এইমাত্র
  • একযুগ পর 'তাণ্ডবে' এক হচ্ছেন শাকিব খান ও জয়া আহসান
  • ১৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত, অপেক্ষায় আরও ৩৫ জন
  • বাধা পেয়ে সড়কেই বসে পড়লেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা
  • মুন্সীগঞ্জে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের সন্ধান চেয়ে থানায় হামলা ও ভাঙচুর
  • সাবেক সিএমপি কমিশনার সাইফুল ইসলাম গ্রেফতার
  • গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, চিকিৎসাধীন কাশেম মারা গেছেন
  • জুলাই আন্দোলন নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ
  • ওসি-এসআইসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার চাঁদাবাজির মামলা
  • জুলাই আন্দোলনে ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা: জাতিসংঘ
  • ববিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি গঠন
  • আজ বুধবার, ২৯ মাঘ, ১৪৩১ | ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

    জাতীয়

    বাধা পেয়ে সড়কেই বসে পড়লেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা
    চাকরিতে পুনর্বহালসহ মোট ৬ দফা দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। এসব দাবি দ্রুত মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয় অভিমুখে রওনা করেন তারা। পরে তাদের পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়। এমন অবস্থায় সড়কে বসে পড়েন তারা। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে শিক্ষাভবন মোড় পর্যন্ত সড়কের উভয়পাশের যান চলাচল।সরেজমিনে দেখা গেছে, বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে এলে শিক্ষা ভবন মোড়েই পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়তে হয়। পরে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ জলকামান নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে বিডিআর সদস্যরা তাদের অবস্থান ধরে রাখেন। একপর্যায়ে সড়কে বসে পড়েন তারা।এসময় বিক্ষুব্ধ বিডিআর সদস্যদের ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘তুমি কে আমি কে, বিডিআর বিডিআর’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’-ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।বিডিআর সদস্যরা বলছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ৬ দফা দাবি মানা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই আন্দোলন চলমান থাকবে। চাকরি পুনর্বহালের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সড়কেই সবাই অবস্থান করবে। আমাদেরকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সচিবালয়ে আমরা ন্যায়সংগত অধিকার আদায় করতে এসেছি।এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার। এসময় তাকে ‘বিজিবি না বিডিআর, বিডিআর বিডিআর’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।পরে তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দপ্তর থেকে কোনো প্রতিনিধি না আসবে কিংবা কোনো আশ্বাস না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত এখানে অবস্থান চলবে।এর আগে, মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ৬ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন বিডিআর কল্যাণ পরিষদ। বিডিআর সদস্যদের দাবিগুলো হচ্ছে-১. পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে যেসব বিডিআর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। একইসঙ্গে তাদের ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।২. এরই মধ্যে হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত এবং সাজা শেষ হওয়া কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এ ছাড়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিস্ফোরক মামলা বাতিল করতে হবে।৩. গঠিত কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত ব্যতীত শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) নং ধারা বাদ দিতে হবে। একইসঙ্গে স্বাধীন তদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে অন্যায়ভাবে দণ্ডিত নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদঘাটন, মূল ষড়যন্ত্রকারী, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।৪. পিলখানায় শহীদ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ জন বিডিআর সদস্যসহ সর্বমোট ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে কারাগারে মারা যাওয়া সব বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উন্মোচন করতে হবে। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকলে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।৫. স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনতে হবে।৬. পিলখানার হত্যাকাণ্ডে সব শহীদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা করতে হবে। একইসঙ্গে শহীদদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।এবি 
    গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, চিকিৎসাধীন কাশেম মারা গেছেন
    ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ খ ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত আবুল কাশেম (২০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ১৬ নম্বর বেডে মারা যান তিনি।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এর আগে শুক্রবার রাতে ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ খ ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার শিকার হন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা জানান,  মোজাম্মেলের বাড়িতে তাদের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সেদিন ‘ডাকাত পড়েছে, যার যা আছে, তা নিয়েই এগিয়ে আসুন’—এমন মিথ্যা ঘোষণা দেওয়া হয় মসজিদের মাইকে। এরপরই বৈষমবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও জাহাঙ্গীর বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। এতে ১৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদেরই একজন ছিলেন কাসেম।
    জুলাই আন্দোলন নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ
    জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এতে বলা হয়েছে, সাবেক সরকার এবং এর নিরাপত্তা ও গোয়েন্দাবাহিনী আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সহিংস উপায় ব্যবহার করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এ ঘটনা আন্তর্জাতিক ফৌজদারি অপরাধ আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)। এসব ঘটনায় অধিকতর ফৌজদারি তদন্তের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।১১৪ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদন বলা হয়েছে, সাবেক সরকার এবং এর নিরাপত্তা ও গোয়েন্দাবাহিনী আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সহিংস উপায় ব্যবহার করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এতে শতশত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বলপ্রয়োগ করা হয়। একইসঙ্গে নির্বিচারে আটক, নির্যাতন এবং অন্যান্য ধরনের নিগ্রহের ঘটনা ঘটে।প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ওএইচসিএইচআর মনে করে, বিক্ষোভ এবং ভিন্নমত দমনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের অবগতি, সমন্বয় এবং নির্দেশনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের এসব ঘটনা ঘটেছে।জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত অভিযুক্ত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অবমাননা বিষয়ে একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন পরিচালনা করে। বাংলাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিত এবং তাৎক্ষণিক প্রভাব বুঝতে এ অনুসন্ধান চালানো হয়।গত ৩০ আগস্ট জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের শীর্ষ নির্বাহী ভলকার তুর্ককে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস।এবি 
    জুলাই আন্দোলনে ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা: জাতিসংঘ
    বাংলাদেশে গত বছরের জুলাই-অগাস্টে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। এতে বলা হয়েছে, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ১,৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। এদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নিরাপত্তাবাহিনীগুলোর দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ শিশু ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে যে তাদের ৪৪ জন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।   জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের প্রতিবেদনটি অনুযায়ী, বাংলাদেশের সাবেক সরকার এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সহিংস উপাদানগুলোর পাশাপাশি, গত বছরের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের সময় পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর সাথে জড়িত ছিল।  ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য এবং অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে একটি সরকারি নীতি উঠে এসেছে যা সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের এবং সমর্থকদের আক্রমণ ও সহিংসভাবে দমন করার নির্দেশ দেয়, যা মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো উদ্বেগ উত্থাপনকারী এবং জরুরিভাবে আরও ফৌজদারি তদন্তের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন তদন্তে জাতিসংঘ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গঠনের নজির থাকলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটিই প্রথম।বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত মৃত্যুর তথ্যের ভিত্তিতে, প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে যে ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ১,৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন এবং এদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নিরাপত্তাবাহিনীগুলোর দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। প্রতিবেদনটি নির্দেশ করেছে যে নিহতদের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ ছিল শিশু। বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে যে তাদের ৪৪ জন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছিল সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনকারী উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত থেকে। কিন্তু এর পেছনে ছিল ধ্বংসাত্মক ও দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি এবং প্রশাসন থেকে সৃষ্ট বিস্তৃত ক্ষোভ, যা অর্থনৈতিক বৈষম্যের সৃষ্টি করেছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্ষমতায় থাকার জন্য সাবেক সরকার ক্রমাগত  সহিংস পন্থা ব্যবহার করে এই বিক্ষোভগুলো দমনে পদ্ধতিগতভাবে চেষ্টা করেছিল। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, “এই নৃশংস প্রতিক্রিয়া ছিল সাবেক সরকারের একটি পরিকল্পিত এবং সমন্বিত কৌশল, যা জনতার বিরোধিতার মুখে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চেয়েছিল।’’ “বিক্ষোভ দমন করার কৌশলের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জ্ঞাতসারে, তাদের সমন্বয় ও নির্দেশনায় শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ব্যাপক নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও আটক এবং নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে।’’ এবি 
    আন্দোলনের সময় যে টর্চার সেলে রাখা হয়েছিল, শনাক্ত করলেন নাহিদ ও আসিফ
    জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে বর্তমান তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ডিজিএফআইয়ের টর্চারসেলে রাখা হয়েছিল। আজ বুধবার সেই টর্চার সেল পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষগুলো শনাক্ত করেন তাঁরা।প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব শুচিস্মিতা তিথি আজ বুধবার তাঁর ফেসবুকে দেওয়া পৃথক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ বুধবার রাজধানীর তিনটি এলাকায় গোপন বন্দিশালা পরিদর্শন করেছেন, যা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত।শুচিস্মিতা তিথি আজ তাঁর ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে একটি কক্ষের কয়েকটি ছবি দিয়েছেন। একটি ছবিতে নাহিদ ইসলাম রয়েছেন।শুচিস্মিতা তিথি লিখেছেন, গত জুলাইয়ে সাদাপোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের এই টর্চার সেলে (নির্যাতনকেন্দ্র) রাখা হয়েছিল নাহিদ ইসলামকে। আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষটি শনাক্ত করেন নাহিদ। এই কক্ষের এক পাশে টয়লেট (শৌচাগার) হিসেবে একটি বেসিনের মতো ছিল বলে জানান তিনি। ৫ আগস্টের পর এই সেলগুলোর মাঝের দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়, দেয়াল রং করা হয়।শুচিস্মিতা তিথি আজ তাঁর ফেসবুকে দেওয়া আরেকটি পোস্টে অপর একটি কক্ষের কয়েকটি ছবি দিয়েছেন। একটি ছবিতে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া রয়েছেন।শুচিস্মিতা তিথি লিখেছেন, গত জুলাইয়ে সাদাপোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের এই টর্চারসেলে রাখা হয়েছিল আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে। আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষটি চিনতে পেরেছেন তিনি। দেয়ালের ওপরের অংশের খোপগুলোয় এগ‌জোস্ট ফ্যান ছিল বলে জানান তিনি।এদিকে আলোচিত ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘এটা বীভৎস দৃশ্য। মানুষের মনুষত্ববোধ বলতে কোনও জিনিস আছে, সেটা থেকে বহু গভীরে নিয়ে গেছে তা (মনুষত্ব) নিশ্চিহ্ন করার জন্য। নৃশংস অবস্থা.... প্রতিটি জিনিস যে এখানে হয়েছে। যতটুকু শুনেছি, এটা অবিশ্বাস্য মনে হয়... এটা কি আমাদেরই জগত? আমাদেরই সমাজ?’