এইমাত্র
  • মারা যাননি ওবায়দুল কাদের
  • মাহফিলে যেতে না পেরে হেলিকপ্টারের ৪ লাখ টাকা ফেরত দিলেন আব্বাসী
  • এসএসসি পরীক্ষা শুরু ১০ এপ্রিল
  • গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
  • ভারত-পাকিস্তানের কিছু ইস্যুর কারণে সার্ক সক্রিয় হচ্ছে না
  • বিশ্বে সাংবাদিকদের জন্য বিপজ্জনক বাংলাদেশসহ চার দেশ: আরএসএফ
  • জাহিদ-পলক-আজমসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার অনুমোদন
  • জুলাই-আগস্টের ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইলেন ডিএমপি কমিশনার
  • খানসামা উপজেলা ইউএনও মো. তাজ উদ্দিনের বিদায় সংবর্ধনা
  • টঙ্গীতে তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, যান চলাচল বন্ধ
  • আজ শুক্রবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

    বিচিত্র

    ১০০ বছরের বর, ১০২ বছরের কনে: প্রেমের বিশ্বরেকর্ড গড়লেন এক দম্পতি
    প্রেমের কোনো বয়স নেই—এ কথা আরও একবার প্রমাণ করলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার বার্নি লিটম্যান (১০০) ও মার্জরি ফিটারম্যান (১০২)। এই বিয়েতে তারা শুধু জীবনের সায়াহ্নে নতুন শুরু করলেন তা নয়, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও নাম লেখালেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতি হিসেবে।প্রেমের অদ্ভুত যাত্রাপ্রায় দশ বছর আগে ফিলাডেলফিয়ার একটি সিনিয়র সিটিজেন সেন্টারের কস্টিউম পার্টিতে তাদের প্রথম দেখা হয়। তখনই তাদের মধ্যে এক অদ্ভুত বন্ধন তৈরি হয়। দীর্ঘ সময় ধরে প্রেমের পর চলতি বছরের মে মাসে তারা জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। পরিবারের সদস্য ও সেন্টারের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসেন।বিশ্ব রেকর্ডগিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, তাদের সম্মিলিত বয়স ২০২ বছর, যা এর আগে কোনও বিবাহিত দম্পতির ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। এই রেকর্ড শুধু তাদের বয়সের জন্য নয়, জীবনের প্রতি তাদের ইতিবাচক মনোভাব এবং সাহসিকতার জন্যও দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।পরিবারের প্রতিক্রিয়াবার্নি ও মার্জরির উভয়েরই সন্তান ও নাতি-নাতনি রয়েছে। তাদের পরিবার এই বিয়ে নিয়ে আনন্দিত। বার্নির নাতনি সারাহ সিকারম্যান বলেন, "বর্তমান জীবনের নানা দুঃখ ও চ্যালেঞ্জের মধ্যে এই সম্পর্ক এক ধরনের বিশেষ অনুভূতি এনে দেয়। জীবনের শেষ মুহূর্তে কারও সঙ্গ পাওয়া সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।"প্রেমের জয়বার্নি ছিলেন একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং মার্জরি ছিলেন শিক্ষিকা। তাদের আগের সঙ্গীরা মারা যাওয়ার পর তারা জীবনের সায়াহ্নে একে অপরকে নতুনভাবে খুঁজে পান।বার্নি ও মার্জরি প্রমাণ করলেন, ভালোবাসার কোনো সময়সীমা নেই। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে উদযাপন করার জন্য এই বিয়ে কেবল তাদের নয়, গোটা বিশ্ববাসীর জন্য এক অনুপ্রেরণার গল্প।"বয়স শুধু একটি সংখ্যা"—বার্নি ও মার্জরি এই কথা জীবন্ত করে তুলেছেন।এসএফ 
    নিলামে এক কলার দাম ৭৪ কোটি
    ছোট বেলায় বানরের কলা খাওয়ার বহু অংক হয়তো কষেছেন আপনি। কিংবা মনে মনে মন কলা খাওয়ার অংকও কষতে হয়েছে আপনাকে। তবে সেসব হিসেবে এবার ভুলে যেতে পারেন এক ঝটকায়। মাত্র একটি কলার দাম শুনলেই। মিটে যাবে এ জীবনে আর কলা খাওয়ার স্বাদ।একটি কলা কত টাকায় কিনে খাবেন আপনি? ১০-২০ কিংবা সর্বোচ্চ ৫০ টাকা। কিন্তু এবার একটি কলা নিলামে বিক্রি হয়েছে ৭৪ কোটি টাকার বেশি দামে! এমনটি দেখার পর চোখ ছানাবড়া হতেই পারে আপনার। বুধবার এমন ঘটনা ঘটেছে নিলামে। বিশেষ সেই কলাটি কিনেছেন চীনের ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতিষ্ঠাতা জাস্টিন সান।বিশেষ এই কলাটির এই দামের পেছনে জড়িয়ে আছে শিল্প। কলাটিকে দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকিয়ে এটিকে একটি শিল্প হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ২০১৯ সালে এই শিল্পটি ‘কমেডিয়ান’ শিরোনামে সবার সামনে তুলে ধরেন ইতালীয় শিল্পী মাউরিজিও ক্যাটেলান।সেবার তার এই বিশেষ দেয়ালে আটকানো কলার শিল্পকর্ম দেখতে জনসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। মায়ামি আর্ট বাসেলে সেবার এমনই ভিড় হয়েছিল যে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য এবং প্রদর্শনীতে থাকা অন্যান্য কাজগুলিকে রক্ষা করার জন্য প্রদর্শনীটি নামিয়ে দিতে হয়েছিল।সেটিই এবার নিলামে তোলা হয়। নিউইয়র্কে সোথবি’সে নিলামে এর মূল্য ধরা হয় ৮ লাখ ডলার। পরে যা শেষ পর্যন্ত বিক্রি হয় ৬.২ মিলিয়ন ডলারে। যদিও নিলামের আগে ধারণা করা হচ্ছিল এটি সর্বোচ্চ ১.৫ মিলিয়নে বিক্রি হতে পারে।কলাটি নিলামে কিনলেও এটি যেহেতু পচনশীল তাই এটি পচে গেলে এটি প্রতিস্থাপনের দায়িত্ব ক্রেতাকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছেন সোথবি'স।তাদের মতে, ‘এটি শুধু একটি আর্টওয়ার্ক নয়। এটি একটি সাংস্কৃতিক ঘটনাকে প্রতিনিধিত্ব করে যা শিল্প, মেমস এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্প্রদায়ের জগতে সেতুবন্ধন করে। আমি বিশ্বাস করি এই অংশটি ভবিষ্যতে আরও চিন্তা ও আলোচনাকে অনুপ্রাণিত করবে এবং ইতিহাসের অংশ হয়ে যাবে।’বিশেষ এই কলার শিল্পী ক্যাটেলান অবশ্য বরাবরই সাহসী কাজের জন্য পরিচিত। এর আগে একটি সোনার টয়লেট এবং একটি উল্কা দ্বারা আঘাত করা পোপের একটি ভাস্কর্য করে ছিলেন তিনি।এসএফ
    মেয়ে সুন্দরী হচ্ছে দেখে গোপনে ডিএনএ টেস্ট করলেন বাবা!
