১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এফএস
শিক্ষাঙ্গন
সব দেখুন
ববিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি গঠন
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে রাকিব আহমেদকে আহ্বায়ক ও সিরাজুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে ৭৩ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে আগামী ছয় মাসের জন্য এই কমিটি অনুমোদন করা হয়।কমিটিতে মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মো. শাহেদ হোসেন, মুখপাত্র মো. মাইনুল ইসলাম এবং সহ-মুখপাত্র হিসেবে মো. জাহিদুল ইসলাম ও শারমিলা জামান সেঁজুতি মনোনীত হয়েছেন।এছাড়া কমিটিতে ১৫ জন যুগ্ম আহ্বায়ক, ১৪ জন যুগ্ম সদস্য সচিব, ৮ জন সংগঠক ও ৩২ জন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।এআই

ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের হল কমিটি বিলুপ্ত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা কলেজ শাখার হল কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পিয়াল হাসান ও সদস্য সচিব মো. মিল্লাদ হোসেনের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, ঢাকা কলেজ শাখার অধীনস্থ সকল হল কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। ছাত্রদলের ঢাকা কলেজ শাখার আহ্বায়ক পিয়াল হাসান ও সদস্য সচিব মো. মিল্লাদ হোসেন আজ এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।শিগগিরই উক্ত হল ইউনিটগুলোর নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

মুহাম্মদ (সঃ) কে কটূক্তির প্রতিবাদে ঢাকা কলেজে বিক্ষোভ
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কটূক্তিমূলক কবিতা লিখেছে সোহেল হাসান গালিব নামের এক কবি। এই কবিতা আজ সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরলে ঢাকা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা ৩০ মিনিটের সময় নর্থ হলের সামনে কয়েকশত শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। বিক্ষোভ মিছিলটি বিভিন্ন হলের সামনে দিয়ে ঘুরে আবারও নর্থ হলের সামনে এসে শেষ হয়। ৮টি হল থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থী এই মিছিলে অংশগ্রহণ করে। বিক্ষোভ মিছিলে বিশ্ব নবীর অপমান সইবে নারে মোসলমান, সোহেল গালিবের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে, একশান একশান ডাইরেক্ট একশান, ঢাকা কলেজের একশান ডাইরেক্ট একশান, মোসলমানের একশান ডাইরেক্ট একশানসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমন্বয়ক জিহাদ হোসাইন বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নাস্তিক সোহেল হাসান গালিবকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যেই প্রকাশনী বইমেলায় এই বই প্রকাশ করেছে তাদের স্টল বন্ধ করতে হবে। উল্লেখ্য, সোহেল হাসান গালিব নামের এক কবি রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভাষায় প্রকাশের অযোগ্য এমন গালিগালাজ করে কবিতা লিখে এবং আজকে সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। এআই

নানা সমস্যায় জর্জরিত শেকৃবির লাইব্রেরি, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)। এর কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষকদের জন্য জ্ঞান ও তথ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। লাইব্রেরিটি কৃষি, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান এবং অন্যান্য বিষয়ে বিস্তৃত সংগ্রহে পূর্ণ।লাইব্রেরিটি শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি নানা সমস্যায় জর্জরিত।পানির ফিল্টার নষ্ট, সিসি ক্যামেরা অকার্যকর, সোলার এবং আইপিএস অকার্যকর, বই চুরি এবং লাইব্রেরির স্থান ভাড়া দেওয়ার মতো ঘটনায় শিক্ষার্থীরা চরম অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের অন্ত নেই, কিন্তু প্রতিকারের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন তারা।