এইমাত্র
  • দুর্গোৎসবের মঞ্চে ইসলামী সংগীত
  • ফ্লোরিডায় হারিকেন মিল্টনের তাণ্ডব, বিদ্যুৎহীন ৩০ লাখের বেশি মানুষ
  • দুর্গোৎসবে সপ্তমীতে মণ্ডপে মণ্ডপে উৎসবের বারতা
  • ভারতে পালিয়ে যাওয়ার গুঞ্জন বিতর্কিত ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির
  • প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে সংরক্ষিত রাখা হবে পুরাকীর্তি হিসেবে
  • বাসায় ঢুকে ফ্ল্যাট দখলের চেষ্টার অভিযোগ, দীপ্ত টেলিভিশনের কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা
  • মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিককে গলা কেটে হত্যা
  • মার্কিন অর্থনীতিতে ধস, শেয়ার নামল ১৫ শতাংশের নিচে
  • ফের ৫ দিনের রিমান্ডে আ. লীগ নেতা ডাবলু, আদালতে চত্বরে ডিম নিক্ষেপ
  • শেখ হাসিনাসহ তার সাঙ্গোপাঙ্গ খুনিদের বিচার করতে হবে: এ্যানি
  • আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১০ অক্টোবর, ২০২৪

    জাতীয়

    প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে সংরক্ষিত রাখা হবে পুরাকীর্তি হিসেবে
    রাজধানীর ১৯ হেয়ার রোডে অবস্থিত প্রধান বিচারপতির বাসভবন সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে জানানো হয়, সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণার কার্যক্রম গ্রহণের অংশ হিসেবে বুধবার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালককে প্রধান বিচারপতির বাসভবন সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষয়ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনা স্থায়ীরূপে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনি কাঠামোর মধ্য থেকে এই ঐতিহাসিক স্থাপনার সুরক্ষা কিভাবে নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে প্রধান বিচারপতি গুরুত্বারোপ করেন।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৬৮ সালের প্রত্নতত্ত্ব আইনের বিধান অনুযায়ী বাসভবনটির মালিকানা সুপ্রিম কোর্টের অনুকূলে অক্ষুণ্ন রেখে এটি সংরক্ষণ করা হলে তা জনমানসে জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে। এর মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই স্থাপনার সমৃদ্ধ ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন হবে। এ লক্ষ্যে গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে বিশেষ সভা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণার কার্যক্রম গ্রহণের অংশ হিসেবে গতকাল প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালকের কাছে চিঠি পাঠান প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রত্নতত্ত্ব) মো. আমিরুজ্জামান।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ ঘোষণার পর নবগঠিত পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তরিত হলে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য যেসব আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়, তার মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবন অন্যতম। ১৯০৮ সালে নির্মিত অনন্য এ স্থাপনার নির্মাণশৈলীতে মোগল ও ইউরোপীয় ধ্রুপদি স্থাপত্যরীতির মিশ্রণ পরিলক্ষিত হয়। ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হয়ে যাওয়ার পর এই ভবন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হলেও ১৯৫০–এর দশকের শুরু থেকে ভবনটি প্রধান বিচারপতির বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শতবর্ষী এ স্থাপনাটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষিত হলে তা ভবনটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় এর ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছ স্থাপনাটির গুরুত্ব ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।এসএফ 
    দেশে না ফিরে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন জাবেদ পাটোয়ারী