    মেয়েকে দিন দিন সুন্দর হতে দেখে সন্দেহ হয় বাবার। তিনি খেয়াল করে দেখেন, বাবা-মা কারও সঙ্গেই মেয়ের চেহারার মিল নেই। পরে গোপনে ডিএনএ টেস্ট করে নিশ্চিত হন যে, ওই মেয়ের বাবা তিনি নন। এরপর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। একপর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ ঘটে। ভিয়েতনামের হো চি মিন শহরে ঘটেছে এ ঘটনা।তবে ঘটনার শেষ এখানেই নয়। স্বামীর এই অভিযোগ অস্বীকার করে বাড়ি ছেড়ে চলে যান মেয়ের মা। তার নাম হং ও মেয়ের নাম ল্যাং। বাবার নাম প্রকাশ করা হয়নি। শহর ছেড়ে মেয়েকে নতুন স্কুলে ভর্তি করেন হ্যাং। কিন্তু সেখানে আরও চমক অপেক্ষা করছিল তার জন্য।সেই স্কুলে নতুন এক মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় ল্যাংয়ের। তাদের দুজনের জন্মসাল ও দিনও এক ছিল। তাই বন্ধুত্বও হয় গাঢ়। জন্মদিনে দুজনের জন্য অনুষ্ঠান করেন মেয়ের মা। আর সেখানেই ল্যাংকে দেখে বিস্মিত হয়ে যান তিনি। একদম নিজের কিশোর বয়সের ছাপ দেখতে পান ল্যাংয়ের মাঝে। পরে তিনি ল্যাংয়ের মার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং জন্ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। আলোচনায় বেরিয়ে আসে যে, দুজন মেয়েই একই সময়ে একই হাসপাতালে জন্ম নেয়। নার্সদের ভুলে তারা ভুল বাবা-মার কাছে পৌঁছায় আর সেখানেই বড় হতে থাকে। বিষয়টি জানার পর ল্যাংয়ের বাবাও আবার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেন।সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন দুই পরিবারই একসঙ্গে সময় কাটায়। তবে মেয়েদের বিষয়টি জানাননি তারা। উপযুক্ত সময়ে সবকিছু জানানোর পরিকল্পনা তাদের।এফএস
    গিনেজ বিশ্বরেকর্ডের স্বীকৃতি পাওয়া ক্যাসিয়াসের মৃত্যু
    অস্ট্রেলিয়ার বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে বিশ্বের বৃহত্তম বন্দী কুমির ক্যাসিয়াসের মৃত্যু হয়েছে।শনিবার (২ নভেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, প্রায় ১৮ ফুট লম্বা, ১ টন ওজনের ক্যাসিয়াসের বয়স হয়েছিল আনুমানিক ১১০ বছর।১৯৮৪ সালে উত্তর অস্ট্রেলিয়ার একটি জলাভূমিতে ধরা পড়ে ক্যাসিয়াস। পরে এটিকে কুইন্সল্যান্ডের গ্রিন আইল্যান্ডে অবস্থিত মারিনল্যান্ড ক্রোকোডাইল পার্কে নিয়ে আসা হয়।২০১১ সালে বিশ্বের বৃহত্তম বন্দী কুমির হিসেবে গিনেজ বিশ্বরেকর্ডের স্বীকৃতি পায় ক্যাসিয়াস।মেরিনল্যান্ড মেলানেশিয়া ক্রোকোডাইল হ্যাবিট্যাটের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ক্যাসিয়াসকে গভীরভাবে মিস করা হবে। সে আমাদের ভালবাসা ও স্মৃতিতে-হৃদয়ে চিরকাল থাকবে।’জানা যায়, ক্যাসিয়াস মূলত একটি লবণাক্ত পানির কুমির, যা এই প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে বড় ধরনের কুমির হিসেবে পরিচিত। কুমির সাধারণত দীর্ঘ জীবনযাপন করতে পারে এবং লবণাক্ত পানির কুমিরের ক্ষেত্রে বয়স ৭০ বছরের বেশি হতে পারে। তবে ক্যাসিয়াসের বয়স আরও বেশি ছিল।এসএফ 
    ভিন্ন চিত্র, কেক কেটে বিবাহবিচ্ছেদ উদযাপন তরুণীর!