লাইব্রেরির পানির ফিল্টার প্রায় ২ মাস ধরে নষ্ট রয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছেন না। অনেকেই লাইব্রেরিতে দীর্ঘ সময় পড়াশোনা করার পর পানি পানের প্রয়োজন হলেও এই সমস্যার কারণে তারা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। অভিযোগ করা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান করা হয়নি।লাইব্রেরির নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নাজুক অবস্থায় রয়েছে। প্রায় দেড় বছর ধরে লাইব্রেরির সিসি ক্যামেরাগুলো অকার্যকর অবস্থায় পড়ে আছে। ক্যামেরায় পাওয়া যায় না তিন দিন আগের ভিডিও। এর ফলে বই চুরির মতো ঘটনাগুলো রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা জানান, বই চুরির অভিযোগ করলেও কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।বিভিন্ন সময় লাইব্রেরির ২য় তলা ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় এই তলা ভাড়া দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারেন না। ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন লাইব্রেরি নির্দিষ্ট সময়ের আগে বন্ধ করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিঘ্নতা সৃষ্টি করে।লাইব্রেরিতে নিয়মিত অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির পড়াশোনার পরিবেশ অত্যন্ত ভালো। কিন্তু আমাদের এখানে সোলার এবং আইপিএস থাকা স্বত্ত্বেও বিদ্যুৎ না থাকলে অন্ধকারে পড়াশোনা করতে হয়। গুরুত্বপূর্ণ বই হারালে পাওয়া যায় না। সিসি ক্যামেরা রয়েছে কিন্তু নষ্ট। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিটি পড়াশোনার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা হোক। আমাদের অভিযোগগুলো গুরুত্বসহকারে দেখা হোক।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরীয়ানের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, সমস্যা গুলো সম্পর্কে আমরা অবগত আছি কিন্তু বাজেটের অভাবে সমস্যাগুলো সমাধান করার সম্ভব হচ্ছে না। লাইব্রেরীর বিদ্যুতের বিষয়টা হলের সাথে সংযুক্ত থাকায় এটির সমাধান একটু সময় সাপেক্ষ। ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টা সম্পূর্ণ প্রশাসনের হাতে। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।"এমআর-২
তথ্য-প্রযুক্তি
সব দেখুন
মাস্কের এআই কিনতে চাওয়ার প্রস্তাবে, পাল্টা এক্স কেনার প্রস্তাব অল্টম্যানের
ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন এক বিনিয়োগকারী সংস্থা ওপেন-এআই প্রতিষ্ঠানটিকে কিনতে ৯৭ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব দিয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত মাস্কের দরপত্রটি স্টার্টআপটির ভবিষ্যৎ নিয়ে ওপেন-এআই’এর সিইও স্যাম অল্টম্যানের সাথে দীর্ঘস্থায়ী কলহকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, চ্যাটজিপিটি’র মাদার কোম্পানি ওপেন-এআই কেনার প্রস্তাবের জবাবে মাস্কের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ অল্টম্যান বলেন, ‘না ধন্যবাদ, তবে আপনি চাইলে আমরা টুইটার ৯ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারে কিনে নিতে পারি।’এই প্রস্তাবটি ইলন মাস্ক এবং ওপেনএআই-এর সিইও স্যাম অল্টম্যানের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধের নতুন এক অধ্যায়। ২০১৫ সালে তারা একত্রে ওপেনএআই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে ২০১৮ সালে সংস্থাটি ছেড়ে চলে যান মাস্ক। এরপর থেকেই দুজনের সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন দেখা দেয়।এবি

বরিশাল বিভাগের অদম্য নারীদের সম্মাননা প্রদান
বরিশালে অদম্য নারী পুরস্কার ২০২৫-এর বিভাগীয় সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে তত্ত্বাবধানে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সহযোগিতায় নারী বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়ে আয়োজনে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ রায়হান কাওছার।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ মনজুর মোর্শেদ আলম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার রুনা লায়লা ও বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক নাইমা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ৩ জন, শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী ৩ জন, সফল জননী নারী ৩ জনসহ দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন আরো পাঁচ নারী।নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে নতুন জীবন শুরু করেছে বরিশালের সদর উপজেলার রিপা খানম ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছে বরিশাল সদর উপজেলার উম্মে সুমাইয়া। তারা বিভাগের পাঁচ ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন।এছাড়া সাধারণ ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছেন বিভাগের ১৭ নারী। পরে অদম্য নারীদের হাতে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।এমআর-২

৯০ বছর বছর বয়সে নভোচারীর স্বপ্ন পূরণ
এড ডুইট ১৯৬০-এর দশকে একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ নভোচারী হতে পারতেন – কিন্তু রাজনীতি তার পথে বাধা সৃষ্টি করেছিল। ২০২৪ সালে, ৯০ বছর বয়সে, তিনি অবশেষে মহাকাশে যাওয়ার সুযোগ পেলেন।মানবজাতি এখন মহাকাশ পর্যটনের নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। ন্যূনতম ৪,৫০,০০০ ডলার (£৩৬০,০০০) খরচ করে ধনী ব্যক্তিরা "নভোচারী" উপাধি দাবি করতে পারেন, একটি সংক্ষিপ্ত উপ-কক্ষপথীয় উড়ানে মহাকাশের কিনারায় গিয়ে ফিরে আসার মাধ্যমে এবং প্রায় ১০ মিনিট ধরে পৃথিবীর ওপরে ভরশূন্য অবস্থা অনুভব করার মাধ্যমে।বর্তমানে ব্লু অরিজিন ও ভার্জিন গ্যালাকটিকের মাধ্যমে পরিচালিত এই নিকট-মহাকাশ ফ্লাইটগুলোর মধ্যে সাধারণত একজন ক্রু সদস্য থাকেন, যার নাম ও গল্প শিরোনামে উঠে আসে– এবং প্রায়ই তারা বিনামূল্যে যাত্রার সুযোগ পান।২০২১ সালে, ব্লু অরিজিনের প্রথম যাত্রীবাহী ফ্লাইটে, সেই ব্যক্তি ছিলেন ৮২ বছর বয়সী বৈমানিক ও প্রাক্তন মার্কিউরি ১৩ সদস্য ওয়ালি ফাঙ্ক। কয়েক মাস পরে, এটি ছিলেন অভিনেতা এবং প্রাক্তন স্টার ট্রেক ক্যাপ্টেন উইলিয়াম শ্যাটনার। ২০২৪ সালের মে মাসে, ব্লু অরিজিনের সপ্তম স্বল্প-মেয়াদী ফ্লাইটে সেই ব্যক্তি ছিলেন এড ডুইট।ডুইট একজন খ্যাতনামা ভাস্কর, যার শিল্পকর্ম যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গ্যালারি ও জনস্মৃতিস্তম্ভে প্রদর্শিত রয়েছে। শ্যাটনারের মতো তিনিও ৯০ বছর বয়সী ছিলেন, তবে শুধুমাত্র তার বয়স বা ভাস্কর্যের জন্যই তিনি আলোচনায় আসেননি। তার পরিচয় ছিল আরও গুরুত্বপূর্ণ – তিনি ছিলেন আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নভোচারী প্রার্থী।।“অনেকেই তাকে শুধু একজন শিল্পী হিসেবে চেনেন,” বললেন আন্তোনিও পেরোনেস।তিনি স্পেস ফর হিউম্যানিটি-এর নির্বাহী পরিচালক, যা একটি দাতব্য অলাভজনক সংস্থা। এই সংস্থাটি তার মহাকাশ যাত্রার জন্য অর্থায়ন করেছে এবং সকলের জন্য মহাকাশে যাওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি করতে চায়।“তারপর হঠাৎ মানুষ জানতে পারে—এক মিনিট, তার জীবনের আরেকটি পুরো অধ্যায় আছে? আমি মনে করি, এটি অনেকের জন্য সত্যিই চোখ খুলে দেওয়ার মতো ব্যাপার ছিল।” তার সেই অতীত সত্যিই চমকপ্রদ।ডুইট একজন এ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন, পাশাপাশি একজন ক্যাপ্টেন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন এবং ১৯৬১ সালে টেস্ট পাইলট স্কুলে ছিলেন, যখন তিনি পেন্টাগন থেকে একটি চিঠি পেলেন। এটি প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির অনুমোদিত ছিল, যেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে তিনি কি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নভোচারী হতে চান। প্রথমে এটি মজা বলে মনে করলেও, শেষ পর্যন্ত তিনি প্রস্তাব গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি জানতে পারেন যে এটি মূলত একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ ছিল, যা কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য নেওয়া হয়েছিল। “প্রেসিডেন্ট নাসার কাছে গিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, ‘তোমরা কি এই মানুষটিকে প্রশিক্ষণ দেবে?’ আর নাসার উত্তর ছিল, ‘না, কারণ এতে আমাদের পুরো কর্মসূচি ধ্বংস হয়ে যাবে, আমাদের করভিত্তি নষ্ট হবে, এবং আমরা জনগণের কাছ থেকে আর কখনও এক পয়সাও পাব না যদি এই মুহূর্তে আমাদের কর্মসূচিতে একজন কৃষ্ণাঙ্গকে অন্তর্ভুক্ত করি,’” ডুইট ২০১৯ সালে বিবিসি ৫ লাইভ-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন।তিনি আরও বলেন, “প্রথম সাতজন নভোচারীর খ্যাতি ছিল যেন তারা সুপারহিরো।” তিনি ১৯৫৮ সালে নির্বাচিত বিখ্যাত মার্কিউরি সেভেন দলের কথা উল্লেখ করছিলেন। “যদি তখনই এর মধ্যে একজন কৃষ্ণাঙ্গ বা একজন নারীকে অন্তর্ভুক্ত করা হতো, তবে এই ব্যক্তিদের সাধারণ মানুষের মতোই মনে হতো বিশ্ববাসীর কাছে, বিশেষ করে করদাতা জনগণের চোখে। তাই প্রেসিডেন্টকে আরেকটি মহাকাশ কর্মসূচি—একটি সামরিক মহাকাশ কর্মসূচি—তৈরি করতে হয়েছিল।”ডুইট তাই সামরিক বাহিনীর ম্যানড অরবিটিং ল্যাবরেটরি (MOL) কর্মসূচির অংশ হিসেবে নভোচারী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। যখন কেনেডির সরকার ঘোষণা করল যে তারা আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নভোচারী নির্বাচন করেছে, তখন ডুইট ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে জায়গা পান এবং দেশজুড়ে বিভিন্ন বক্তৃতা দেন।এডওয়ার্ডস এয়ার ফোর্স বেসে প্রশিক্ষণ শেষ করার পর, ১৯৬৩ সালের অক্টোবরে তাকে নাসার অ্যাস্ট্রোনট গ্রুপ ৩-এর জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে অষ্টম স্থানে রাখা হয়। কিন্তু শুধুমাত্র প্রথম সাতজনই মার্কিউরি সেভেন হিসেবে নির্বাচিত হন। এক মাস পরেই, ডুইটের নভোচারী হওয়ার স্বপ্ন কার্যত শেষ হয়ে যায়।"যে দিন প্রেসিডেন্ট নিহত হলেন, সেদিন আমার জীবন বদলে গেল" – এড ডুইট"২২ নভেম্বর ১৯৬৩—এই দিনটি আমাদের প্রকল্পের একেবারে শেষ ছিল," ডুইট বলেন।প্রেসিডেন্ট কেনেডির হত্যার পর, তাকে বিদেশে বিভিন্ন পদে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে তিনি আরও কয়েক বছর বিমান বাহিনীতে থেকে যান। কিন্তু মহাকাশে যাওয়ার তার শেষ সম্ভাবনাটিও কেনেডির সঙ্গে শেষ হয়ে গিয়েছিল।একজন আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ নভোচারী মহাকাশে যেতে সক্ষম হন ডুইটের ২০ বছর পর, যখন গাইয়োন "গাই" ব্লুফোর্ড—যিনি একইসঙ্গে একজন এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার এবং মার্কিন বিমান বাহিনীর পাইলট ছিলেন—নাসার সঙ্গে মহাকাশে যাত্রা করেন। ব্লুফোর্ড ছিলেন ১৯৭৮ সালে নির্বাচিত ৩৫ জন নভোচারীর দলের সদস্য, যারা স্পেস শাটল কর্মসূচির জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। এটিই ছিল প্রথমবার, যখন নভোচারীরা সবাই শ্বেতাঙ্গ পুরুষ বা শুধুমাত্র সামরিক বাহিনীর সদস্য ছিলেন না। সংগ্রামের গল্প২০২৩ সালের ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্র, দ্য স্পেস রেস, মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ নভোচারীদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে, যেখানে ব্লুফোর্ড ও ডুইট-এর গল্পের পাশাপাশি তারা যে বৈষম্য ও বর্ণবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন, সেটিও তুলে ধরা হয়েছে।"ডুইট এডওয়ার্ডস এয়ার ফোর্স বেসে পরীক্ষামূলক টেস্ট পাইলট ও এ্যারোস্পেস গবেষণা কোর্স সম্পন্ন করেছিলেন এবং তার শ্বেতাঙ্গ সহকর্মীদের মতোই সব যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন," চলচ্চিত্রটির পরিচালক লিসা কোর্টেজ আমাকে স্পেস বোফিনস পডকাস্টে বলেন।"ডুইট ছিলেন অসাধারণ যোগ্য, কিন্তু ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিলেন""এড ডুইট একজন অত্যন্ত যোগ্য কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি ছিলেন, কিন্তু তিনি ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিলেন," বলেন কোর্টেজ। "তিনি সবসময় বলেন, যদি তিনি ২০ বছর পর জন্মাতেন, তাহলে তখন যুক্তরাষ্ট্রে যথেষ্ট সামাজিক অগ্রগতি হতো, যা তাকে দৃশ্যমানতা ও স্বীকৃতি দিত এবং সত্যিকারের একজন নভোচারী প্রার্থী হিসেবে গ্রহণ করত।"ডুইট সামরিক নভোচারী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর নাসায় একাধিকবার আবেদন করেছিলেন, কিন্তু কখনোই নির্বাচিত হননি। তখনকার সময় ভিন্ন ছিল, তবে নাসা পরবর্তীতে তার মহাকাশ অভিযানের ভূমিকার স্বীকৃতি দিয়েছে, এবং আজকের বহুমুখী নভোচারী দল আধুনিক আমেরিকার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে।"