    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও দেশে ফেরেননি সৌদি আরবে রাষ্ট্রদূত হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিযুক্ত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।জানা গেছে, রাষ্ট্রদূতের পদ ছেড়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন।ঢাকা ও রিয়াদের কূটনৈতিক সূত্র জানায়, পুলিশের সাবেক এই শীর্ষ কর্মকর্তা রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব ছেড়ে গত ২৮ আগস্ট সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ ত্যাগ করেছেন।যদিও তার শেষ গন্তব্য কোথায়, সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।তবে রিয়াদে নিজের ঘনিষ্ঠজনদের তিনি দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্র চলে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।এরপর ১৪ আগস্ট জাবেদ পাটোয়ারীসহ ছয় রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ বাতিল করে তাদের দেশে ফিরতে নির্দেশ দেওয়া হয়।এই নির্দেশ জারির পর প্রায় দুই মাস চলে গেলেও তিনি দেশে ফেরেননি।জাবেদ পাটোয়ারী রিয়াদে যে ফোন নম্বরটি ব্যবহার করতেন, সেই নম্বরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। জাবেদ পাটোয়ারীকে ২০২০ সালের ১৩ এপ্রিল তিন বছরের চুক্তিতে সৌদি আরবে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত করে আওয়ামী লীগ সরকার।চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে পরবর্তী এক বছর ৬ মাসের জন্য তাকে ফের একই পদে চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। সর্বশেষ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৪ আগস্ট অন্য যেসব কর্মকর্তার চুক্তি বাতিল করে দেশে ফেরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, তারা সবাই ফিরে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছেন।তারা হলেন- সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত থাকা রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর, জার্মানিতে রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, জাপানে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ ও রাশিয়ায় থাকা রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান।এসএফ
    বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হলে ভালো থাকবে না ভারত-মিয়ানমার: ধর্ম উপদেষ্টা
    বাংলাদেশে রাজনৈতিক কারণে ধর্মীয় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ভারত ও মিয়ানমারও ভালো থাকবে না বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, যারা ধর্মকে হাতিয়ার করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচনের আয়োজনে কাজ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শাসন নয়, পরবর্তী সরকারের প্লাটফর্ম তৈরি করতেই কাজ চলছে।খালিদ হোসেন বলেন, ক্ষমতার পালাবদলে এক দল আরেক দলের ওপর হামলা চালায়। বিদেশে বসে দেশের বিভিন্ন ঘটনাকে গুজব বানিয়ে বহির্বিশ্বে নেতিবাচক খবর প্রচার হচ্ছে।তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিচারহীনতার ধারা তৈরি হতে দেওয়া হবে না। কেউ যেন বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে না পারে সে বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।এ সময় অন্তর প্রসারিত করে সকল ধর্মের মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান ধর্ম উপদেষ্টা।এসএফ
    প্রবাসীদের এনআইডি আবেদন বাতিল করা যাবে না
    কাগজপত্র ঘাটতির অভাবে প্রবাসীদের কোনো এনআইডি আবেদন বাতিল করা যাবে বলে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কাগজপত্র ঘাটতি থাকলে বাধ্যতামূলকভাবে প্রবাসীদের শুনানি নিতে হবে বলে জানিয়েছে ইসি। প্রয়োজনে আত্মীয়স্বজনের সাথে যোগাযোগ করে কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য বলেছে সংস্থাটি। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, একজন প্রবাসীর পক্ষে সবসময় সকল দলিলাদি সংযুক্ত করা সম্ভব হয় না। ফলে মাঠ কর্মকর্তারা তাদের আবেদন সাধারণ নির্দেশনাবলীর ধারাবাহিকতা বাতিল করে দেন। এতে অনেক ভোগান্তির শিকার হন তারা। এ ছাড়া সময় ও অর্থের অপচয় হয়। অন্যদিকে জরুরি সেবা থেকেও বঞ্চিত হন তারা। এ বিষয়টি নিয়ে অনেকের দাবির প্রেক্ষিতে প্রবাসীদের সেবা সহজ করার লক্ষ্যে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।সম্প্রতি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগের মহাপরিচালক মো. মাহবুব আলম তালুকদার ইতোমধ্যে নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।