এইমাত্র
  • বদলে যাবে ভারতের তিন রাজ্য
  • মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা খুলনার সুশোভন বাছাড়
  • নবীজির ঘর মোবারক দাবির বিষয়ে যা জানা গেল
  • বিয়ের ওপর কর বাতিলের দাবি
  • মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • শিশু সন্তান নিয়ে মেঘনা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন গৃহবধূ
  • অনেক কাজ আছে, যেগুলোয় আমি চাইলেও আমাকে মানাবে না: সুমাইয়া শিমু
  • ক্যারিয়ার নিয়ে থাকতে থাকতে একসময় দেখবেন পরিবার ছাড়া কেউ নেই: মডেল পিয়া
  • যুদ্ধবিরতির পর বাড়ির পথে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি
  • জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হচ্ছে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদুৎ
  • আজ সোমবার, ৬ মাঘ, ১৪৩১ | ২০ জানুয়ারি, ২০২৫

    রাজধানী

    ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
    রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে ইডেন মহিলা কলেজের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা ইডেনের এই শিক্ষার্থী গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।নিহত শিক্ষার্থীর নাম পুষ্পিতা বিশ্বাস (২১)। তিনি ইডেন মহিলা কলেজের ইতিহাস বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্রী। তিনি জামালপুর সদরের বসাকপাড়া গ্রামের রঞ্জিত বিশ্বাসের মেয়ে। বর্তমানে হাজারীবাগ ৭/এ রোডের ৯১/কে নম্বর বাসায় থাকতেন। নিহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা জগদীশ জানান, পুষ্পা ঢাকা ইডেন কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত রাতে হাজারীবাগের মহিলা হোস্টেলের একটি রুমে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে পড়েন তিনি। পরে অন্যান্য ছাত্রীরা তাকে ঝুলন্ত দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দিলে আমরা বিষয়টি হাজারীবাগ থানা পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ এসে অচেতন অবস্থায় পুষ্পাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।হাজারীবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জব্বার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অচেতন অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করি। পরে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও বলেন, হোস্টেলটিতে ১৬ জন মিলে থাকতেন। রাতে সবার অগোচরে গলায় ফাঁস দিয়েছেন তিনি। তবে আত্মহত্যার কোনো কারণ তাৎক্ষণিকভাবে কেউ জানতে পারেনি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।এবি 
    ৩ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এলো হাজারীবাগের ট্যানারির আগুন
    রাজধানীর হাজারীবাগ কাঁচাবাজারে একটি লেদার গোডাউনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট, বিজিবি এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিত তিন ঘণ্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে দুপুর ২টার কিছু সময় আগে আগুন লাগে।ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডিরেক্টর (অপারেশনস) লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম জানান, ভবনটির প্রতিটি ফ্লোরে দাহ্য পদার্থ আছে। প্লাস্টিক, চামড়া, কাপড়, কেমিক্যালসহ নানা সামগ্রী আছে। এজন্য আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি কাজ করে।  তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। 
    হাজারীবাগে ট্যানারি গোডাউনে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট
    রাজধানীর হাজারীবাগে ট্যানারি কাঁচাবাজারে একটি গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, সাততলা একটি ভবনের পঞ্চম তলার গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দুই ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। এরপর আরও ইউনিট বাড়িয়ে বর্তমানে মোট ১২টি ইউনিট সেখানে কাজ করছে।এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, আগুন লাগা ভবনের পাঁচতলা থেকে কাচ ভেঙে নিচে পড়ছে। আগুনের ভয়াবহতা বেশি থাকায় নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে। 
    ছেলেকে ডাক্তার দেখাতে ঢাকায় এসে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা নিহত
    রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আসাদগেট এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কায় আদম আলী (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অটোরিকশা চালকসহ আহত হয়েছেন আরও তিন জন।বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আসাদগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আদম আলী মারা যান। নিহত আদম আলী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানাধীন মুক্তা রামপুর গ্রামের ওয়ারেজ আলীর সন্তান। তার তিন মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে।ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত ব্যক্তির ভাতিজা মো. মাসুম জানান, তার চাচা পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী। ছেলে শাকিরকে ডাক্তার দেখাতে পরিবারসহ রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। পরিবারের চার সদস্য সিএনজি অটোরিকশায় করে আত্মীয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে আসাদগেট এলাকায় দ্রুতগামী একটি ট্রাক সিএনজি অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে তার চাচাসহ সিএনজিতে থাকা চারজনই আহত হন।পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। আদম আলীর অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
    শিশুর ভুল চোখে চিকিৎসা: অভিযুক্ত চিকিৎসকের জামিন
    শিশুর ভুল চোখে চিকিৎসার অভিযোগে করা মামলায় বাংলাদেশ আই হসপিটালের শিশু চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. শাহেদারা বেগমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমানের আদালত তার জামিন আদেশ দেন।  এর আগে আসামি ড. শাহেদারা বেগমকে আদালতে হাজির করে হাজতখানায় রাখা হয়। পরে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। এ সময় আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় বাদীপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে আদালত আসামিকে ৫ হাজার টাকা বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন। গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) শিশুর ভুল চোখে চিকিৎসার অভিযোগে করা মামলায় বাংলাদেশ আই হসপিটালের শিশু চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. শাহেদারা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধানমন্ডি থানায় ভুক্তভোগী শিশু ইরতিজা আরিজ হাসানের বাবা মাহমুদ হাসান মামলাটি করেন।এজাহার সূত্রে জানা যায়, চোখে ময়লা জাতীয় কোনো বস্তুর অস্তিত্ব টের পেয়ে মঙ্গলবার হাসপাতালে দেড় বছর বয়সী ইরতিজার চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন বাবা-মা। তবে বাম চোখের বদলে ডান চোখে চিকিৎসা করা হয়। পরে দুঃখ প্রকাশ করে আবারও বাম চোখে চিকিৎসা করেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ এবং স্ট্র্যাবিসমাস সার্জন ডা. শাহেদারা বেগম।এবি 
    শিশুর ভুল চোখের চিকিৎসায় ডা. শাহেদারা গ্রেপ্তার
    শিশুর ভুল চোখে চিকিৎসার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত সেই নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মাহমুদ হাসানের দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ মাসুদ। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ওই নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার ওই নারী চিকিৎসকের নাম ডা. শাহেদারা বেগম। তিনি ধানমন্ডির বাংলাদেশ আই হসপিটালের শিশু চক্ষু বিশেষজ্ঞ।এজাহারে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা অভিযোগ করেন, গত মঙ্গলবার দেড় বছর বয়সী এক শিশুর চোখে তিনি (চিকিৎসক) ভুল অপারেশন করেছেন। শিশুর বাম চোখে সমস্যা অথচ ওই চিকিৎসক ডান চোখে অপারেশন করেছেন।ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, চোখে ময়লা জাতীয় কোনো বস্তুর অস্তিত্ব টের পেয়ে হাসপাতালে শিশুর চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন বাবা-মা। কিন্তু অস্ত্রোপচারের সময় ঘটে বিপত্তি। দেড় বছর বয়সী শিশু ইর্তিজা আরিজ হাসানের বাম চোখের বদলে ডান চোখে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক। পরে দুঃখ প্রকাশ করে আবারও বাম চোখে অস্ত্রোপচার করেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ এবং স্ট্র্যাবিসমাস সার্জন ডা. শাহেদারা বেগম।এবি 
    শাহবাগে মেট্রো স্টেশনের নিচে পথশিশুকে ধর্ষণ
    রাজধানীর শাহবাগ মেট্রো স্টেশনের নিচে ১০ বছরের এক পথশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে শাহবাগ মেট্রো স্টেশনের নিচে বারডেম হাসপাতালের সামনে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। খবর পেয়ে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধারের পর ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করে।হাসপাতালে আরেক পথশিশু মোবারক জানায়, ভুক্তভোগী শিশুটি শাহবাগ এলাকায় ফেরি করে ফুলের মালা বিক্রি করে। রাতে মেট্রো স্টেশনের নিচে চিৎকার শুনে অনেক লোকজন জড়ো হয়।সে জানায়, সেখানে গিয়ে দেখা যায় ভুক্তভোগী শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে। আর এক যুবককে লোকজন ধরে রেখেছে। পরে থানা পুলিশের মাধ্যমে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে ভুক্তভোগী পথশিশুর বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানি না।রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তারেকুল ইসলাম বলেন, রাতে খবর পেয়ে মেট্রো স্টেশনের নিচ থেকে ধর্ষণের শিকার ওই পথশিশুকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রায়হান (১৯) নাম এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, রাতে রায়হান নামে ওই তরুণ শিশুটিকে মেট্রো স্টেশনের নিচে  একটি কুঁড়েঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তার চিৎকারে লোকজন গিয়ে রায়হানকে আটক করে।শাহবাগে
    রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২০
    রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারের পাশাপাশি তাদের হেফাজত থেকে ১ কেজি ৩০০ গ্রাম গাঁজা, ২৯৮ পিস ইয়াবা ও ১০ পুরিয়া হেরোইন জব্দ করা হয়েছে।গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৬টি মামলা করা হয়েছে।এবি 
    রাজধানীর তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডের আগুন আধঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
    রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার একটি ট্রাক স্ট্যান্ডের গ্যারেজে লাগা আগুন প্রায় আধঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।আজ রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকালের দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। তেজগাঁও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র অফিসার নাজিম উদ্দিন সরকার গণমাধ্যমে জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করছেন তারা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫টি গাড়ীর পাশাপাশি ১২টি ওয়ার্কসপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এর আগে, সকাল ৮টা ৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের কাছে আগুন লাগার খবর আসে। পরে ৮টা ১০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তাদের তিনটি ইউনিট। সকাল ৯টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।এবি 
    ঢাকায় দুই ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে কোপাল দুর্বৃত্তরা
    ঢাকা এলিফ্যান্ট রোডে ইসিএস কম্পিউটার সিটির (মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার) সামনে দুই ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। তাদের মধ্যে এহতেসামুল হক (৪২) নামে একজনের অবস্থা গুরুতর। তিনি ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত অপর ব্যক্তি ওয়াহিদুল হাসান দীপু প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।শুক্রবার রাতে হামলার ঘটনা ঘটে। এহতেসামুলকে চাপাতি দিয়ে কোপানোর একটি ভিডিও শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আহত ওয়াহিদুল এলিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের ব্যবসায়ী মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক। এহতেসামুল হক মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের ব্যবসায়ী মালিক সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক।কমিটি নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্ব, পানি ও ইন্টারনেট সরবরাহ, পার্কিং ও ফুটপাত দখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় এই দুই নেতার ওপর হামলা চালানো হতে পারে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। হামলার প্রতিবাদ ও জড়িতদের বিচার দাবিতে আজ দুপুরে এলিফ্যান্ট রোডে তারা বিক্ষোভ করেছেন। ব্যবসায়ীদের দাবি, দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মাল্টিপ্ল্যান মার্কেটের সামনে ৪-৫ জন মিলে এহতেসামুলকে চাপাতি দিয়ে আঘাত করছে। পাশে দাঁড়িয়ে আছে আরও ৬-৭ জন। সবাই মুখোশ পরা। চাপাতির আঘাতে এহতেসামুল রাস্তায় পড়ে যান। এর পরও তার ওপর কোপ চালানো হয়। তিনি ওঠার চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু হামলাকারীদের আঘাতে উঠতে না পেরে এক পর্যায়ে সড়কে শুয়ে পড়েন। তখনও আঘাত করতে থাকে দুর্বৃত্তরা। আবারও তিনি ওঠার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। হামলার সময় সড়কে পথচারী এবং গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়। কিন্তু হামলাকারীদের ঠেকাতে কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। দেড় থেকে দুই মিনিট পর হামলাকারীরা সটকে পড়ে।পুলিশের নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার তারিক লতিফ বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার কয়েকটি ফুটেজ পেয়েছি। এতে দেখা গেছে, হামলায় ১০-১২ জন অংশ নিয়েছে। তাদের মধ্যে এক-দু’জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। হামলায় জড়িত বাকিদেরও শনাক্তের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।