আমরা এই অধ্যায়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাহায্য করেছি""আমরা জানতাম যে আমরা মহাকাশ স্বপ্নের এই অধ্যায়কে বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করছি," বললেন আন্তোনিও পেরোনেস। "আমরা সেই ধারণাটিকে আবার জাগিয়ে তুলতে চাই—যে বাধা ভেঙে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব, চ্যালেঞ্জের মুখেও সাহস দেখানো যায়, এবং এড ডুইট সেই সাহসের প্রকৃত উদাহরণ।""অগণিত মানুষকে অনুপ্রাণিত করবেন ডুইট"ডুইট এখন স্পেস ফর হিউম্যানিটি-এর অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। "আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না, কত মানুষকে তিনি অনুপ্রাণিত করতে পারেন, এবং সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য।" তবে ডুইটের নিজের কথাই সবচেয়ে সেরা উদ্ধৃতি, যা তিনি মহাকাশযাত্রার পর বলেছিলেন—তার নভোচারী প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার ৬০ বছরেরও বেশি সময় পরে।"আমি ভেবেছিলাম, আমার জীবনে এই অভিজ্ঞতার দরকার নেই," তিনি বললেন, "কিন্তু আমি মিথ্যা বলেছিলাম। আসলে, আমার সত্যিই এটা প্রয়োজন ছিল।"এমআর

ধেয়ে আসছে অ্যাস্টারয়েড, ২০৩২ সালে আঘাত হানার আশঙ্কা
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা একটি অ্যাস্টারয়েড নিয়ে সতর্ক করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ‘2024 YR4’ নামের এই অ্যাস্টারয়েডটি ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর পৃথিবীতে আঘাত হানার ১ ভাগেরও কিছু বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। অ্যাস্টারয়েডটি ১৩০ থেকে ৩০০ ফুট চওড়া। যদিও এটি মানবজাতির অস্তিত্ব বিলীন করার মতো বড় নয়, তবে কোনো বড় শহরে আঘাত করলে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।, নাসার তথ্য অনুযায়ী, অ্যাস্টারয়েডটি পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ করলে প্রায় ৮ মেগাটন টিএনটির সমপরিমাণ শক্তি নির্গত হবে। এই শক্তি হিরোশিমায় ব্যবহৃত পরমাণু বোমার চেয়ে ৫০০ গুণ বেশি।2024 YR4 অ্যাস্টারয়েডটি প্রথম নজরে আসে ২০২৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর। এটি চিলিতে অবস্থিত নাসার অর্থায়নে পরিচালিত `অ্যাস্টারয়েড টেরেস্ট্রিয়াল-ইমপ্যাক্ট লাস্ট অ্যালার্ট সিস্টেম' স্টেশনে ধরা পড়ে।এর ঠিক চার দিন পর, ৩১ ডিসেম্বর, এটি নাসার স্বয়ংক্রিয় `সেন্ট্রি রিস্ক লিস্ট'-এ অন্তর্ভুক্ত হয়। এই তালিকায় এমন অ্যাস্টারয়েডগুলো থাকে, যেগুলোর ভবিষ্যতে পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে 2024 YR4-এর সংঘর্ষের সম্ভাবনা ১ শতাংশ। তবে ৯৯ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে যে এটি পৃথিবীতে আঘাত করবে না।সময়ের সঙ্গে নতুন তথ্য ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এই ঝুঁকি তালিকা থেকে অ্যাস্টারয়েডটির নাম বাদও পড়তে পারে। আগেও ঘটেছে এমন ঘটনা এর আগেও অনেক অ্যাস্টারয়েডকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল, তবে নতুন তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে সেগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই অ্যাস্টারয়েডটিও একইভাবে ঝুঁকিমুক্ত প্রমাণিত হবে। নাসার মতে, এখন পর্যন্ত এটির মতো বড় কোনো অ্যাস্টারয়েড পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের ১ শতাংশের বেশি সম্ভাবনা নিয়ে চিহ্নিত হয়নি। তবে ভবিষ্যতের পর্যবেক্ষণগুলো বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে তুলবে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও 2024 YR4 পৃথিবীতে আঘাত করার সম্ভাবনা কম, তবুও এটি মহাকাশ পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব আরও একবার প্রমাণ করে। পৃথিবীর সুরক্ষার জন্য এসব অ্যাস্টারয়েডের গতিপথ নির্ধারণ ও তাদের উপর নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি।এমআর

ফেরেশতাদের শব্দ রেকর্ড করলো নাসা!