এতে বলা হয়েছে, প্রবাসীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সেবা প্রদান করতে হবে। তাদের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে আবেদনের সাথে ডকুমেন্ট সংযুক্ত না থাকলে আবেদনকারীর শুনানি ছাড়া আবেদন বাতিল করা যাবে না। প্রয়োজনে আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগ করে ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে।এ বিষয়ে ইসি সচিব শফিউল আজিম বলেছেন, এনআইডি সেবা সহজ করার লক্ষ্যে সকল উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রবাসী ভোটার সাতটা দেশে চলমান আছে। যেখানে প্রবাসী আনুপাতিক হারে বেশি সেখানে আস্তে আস্তে চালু করবো। শিগগিরই কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় চালু হবে এই সেবা। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে লন্ডনের পর এবার বাকিংহামেও চালু হচ্ছে এই সেবা।বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, কুয়েত, কাতার, যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়ায় স্মার্টকার্ড বিতরণ উদ্বোধনও হয়েছে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ওমান, বাহরাইন, জর্দান, সিঙ্গাপুর, লেবানন, লিবিয়া, অস্ট্রেলিয়া, মালদ্বীপে এনআইডি কার্যক্রম হাতে নেওয়ার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা পেয়ে কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৯ সালে প্রবাসে এনআইডি সরবরাহের উদ্যোগটি হাতে নেয়। এরপর ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অনলাইনের ভোটার করে নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করে ইসি। এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীদের মাঝে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। তার আগে একই বছর ৫ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় অবস্থারত বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার অংশ হিসেবে অনলাইনে আবেদন নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এরপর সৌদি আবর, সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপে থাকা বাংলাদেশিদের জন্যও এ সুযোগ চালু করা হয়। সে সময় অনলাইনে আবেদন নিয়ে সেই আবেদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপজেলা থেকে যাচাই করে সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট দেশে দূতাবাস থেকে এনআইডি সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল। এরপর করোনা মহামারির কারণে থমকে যায় দূতাবাসের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা।কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন সম্প্রতি পদত্যাগী কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই কার্যক্রমকে ফের উজ্জীবিত করেন। এ ক্ষেত্রে আগের আবেদনগুলো পাশ কাটিয়ে নতুন করে কার্যক্রম শুরু করেন তারা।এসএফ
    সুপ্রিম কোর্টে নতুন ইতিহাস, একসঙ্গে নিয়োগ ৫ নারী বিচারপতি
    সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে প্রথমবারের মতো ৫ নারী আইনজীবী একসঙ্গে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৫ নারীর একসঙ্গে বিচারপতি হওয়ার ঘটনা সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এতে নারীরা অনুপ্রেরণা পাবেন। নতুন নিয়োগ পাওয়া ৫ নারী বিচারপতি হলেন, বিচারপতি মুবিনা আসাফ, বিচারপতি নাসরিন আক্তার, বিচারপতি আইনুন্নাহার সিদ্দিকা, বিচারপতি তামান্না রহমান ও বিচারপতি সাথিকা হোসেন।অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক একটি গণমাধ্যমকে বলেন, যে ৫ নারী আইনজীবী বিচারপতি হয়েছেন তাদের যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তাদের কর্মদক্ষতা ও মেধার বলেই তারা বিচারপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পেয়েছেন।৫ জন নারী বিচারপতি নিয়োগকে ভালো সূচনা মন্তব্য করে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ বলেন, এতোদিন দেখে আসছি উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগ হলে একজন নারী নিয়োগ দেওয়া হতো। অনেক নিয়োগে কোনো নারী নিয়োগ পেতেন না। এবার ৫ নারী আইনজীবীকে বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি এটা আইনপেশায় নারীর অবদানের স্বীকৃতি। আমি বলবো এটা ভালো সূচনা। মাননীয় প্রধান বিচারপতিসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই।গত ৮ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ২৩ জনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এসএফ
    বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভাসমান ভোটার ঢাকা বিভাগে
    ঢাকা অঞ্চলে ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন সাড়ে ৭ লাখ ভোটার। এ অঞ্চলের ৬ জেলায় ভোটার স্থানান্তর হয়েছে ৭ লাখ ৫৬ হাজার ১৭ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার স্থানান্তর হয়েছে ঢাকা জেলায় আর সবচেয়ে কম হয়েছে মানিকগঞ্জ জেলায়।ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের উপ-পরিচালক মাহবুবা মমতা হেনা স্বাক্ষরিত ঢাকা অঞ্চলের ভোটার স্থানান্তর সংক্রান্ত হিসাব বিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা যায়।হিসাব বিবরণী থেকে জানা যায়, সবচেয়ে বেশি ভোটার স্থানান্তর হয়েছে ঢাকা জেলার ৪ লাখ ৯৭ হাজার ২২০ জন। গাজীপুরে হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৩০৩ জন। আর সবচেয়ে কম হয়েছে মানিকগঞ্জে ১৪ হাজার ৪৬৭ জন। এছাড়া মুন্সিগঞ্জে ভোটার স্থানান্তর হয়েছে ২১ হাজার ৩৮২ জন, নারায়ণগঞ্জে ৭৩ হাজার ৬৯১ জন। নরসিংদীতে ভোটার স্থানান্তর হয়েছে ১৮ হাজার ৯৫৪ জন।ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভাসমান ভোটার বেশি ঢাকা বিভাগের। আর যেখানে ভাসমান ভোটার বেশি থাকবে সেখানে ভোটার স্থানান্তরের পরিমাণও বেশি থাকবে।সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার র ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। তবে হালনাগাদ কার্যক্রমের বাইরেও অনেকে ভোটার হয়েছেন। এক্ষেত্রে বর্তমানে প্রকৃত ভোটার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।এসএফ 
    আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
    সব ধর্মের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার বজায় রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সেই সঙ্গে তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিশ্চিন্তে থাকতে বলেছেন।বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।উপদেষ্টা বলেন, আপনারা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। সারা দেশে যেন কোথাও কেউ অপরাধ করার সাহস না পায়। সেই ব্যাপারে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সব ধর্মের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার বজায় রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর।সব ধর্মের মানুষ বাংলাদেশের নাগরিক উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, কোনো সম্প্রদায়কে ধর্মীয় কারণে অত্যাচার করা যাবে না। যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, সরকার সেটা বিচারের আওতায় আনবে। যে কদিন দেশে সরকার ছিল না, তখন কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে, তা আমরা স্বীকার করি। তবে সে অপরাধের শাস্তি হবে।
    সবাই সহযোগিতা করলে ৩৬৫ দিনই নিরাপদে থাকবে দেশের মানুষ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
    সবাই সহযোগিতা করলে দেশবাসী ৩৬৫ দিনই নিরাপদে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।পুজাকে ঘিরে এবার কোথাও কোনো কিছু ঘটছে, এমন কোনো তথ্য নেই উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে। এবার নিরাপত্তায় শুধু পুলিশ নয় সেনাবাহিনী, র‍্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীও নিয়োজিত আছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ৮ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।জনগণের উদ্দেশে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সবাই সহযোগিতা করবেন, আপনাদের সহযোগিতা যদি না পাই, তাহলে আমরা কিছুই করতে পারবো না। আপনারাই আসল কারিগর। আমি আশা করব, এবার কোথাও কোনো ঘটনা ঘটবে না।এসএফ 
    নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে যা জানাল তিতাস
    কিছু গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়ার যে খবর ছড়িয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক আবাসিক বা বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ বা লোড বৃদ্ধির সংযোগ বন্ধ রয়েছে। কিছু গণমাধ্যম বা সোস্যাল মিডিয়ায় আবাসিকে, বাসা বাড়িতে নতুন বা লোড বৃদ্ধির সংযোগ দেওয়ার প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ গুজব ও ভিত্তিহীন।কিছু প্রতারক চক্র জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। তাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। প্রয়োজনে গ্যাস বিতরণ কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছে তিতাস।২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর ২০১৩ সালের শেষের দিকে আবারও সংযোগ চালু করা হয়। তবে ২০১৪ সালের পর আবার জ্বালানি বিভাগ থেকে বিতরণ কোম্পানিকে আবাসিকের নতুন আবেদন নিতে নিষেধ করা হয়। সবশেষ ২০১৯ সালে লিখিতভাবে আবাসিক সংযোগ স্থগিত রাখার আদেশ জারি করা হয়।এসএফ 