    বিবাহবিচ্ছেদ উদযাপনের জন্য বন্ধুদের ডেকে পার্টি করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন এক তরুণী। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিবাহবিচ্ছেদ উদযাপন করতে বন্ধুদের নিয়ে কেক কেটে আনন্দ-ফুর্তি করছেন তিনি।পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণী বন্ধুদের উপস্থিতিতে ‘হ্যাপি ডিভোর্স’ লেখা একটি কেক কেটেছেন। এছাড়া তার স্বামীর নামখচিত একটি ওড়নাও কাঁচি দিয়ে কাটতে দেখা যায় তাকে। এসময় বিয়ের ছবিগুলোও ছিঁড়ে ফেলেন ওই তরুণী।বিবাহবিচ্ছেদের পর তার এমন কর্মকাণ্ডে সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। নেটিজেনরা বলছেন, বিবাহবিচ্ছেদ অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা। এটিকে এমন খেলোভাবে উপস্থাপন নিরর্থক।কেউ কেউ আবার তরুণীর কর্মকাণ্ডকে ‘বিয়ের পবিত্রতা’র প্রতি অসম্মানসূচক আখ্যা দিয়েছেন।তথ্যসূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন 
    পাত্রের বেতন কম শুনে বিয়ে ভেঙে দিলেন তরুণী
    বাগদানের দিনক্ষণ নিয়ে আলাপ শুরু হয়ে গিয়েছিল, বিয়ের কার্ডের নকশা নিয়েও আলোচনা করতে চেয়েছিলেন উভয় পক্ষ। কিন্তু বাধ সাধল পাত্রের বেতন! বিয়েই ভেঙে দিলেন পাত্রী। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এই ঘটনা।একটি ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইটে আলাপ হয় দুজনের। নতুন সংসার পাতবেন বলে উৎসাহী ছিলেন তাঁরা। পাত্রের উপার্জন কম জানতে পেরে শুরু হয় তর্ক। সেই কথোপকথনের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন পাত্র নিজেই।ভাইরাল ওই পোস্টের মাধ্যমে জানা যায়, বাগদানের জন্য পাত্রকে তাড়া দিচ্ছিলেন পাত্রী। এই নভেম্বর মাসেই আংটিবদলের প্রস্তাব দেন তিনি। এর পর ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইটে প্রোফাইলের একটি ভুলের কথা জানান পাত্র। তিনি জানান, তাঁর বার্ষিক আয় ৩০ লাখ নয়, ৩ লাখ টাকা। ভুলে একটি বাড়তি শূন্য পড়ে গেছে। এর জন্য ক্ষমাও চান তিনি। কিন্তু এর পরই রেগে যান ওই নারী। অবশেষে বিয়ে ভেঙে দেন। এমনকি ওই ব্যক্তিকে গালাগালি করতে শুরু করেন তিনি। মেয়ের সঙ্গে তাঁর মা যুক্ত হয়ে হুমকি দেন। পুরো পরিবারের নামে পুলিশে অভিযোগ জানানোর হুমকি দেন তাঁরা। পরবর্তীতে এই কথোপকথনের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন ওই ব্যক্তি।এফএস
    যেসব দেশে মুসলিমদের বসবাস বা ধর্মপ্রচার নিষিদ্ধ!
    এই পৃথিবীতে বর্তমানে জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত দেশ রয়েছে ১৯৩টি। এর বাইরে আরও ২টি দেশকে তারা পর্যবেক্ষক দেশের তালিকায় রেখেছে। দেশ ২টি হচ্ছে ভ্যাটিকান সিটি এবং ফিলিস্তিন। এরমধ্যে মুসলিম দেশ রয়েছে ৫৭টি। এসব দেশের আনাচে কানাচে ধর্ম-বর্ণভেদে কোটি কোটি মানুষের বসবাস। এরমধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে ২০০ কোটিরও বেশি। ধারণা করা হয়, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই কমবেশি মুসলিমদের বসবাস রয়েছে। তবে এই ধারণাটি হোচট খেয়েছে কয়েকটি দেশে গিয়ে। কেননা, বিশ্বে এমন কিছু দেশ আছে যেখানে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং এসব দেশে নেই কোনো মসজিদও। শুধু তাই নয়, এই দেশগুলোতে ইসলাম ধর্ম প্রচারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়।  চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন দেশ আছে এই তালিকায়।ইসলামবিরোধী এই দেশগুলোর মধ্যে প্রথম তালিকায় আছে ভ্যাটিকান সিটি-ভ্যাটিকান সিটিএটি বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে কোনো মুসলমান বাস করে না। ইতালির রাজধানী রোমের কাছে ভ্যাটিকান সিটিতে শুধুমাত্র খ্রিস্টানরাই থাকতে পারে। পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম এই দেশে মুসলমানদের বসবাস সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।  এর মোট জনসংখ্যা প্রায় ৮০০ এবং এটি একটি সম্পূর্ণরূপে ধর্মীয় স্থান।সলোমন দ্বীপপুঞ্জএই তালিকায় রয়েছে সলোমন দ্বীপপুঞ্জের নামও। এখানকার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৭ লাখ, তবে মুসলমানের সংখ্যা ৭০-এরও কম। ১৯৯৫ সালে তাবলিগ জামাতের মাধ্যমে কিছু লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেও বর্তমানে দেশে ইসলামের প্রকাশ্য প্রচারের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এখানে একটি ছোট মসজিদও রয়েছে, যেটি অপসারণের জন্য প্রায়ই বিক্ষোভ হয়।