এইমাত্র
  • নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল
  • ট্রাম্পের জয়কে ‘ন্যায্য ও স্বচ্ছ’ বললেন বাইডেন
  • রাজধানীতে বেড়েছে সবজির দাম, পেঁপে ছাড়া বাকি সব ১০০ টাকা ছাড়িয়ে
  • সুইজারল্যান্ডের বিমানবন্দরে হেনস্তার শিকার আসিফ নজরুল
  • ধূমপানের পর নামাজ আদায় করলে কি তা কবুল হবে?
  • নারী ফুটবলারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
  • দুপুরে রাজধানীতে বিএনপির র‍্যালি, বক্তব্য রাখবেন তারেক রহমান
  • ইসরাইলের বিমান হামলায় গাজা-লেবাননজুড়ে নিহত শতাধিক
  • ১১ বছর আগের হত্যাকাণ্ডে সাবেক এমপি তাহজীব সিদ্দিকী গ্রেপ্তার
  • শুক্রবার বন্ধ থাকছে রাজধানীর যেসকল মার্কেট
  • আজ শুক্রবার, ২৪ কার্তিক, ১৪৩১ | ৮ নভেম্বর, ২০২৪

    শিক্ষাঙ্গন

    জবির ছাত্রী হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক আঞ্জুমান আরা
    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আঞ্জুমান আরা। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো: শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট হিসেবে সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে পরবর্তীতে দুই বছরের জন্য পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আঞ্জুমান আরাকে নিযুক্ত করা হলো।বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ আদেশ ১০ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি বিধি মোতাবেক ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর ছাত্রী হল প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। পরবর্তীতে ২৭ অক্টোবর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী কোষাধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ পান।
    কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং তালিকায় নেই নোবিপ্রবি
    কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংস: এশিয়া ২০২৫  এ বাংলাদেশ থেকে তালিকায় স্থান পাওয়া ২৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় পাওয়া যায়নি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) নাম। ৬ নভেম্বর (বুধবার) যুক্তরাজ্য ভিত্তিক উচ্চশিক্ষা ভিত্তিক সংস্থা  কিউএস তাদের ওয়েবসাইটে এশিয়া র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। এতে বাংলাদেশের ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ) এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। প্রতিবছর বিশ্বব্যাপি যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করে থাকে তার মধ্যে কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং অন্যতম। এই র‍্যাঙ্কিং কয়েকটি মূল সূচকের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মূল্যায়ন করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে একাডেমিক সুনাম, গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, প্রতি গবেষণাপত্রে উদ্ধৃতির হার এবং আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা।এদিকে তালিকায় র‍্যাঙ্কিং এ  নোবিপ্রবি না থাকায় বিষয়টি নিয়ে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অনেকে বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো মানের গবেষক রয়েছেন, আছে গবেষণাও। এছাড়া শিক্ষার পরিবেশও দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থিতিশীল। তারপরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায় না।অসন্তোষ প্রকাশ করে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী ও তরুণ গবেষক মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম বলেন,  ‘দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নোবিপ্রবির মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে। কিন্তু তাদের মেধাকে শাণিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত তা যথাযথভাবে নিতে দেখা যায় না। কিছুদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম আমাদের নোবিপ্রবিতে ১৮টি বিভাগে অধ্যাপকই নেই। নামে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি হলেও এর বাইরেও বিভাগ রয়েছে। নতুন বিভাগ গুলোতে রিসার্চ শব্দটাই অপরিচিত। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে যেভাবে কঠোরভাবে নীতিমালা অনুসরণ করা হয় সেভাবে আমাদের এখানে দেখা যায় না। তাই দেখা যায় প্রভাষক হয়ে যোগদানের দুই বছর পর অনেকে বাইরে ডিগ্রি নিতে চলে যায়, অনেকে পিএইচডি করতে গিয়ে ফিরে আসেন না। ফলে শিক্ষার্থীরা গবেষণার সুযোগ ও গাইডলাইন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ৫০% শিক্ষার্থী ও গবেষণা করতে পারতো তাহলে সেরা দশে থাকতো। হয় ফান্ড নাই, নাহয় গাইডলাইনের অভাব ইত্যাদি নানা সমস্যা কারণে আমরা পিছিয়ে পড়ছি।’এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেল এর পরিচালক ও দেশসেরা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘র‍্যাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে আসলে অনেকগুলো প্যারামিটার কাজ করে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট। আমাদের ওয়েবসাইট ভালোভাবে ডেভেলপ না হওয়ায় গবেষণার তথ্যগুলো আমরা হালনাগাদ করতে পারি না। গত উপাচার্যের আমলে এটি হয়ে উঠেনি ফলে আমাদের অনেক কাজ হওয়া স্বত্তেও র‍্যাঙ্কিং এ নাম আসছে না। এছাড়া ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত, বিদেশী শিক্ষার্থী সংখ্যা, গবেষণার মান সবকিছু যখন আমরা ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে পারবো তখন আশা করা যায় আমাদের র‍্যাঙ্কিং মান উন্নতি হবে।’তিনি আরও বলেন, ‘নতুন উপাচার্য স্যার আসার পর আমরা ওয়েবসাইটটি ফাংশনাল করতে বলেছি। বর্তমানে ৫ জন শিক্ষার্থী পিএইচডি করছেন। সামনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। এছাড়া আমরা প্রতিবছর রিসার্চ এওয়ার্ড ও পাবলিকেশন এওয়ার্ড পুুনরায় চালু করেছি। শিক্ষকদের মধ্যেও গবেষণা বৃদ্ধিতে অনুষদ ভিত্তিক এওয়ার্ড দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।’নবনিযুক্ত নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজুয়ানুল হক জানান, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্কিং নিয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি। বর্তমান ওয়েবসাইটে বলতে গেলে অনেক কিছু আপডেটেড নেই। আমরা ইতিমধ্যে এটা নিয়ে রিসার্চ সেল, আইকিউসি সেলে ও আইটি সেলের সাথে মিটিং এর পরিকল্পনা নিয়েছি। সেখান থেকে কমিটি করে দেওয়া হবে। আশা করি খুব শীঘ্রই আমরা ভালো একটি ফলাফল পাবো এবং আগামীবার থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম র‍্যাঙ্কিং এ থাকবে।’আরইউ
    চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ
    চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে অধ্যাপক ড. অধ্যাপক পেয়ার আহমেদকে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণিত বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন ।বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০–এর ১০(১) ধারা অনুযায়ী তাকে পদে নিয়োগ করা হলো।নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে—ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) হিসেবে তাঁর নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে চার বছর হবে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন। ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন এবং এ নিয়োগ তাঁর যোগদানের তারিখ থেকে কার্যকর।এমআর
    আবাসিক সুবিধাবঞ্চিত ববির ৭৭ শতাংশ শিক্ষার্থী
    ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ৬টি বিষয়ে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম দিয়ে যাত্রা শুরু বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) বর্তমানে ২৫টি বিভাগে স্নাতক ও সমাজকর্ম ব্যতীত বাকি ২৪টি বিভাগে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকলেও কাটেনি শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট।বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৭৭ শতাংশ বঞ্চিত হচ্ছে আবাসিক সুযোগ থেকে। সিটের অপর্যাপ্ততায় আর্থিক অস্বচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও হলে উঠতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ২৫টি বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ৮০১৬ জন। ২০২২-২৩ বর্ষে ৭৭ আসন ফাঁকা রেখে নতুন আরো ভর্তি হয়েছে ১৫৫৩ জন শিক্ষার্থী। ৭৭ আসনে ভর্তি সম্পন্ন হলে যার সংখ্যা দাড়াবে ১৬৩০ জন।এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের ও মেয়েদের ২টি করে মোট ৪টি হলে আসন সংখ্যা রয়েছে ১২০২টি। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু হলে হলে ২৮৮টি, শেরে বাংলা হলে ৩০০টি, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে ৩১৪টি, শেখ হাসিনা হলে ৩০০টি এবং আসন রয়েছে। যার মধ্যে মাস্টার্স জোন বাদে বাকি আসনগুলোতে দুজন করে শিক্ষার্থী থাকার সুযোগ পায়। সেই হিসেবে চারটি হলে মোট ১৮৬৭ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করছে ।অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যার হিসেবে শতকরা মাত্র ২৩ জন শিক্ষার্থী আবাসিকতার সুযোগ পাচ্ছে। বাকি ৭৭ জন শিক্ষার্থীকে বাধ্য হয়ে মেস ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে।শিক্ষার্থীরা জানান, আবাসন সংকটের কারণে প্রতিনিয়তই বিপাকে পড়তে হয় তাদের। প্রতিমাসেই সিট ভাড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা সম্ভব হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সচরাচর সংস্কৃতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে যে ৪টি হল রয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অপ্রতুল। চারজনের রুমে আটজনে থেকেও মোট শিক্ষার্থীর নগন্য সংখ্যক এখানে আবাসনের সু্যোগ পায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত  হলকেন্দ্রীক শিক্ষার্থীদের মানবিক এবং সামাজিক গুণাবলী বিকশিত হয়।  