মহাকাশ নাকি সম্পূর্ণ নিঃশব্দ-এটাই এতদিন বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল! কিন্তু নাসার গবেষণায় উঠে এসেছে এক বিস্ময়কর তথ্য! মহাশূন্য থেকে ভেসে আসা এক রহস্যময় ধ্বনি রেকর্ড করেছে নাসা, যা শুনে গবেষকরা অবাক! তাদের মতে, এটি যেন কোটি কোটি মানুষের একসঙ্গে কোনো মন্ত্র বা সংগীত গাওয়ার মতো শোনাচ্ছে! কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে-এই শব্দ কি সত্যিই শুধুই বৈজ্ঞানিক কম্পন, নাকি ফেরেশতাদের জিকিরের ধ্বনি? ১৪০০ বছর আগে মহানবী (সা.) বলেছিলেন, আকাশের প্রতিটি অংশে ফেরেশতারা সিজদায় লিপ্ত এবং আল্লাহর জিকিরে ব্যস্ত! তাহলে কি এবার সেই সত্যের প্রমাণ পেল বিজ্ঞান?সাহীহ মুসলিম হাদিস আবু দার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মিরাজ থেকে ফিরে আসেন, তখন সাহাবারা তাকে জিজ্ঞাসা করেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আকাশে কী দেখেছেন? কী শুনেছেন?”জবাবে নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “আমি যা দেখেছি, তোমরা তা দেখতে পাও না। আমি যা শুনেছি, তোমরা তা শুনতে পাও না। আকাশজুড়ে প্রচণ্ড কম্পনের শব্দ শোনা যাচ্ছে, আর এর পেছনে রয়েছে এক গভীর রহস্য! আকাশের প্রতিটি অংশে, এমনকি চার আঙুল পরিমাণ জায়গাও খালি নেই-সেখানে ফেরেশতারা সিজদায় লিপ্ত এবং তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে আল্লাহর জিকিরে মশগুল।”রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে উল্লেখ করেছেন যে, আকাশে প্রচণ্ড ঝাঁকুনির মতো শব্দ হচ্ছে। অতীতে ধারণা করা হতো যে, মহাকাশ একটি সম্পূর্ণ বায়ুশূন্য পরিবেশ, যেখানে শব্দের সৃষ্টি অসম্ভব। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নাসার একাধিক গবেষণা এই ধারণাকে বদলে দিয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, মহাকাশে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ঘটনা ও কম্পনের ফলে বিশেষ ধরনের শব্দ সৃষ্টি হয়, যা আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে।নাসার “আওয়ার ইউনিভার্স ইজ নট সাইলেন্ট” এবং “লিসেন টু দ্য ইউনিভার্স” শীর্ষক প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে, কীভাবে মহাকাশে শব্দের সৃষ্টি হয়। সংস্থাটির অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ ও গবেষণা সরঞ্জামের মাধ্যমে এসব মহাকাশীয় শব্দ শনাক্ত ও রেকর্ড করা সম্ভব হয়েছে। নাসার চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি এবং অন্যান্য দূরবীক্ষণ যন্ত্রের তোলা ছবিগুলোর তিনটি নতুন সোনিফিকেশন প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রকল্পের উপর ভিত্তি করে তৈরি নতুন এক ডকুমেন্টারি NASA+ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে আত্মপ্রকাশ করে।সোনিফিকেশন হলো তথ্যকে শব্দে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া। চন্দ্র এবং অন্যান্য দূরবীক্ষণ যন্ত্রগুলো মহাকাশ থেকে যে বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করে, তা সাধারণত ডিজিটাল সংকেত আকারে থাকে এবং পরে চিত্র আকারে রূপান্তরিত করা হয়। সোনিফিকেশন প্রকল্প সেই তথ্যকে শব্দে রূপান্তর করে, যা নতুন এক অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করে।নাসার নতুন ডকুমেন্টারি "Listen to the Universe" NASA+ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে। এটি দেখায় কীভাবে সোনিফিকেশন তৈরি করা হয় এবং এই প্রকল্পের পিছনের গবেষণা দল কিভাবে কাজ করে।২০২০ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্প মূলত দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য মহাকাশের তথ্য সহজলভ্য করার লক্ষ্যে শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে এটি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং বিশ্বব্যাপী দর্শক-শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে যায়।