তিনি আরও বলেন, তিনটি বিষয় গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। হামলার পেছনে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব আছে কিনা, মার্কেট সমিতি এবং চাঁদাবাজির কোনো বিষয় আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।নিউমার্কেট থানা পুলিশ জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় ওয়াহিদুল হাসান বাদী হয়ে শনিবার রাতে মামলা করেছেন।ওয়াহিদুল হাসান জানান, তিনি ও এহতেসামুল শুক্রবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরার উদ্দেশে মার্কেট থেকে বের হন। নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে ওঠার জন্য বেজমেন্টে নামেন ওয়াহিদুল। এহতেসামুল মার্কেটের প্রধান ফটক দিয়ে বের হন।ওয়াহিদুল বলেন,‌ ‘বেজমেন্ট থেকে গাড়ি নিয়ে র‍্যাম্পে উঠতেই দেখি, মার্কেটের সামনে এহতেসামুলকে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছে। এরই মধ্যে আমার গাড়িতেও হামলা করে তারা। জানালার গ্লাস ভেঙে আমার পায়ে দুটি আঘাত করে। তখন আমার ড্রাইভার গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যায়। আমিও দৌড় দিয়ে বেজমেন্টে নেমে সিঁড়ি দিয়ে মার্কেটের মধ্যে ঢুকে পড়ি।ওয়াহিদুল জানান, এহতেসামুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় সড়ক থেকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী পপুলার হাসপাতালে নিয়ে যান মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের দুই নিরাপত্তাকর্মী। তাঁর হাঁটুর হাড় ও হাতের হাড় কেটে গেছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত হয়ে আছে। পায়ের শিরা কেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এহতেসামুলের বাসা জিগাতলায়।ব্যবসায়ীরা জানান, আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যবসায়ী তৌফিক এহসান ও তাঁর লোকজন নির্বাচন ছাড়াই গত ১৫ বছর ধরে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের ব্যবসায়ী মালিক সমিতি দখল করে রেখেছিল। তৌফিক ছিলেন সভাপতি। তারা মার্কেট নিয়ন্ত্রণ করতেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ব্যবসায়ীরা কমিটির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তখন তৌফিকসহ তাঁর লোকজন পালিয়ে যায়। এর পর ১৩ আগস্ট নতুন করে ১৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামকে। ওয়াহিদুল জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও এহতেসামুল যুগ্ম আহ্বায়ক।ব্যবসায়ী মালিক সমিতির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম বলেন, ১৫ বছর ধরে যারা মার্কেট সমিতি দখল করে রেখেছিল, তারা সমিতির প্রায় ৫০ কোটি টাকা লুট করেছে। লুটের প্রমাণ মুছে ফেলতে তারা পালানোর সময় সমিতির সব কাগজপত্র নিয়ে গেছে। এ ছাড়া ৫ আগস্টের পর মার্কেটের সামনে কেউ কেউ ফুটপাত দখলের চেষ্টা করে। এতে বর্তমান কমিটির নেতারা বাধা দেন। মার্কেটে খাবার পানি ও ইন্টারনেট সরবরাহ এবং পার্কিং দখল নিয়েও ওয়াহিদুল ও এহতেসামুলকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এসব কারণে তাদের ওপর হামলা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এফএস
    মিরপুরে সড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
    রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় মোল্লা বস্তির বাসিন্দারা। উচ্ছেদ আতঙ্কে আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলের দিকে মিরপুর ১২ নম্বর এলাকার সড়ক অবরোধ করেন তারা।এ ঘটনায় মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ১২ নম্বরের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে ওই সড়কে অনেক যানবাহনের জটলা তৈরি হয়েছে।পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আদিল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অবরোধের কারণে সড়কের একপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে অবরোধকারীদের সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।এবি 
    কমিটি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দু’পক্ষের হাতাহাতি
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকার মিরপুরের থানা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।সূত্রের বরাতে, আহতরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ণ টাওয়ারে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।সূত্র জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে মিরপুর মণিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাহিয়ান এবং ঢাকা রনি ও সাফরান নামের আরও দুই শিক্ষার্থী আছেন, তারা  পলিটেকনিকের ছাত্র।প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিরপুর থানার কমিটি ঘোষণার পর বেশ কয়েক দিন ধরে ঝামেলা চলছিল। প্রত্যাশিত পদ না পাওয়ারা বিভিন্ন ঝামেলা করার চেষ্টা করছেন। যারা পদ পাননি তারা শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যালয়ে এসে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু করেন। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেল সম্পাদক (দপ্তর) জাহিদ আহসান বলেন, “কিছু লোক এসে মিরপুর থানায় যুক্ত হতে চায়। তাদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। কথা-কাটাকাটি হয়েছে, ওরকম হামলার ঘটনা ঘটেনি।”এমআর