হল ব্যবস্থাপনার অপ্রতুলতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংষ্কৃতি গড়ে উঠার ক্ষেত্রেও ব্যবধান এখানে সুস্পষ্ট। সার্বিক দিক বিবেচনা করে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে আরো আবাসিক হল প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের অন্যতম চাওয়া এবং এটি সময়ের দাবি।বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী সুকান্ত বৈদ্য বলেন, আবাসিক সংকট এর অনেক কারণ থাকলেও প্রধান কারণ হিসেবে আমি মনে করি,প্রশাসন স্বজ্ঞানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা। ক্লাস রুম না থাকার পরেও তারা সব কিছু জেনে বুঝে সিট সংখ্যা বাড়ানো। যে চারটা হল আছে তাতে সক্ষমতার থেকেও দ্বিগুন শিক্ষার্থী ইতমধ্যে অবস্থান করে,যেখানে পড়াশোনার পরিবেশ নেই বললেই চলে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হল এ সিট না পেয়ে বাইরে থাকতে বাধ্য হয়,যেখানে নিরাপত্তা, খাবার পানি ইস্যু সাথে বাড়ির মালিক দের ভাড়া ডাকাতি তো আছেই। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত সরকারি বেসরকারি যেকোনভাবে হোক অতিদ্রুত এই সমস্যা সমধানে কাজ করা।গনিত বিভাগের মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আবাসন সংকটের কারণে পড়াশোনা, মানসিক স্বাস্থ্য ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণে সমস্যা হয়। অনেকের আর্থিক সংকট থাকায় বাইরে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে, যা শিক্ষাজীবনকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই, এই সংকট সমাধানে সঠিক পরিকল্পনা ও উদ্যোগ প্রয়োজন।”বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম জানান, আমাদের শিক্ষার্থীদের তুলনায় হল সংখ্যা কম হওয়ায় আবাসিক সমস্যা আছে। সরকার যদি নতুন হল অনুমোদন দেয় সেক্ষেত্রে আবাসিক সমস্যা কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারব।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন বলেন, আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলেছি। অতিদ্রুত আবাসিক হল ও ভবন নির্মাণ করার প্রচেষ্টা আমাদের আছে । আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নানান সংকট রয়েছে। বিভিন্ন সংকট নিরসনে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।এইচএ
    নোবিপ্রবিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মেশিন ইন্টেলিজেন্স শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স
    নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ‘মেশিন ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজিস’ শীর্ষক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ৮ নভেম্বর (শুক্রবার)। বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বারের মতো আয়োজিত এ কনফারেন্সে দেশী-বিদেশী ২১৬ জন গবেষক ৪৬টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। আগামী ০৮ নভেম্বর শুরু হয়ে ০৯ নভেম্বর পর্যন্ত দুই দিন ব্যাপী এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। নোবিপ্রবির ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) এবং পাঁচটি বিভাগ ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) , কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসটিই), ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই), ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিই) ও পরিসংখ্যান যৌথভাবে এ কনফারেন্স আয়োজন করবেন। উক্ত কনফারেন্সে বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা তাদের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। কনফারেন্সের বিভিন্ন টেকনিক্যাল ও কীনোট সেশন পরিচালনায় ২২ জন সেশন চেয়ার সহ অর্গানাইজিং কমিটি ও ভলান্টিয়াররা যুক্ত আছেন। কীনোট হিসেবে থাকবেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অধ্যাপক ও গবেষক প্রফেসর নিকোলা কাসাবভ, প্রফেসর মোহাম্মদ-স্লিম আলুইনি, প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, প্রফেসর সোজো ইনু , প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী মনি। এছাড়া কনফারেন্সে ওপেনিং সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য সহ কনফারেন্সের জেনারেল চেয়ার, কো-চেয়ার উপস্হিত থাকবেন। ক্লোজিং সেশনে প্রধান অতিথি থাকবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ। অনুষ্ঠানের ইভেন্টগুলোর মধ্যে থাকবে টেকনিক্যাল সেশন, কীনোট সেশন, গ্রাজুয়েট ফোরাম। কনফারেন্সে টেকনিক্যাল ট্র্যাকস হিসেবে থাকবে এআই অ্যান্ড সফট কম্পিউটিং, স্মার্ট সেন্সিং অ্যান্ড সিকিউরিটি, ইমেজিং অ্যান্ড কম্পিউটার ভিশন। কনফারেন্স সেক্রেটারি মো. শাহরিয়ার সেতু বলেন, এইবার কনফারেন্সে মোট ১৬৪টি পেপারের মধ্যে ৪৬টি পেপার চুড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছে। কনফারেন্স পেপার গ্রহণযোগ্যতার হার ২৮ শতাংশ। দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে উপস্থাপনকৃত সব পেপার মেশিন ইন্টেলিজেন্স এবং ইমার্জিং টেকনোলজিস নামে বিখ্যাত আন্তর্জাতিক প্রকাশনীর কার্যপ্রণালী স্প্রিংগার-এর স্কোপাস ইনডেক্সড লেকচার নোটস ইন নেটওয়ার্কস এবং সিস্টেমস এ প্রকাশিত হবে। এমআইইটি ২০২৪ এ ৪১ শতাংশ আন্তর্জাতিক এফিলিয়েটেড পেপার আছে যেখানে ১৪টি দেশের বিভিন্ন গবেষকরা যুক্ত আছেন।