নাসার চন্দ্র প্রোগ্রামের ভিজুয়ালাইজেশন ও প্রযুক্তিবিষয়ক বিজ্ঞানী কিম্বারলি আরক্যান্ড বলেছেন, আমরা NASA+ এবং SYSTEM Sounds-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে এই গল্পটি বলতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। দুর্দান্ত বিষয় হলো এই প্রকল্পটি দারুণভাবে বিস্তৃত হয়েছে এবং অনেক মানুষের মন ছুঁয়ে গেছে।গবেষকদের মতে, মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন কণা বা নক্ষত্রের বিকিরণের ফলে কম্পন বা ভাইব্রেশন সৃষ্টি হয়, যা থেকেই এসব শব্দের উৎপত্তি ঘটে। মূলত, এসব শব্দ ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ হিসেবে থাকে, যা পরবর্তী সময়ে শব্দতরঙ্গে রূপান্তরিত করা হয়। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ১৪০০ বছর আগেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উল্লেখ করেছিলেন যে, আকাশে কাঁপুনির মতো শব্দ হয়।নাসা বর্তমানে বলছে, এই শব্দগুলি কাঁপুনির কারণে সৃষ্টি হয়। এমনকি গবেষণার সাথে যুক্ত একজন বিজ্ঞানী মন্তব্য করেছেন, যে শব্দ শুনে তার মনে হয়েছে যেন একত্রে বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ গ্রেগোরিয়ান চ্যান্ট গাইছে। গ্রেগোরিয়ান চ্যান্ট হলো খ্রিস্টানদের একধরনের ধর্মীয় সঙ্গীত, যা একসঙ্গে গাওয়া হয়। তবে, ১৪০০ বছর আগে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন যে, আকাশে ফেরেশতারা একত্রে আল্লাহর জিকির করছেন।নাসা মহাকাশে যে শব্দ আবিষ্কার করেছে, তার পেছনে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে, যেমন নক্ষত্রের চুম্বক ক্ষেত্র বা প্রাচীন মহাবিশ্বের বিস্ফোরণ। তবে, এই শব্দের বর্ণনা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যেখানে তিনি ১৪০০ বছর আগে বলেছিলেন যে, আকাশে ফেরেশতারা একত্রে আল্লাহর জিকির করছেন। যদিও নাসা এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়েছে, তবে এই শব্দগুলো প্রকৃতপক্ষে ফেরেশতাদের জিকিরের ধ্বনি কিনা, তা কেবল আল্লাহই জানেন।এফএস

নবীজির ঘর মোবারক দাবির বিষয়ে যা জানা গেল
সম্প্রতি, ‘নবীজির ঘর মোবারক’ শীর্ষক শিরোনামে দুটি ছবির একটি কোলাজ ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে৷রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিগুলো হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ঘরের নয় বরং প্রথম ছবিটি তাঁর ঘরের আদলে করা একটি অ্যানিমেশনের এবং দ্বিতীয় ছবিটি ভারতের একটি রাজপ্রাসাদের অন্দরের ছবি৷ এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত প্রথম ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Devlet-i Aliyye-i Turkiya নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ‘[3D] The Inside of The Prophet Muhammad’s House and His Belongings (Replica)’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত কোলাজের প্রথম ছবিটির মিল রয়েছে।ভিডিওটির বিস্তারিত বর্ণনা থেকে জানা যায়, এটি হাদিসের বর্ণনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ঘর ও ঘরের জিনিসপত্রের প্রতিরূপ। এই প্রদর্শনীটি সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হয়।উল্লেখ্য, পূর্বেও প্রথম ছবিটি ব্যবহার করে ‘মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ঘরের আসবাবপত্র’ শীর্ষক শিরোনামে একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সে সময় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।অন্যদিকে, রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে মিডিয়া স্টক ওয়েবসাইট Shutterstock এ ‘Ancient Kitchen Utensils’ শিরোনামে ২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল যুক্ত করা একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়৷ উক্ত ছবিটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত কোলাজের দ্বিতীয় ছবিটির মিল রয়েছে৷ এফএস
আইন-আদালত
সব দেখুন