উত্তর কোরিয়াউত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে ইসলামসহ অন্য সব ধর্ম অনুসরণ করাও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এখানে মন্দির, মসজিদ বা গির্জা নির্মাণ করা আইনত অপরাধ। বিবিসি জানায়, এক সময় এখানে মুসলমানের সংখ্যা ছিল তিন হাজার, কিন্তু এখন তা শূন্যের কাছাকাছি। এখানে যেসব মুসলমান ছিল তারা হয় দেশ ছেড়ে চলে গেছে; নয়তো নিহত হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন নাস্তিকতায় বিশ্বাসী এবং ইসলাম প্রচার করলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।স্লোভাকিয়াস্লোভাকিয়া বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে আজ পর্যন্ত কোনও মসজিদ নির্মিত হয়নি। মুসলমানরা এখানে মসজিদ বানাতে পারে না, মাদ্রাসা চালাতে পারে না। স্লোভাকিয়া এক সময় অটোমান সাম্রাজ্যের একটি অংশ ছিল; যেখানে মুসলমানরা ৩০০ বছর ধরে শাসন করেছিল।কিন্তু আজ মুসলিম জনসংখ্যা নগণ্য। এখানে প্রথম হাসপাতালও মুসলিম শাসকদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু আজ মুসলমানদের ওপর অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে সেখানে।এসএফ 
    ৮০ হাজার বছর পর পৃথিবীর খুব কাছে এলো ধূমকেতুটি
    প্রতি ৮০ হাজার বছর পর পর দেখা যায় ধূমকেতুটি। এ-থ্রি বা সুচিনশান-অ্যাটলাস নামের ওই ধূমকেতু পৃথিবীর প্রায় ৪ কোটি ৪৯ লাখ মাইলের মধ্যে এসেছিল। এমন বিরল সুযোগ কাজে লাগিয়ে, সুচিনশান-অ্যাটলাসের ছবি তুলেছেন মহাকাশ ফটোগ্রাফাররা।রবিবার স্কাই নিউজ জানিয়েছে—যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং এশিয়া জুড়ে মহাকাশ ফটোগ্রাফারেরা কাঙ্ক্ষিত ওই ধূমকেতুর ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন। তবে এর মানে এই নয় যে, ছবি তোলার সুযোগটি শেষ হয়ে গেছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ধূমকেতুটির ছবি তোলা সম্ভব হবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের তথ্য অনুযায়ী, এই ধূমকেতু প্রতি ৮০ হাজার বছর পরপর পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান হয়। সেই অর্থে এই ধূমকেতুটি সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল, যখন মানুষের নিয়ান্ডারথাল প্রজাতি পৃথিবীতে বিচরণ করত।  ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে দুটি মানমন্দির স্বাধীনভাবে ওই ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেছিল। এর মধ্যে একটি মানমন্দির ছিল—চীনের সুচিনশান অবজারভেটরি এবং অন্যটি দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাটলাস। পরে এই দুটি মানমন্দিরের নামে ধূমকেতুটির নামকরণ করা হয় সুচিনশান-অ্যাটলাস। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ধূমকেতুটি আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান হবে। এই সময়ের মধ্যে ডিজিটাল সিঙ্গেল-লেন্স রিফ্লেক্স ক্যামেরা ব্যবহার করে ধূমকেতুটির ছবি পাওয়া সম্ভব বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
    স্ত্রী বিকিনি পরবেন বলে আস্ত দ্বীপ-ই কিনে ফেললেন ব্যবসায়ী স্বামী!
    স্ত্রীকে খুশি করতে কত ধরণের উপহারই না দিয়ে থাকেন স্বামীরা। কিন্তু এবারে এক স্বামীর উপহারে শুধু তাঁর স্ত্রী নয়, একাধিক মহিলারা তাঁর উপর মুগ্ধ হয়ে গিয়েছে। স্ত্রী যাতে ইতস্তত বোধ না করে খোলামেলাভাবে বিকিনি পরতে পারে, তার জন্য গোটা একটা আইল্যান্ড কিনে ফেললেন মিলেনিয়ার স্বামী। দ্বীপের দাম ৫০ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি অর্থে ৫৯৭ কোটি ৩৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।২৬ বছরের সৌদি আল নাদাক নামে একজন গৃহবধূ ইনস্টাগ্রামে খুবই অ্যাক্টিভ। জানা গেছে, সৌদি আল নাদাক আদতে যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা। দুবাইতে আসেন পড়াশোনা করতে। সেই সময়ই জামালের সঙ্গে সাক্ষাত্‍। তিন বছর আগে তিনি দুবাইয়ের সেই মিলেনিয়ার ব্যবসায়ীকে তিনি বিয়ে করেন। বর্তমানে সুখে সংসার করছেন। সৌদি প্রতিদিন নিজের লাইফস্টাইল স্টোরি শেয়ার করে থাকেন। সম্প্রতি তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি এবং তাঁর স্বামী প্লেনে করে উড়ে তাদের প্রাইভেট দ্বীপে। ভিডিওটির উপরে লেখা, 'বিকিনি পরতে চেয়েছিলাম, মিলেনিয়ার স্বামী দ্বীপ কিনে দিয়েছে।' এর পাশাপাশি ক্যাপশনে লেখেন, 'এখনও পর্যন্ত এটা তাঁর সবথেকে সেরা বিনিয়োগ।'