অরগানাইজিং চেয়ার মো. ইফতেখারুল আলম ইফাত বলেন, অরগানাইজিং চেয়ার হিসাবে প্রথমে আমি ধন্যবাদ দিবো পুরো অরগানাইজিং কমিটিকে সবাই খুব সহায়ক ছিল তার সাথে আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ দিতে চাই। অগ্রণী ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের আর্থিক সহযোগীতা করেছে যার কারণে আমরা সুষ্ঠুভাবে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছি। কনফারেন্সে যে গবেষণাপত্রগুলো উপস্থাপন করা হবে, সেগুলো আন্তর্জাতিক প্রকাশক স্প্রিঞ্জারের লেকচার নোটস ইন নেটওয়ার্কস ও সিস্টেম-এ প্রকাশিত হবে। উল্লেখ্য, এই সিরিজটি স্কোপাস ও ডিবিএলপি ইনডেক্সড, যা মূলত আন্তর্জাতিক গবেষক পরিমন্ডলে এই কনফারেন্সের গ্রহণযোগ্যতা ও ভাবমূর্তি নিশ্চিত করে।এআই
    মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
    জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলগুলোতে ছাত্রদলের পোস্টার সাঁটানোকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে ঢাবিতে মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে বিজয় একাত্তর হল গেটে বিক্ষোভ করে প্রভোস্ট বরাবর স্মারকলিপি দেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এ সময় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারীদের ঘটনা তদন্ত করে শোকজের দাবি জানান তারা। পরে হল প্রশাসনের নির্দেশে পোস্টারগুলো তুলে ফেলা হয়। এরপর বিজয় একাত্তর হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, কবি জসীম উদ্দিন হল থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বিজয় একাত্তর হলে আসেন। তারা ‘ক্যাম্পাস পলিটিক্স নো মোর, নো মোর’- স্লোগান দেন।  পরে বিভিন্ন হল থেকে মিছিলে নিয়ে ভিসি চত্বরে উপস্থিত হন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। এদিকে রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল প্রশাসন বলেছে, সার্বিক সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য হলের অভ্যন্তরে বা হলচত্বরের দেয়ালে হল প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার লাগানো ও দেয়াললিখন করা যাবে না। কেউ এই আদেশ অমান্য করলে হল কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা একান্ত কাম্য।৭ নভেম্বর ‘ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ সামনে রেখে অন্যান্য এলাকার মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোসহ বিভিন্ন দেয়ালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবিসংবলিত পোস্টার সাঁটায় ছাত্রদল। বিষয়টি নিয়ে বুধবার দিনভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা হয়। পরে রাতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন।
    নোবিপ্রবিতে নজরুল বক্তৃতা অনুষ্ঠিত
    নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) বাংলা বিভাগের উদ্যোগে নজরুল বক্তৃতা-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (০৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এই বক্তৃতা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্ম দেশপ্রেম সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. চন্দন আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাদিকা পারভিন তামান্না। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজুয়ানুল হক। বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মহীবুল আজিজ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজুয়ানুল হক বলেন, আমরা শুধু ২১ ফেব্রুয়ারি এলে মাতৃভাষার গুরুত্ব নিয়ে সভা-সেমিনার করি। কিন্তু মাতৃভাষা বাংলার চর্চা আমাদের প্রাত্যহিক কাজে সর্বদা অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ মাতৃভাষা ছাড়া মনের ভাব সম্পূর্ণ প্রকাশ করা যায় না।বক্তা হিসেবে অধ্যাপক ড. মহীবুল আজিজ বলেন, নজরুলের সাহিত্যে উপনিবেশ ও যুদ্ধবিরোধী চেতনা এতটাই প্রবল ছিলো তা পৃথিবীর অন্য কোনো সাহিত্যিকের জীবনীতে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তিনি ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য তার কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন। নজরুল তার বিদ্রোহী কবিতায় বলেছিলেন, আমি সেই দিন হব শান্ত যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দনরোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণভূমে রণিবে না। তিনি আরও বলেন, নজরুল তার জীবনে সমস্ত সাহিত্যকর্ম লিখেন ১৯২২-১৯২৫ সাল পর্যন্ত। ওই ৩ বছর সময়ব্যাপী তার জীবনের সমস্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটেছিল।এআই 