    সাবেক ওসি শাহ আলমকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট
    রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা থেকে পালানো পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলমকে গ্রেপ্তারে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে পুলিশ। এছাড়া পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে থানা থেকে পালিয়ে যান শাহ আলম। এ ঘটনায় থানার একজন সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।জানা গেছে, আদালতে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলাকালে শাহ আলম কৌশলে পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানার এএসআই মো. সাজ্জাদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি থানা হেফাজত থেকে পালানোর ঘটনায় শাহ আলমের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় উত্তরা পূর্ব থানার ওসি ছিলেন মো. শাহ আলম (৪২)। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কুষ্টিয়ায় ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে পরিদর্শক হিসেবে বদলি করা হয় শাহ আলমকে। তারপর থেকে তিনি সেখানেই কর্মরত ছিলেন।এআই
    থানা থেকে পালালেন গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ওসি শাহ আলম
    উত্তরা পূর্ব থানা থেকে পালিয়ে গেছেন গ্রেপ্তার হওয়া একই থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ আলম। এ ঘটনায় কর্তব্যরত উত্তরা পূর্ব থানার এএসআইকে তাৎক্ষণিকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে উত্তরা-পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম জানান, একজন পুলিশ কর্মকর্তা থানা থেকে পালিয়ে গেছেন বলে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। বর্তমান ওসির সঙ্গে কথা বলেন। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি ছিলেন শাহ আলম। গত ১ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানায় যোগদান করেছিলেন তিনি। ৫ আগস্টের পর একটি মামলায় উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। এরপর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছিল। এর মধ্যেই তিনি কৌশলে পালিয়ে যান। ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা সাবেক ওসি শাহ আলম পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বলেন, পালিয়ে যাওয়া কর্মকর্তা একজন ইন্সপেক্টর, তার নাম শাহ আলম। তিনি উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ওসি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় গত ২ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ওই মামলায় গতকাল বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছিল। এ সময় তিনি কৌশলে পালিয়ে যান। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জানার পর থেকে তাকে পুনরায় গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে। দায়িত্বে অবহেলার কারণে দায়িত্বরত এএসআইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম জানাতে পারেননি তিনি।এফএস
    মীরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়
    রাজধানীর মীরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল খোশনবিশের বিরুদ্ধে নানাবিধ অপকর্ম, প্রতিষ্ঠানের অর্থ লুটপাট, নিয়োগ বাণিজ্যসহ বেশুমার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (০৮ জানুয়ারি) অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন একই প্রতিষ্ঠানের ইংরেজী বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক অভিযুক্ত ফায়জুল ইসলাম। জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি (সোমবার) সকাল ১১টা ১০ মিনিট থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সদ্যবিদায়ী আওয়ামী সরকারের প্রশংসা করে 'জয় বাংলা শীর্ষক' লেকচার দেন বলে অভিযোগ ওঠে অভিযুক্ত শিক্ষক ফায়জুল ইসলামের বিরুদ্ধে।এর একদিন পর কয়েকজন শিক্ষার্থী তার বিচার দাবি ও স্বীয় পদ থেকে তাকে অপসারণের দাবি তুলে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষের নেতৃত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ঘটনাটি গোটা মিরপুরে 'টক অফ দ্যা টাউনে' এ পরিণত হয়।