নেটিজেনরা তাঁর স্বামীর কীর্তিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। একদল নেটিজেন স্বামী প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে যায়। অন্যদিকে, আর একদন নেটিজেন দম্পতির  সম্পদের 'দেখানো'র জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হন। একজন নেটিজেন লেখেন, 'হাসব্যান্ড অফ দ্য ইয়ার'। আর একজন লেখেন, 'কেন আমরা এনার স্বামী পাই না।' অন্য একজন লেখেন, 'আমারও এইরকম একজন স্বামী চাই, এরকম পাত্র কোথায় পাওয়া যায়।' আবার একদিকের নেটিজেন লেখেন, 'এনাকে কেউ শাহজাহানের তাজ মহলওয়ালা পুরস্কার দিয়ে দিন।' একজন লেখেন, 'দুবাইয়ের লোকজন সবাইকে গরীব করে ছাড়বে।'
    হঠাৎ মিমকে হারুনের ফোন, সরে দাঁড়াতে বলেন যে সিনেমা থেকে
    ১৯৯৫ সালের ২৩ আগস্ট রাতে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওগামী বাসে দিনাজপুরের উদ্দেশে রওনা হন ইয়াসমিন নামের এক কিশোরী।ভোররাতে তাকে দিনাজপুর-দশমাইল মোড়ে এক চায়ের দোকানে ওই কিশোরীকে নামিয়ে দিয়ে বাসের স্টাফরা বলেন- সকাল হলে তাকে দিনাজপুরগামী বাসে উঠে যেতে।কিছুক্ষণ পরই সেখানে আসে কোতোয়ালি পুলিশের টহলরত একটি পিকআপ।বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে জোর করে ওই কিশোরীকে পিকআপে তোলা হয়। পথে তাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে লাশ ফেলে দেওয়া হয় মহাসড়কে।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনাজপুরবাসী প্রতিবাদে ফেঁটে পড়ে। ২৪ থেকে ২৭ আগস্ট ৩ দিনের আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ৭ জন নিরীহ মানুষ। আহত হন দুই শতাধিক। এরপর দিনাজপুরসহ সারা দেশে সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।বছর খানেক আগে ইয়াসমিনের সেই ঘটনা নিয়ে একটি সিনেমা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন পরিচালক সুমন ধর। নায়িকা হিসেবে বিদ্যা সিনহা মিমকে বাছাই করেন তিনি। সিনেমার নাম ঠিক করেন ‘আমি ইয়াসমিন বলছি’।২০২৩ সালে দেওয়া হয় সিনেমাটি নির্মাণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। কিন্তু বাধ সাধেন তখনকার ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ। চিত্রনায়ক জায়েদ খানের মধ্যস্থতায় পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন হারুন।জানিয়ে দেন সিনেমাটি নির্মাণ করা যাবে না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন পরিচালক সুমন। তিনি বলেন, ‘একদিন জায়েদ ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বললেন, আপনাকে আমার সঙ্গে একটু হারুন (ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন প্রধান হারুন অর রশীদ) ভাইয়ের ওখানে যেতে হবে। কেন যেন আপনাকে ডাকছেন। আমি যেহেতু চলচ্চিত্রের মানুষ, তাই আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। পরদিন আমি গেলাম, কয়েক মিনিটের ব্যবধানে জায়েদ ভাইও ঢুকলেন। দেখলাম, হারুন সাহেব তার রুমে বসা। তার টিমও আছে।আমি তাকে সালাম দেওয়ার পর প্রশ্ন করলেন, কী অবস্থা? শুনলাম, আপনি একটা সিনেমা করছেন, আমি ইয়াসমিন বলছি? বললাম, হ্যাঁ করছি। তিনি বললেন, এটা নিয়ে অনেক কথাবার্তা আছে। এই সিনেমা আসলে করা যাবে না। আমাদের এখানে বড় বড় আরও শক্তিশালী গল্প আছে। ওগুলো আপনাকে দিই, সেখান থেকে করেন।’সুমন বলেন, ‘এরপর আমি বললাম, এই সিনেমার পেছনে অনেক পরিশ্রম করেছি। সেই ২০১৭ সাল থেকে লেগে আছি। যেহেতু সত্যি গল্প, সিনেমার মধ্যে যেন সবটুকু সঠিকভাবে উঠে আসে, তার জন্য অনেক গবেষণা করতে হয়েছে। নিজেরও টাকা বিনিয়োগ আছে, প্রযোজকেরও আছে। সবচেয়ে বড় কথা, সিনেমাটা বানাব বলেই ওই সময় নাটক বানানো কমিয়ে দিই। টুকটাক যে বিজ্ঞাপনচিত্র বানাতাম, তা-ও বন্ধ করে দিই। সিনেমাটা না হলে অর্থনৈতিকভাবে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হবো। নাছোড়বান্দা হারুন ভাই এটুকু বললেন, এই সিনেমা করা যাবে না। তিনি যে আমার সঙ্গে খুব রাগী গলায় কথা বলেছেন, তা নয়। এরপর তার সহকারীকে ডেকে বললেন, আমাদের কাছে ভালো ভালো গল্প আছে, সেগুলো সুমনের সঙ্গে শেয়ার করেন। সুমন যেটা পছন্দ করবেন, সেটা করবেন। আর সুমনের যদি স্পনসর প্রয়োজন হয়, আমরা জোগাড় করে দেব।’