    আহত জবি শিক্ষার্থীদের বেতন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত
    জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আহত শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফের জন্য তালিকা চেয়েছে প্রশাসন।মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৯ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক ৩৭.০০.০০০০.০৭১.০৬.০০৭.২০১৬-৪১৫ সংখ্যক স্বারকমূলে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে জুলাই-আগস্ট ২০২৪ গণ-অভ্যুত্থানে যে সকল শিক্ষার্থী আহত হয়েছে সে সকল শিক্ষার্থীর বেতন/টিউশন ফি মওকুফের জন্য নিম্ন স্বাক্ষরকারীর নিকট যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রসহ আবেদন করার জন্য বলা হলো। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, যেসকল শিক্ষার্থী জুলাই-আগষ্টের বিপ্লবে আহত হয়েছে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেতন ফি মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আহত শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করবো। শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে প্রজ্ঞাপন হওয়ার পর আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। এমআর
    নোবিপ্রবিতে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সেশন শুরু
    নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ‘হিলিং থ্রো এক্সপ্রেশন’ শীর্ষক সেশন শুরু হয়েছে।  মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর ২০২৪) একাডেমিক ভবন-২ এর কনফারেন্স রুমে এই সেশনের প্রথম আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর উদ্বোধন করেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘হিলিং থ্রো এক্সপ্রেশন’ সেশনের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের আবেগ প্রকাশের সুযোগ তৈরি করা এবং মানসিক সুস্থতা ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য এক নিরাপদ ও সমর্থনমূলক পরিবেশ তৈরির আশাবাদ ব্যক্ত করছি, যা তাদের মানসিক চাপ কমাতে এবং সুস্থ জীবনযাত্রার পথে অগ্রসর হতে সহায়তা করবে। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের জীবন চলার পথে সঠিক বন্ধু নির্বাচনের পরামর্শ দেন। নোবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টারের চীফ মেডিকেল অফিসার (প্রশাসন) ড. মো. মফিজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, রিসার্চ সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. ড. আতিকুর রহমান ভূঞা। সেশন আলোচক হিসেবে ছিলেন মেডিকেল সেন্টারের সাইকোলজিস্ট মো. আবু তারেক। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলন ও ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্থিতি ও আবেগের জায়গায় গভীর প্রভাব ফেলেছে। এ  প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ এই সেশনটি পরিচালিত হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে এই সেশন অনুষ্ঠিত হবে, যা শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ ও ট্রমা কাটিয়ে উঠতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।এইচএ
    যবিপ্রবির শিক্ষককে অপমানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
    যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. সেলিনা আক্তারকে অপমানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানান তারা।মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচে অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা 'সমন্বয়ক তো বিলুপ্ত নতুন হায়েনার রাজত্ব', 'নেমপ্লেট ভাঙলো কারা? সন্ত্রাসীদের দোসর যারা', 'সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও', 'শিক্ষকের লাঞ্চনা মানি না মানব না', 'শিক্ষকদের অপমান শিখিয়েছে কোন শয়তান', ও 'সমন্বয়কের লেবাসে ছাত্রলীগ কেন ক্যাম্পাসেসহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে।এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে আসেন। তবে আন্দোলনকারীদের শান্ত করতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান তাঁরা। এরপর প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।