এসব ‘নির্যাতন সেল’ এবং ‘গোপন কারাগারের’ ভুক্তভোগীদের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যারাই নিগৃহীত হয়েছেন, যারা এটার শিকার হয়েছেন; তারাও আমাদের সঙ্গে আছেন। তাদের মুখ থেকেই শুনলাম- কীভাবে হয়েছে।  কোনও ব্যাখ্যা নেই।... বিনাকারণে রাস্তা থেকে উঠিয়ে আনা হলো, বিনাদোষে কতগুলো সাক্ষী তৈরি করে কোনও একটা ঘটনায় ঢুকিয়ে দিয়ে বলা হলো- তুমি সন্ত্রাসী, জঙ্গি। এগুলো বলে বলে তাকে নিয়ে আসা হয়েছে।’প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এধরনের ইন্টারোগেশন সেল, টর্চার সেল দেশজুড়ে আছে, সেটা শুনলাম আজকে। আমার ধারণা ছিল, এই আয়নাঘর শুধু এখানেই (রাজধানীতে) যে কয়েকটা আছে। এরপর আজ শুনলাম এগুলোর বিভিন্ন ভার্সন সারা দেশে আছে। কেউ বলছেন ৭০০, কেউ বলছেন ৮০০; সংখ্যাও নিরুপণ করা যায়নি, কতটা আছে। এরমধ্যে কতগুলো জানা আছে, কতগুলো অজানা।’
    এটা 'বীভৎস দৃশ্য', আয়নাঘরের বর্ণনায় প্রধান উপদেষ্টা
    বহুল আলোচিত আয়নাঘর নামে খ্যাত ঢাকার তিনটি স্থান পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আয়নাঘরের বর্ণনা যদি দিতে হয় তাহলে বলতে হয়, বীভৎস দৃশ্য। মানুষের মনুষ্যত্ববোধ যে আছে,  তা জানতে বহু গভীরে যেতে হয়। যতটাই শুনি অবিশ্বাস্য মনে হয়- এটা কি আমাদের জগত, আমাদের সমাজ। আজ ১২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরার তিনটি আয়নাঘর পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্বল্পসংখ্যক দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আয়নাঘরে নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  অভিযোগ রয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনকালে ২০০৯ থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬০৫ জনকে গোপনে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। অন্য আরেকটি তথ্যে বলা হয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩৪৪ ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৪০ জনকে। আর ৬৬ জনকে সরকারি হেফাজতে গ্রেপ্তার অবস্থায় পাওয়া গেছে।এবি 
    আয়নাঘর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
    ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই ‘আয়নাঘর’ ব্যাপক আলোচনায় আসে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তখন জানান, গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ইন্টারোগেশন সেলকেই আয়নাঘর বলা হয়েছে। আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী এবং ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজধানীর আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরার তিনটি আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন।প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আয়নাঘরের সংখ্যার বিষয়ে তিনি বলেন, “কেউ বলে ৭০০, কেউ বলে ৮০০। সংখ্যা নিরূপণ করা যায়নি, যে কতটা আছে। কতটা জানা আছে, কতটা অজানা রয়ে গেছে। গত সরকার আইয়ামে জাহেলিয়া সৃষ্টি করে গেছে সর্বক্ষেত্রে। এটা তার একটা নমুনা।” এ সময় তিনি  গুম সম্পর্কিত তদন্ত কমিশনকে ধন্যবাদ দেন সঠিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করার জন্য। সূত্র জানায়, আয়নাঘর তিনটি পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্বল্পসংখ্যক দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আয়নাঘরে নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।দুপুর আড়াইটায় প্রেস ব্রিফিং ডেকেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। আয়নাঘর পরিদর্শন সম্পর্কে সেখানে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে বলে জানা গেছে।এবি 
    আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আয়নাঘর পরিদর্শনে গেছেন। তার সঙ্গে আছেন দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীরা। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে আয়নাঘর পরিদর্শনে যান প্রধান উপদেষ্টা।প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ নিয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে। গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়।এর আগে গুমের শিকার ব্যক্তিদের ছাড়া গোপন বন্দিশালা (আয়নাঘর হিসেবে পরিচিত) পরিদর্শনে অপারগতা প্রকাশ করেছিল গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশন। গত ২৯ জানুয়ারি কমিশনের সচিব আশিকুল খবির প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বিষয়টি জানান।চিঠিতে বলা হয়, পরিদর্শনের সময় স্থাপনা শনাক্ত করাসহ গুমের ঘটনার সব তথ্য যাচাইয়ে সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগীদের সঙ্গে রাখা আবশ্যক। পরিদর্শনের সময় ভুক্তভোগীদের সঙ্গে না রাখলে তাঁদের আইনগত অধিকার ক্ষুণ্ন হবে।এবি 