শুধু পরিচালক সুমনকে না, নায়িকা মিমকেও সিনেমাটি থেকে বিরত থাকতে বলেছিলেন হারুন।মিম নিজেই জানালেন সেই তথ্য। মিমের ভাষ্য, ‘হঠাৎ একদিন হোয়াটসঅ্যাপে একটি কল দেখে একটু ঘাবড়ে যাই। তিনি (হারুন অর রশীদ) কেন আমাকে ফোন করবেন? ভাবতেও পারিনি যে আমার কাছে এমন একটি ফোনকল সেদিন আসবে আর বলা হবে যে সিনেমাটিতে অভিনয় করতে পারব না। যখন তিনি বললেন, তোমার পরিচালক আমার সামনে বসা, তখন বুঝতে বাকি থাকেনি যে সিনেমাটা বোধহয় আর হবে না। পরিচালক বের হওয়ার পর ফোন করে তা নিশ্চিত হই। সব মিলিয়ে মনটা খুব খারাপ হয়। শিল্পীর জীবনে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ সবসময় আসে না। আসার পর যখন আবার তা থেকে বঞ্চিত হতে হয়, তখন মন খারাপ হয়।’তবে হারুনের কারণে আটকে থাকা ‘আমি ইয়াসমিন বলছি’ সিনেমাটি এবার নির্মিত হচ্ছে- এমনটাই জানালেন পরিচালক সুমন।পরিবেশ অনুকূলে এলেই সিনেমাটি নির্মাণের কাজ শুরু করবেন তিনি।এসএফ
    রহস্যঘেরা যে স্থানটিতে চিরতরে হারিয়ে গেছে ২০ হাজারের বেশি মানুষ
    বিপজ্জনক বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের চেয়ে বেশি মানুষ চিরতরে হারিয়ে গেছে রহস্যঘেরা আলাস্কা ট্রায়াঙ্গল থেকে। আটলান্টিক মহাসাগরের বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে রহস্যময়ভাবে হারিয়ে যায় যাত্রীবাহী জাহাজ, উড়োজাহাজ। এদিকে, ১৯৭০ সাল থেকে আলাস্কা ট্রায়াঙ্গল এলাকায় নিখোঁজ হয়েছেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ। ভিনগ্রহের বাসিন্দা ইউএফও আর বিগ ফুট সেখানে দেখা যাওয়ার নানা কাহিনি রয়েছে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের মতোই এই অঞ্চলের শক্তিশালী তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণ ও ভিনগ্রহের প্রাণীদের এর জন্য দায়ী করেছেন কেউ কেউ। আলাস্কা ট্রায়াঙ্গলের অঞ্চলটির দক্ষিণে দুটি স্থান হচ্ছে জুনাও এবং অ্যাংকোরেজ এবং উত্তরে উপকূলীয় শহর উটকোয়েগভিগ অবস্থিত। ত্রিভুজাকৃতির এলাকাটি আলাস্কা ট্রায়াঙ্গল নামে পরিচিতি পেয়েছে। আলাস্কার অন্য সব অঞ্চলের মতো এখানেও জনবসতি কম। কিন্তু এখানে মানুষ চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার হার যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অঞ্চলের দ্বিগুণের বেশি। অসংখ্য অস্বাভাবিক এবং রহস্যময়ী ঘটনার গল্পও শোনা যায় এই এলাকায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭০ সাল থেকে গত ৫৪ বছরে জায়গাটি থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছেন ২০ হাজার মানুষ। অবশ্য এই সংখ্যা নিয়ে কিছু মতভেদ রয়েছে।রহস্যঘেরা অতিপ্রাকৃত এই এলাকাটি নিয়ে প্রচলিত আছে নানা ধরনের ভয়ার্ত গল্প। এখানে থাকতে পারে ‘সাসকুয়াচ’ বা ‘বিগফুটে’র মতো প্রাণীদের বিভিন্ন শহরে আতঙ্ক ছড়ানোর গল্পও। যেমন কেনাই পেনিনসুলার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত পোর্টলক নামের এক শহরকে ঘিরে জন্ম নেওয়া সেই কাহিনিটির উদাহরণ টানা যায়। শহরটি ১৯৫০- এর দশকে পরিত্যক্ত হয়। কথিত আছে ‘নানতিনাক’ নামের একটি অচেনা প্রাণী শহরের বাসিন্দাদের আক্রমণ করে মেরে ফেলছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতেও আলাস্কা ট্রায়াঙ্গল থেকে অনেক মানুষ রহস্যজনকভাবে হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও আলাস্কার কেবল এক শতাংশ এলাকায় মানব বসতি আছে, তারপরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্য যেকোনো রাজ্যের তুলনায় এখানে মানুষ নিখোঁজের হার বেশি। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের তথ্য অনুয়ায়ী, এই সংখ্যা প্রতি লাখে ৪২ দশমিক ১৬ জন। এদিক থেকে এর পরের অবস্থানে রয়েছে অ্যারিজোনা। সেখানে সংখ্যাটি লাখে ১২ দশমিক ২৮। আর দেশটির অন্য রাজ্যে এমন রহস্যজনক নিখোঁজের গড় হচ্ছে সাড়ে ছয়। প্রথম যে নিখোঁজের ঘটনা আলাস্কা ট্রায়াঙ্গলের প্রতি মানুষের মনে কৌতূহলের জন্ম দেয় সেটি ঘটে ১৯৭২ সালে। মার্কিন কংগ্রেসম্যান হেল বোগস, নিক বেগিচ, তাদের একজন সহকারী এবং পাইলট সন্দেহভাজন উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পরে নিখোঁজ হন। অ্যাংকোরেজ থেকে জুনাও যাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু ৪০ দিনের অনুসন্ধান অভিযানে কারও দেহ তো পাওয়া যায়ইনি, এমনকি মেলেনি উড়োজাহাজটির কোনো ধ্বংসাবশেষ। এবি 
    বিয়ের তিন মিনিটের মাথায় বিচ্ছেদ!