    বকেয়া বেতনের দাবিতে কুড়িল-বিমানবন্দর সড়ক অবরোধে পোশাক শ্রমিকরা
    রাজধানীর ব্যস্ততম কুড়িল-বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করেছে পোশাক শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল থেকেই যান চলাচল বন্ধ রয়েছে এই সড়কগুলোতে। এতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানযট। সমস্যায় পড়েছে ওই রুট ব্যবহার করে চলাফেরা করা নগরবাসীরা।বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায়, মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কুড়িলগামী ফ্লাইওভারের ওপর আটকে আছে সারি সারি গণপরিবহনের বাস, মোটরসাইকেলসহ সিএনজি ও প্রাইভেট কার।অপরদিকে, কুড়িল থেকে বিমানবন্দরগামী ৩ থেকে সাড়ে ৪ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা আরও ভয়াবহ। অনেক যাত্রী জানান, তারা দীর্ঘক্ষণ ধরে জ্যামে বসে রয়েছেন। এতে অফিস ও কাজের জায়গায় পৌঁছাতে তীব্র বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। অনেকে গণপরিবহন ছেড়ে পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছেন নিজ গন্তব্যে।শ্রমিকরা জানান, প্রতি মাসের ৫-৭ তারিখের মধ্যে তাদের বেতন পাওয়ার কথা থাকলেও মাসিক বেতন পেতে তাদের ২০ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। অতিদ্রুত এই সমস্যার সমাধান চান তারা।এসএফ 
    মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারে গুলি, নিহত ১
    কক্সবাজারের টেকনাফে গভীর বঙ্গোপসাগরে সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া বাংলাদেশি ছয়টি ফিশিং ট্রলারকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছে মিয়ানমার নৌবাহিনী। উক্ত ঘটনায় টেকনাফ উপজেলা সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ এলাকার সাইফুল ইসলামের মালিকানাধীন ফিশিং ট্রলারে কর্মরত এক জেলে নিহত হয়েছে এবং দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। নিহত জেলে হচ্ছে-মোহাম্মদ ওসমান, সে শাহপরীর দ্বীপ কোনার পাড়া এলাকার বাসিন্দা। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়া দুই জেলে হচ্ছে,ফজল আহমদ রাজু ও মোহাম্মদ রফিক।তথ্য নিয়ে জানা যায়, গতকাল বুধবার(৯ অক্টোবর) দুপুর দুইটার দিকে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের অদূরে গভীর বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় এ ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছিল। ঘটে যাওয়া ঘটনার পর মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা সাইফুলের মালিকানাধীন ট্রলারসহ মাঝিমাল্লাদের ধরে নিয়ে যায়।অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার(১০ অক্টোবর) দুপুর ১২ সাইফুলের ফিশিং ট্রলারের নিহত,আহত মাঝিমাল্লাসহ সর্বমোট ৬টি ফিশিং ট্রলার এবং ট্রলারে থাকা ৫০/৬০ জন মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে যায়।অবশেষে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনীর সহায়তায় নিহত, আহতসহ ১১ মাঝিমাল্লা বহনকারী সাইফুলের মালিকানাধীন ফিশিং ট্রলারটি কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করে। উক্ত  ট্রলারটি দুপুর দুইটার দিকে শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে পৌঁছতে সক্ষম হয়। এদিকে অপর পাঁচটি ট্রলারও মাঝিমাল্লাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে সময়ের কন্ঠস্বরকে জানিয়েছেন প্রাণ বাঁচিয়ে ফেরত আসা মাঝিমাল্লা ও ট্রলার মালিকরা।এবিষয়ে ট্রলার মালিক সাইফুল ইসলাম স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন তিনদিন আগে আমার মালিকানাধীন ট্রলারটি সাগরে মাছ ধরতে যায়। বুধবার দুপুরে সেন্টমার্টিন সাগরের কাছাকাছি ট্রলারটি মাছ শিকার করার সময় হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌবাহিনী আমার ট্রলারসহ নয়টি ট্রলারকে ধাওয়া করে এবং এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এতে আমার ট্রলারে থাকা এক মাঝি নিহত হয় এবং দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়।  