যদিও জয় বাংলা শ্লোগানের এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা-বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাজানো নাটক বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক ফায়জুল ইসলাম।আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি বলেন, এমন ন্যাক্কারজনক অভিযোগে আমি চরমভাবে বিব্রত ও মর্মাহত হয়েছি। এ ধরণের অভিযোগ তারা কোনোভাবেই প্রমাণ করতে পারবেন না। মূলত এর মাধ্যমে নিজেদের অনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি, আমাকে হেয়প্রতিপন্ন, অন্যত্র বদলি, এমনকী চাকরিচ্যুত করার মতো জঘন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কিছু অসাধু শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে সংঘবদ্ধ একটি শক্তিশালী কুচক্রীমহল। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাটি মুলত তাদের বেশুমার দুর্নীতি, অপকর্মের পাহাড়কে ঢাকার অপচেষ্টায় সাজানো নাটক এবং আমার বিরুদ্ধে সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের সুপরিকল্পিত অংশবিশেষ। যার নেতৃত্বে রয়েছেন খোদ প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল খোশনবিশ। এসময় শিক্ষক ফায়জুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী পন্থী শিক্ষক আমি নই; বরং আওয়ামী পন্থী সংগঠন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) সিনিয়র নেতা হিসেবে অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল খোশনবিশ দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া স্থানীয় ঢাকা-১৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তার গভীর সখ্যতা রয়েছে। উল্টো এখন আমার বিরুদ্ধেই মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনার যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার চেয়ে আমি শিগগিরই শিক্ষা উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে আবেদন করব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক সিনিয়র শিক্ষক বলেন, মোস্তফা কামাল খোশনবিশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আতুরনিবাস ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়। তার অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় চরম মূল্য দিতে হয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেককেই। অতীতেও নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষার্থীদের টাকা পয়সা দিয়ে একাধিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগপত্র দায়ের করে নাটকীয় ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে তাদেরকে নানাবিধ নির্যাতন, হয়রানীর শিকার হতে হয়েছে। এমনকী একাধিক শিক্ষককে নানা অপবাদ দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে অন্যত্র বদলিও করে দিয়েছেন এই অধ্যক্ষ। মীরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাধিক শিক্ষক জানান, প্রকৃতপক্ষে অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল খোশনবিশ প্রতি সিজনে বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এর প্রতিবাদ করলেই তাদেরকে সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের জালে  ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। তারা জানান, গত বছর কয়েক আগে প্রতিষ্ঠানের একজন নাইটগার্ড স্কুলের এক কিশোরী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে চাকুরীচ্যুত হয়। অধ্যক্ষের দুর্নীতির বিষয়ে ওই নাইটগার্ড সম্পূর্ণরূপে অবগত হওয়ায় নিজের অপকর্ম ফাঁস হওয়ার ভয়ে তাকে চাকরিতে পুনরায় বহাল করেন। এমনকী অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল খোশনবিশের বিরুদ্ধেও স্কুলের এক আয়াকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বর্তমানে অধ্যক্ষ ওই আয়াকে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে চাপ দিচ্ছেন। যার ফলে প্রাণভয়ে কর্মস্থলে যোগদান করতে না পেরে উল্টো এখনো পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মচারী বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি ও সুনির্দিষ্ট অপরাধের বিষয়াবলি তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তরে অভিযোগ করা হলেও অদৃশ্য কারণে সেগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি আজ পর্যন্ত। এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে মীরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল খোশনবিশ বলেন, ইংরেজি বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক ফায়জুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের একটি লিখিত অভিযোগপত্র হাতে পেয়েছি। যা নিয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষের দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এসময় নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।  এআই

    Loading…