    বইমেলার ঘটনায় দোষীদের বি'চারের আওতায় আনা হবে: সংস্কৃতি উপদেষ্টা
    অমর একুশে বইমেলায় ‘সব্যসাচী’ স্টলের সামনে উত্তেজনা ও হট্টগোলের ঘটনায় দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।ফারুকী বলেন, গতকাল বাংলা একাডেমিতে যে ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ঘটনার সময় আমি ফ্লাইটে ছিলাম। নামার পর থেকে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। ঘটনার সব রকম ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ সংগ্রহ করেছি। একাডেমি ইতোমধ্যে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটি তিন কর্ম দিবসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য– এ ধরনের ঘটনা আর ঘটতে দেয়া যাবে না। আসুন, আমরা সবাই সব রকম উসকানিমূলক আচরণ থেকে বিরত থাকি। সতর্ক থাকি, কারও পাতা ফাঁদে পা দিয়ে জুলাইয়ের অর্জনকে যেন জটিলতায় না ফেলি।উল্লেখ্য, সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলায় সব্যসাচী প্রকাশনীর স্টলে নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিনের বই রাখার অভিযোগে একদল বিক্ষুব্ধ লোক চড়াও হয় লেখক ও প্রকাশক শতাব্দী ভবর ওপর। পুলিশের সাহায্যে মেলা থেকে তাকে বের করে নেয়া হয়। এর পরপরই সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয় স্টলটি।এই ঘটনায় তীব্র সমালোচনা তৈরি হওয়ার পর সোমবার রাতেই বইমেলার স্টলে হট্টগোলের ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।আজ এই ঘটনায় ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলা একাডেমি। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।এবি 
    দেশ ছেড়ে পালানোর সময় গ্রেফতার শেখ হেলালের পিএস
    দেশ ছেড়ে পালানোর সময় বিমানবন্দরে গ্রেফতার হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) হোসেন মুহাম্মদ মুরাদ ওরফে সোহেল মুরাদ। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকিট চেকিংয়ের সময় তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে তাকে কোন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সে সম্পর্কে এখনো জানায়নি ডিবি। ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, মুরাদের বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র হত্যায় বিপুল অর্থের যোগান দেন সোহেল মুরাদ। তিনি শেখ হেলালের ক্যাশিয়ার ছিলেন বলেও কথিত আছে।এবি 
    জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে দুই কূপের গ্যাস
    চলতি মাসেই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে সিলেট-১০ ও বেগমগঞ্জ-৪ ওয়েস্ট কূপের গ্যাস। কূপ দুটি থেকে দিনে গ্যাস মিলতে পারে ৩৫ থেকে ৪০ মিলিয়ন ঘনফুট। বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) আশা, গ্রীষ্মে গ্যাস-বিদ্যুতের বাড়তি চাহিদা মেটাতে কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখবে এ উদ্যোগ। সংকট সামলাতে জ্বালানি অনুসন্ধানে আরও জোর দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।প্রাকৃতিক সম্পদের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত সিলেটের নতুন অনুসন্ধান কূপ আশা জাগায় সংকটে ধুঁকতে থাকা দেশের জ্বালানি খাতে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে সিলেট-১০ কূপে সন্ধান মিলে তেল-গ্যাস, দুই ধরনের জ্বালানিরই। তবে পাইপলাইন না থাকায় এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কূপটির গ্যাস এখনো যুক্ত করা যায়নি জাতীয় গ্রিডে। নতুন পাইপলাইন বসাতে গিয়ে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় সংশ্লিষ্ট দফতরের অনুমতি পেতে বিলম্বসহ বেশ কিছু বাধা।  তবে সেসব পেছনে ফেলে ৬ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের পাইপলাইন নির্মাণকাজ এখন শেষ পর্যায়ে। পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান বলেন,চলতি মাসেই গ্যাস সঞ্চালন হবে নতুন এই লাইনে। যেখান থেকে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক সরবরাহ করা যাবে ২০ থেকে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। শুধু তাই নয়, চলতি মাসেই পাইপলাইন নির্মাণ শেষ করে বেগমগঞ্জ-৪ ওয়েস্ট উন্নয়ন কূপের গ্যাসও জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার কথা। যেখান থেকে উৎপাদন হতে পারে দৈনিক ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। সব মিলিয়ে চলতি মাসে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে দৈনিক ৪০ মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাসের জোগান বাড়াতে চায় পেট্রোবাংলা। গরম আসার আগে যা কিছুটা হলেও হাঁফ ছাড়ার আশা জাগাচ্ছে জ্বালানি খাতে।ভূতত্ত্ববিদ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বদরূল ইমাম বলেন, কূপ দুটি দিয়ে দেশের জ্বালানি ঘাটতি মেটানোর কিছুটা সুযোগ রয়েছে। হয়তো খুব একটা বড় পরিবর্তন হবে না, তবে সংকটকে বাড়তে দেবে না। এজন্য বেশি করে কূপ খনন করতে হবে।উল্লেখ্য, সিলেট ১০ কূপে গ্যাসের সম্ভাবনা জাগানোয়, সেখানে নতুন করে আরো কূপ খননের লক্ষ্য ঠিক করে করেছে পেট্রোবাংলা।এমআর