এরপর তারা ট্রলারটি ছেড়ে দিলে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা শাহপরীরদ্বীপ জেটি ঘাটে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানায়।এবিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন স্থানীয় জেলে এবং ফিশিং ট্রলার মালিকদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি গতকাল গভীর বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমার নৌবাহিনী সাগরে মাছ শিকার যাওয়া আমাদের দেশের ফিশিং ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছে এতে এক নিহত ও দুই জন আহত হয়েছে। এসময় কয়েকটি ফিশিং ট্রলার ও মাঝিমাল্লাদের তারা ধরে নিয়ে যায়।এরপর বৃহস্পতিবার দেশীয় জলসীমায় দায়িত্বরত কোস্টগার্ড বাহিনীর সহায়তায় নিহতের লাশ ও ট্রলারসহ ১১ মাঝিমাল্লাদের ছেড়ে দেয়।বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অবিহিত করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।এসএফ
    অবসরে আইন সচিব গোলাম রব্বানী
    সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী ৫৯ বছর পূর্ণ হওয়ায় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম রব্বানীর অবসর মঞ্জুর করেছে সরকার।বুধবার (৯ অক্টোবর) তার অবসর মঞ্জুর সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।  এ বিষয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম রব্বানীকে সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী ৫৯ বৎসর পূর্তিতে ৯ অক্টোবর সরকারি চাকরি হতে অবসর মঞ্জুর করা হলো। তার ছুটি প্রাপ্যতা থাকায় ১০ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ১২ মাস পূর্ণ গড় বেতনে অবসর-উত্তর ছুটি (পিআরএল) মঞ্জুর করা হলো। ’    এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর তাকে আইন সচিব নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।সিনিয়র জেলা জজ মো. গোলাম রব্বানীকে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার থাকা অবস্থায় ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১ জুলাই তাকে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে বদলি করা হয়।আওয়ামী লীগ সরকারের পরিবর্তনের পর গত ১৩ আগস্ট তাকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন-১) পদে বদলি করে ঢাকায় আনা হয়। পরে ৫ সেপ্টেম্বর আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ারকে ওএসডি করা হয়।  ৮ সেপ্টেম্বর মো. গোলাম রব্বানীকে আইন সচিবের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৮ সেপ্টেম্বর তাকে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।মো. গোলাম রব্বানী ১৯৯৪ সালে সহকারী জজ হিসেবে বিচার বিভাগে যোগদান করেন। এরপর ২০১৬ সালের ০৭ জানুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি বিসিএস ১৩তম ব্যাচের সদস্য।এবি 
    ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ওয়াশিংটনে আজ ৪ বৈঠক
    বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিবিড় করার লক্ষে ওয়াশিংটনে আজ চারটি আলাদা বৈঠক করবেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন।বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের রাজনীতি বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি জন বাসসহ যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।সকালের প্রথম বৈঠক হবে সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চের সঙ্গে। পরের বৈঠক হবে উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিচার্ড ভার্মার সঙ্গে। দুপুরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন পররাষ্ট্র সচিব, যেখানে উপস্থিত থাকার কথা ডোনাল্ড লুর।এছাড়া দেশের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক লিন্ডসে ফোর্ডের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে।শুক্রবার (১১ অক্টোবর) মার্কিন বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া এবং বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী শেলবি স্মিথ–উইলসনের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।বৈঠকগুলোর মধ্যে বিভিন্ন খাতে সংস্কার, অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শ্রম ও মানবাধিকার, সুশাসন, দুর্নীতি দমন, সন্ত্রাসবাদ দমন, প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হবে।এইচএ