অনুজীববিজ্ঞাণ বিভাগ ক্লাবের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন , বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে যে সকল সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী যারা আমাদের বিভাগে এসে শিক্ষকের নেমপ্লেট খুলে ফেলার মতো সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে এবং সম্মানিত শিক্ষকদের হুমকি দিয়েছে তাদের বিচার করতে হবে। এছাড়া এসব সমন্বয়ক নামধারী কর্তৃক শিক্ষকের নেমপ্লেট খোলা ও আমাদের শিক্ষক লাঞ্চনাকারীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা আছেন তাদেরকে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ঢালাও ভাবে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রমাণ ছাড়া মব জাস্টিস বন্ধ করতে হবে।শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি ও তোমাদের তিনটি দাবিদাওয়া পেয়েছি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।উল্লেখ্য, যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনকে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে তাঁর ছবি পদদলিত করেছে যশোর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ সহ শিক্ষার্থীরা। এ সময় ড. আনোয়ার হোসেনকে অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সেলিনা আক্তার সরাসরি শিক্ষক দাবি করে লিফটের দরজার সামনে ফ্লোর থেকে সাবেক উপাচার্যের ছবিটি তুলে নেন। এর প্রেক্ষিতে ড. সেলিনা আক্তারের অফিস কক্ষের নেম প্লেট খুলে ফেলে তারা।এআই
    রাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১২ এপ্রিল
    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি)২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হবে, চলবে  ২৬ এপ্রিল  পর্যন্ত। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত ভর্তি উপ-কমিটির এক সভা এ কথা জানানো হয়। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীব সভাপতিত্ব করেন।সভায় সর্বসম্মতভাবে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে রাবি ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুরে অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ২০২৫ সালের ১২, ১৯ ও ২৬ এপ্রিল তারিখে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। ১৪ নভেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি কমিটির সভায় এই সুপারিশ বিবেচনা করা হবে। ঐ সভায় ভর্তি সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।এমআর
    ছাত্রলীগ শূন্যতায় বদলে গেছে বাকৃবি ক্যাম্পাস
    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। প্রতিষ্ঠা সময় ছাত্র অধিকার রক্ষায় সোচ্চার থাকলেও গত ১৫ বছরে দলীয় আনুগত‌্য এবং নানা অপকর্মের কারণে বিতর্কিত হয়ে উঠেছে সংগঠনটি। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্রলীগের ছিল অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রভাব। আবাসিক হলগুলোতে আসন বাণিজ্য, ডাইনিংয়ের টাকা আত্মসাৎ, গেস্টরুমে নির্যাতন, শিক্ষকদের অবমাননা এবং র‍্যাগিংসহ নানা অভিযোগ ছিল ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। বাকৃবিসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ তার নিয়ন্ত্রণ হারায়। এরপর থে‌কেই বদলা‌তে শুরু করে ক‌্যাম্পা‌সের পরিবেশ। শিক্ষার্থীরা ফিরে পায় শান্তি। মুক্ত পরিবেশে চল‌ছে শিক্ষা কার্যক্রম।বাকৃবিতে ছেলেদের জন্য ৯টি এবং মেয়েদের জন্য ৫টি হল রয়েছে। হলগুলোতে আবাসন সংকট না থাকলেও আগে শিক্ষার্থীদের আসন পেতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের টাকা দিতে হতো। প্রতি আসনের জন্য নেওয়া হ‌তো ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা।ভেটেরিনারি অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান হৃদয় বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর হলে উঠলে ছাত্রলীগের অত্যাচারের কারণে হল ত্যাগ করি। পরবর্তী প্রায় দুই বছরের মতো হলের বাইরে ছিলাম। যা আমার পরিবারের জন্য আর্থিক চাপ তৈরি করেছিল। তারপর হলে উঠার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাকে বাধা দেয়। হলের প্রাধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে টাকা ছাড়া হলে তোলতে অপারগতা জানান। শেষ পর্যন্ত ফজলুল হক হলের ছাত্রলীগ নেতাদের মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে হলে উঠতে বাধ‌্য হই।শিক্ষার্থীরা জানান, বর্তমানে মেধার ভিত্তিতে সিট বণ্টন করা হচ্ছে । প্রতিটি কক্ষে তিনজন শিক্ষার্থী থাকছেন। ছাত্রলীগের সময়ে এক কক্ষে চার বা তারও বেশি শিক্ষার্থী ছিলেন।হলের ডাইনিং ব্যবস্থাপনাতেও পরিবর্তন এসেছে। শিক্ষার্থীরা ১শ’ টাকার মধ্যে দুইবার স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু খাবার খাচ্ছেন।শিক্ষার্থীরা জানান, আগে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে ডাই‌নিং‌য়ের খাবারের ‌ছিল নিম্নমানের এবং অস্বাস্থ‌্যকর। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হতো খাবার জন‌্য। এমনকি মাসের মধ্যভাগে ডাইনিং বন্ধ হয়ে যেতো। কিন্তু টাকা চলে যেতো নেতাদের পকেটে।কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী জাকিয়া জাহান বলেন, “আগের ফ্যাকাশে ঝোলের জায়গায় মানসম্পন্ন খাবার পাচ্ছি। মুরগি, মাছ, সবজি সবকিছুর মান বেড়েছে এবং খে‌তেও সুস্বাদু। এখন ডাইনিংয়ে লাইন ধরে খেতে হয়।"ছাত্রলী‌গের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালা‌নোর জন‌্য প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জিম্মি করা হতো। এছাড়াও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জোরপূর্বক যুক্ত করত। কেউ অপারগতা দেখালে গেস্টরুমে র‍্যাগিং চালানো হতো বলে জানান শিক্ষার্থীরা।ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ জানান, "পরীক্ষা থাকায় একদিন ছাত্রলীগের মিছিলে যেতে পারিনি। এর কারণে রাতে বেধড়ক স্ট্যাম্প দিয়ে মারধর করা হয় এবং দুই ঘণ্টা জানালার গ্রিলে ঝুলিয়ে রাখে। তাদের নির্যাতনের ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাইনি।”গত ১৫ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অপকর্মের বিচার করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের নির্ভয়ে অভিযোগ দেওয়ার জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ গ্রহণ করতে হলে হলে গিয়ে তাদের উৎসাহিতও করা হচ্ছে। ১০ নভেম্বর শেষ হবে অভিযোগ দেওয়ার সময়। এরপর শুরু হবে বিচার বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ।এইচএ
    ঢাবি’র ভর্তিতে নাতি-নাতনি ও পোষ্য কোটা বাতিলে নোটিশ
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা ও খোলায়াড় কোটা বাতিলের জন্য আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি (প্রশাসন), প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ও রেজিস্ট্রারকে ইমেইলে এই নোটিশ পাঠান। ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার ছাড়া নোটিশদাতা অন্যরা হলেন– ব্যারিস্টার মাহদী জামান বনি, অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট শাহেদ সিদ্দিকী। নোটিশ পাওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের ‘সন্তানদের’ জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ বহাল রেখে বাকি সব কোটা বাতিল করতে বলা হয়েছে। নোটিশ গ্রহীতারা ব্যবস্থা না নিলে সুপ্রিম কোর্টে রিটসহ বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।এবি  
    চেকে দিবা না ক্যাশে দিবা?
    'চেকে দিবা না ক্যাশে দিবা?' 'ক্যাশে দিবো স্যার' তাহলে কি পজিটিভ করে দিবো এমপি সাহেবের এদিকে? জ্বি স্যার, পজিটিভ তো অবশ্যই করে দিবেন, তবে দেখেন না একটু কম হয় কি-না? তোমার জন্য আমি এক (১ লাখ) কমায়ে দিবো।' এভাবেই সুমির নামে এক চাকরি প্রার্থীর সাথে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে কথা বলেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার সাবেক উপ-পরিচালক (বর্তমান উপ-রেজিস্টার, ডিন অফিস) হায়াতুজ্জামান মুকুল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে।আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ডেভিল নামের একটি আইডি থেকে একটি গ্রুপে এটি পোস্ট করা হয়।পোস্ট এর ক্যাপশনে লেখা হয় 'নিয়োগ বানিজ্যে সরাসরি জড়িত থাকা সত্তেও ততকালীন সময়ে এই অডিওটি উধাও করে দিয়ে নামে মাত্র মুচলেকা দিয়ে দালাল মুকুলকে উদ্ধার করেছিল। বর্তমানে এই মুকুলই ক্যাম্পাসের পরিবেশ অশান্ত করবার চেষ্টা করে প্রশাসনিক ভবনে ফেরত আসবার চেষ্টা করছে। সাধু সাবধান। পুনরায় তদন্ত করে এই নিয়োগ বানিজ্যের দালাল কে শাস্তি প্রদান করতে হবে। শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করে তিনি এসব অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। এখন আবার বিএনপি এবং জামাত বেশ ধরে সাধু সাজবার চেষ্টা করে যাচ্ছে।'কল রেকর্ডে বলতে শোনা যায়, সুমির: কোন দিক দিয়ে চেষ্টা করবেন স্যার?মুকুল: দুই দিক দিয়েই আমি চেষ্টা করবো। ভিসি স্যার তো টাকা খায় না,  পলিটিকাল দিক দিয়ে নাবিল সাহেব (সদ্য সাবেক এমপি, যশোর) আর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু বিষয় থাকে জানো তো? যারা চাকরি দিবে তারা তো অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে, এটা তো তুমি বোঝ।শেষপ র্যন্ত চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে ১১ লাখ টাকায় একটি সমঝোতা হয়।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই চুক্তির পর সুমির সেই চাকরির লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হন৷ মৌখিক পরীক্ষার আগে মুকুলের সাথে কথা বলার সময় তৎকালীন রিজেন্ট বোর্ড মেম্বার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টটিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মেহেদী হাসান সুমিরকে হাতেনাতে ধরেন। পরবর্তীতে তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় মুকুলকে পাঁচ বছরের পদোন্নতি ও তিনটি ইনক্রিমেন্ট না দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তবে অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এধরণের অপরাধে গুরুদন্ড দেওয়ার বিধান থাকলেও অদৃশ্য কারণে তাকে লঘুদন্ড দেওয়া হয়।এবিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের হায়াতুজ্জামান মুকুল কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত বিষয় যারা ফেসবুকে ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।এইচএ
    মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বহাল রেখেই ঢাবির ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু
    প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তিতে কোটা বহাল রেখেই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গত ৩১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরুর পর তা ব্যাপক আকার ধারণ করে, যেখানে শিক্ষার্থীরা মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য বরাদ্দ ৩০% কোটাসহ ৫৬% কোটা সংস্কারের দাবি তোলেন। এই আন্দোলনের ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।এদিকে আন্দোলনের উৎপত্তিস্থল ঢাবিতে পুনরায় আবার কোটা সিস্টেম ফিরে আসায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।    ঢাবির ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আবেদনের পঞ্চম ধাপে আবেদনকারী পরবর্তী পাতায় প্রদর্শিত ছবি-৫ এ অনুরূপ ফরমে তার পরীক্ষা কেন্দ্রের বিভাগীয় শহর বেছে নেবে এবং শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কোটার তথ্য জানাবে। আবেদনকারী শিক্ষার্থী যদি কোটার জন্য নির্ধারিত আসনে আবেদন করতে চায় তবে প্রযোজ্য কোটার ঘরে ক্লিক করে নিচের কাজ করবে এক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নম্বর দেবে ও মুক্তিযোদ্ধা সনদ আপলোড করবে।অন্যদিকে মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার পরের ধাপের বিজ্ঞপ্তিতে ‘ঙ’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান (সন্তান না থাকলে নাতি/নাতনি) কোটার ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যু করা সনদপত্র অথবা ১৯৯৭ সন থেকে ২০০১ সন পর্যন্ত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অধীনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্রসহ আবেদন করতে হবে।উল্লেখ্য, ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৫ শতাংশ, ওয়ার্ড/পৌষ্য কোটায় ১ শতাংশ, উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায়, হরিজন ও দলিত সম্প্রদায় কোটায় ১ শতাংশ, প্রতিবন্ধী (দৃষ্টি, বাক, শ্রবণ, শারীরিক, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার্স/হিজড়া) কোটায় ১ শতাংশ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হত। এর পাশাপাশি গত বছর খেলোয়াড় কোটায় ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি নেয় বিশ্ববিদ্যালয়। এবারো থাকছে খেলোয়াড় কোটা।সোমবার (৪ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।গণঅভ্যুত্থানের তিন মাস না যেতেই মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা বহাল রেখে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছে ঢাবি প্রশাসন। এই ভর্তি প্রক্রিয়া জুলাই বিপ্লবের চেতনাবিরোধী বলে মনে করছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের জন্য মোট ৫ শতাংশ কোটা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সময়ের স্বল্পতার জন্য এই কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।ঢাবি অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এটা নিয়ে একাডেমিক কাউন্সিলে জোরেশোরেই আলোচনা হয়েছে। সেদিনই একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছিল। যেহেতু সময়ের স্বল্পতা ছিল এ বছর, তাই আগে করা হয়নি। তবে এটা আগামী মিটিংয়ের পরে রিভিউ হতে পারে। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, এটা একাডেমিক বিষয়, তাই এই বিষয়ে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ভালো বলতে পারবেন।কোটা বিষয়টি সামনে এনে উপাচার্য বরাবর লিখিত আবেদনও করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এবিএম শহিদুল ইসলাম।  এই শিক্ষক বলেন, ২৭ অক্টোবর কোটা সংস্কার করতে কমিটি করলেও এই কমিটির সদস্যরা লিখিত বিজ্ঞপ্তি পাননি। আমাকে সদস্য করা হলেও আমি আজ (সোমবার) সেটা জানতে পারি। ফলে কমিটির কোনো বৈঠক ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের কোটা রেখে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধাদের বিপক্ষে না। সেজন্য তাদের ভাতা দেওয়া হয়েছে। সন্তানদের চাকরির কোটা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাই বলে নাতি-নাতনিদের কোটা দিতে হবে? একজন গ্রামের ছেলে চান্স পাচ্ছে না তাদের কোটার জন্য। তাই এই কোটা অবশ্যই বাতিল করা জরুরি। না হলে আবু সাঈদসহ হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে।এবি 

    Loading…