    আকাশপথের ভাড়া নিয়ে পরিপত্র জারি করলো বিমান মন্ত্রণালয়
    আকাশপথের যাত্রীদের প্রকৃত ভাড়ায় গন্তব্যে পৌঁছাতে বিভিন্ন নির্দেশনাসহ পরিপত্র জারি করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সিএ-২ অধিশাখা থেকে পরিপত্রটি জারি করা হয়। এতে স্বাক্ষর করেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব রুমানা ইয়াসমিন।পরিপত্রে বলা হয়েছে- অনতিবিলম্বে গ্রুপ-টিকিট বুকিংসহ যেকোনো প্রকার টিকিট বুকিংকালে ভ্রমণেচ্ছু যাত্রীর নাম, পাসপোর্ট নম্বর ও পাসপোর্টের ফটোকপিসহ বুকিং সম্পন্ন করতে হবে। বুকিং প্রদানের তিন দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট যাত্রীর নামে টিকিট ইস্যু না হইলে এয়ারলাইন্স স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ওই টিকিট বাতিল করবে।এয়ারলাইন্স/ ট্রাভেল এজেন্সি কর্তৃক গ্রুপ-বুকিং এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে ব্লককৃত টিকিট আগামী সাত দিনের মধ্যে ভ্রমণেচ্ছু যাত্রীর নাম, পাসপোর্ট নম্বর এবং পাসপোর্টের কপিসহ বিক্রয় নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স এরূপ টিকিটসমূহ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বাতিল করবে। গ্রুপ-বুকিংয়ের ক্ষেত্রে টিকিটের প্রকৃত বিক্রয়মূল্য বিক্রয়ের সঙ্গে সঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে এবং মন্ত্রণালয় তা জনগণকে জানাতে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, সব প্রকার এয়ার টিকিট অনলাইনে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে এবং বিক্রয়কৃত টিকিটের মূল্য অনলাইনে এবং টিকিটের গায়ে প্রদর্শিত থাকতে হবে। এয়ারলাইন্স এবং ট্রাভেল এজেন্সিসমূহ আবশ্যিকভাবে বেসামরিক বিমান চলাচল বিধিমালা, ১৯৮৪ এর বিধি ২৮৯ এ বর্ণিত বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী যথাযথভাবে ‘ট্যারিফ ফিলিং’ এর বিধান পালন করবে এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) অনুমোদিত ট্যারিফ বেবিচকের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। এয়ারলাইন্স কিংবা ট্রাভেল এজেন্সিগুলো সংশ্লিষ্ট বিমানসংস্থা কর্তৃক বেবিচক বরাবর দাখিলকৃত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়ায় টিকিট বিক্রি করা থেকে বিরত থাকবে। একই সঙ্গে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো বাধ্যতামূলকভাবে যাত্রীকে এয়ারলাইন্স থেকে প্রাপ্ত মূল্য-সম্বলিত টিকিট প্রদান এবং টিকিট বিক্রয়ের রসিদ প্রদান করবে।মন্ত্রণালয় ওই নির্দেশনায় আরও জানায়, চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও কিংবা চাহিদার অতিরিক্ত টিকিট মজুদ করে অন্য এজেন্টের মাধ্যমে এয়ার টিকিট বিক্রয়ের কারণে টিকিটের দাম বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২ এর বিধি-১৫ অনুযায়ী মূল ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন সনদ স্থগিত/বাতিল করা হবে।বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্স এবং ট্রাভেল এজেন্সিসমূহ ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে বিদেশগামী শ্রমিক/কর্মীদের জন্য বিশেষ বিমান ভাড়ার ব্যবস্থা করবে। মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়াসহ প্রবাসী কর্মীদের টিকিট ভাড়া কমানোর জন্য আগামী সাত দিনের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ সব এয়ারলাইন্স ও বোর্ড অব এয়ারলাইন্স রিপ্রেজেন্টেটিভস (বিএআর) পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী অনিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয় পরিপত্রে।এফএস
    প্রত্যাহার হচ্ছে সাড়ে ১৬ হাজার রাজনৈতিক ‘গায়েবি মামলা’
    ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া সারা দেশে ১৬ হাজার ৪২৯টি রাজনৈতিক ‘গায়েবি’ মামলা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। এরমধ্যে ১ হাজার ২১৪টি মামলা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে। এর মধ্যে ৫৩টি মামলার গেজেট দু-এক দিনের মধ্যে হবে।মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে এসব বলেন উপদেষ্টা।আইন উপদেষ্টা বলেন, ১৬ হাজার ৪২৯টি মামলার তালিকা করা হয়েছে। তালিকার পর প্রত্যেকটি মামলার রেকর্ড ঘেঁটে আমাদের দেখতে হয়, এটা জেনুইনলি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক গায়েবি মামলা কি-না। নাকি এটা কোনোরকম অনিয়ম বা কারচুপি করে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যক্তির মামলা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যক্তির হত্যা মামলা প্রত্যাহার করতে পারি না। প্রতিটা কেস রেকর্ড দেখে-দেখে  নিশ্চিত হতে হচ্ছে। তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের অধীনে মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এই অ্যাক্টে ৩৯৬টি মামলা বিচারাধীন ছিল। এর মধ্যে ৩৩২টি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ৬১টি মামলার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে।আসিফ নজরুল বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর জুলাই গণহত্যার ৩০০টি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এদের মধ্যে শেখ হাসিনাসহ শীর্ষস্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এবং শীর্ষস্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা রয়েছেন।এবি 
    মিটারের বেশি ভাড়া নিলে সিএনজি চালককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
    গ্যাস বা পেট্রোল চালিত অটোরিকশার মালিক বা চালক মিটারে প্রদর্শিত ভাড়ার অতিরিক্ত অর্থ দাবি বা আদায় করলে তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। এক্ষেত্রে আইন অমান্যকারীর আইনের ধারা ৮১ অনুযায়ী অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।সোমবার বিআরটিএ পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) শীতাংশু শেখর বিশ্বাসের সই করা এক পত্র থেকে এ তথ্য জানা যায়। পত্রটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পুলিশ কমিশনারকে দেওয়া হয়েছে।পত্রে বলা হয়েছে, গ্যাস বা পেট্রোল চালিত ৪-স্ট্রোক থ্রি-হুইলার অটোরিকশার জন্য সরকার নির্ধারিত মিটারের ভাড়ার হারের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে মামলা রুজু করার নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।পত্রে আরও বলা হয়েছে, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ধারা ৩৫(৩) অনুযায়ী কোনো কন্ট্রাক্ট ক্যারিজের মালিক বা চালক রুট পারমিট এলাকার মধ্যে যেকোনো গন্তব্যে যেতে বাধ্য থাকবেন এবং মিটারে প্রদর্শিত ভাড়ার অতিরিক্ত অর্থ দাবি বা আদায় করতে পারবেন না। এর ব্যত্যয় ঘটলে আইনের ধারা ৮১ অনুযায়ী অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং চালকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক এক পয়েন্ট কর্তন করার বিধান রয়েছে।এ অবস্থায়, গ্যাস বা পেট্রোল চালিত ৪-স্ট্রোক থ্রি-হুইলার অটোরিকশার জন্য সরকার নির্ধারিত মিটার হারের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট মোটরযান চালকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু প্রদান করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
    জুলাই শহীদ পরিবারের চাকরি নতুন কোটা হিসেবে যুক্ত হবে না: নাহিদ ইসলাম
    জুলাই শহীদ পরিবারদের এককালীন টাকার পাশাপাশি মাসিক ভাতা ও চাকরির কথা বলা হয়েছে। তবে চাকরিতে এটা কোনো নতুন কোটা হিসেবে যুক্ত হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।আজ মঙ্গলবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, পরিবারের কর্মক্ষম কোনো একজন ব্যক্তিকে একবারের জন্যই যোগ্যতার বিচারে সরকারি-আধা সরকারি অথবা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য এটা বিবেচ্য হবে না।জুলাই আন্দোলনে আহতদের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, আহতদের ক্ষেত্রে যারা সারাজীবনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে (অন্ধ কিংবা অঙ্গহানী) এবং আর কখনো কর্মক্ষম হতে পারবে না তাদের জন্য মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরকম আহতদের একটা বড় অংশই তরুণ এবং বাকি জীবন তাদেরকে আন্দোলনের ক্ষত বয়েই বেড়াতে হবে, অনেককে দীর্ঘকাল চিকিৎসার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।তিনি আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও গুরুতর আহতদের পুনর্বাসন এবং এই পরিবারগুলোর ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তা দেয়াটা আমাদের অঙ্গীকার ছিলো এবং রাষ্ট্রের দায়িত্বও বটে। কয়েক হাজার পরিবার অচল হয়ে গিয়েছে এই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণের ফলে। তাদের এই ক্ষতি আমরা কোনোকিছু দিয়েই পূরণ করতে পারবো না। আর এই পরিবারগুলো যেকোনো সুযোগ সুবিধার চেয়ে কেবল সকলের থেকে সম্মান ও মর্যাদা চায়।এবি 

    Loading…