    ‘রিসেট বাটন’ নিয়ে বক্তব্য স্পষ্ট করল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মুছে ফেলার অর্থে রিসেট বাটন চাপার কথা বলেননি বলে দাবি করেছে তার প্রেস উইং। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূস রিসেট বাটন চাপার কথা বলেছিলেন, কলুষিত রাজনীতি থেকে নতুন যাত্রা বোঝাতে। যে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি বাংলাদেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে, মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে, কোটি কোটি নাগরিকের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাসকে মুছে ফেলার অর্থে এ দুটি শব্দ ব্যবহার করেননি তিনি।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আপনি যখন রিসেট বাটন চাপবেন তখন আপনার সফটওয়্যারটি পুনরায় সচল হবে। এটি হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করে না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার। সেটা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। কিছু মানুষ ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারের ভুল ব্যাখ্যা করছে।অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিতে গত ৮ আগস্ট ঢাকায় আসার পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান ছিল আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। প্রথম স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে দেশের গৌরবময় স্বাধীনতা যুদ্ধ।বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যাপক ইউনূস মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই তিনি বাংলাদেশ নাগরিক কমিটি গঠন করেন এবং মার্কিন সরকারকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে রাজি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী প্রচারণা চালান। তিনি বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করার জন্য বাংলাদেশ নিউজলেটার প্রকাশ করেন।এইচএ
    অবশেষে মুখ খুললেন আলোচিত সেই ডিবি হারুন
    সম্প্রতি অজ্ঞাত স্থান থেকে ‘নাগরিক টিভি’ নামের ইউটিউব চ্যানেলের প্রবাসী এক সাংবাদিকের সঙ্গে টেলিফোন সাক্ষাৎকারে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক প্রধান হারুন-অর-রশীদ,  ছাত্র-জনতার হাতে গণধোলাই এবং পুলিশ সদর দফতরের দেয়াল টপকে পালাতে গিয়ে ব্যথা পাওয়ার বিষয়গুলোকে গুজব দাবি করেন। সেখানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান এবং আন্দোলন দমনে তার ভূমিকাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন এ পুলিশ কর্মকতা। মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন বলেন, ‘ফেসবুক, ইউটিউবে নানা গুজব আছে। আপনারা মরার ছবিসহ নানা গুজব দেখেছেন। আমি এগুলো নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। যারা এগুলো বলে তারা গুজব বা টাকা-পয়সা পাওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাড়ে। এগুলো গুজব।’পুলিশ সদর দফতরের দেয়াল টপকে পালাতে গিয়ে ব্যথা পাওয়ার বিষয়ে সাবেক ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি পুলিশ সদর দফতরে যাইনি।’ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক কর্মকর্তা হারুন বলেন, ‘আমাকে নিয়ে মিডিয়াতে তো প্রতিদিন একেক রকম খবর আছে। কাল দেখলাম এক অনলাইনে আসছে, আমি আর আমার বউ নাকি আছি ভাটিরচর। একটায় দেখলাম আমি নাই। আবার এক জায়গায় দেখলাম, আমি আছি কারও হেফাজতে। আবার আরেকটায় বলেছে, আমি অন্য জায়গায় চলে গেছি। গতকাল আবার দেখলাম র‌্যাব বলেছে, আমি নাকি তাদের হেফাজতে আছি। একেকজন একেক ধরনের কথা বলছে। আমি আসলে কারও সঙ্গে কথা বলি না। আমি বলছি, আমি আছি, আমি সেইফ আছি।’এ সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কোথায় আছেন? জবাবে হারুন বলেন, আমার নিরাপত্তার কারণে আমি আসলে বলতে চাচ্ছি না। তবে আপনি হয়তো জানেন যে, লিগ্যালি এই সময় কোথাও যেতে গেলে তো, কোথাও যাওয়া সম্ভব নয়। লিগ্যালি আমার যাওয়া কি সম্ভব?     