    বিয়ে হয়েছে তবে সংসার শুরু করার আগেই কবুল বলার মাত্র তিন মিনিটের মাথায় বিচ্ছেদ হয়েছে এক  দম্পতির। ঘটনাটি ঘটেছে কুয়েতে। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক মাধ্যমে এটিকে ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ের বিয়ে বলে দাবি করেন নেটিজেনরা।   দাম্পত্য জীবনে অনেক সময়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হয় না। একটা সময় যা বিচ্ছেদে গিয়ে গড়ায়। কিন্তু এত কম সময়ে ডিভোর্স সত্যিই বিরল। কিন্তু কীভাবে ভাঙল বিয়ে!সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বর নাকি কনেকে অপমানজনক কথা বলেন। জানা যায়, তাকে বিয়ে সেরে বেরনোর পরই এক তুচ্ছ ঘটনার জন্য নববধূকে ‌‘বোকা’ বলে  বিদ্রুপ করে বসেন তিনি। আর তাতেই নববধূ ক্ষেপে যান। মাত্র কয়েক মিনিট আগেই বিয়ে সেরে বের হচ্ছিলেন দম্পতি। অনুষ্ঠান শেষে দম্পতি যখন কোর্ট হাউস থেকে বেরোচ্ছিলেন, তখনই হোঁচট খান কনে। আর তারপরই ধপাস করে যান পড়ে।    আর সদ্য বিবাহিত বউ পড়ে যেতেই বর তাকে বোকা বলে বিদ্রুপ করেন। এ কথা শোনামাত্রই রেগে লাল হয়ে যান নববধূ। তাকে কোনোভাবেই শান্ত করা সম্ভব হয়নি। তিনি বিচারকের কাছে গিয়ে অবিলম্বে তাদের বিয়ে বাতিল করতে বলেন। নববধূর যুক্তি শুনে, তার দাবি মেনে নেন বিচারকও। মাত্র তিন মিনিটের মাথায় বিয়ে বাতিল করে দেন তিনি।  ঘটনাটি ঘটেছিল ৫ বছর আগে। কোনো কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার তা ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কনের পাশে দাঁড়িয়েছেন, কেউ আবার বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।মাইক্রোব্লগিং প্লাটফর্মে এক ব্যক্তি লেখেন, সম্মান ছাড়া বিবাহ শুরু থেকেই ব্যর্থ হয়। আরেকজন আবার লিখেছেন, কেউ যদি শুরুতেই এভাবে আচরণ করে তাহলে তাকে ছেড়ে দেওয়াই ভালো। এর আগে ২০০৪ সালে যুক্তরাজ্যের এক দম্পতি বিয়ের মাত্র ৯০ মিনিটের পরে বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছিলেন। দম্পতির নাম ছিল, স্কট ম্যাককি ও ভিক্টোরিয়া অ্যান্ডারসন। কনে বরযাত্রীদের কথায় অপমানিত বোধ করার পর বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন।এবি 
    ১ জোড়া চটির দাম প্রায় দেড় লাখ টাকা
    কুয়েতে একটি দোকানে দুই ফিতার এক জোড়া স্যান্ডেল বা চটি যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তা দেখে সাধারণ মানুষের চোখ কপালে উঠে যাবে। চটির কিছু ছবি এবং ভিডিও সামনে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা এখন ভাইরাল হয়েছে নিমেষেই। চটির দাম লেখা ৪ হাজার ৫৯০ সৌদি রিয়াল, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকার বেশি।অথচ, সাধারণত শৌচাগারে যেতে হরহামেশাই আমরা ওই ধরনের স্লিপার ব্যবহার করি ও সাধারণ ঘরে পরার জন্য যে চপ্পল ব্যবহার করি তা একেবারে গয়নার মতো সাজিয়ে রাখা রয়েছে সেখানে। সম্প্রতি ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘জানোউবা’ আনলাইনে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ভিডিওটির ক্যাপশন, ‘জানোউবায় ৪ হাজার ৫০০ রিয়ালে সর্বশেষ ফ্যাশন’।জানোউবার ভিডিওতে দেখা যায়, হাতে গ্লাভস পরা এক ব্যক্তি কাচে ঘেরা একটি বাক্স থেকে নীল-সাদা রঙের একটি চটি বের করে তার গুণমান দেখাচ্ছেন। সেটির ফিতা কতটা ভালো, সেটি কতটা নরম...। কাচের বাক্সের ভেতর আরও কয়েক রঙের চটি দেখতে পাওয়া যায়।অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসংখ্য মানুষ, বিশেষ করে ভারতীয়রা ওই ভিডিও শেয়ার করেন এবং বিভিন্ন রকম মন্তব্য করেন।কেউ কেউ মনে করছেন বিত্তশালীদের নজর কাড়ার জন্যই এই চালাকি। এমন চপ্পল ৬০ টাকায় কিনতে পাওয়া যায় বলেও মজা করেছেন কেউ কেউ।বিষয়টি নিয়ে রসিকতা করতেও ছাড়েননি অনেকেই। একজন বলেছেন, মাতৃ দিবসে মাকে উপহার দেওয়ার জন্য ওই হাওয়াই চপ্পল একেবারে আদর্শ। ওই জুতো পায়ে গলাতেও কাজে লাগবে, আবার সন্তানদের শাসন করার ক্ষেত্রেও হাতিয়ার হিসাবেও কাজে লাগবে বলে মন্তব্য জানান তিনি। কেউ কেউ বলেছে, ঝাঁ চকচকে দোকানে দিনে-দুপুরে ডাকাতি চলছে। এই চটির দাম কোনওভাবেই ১লক্ষ টাকা হতে পারে না, সেই বিষয়ে একমত সকলেই।
    চাকরি পেতে পোশাকে জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে ঘুরছেন তরুণ