গুমের মামলায় জিয়াউল আহসানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা, জোরপূর্বক গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে টেলিযোগাযোগ নজরদারির জাতীয় সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানকে।আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনালে এ বিষয়ে শুনানি হবে।এর আগে গত ৬ জানুয়ারি জোরপূর্বক গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার (ক্রসফায়ার) অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের গ্রেপ্তার করে ১২ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়।প্রসিকিউশনের আবেদনে চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মুর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন। যথার্থ ও কার্যকর তদন্তের স্বার্থে আসামিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে আদেশে উল্লেখ করেন ট্রাইব্যুনাল।যে ১২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও টেলিযোগাযোগ নজরদারির জাতীয় সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আরেক অভিযোগে জিয়াউল আহসান আগে থেকেই গ্রেফতার আছেন।এবি
প্রবাস
সব দেখুন
মসজিদে নববীতে ইফতারে নতুন নিয়ম
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মদিনার মসজিদে নববীতে ইফতারে নতুন নিয়ম বেধে দিয়েছে মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা মসজিদ কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়েছে, ইফতারের মৌলিক মেনুর সঙ্গে শুধু দুটি আইটেম যুক্ত করতে পারবেন ইফতার সরবরাহকারীরা।মদিনার মসজিদে নববীতে প্রতিবছর পবিত্র রমজান মাসে অনেক প্রতিষ্ঠান ও অনেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে রোজাদারদের জন্য ইফতার সরবরাহ করে থাকেন। মসজিদে নববীতে ইফতারের খাবারের তালিকায় সাধারণ খেজুর, রুটি, দই, প্যাকেটজাত টিস্যু ও পানির বোতল সরবরাহ করা হয় । মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যারা ইফতার সরবরাহ করবেন তারা চাইলে বাদাম, কাপকেক, পাই, কুকি এবং মাংস-পুদিনা-শাক দিয়ে ঠাসা সেদ্ধ খেজুর দিতে পারেন। তবে দুটি আইটেমের বেশি আর অন্য কোন ইফতার সামগ্রী দেওয়া যাবে না।এছাড়া ইফতার সরবরাহ করতে হবে অনুমোদিত ক্যাটারিং কোম্পানির মাধ্যমে এবং যারা রোজাদারদের সেবা প্রদান করবেন তাদের তথ্য ওয়েবসাইটে সার্বক্ষণিক বিষয়গুলো জানাতে হবে ।উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সৌদি আরবে রমজান শুরু হবে। এ মাসের প্রতিদিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মুসলিমদের সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। এমআর-২
লাইফস্টাইল
সব দেখুন
মিষ্টি আলুর হালুয়া রেসিপি
শবে বরাত উপলক্ষে আমাদের দেশ ও তার আশপাশের দেশসমূহে যে রুটি হালুয়ার ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। আর কিছুদিন পরেই আসছে শবে বরাত। তখন সবার ঘরে ঘরে চলবে নানা রকম মিষ্টান্ন আয়োজন আর মিষ্টি সব খাবারের মধ্যে হালুয়া কিন্তু অন্যতম। নানা উৎসব আয়োজনে হালুয়া বানানো হয়। অনেক উপাদান দিয়েই পদটি তৈরি করা যায়। জানেন কি, মিষ্টি আলু দিয়ে মজার হালুয়া বানানো যায়। কীভাবে এটি তৈরি করবেন, জানুন রেসিপি- উপকরণ মিষ্টি আলু বড়- ৬টাচিনি- ১ কাপদুধ-২ কাপঘি- পোনে ১ কাপএলাচ- ২/৩টিদারুচিনি- ২ টুকরালবণ- খুব সামান্যবাদাম কুচি, কিসমিস- গারনিস এর জন্যপ্রণালি আলু ছিলে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। ধুয়ে পরিমাণ মত দুধ/পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ আলু ভালোভাবে ম্যাশ করে নিতে হবে। চুলায় প্যান বসিয়ে তাতে ঘি দিন। ঘি গরম হলে ম্যাশ করা আলু, এলাচ, দারুচিনি দিয়ে নাড়তে হবে। সাথে অল্প দুধ, চিনি, লবণ দিয়ে দিতে হবে। অনবরত নাড়তে হবে। যতক্ষণ না দুধ শুকিয়ে না যায়। হালুয়া বেশ ঘন হয়ে আসলে আবারও একটু ঘি ছড়িয়ে নাড়তে হবে। হালুয়া যখন প্যানের গা ছেড়ে আসবে তখন ঘি ব্রাশ করা ট্রে তে ঢেলে নিন।চামচ দিয়ে হালুয়া সমানভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। গরম থাকতেই হালুয়ার ওপর বাদাম কিসমিস দিয়ে সাজিয়ে নিন। চাকু দিয়ে নিজের ইচ্ছে মতো আকারে কেটে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মিষ্টি আলুর হালুয়া। এবি