সরকারের লাঠিয়াল হিসেবে কাজ করে আপনি অনুতপ্ত কি না জানতে চাইলে ডিবির সাবেক এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি লাঠিয়াল হিসেবে কাজ করিনি। আমি সরকারি চাকরি করি। আমার সঙ্গে কোনো দিন শেখ হাসিনার দেখা হয়নি। ১৫ বছরের ক্ষমতাকালীন সময়ে কোনো দিন শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে যাইনি। আমার সঙ্গে কথা হয়নি। আমাকে বলা হচ্ছে হুকুমদাতা। আমি হুকুমদাতা কীভাবে হলাম। আমি তো ডিএমপি কমিশনারের অধীনে কাজ করেছি। আমি যা করেছি ন্যায়বোধ থেকে করেছি; অন্যায় করিনি। ন্যায়বোধ দিয়ে কাজ করায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়েছি। কিন্তু মানুষ আমার কাজের প্রশংসা করেছে। আমাকে ভুল বোঝার অবকাশ নেই।’কাজে যোগদানের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘আমাকে ঘিরে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছিল। তখনো আমি চুপ ছিলাম। সরকার যখন বলল, সবাইকে কাজে যোগ দিতে। তখন আমি গত ৮ আগস্ট ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি আমাকে তখনই যোগ দিতে নিষেধ করেন। আমাকে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলেন। আমি যোগদান করতে গেছি। কিন্তু আমি যোগ দিতে পারিনি। দুই দিন পর দেখি আমার নামে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, কমিশনার ও আমাকে হুকুমের আসামি করা হয়। তখন আমি অবাক হলাম। আমি তো ডিবিতে কাজ করি। ডিবির কাজ হলো মামলা তদন্ত করা। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্দেশ দিলে আমরা গ্রেপ্তার করি। মোহাম্মদপুরে তো আমি গিয়ে মারামারি করিনি, এটা তো আমার কাজ না। অতিরিক্ত কমিশনার কি মারামারি করতে যায়? আর ডিএমপিতে কমিশনারের পরে ৬ জন অতিরিক্ত কমিশনার। আমি হলাম ৬ নম্বর কমিশনার। সেখানে আমার নামে যখন মামলা হলো তখন তো একটু…। আবার বলা হলো মামলা হলেও সমস্যা নেই। ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকলে গ্রেপ্তার করা হবে না। আমি মনে করলাম ভালো কথা। ভাবলাম জয়েন করব। পরের দিন দেখলাম একজন উপদেষ্টা বললেন, যেসব পুলিশ কর্মকর্তা জয়েন করেননি আপনারা তাদের ধরে নিয়ে আসেন। আমি তখন আরও অবাক হলাম। আমি যদি চাকরিতে জয়েন না করি তাহলে প্রসিডিং করবে। আর যোগ দিলে আমাকে দিয়ে জোর করে চাকরি করাবেন। এটা শোনার পরে আমার মনে হলো রিস্ক। মানে আমার লাইফ ঝুঁকির মধ্যে। এখন মানুষকে ধরে যেভাবে পেটানো, ডিম মারা হচ্ছে। যদি আমাকে…। আগে তো বাঁচতে হবে। আমি ইচ্ছাকৃতভাবে একটু চুপ আছি।’৫ আগস্টের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি-ভিডিও ছড়ায়, যেখানে দাবি করা হয় ছাত্র-জনতার হাতে গণপিটুনি খেয়েছেন হারুন অর রশীদ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফেসবুক, ইউটিউবে নানা গুজব আছে। আপনারা মরার ছবিসহ নানা গুজব দেখেছেন। আমি এগুলো নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। যারা এগুলো বলে তারা টাকা-পয়সা পাওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়ে। এগুলো গুজব।পুলিশ সদর দপ্তরের দেয়াল টপকে পালাতে গিয়ে ব্যথা পাওয়ার বিষয়ে সাবেক ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি পুলিশ সদর দপ্তরে যাইনি।’ এই সময় তিনি ৬ সমন্বয়ক ও ভিপি নূর এর বিষয়েও বলেন, এবং দাবী করেন তিনি কাওকে এরেস্ট করেননি। বরং উপর মহলের আদেশে বিভিন্ন সংস্থা থেকে ৬ সমন্বয়ককে তুলে তার হেফাজতে রাখা হয়। কিন্তু তিনি কখনও কারোর সাথে খারাপ ব্যবহার করেননি, তিনি তাদের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।  এই সময় তিনি সমন্বয়কদের সাথে তাঁদের স্বজনদেরও সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেছেন।  সাক্ষাতের পর সেই স্বজনেরা ডিবি কার্যালয়ে দুপুরের খাবার খান, সে ভিডিও চিত্রও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন প্রচার করেছে। দেশবাসী কেন আপনাকে ঘৃণা করে? এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, ‘আমি ১২ বছর চাকরি করেছি। আমার কোনো অন্যায় থাকলে আপনি আমাকে ছাড়তেন? তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? এখন আমি একটু অড পজিশনে পড়ে গিয়েছি, এখন যদি বলে হারুন খুব খারাপ... তাহলে আমি কী খারাপটা করেছি বলেন। কার ক্ষতি করেছি? আমার কাছে যারা-যেসকল আসামি ছিল... এমনও বড় বড় বিএনপি নেতারা আমার কাছে গিয়েছিল.. তারা আমাকে বলতো আমার ফ্যামিলি প্রবলেম আছে, আমার ফ্যামিলি প্রবলেম সলভ করে দিও। এসব বিষয়ে আমি আরেকদিন কথা বলবো।’ এবি 

    Loading…