    চাকরি যেন সোনার হরিণ। মনমতো একটি চাকরির জন্য কত না চেষ্টা-তদবির থাকে সবার। কেউ সফল হন, আবার কাউকে হতে হয় হতাশ। এমনই হতাশার মধ্যে ব্যতিক্রমী এক পথ বেছে নিয়েছিলেন চীনের এক তরুণ। চাকরিদাতাদের নজরে পড়তে নিজের পোশাকেই জীবনবৃত্তান্ত ছাপিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছেন তিনি।ওই তরুণের নাম সং জিয়ালি, বয়স ২১ বছর। হুবেই প্রদেশের উহান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতক পাস করেছেন। এবার স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা শুরুর পালা। এর আগে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ইন্টার্নশিপ করতে চাইছিলেন সং। তবে বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করেও সাড়া পাননি তিনি। এ নিয়ে একরকম হতাশ হয়ে পড়েছিলেন সং।তবে কথায় আছে, সমস্যা থাকলে সমাধানও আছে। সংও বুদ্ধি করে একটি সমাধান বের করেছিলেন। এর আগে তিনি দেখেছেন, অনেকেই নিজেদের পণ্য বিক্রি করতে পোশাকে বিজ্ঞাপন ছেপে রাস্তায় ঘুরে বেড়ান। সং ভাবলেন, চাকরি পেতে তিনিও একই পথ ধরবেন। তবে পণ্যের বিজ্ঞাপনের বদলে পোশাকে ছাপবেন নিজের জীবনবৃত্তান্ত।এরপরই জীবনবৃত্তান্ত ছাপা টি-শার্টে রাস্তায় দেখা যায় সংকে। টি-শার্টের সামনের অংশে লেখা ছিল, ‘২০২৪ সালের একজন শিক্ষার্থী চাকরি খুঁজছেন। বিস্তারিত জানতে পেছনে দেখুন।’ আর পেছনে ছাপা ছিল সংয়ের জীবনবৃত্তান্ত। তাতে ছিল তাঁর নাম, ছবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, পড়াশোনার বিষয় এবং শিক্ষার্থী হিসেবে তাঁর নানা কর্মকাণ্ডের হিসাব।একটু চালাকি করে টি-শার্টে একটি কিউআর কোডও যুক্ত করেছিলেন সং। পাশে লেখা ছিল, ‘মানবসম্পদ বিভাগের যাঁদের আমার এই কৌশল ভালো লেগেছে, তাঁরা এই কিউআর কোড স্ক্যান করে যোগাযোগ করতে পারেন।’ সং মজা করে এ-ও লিখেছেন, ‘জীবনসঙ্গী খোঁজার মতোই চাকরি খোঁজা কঠিন।’যাহোক সংয়ের এই বুদ্ধি কিন্তু কাজে এসেছে। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। শেষ পর্যন্ত পোশাক খাত নিয়ে কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ হিসেবে কাজ শুরু করেছেন তিনি।এমআর
    ফেসবুকের যে পেজ ভারত- বাংলাদেশের মানুষকে শিকড় খুঁজে দিচ্ছে
      বাংলাদেশের পিরোজপুরের মানুষের সহায়তা চেয়ে এক ভারতীয় নারী একটি ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছিলেন এ বছর জুন মাসের গোড়ায়। তার আকুতি ছিল যে প্রায় আশি বছর আগে ফেলে আসা একটা বাড়ির খোঁজ যদি পিরোজপুরের কেউ দিতে পারেন।‘বঙ্গ ভিটা’ নামের ফেসবুক পেজের সেই পোস্টে শ্বেতা রায় নামের ওই ভারতীয় নারী লিখেছিলেন পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার হারজি গ্রামের কথা।গত চার বছরে ওই ‘বঙ্গ ভিটা’ ফেসবুক পেজটি ভারত আর বাংলাদেশের পাঁচশোরও বেশি পরিবারকে খুঁজে দিয়েছে তাদের হারিয়ে যাওয়া শিকড়ের সন্ধান।“গ্রামের পাশে একটা খাল আর খালের পাশেই বাড়ি ছিল,” ফেসবুকে লিখেছিলেন মিজ রায়।সেটা ছিল তার মায়ের বাবা, অর্থাৎ দাদু মহাদেব দাসের বাড়ি। কাজটা ছিল একরকম ‘খড়ের গাদায় সুঁচ খোঁজার’ মতো।মাত্র ১৮ দিনের মাথায় খুঁজে পাওয়া যায় পিরোজপুরে মি. দাসের ফেলে আসা বাড়ির সন্ধান, চলে আসে সেখানকার ছবি।বিবিসি বাংলাকে তিনি জানাচ্ছিলেন, “দাদুর কাছে ছোট থেকেই ওই গ্রামের বাড়ির কাহিনী শুনতাম। এর আগে পূর্ব বঙ্গে আমার ঠাকুমার পৈত্রিক বাড়ি খুঁজে পেয়েছিলাম আমরা। তাই এবার আমি আর মা দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে দাদুর বাড়িটা খোঁজা শুরু করি।“তিনি বলছিলেন, “বঙ্গ ভিটায় আমার পোস্টটা দেখে প্রথম যিনি যোগাযোগ করলেন, তিনি হলেন ফজলে আলি খানের নাতির নাতি। এই ফজলে আলি খানই আমার দাদুর পরিবারকে স্বাধীনতা-পূর্ব দাঙ্গার সময়ে বন্দুক নিয়ে রাত জেগে পাহারা দিতেন। এই ভদ্রলোক নিজের নাম জানাতে চান না অবশ্য। এরপরে এমন একজনের সাহায্যে সব তথ্য পাই, যিনি আবার বাড়িটির বর্তমান বাসিন্দাদের পরিচিত।““দাদু তো ভাবতেই পারে নি যে এতবছর পরে আবার তাদের ফেলে আসা বাড়ির ছবি দেখতে পাবে। ওই ছবিগুলো দেখে একবারেই চিনতে পেরেছে। বারবার বলছিল বাড়িটা, পাশের খালটা এখনও আছে, তবে একটা বটগাছ ছিল, সেটা কেটে ফেলা হয়েছে,” জানাচ্ছিলেন ব্যাঙ্গালুরুতে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে কর্মরত শ্বেতা রায়।আবার ভারত থেকে বাংলাদেশে চলে যাওয়া আব্দুস সেলিম ওই ‘বঙ্গ ভিটা’ পেজের মাধ্যমেই জানতে পারেন যে পশ্চিমবঙ্গের যে স্কুলে তিনি পড়াশোনা করতেন, সেখানকার এক প্রিয় মাস্টারমশাই কয়েক বছর আগেই মারা গেছেন।এমএইচ

    Loading…